আলফিয়্যাতুল হাদীস
নবিজি নিজের জন্য ও পরিবারের জন্য দরিদ্রতা গ্রহণ -এর বিষয়সমূহ
৮ টি হাদীস
মিশকাতুল মাসাবীহ
হাদীস নং: ৫১৬৪
- নম্রতা ও যুহদের অধ্যায়
প্রথম অনুচ্ছেদ
৫১৬৪। হযরত আবু হুরায়রা (রাঃ) হইতে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ্ ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এই বলিয়া দো'আ করিয়াছেন: হে আল্লাহ্ । তুমি মুহাম্মাদ ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের পরিবার-পরিজনকে জীবিকা নির্বাহ পরিমাণ রিযক দান কর। অপর এক বর্ণনায় আছে, প্রয়োজন পরিমাণ। মোত্তাঃ
كتاب الرقاق
وَعَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: «اللَّهُمَّ اجْعَلْ رِزْقَ آلِ مُحَمَّدٍ قُوتًا» وَفِي رِوَايَةٍ «كفافا» . مُتَّفق عَلَيْهِ
তাহকীক:
জামে' তিরমিযী
হাদীস নং: ২৩৫২
আন্তর্জাতিক নং: ২৩৫২
যুহদ-দুনিয়া বিমুখতার বর্ণনা
দরিদ্র মুহাজিরগণ ধনীদের পূর্বে জান্নাতে প্রবেশ করবেন।
২৩৫৫. আব্দুল আ‘লা ইবনে নওয়াসীল কুফী (রাহঃ) ..... আনাস (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেছেনঃ হে আল্লাহ! আমাকে তুমি মিসকীন হিসাবে জীবিত রাখ, মিসকীন হিসাবেই মৃত্যু দাও এবং কিয়ামত দিবসে মিসকীনদের দলভুক্ত করেই আমার হাশর কর। আয়িশা (রাযিঃ) বললেন তা কেন, হে আল্লাহর রাসূল? তিনি বললেনঃ কারণ, তারা তো ধনীদের চল্লিশ বছর পূর্বেই জান্নাতে প্রবেশ করবে। হে আয়িশা, কোন মিসকীনকে ফিরিয়ে দিও না। একটি খেজুরের অংশ হলেও তাকে দিও। হে আয়িশা, মিসকীনদের ভালবাসবে এবং তাদেরকে তুমি তোমার নৈকট্যে রাখবে। তাহলে আল্লাহ তাআলা কিয়ামতের দিন তোমাকে তার নৈকট্যে স্থান দিবেন।
أبواب الزهد عن رسول الله صلى الله عليه وسلم
باب مَا جَاءَ أَنَّ فُقَرَاءَ الْمُهَاجِرِينَ يَدْخُلُونَ الْجَنَّةَ قَبْلَ أَغْنِيَائِهِمْ
حَدَّثَنَا عَبْدُ الأَعْلَى بْنُ وَاصِلٍ الْكُوفِيُّ، حَدَّثَنَا ثَابِتُ بْنُ مُحَمَّدٍ الْعَابِدُ الْكُوفِيُّ، حَدَّثَنَا الْحَارِثُ بْنُ النُّعْمَانِ اللَّيْثِيُّ، عَنْ أَنَسٍ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم قَالَ " اللَّهُمَّ أَحْيِنِي مِسْكِينًا وَأَمِتْنِي مِسْكِينًا وَاحْشُرْنِي فِي زُمْرَةِ الْمَسَاكِينِ يَوْمَ الْقِيَامَةِ " . فَقَالَتْ عَائِشَةُ لِمَ يَا رَسُولَ اللَّهِ قَالَ " إِنَّهُمْ يَدْخُلُونَ الْجَنَّةَ قَبْلَ أَغْنِيَائِهِمْ بِأَرْبَعِينَ خَرِيفًا يَا عَائِشَةُ لاَ تَرُدِّي الْمِسْكِينَ وَلَوْ بِشِقِّ تَمْرَةٍ يَا عَائِشَةُ أَحِبِّي الْمَسَاكِينَ وَقَرِّبِيهِمْ فَإِنَّ اللَّهَ يُقَرِّبُكِ يَوْمَ الْقِيَامَةِ " . قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ غَرِيبٌ .
তাহকীক:
সহীহ মুসলিম
হাদীস নং: ৭১৭৬
- দুনিয়ার প্রতি অনাসক্তি ও হৃদয়গ্রাহী বিষয়াদির বর্ণনা
শিরোনামবিহীন পরিচ্ছেদ
৭১৭৬। মুহাম্মাদ ইবনে মুসান্না ও মুহাম্মাদ ইবনে বাশশার (রাহঃ) ......... আয়িশা (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, ধারাবাহিক দুই দিন মুহাম্মাদ (ﷺ) এর পরিবার যবের রুটি তৃপ্ত হয়ে আহার করেননি। এ অবস্থায়ই রাসূলুল্লাহ (ﷺ) এর ইন্তিকাল হয়ে যায়।
كتاب الزهد والرقائق
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ الْمُثَنَّى، وَمُحَمَّدُ بْنُ بَشَّارٍ، قَالاَ حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ جَعْفَرٍ، حَدَّثَنَا شُعْبَةُ، عَنْ أَبِي إِسْحَاقَ، قَالَ سَمِعْتُ عَبْدَ الرَّحْمَنِ بْنَ يَزِيدَ، يُحَدِّثُ عَنِ الأَسْوَدِ، عَنْ عَائِشَةَ، أَنَّهَا قَالَتْ مَا شَبِعَ آلُ مُحَمَّدٍ صلى الله عليه وسلم مِنْ خُبْزِ شَعِيرٍ يَوْمَيْنِ مُتَتَابِعَيْنِ حَتَّى قُبِضَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم .
সহীহ বুখারী
হাদীস নং: ৫০২০
আন্তর্জাতিক নং: ৫৪১৪
- পানাহার সংক্রান্ত অধ্যায়
২৮৫৭. নবী করীম (ﷺ) ও তাঁর সাহাবীগণ যা খেতেন
৫০২০। ইসহাক ইবনে ইবরাহীম (রাহঃ) ......... আবু হুরায়রা (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত যে, তিনি এক দল লোকের নিকট দিয়ে যাচ্ছিলেন যাদের সামনে ছিল একটি ভুনা বকরি। তারা তাকে (খেতে) ডাকল। তিনি খেতে অস্বীকার করলেন এবং বললেনঃ রাসূলুল্লাহ (ﷺ) পৃথিবী থেকে বিদায় নিয়েছেন অথচ তিনি কোন দিন যবের রুটিও পেটপুরে খান নি।
كتاب الأطعمة
باب مَا كَانَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم وَأَصْحَابُهُ يَأْكُلُونَ
حَدَّثَنِي إِسْحَاقُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ، أَخْبَرَنَا رَوْحُ بْنُ عُبَادَةَ، حَدَّثَنَا ابْنُ أَبِي ذِئْبٍ، عَنْ سَعِيدٍ الْمَقْبُرِيِّ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ ـ رضى الله عنه ـ أَنَّهُ مَرَّ بِقَوْمٍ بَيْنَ أَيْدِيهِمْ شَاةٌ مَصْلِيَّةٌ، فَدَعَوْهُ فَأَبَى أَنْ يَأْكُلَ قَالَ خَرَجَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم مِنَ الدُّنْيَا وَلَمْ يَشْبَعْ مِنَ الْخُبْزِ الشَّعِيرِ.
সহীহ বুখারী
হাদীস নং: ২৩৯৭
আন্তর্জাতিক নং: ২৫৬৭
- হিবা তথা উপহার প্রদান, এর ফযীলত ও এতে উৎসাহ প্রদান
অধ্যায়ঃ হিবা তথা উপহার প্রদান,ফযীলত ও এতে উৎসাহ প্রদান
২৩৯৭। আব্দুল আযীয ইবনে আব্দুল্লাহ -উওয়াসী (রাহঃ) .... আয়িশা (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি একবার উরওয়া (রাযিঃ) কে লক্ষ্য করে বললেন, ভাগ্নে। আমরা (মাসের) নতুন চাঁদ দেখতাম, আবার নতুন চাঁদ দেখতাম। এভাবে দু’মাসে তিনটি নতুন চাঁদ দেখতাম। কিন্তু রাসূল (ﷺ)- এর কোন ঘরেই আগুন জ্বালানো হতো না। (উরওয়া (রাহঃ) বলেন) আমি জিজ্ঞাসা করলাম, খালা। আপনারা তাহলে কিভাবে বেঁচে থাকতেন? তিনি বললেন, দু’টি কালো জিনিস অর্থাৎ খেজুর আর পানিই শুধু আমাদের বাঁচিয়ে রাখতো। অবশ্য কয়েক ঘর আনসার পরিবার রাসূলুল্লাহ (ﷺ) এর প্রতিবেশী ছিল। তাঁদের কিছু দুধালো উটনী ও বকরী ছিল। তাঁরা রাসূলুল্লাহ (ﷺ) এর জন্য দুধ হাদিয়া পাঠাত। তিনি আমাদেরকে তা পান করতে দিতেন।
كتاب الهبة وفضلها والتحريض عليها
كِتَابُ الهِبَةِ وَفَضْلِهَا وَالتَّحْرِيضِ عَلَيْهَا
حَدَّثَنَا عَبْدُ الْعَزِيزِ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ الأُوَيْسِيُّ، حَدَّثَنَا ابْنُ أَبِي حَازِمٍ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ يَزِيدَ بْنِ رُومَانَ، عَنْ عُرْوَةَ، عَنْ عَائِشَةَ ـ رضى الله عنها ـ أَنَّهَا قَالَتْ لِعُرْوَةَ ابْنَ أُخْتِي، إِنْ كُنَّا لَنَنْظُرُ إِلَى الْهِلاَلِ ثُمَّ الْهِلاَلِ، ثَلاَثَةَ أَهِلَّةٍ فِي شَهْرَيْنِ، وَمَا أُوقِدَتْ فِي أَبْيَاتِ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم نَارٌ. فَقُلْتُ يَا خَالَةُ مَا كَانَ يُعِيشُكُمْ قَالَتِ الأَسْوَدَانِ التَّمْرُ وَالْمَاءُ، إِلاَّ أَنَّهُ قَدْ كَانَ لِرَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم جِيرَانٌ مِنَ الأَنْصَارِ كَانَتْ لَهُمْ مَنَائِحُ، وَكَانُوا يَمْنَحُونَ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم مِنْ أَلْبَانِهِمْ، فَيَسْقِينَا.
জামে' তিরমিযী
হাদীস নং: ২৩৬০
আন্তর্জাতিক নং: ২৩৬০
যুহদ-দুনিয়া বিমুখতার বর্ণনা
নবী (ﷺ) ও তার পরিবারের জীবন-যাপন প্রসঙ্গে।
২৩৬৩. আব্দুল্লাহ ইবনে মুআবিয়া জুমাহী (রাহঃ) ..... ইবনে আব্বাস (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) এবং তাঁর পরিবারের সদস্যগণ পর পর কয়েক রাত্রি ক্ষুধার্ত অবস্থায় কাটত। তাদের জন্য রাত্রি আহারের সংস্থান হত না, অধিকাংশ দিন যবের রুটিই ছিল তাদের খাদ্য।
أبواب الزهد عن رسول الله صلى الله عليه وسلم
باب مَا جَاءَ فِي مَعِيشَةِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم وَأَهْلِهِ
حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ مُعَاوِيَةَ الْجُمَحِيُّ، حَدَّثَنَا ثَابِتُ بْنُ يَزِيدَ، عَنْ هِلاَلِ بْنِ خَبَّابٍ، عَنْ عِكْرِمَةَ، عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ، قَالَ كَانَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يَبِيتُ اللَّيَالِيَ الْمُتَتَابِعَةَ طَاوِيًا وَأَهْلُهُ لاَ يَجِدُونَ عَشَاءً وَكَانَ أَكْثَرُ خُبْزِهِمْ خُبْزَ الشَّعِيرِ . قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ .
সহীহ বুখারী
হাদীস নং: ২৭১৫
আন্তর্জাতিক নং: ২৯১৬
- জিহাদের বিধানাবলী অধ্যায়
১৮৩০. নবী (ﷺ)-এর বর্ম এবং যুদ্ধ ক্ষেত্রে ব্যবহৃত তাঁর জামা সম্পর্কিত।
২৭১৫। মুহাম্মাদ ইবনে কাসীর (রাহঃ) .... আয়িশা (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, নবী (ﷺ)- এর ইন্তিকালের সময় তাঁর বর্মটি ত্রিশ সা‘- এর বিনিময়ে এক ইয়াহুদীর কাছে বন্ধক ছিল। মুআল্লা আব্দুল ওয়াহিদ (রাহঃ) সূত্রে আ‘মাশ (রাযিঃ) থেকে বর্ণনা করেন, তিনি বলেছেন যে, নবী (ﷺ) তাঁর লৌহবর্ম বন্ধক রেখেছিলেন। আর ইয়ালা (রাহঃ) আমাশ (রাযিঃ) থেকে বর্ণনা করেন যে, বর্মটি ছিল লোহার।
كتاب الجهاد والسير
بَابُ مَا قِيلَ فِي دِرْعِ النَّبِيِّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، وَالقَمِيصِ فِي الحَرْبِ
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ كَثِيرٍ، أَخْبَرَنَا سُفْيَانُ، عَنِ الأَعْمَشِ، عَنْ إِبْرَاهِيمَ، عَنِ الأَسْوَدِ، عَنْ عَائِشَةَ ـ رضى الله عنها ـ قَالَتْ تُوُفِّيَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم وَدِرْعُهُ مَرْهُونَةٌ عِنْدَ يَهُودِيٍّ بِثَلاَثِينَ صَاعًا مِنْ شَعِيرٍ. وَقَالَ يَعْلَى حَدَّثَنَا الأَعْمَشُ دِرْعٌ مِنْ حَدِيدٍ. وَقَالَ مُعَلًّى حَدَّثَنَا عَبْدُ الْوَاحِدِ حَدَّثَنَا الأَعْمَشُ وَقَالَ رَهَنَهُ دِرْعًا مِنْ حَدِيدٍ.
মিশকাতুল মাসাবীহ
হাদীস নং: ৫২৪০
- নম্রতা ও যুহদের অধ্যায়
প্রথম অনুচ্ছেদ - গরীবদের ফযীলত ও নবী (সা.) -এর জীবন-যাপন
৫২৪০। হযরত উমর (রাঃ) বলেন, একদিন আমি রাসূলুল্লাহ্ ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের খেদমতে উপস্থিত হইয়া দেখিলাম তিনি একখানা খেজুর পাতার চাটাইয়ের উপর শুইয়া আছেন। তাহার ও চাটাইয়ের মাঝে কোন ফরশ বা চাদর কিছুই ছিল না। ফলে চাটাই তাঁহার দেহ মুবারকে চিহ্ন বসাইয়া দিয়াছিল। আর তিনি টেক লাগাইয়াছিলেন (খেজুর গাছের) আশ ভর্তি একটি চামড়ার বালিশের উপর। আমি বলিলাম, ইয়া রাসূলাল্লাহ্। আল্লাহর কাছে দো'আ করুন তিনি যেন আপনার উম্মতকে সচ্ছলতা প্রদান করেন। পারসিক ও রোমীয়গণকে সচ্ছলতা প্রদান করা হইয়াছে, অথচ তাহারা (কাফের) আল্লাহর এবাদত করে না। (তাহার এই কথা শুনিয়া) হুযূর ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলিলেন: হে খাত্তাবের পুত্র, তুমি কি এখনও এই ধারণায় রহিয়াছ? তাহারা তো এমন এক সম্প্রদায়, যাহাদিগকে পার্থিব যিন্দেগীতে নেয়ামত সমূহ আগাম প্রদান করা হইয়াছে। অপর এক বর্ণনায় আছে—তুমি কি ইহাতে সন্তুষ্ট নও যে, তাহারা দুনিয়াপ্রাপ্ত হউক আর আমাদের জন্য থাকুক আখেরাত ? -মোত্তাঃ
كتاب الرقاق
وَعَن عمر قَالَ: دَخَلْتُ عَلَى رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَإِذَا هُوَ مُضْطَجِعٌ عَلَى رِمَالِ حَصِيرٍ لَيْسَ بَيْنَهُ وَبَيْنَهُ فِرَاشٌ قَدْ أَثَّرَ الرِّمَالُ بِجَنْبِهِ مُتَّكِئًا عَلَى وِسَادَةٍ مِنْ أَدَمٍ حَشْوُهَا لِيفٌ. قُلْتُ: يَا رَسُولَ اللَّهِ: ادْعُ اللَّهَ فَلْيُوَسِّعْ عَلَى أُمَّتِكَ فَإِنَّ فَارِسَ وَالرُّومَ قَدْ وُسِّعَ عَلَيْهِمْ وَهُمْ لَا يَعْبُدُونَ اللَّهَ. فَقَالَ: «أَوَ فِي هَذَا أَنْتَ يَا ابْنَ الْخطاب؟ أُولئكَ قوم عجلت لَهُم طيبتاتهم فِي الْحَيَاةِ الدُّنْيَا» . وَفِي رِوَايَةٍ: «أَمَا تَرْضَى أَنْ تَكُونَ لَهُمُ الدُّنْيَا وَلَنَا الْآخِرَةُ؟» . مُتَّفَقٌ عَلَيْهِ
তাহকীক: