আলফিয়্যাতুল হাদীস
জান্নাত ও তার নিয়ামতসমূহ -এর বিষয়সমূহ
৪ টি হাদীস
সহীহ বুখারী
হাদীস নং: ৩০১৭
আন্তর্জাতিক নং: ৩২৪৪
- সৃষ্টি জগতের সূচনা
১৯৯০. জান্নাতের বৈশিষ্টের বর্ণনা আর তা সৃষ্টবস্তু।
৩০১৭। হুমাইদী (রাহঃ) .... আবু হুরায়রা (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেছেন, ‘মহান আল্লাহ বলেছেন, আমি আমার পূণ্যবান বান্দাদের জন্য এমন জিনিস তৈরী করে রেখেছি, যা কোন চক্ষু দেখেনি, কোন কান শুনেনি এবং যার সম্পর্কে কোন মানুষের মনে ধারণাও জন্মেনি। তোমরা চাইলে এ আয়াতটি পাঠ করতে পার,فَلاَ تَعْلَمُ نَفْسٌ مَا أُخْفِيَ لَهُمْ مِنْ قُرَّةِ أَعْيُنٍ কেউ জানে না, তাদের জন্য তাদের চোখ জুড়ানো কি জিনিস লুক্কায়িত রাখা হয়েছে। (সূরা ৩২ঃ ১৭)
كتاب بدء الخلق
باب مَا جَاءَ فِي صِفَةِ الْجَنَّةِ وَأَنَّهَا مَخْلُوقَةٌ
حَدَّثَنَا الْحُمَيْدِيُّ، حَدَّثَنَا سُفْيَانُ، حَدَّثَنَا أَبُو الزِّنَادِ، عَنِ الأَعْرَجِ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ ـ رضى الله عنه ـ قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " قَالَ اللَّهُ أَعْدَدْتُ لِعِبَادِي الصَّالِحِينَ مَا لاَ عَيْنَ رَأَتْ، وَلاَ أُذُنَ سَمِعَتْ، وَلاَ خَطَرَ عَلَى قَلْبِ بَشَرٍ، فَاقْرَءُوا إِنْ شِئْتُمْ (فَلاَ تَعْلَمُ نَفْسٌ مَا أُخْفِيَ لَهُمْ مِنْ قُرَّةِ أَعْيُنٍ )".
তাহকীক:
সহীহ মুসলিম
হাদীস নং: ৬৮৮৯
- জান্নাতের নিআমত ও জান্নাতীদের বর্ণনা
৭. জান্নাত ও জান্নাতবাসীগণের বর্ণনা এবং সকাল-সন্ধ্যায় তাদের তাসবীহ
৬৮৮৯। উসমান ইবনে আবি শাঈবা ও ইসহাক ইবনে ইবরাহীম (রাহঃ) ......... জাবির (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। নবী (ﷺ) বলেনঃ জান্নাতী লোকেরা জান্নাতে পানাহার করবে। তবে থুথু ফেলবে না, পেশাব-পায়খানা করবে না এবং নাকও ঝাড়বেনা। (এ কথা শুনে) তারা (সাহাবীগণ) বললেন, তবে (ভক্ষিত) খাদ্য কি হবে? তিনি বললেন, ঢেকুর এবং মিশকের বিচ্ছুরনের ন্যায় ঘাম (দ্বারা হজম হয়ে যাবে)। তাসবীহ-তাহলীল করা তাদের অন্তকরণে ইলহাম করা হবে যেমন ইলহাম করা হবে তাদের শ্বাস প্রশ্বাসের বিষয়টি।
كتاب الجنة وصفة نعيمها وأهلها
باب فِي صِفَاتِ الْجَنَّةِ وَأَهْلِهَا وَتَسْبِيحِهِمْ فِيهَا بُكْرَةً وَعَشِيًّا
حَدَّثَنَا عُثْمَانُ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، وَإِسْحَاقُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ، - وَاللَّفْظُ لِعُثْمَانَ - قَالَ عُثْمَانُ حَدَّثَنَا وَقَالَ، إِسْحَاقُ أَخْبَرَنَا جَرِيرٌ، عَنِ الأَعْمَشِ، عَنْ أَبِي سُفْيَانَ، عَنْ جَابِرٍ، قَالَ سَمِعْتُ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم يَقُولُ " إِنَّ أَهْلَ الْجَنَّةِ يَأْكُلُونَ فِيهَا وَيَشْرَبُونَ وَلاَ يَتْفُلُونَ وَلاَ يَبُولُونَ وَلاَ يَتَغَوَّطُونَ وَلاَ يَمْتَخِطُونَ " . قَالُوا فَمَا بَالُ الطَّعَامِ قَالَ " جُشَاءٌ وَرَشْحٌ كَرَشْحِ الْمِسْكِ يُلْهَمُونَ التَّسْبِيحَ وَالتَّحْمِيدَ كَمَا يُلْهَمُونَ النَّفَسَ " .
তাহকীক:
সহীহ মুসলিম
হাদীস নং: ৬৮৯৪
- জান্নাতের নিআমত ও জান্নাতীদের বর্ণনা
৮. জান্নাতীগণের নিআমত চিরস্থায়ী। মহান আল্লাহর বাণীঃ এবং তাদের আহবান করে বলা হবে, তোমরা যা করতে তারই জন্য তোমাদেরকে এ জান্নাতের উত্তরাধিকারী করা হয়েছে
৬৮৯৪। ইসহাক ইবনে ইবরাহীম ও আব্দ ইবনে হুমায়দ (রাহঃ) ......... আবু সাঈদ খুদরী ও আবু হুরায়রা (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। নবী (ﷺ) বলেনঃ কোন আহবানকারী জান্নাতী লোকদেরকে আহবান করে বলবে, এখানে (সর্বদা) তোমরা সুস্থ থাকবে, আর কখনো অসুস্থ হবে না। তোমরা যুবক থাকবে, কখনো আর তোমরা বৃদ্ধ হবে না। তোমরা (সর্বদা) সুখ-সাচ্ছন্দ্যে থাকবে, কখনো আর তোমরা কষ্ট-ক্লেশে পতিত হবে না। এ মর্মে মহামহিম আল্লাহর বাণীঃ এবং তাদেরকে সম্বোধন করে বলা হবে, তোমরা যা করতে তারই জন্য তোমাদেরকে এ জান্নাতের উত্তরাধিকারী করা হয়েছে।
كتاب الجنة وصفة نعيمها وأهلها
بَاب فِي دَوَامِ نَعِيمِ أَهْلِ الْجَنَّةِ وَقَوْله تَعَالَى وَنُودُوا أَنْ تِلْكُمْ الْجَنَّةُ أُورِثْتُمُوهَا بِمَا كُنْتُمْ تَعْمَلُونَ
حَدَّثَنَا إِسْحَاقُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ، وَعَبْدُ بْنُ حُمَيْدٍ، - وَاللَّفْظُ لإِسْحَاقَ - قَالاَ أَخْبَرَنَا عَبْدُ الرَّزَّاقِ، قَالَ قَالَ الثَّوْرِيُّ فَحَدَّثَنِي أَبُو إِسْحَاقَ، أَنَّ الأَغَرَّ، حَدَّثَهُ عَنْ أَبِي سَعِيدٍ الْخُدْرِيِّ، وَأَبِي هُرَيْرَةَ عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم قَالَ " يُنَادِي مُنَادٍ إِنَّ لَكُمْ أَنْ تَصِحُّوا فَلاَ تَسْقَمُوا أَبَدًا وَإِنَّ لَكُمْ أَنْ تَحْيَوْا فَلاَ تَمُوتُوا أَبَدًا وَإِنَّ لَكُمْ أَنْ تَشِبُّوا فَلاَ تَهْرَمُوا أَبَدًا وَإِنَّ لَكُمْ أَنْ تَنْعَمُوا فَلاَ تَبْتَئِسُوا أَبَدًا " . فَذَلِكَ قَوْلُهُ عَزَّ وَجَلَّ ( وَنُودُوا أَنْ تِلْكُمُ الْجَنَّةُ أُورِثْتُمُوهَا بِمَا كُنْتُمْ تَعْمَلُونَ)
তাহকীক:
বর্ণনাকারী:
সহীহ বুখারী
হাদীস নং: ৬১০৬
আন্তর্জাতিক নং: ৬৫৪৯
- নম্রতা ও যুহদের অধ্যায়
৩৪৬২. জান্নাত ও জাহান্নামের বর্ণনা।
৬১০৬। মুআয ইবনে আসাদ (রাহঃ) ......... আবু সাঈদ খুদরী (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেছেনঃ আল্লাহ তাআলা জান্নাতীগণকে সম্বোধন করে বলবেন, হে জান্নাতীগণ! তারা জবাবে বলবে, হে আমাদের প্রভু! হাযির, আমরা আপনার সমীপে হাযির। এরপর আল্লাহ তাআলা বলবেন, তোমরা কি সন্তুষ্ট হয়েছ? তারা বলবে, আপনি আমাদেরকে এমন বস্তু দান করেছেন, যা আপনার মাখলুকাতের ভিতর থেকে কাউকেই দান করেননি। অতএব আমরা কেন সন্তুষ্ট হব না! তখন তিনি বলবেন, আমি এর চাইতেও উত্তম কিছু তোমাদেরকে দান করব। তারা বলবে, হে প্রভু! এর চাইতেও উত্তম সে কোন বস্তু? আল্লাহ তাআলা বলবেনঃ তোমাদের ওপর আমি আমার সন্তুষ্টি অবধারিত করব। এরপর আমি আর কখনও তোমাদের ওপর অসন্তুষ্ট হব না।
كتاب الرقاق
باب صِفَةِ الْجَنَّةِ وَالنَّارِ
حَدَّثَنَا مُعَاذُ بْنُ أَسَدٍ، أَخْبَرَنَا عَبْدُ اللَّهِ، أَخْبَرَنَا مَالِكُ بْنُ أَنَسٍ، عَنْ زَيْدِ بْنِ أَسْلَمَ، عَنْ عَطَاءِ بْنِ يَسَارٍ، عَنْ أَبِي سَعِيدٍ الْخُدْرِيِّ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " إِنَّ اللَّهَ يَقُولُ لأَهْلِ الْجَنَّةِ يَا أَهْلَ الْجَنَّةِ. يَقُولُونَ لَبَّيْكَ رَبَّنَا وَسَعْدَيْكَ. فَيَقُولُ هَلْ رَضِيتُمْ فَيَقُولُونَ وَمَا لَنَا لاَ نَرْضَى وَقَدْ أَعْطَيْتَنَا مَا لَمْ تُعْطِ أَحَدًا مِنْ خَلْقِكَ. فَيَقُولُ أَنَا أُعْطِيكُمْ أَفْضَلَ مِنْ ذَلِكَ. قَالُوا يَا رَبِّ وَأَىُّ شَىْءٍ أَفْضَلُ مِنْ ذَلِكَ فَيَقُولُ أُحِلُّ عَلَيْكُمْ رِضْوَانِي فَلاَ أَسْخَطُ عَلَيْكُمْ بَعْدَهُ أَبَدًا ".
তাহকীক:
বর্ণনাকারী: