আলফিয়্যাতুল হাদীস
কবরের প্রশ্ন-উত্তর ও শাস্তি -এর বিষয়সমূহ
৫ টি হাদীস
সহীহ বুখারী
হাদীস নং: ১২৯১
আন্তর্জাতিক নং: ১৩৭৪
- জানাযার অধ্যায়
৮৬৯. কবরের আযাব প্রসঙ্গে।
১২৯১। আইয়াশ ইবনে ওয়ালিদ (রাহঃ) ......... আনাস ইবনে মালিক (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত যে, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেছেন, (মৃত) বান্দাকে যখন তার কবরে রাখা হয় এবং তার সাথী এতটুকু মাত্র দূরে যায় যে সে (মৃত ব্যক্তি) তখনও তাদের জুতার আওয়াজ শুনতে পায়। এ সময় দু’জন ফিরিশতা তার কাছে এসে তাকে বসান এবং তাঁরা বলেন, এ ব্যক্তি অর্থাৎ মুহাম্মাদ (ﷺ) সম্পর্কে তুমি কি বলতে? তখন মু’মিন ব্যক্তি বলবে, আমি সাক্ষ্য দিচ্ছি যে, তিনি আল্লাহর বান্দা এবং তাঁর রাসূল। তখন তাঁকে বলা হবে, জাহান্নামে তোমার অবস্থানস্থলটির দিকে নযর কর, আল্লাহ তোমাকে তার বদলে জান্নাতের একটি অবস্থানস্থল দান করেছেন। তখন সে দু’টি স্থলের দিকেই দৃষ্টি ফেলবে। কাতাদা (রাহঃ) বলেন, আমাদের কাছে বর্ণনা করা হয়েছে যে, সে ব্যক্তির জন্য তাঁর কবর প্রশস্ত করে দেওয়া হবে। এরপর তিনি (কাতাদা) পুনরায় আনাস (রাযিঃ) এর হাদীসের বর্ণনায় ফিরে আসেন। তিনি [আনাস (রাযিঃ)] বলেন, আর মুনাফিক বা কাফির ব্যক্তিকেও প্রশ্ন করা হবে, তুমি এ ব্যক্তি (মুহাম্মাদ ﷺ) সম্পর্কে কি বলতে? সে উত্তরে বলবে, আমি জানিনা। লোকেরা যা বলত আমি তা-ই বলতাম। তখন তাকে বলা হবে, তুমি না নিজে জেনেছ, না তিলাওয়াত করে শিখেছ। আর তাকে লোহার মুগুর দ্বারা এমনভাবে আঘাত করা হবে, যার ফলে সে এমন বিকট চিৎকার করে উঠবে যে, দু’জাতি (মানব ও জ্বীন) ব্যতিত তার আশপাশের সকলেই তা শুনতে পাবে।
كتاب الجنائز
بَابُ مَا جَاءَ فِي عَذَابِ القَبْرِ
حَدَّثَنَا عَيَّاشُ بْنُ الْوَلِيدِ، حَدَّثَنَا عَبْدُ الأَعْلَى، حَدَّثَنَا سَعِيدٌ، عَنْ قَتَادَةَ، عَنْ أَنَسِ بْنِ مَالِكٍ ـ رضى الله عنه ـ أَنَّهُ حَدَّثَهُمْ أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم قَالَ " إِنَّ الْعَبْدَ إِذَا وُضِعَ فِي قَبْرِهِ، وَتَوَلَّى عَنْهُ أَصْحَابُهُ، وَإِنَّهُ لَيَسْمَعُ قَرْعَ نِعَالِهِمْ، أَتَاهُ مَلَكَانِ فَيُقْعِدَانِهِ فَيَقُولاَنِ مَا كُنْتَ تَقُولُ فِي الرَّجُلِ لِمُحَمَّدٍ صلى الله عليه وسلم. فَأَمَّا الْمُؤْمِنُ فَيَقُولُ أَشْهَدُ أَنَّهُ عَبْدُ اللَّهِ وَرَسُولُهُ. فَيُقَالُ لَهُ انْظُرْ إِلَى مَقْعَدِكَ مِنَ النَّارِ، قَدْ أَبْدَلَكَ اللَّهُ بِهِ مَقْعَدًا مِنَ الْجَنَّةِ، فَيَرَاهُمَا جَمِيعًا ". قَالَ قَتَادَةُ وَذُكِرَ لَنَا أَنَّهُ يُفْسَحُ فِي قَبْرِهِ. ثُمَّ رَجَعَ إِلَى حَدِيثِ أَنَسٍ قَالَ " وَأَمَّا الْمُنَافِقُ وَالْكَافِرُ فَيُقَالُ لَهُ مَا كُنْتَ تَقُولُ فِي هَذَا الرَّجُلِ فَيَقُولُ لاَ أَدْرِي، كُنْتُ أَقُولُ مَا يَقُولُ النَّاسُ. فَيُقَالُ لاَ دَرَيْتَ وَلاَ تَلَيْتَ. وَيُضْرَبُ بِمَطَارِقَ مِنْ حَدِيدٍ ضَرْبَةً، فَيَصِيحُ صَيْحَةً يَسْمَعُهَا مَنْ يَلِيهِ، غَيْرَ الثَّقَلَيْنِ ".
তাহকীক:
জামে' তিরমিযী
হাদীস নং: ২৩০৮
আন্তর্জাতিক নং: ২৩০৮
যুহদ-দুনিয়া বিমুখতার বর্ণনা
শিরোনামবিহীন পরিচ্ছেদ।
২৩১১. হান্নাদ (রাহঃ) ...... উসমান (রাযিঃ)-এর আযাদকৃত গোলাম হানী (রাহঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, উসমান (রাযিঃ) যখন কোন কবরের সামনে দাঁড়াতেন তখন খুবই কাঁদতেন এমন কি তাঁর দাঁড়ি ভিজে যেত। তাঁকে বলা হল, আপনার কাছে জান্নাত-জাহান্নামের কথা আলোচনা করা হলে আপনি কাঁদেন না অথচ এই ক্ষেত্রে এত কাঁদেন কেন?
তখন তিনি বললেনঃ রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেছেনঃ আখিরাতের মানযিলসমূহের প্রথম মানযিল হল কবর। যে ব্যক্তি এখানে মুক্তি পেয়ে যাবে তার জন্য পরবর্তী মানযিলসমূহ আরো সহজ হয়ে যাবে। আর যে ব্যক্তি এখানে মুক্তি পাবে না তার জন্য পরবর্তী মানযিলসমূহ আরো কঠিন হয়ে যাবে। তিনি আরো বলেনঃ রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেছেনঃ আমি এমন কোন দৃশ্য কখনো দেখিনি যার থেকে কবর ত্রাসজনক নয়।
أبواب الزهد عن رسول الله صلى الله عليه وسلم
باب
حَدَّثَنَا هَنَّادٌ، حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ مَعِينٍ، حَدَّثَنَا هِشَامُ بْنُ يُوسُفَ، حَدَّثَنِي عَبْدُ اللَّهِ بْنُ بَحِيرٍ، أَنَّهُ سَمِعَ هَانِئًا، مَوْلَى عُثْمَانَ قَالَ كَانَ عُثْمَانُ إِذَا وَقَفَ عَلَى قَبْرٍ بَكَى حَتَّى يَبُلَّ لِحْيَتَهُ فَقِيلَ لَهُ تُذْكَرُ الْجَنَّةُ وَالنَّارُ فَلاَ تَبْكِي وَتَبْكِي مِنْ هَذَا فَقَالَ إِنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم قَالَ " إِنَّ الْقَبْرَ أَوَّلُ مَنَازِلِ الآخِرَةِ فَإِنْ نَجَا مِنْهُ فَمَا بَعْدَهُ أَيْسَرُ مِنْهُ وَإِنْ لَمْ يَنْجُ مِنْهُ فَمَا بَعْدَهُ أَشَدُّ مِنْهُ " . قَالَ وَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " مَا رَأَيْتُ مَنْظَرًا قَطُّ إِلاَّ وَالْقَبْرُ أَفْظَعُ مِنْهُ " . قَالَ هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ غَرِيبٌ لاَ نَعْرِفُهُ إِلاَّ مِنْ حَدِيثِ هِشَامِ بْنِ يُوسُفَ .
তাহকীক:
বর্ণনাকারী:
সহীহ বুখারী
হাদীস নং: ১২৯০
আন্তর্জাতিক নং: ১৩৭৩
- জানাযার অধ্যায়
৮৬৯. কবরের আযাব প্রসঙ্গে।
১২৯০। ইয়াহয়া ইবনে সুলাইমান (রাহঃ) ......... উরওয়া ইবনে যুবাইর (রাহঃ) সূত্রে বর্ণিত, তিনি আসমা বিনতে আবু বকর (রাযিঃ) কে বলতে শুনেছেন যে, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) (একবার) দাঁড়িয়ে খুতবা দিচ্ছিলেন, তাতে তিনি কবরে মানুষ যে কঠিন পরীক্ষার সম্মুখীন হবে, তার বর্ণনা দিলে মুসলমানগণ ভয়ার্ত চিৎকার করতে লাগলেন।
كتاب الجنائز
بَابُ مَا جَاءَ فِي عَذَابِ القَبْرِ
حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ سُلَيْمَانَ، حَدَّثَنَا ابْنُ وَهْبٍ، قَالَ أَخْبَرَنِي يُونُسُ، عَنِ ابْنِ شِهَابٍ، أَخْبَرَنِي عُرْوَةُ بْنُ الزُّبَيْرِ، أَنَّهُ سَمِعَ أَسْمَاءَ بِنْتَ أَبِي بَكْرٍ ـ رضى الله عنهما ـ تَقُولُ قَامَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم خَطِيبًا فَذَكَرَ فِتْنَةَ الْقَبْرِ الَّتِي يَفْتَتِنُ فِيهَا الْمَرْءُ، فَلَمَّا ذَكَرَ ذَلِكَ ضَجَّ الْمُسْلِمُونَ ضَجَّةً.
তাহকীক:
সহীহ মুসলিম
হাদীস নং: ৬৯৪৯
- জান্নাতের নিআমত ও জান্নাতীদের বর্ণনা
১৭. মৃত ব্যক্তিকে তার জান্নাত কিংবা জাহান্নামের ঠিকানা প্রদর্শন করানো, কবরের আযাবের প্রমাণ এবং তা থেকে রক্ষা পাওয়ার জন্য দুআ করা
৬৯৪৯। ইয়াহয়া ইবনে আইয়ুব ও আবু বকর ইবনে আবি শাঈবা (রাহঃ) ......... যায়দ ইবনে সাবিত (রাযিঃ) এর সূত্রে আবু সাঈদ খুদরী (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। আবু সাঈদ খুদরী (রাযিঃ) বলেন, আমি রাসূলুল্লাহ (ﷺ) এর নিকট উপস্থিত ছিলাম না, বরং আমাকে যায়দ ইবনে সাবিত (রাযিঃ) বর্ণনা করেছেনঃ একদা রাসূলুল্লাহ (ﷺ) নাজ্জার গোত্রের একটি প্রাচীর বেষ্টিত বাগানে তাঁর একটি খচ্চরের উপর সওয়ার ছিলেন। এ সময় আমরা তাঁর সঙ্গে ছিলাম। হঠাৎ সেটি (খচ্চর) লাফিয়ে উঠলো এবং তাঁকে ফেলে দেয়ার উপক্রম করল। দেখা গেল, সেখানে ছয়টি কিংবা পাঁচটি অথবা চারটি কবর রয়েছে। বর্ণনাকারী বলেন, জুবাইরী অনুরূপ বর্ণনা করতেন।
অতঃপর তিনি জিজ্ঞাসা করলেন, এ কবরবাসীদেরকে কে চিনে? তখন এক ব্যক্তি বললেন, আমি (চিনি)। রাসূলুল্লাহ (ﷺ) জিজ্ঞাসা করলেনঃ তারা কখন মৃত্যুবরণ করেছে? তিনি বললেন, তারা শিরকের অবস্থায় মৃত্যুবরণ করেছে। অতঃপর রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বললেনঃ এ উম্মতকে তাদের কবরের মধ্যে বিপদগ্রস্ত করা হবে। তোমরা মৃত ব্যক্তিকে দাফন করা বর্জন করবে, এ আশঙ্কা না হলে আমি আল্লাহর নিকট দুআ করতাম যেন তিনি তোমাদেরকেও কবরের আযাব শুনান যা আমি শুনতে পাচ্ছি। অতঃপর তিনি আমাদের প্রতি তাঁর মুখমণ্ডল ফিরিয়ে নিয়ে বললেনঃ তোমরা সকলে জাহান্নামের শাস্তি হতে আল্লাহর নিকট আশ্রয় প্রার্থনা কর।
তারা (সাহাবীগণ) বললেন, জাহান্নামের শাস্তি হতে আমরা আল্লাহর নিকট আশ্রয় প্রার্থনা করছি। অতঃপর তিনি বললেনঃ তোমরা সকলে কবরের আযাব হতে আল্লাহর নিকট আশ্রয় প্রার্থনা কর। সাহবীগণ বললেন, কবরের আযাব হতে আমরা আল্লাহর নিকট আশ্রয় চাই। অতঃপর বললেনঃ তোমরা প্রকাশ্য ও গোপন সমুদয় ফিতনা হতে আল্লাহর নিকট আশ্রয় প্রার্থনা কর। তারা বললেন, প্রকাশ্য ও গোপন সমুদয় ফিতনা হতে আমরা আল্লাহর নিকট আশ্রয় চাই। এরপর তিনি আবারো বললেনঃ তোমরা দাজ্জালের ফিতনা হতে আল্লাহর নিকট পানাহ চাও। তারা (সাহাবীগণ) বললেন, দাজ্জালের ফিতনা হতে আমরা আল্লাহর নিকট পানাহ চাই।
كتاب الجنة وصفة نعيمها وأهلها
بَاب عَرْضِ مَقْعَدِ الْمَيِّتِ مِنْ الْجَنَّةِ أَوْ النَّارِ عَلَيْهِ وَإِثْبَاتِ عَذَابِ الْقَبْرِ وَالتَّعَوُّذِ مِنْهُ
حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ أَيُّوبَ، وَأَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ جَمِيعًا عَنِ ابْنِ عُلَيَّةَ، قَالَ ابْنُ أَيُّوبَ حَدَّثَنَا ابْنُ عُلَيَّةَ، قَالَ وَأَخْبَرَنَا سَعِيدٌ الْجُرَيْرِيُّ، عَنْ أَبِي نَضْرَةَ، عَنْ أَبِي سَعِيدٍ الْخُدْرِيِّ، عَنْ زَيْدِ بْنِ ثَابِتٍ، قَالَ أَبُو سَعِيدٍ وَلَمْ أَشْهَدْهُ مِنَ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم وَلَكِنْ حَدَّثَنِيهِ زَيْدُ بْنُ ثَابِتٍ قَالَ بَيْنَمَا النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم فِي حَائِطٍ لِبَنِي النَّجَّارِ عَلَى بَغْلَةٍ لَهُ وَنَحْنُ مَعَهُ إِذْ حَادَتْ بِهِ فَكَادَتْ تُلْقِيهِ وَإِذَا أَقْبُرٌ سِتَّةٌ أَوْ خَمْسَةٌ أَوْ أَرْبَعَةٌ - قَالَ كَذَا كَانَ يَقُولُ الْجُرَيْرِيُّ - فَقَالَ " مَنْ يَعْرِفُ أَصْحَابَ هَذِهِ الأَقْبُرِ " . فَقَالَ رَجُلٌ أَنَا . قَالَ " فَمَتَى مَاتَ هَؤُلاَءِ " . قَالَ مَاتُوا فِي الإِشْرَاكِ . فَقَالَ " إِنَّ هَذِهِ الأُمَّةَ تُبْتَلَى فِي قُبُورِهَا فَلَوْلاَ أَنْ لاَ تَدَافَنُوا لَدَعَوْتُ اللَّهَ أَنْ يُسْمِعَكُمْ مِنْ عَذَابِ الْقَبْرِ الَّذِي أَسْمَعُ مِنْهُ " . ثُمَّ أَقْبَلَ عَلَيْنَا بِوَجْهِهِ فَقَالَ " تَعَوَّذُوا بِاللَّهِ مِنْ عَذَابِ النَّارِ " . قَالُوا نَعُوذُ بِاللَّهِ مِنْ عَذَابِ النَّارِ فَقَالَ " تَعَوَّذُوا بِاللَّهِ مِنْ عَذَابِ الْقَبْرِ " . قَالُوا نَعُوذُ بِاللَّهِ مِنْ عَذَابِ الْقَبْرِ . قَالَ " تَعَوَّذُوا بِاللَّهِ مِنَ الْفِتَنِ مَا ظَهَرَ مِنْهَا وَمَا بَطَنَ " . قَالُوا نَعُوذُ بِاللَّهِ مِنَ الْفِتَنِ مَا ظَهَرَ مِنْهَا وَمَا بَطَنَ قَالَ " تَعَوَّذُوا بِاللَّهِ مِنْ فِتْنَةِ الدَّجَّالِ " . قَالُوا نَعُوذُ بِاللَّهِ مِنْ فِتْنَةِ الدَّجَّالِ .
তাহকীক:
বর্ণনাকারী:
সুনানে আবু দাউদ
হাদীস নং: ৩২০৭
আন্তর্জাতিক নং: ৩২২১
জানাযা-কাফন-দাফনের অধ্যায়
২৫২. লাশ দাফন করে ফিরে আসার সময় কবরের পাশে দাঁড়িয়ে মুর্দার জন্য ক্ষমা প্রার্থনা করা।
৩২০৭. ইবরাহীম ইবনে মুসা রাযী (রাহঃ) .... উছমান ইবনে আফফান (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেনঃ নবী (ﷺ) যখন কোন মৃত ব্যক্তির দাফন পক্রিয়া সম্পন্ন করতেন, তখন তিনি কবরের পাশে দাঁড়িয়ে বলতেনঃ তোমরা তোমাদের ভাইয়ের জন্য মাগফিরাত কামনা কর এবং সে যেন সুদৃঢ় থাকতে পারে, তার জন্য দুআ কর। কেননা, এখনই তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে।[১]
[১] মৃত ব্যক্তিকে কবরে, দাফন করে জীবিত ব্যক্তির ফিরে আসার সাথে-সাথেই 'মুনকির ও নাকীর' নামক দু'জন ফিরিশতা কবরে, উপস্থিত হয় এবং মৃত ব্যক্তিকে তার আমল সম্পর্কে জিজ্ঞাসাবাদ করে। আখিরাতের মঞ্জিলের এটি প্রথম ধাপ এবং খুবই মারাত্মক স্থান। কাজেই, মৃত ব্যক্তি যাতে ঈমানের বলে বলীয়ান হয়ে ফিরিশতাদের প্রশ্নের ওয়াৰ ঠিকমত দিতে পারে, সে জন্য দু'আ করা উচিত।
كتاب الجنائز
باب الاِسْتِغْفَارِ عِنْدَ الْقَبْرِ لِلْمَيِّتِ فِي وَقْتِ الاِنْصِرَافِ
حَدَّثَنَا إِبْرَاهِيمُ بْنُ مُوسَى الرَّازِيُّ، حَدَّثَنَا هِشَامٌ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ بَحِيرٍ، عَنْ هَانِئٍ، مَوْلَى عُثْمَانَ عَنْ عُثْمَانَ بْنِ عَفَّانَ، قَالَ كَانَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم إِذَا فَرَغَ مِنْ دَفْنِ الْمَيِّتِ وَقَفَ عَلَيْهِ فَقَالَ " اسْتَغْفِرُوا لأَخِيكُمْ وَسَلُوا لَهُ التَّثْبِيتَ فَإِنَّهُ الآنَ يُسْأَلُ " . قَالَ أَبُو دَاوُدَ بَحِيرُ بْنُ رَيْسَانَ .