আলফিয়্যাতুল হাদীস

বিতর নামাজে দোয়া কুনুত পড়া -এর বিষয়সমূহ

টি হাদীস

সুনানে নাসায়ী

হাদীস নং: ১৬৯৯
আন্তর্জাতিক নং: ১৬৯৯
দিবারাত্রির নফল নামাযের অধ্যায়
বিতরের নামায সম্বন্ধে উবাই ইবনে কা’ব (রাযিঃ) থেকে হাদীস বর্ণনাকারীদের বর্ণনা পার্থক্য
১৭০২। আলী ইবনে মায়মুন (রাহঃ) ......... উবাই ইবনে কা’ব (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত যে, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বিতরের নামায তিন রাকআত আদায় করতেন। প্রথম রাকআত “সাব্বিহিসমা রাব্বিকাল আলা” দ্বিতীয় রাকআতে “ইয়া আয়্যুহাল কাফিরুন” তৃতীয় রাকআতে “কুল হুওয়াল্লাহু আহাদ” পাঠ করতেন এবং রুকুতে যাওয়ার পূর্বে দোয়ায়ে কুনূত পড়তেন। যখন নামায শেষ করতে যেতেন তখন তিনি শেষ পর্যন্ত তিনবার سُبْحَانَ الْمَلِكِ الْقُدُّوسِ পড়তেন।
كتاب قيام الليل وتطوع النهار
باب ذِكْرِ اخْتِلاَفِ أَلْفَاظِ النَّاقِلِينَ لِخَبَرِ أُبَىِّ بْنِ كَعْبٍ فِي الْوِتْرِ
أَخْبَرَنَا عَلِيُّ بْنُ مَيْمُونٍ، قَالَ حَدَّثَنَا مَخْلَدُ بْنُ يَزِيدَ، عَنْ سُفْيَانَ، عَنْ زُبَيْدٍ، عَنْ سَعِيدِ بْنِ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ أَبْزَى، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ أُبَىِّ بْنِ كَعْبٍ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم كَانَ يُوتِرُ بِثَلاَثِ رَكَعَاتٍ كَانَ يَقْرَأُ فِي الأُولَى بِـ (سَبِّحِ اسْمَ رَبِّكَ الأَعْلَى) وَفِي الثَّانِيَةِ بِـ (قُلْ يَا أَيُّهَا الْكَافِرُونَ) وَفِي الثَّالِثَةِ بِـ (قُلْ هُوَ اللَّهُ أَحَدٌ) وَيَقْنُتُ قَبْلَ الرُّكُوعِ فَإِذَا فَرَغَ قَالَ عِنْدَ فَرَاغِهِ " سُبْحَانَ الْمَلِكِ الْقُدُّوسِ " . ثَلاَثَ مَرَّاتٍ يُطِيلُ فِي آخِرِهِنَّ .

মিশকাতুল মাসাবীহ

হাদীস নং: ১২৭৩
- নামাযের অধ্যায়
৩৫. দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ - বিতরের সালাত
১২৭৩। হযরত ইমাম হাসান ইবনে আলী (রাঃ) বলেন, রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) আমাকে কতক বাক্য শিক্ষা দিয়াছেন, যাহা আমি বিতিরের কুনূতে পড়িঃ “হে খোদা! হেদায়ত কর আমায় যাহাদের তুমি হেদায়ত করিয়াছ তাহাদের সাথে; শান্তি-স্বস্তি দান কর আমায় যাহাদের তুমি শান্তি-স্বস্তি দান করিয়াছ তাহাদের সাথে; অভিভাবকত্ব গ্রহণ কর আমার যাহাদের তুমি অভিভাবকত্ব গ্রহণ করিয়াছ তাহাদের সাথে; বরকত দান কর আমায় যাহা তুমি দান করিয়াছ আমায় তাহাতে এবং রক্ষা কর আমায় অকল্যাণ হইতে উহার, যাহা তুমি নির্ধারণ করিয়াছ (আমার জন্য)। কেননা, তুমিই নির্দেশ দান কর এবং তোমার উপর নির্দেশ দান করা চলে না। বস্তুত অপমানিত হয় না সে ব্যক্তি যাহাকে তুমি মিত্র ভাবিয়াছ। হে আমাদের পরওয়ারদেগার! বরকতময় তুমি এবং সবার উপরে উচ্চ।" —তিরমিযী, আবু দাউদ, নাসায়ী, ইবনে মাজাহ্ ও দারেমী
كتاب الصلاة
وَعَنِ الْحَسَنِ بْنِ عَلِيٍّ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُمَا قَالَ: عَلَّمَنِي رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ كَلِمَاتٍ أَقُولُهُنَّ فِي قُنُوتِ الْوَتْرِ: «اللَّهُمَّ اهدني فِيمَن هديت وَعَافنِي فِيمَن عافيت وتولني فِيمَن توليت وَبَارك لي فِيمَا أَعْطَيْت وقني شَرَّ مَا قَضَيْتَ فَإِنَّكَ تَقْضِي وَلَا يُقْضَى عَلَيْك أَنه لَا يذل من واليت تَبَارَكت رَبَّنَا وَتَعَالَيْتَ» . رَوَاهُ التِّرْمِذِيُّ وَأَبُو دَاوُدَ وَالنَّسَائِيُّ وَابْنُ مَاجَهْ والدارمي

মিশকাতুল মাসাবীহ

হাদীস নং: ১২৭৬
- নামাযের অধ্যায়
৩৫. দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ - বিতরের সালাত
১২৭৬। হযরত আলী (রাঃ) বলেন, নবী করীম (ﷺ) তাঁহার বিতিরের শেষে বলিতেনঃ “হে খোদা! আমি আশ্রয় চাহিতেছি তোমার সন্তোষের নিকট তোমার অসন্তোষ হইতে, তোমার স্বস্তির নিকট তোমার অ-স্বস্তি ও শাস্তি হইতে; আমি তোমার নিকট আশ্রয় চাহিতেছি তোমা হইতে; আমি তোমার গুণগান করিতে অক্ষম যেরূপ তুমি তোমার গুণগান করিয়াছ। — আবু দাউদ, তিরমিযী, নাসায়ী ও ইবনে মাজাহ্
كتاب الصلاة
وَعَنْ عَلِيٍّ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ قَالَ: إِنَّ النَّبِيَّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ كَانَ يَقُولُ فِي آخِرِ وَتْرِهِ: «اللَّهُمَّ إِنِّي أَعُوذُ بِرِضَاكَ من سخطك وبمعافاتك من عُقُوبَتك وَأَعُوذ بك مِنْكَ لَا أُحْصِي ثَنَاءً عَلَيْكَ أَنْتَ كَمَا أَثْنَيْتَ عَلَى نَفْسِكَ» . رَوَاهُ أَبُو دَاوُدَ وَالتِّرْمِذِيُّ وَالنَّسَائِيُّ وَابْنُ مَاجَهْ
tahqiq

তাহকীক: