জিপিএফ ফান্ডের জমা
প্রশ্নঃ ১৪৫১৯. আসসালামুআলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহ, ভাই আমি একজন সৈনিক, সরকার বাধ্যতামূলক মুল বেতনের
25% জিপিএফ ভান্ডে জমা করে, চাকুরী শেষ 13% লাভ
সহ জমানো টাকা পাবো অতিরিক্ত টাকা কি সুদ হিহাবে গর্ণ
হবে।
যদিও সুদ হিসাবে ধরা তার ব্যাখ্যা যানতে চাই।
_
উত্তর
و علَيْــــــــــــــــــــكُم السلام ورحمة الله وبركاته
بسم الله الرحمن الرحيم
জিপিএফ ফান্ডে সর্বনিম্ন যেই পরিমাণ বেতন বাধ্যতামূলক কেটে রাখা হয় তার ওপর প্রদত্ত অতিরিক্ত টাকা সরকারি উপহার হিসেবে গণ্য হবে এবং সেটা গ্রহন করা জায়েজ হবে। কিন্তু এর সাথে যদি ঐচ্ছিক কোনো পরিমাণ যুক্ত করা হয় তাহলে তার ওপর প্রদত্ত অতিরিক্ত টাকা গ্রহন করা জায়েজ হবে না। বিস্তারিত জানতে নিচের রেফারেন্স উত্তরটি দেখুন।
والله اعلم بالصواب
উত্তর দাতা:
বাইতুল কুরআন মাদারাসা , মোহাম্মাদপুর
রেফারেন্স উত্তর :
প্রশ্নঃ ১৪৫২০. আসসালামুআলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহ, ভাই আমি একজন সৈনিক, সরকার বাধ্যতামূলক মুল বেতনের সর্ব নিম্ন 25% এবং সর্বোচ্চ 50% জিপিএফ ফান্ডে জমা রাখে। চাকুরী শেষ 13% লাভসহ জমানো টাকা পাবো। অতিরিক্ত টাকা কি সুদ হিহাবে গর্ণ হবে। যদিও সুদ হিসাবে ধরা হয় ; তার ব্যাখ্যা যানতে চাই।
উত্তর
و علَيْــــــــــــــــــــكُم السلام ورحمة الله وبركاته
بسم الله الرحمن الرحيم
সম্মানিত প্রশ্নকারী!
সরকার যে পরিমাণ টাকা জিপিএফ ফান্ডে বাধ্যতামূলক কেটে রাখে কেবল সেই টাকার সাথে প্রদত্ত অতিরিক্ত টাকা গ্রহন করা জায়েজ আছে। সেটা সুদের অন্তর্ভুক্ত নয়। বরং সরকার কর্তৃক এককালীন ডোনেশন হিসেবে গণ্য হবে। (যদিও বিধিতে সেটাকে সুদ বলেই উল্লেখ করা হয়।) কিন্তু চাকুরীজীবী যদি সেচ্ছায় জিপিএফ ফান্ডে বাধ্যতামূলক পররিমাণের সাথে অতিরিক্ত কোনো অংশ যুক্ত করে এবং তার ওপর সরকারি ডোনেশন গ্রহণ করে তাহলে তা জায়েজ হবে না।
উদাহরণসরূপ সরকারি নীতিমালা অনুসারে যদি আপনাকে সর্বনিম্ন ২৫% জিপিএফ করতে বাধ্য করে কিন্তু আপনি সেখানে ২৫% এর সাথে আরো ৫%/১০% বাড়িয়ে (যা সরকারী নীতিমালা অনুসারে আপনার জন্য আবশ্যক নয় বরং ঐচ্ছিক।) দিয়ে রিটায়ার্ডের সময় সম্পূর্ণ টাকার ওপর প্রদত্ত ডোনেশন গ্রহন করেন তাহলে ঐচ্ছিক অংশের ডোনেশন গ্রহন করা জায়েজ হবে না। কেননা এটা মৌলিকভাবে সরকারকে ঋণ দিয়ে মুনাফা গ্রহনের নামান্তর। কিন্তু বাধ্যতামূলক ক্ষেত্রে যেটা দেওয়া হয় সেটা ঋণ হিসেবে গণ্য হয় না। এখানেই পার্থক্য। আশা করছি বুঝতে পেরেছেন।
والله اعلم بالصواب
উত্তর দাতা:
বাইতুল কুরআন মাদারাসা , মোহাম্মাদপুর, ঢাকা।
মন্তব্য (0)
কোনো মন্তব্য নেই। প্রথম মন্তব্য করুন!
মন্তব্য করতে লগইন করুন