আলফিয়্যাতুল হাদীস

ঈদের নামাজের পরে কুরবানি করা -এর বিষয়সমূহ

টি হাদীস

সহীহ বুখারী

হাদীস নং: ৯১৭
আন্তর্জাতিক নং: ৯৬৮
- দুই ঈদের অধ্যায়
৬১১. ঈদের নামাযের জন্য সকাল সকাল রওয়ানা হওয়া।
৯১৭। সুলাইমান ইবনে হারব (রাহঃ) ......... বারাআ ইবনে আযিব (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, নবী (ﷺ) কুরবানীর দিন আমাদের উদ্দেশ্যে খুতবা দিতেন। তিনি বলেন, আজকের দিনে আমাদের প্রথম কাজ হল নামায আদায় করা। তারপর ফিরে এসে কুরবানী করা। যে ব্যক্তি এরূপ করবে সে আমাদের নিয়ম পালন করল। যে ব্যক্তি নামাযের আগেই যবেহ করবে, তা শুধু গোশতের জন্যই হবে, যা সে পরিবারের জন্য তাড়াতাড়ি করে ফেলেছে। কুরবানীর সাথে এর কোন সম্পর্ক নেই। তখন আমার মামা আবু বুরদা ইবনে নিয়ার (রাযিঃ) দাঁড়িয়ে বললেন, ইয়া রাসূলাল্লাহ! আমি তো নামাযের আগেই যবেহ করে ফেলেছি। তবে এখন আমার নিকট এমন একটি মেষশাবক আছে যা ‘মুসিন্না’* মেষের চাইতেও উত্তম। তখন নবী (ﷺ) বললেনঃ তার স্থলে এটিই কুরবানী করে নাও। অথবা তিনি বললেনঃ এটিই যবেহ কর। তবে তুমি ব্যতীত আর কারো জন্যই মেষশাবক যথেষ্ঠ হবে না। *মুসিন্না অর্থ যার বয়স এক বছর পূর্ণ হয়ে দ্বিতীয় বছরে পড়েছে।
كتاب العيدين
باب التَّبْكِيرِ إِلَى الْعِيدِ
حَدَّثَنَا سُلَيْمَانُ بْنُ حَرْبٍ، قَالَ حَدَّثَنَا شُعْبَةُ، عَنْ زُبَيْدٍ، عَنِ الشَّعْبِيِّ، عَنِ الْبَرَاءِ، قَالَ خَطَبَنَا النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم يَوْمَ النَّحْرِ قَالَ " إِنَّ أَوَّلَ مَا نَبْدَأُ بِهِ فِي يَوْمِنَا هَذَا أَنْ نُصَلِّيَ ثُمَّ نَرْجِعَ فَنَنْحَرَ، فَمَنْ فَعَلَ ذَلِكَ فَقَدْ أَصَابَ سُنَّتَنَا، وَمَنْ ذَبَحَ قَبْلَ أَنْ يُصَلِّيَ فَإِنَّمَا هُوَ لَحْمٌ عَجَّلَهُ لأَهْلِهِ، لَيْسَ مِنَ النُّسُكِ فِي شَىْءٍ ". فَقَامَ خَالِي أَبُو بُرْدَةَ بْنُ نِيَارٍ فَقَالَ يَا رَسُولَ اللَّهِ، أَنَا ذَبَحْتُ قَبْلَ أَنْ أُصَلِّيَ وَعِنْدِي جَذَعَةٌ خَيْرٌ مِنْ مُسِنَّةٍ. قَالَ " اجْعَلْهَا مَكَانَهَا ـ أَوْ قَالَ اذْبَحْهَا ـ وَلَنْ تَجْزِيَ جَذَعَةٌ عَنْ أَحَدٍ بَعْدَكَ ".

মিশকাতুল মাসাবীহ

হাদীস নং: ১৪৭২
- নামাযের অধ্যায়
৪৮. তৃতীয় অনুচ্ছেদ - কুরবানী
১৪৭২। হযরত জুনদুব ইবনে আব্দুল্লাহ্ (রাঃ) বলেন, এক কোরবানীর ঈদে কোরবানীর তারিখে আমি রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ)-এর সহিত উপস্থিত ছিলাম। (দেখিলাম,) তিনি ইহার অধিক কিছু করিলেন না—নামায পড়িলেন এবং সালাম ফিরাইয়া নামায হইতে অবসর গ্রহণ করিলেন। এমন সময় কতক কোরবানীর গোশত দেখিলেন যাহা তাঁহার নামায হইতে অবসর গ্রহণ করার পূর্বেই যবাহ্ করা হইয়াছিল। তখন তিনি বলিলেনঃ যে নামায পড়ার পূর্বে অথবা 'আমরা নামায পড়ার পূর্বে (রাবীর সন্দেহ) কোরবানীর পশু যবাহ্ করিয়াছে সে যেন উহার স্থলে অপর একটি যবাহ্ করে। অপর এক বর্ণনায় আছে, জুনদুব বলেন, নবী করীম (ﷺ) কোরবানীর তারিখে নামায পড়িলেন, অতঃপর খোতবা দান করিলেন, তৎপর কোরবানীর পশু যবাহ্ করিলেন এবং বলিলেন, যে নামায পড়ার পূর্বে কোরবানীর পশু যবাহ্ করিয়াছে, সে যেন উহার স্থলে অপর একটি যবাহ্ করে। আর যে যবাহ্ করে নাই সে যেন আল্লাহর নামে যবাহ্ করে। —মোত্তাঃ
كتاب الصلاة
عَن جُنْدُب بن عبد الله قَالَ: شَهِدْتُ الْأَضْحَى يَوْمَ النَّحْرِ مَعَ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَلَمْ يَعْدُ أَن صلى وَفرغ من صلَاته وَسلم فَإِذا هُوَ يرى لَحْمَ أَضَاحِيٍّ قَدْ ذُبِحَتْ قَبْلَ أَنْ يَفْرَغَ مِنْ صَلَاتِهِ فَقَالَ: «مَنْ كَانَ ذَبَحَ قَبْلَ أَنْ يُصَلِّيَ أَوْ نُصَلِّيَ فَلْيَذْبَحْ مَكَانَهَا أُخْرَى» . وَفِي رِوَايَةٍ: قَالَ صَلَّى النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَوْمَ النَّحْرِ ثُمَّ خَطَبَ ثُمَّ ذَبَحَ وَقَالَ: «مَنْ كَانَ ذَبَحَ قَبْلَ أَنْ يُصَلِّيَ فَلْيَذْبَحْ أُخْرَى مَكَانَهَا وَمَنْ لَمْ يَذْبَحْ فليذبح باسم الله»
tahqiq

তাহকীক: