আলফিয়্যাতুল হাদীস
ধৈর্য, অল্পেতুষ্টি ও অমুখাপেক্ষীতা -এর বিষয়সমূহ
৫ টি হাদীস
সহীহ মুসলিম
হাদীস নং: ২২৯৭
আন্তর্জাতিক নং: ১০৫৪
- যাকাতের অধ্যায়
৩৪. ভিক্ষা থেকে বিরত থাকা, ধৈর্যধারণ ও অল্পে তুষ্ট থাকার ফযীলত এবং এগুলোর প্রতি উৎসাহ দান
২২৯৭। আবু বকর ইবনে আবি শাঈবা (রাহঃ) ......... আব্দুল্লাহ ইবনে আমর ইবনে আস (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেন, যে ব্যক্তি ইসলাম গ্রহণ করল, তাকে প্রয়োজন মাফিক জীবিকা প্রদান করা হল এবং তাকে আল্লাহ যা দিয়েছেন তার উপর সন্তুষ্ট থাকল সেই সফলকাম হল।
كتاب الزكاة
باب فَضْلِ التَّعَفُّفِ وَالصَّبْرِ
حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، حَدَّثَنَا أَبُو عَبْدِ الرَّحْمَنِ الْمُقْرِئُ، عَنْ سَعِيدِ بْنِ أَبِي، أَيُّوبَ حَدَّثَنِي شُرَحْبِيلُ، - وَهُوَ ابْنُ شَرِيكٍ - عَنْ أَبِي عَبْدِ الرَّحْمَنِ الْحُبُلِيِّ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ، بْنِ عَمْرِو بْنِ الْعَاصِ أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم قَالَ " قَدْ أَفْلَحَ مَنْ أَسْلَمَ وَرُزِقَ كَفَافًا وَقَنَّعَهُ اللَّهُ بِمَا آتَاهُ " .
সহীহ মুসলিম
হাদীস নং: ২২৯১
আন্তর্জাতিক নং: ১০৫১
- যাকাতের অধ্যায়
৩২. অল্পে তুষ্টির ফযীলত
২২৯১। যুহাইর ইবনে হারব ও ইবনে নুমাইর (রাহঃ) ......... আবু হুরায়রা (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেছেন, অধিক ধন-সম্পদে ঐশ্বর্য নেই। অন্তরের অভাব মুক্তিই প্রকৃত ঐশ্বর্য।
كتاب الزكاة
باب فَضْلِ الْقَنَاعَةِ
حَدَّثَنَا زُهَيْرُ بْنُ حَرْبٍ، وَابْنُ، نُمَيْرٍ قَالاَ حَدَّثَنَا سُفْيَانُ بْنُ عُيَيْنَةَ، عَنْ أَبِي الزِّنَادِ، عَنِ الأَعْرَجِ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " لَيْسَ الْغِنَى عَنْ كَثْرَةِ الْعَرَضِ وَلَكِنَّ الْغِنَى غِنَى النَّفْسِ " .
সহীহ বুখারী
হাদীস নং: ১৩৮৪
আন্তর্জাতিক নং: ১৪৬৯
- যাকাতের অধ্যায়
৯৩২. যাচনা (সওয়াল করা) থেকে বিরত থাকা।
১৩৮৪। আব্দুল্লাহ ইবনে ইউসুফ (রাহঃ) ......... আবু সা‘ঈদ খুদরী (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত যে, কিছুসংখ্যক আনসারী সাহাবী রাসূলুল্লাহ (ﷺ) এর নিকট কিছু চাইলে তিনি তাঁদের দিলেন, পুনরায় তাঁরা চাইলে তিনি তাঁদের দিলেন। এমনকি তাঁর নিকট যা ছিল সবই শেষ হয়ে গেল। এরপর তিনি বললেনঃ আমার নিকট যে মাল থাকে, তা তোমাদের না দিয়ে আমার নিকট জমা রাখি না। তবে, যে যাচনা থেকে বিরত থাকে, আল্লাহ তাকে বাঁচিয়ে রাখেন আর যে পরমুখাপেক্ষী না হয়, আল্লাহ তাকে অভাবমুক্ত রাখেন। যে ব্যক্তি ধৈর্যধারণ করে, আল্লাহ তাকে সবর দান করেন। সবরের চাইতে উত্তম ও ব্যাপক কোন নিআমত কাউকে দেওয়া হয়নি।
كتاب الزكاة
باب الاِسْتِعْفَافِ عَنِ الْمَسْأَلَةِ
حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ يُوسُفَ، أَخْبَرَنَا مَالِكٌ، عَنِ ابْنِ شِهَابٍ، عَنْ عَطَاءِ بْنِ يَزِيدَ اللَّيْثِيِّ، عَنْ أَبِي سَعِيدٍ الْخُدْرِيِّ ـ رضى الله عنه ـ أَنَّ نَاسًا مِنَ الأَنْصَارِ سَأَلُوا رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَأَعْطَاهُمْ، ثُمَّ سَأَلُوهُ فَأَعْطَاهُمْ، حَتَّى نَفِدَ مَا عِنْدَهُ فَقَالَ " مَا يَكُونُ عِنْدِي مِنْ خَيْرٍ فَلَنْ أَدَّخِرَهُ عَنْكُمْ، وَمَنْ يَسْتَعْفِفْ يُعِفَّهُ اللَّهُ، وَمَنْ يَسْتَغْنِ يُغْنِهِ اللَّهُ، وَمَنْ يَتَصَبَّرْ يُصَبِّرْهُ اللَّهُ، وَمَا أُعْطِيَ أَحَدٌ عَطَاءً خَيْرًا وَأَوْسَعَ مِنَ الصَّبْرِ ".
সহীহ বুখারী
হাদীস নং: ২৫৬৩
আন্তর্জাতিক নং: ২৭৫০
- অছিয়াত সম্পর্কিত অধ্যায়
১৭১৪. আল্লাহ্ তা'আলার বাণীঃ ঋণ আদায় ও অসীয়াত পূরণ করার পর (মৃতের সম্পত্তি ভাগ করতে হবে) ৪ঃ ১১ এর ব্যাখ্যা।
২৫৬৩। মুহাম্মাদ ইবনে ইউসুফ (রাহঃ) .... হাকীম ইবনে হিযাম (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) এর নিকট আমি সাওয়াল করলাম,আবার সাওয়াল করলাম,তিনি আমাকে দান করলেন। তারপর তিনি আমাকে বললেন, ‘হে হাকীম! এই ধন-সম্পদ সবুজ-শ্যামল, মধুর। যে ব্যক্তি দানশীলতার মনোভাব নিয়ে তা গ্রহণ করবে, তাতে তার বরকত হবে। আর যে ব্যক্তি প্রতিক্ষা কাতর অন্তরে তা গ্রহণ করবে, তাতে তার বরকত হবে না। সে ঐ ব্যক্তির মত যে খায়; কিন্তু তৃপ্ত হয় না। উপরের (দাতার) হাত নীচের (গ্রহীতার) হাতের চাইতে উত্তম।’ হাকীম (রাযিঃ) বলেন, তারপর আমি বললাম, ইয়া রাসুলাল্লাহ ! সে সত্তার কসম, যিনি আপনাকে সত্যসহ পাঠিয়েছেন, আপনার পরে আমি দুনিয়া থেকে বিদায়ের আগে আর কারো কিছু চাইব না। (কোন কিছু নেব না)
এরপর আবু বকর (রাযিঃ) কিছু দান করার জন্য হাকীমকে আহবান করেন, কিন্তু হাকীম (রাযিঃ) তাঁর কাছ থেকে কিছু গ্রহণ করতে অস্বীকার করেন। তারপর উমর (রাযিঃ)-ও হাকীম (রাযিঃ) কে কিছু দান করার জন্য ডেকে পাঠান, কিন্তু তাঁর কাছ থেকেও কিছু গ্রহণ করতে তিনি অস্বীকার করেন। তখন উমর (রাযিঃ) বলেন, হে মুসলিম সমাজ! আমি আল্লাহ প্রদত্ত গনিমতের মাল থেকে প্রাপ্য তার অংশ তাঁর সামনে পেশ করেছি, কিন্তু তিনি তা নিতে অস্বীকার করেছেন; হাকীম (রাযিঃ) তাঁর মৃত্যু পর্যন্ত নবী (ﷺ) এর পরে আর কারো নিকট কিছু চাননি।
كتاب الوصايا
بَابُ تَأْوِيلِ قَوْلِ اللَّهِ تَعَالَى: {مِنْ بَعْدِ وَصِيَّةٍ يُوصِي بِهَا أَوْ دَيْنٍ} [النساء: 11]
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ يُوسُفَ، حَدَّثَنَا الأَوْزَاعِيُّ، عَنِ الزُّهْرِيِّ، عَنْ سَعِيدِ بْنِ الْمُسَيَّبِ، وَعُرْوَةَ بْنِ الزُّبَيْرِ، أَنَّ حَكِيمَ بْنَ حِزَامٍ ـ رضى الله عنه ـ قَالَ سَأَلْتُ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَأَعْطَانِي، ثُمَّ سَأَلْتُهُ فَأَعْطَانِي ثُمَّ قَالَ لِي " يَا حَكِيمُ، إِنَّ هَذَا الْمَالَ خَضِرٌ حُلْوٌ، فَمَنْ أَخَذَهُ بِسَخَاوَةِ نَفْسٍ بُورِكَ لَهُ فِيهِ، وَمَنْ أَخَذَهُ بِإِشْرَافِ نَفْسٍ لَمْ يُبَارَكْ لَهُ فِيهِ، وَكَانَ كَالَّذِي يَأْكُلُ وَلاَ يَشْبَعُ، وَالْيَدُ الْعُلْيَا خَيْرٌ مِنَ الْيَدِ السُّفْلَى ". قَالَ حَكِيمٌ فَقُلْتُ يَا رَسُولَ اللَّهِ، وَالَّذِي بَعَثَكَ بِالْحَقِّ لاَ أَرْزَأُ أَحَدًا بَعْدَكَ شَيْئًا حَتَّى أُفَارِقَ الدُّنْيَا. فَكَانَ أَبُو بَكْرٍ يَدْعُو حَكِيمًا لِيُعْطِيَهُ الْعَطَاءَ فَيَأْبَى أَنْ يَقْبَلَ مِنْهُ شَيْئًا، ثُمَّ إِنَّ عُمَرَ دَعَاهُ لِيُعْطِيَهُ فَيَأْبَى أَنْ يَقْبَلَهُ فَقَالَ يَا مَعْشَرَ الْمُسْلِمِينَ، إِنِّي أَعْرِضُ عَلَيْهِ حَقَّهُ الَّذِي قَسَمَ اللَّهُ لَهُ مِنْ هَذَا الْفَىْءِ فَيَأْبَى أَنْ يَأْخُذَهُ. فَلَمْ يَرْزَأْ حَكِيمٌ أَحَدًا مِنَ النَّاسِ بَعْدَ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم حَتَّى تُوُفِّيَ رَحِمَهُ اللَّهُ.
আত্-তারগীব ওয়াত্-তারহীব
হাদীস নং: ৫২০৬
অধ্যায়ঃ জানাযা
ধৈর্যধারণের প্রতি উৎসাহ প্রদান, বিশেষত সেই ব্যক্তিকে, যে তার ধন-প্রাণে বিপদাক্রান্ত হয়েছে। বালা-মুসিবত, রোগ-ব্যাধি ও জ্বর তাপের ফযীলত এবং দৃষ্টিশক্তি হারিয়ে যাওয়া ব্যক্তি সম্পর্কে বর্ণিত হাদীস সমূহঃ
৫২০৬. হযরত আনাস ইবন মালিক (রা) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) একটি গাছের কাছে এসে গাছটিকে ঝাঁকুনি দিলেন। ফলে গাছটি থেকে আল্লাহর ইচ্ছায় যা পাতা ঝরার ছিল তা ঝরে গেল। অতঃপর তিনি বললেন, আমি এ বৃক্ষ থেকে যতদ্রুত পাতা ঝরালাম বিপদ-মুসিবত ও ব্যথা-বেদনা আদম সন্তানের গুণাহ ঝরাবার ব্যাপারে তার চেয়ে দ্রুততর।
(ইবন আবিদ-দুনিয়া ও আবু ইয়া'লা (র) হাদীসটি বর্ণনা করেছেন।)
كتاب الجنائز
التَّرْغِيب فِي الصَّبْر سِيمَا لمن ابْتُلِيَ فِي نَفسه أَو مَاله وَفضل الْبلَاء وَالْمَرَض والحمى وَمَا جَاءَ فِيمَن فقد بَصَره
5206- وَرُوِيَ عَن أنس بن مَالك رَضِي الله عَنهُ قَالَ أَتَى رَسُول الله صلى الله عَلَيْهِ وَسلم شَجَرَة فهزها حَتَّى تساقط وَرقهَا مَا شَاءَ الله أَن يتساقط ثمَّ قَالَ للمصيبات والأوجاع أسْرع فِي ذنُوب ابْن آدم مني فِي هَذِه الشَّجَرَة
رَوَاهُ ابْن أبي الدُّنْيَا وَأَبُو يعلى
رَوَاهُ ابْن أبي الدُّنْيَا وَأَبُو يعلى
তাহকীক: