আলফিয়্যাতুল হাদীস

দুনিয়ার অনিষ্টতা ও আখিরাতের তুলনায় দুনিয়ার ক্ষুদ্রতা -এর বিষয়সমূহ

টি হাদীস

সহীহ মুসলিম

হাদীস নং: ৬৯৩৩
- জান্নাতের নিআমত ও জান্নাতীদের বর্ণনা
১৪. দুনিয়া বিনাশ হওয়া ও কিয়ামতের দিন হাশর (সমবেত) করার বিবরণ
৬৯৩৩। আবু বকর ইবনে আবি শাঈবা (অন্য সনদে) ইবনে নুমাইর (অন্য সনদে) ইয়াহয়া ইবনে ইয়াইয়া (অন্য সনদে) মুহাম্মাদ ইবনে মুসান্না (অন্য সনদে) মুহাম্মাদ ইবনে হাতিম (রাহঃ) ......... বনু ফিহরের ভ্রাতা মুসতাওরিদ (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেছেনঃ আল্লাহর শপথ! দুনিয়া আখিরাতের তুলনায় অতটুকুই, যেমন তোমাদের কেউ তার এ আঙ্গুলটি নদীতে ভিজিয়ে দেখলো যে, এতে কি পরিমাণ পানি লেগেছে। এ সময় বর্ণনাকারী ইয়াহয়া শাহাদাত আঙ্গুলের দ্বারা ইশারা করেছেন। ইয়াহয়া ব্যতীত সকলের বর্ণনায় আছে, আমি রাসূলুল্লাহ (ﷺ) কে এ কথা বলতে শুনেছি। আবু উসামার বর্ণনার মধ্যে এ কথা উল্লেখিত রয়েছে যে, (রাবী) ইসমাঈল বৃদ্ধাঙ্গুলির দ্বারা ইশারা করেছেন।
كتاب الجنة وصفة نعيمها وأهلها
باب فَنَاءِ الدُّنْيَا وَبَيَانِ الْحَشْرِ يَوْمَ الْقِيَامَةِ
حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ إِدْرِيسَ، ح وَحَدَّثَنَا ابْنُ نُمَيْرٍ، حَدَّثَنَا أَبِي وَمُحَمَّدُ بْنُ بِشْرٍ، ح وَحَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ يَحْيَى، أَخْبَرَنَا مُوسَى بْنُ أَعْيَنَ، ح وَحَدَّثَنِي مُحَمَّدُ بْنُ رَافِعٍ، حَدَّثَنَا أَبُو أُسَامَةَ، كُلُّهُمْ عَنْ إِسْمَاعِيلَ بْنِ أَبِي خَالِدٍ، ح وَحَدَّثَنِي مُحَمَّدُ بْنُ، حَاتِمٍ - وَاللَّفْظُ لَهُ - حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ سَعِيدٍ، حَدَّثَنَا إِسْمَاعِيلُ، حَدَّثَنَا قَيْسٌ، قَالَ سَمِعْتُ مُسْتَوْرِدًا، أَخَا بَنِي فِهْرٍ يَقُولُ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " وَاللَّهِ مَا الدُّنْيَا فِي الآخِرَةِ إِلاَّ مِثْلُ مَا يَجْعَلُ أَحَدُكُمْ إِصْبَعَهُ هَذِهِ - وَأَشَارَ يَحْيَى بِالسَّبَّابَةِ - فِي الْيَمِّ فَلْيَنْظُرْ بِمَ يَرْجِعُ " . وَفِي حَدِيثِهِمْ جَمِيعًا غَيْرَ يَحْيَى سَمِعْتُ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يَقُولُ ذَلِكَ . وَفِي حَدِيثِ أَبِي أُسَامَةَ عَنِ الْمُسْتَوْرِدِ بْنِ شَدَّادٍ أَخِي بَنِي فِهْرٍ وَفِي حَدِيثِهِ أَيْضًا قَالَ وَأَشَارَ إِسْمَاعِيلُ بِالإِبْهَامِ .

