ঘুমানোর আগে সালাত আদায় করা
প্রশ্নঃ ২৪৭৭৩. আসসালামুআলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহ,
মুহতারাম শাইখ,
১.ইশার নামায পড়ে রাসূল সাঃ ঘুমিয়ে যেতেন। এখন আমরা যদি ঘুমানোর আগে কয়েক রাকাত নফল নামায পড়ি সেটা কি বিদায়াত হবে? বিদায়াত যদি না হয় তাহলে কি তাহাজ্জুদ হবে?
২.সালাতুল হাজত পড়ে হাদিসে উল্লেখিত দোয়াটি না করে এমনি বাংলায় প্রয়োজন গুলো বললে হবে?
৩.একটি মাসয়ালা একজন আলিম কে জিজ্ঞেস করার পর অন্য আলিমকে জিজ্ঞেস করা কি জায়েজ? কেননা আমি ভীষণ ওয়াসওয়াসাগ্রস্ত, তাই কোন প্রশ্ন কাোন আলিমকে করে উত্তর পাওয়ার পরেও স্বস্তি পাচ্ছি না।
৪.কেউ দাওয়াত দিলে, অথবা কোন জিনিসপত্র ভাড়া নিলে, অথবা তার সাথে অন্য বেচা কেনা করার সময় তার রুযি হালাল কিনা সেটা কি যাচাই করা জায়েজ? যেমনঃ কেউ আমাকে দাওয়াত দিয়েছে, কিন্তু আমি জানি না তারা রুজি হালাণ নাকি হারাম,সেক্ষেত্রে এটা অনুসন্ধান করা কি ঠিক?
৫.আমার বাবার টাকা পয়সা থাকার পরেও যদি আমার বিয়ের ব্যবস্থা না করে, সেক্ষেত্রে আমার গুনাহ হবে?
উত্তর
و علَيْــــــــــــــــــــكُم السلام ورحمة الله وبركاته
بسم الله الرحمن الرحيم
রাতে ইশার পর বিলম্ব না করা সুন্নত। কেননা তাতে শেষ রাতের ইবাদতে বিশেষত তাহাজ্জুদে বিঘ্ন ঘটে। তাই যথাসম্ভব আগে ঘুমিয়ে যাওয়া উচিত। তবে কেউ যদি আগে ঘুমাতে না পারে এবং এর কারণে শেষ রাতেও উঠতে না পারে তাহলে তার জন্য উচিত হলো ঘুমানোর আগে ২/৪/৬/৮ রাতাক নামাজ পড়ে ঘুমানো। তাহলে সে ইনশাআল্লাহ তাহাজ্জুদের সাওয়াব লাভ করবে।
এছাড়া রাতে ঘুমানোর আগে সালাত আদায়ের সরাসরি কোনো আমল প্রমাণিত নয়। তবে যেহেতু অজু করে ঘুমানো মুস্তাহাব সেই হিসেবে তাহিয়্যাতুল অজুর নিয়তে দুই রাকাত নামাজ পড়ে ঘুমালে সেটা বেদয়াত হবে না।
جواب نمبر: 149324
عشا کی نماز کے بعد تہجد کا وقت شروع ہوجاتا ہے ؛ البتہ افضل یہ ہے کہ نصف شب کے بعد تہجد کی نماز پڑھی جائے ؛ لیکن چوں کہ آپ کے لیے سونے کے بعد تہجد کے لیے اٹھنا مشکل ہوتا ہے ؛ اس لیے آپ عشا کی نمازکے بعد وتر سے پہلے حسب سہولت ۲، ۴، ۶یا ۸/ رکعت پڑھ لیا کریں، تہجد کا ثواب مل جائے گا۔ (شامی ۲: ۴۶۷، مطبوعہ: مکتبہ زکریا دیوبند،فتاوی دار العلوم دیوبند ۴: ۳۰۵، ۳۰۶، ۳۰۷،۳۱۱،سوال: ۱۸۹۲،۱۹۰۱، ۱۹۰۷، مطبوعہ: دار العلوم دیوبند، احسن الفتاوی ۳: ۴۹۳، مطبوعہ: ایچ ایم سعید کراچی )۔ عن أیاس بن معاویة المزني رضي اللّٰہ عنہ أن رسول اللّٰہ صلی اللّٰہ تعالیٰ علیہ وسلم قال: لا بد من صلاة اللیل، ولو حلب شاة، وما کان بعد صلاة العشاء فہو من اللیل(رواہ الطبراني في الکبیر، کذا في الترغیب والترہیب، کتاب النوافل / الترغیب في قیام اللیل رقم: ۹۳۳)،وروی الطبراني مرفوعاً: لابد من صلاة بلیل ولو حلب شاة، وما کان بعد صلاة العشاء فہو من اللیل، وہٰذا یفید أن ہٰذہ السنة تحصل بالتنفل بعد صلاة العشاء قبل النوم(رد المحتار۲:۴۶۷، ط: مکتبة زکریا دیوبند، تبیین الحقائق ۱:۲۶۲، ط: مکتبة زکریا دیوبند)
https://darulifta-deoband.com/home/ur/salah-prayer/149324
একবারের প্রশ্নে একটি প্রশ্ন করুন।
2. নামাজের বাইরে যেকোনো ভাষায়ই দোয়া করা যায়। তাই সালাতুল হাজতের পরও করা যাবে।
3. যাকে তাকে নয় বরং যোগ্য আলেমকেই প্রশ্ন করুন। তাহলে আর ওয়াসওয়াসা থাকবে না।
4. এমন কেউ দাওয়াত দিলে সম্ভব হলে বিরত থাকুন।
5. নিচের রেফারেন্স উত্তরটি দেখুন।
والله اعلم بالصواب
উত্তর দাতা:
শিক্ষক, জামিয়া ইসলামিয়া ইবরাহিমিয়া দারুল উলুম মেরাজনগর, কদমতলী, ঢাকা।
রেফারেন্স উত্তর :
প্রশ্নঃ ২৪৪২০. আসসালামুআলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহ, হুজুর আমার জানার বিষয় হল যে, সন্তানদের বিবাহের দায়িত্ব অভিভাবকদের, তাহলে বিবাহ সম্পর্কিত যত খরচ যেমন-বিবাহের পূর্বে দেখাশোনা ইত্যাদি ইত্যাদি। এই সব ধরনের খরচ বহন কে করবে,,, বিস্তারিত জানতে পারলে খুব উপকার হতো।
উত্তর
و علَيْــــــــــــــــــــكُم السلام ورحمة الله وبركاته
بسم الله الرحمن الرحيم
ছেলে সন্তান বালেগ হওয়ার পর তার ভরণ-পোষণের কোনো দায়িত্ব পিতা-মাতার ওপর বর্তায় না। বরং মাতা-পিতা যতটুকু করেন সেটা সম্পূর্ণই তাদের ইহসান এবং দয়া।
হাদীস শরীফে আছে,
﴿ من ولد له ولد فليحسن اسمه وأدبه، فإذا بلغ فليزوجه فإن بلغ ولم يزوجه فأصاب إثما، فإنما إثمه على أبيه ﴾
সন্তান জন্মগ্রহণের পর পিতা-মাতার দায়িত্ব হল তার সুন্দর নাম রাখা এবং দীন শিক্ষা দেয়া, আর বালেগ হয়ে গেলে বিবাহ করিয়ে দেয়া। যদি বালেগ হওয়ার পরও বিবাহ না করায়, আর সন্তান কোন গুনাহে লিপ্ত হয়, তাহলে এর দায়ভার পিতার উপরই বর্তাবে। (বায়হাকী, হাদীস নং ৮২৯৯)
মিশকাতুল মাসাবিহ গ্রন্থের ব্যাখ্যাগ্রন্থ মিরকাতুল মাফাতিহে এই হাদিসের ব্যাখায় উল্লেখ করা হয়েছে যে, সন্তান বালেগ হওয়ার পর যদি তার বিবাহের সামর্থ (সম্পদ) না থাকে, (অর্থাৎ শরঈ পরিভাষায় সে ফকির হিসেবে বিবেচিত হয় এবং পিতারও বিবাহ করানোর সম্পদ থাকে) তাহলে পিতা যেন তাকে বিবাহ করিয়ে দেয়। সামার্থ থাকার পরও যদি বিবাহ না করায় তাহলে তিনি গুনাহগার হবেন।
প্রিয় ভাই!
আশা করছি উপরোক্ত ব্যাখ্যায় সন্তানের বিবাহে পিতার দায়িত্বের পরিধি সম্পর্কে আপনি সম্যক অবগত হয়েছেন। যদি আপনার সম্পদ থাকে তাহলে আপনার বিবাহের কোনো খরচই আপনার বাবার বহন করার প্রশ্ন নাই। কিন্তু যদি আপনার মাল না থাকে তাহলেই কেবল বিবাহের খরচ আপনার বাবা বহন করবে।
3138 - ( وعن أبي سعيد وابن عباس قالا : قال رسول الله - صلى الله عليه وسلم - : من ولد له ولد ) أي : ذكرا أو أنثى ( فليحسن ) بالتخفيف والتشديد ( اسمه وأدبه ) أي : معرفة أدبه الشرعي ( وإذا بلغ ) وفي نسخة صحيحة بالفاء ( فليزوجه ) وفي معناه التسري ( إن بلغ ) أي : وهو فقير ( ولم يزوجه ) أي : الأب وهو قادر ( فأصاب ) أي : الولد ( إثما ) أي : من الزنا ومقدماته ( فإنما إثمه على أبيه ) أي : جزاء الإثم عليه لتقصيره وهو محمول على الزجر والتهديد للمبالغة والتأكيد ، قال الطيبي - رحمه الله - : أي جزاء الإثم عليه حقيقية ودل هنا الحصر على أن لا إثم على الولد مبالغة لأنه لم يتسبب لما يتفادى ولده من أصابه الإثم
والله اعلم بالصواب
উত্তর দাতা:
শিক্ষক, জামিয়া ইসলামিয়া ইবরাহিমিয়া দারুল উলুম মেরাজনগর, কদমতলী, ঢাকা।
মন্তব্য (0)
কোনো মন্তব্য নেই। প্রথম মন্তব্য করুন!
মন্তব্য করতে লগইন করুন