আলফিয়্যাতুল হাদীস

ওজর অবস্থায় জামাআতে উপস্থিত না হওয়া -এর বিষয়সমূহ

টি হাদীস

সহীহ মুসলিম

হাদীস নং: ১৪৭৩
আন্তর্জাতিক নং: ৬৯৭ - ১
- মুসাফিরের নামায - কসর নামায
৩. বৃষ্টির দিনে ঘরে নামায আদায় করা
১৪৭৩। ইয়াহিয়া ইবনে ইয়াহিয়া (রাহঃ) ......... নাফি (রাহঃ) থেকে বর্ণনা করেন যে, ইবনে উমর (রাযিঃ) ঠাণ্ডা ও ঝড়ের রাতে আযান দেন। পরে বলেন, ″তোমরা (নিজ নিজ) মনযিলে নামায আদায় করে নাও।″ তারপর বলেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ)-ও বৃষ্টি ঠাণ্ডার রাতে মুয়াযযিনকে নির্দেশ দিতেন যেন সে বলে দেয় যে, ″তোমরা তোমাদের অবস্থানে নামায আদায় করে নাও।″
كتاب صلاة المسافرين وقصرها
باب الصَّلاَةِ فِي الرحَالِ فِي الْمَطَرِ
حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ يَحْيَى، قَالَ قَرَأْتُ عَلَى مَالِكٍ عَنْ نَافِعٍ، أَنَّ ابْنَ عُمَرَ، أَذَّنَ بِالصَّلاَةِ فِي لَيْلَةٍ ذَاتِ بَرْدٍ وَرِيحٍ فَقَالَ أَلاَ صَلُّوا فِي الرِّحَالِ . ثُمَّ قَالَ كَانَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يَأْمُرُ الْمُؤَذِّنَ إِذَا كَانَتْ لَيْلَةٌ بَارِدَةٌ ذَاتُ مَطَرٍ يَقُولُ " أَلاَ صَلُّوا فِي الرِّحَالِ " .

সহীহ বুখারী

হাদীস নং: ৬৪০
আন্তর্জাতিক নং: ৬৭৩ - ৬৭৪
- আযান-ইকামতের অধ্যায়
৪৩৪। খাবার উপস্থিত, এ সময়ে নামাযের ইকামত হলে।
৬৪০। উবাইদ ইবনে ইসমাঈল (রাহঃ) ......... ইবনে উমর (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেছেনঃ যখন তোমাদের কারো সামনে রাতের খাবার উপস্থিত করা হয়, অপর দিকে নামাযের ইকামত হয়ে যায়, তখন আগে খাবার খেয়ে নিবে। খাওয়া রেখে নামাযে তাড়াহুড়া করবে না। (নাফি’ (রাহঃ) বলেন) ইবনে উমর (রাযিঃ) এর জন্য খাবার পরিবেশন করা হত, সে সময় নামাযের ইকামত দেয়া হত, তিনি খাবার শেষ না করে নামাযে আসতেন না। অথচ তিনি ইমামের কিরাআত শুনতে পেতেন। যুহাইর (রাহঃ) ও ওয়াহব ইবনে উসমান (রাহঃ) মুসা ইবনে ওকবা (রাহঃ) সূত্রে ইবনে উমর (রাযিঃ) থেকে বর্ণনা করেন যে, নবী (ﷺ) বলেছেনঃ তোমাদের কেউ যখন খাবার খেতে থাক, তখন নামাযের ইকামত হয়ে গেলেও খাওয়া শেষ না করে তাড়াহুড়া করবে না। আবু আব্দুল্লাহ [ইমাম বুখারী (রাহঃ)] বলেন, আমাকে ইবরাহীম ইবনে মুনযির (রাহঃ) এ হাদীসটি ওয়াহাব ইবনে উসমান (রাহঃ) থেকে বর্ণনা করেছেন এবং ওয়াহাব হলেন মদীনাবাসী।
كتاب الأذان
بَابٌ: إِذَا حَضَرَ الطَّعَامُ وَأُقِيمَتِ الصَّلاَةُ
حَدَّثَنَا عُبَيْدُ بْنُ إِسْمَاعِيلَ، عَنْ أَبِي أُسَامَةَ، عَنْ عُبَيْدِ اللَّهِ، عَنْ نَافِعٍ، عَنِ ابْنِ عُمَرَ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " إِذَا وُضِعَ عَشَاءُ أَحَدِكُمْ وَأُقِيمَتِ الصَّلاَةُ فَابْدَءُوا بِالْعَشَاءِ، وَلاَ يَعْجَلْ حَتَّى يَفْرُغَ مِنْهُ ". وَكَانَ ابْنُ عُمَرَ يُوضَعُ لَهُ الطَّعَامُ وَتُقَامُ الصَّلاَةُ فَلاَ يَأْتِيهَا حَتَّى يَفْرُغَ، وَإِنَّهُ لَيَسْمَعُ قِرَاءَةَ الإِمَامِ.

وَقَالَ زُهَيْرٌ وَوَهْبُ بْنُ عُثْمَانَ عَنْ مُوسَى بْنِ عُقْبَةَ، عَنْ نَافِعٍ، عَنِ ابْنِ عُمَرَ، قَالَ قَالَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم " إِذَا كَانَ أَحَدُكُمْ عَلَى الطَّعَامِ فَلاَ يَعْجَلْ حَتَّى يَقْضِيَ حَاجَتَهُ مِنْهُ، وَإِنْ أُقِيمَتِ الصَّلاَةُ ". رَوَاهُ إِبْرَاهِيمُ بْنُ الْمُنْذِرِ عَنْ وَهْبِ بْنِ عُثْمَانَ، وَوَهْبٌ مَدِينِيٌّ.

সহীহ মুসলিম

হাদীস নং: ১১২৮
আন্তর্জাতিক নং: ৫৬০ - ১
- মসজিদ ও নামাযের স্থান সমূহের বর্ণনা
১৬. ক্ষুধার্ত অবস্থায় খাবার সামনে আসলে এবং তৎক্ষণাৎ খাবার ইচ্ছা থাকলে তা না খেয়ে ও মলমূত্রের বেগ চেপে রেখে নামায আদায় করা মাকরূহ
১১২৮। মুহাম্মাদ ইবনে আব্বাদ (রাহঃ) ......... ইবনে আবু আতীক (রাহঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমি ও কাসিম ইবনে মুহাম্মাদ ইবনে আবু বকর সিদ্দিক (আয়িশার ভ্রাতুষ্পুত্র) আয়িশা (রাযিঃ)-র কাছে একটি হাদীস আলোচনা করছিলাম। কাসিমের কথায় উচ্চারণগত অনেক ভুল হত। তার মাতা ছিল উম্মু ওয়ালাদ (অর্থাৎ তিনি দাসীর পুত্র ছিলেন)। আয়িশা (রাযিঃ) তাকে বলেন, কাসিম, তোমার কি হয়েছে! তুমি আমার এই ভ্রাতুষ্পুত্রের (ইবনে আতীক) মত কথা বলছ না কেন? অবশ্য আমি জানি, তুমি কোথা থেকে এসেছ। একে তার মা আদব শিক্ষা দিয়েছে (সে ছিল আযাদ), আর তোমার মা তোমাকে শিক্ষা দিয়েছে (সে ছিল বাদী)। রাবী বলেন, এই কথায় কাসিম রেগে গেলেন এবং আয়িশা (রাযিঃ)-র প্রতি ক্ষিপ্ত হয়ে উঠলেন। এরপর যখন দেখলেন যে, আয়িশা (রাযিঃ) এর পক্ষ থেকে দস্তরখান বিছানো হচ্ছে, তখন তিনি উঠে দাঁড়ালেন। আয়িশা (রাযিঃ) বললেন, কোথায় যাচ্ছ? তিনি বললেন, নামায আদায় করতে। আয়িশা (রাযিঃ) বললেন, বস। তিনি বললেন, আমি নামায আদায় করতে যাচ্ছি। আয়িশা (রাযিঃ) বললেন, ওরে অকৃতজ্ঞ! বস! আমি রাসূলুল্লাহ (ﷺ) কে বলতে শুনেছি খাবার সামনে আসার পর কোনও নামায নেই এবং পেশাব পায়খানার বেগ থাকা অবস্থায়ও কোন নামায নেই।
كتاب المساجد ومواضع الصلاة
باب كَرَاهَةِ الصَّلاَةِ بِحَضْرَةِ الطَّعَامِ الَّذِي يُرِيدُ أَكْلَهُ فِي الْحَالِ وَكَرَاهَةِ الصَّلاَةِ مَعَ مُدَافَعَةِ الأَخْبَثَيْنِ
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ عَبَّادٍ، حَدَّثَنَا حَاتِمٌ، - هُوَ ابْنُ إِسْمَاعِيلَ - عَنْ يَعْقُوبَ بْنِ مُجَاهِدٍ، عَنِ ابْنِ أَبِي عَتِيقٍ، قَالَ تَحَدَّثْتُ أَنَا وَالْقَاسِمُ، عِنْدَ عَائِشَةَ - رضى الله عنها - حَدِيثًا وَكَانَ الْقَاسِمُ رَجُلاً لَحَّانَةً وَكَانَ لأُمِّ وَلَدٍ فَقَالَتْ لَهُ عَائِشَةُ مَا لَكَ لاَ تَحَدَّثُ كَمَا يَتَحَدَّثُ ابْنُ أَخِي هَذَا أَمَا إِنِّي قَدْ عَلِمْتُ مِنْ أَيْنَ أُتِيتَ . هَذَا أَدَّبَتْهُ أُمُّهُ وَأَنْتَ أَدَّبَتْكَ أُمُّكَ - قَالَ - فَغَضِبَ الْقَاسِمُ وَأَضَبَّ عَلَيْهَا فَلَمَّا رَأَى مَائِدَةَ عَائِشَةَ قَدْ أُتِيَ بِهَا قَامَ . قَالَتْ أَيْنَ قَالَ أُصَلِّي . قَالَتِ اجْلِسْ . قَالَ إِنِّي أُصَلِّي . قَالَتِ اجْلِسْ غُدَرُ إِنِّي سَمِعْتُ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يَقُولُ " لاَ صَلاَةَ بِحَضْرَةِ الطَّعَامِ وَلاَ وَهُوَ يُدَافِعُهُ الأَخْبَثَانِ " .