সহীহ মুসলিম

হাদীস নং: ৭১৫০
- দুনিয়ার প্রতি অনাসক্তি ও হৃদয়গ্রাহী বিষয়াদির বর্ণনা
শিরোনামবিহীন পরিচ্ছেদ
৭১৫০। আব্দুল্লাহ ইবনে মাসলামা ইবনে কা’নাব (রাহঃ) ......... জাবির ইবনে আব্দুল্লাহ (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, একদা রাসূলুল্লাহ (ﷺ) আলীয়া (অঞ্চল) হতে মদীনায় আসার পথে এক বাজার দিয়ে যাচ্ছিলেন। এ সময় রাসূলুল্লাহ (ﷺ) এর উভয় পার্শ্বে বেশ লোকজন ছিল। যেতে যেতে তিনি ক্ষুদ্র কান বিশিষ্ট একটি মৃত বকরীর বাচ্চার নিকট পৌছলেন। অতঃপর তিনি এর কান ধরে বললেন, তোমাদের কেউ কি এক দিরহামের বিনিময়ে এটা নিতে আগ্রহী হবে। তখন উপস্থিত লোকেরা বললেন, কোন কিছুর বিনিময়ে আমরা উহা নিতে আগ্রহী নই এবং এটি নিয়ে আমরা কি করব? তখন রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বললেনঃ (বিনা পয়সায়) তোমরা কি উহা নিতে আগ্রহী? তারা বললেন, এ যদি জীবিত তে তবুও তো এটা দোষী। কেননা এর কান হচ্ছে ক্ষুদ্র ,ক্ষুদ্র। আর এখন তো তা মৃত, কিভাবে আমরা তা গ্রহণ করব? এরপর তিনি বললেন, আল্লাহর কসম! এ তোমাদের নিকট যতটা তুচ্ছ, আল্লাহর নিকট দুনিয়া এর চেয়েও অধিক তুচ্ছ।
كتاب الزهد والرقائق
حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ مَسْلَمَةَ بْنِ قَعْنَبٍ، حَدَّثَنَا سُلَيْمَانُ، - يَعْنِي ابْنَ بِلاَلٍ - عَنْ جَعْفَرٍ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ جَابِرِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم مَرَّ بِالسُّوقِ دَاخِلاً مِنْ بَعْضِ الْعَالِيَةِ وَالنَّاسُ كَنَفَتَهُ فَمَرَّ بِجَدْىٍ أَسَكَّ مَيِّتٍ فَتَنَاوَلَهُ فَأَخَذَ بِأُذُنِهِ ثُمَّ قَالَ " أَيُّكُمْ يُحِبُّ أَنَّ هَذَا لَهُ بِدِرْهَمٍ " . فَقَالُوا مَا نُحِبُّ أَنَّهُ لَنَا بِشَىْءٍ وَمَا نَصْنَعُ بِهِ قَالَ " أَتُحِبُّونَ أَنَّهُ لَكُمْ " . قَالُوا وَاللَّهِ لَوْ كَانَ حَيًّا كَانَ عَيْبًا فِيهِ لأَنَّهُ أَسَكُّ فَكَيْفَ وَهُوَ مَيِّتٌ فَقَالَ " فَوَاللَّهِ لَلدُّنْيَا أَهْوَنُ عَلَى اللَّهِ مِنْ هَذَا عَلَيْكُمْ " .

সহীহ মুসলিম

হাদীস নং: ৭১৪৯
- দুনিয়ার প্রতি অনাসক্তি ও হৃদয়গ্রাহী বিষয়াদির বর্ণনা
অধ্যায়ঃ যুহদ ও দুনিয়ার প্রতি অনীহা
৭১৪৯। কুতায়বা ইবনে সাঈদ (রাহঃ) ......... আবু হুরায়রা (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেনঃ দুনিয়া মুমিনের জন্য জেলখানা এবং কাফিরের জন্য জান্নাত (স্বরূপ)।
كتاب الزهد والرقائق
كتاب الزهد والرقائق
حَدَّثَنَا قُتَيْبَةُ بْنُ سَعِيدٍ، حَدَّثَنَا عَبْدُ الْعَزِيزِ، - يَعْنِي الدَّرَاوَرْدِيَّ - عَنِ الْعَلاَءِ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " الدُّنْيَا سِجْنُ الْمُؤْمِنِ وَجَنَّةُ الْكَافِرِ " .

মিশকাতুল মাসাবীহ

হাদীস নং: ৫১৭৯
- নম্রতা ও যুহদের অধ্যায়
দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ
৫১৭৯। হযরত আবু মুসা (রাঃ) বলেন, রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) বলিয়াছেনঃ যে ব্যক্তি (যেই পরিমাণ) দুনিয়াকে ভালবাসে সে (সেই পরিমাণ) তাহার আখে রাতকে ক্ষতিগ্রস্ত করিবে, পক্ষান্তরে যে আখেরাতকে মহব্বত করে, সে সেই পরিমাণ দুনিয়াকে ক্ষতিগ্রস্ত করিবে। সুতরাং যাহা অচিরেই ধ্বংস হইয়া যাইবে তাহার উপর উহাকে প্রাধান্য দাও যাহা চিরস্থায়ী থাকিবে। – আহমদ ও বায়হাকী
كتاب الرقاق
وَعَنْ أَبِي مُوسَى قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «مَنْ أَحَبَّ دُنْيَاهُ أَضَرَّ بِآخِرَتِهِ وَمَنْ أَحَبَّ آخِرَتَهُ أَضَرَّ بِدُنْيَاهُ فَآثِرُوا مَا يَبْقَى عَلَى مَا يَفْنَى» . رَوَاهُ أَحْمد وَالْبَيْهَقِيّ فِي «شعب الْإِيمَان»

জামে' তিরমিযী

হাদীস নং: ২৩২২
আন্তর্জাতিক নং: ২৩২২
যুহদ-দুনিয়া বিমুখতার বর্ণনা
শিরোনামবিহীন পরিচ্ছেদ।
২৩২৫. মুহাম্মাদ ইবনে হাতিম মুআদদিব (রাহঃ) ...... আবু হুরায়রা (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি রাসূলুল্লাহ (ﷺ)-কে বলতে শুনেছিঃ আল্লাহর যিক্‌র এবং তাঁর সাথে সংশ্লিষ্ট সহায়ক অপরাপর আমল, আলিম এবং তালিবে ইলম ছাড়া দুনিয়া এবং এর মধ্য যা কিছু আছে সব অভিশপ্ত।
أبواب الزهد عن رسول الله صلى الله عليه وسلم
باب
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ حَاتِمٍ الْمُكْتِبُ، حَدَّثَنَا عَلِيُّ بْنُ ثَابِتٍ، حَدَّثَنَا عَبْدُ الرَّحْمَنِ بْنُ ثَابِتِ بْنِ ثَوْبَانَ، قَالَ سَمِعْتُ عَطَاءَ بْنَ قُرَّةَ، قَالَ سَمِعْتُ عَبْدَ اللَّهِ بْنَ ضَمْرَةَ، قَالَ سَمِعْتُ أَبَا هُرَيْرَةَ، يَقُولُ سَمِعْتُ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يَقُولُ " أَلاَ إِنَّ الدُّنْيَا مَلْعُونَةٌ مَلْعُونٌ مَا فِيهَا إِلاَّ ذِكْرَ اللَّهِ وَمَا وَالاَهُ وَعَالِمًا أَوْ مُتَعَلِّمًا " . قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ غَرِيبٌ .

সহীহ বুখারী

হাদীস নং: ৫৯৭৪
আন্তর্জাতিক নং: ৬৪১৬
- নম্রতা ও যুহদের অধ্যায়
৩৪১৫. নবী (ﷺ) এর বাণীঃ দুনিয়াতে তুমি একজন মুসাফির অথবা পথযাত্রীর মত থাক।
৫৯৭৪। আলী ইবনে আব্দুল্লাহ (রাহঃ) ......... আব্দুল্লাহ ইবনে উমর (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেনঃ রাসূলুল্লাহ (ﷺ) একদা আমার উভয় কাঁধ ধরে বললেনঃ তুমি এ দুনিয়াতে একজন মুসাফির অথবা পথযাত্রীর মত থাক। আর ইবনে উমর (রাযিঃ) বলতেন, তুমি সন্ধ্যায় উপনীত হলে আর ভোরের অপেক্ষা করো না এবং ভোরে উপনীত হলে সন্ধ্যার অপেক্ষা করো না। তোমার সুস্থতার অবকাশে পীড়িত অবস্থার জন্য সঞ্চয় করে রেখো। আর জীবিত অবস্থায় তোমার মৃত্যুর জন্য প্রস্তুতি নিও।
كتاب الرقاق
باب قَوْلِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم " كُنْ فِي الدُّنْيَا كَأَنَّكَ غَرِيبٌ، أَوْ عَابِرُ سَبِيلٍ "
حَدَّثَنَا عَلِيُّ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ، حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ عَبْدِ الرَّحْمَنِ أَبُو الْمُنْذِرِ الطُّفَاوِيُّ، عَنْ سُلَيْمَانَ الأَعْمَشِ، قَالَ حَدَّثَنِي مُجَاهِدٌ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عُمَرَ ـ رضى الله عنهما ـ قَالَ أَخَذَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم بِمَنْكِبِي فَقَالَ " كُنْ فِي الدُّنْيَا كَأَنَّكَ غَرِيبٌ، أَوْ عَابِرُ سَبِيلٍ ". وَكَانَ ابْنُ عُمَرَ يَقُولُ إِذَا أَمْسَيْتَ فَلاَ تَنْتَظِرِ الصَّبَاحَ، وَإِذَا أَصْبَحْتَ فَلاَ تَنْتَظِرِ الْمَسَاءَ، وَخُذْ مِنْ صِحَّتِكَ لِمَرَضِكَ، وَمِنْ حَيَاتِكَ لِمَوْتِكَ.

মিশকাতুল মাসাবীহ

হাদীস নং: ৫২১৬
- নম্রতা ও যুহদের অধ্যায়
তৃতীয় অনুচ্ছেদ
৫২১৬। হযরত আমর (রাঃ) হইতে বর্ণিত, একদা নবী (ﷺ) ভাষণদানকালে বলিলেনঃ সাবধান! দুনিয়া একটি অস্থায়ী জিনিস। উহা হইতে নেক্কার ও বদকার উভয়ই ভোগ করে। সাবধান! আখেরাত একটি সত্যিকার নির্দিষ্ট সময়। সেখানে বিচার করিবেন এমন এক বাদশাহ্ যিনি সর্বময় ক্ষমতার অধিকারী। সাবধান! সর্বপ্রকার কল্যাণের স্থান হইল জান্নাত এবং সর্বপ্রকার মন্দের স্থান হইল জাহান্নাম। সাবধান! সুতরাং তোমরা আমল কর এবং আল্লাহকে ভয় করিতে থাক। আর এই কথাটি ভালভাবে জানিয়া রাখ, তোমাদিগকে তোমাদের কৃতকর্মসহ (আল্লাহর সম্মুখে) উপস্থিত করা হইবে। সুতরাং যে রেণু পরিমাণ নেক কাজ করিবে সে উহার ফল পাইবে এবং যে ব্যক্তি রেণু পরিমাণ মন্দ কাজ করিবে সে উহার ফল পাইবে।—শাফেয়ী
كتاب الرقاق
وَعَنْ عَمْرٍو رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ أَنَّ النَّبِيَّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ خَطَبَ يَوْمًا فَقَالَ فِي خُطْبَتِهِ: «أَلَا إِنَّ الدُّنْيَا عَرَضٌ حَاضِرٌ يَأْكُلُ مِنْهُ الْبَرُّ وَالْفَاجِرُ أَلا وَإِن الآحرة أَجَلٌ صَادِقٌ وَيَقْضِي فِيهَا مَلِكٌ قَادِرٌ أَلَا وَإِنَّ الْخَيْرَ كُلَّهُ بِحَذَافِيرِهِ فِي الْجَنَّةِ أَلَا وَإِنَّ الشَّرَّ كُلَّهُ بِحَذَافِيرِهِ فِي النَّارِ أَلَا فَاعْمَلُوا وَأَنْتُمْ مِنَ اللَّهِ عَلَى حَذَرٍ وَاعْلَمُوا أَنَّكُمْ مَعْرُوضُونَ عَلَى أَعْمَالِكُمْ فَمَنْ يَعْمَلْ مِثْقَالَ ذَرَّةٍ خَيْرًا يَرَهُ وَمَنْ يَعْمَلْ مِثْقَالَ ذَرَّةٍ شرا يره» . للشَّافِعِيّ
tahqiq

তাহকীক:

সহীহ বুখারী

হাদীস নং: ২৯৩৬
আন্তর্জাতিক নং: ৩১৫৮
- জিহাদের বিধানাবলী অধ্যায়
১৯৬১. যিম্মীদের থেকে জিযিয়া গ্রহণ এবং হারবীদের সাথে যুদ্ধ বিরতি চুক্তি।
২৯৩৬। আবুল ইয়ামান (রাহঃ) .... মিসওয়ার ইবনে মাখরামা (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত যে, আমর ইবনে আউফ আনসারী (রাযিঃ) যিনি বনী আমির ইবনে লুয়াইয়ের মিত্র ছিলেন এবং বদর যুদ্ধে শরীক হয়েছিলেন, তিনি তাঁকে বলেছিলেন যে, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) আবু উবাইদা ইবনে জাররাহ (রাযিঃ)- কে বাহরাইনে জিযিয়া আদায় করার জন্য পাঠালেন। আর রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বাহরাইনবাসীদের সঙ্গে সন্ধি করেছিলেন এবং আলা ইবনে হাযরামী (রাযিঃ)- কে তাদের আমির নিযুক্ত করেছিলেন। আবু উবাইদা (রাযিঃ) বাহরাইন থেকে অর্থ সম্পদ নিয়ে এলেন। আনসারগণ আবু উবাইদার আগমনের সংবাদ শুনে রাসূলুল্লাহ (ﷺ)- এর সঙ্গে ফজরের নামাযে সবাই উপস্থিত হন। যখন রাসূলুল্লাহ (ﷺ) তাদের নিয়ে ফজরের নামায আদায় করে ফিরলেন, তখন তারা তাঁর সামনে উপস্থিত হলেন। রাসূলুল্লাহ (ﷺ) তাঁদের দেখে মুচকি হাসলেন এবং বললেন, আমার মনে হয় তোমরা শুনেছ, আবু উবাইদা (রাযিঃ) কিছু নিয়ে এসেছেন, তারা বলল, হ্যাঁ, ইয়া রাসূলাল্লাহ! রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বললেন, সুসংবাদ গ্রহণ কর এবং যা তোমাদের খুশী করে তা আশা রাখ। আল্লাহর কসম! আমি তোমাদের ব্যাপারে দারিদ্রের আশঙ্কা করি না। কিন্তু তোমাদের ব্যাপারে এ আশঙ্কা করি যে, তোমাদের উপর দুনিয়া এরূপ প্রসারিত হয়ে পড়বে যেরূপ তোমাদের পূর্ববর্তীদের উপর প্রসারিত হয়েছিল। আর তোমরাও দুনিয়ার প্রতি আকৃষ্ট হয়ে পড়বে, যেমন তারা আকৃষ্ট হয়েছিল। আর তা তোমাদের ধ্বংস করবে, যেমন তাদের ধ্বংস করেছে।’
كتاب الجهاد والسير
باب الْجِزْيَةِ وَالْمُوَادَعَةِ مَعَ أَهْلِ الْحَرْب
حَدَّثَنَا أَبُو الْيَمَانِ، أَخْبَرَنَا شُعَيْبٌ، عَنِ الزُّهْرِيِّ، قَالَ حَدَّثَنِي عُرْوَةُ بْنُ الزُّبَيْرِ، عَنِ الْمِسْوَرِ بْنِ مَخْرَمَةَ، أَنَّهُ أَخْبَرَهُ أَنَّ عَمْرَو بْنَ عَوْفٍ الأَنْصَارِيَّ وَهْوَ حَلِيفٌ لِبَنِي عَامِرِ بْنِ لُؤَىٍّ وَكَانَ شَهِدَ بَدْرًا أَخْبَرَهُ أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم بَعَثَ أَبَا عُبَيْدَةَ بْنَ الْجَرَّاحِ إِلَى الْبَحْرَيْنِ يَأْتِي بِجِزْيَتِهَا، وَكَانَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم هُوَ صَالَحَ أَهْلَ الْبَحْرَيْنِ وَأَمَّرَ عَلَيْهِمُ الْعَلاَءَ بْنَ الْحَضْرَمِيِّ، فَقَدِمَ أَبُو عُبَيْدَةَ بِمَالٍ مِنَ الْبَحْرَيْنِ، فَسَمِعَتِ الأَنْصَارُ بِقُدُومِ أَبِي عُبَيْدَةَ فَوَافَتْ صَلاَةَ الصُّبْحِ مَعَ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم، فَلَمَّا صَلَّى بِهِمِ الْفَجْرَ انْصَرَفَ، فَتَعَرَّضُوا لَهُ، فَتَبَسَّمَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم حِينَ رَآهُمْ وَقَالَ " أَظُنُّكُمْ قَدْ سَمِعْتُمْ أَنَّ أَبَا عُبَيْدَةَ قَدْ جَاءَ بِشَىْءٍ ". قَالُوا أَجَلْ يَا رَسُولَ اللَّهِ. قَالَ " فَأَبْشِرُوا وَأَمِّلُوا مَا يَسُرُّكُمْ، فَوَاللَّهِ لاَ الْفَقْرَ أَخْشَى عَلَيْكُمْ، وَلَكِنْ أَخْشَى عَلَيْكُمْ أَنْ تُبْسَطَ عَلَيْكُمُ الدُّنْيَا كَمَا بُسِطَتْ عَلَى مَنْ كَانَ قَبْلَكُمْ، فَتَنَافَسُوهَا كَمَا تَنَافَسُوهَا وَتُهْلِكَكُمْ كَمَا أَهْلَكَتْهُمْ ".

জামে' তিরমিযী

হাদীস নং: ২৪৬৫
আন্তর্জাতিক নং: ২৪৬৫
কিয়ামত-মৃত্যুপরবর্তী জগতের বিবরণ
শিরোনামবিহীন পরিচ্ছেদ।
২৪৬৮. হান্নাদ (রাহঃ) ..... আনাস ইবনে মালিক (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেছেনঃ আখিরাত যার একমাত্র চিন্তা ও লক্ষ্য আল্লাহ তাআলা তার হৃদয়কে অভাবমুক্ত করে দেন এবং বিক্ষিপ্ত বিষয়াবলীকে সমাধান করে দেন এবং তার কাছে দুনিয়া তুচ্ছ হয়ে আসে। পক্ষান্তরে যার চিন্তা ও লক্ষ্য হয় দুনিয়া আল্লাহ তাআলা তার দু’ চোখের সামনে অভাব তুলে ধরেন, তার সমস্যাগুলোকে বিক্ষিপ্ত করে দেন আর যতটুকু তার জন্য নির্ধারিত করে দেওয়া হয়েছে এর অতিরিক্ত দুনিয়া সে পায় না।
أبواب صفة القيامة والرقائق والورع عن رسول الله صلى الله عليه وسلم
بَابٌ
حَدَّثَنَا هَنَّادٌ، حَدَّثَنَا وَكِيعٌ، عَنِ الرَّبِيعِ بْنِ صَبِيحٍ، عَنْ يَزِيدَ بْنِ أَبَانَ، وَهُوَ الرَّقَاشِيُّ عَنْ أَنَسِ بْنِ مَالِكٍ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " مَنْ كَانَتِ الآخِرَةُ هَمَّهُ جَعَلَ اللَّهُ غِنَاهُ فِي قَلْبِهِ وَجَمَعَ لَهُ شَمْلَهُ وَأَتَتْهُ الدُّنْيَا وَهِيَ رَاغِمَةٌ وَمَنْ كَانَتِ الدُّنْيَا هَمَّهُ جَعَلَ اللَّهُ فَقْرَهُ بَيْنَ عَيْنَيْهِ وَفَرَّقَ عَلَيْهِ شَمْلَهَ وَلَمْ يَأْتِهِ مِنَ الدُّنْيَا إِلاَّ مَا قُدِّرَ لَهُ " .