আনওয়ারুল হাদীস

রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম প্রাচুর্য পছন্দ করেননি -এর বিষয়সমূহ

টি হাদীস

জামে' তিরমিযী

হাদীস নং: ২৩৪৭
আন্তর্জাতিক নং: ২৩৪৭
যুহদ-দুনিয়া বিমুখতার বর্ণনা
যতটুকু প্রয়োজন তাতেই সন্তুষ্ট থাকা এবং এর উপর সবর অবলম্বন করা।
২৩৫০. সুওয়ায়দ ইবনে নসর (রাহঃ) ..... আবু উমামা (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। নবী (ﷺ) বলেছেনঃ আমার বন্ধুদের মাঝে আমার কাছে সবচেয়ে ঈর্ষণীয় হল সে মু‘মিন ব্যক্তি যার অবস্থা খুবই হালকা এবং যে ব্যক্তি নামাযের স্বাদের অধিকারী। সে সুন্দরভাবে তার প্রভূর ইবাদত করে, গোপনেও তাঁর ফরমাবরদারী করে। মানুষের মাঝে তার কোন প্রসিদ্ধি নেই, অঙ্গুলি ইশারা করা হয় না তার দিকে। তার রিযক হল তার প্রয়োজন মত। আর এর উপরই সে সবর করে থাকে। এরপর নবী (ﷺ) তাঁর অঙ্গুলি দিয়ে ইঙ্গিত করে বললেন শীঘ্র তার মৃত্যু হয়, তার জন্য ক্রন্দনকারীর সংখ্যা হয় কম আর তার মীরাছও হয় সামান্য। উক্ত সূত্রেই নবী (ﷺ) থেকে বর্ণিত যে, তিনি বলেনঃ আমার মক্কার বুতহা অর্থাৎ বালুকাময় অঞ্চল স্বর্ণে পরিণত করে দিতে আল্লাহ আমার কাছে প্রস্তাব করেছিলেন। কিন্তু আমি বললামঃ হে আমার রব না, তা নয়। বরং একদিন পরিতৃপ্তিসহ আহার করব আরেক দিন উপোস থাকব। এই কথাটি তিনি তিনবার বা তদ্রূপ বলেছেন। যখন ক্ষুধার্ত হবে তোমার কাছেই কাকুতি-মিনতি করব তোমারই স্মরণ করব আর যখন পরিতৃপ্তিসহ আহার করতে পারব তখন তোমার শোকর করব, তোমারই হামদ করব।
أبواب الزهد عن رسول الله صلى الله عليه وسلم
باب مَا جَاءَ فِي الْكَفَافِ وَالصَّبْرِ عَلَيْهِ
أَخْبَرَنَا سُوَيْدُ بْنُ نَصْرٍ، أَخْبَرَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ الْمُبَارَكِ، عَنْ يَحْيَى بْنِ أَيُّوبَ، عَنْ عُبَيْدِ اللَّهِ بْنِ زَحْرٍ، عَنْ عَلِيِّ بْنِ يَزِيدَ، عَنِ الْقَاسِمِ أَبِي عَبْدِ الرَّحْمَنِ، عَنْ أَبِي أُمَامَةَ، عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم قَالَ " إِنَّ أَغْبَطَ أَوْلِيَائِي عِنْدِي لَمُؤْمِنٌ خَفِيفُ الْحَاذِ ذُو حَظٍّ مِنَ الصَّلاَةِ أَحْسَنَ عِبَادَةَ رَبِّهِ وَأَطَاعَهُ فِي السِّرِّ وَكَانَ غَامِضًا فِي النَّاسِ لاَ يُشَارُ إِلَيْهِ بِالأَصَابِعِ وَكَانَ رِزْقُهُ كَفَافًا فَصَبَرَ عَلَى ذَلِكَ " . ثُمَّ نَفَضَ بِيَدِهِ فَقَالَ " عُجِّلَتْ مَنِيَّتُهُ قَلَّتْ بَوَاكِيهِ قَلَّ تُرَاثُهُ " .
وَبِهَذَا الإِسْنَادِ عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم قَالَ " عَرَضَ عَلَىَّ رَبِّي لِيَجْعَلَ لِي بَطْحَاءَ مَكَّةَ ذَهَبًا قُلْتُ لاَ يَا رَبِّ وَلَكِنْ أَشْبَعُ يَوْمًا وَأَجُوعُ يَوْمًا أَوْ قَالَ ثَلاَثًا أَوْ نَحْوَ هَذَا فَإِذَا جُعْتُ تَضَرَّعْتُ إِلَيْكَ وَذَكَرْتُكَ وَإِذَا شَبِعْتُ شَكَرْتُكَ وَحَمِدْتُكَ " . قَالَ هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ . وَفِي الْبَابِ عَنْ فَضَالَةَ بْنِ عُبَيْدٍ . وَالْقَاسِمُ هَذَا هُوَ ابْنُ عَبْدِ الرَّحْمَنِ وَيُكْنَى أَبَا عَبْدِ الرَّحْمَنِ وَهُوَ مَوْلَى عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ خَالِدِ بْنِ يَزِيدَ بْنِ مُعَاوِيَةَ وَهُوَ شَامِيٌّ ثِقَةٌ وَعَلِيُّ بْنُ يَزِيدَ ضَعِيفُ الْحَدِيثِ وَيُكْنَى أَبَا عَبْدِ الْمَلِكِ .