আলফিয়্যাতুল হাদীস
ইসলামে নামাজের স্থান ও এ ব্যাপারে কঠোরতা -এর বিষয়সমূহ
৭ টি হাদীস
জামে' তিরমিযী
হাদীস নং: ২৬২০
আন্তর্জাতিক নং: ২৬২০
ঈমানের অধ্যায়
নামায পরিত্যাগ করা।
২৬২১. হান্নাদ (রাহঃ) ..... জাবির (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেনঃ রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) বলেছেনঃ বান্দা ও কুফরের মাঝে ব্যবধান হল নামায পরিত্যাগ করা। - মুসলিম
হাদীসটি হাসান-সহীহ। আবু যুবাইর (রাহঃ) এর নাম হল মুহাম্মাদ ইবনে মুসলিম ইবনে তাদরুস।
أبواب الإيمان عن رسول الله صلى الله عليه وسلم
باب مَا جَاءَ فِي تَرْكِ الصَّلاَةِ
حَدَّثَنَا هَنَّادٌ، حَدَّثَنَا وَكِيعٌ، عَنْ سُفْيَانَ، عَنْ أَبِي الزُّبَيْرِ، عَنْ جَابِرٍ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " بَيْنَ الْعَبْدِ وَبَيْنَ الْكُفْرِ تَرْكُ الصَّلاَةِ " . قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ وَأَبُو الزُّبَيْرِ اسْمُهُ مُحَمَّدُ بْنُ مُسْلِمِ بْنِ تَدْرُسَ .
তাহকীক:
সহীহ মুসলিম
হাদীস নং: ৪৩৬
আন্তর্জাতিক নং: ২২৮
- পবিত্রতা অর্জনের অধ্যায়
৪. উযু এবং তারপর নামায আদায়ের ফযীলত
৪৩৬। আব্দ ইবনে হুমায়দ ও হাজ্জাজ ইবনে শাইর (রাহঃ) ......... আমর ইবনে সাঈদ ইবনুল আতা (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি উসমান (রাযিঃ)-এর নিকট উপস্থিত ছিলাম। এমন সময়ে তিনি পানি আনার নির্দেশ দিলেন। এরপর তিনি বললেন, আমি রাসূলুল্লাহ (ﷺ) কে বলতে শুনেছি যে, কোন মুসলিম ব্যক্তির যখন কোন ফরয নামাযের ওয়াক্ত হয় আর সে নামাযের উযু-কে উত্তমরূপে আদায় করে, নামাযের বিনয় ও রুকুকে উত্তমরূপে আদায় করে তা হলে যতক্ষণ না সে কোন কবীরা গুনাহে লিপ্ত হবে, তার এই নামায তার পূর্ববর্তী সকল গুনাহের জন্য কাফফারা হয়ে যাবে। তিনি বলেন, আর এ অবস্থা সর্বযুগেই বিদ্যমান।
كتاب الطهارة
باب فَضْلِ الْوُضُوءِ وَالصَّلاَةِ عَقِبَهُ
حَدَّثَنَا عَبْدُ بْنُ حُمَيْدٍ، وَحَجَّاجُ بْنُ الشَّاعِرِ، كِلاَهُمَا عَنْ أَبِي الْوَلِيدِ، قَالَ عَبْدٌ حَدَّثَنِي أَبُو الْوَلِيدِ، حَدَّثَنَا إِسْحَاقُ بْنُ سَعِيدِ بْنِ عَمْرِو بْنِ سَعِيدِ بْنِ الْعَاصِ، حَدَّثَنِي أَبِي، عَنْ أَبِيهِ، قَالَ كُنْتُ عِنْدَ عُثْمَانَ فَدَعَا بِطَهُورٍ فَقَالَ سَمِعْتُ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يَقُولُ " مَا مِنِ امْرِئٍ مُسْلِمٍ تَحْضُرُهُ صَلاَةٌ مَكْتُوبَةٌ فَيُحْسِنُ وُضُوءَهَا وَخُشُوعَهَا وَرُكُوعَهَا إِلاَّ كَانَتْ كَفَّارَةً لِمَا قَبْلَهَا مِنَ الذُّنُوبِ مَا لَمْ يُؤْتِ كَبِيرَةً وَذَلِكَ الدَّهْرَ كُلَّهُ " .
তাহকীক:
বর্ণনাকারী:
জামে' তিরমিযী
হাদীস নং: ২৬২১
আন্তর্জাতিক নং: ২৬২১
ঈমানের অধ্যায়
নামায পরিত্যাগ করা।
২৬২২. আবু আম্মার হুসাইন ইবনে হুরায়স ও ইউসুফ ইবনে ঈসা (রাহঃ) ......... হুসাইন ইবনে ওয়াকিদ (রাহঃ) থেকে (অনুরূপ) বর্ণিত আছে। আবু আম্মার ও মাহমুদ ইবনে গায়লান (রাহঃ) আলী ইবনে হুসাইন ইবনে ওয়াকিদ ......... তৎপিতা হুসাইন ইবনে ওয়াকিদ (রাহঃ) সূত্রে বর্ণিত আছে।
মুহাম্মাদ ইবনে আলী ইবনে হাসান শাকীকী ও মাহমুদ ইবনে গায়লান (রাহঃ) আব্দুল্লাহ্ ইবনে বুরায়দা তৎপিতা বুরায়দা (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত যে, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) বলেছেনঃ (মুনাফিকদের জান-মাল রক্ষার জন্য) তাদের ও আমাদের মাঝে চুক্তির শর্ত হল নামায। যে ব্যক্তি নামায পরিত্যাগ করল সে কুফরী করল।
- ইবনে মাজাহ
এই বিষয়ে আনাস ও ইবনে আব্বাস (রাযিঃ) থেকেও হাদীস বর্ণিত আছে। হাদীসটি হাসান-সহীহ-গারীব।
أبواب الإيمان عن رسول الله صلى الله عليه وسلم
باب مَا جَاءَ فِي تَرْكِ الصَّلاَةِ
حَدَّثَنَا أَبُو عَمَّارٍ الْحُسَيْنُ بْنُ حُرَيْثٍ، وَيُوسُفُ بْنُ عِيسَى، قَالاَ حَدَّثَنَا الْفَضْلُ بْنُ مُوسَى، عَنِ الْحُسَيْنِ بْنِ وَاقِدٍ، ح وَحَدَّثَنَا أَبُو عَمَّارٍ الْحُسَيْنُ بْنُ حُرَيْثٍ، وَمَحْمُودُ بْنُ غَيْلاَنَ، قَالاَ حَدَّثَنَا عَلِيُّ بْنُ الْحُسَيْنِ بْنِ وَاقِدٍ، عَنْ أَبِيهِ، ح وَحَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ عَلِيِّ بْنِ الْحَسَنِ بْنِ شَقِيقٍ، وَمَحْمُودُ بْنُ غَيْلاَنَ، قَالاَ حَدَّثَنَا عَلِيُّ بْنُ الْحَسَنِ بْنِ شَقِيقٍ، عَنِ الْحُسَيْنِ بْنِ وَاقِدٍ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ بُرَيْدَةَ، عَنْ أَبِيهِ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " الْعَهْدُ الَّذِي بَيْنَنَا وَبَيْنَهُمُ الصَّلاَةُ فَمَنْ تَرَكَهَا فَقَدْ كَفَرَ " . وَفِي الْبَابِ عَنْ أَنَسٍ وَابْنِ عَبَّاسٍ . قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ غَرِيبٌ .
তাহকীক:
বর্ণনাকারী:
সুনানে ইবনে মাজা
হাদীস নং: ৪০৩৪
আন্তর্জাতিক নং: ৪০৩৪
ফিতনাসমূহ ও কিয়ামতপূর্ব আলামতের বর্ণনা
বিপদে সবর করা
৪০৩৪। হুসাইন ইব্ন হাসান মারওয়াযী (রাহঃ)...... আবু দারদা (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমার বন্ধু (রাসূলুল্লাহ (ﷺ) আমাকে অসীয়্যত করেছেন যে, আল্লাহর সঙ্গে কিছু শরীক করবে না, যদিও তোমাকে টুকরো টুকরো করা হয়, কিংবা আগুনে ভস্মীভূত করা হয়। আর ইচ্ছাকৃতভাবে ফরয সালাত ছেড়ে দিবে না। যে ব্যক্তি স্বেচ্ছায় তা ছেড়ে দেয়, তার থেকে (আল্লাহর) জিম্মা উঠে যায়। আর মদ পান করবে না। কেননা, তা সমস্ত পাপ কাজের (উৎস)।
كتاب الفتن
بَاب الصَّبْرِ عَلَى الْبَلَاءِ
حَدَّثَنَا الْحُسَيْنُ بْنُ الْحَسَنِ الْمَرْوَزِيُّ، حَدَّثَنَا ابْنُ أَبِي عَدِيٍّ، ح وَحَدَّثَنَا إِبْرَاهِيمُ بْنُ سَعِيدٍ الْجَوْهَرِيُّ، حَدَّثَنَا عَبْدُ الْوَهَّابِ بْنُ عَطَاءٍ، قَالاَ حَدَّثَنَا رَاشِدٌ أَبُو مُحَمَّدٍ الْحِمَّانِيُّ، عَنْ شَهْرِ بْنِ حَوْشَبٍ، عَنْ أُمِّ الدَّرْدَاءِ، عَنْ أَبِي الدَّرْدَاءِ، قَالَ أَوْصَانِي خَلِيلِي ـ صلى الله عليه وسلم ـ أَنْ " لاَ تُشْرِكْ بِاللَّهِ شَيْئًا وَإِنْ قُطِّعْتَ وَحُرِّقْتَ وَلاَ تَتْرُكْ صَلاَةً مَكْتُوبَةً مُتَعَمِّدًا فَمَنْ تَرَكَهَا مُتَعَمِّدًا فَقَدْ بَرِئَتْ مِنْهُ الذِّمَّةُ وَلاَ تَشْرَبِ الْخَمْرَ فَإِنَّهَا مِفْتَاحُ كُلِّ شَرٍّ " .
তাহকীক:
বর্ণনাকারী:
সুনানে আবু দাউদ
হাদীস নং: ৪২৫
আন্তর্জাতিক নং: ৪২৫
নামাযের অধ্যায়
১৩. নামাযসমুহের হিফাযত সম্পর্কে।
৪২৫. মুহাম্মাদ ইবনে হারব ...... আব্দুল্লাহ্ ইবনুস-সুনাবিহী (রাহঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আবু মুহাম্মাদের মতানুযায়ী বেতেরের নামায ওয়াজিব (ফরয)। উবাদা ইবনুস-সামিত (রাযিঃ) বলেন, আবু মুহাম্মাদের ধারণা সঠিক নয়। আমি এ ব্যাপারে সাক্ষ্য দিচ্ছি যে, আমি রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ)কে বলতে শুনেছি মহান আল্লাহ্ রাব্বুল আলামীন পাঁচ ওয়াক্তের নামায ফরয করেছেন। অতএব যে ব্যক্তি উত্তমরূপে উযু করে নির্ধারিত সময়ে বিনয়ের সাথে নামায আদায় করবে-তার জন্য আল্লাহর প্রতিশ্রুতি রয়েছে যে, আল্লাহ্ তার সমস্ত পাপ মাফ করবেন। অপরপক্ষে যারা এরূপ করবে না তাদের জন্য আল্লাহর কোন অঙ্গীকার নেই। তিনি ইচ্ছা করলে তাদের ক্ষমা করবেন অন্যথায় শাস্তি দেবেন।
كتاب الصلاة
باب فِي الْمُحَافَظَةِ عَلَى وَقْتِ الصَّلَوَاتِ
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ حَرْبٍ الْوَاسِطِيُّ، حَدَّثَنَا يَزِيدُ، - يَعْنِي ابْنَ هَارُونَ - حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ مُطَرِّفٍ، عَنْ زَيْدِ بْنِ أَسْلَمَ، عَنْ عَطَاءِ بْنِ يَسَارٍ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ الصُّنَابِحِيِّ، قَالَ زَعَمَ أَبُو مُحَمَّدٍ أَنَّ الْوِتْرَ، وَاجِبٌ، فَقَالَ عُبَادَةُ بْنُ الصَّامِتِ كَذَبَ أَبُو مُحَمَّدٍ أَشْهَدُ أَنِّي سَمِعْتُ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يَقُولُ " خَمْسُ صَلَوَاتٍ افْتَرَضَهُنَّ اللَّهُ تَعَالَى مَنْ أَحْسَنَ وُضُوءَهُنَّ وَصَلاَّهُنَّ لِوَقْتِهِنَّ وَأَتَمَّ رُكُوعَهُنَّ وَخُشُوعَهُنَّ كَانَ لَهُ عَلَى اللَّهِ عَهْدٌ أَنْ يَغْفِرَ لَهُ وَمَنْ لَمْ يَفْعَلْ فَلَيْسَ لَهُ عَلَى اللَّهِ عَهْدٌ إِنْ شَاءَ غَفَرَ لَهُ وَإِنْ شَاءَ عَذَّبَهُ " .
তাহকীক:
মিশকাতুল মাসাবীহ
হাদীস নং: ৫৭৬
- নামাযের অধ্যায়
তৃতীয় অনুচ্ছেদ
৫৭৬। হযরত আবু যর গিফারী (রাযিঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেছেন, নবী পাক (ﷺ) একদা শীতকালে বাইরে বের হলেন। আর তখন বৃক্ষ হতে পাতা ঝরে পড়ছিল। তিনি একটি বৃক্ষের দু'টি ডাল ধরে নাড়া দিলেন। বর্ণনাকারী বলেন, তাতে বৃক্ষের পাতা আরও (বেশী) ঝরতে লাগলো। আবুজর (রাযিঃ) বলেন, তখন তিনি আমাকে ডাকলেন, হে আবু যর! আমি সাড়া দিয়ে বললাম, ইয়া রাসূলাল্লাহ! আমি উপস্থিত। তিনি বললেন, নিশ্চয় মুসলমানগণ যখন নামায পড়ে এবং তাদ্বারা উদ্দেশ্য হয় শুধুমাত্র আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জন, তখন তার গুনাহসমূহ ঝরে যেতে থাকে, যেভাবে বৃক্ষ হতে পাতাগুলো ঝরে পড়ছে। -আহমদ
كتاب الصلاة
اَلْفَصْلُ الثَّالِثُ
وَعَنْ أَبِي ذَرٍّ أَنَّ النَّبِيَّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: خَرَجَ زَمَنَ الشِّتَاءِ وَالْوَرَقُ يَتَهَافَتُ فَأَخَذَ بِغُصْنَيْنِ مِنْ شَجَرَةٍ قَالَ فَجَعَلَ ذَلِكَ الْوَرَقُ يَتَهَافَتُ قَالَ فَقَالَ: «يَا أَبَا ذَرٍّ» قُلْتُ لَبَّيْكَ يَا رَسُولَ اللَّهِ قَالَ: «إِنَّ العَبْد الْمُسلم ليصل الصَّلَاة يُرِيد بهَا وَجه الله فتهافت عَنهُ ذنُوبه كَمَا يتهافت هَذَا الْوَرَقُ عَنْ هَذِهِ الشَّجَرَةِ» . رَوَاهُ أَحْمَدُ
তাহকীক:
সহীহ বুখারী
হাদীস নং: ৫০৩
আন্তর্জাতিক নং: ৫২৮
- নামাযের ওয়াক্তের বিবরণ
৩৫৬। পাঁচ ওয়াক্তের নামায (গুনাহসমূহের) কাফফারা।
৫০৩। ইবরাহীম ইবনে হামযা (রাহঃ) .... আবু হুরায়রা (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি রাসূলুল্লাহ (ﷺ)-কে বলতে শুনেছেন, “বলত যদি তোমাদের কারো বাড়ীর সামনে একটি নদী থাকে, আর সে তাতে প্রত্যহ পাঁচবার গোসল করে, তাহলে কি তার দেহে কোন ময়লা থাকবে?” তারা বললেন, তার দেহে কোনরূপ ময়লা বাকী থাকবে না। রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বললেনঃ এ হল পাঁচ ওয়াক্ত নামাযের উদাহরণ। এর মাধ্যমে আল্লাহ তাআলা (বান্দার) গুনাহসমূহ মিটিয়ে দেন।
كتاب مواقيت الصلاة
باب الصَّلَوَاتُ الْخَمْسُ كَفَّارَةٌ
حَدَّثَنَا إِبْرَاهِيمُ بْنُ حَمْزَةَ، قَالَ حَدَّثَنِي ابْنُ أَبِي حَازِمٍ، وَالدَّرَاوَرْدِيُّ، عَنْ يَزِيدَ، عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ إِبْرَاهِيمَ، عَنْ أَبِي سَلَمَةَ بْنِ عَبْدِ الرَّحْمَنِ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، أَنَّهُ سَمِعَ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يَقُولُ " أَرَأَيْتُمْ لَوْ أَنَّ نَهَرًا بِبَابِ أَحَدِكُمْ، يَغْتَسِلُ فِيهِ كُلَّ يَوْمٍ خَمْسًا، مَا تَقُولُ ذَلِكَ يُبْقِي مِنْ دَرَنِهِ ". قَالُوا لاَ يُبْقِي مِنْ دَرَنِهِ شَيْئًا. قَالَ " فَذَلِكَ مِثْلُ الصَّلَوَاتِ الْخَمْسِ، يَمْحُو اللَّهُ بِهَا الْخَطَايَا ".