ফয়জুল কালাম
সুর দিয়ে কুরআন পড়া -এর বিষয়সমূহ
৪ টি হাদীস
সহীহ মুসলিম
হাদীস নং: ১৭১৮
আন্তর্জাতিক নং: ৭৯২ - ১
- কুরআনে কারীমের ফাযায়েল ও আদাব-মাসাঈল
২. কুরআন পাঠের আওয়াযে মাধুর্য সৃষ্টি করা মুস্তাহাব
১৭১৮। আমরুন নাকিদ ও যুহাইর ইবনে হাবর (রাহঃ) ......... আবু হুরায়রা (রাযিঃ) সূত্রে বর্ণনা করেছেন, তিনি সনদটি নবী (ﷺ) পর্যন্ত পৌছিয়েছেন। নবী (ﷺ) বলেছেন, আল্লাহ কোন কিছুর প্রতি এত কান দেন না (সন্তুষ্টি প্রকাশ করেন না) যত কান দেন কোন নবীর প্রতি, যিনি মধুর কন্ঠে কুরআন তিলাওয়াত করেন।
كتاب / باب فضائل القران وما يتعلق به
باب اسْتِحْبَابِ تَحْسِينِ الصَّوْتِ بِالْقُرْآنِ
حَدَّثَنِي عَمْرٌو النَّاقِدُ، وَزُهَيْرُ بْنُ حَرْبٍ، قَالاَ حَدَّثَنَا سُفْيَانُ بْنُ عُيَيْنَةَ، عَنِ الزُّهْرِيِّ، عَنْ أَبِي سَلَمَةَ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، يَبْلُغُ بِهِ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم قَالَ " مَا أَذِنَ اللَّهُ لِشَىْءٍ مَا أَذِنَ لِنَبِيٍّ يَتَغَنَّى بِالْقُرْآنِ " .
তাহকীক:
মিশকাতুল মাসাবীহ
হাদীস নং: ২১৯৪
- কুরআনের ফাযাঈল অধ্যায়
১. প্রথম অনুচ্ছেদ - (কুরআন অধ্যয়ন ও তিলাওয়াতের আদব)
২১৯৪। হযরত আবু হুরায়রা (রাঃ) বলেন, রাসূলুল্লাহ ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলিয়াছেন সে আমাদের দলের নহে, যে স্বর করিয়া কোরআন পড়ে না (অথবা কোরআন পাইয়া অপর সব হইতে বিমুখ হয় না)। বুখারী
كتاب فضائل القرآن
وَعَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «لَيْسَ مِنَّا مَنْ لَمْ يَتَغَنَّ بِالْقُرْآنِ» . رَوَاهُ البُخَارِيّ
তাহকীক:
মিশকাতুল মাসাবীহ
হাদীস নং: ২২০৭
- কুরআনের ফাযাঈল অধ্যায়
১. তৃতীয় অনুচ্ছেদ - (কুরআন অধ্যয়ন ও তিলাওয়াতের আদব)
২২০৭। হযরত হুযায়ফা (রাঃ) বলেন, রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) বলিয়াছেনঃ কোরআন পড় আরবদের স্বরে সুরে এবং দূরে থাক আহলে এশক ও আহলে কিতাবদের স্বর হইতে। শীঘ্রই আমার পর এমন লোকেরা আসিবে যাহারা কোরআনে গান ও বিলাপের সুর ধরিবে। কোরআন তাহাদের কণ্ঠনালী অতিক্রম করিবে না (এবং অন্তরে প্রবেশ করিবে না)। তাহাদের অন্তর হইবে দুনিয়ার মোহগ্রস্ত এবং অনুরূপভাবে তাহাদের অন্তরও যাহারা তাহাদের পদ্ধতিকে পছন্দ করিবে। – বায়হাকী শো আবুল ঈমানে এবং রযীন তাঁহার কিতাবে।
كتاب فضائل القرآن
وَعَنْ حُذَيْفَةَ قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسلم: «اقرؤوا الْقُرْآنَ بِلُحُونِ الْعَرَبِ وَأَصْوَاتِهَا وَإِيَّاكُمْ وَلُحُونَ أَهْلِ الْعِشْق وَلُحُون أهل الْكِتَابَيْنِ وسيجي بعدِي قوم يرجعُونَ بِالْقُرْآنِ ترجع الْغِنَاءِ وَالنَّوْحِ لَا يُجَاوِزُ حَنَاجِرَهُمْ مَفْتُونَهٌ قُلُوبُهُمْ وَقُلُوبُ الَّذِينَ يُعْجِبُهُمْ شَأْنُهُمْ» . رَوَاهُ الْبَيْهَقِيُّ فِي شعب الْإِيمَان
তাহকীক:
মিশকাতুল মাসাবীহ
হাদীস নং: ২২০৯
- কুরআনের ফাযাঈল অধ্যায়
১. তৃতীয় অনুচ্ছেদ - (কুরআন অধ্যয়ন ও তিলাওয়াতের আদব)
২২০৯। (তাবেয়ী) হযরত তাউস (ইয়ামানী) মুরসালরূপে বর্ণনা করেন যে, একবার নবী করীম (ﷺ)-কে জিজ্ঞাসা করা হইল, হুযূর কোরআনে স্বর প্রয়োগ ও ভাল তেলাওয়াতের দিক দিয়া সর্বোত্তম ব্যক্তি কে? হুযূর বলিলেনঃ যাহার কোরআন পাঠ শুনিয়া তোমার কাছে মনে হয় যে, সে আল্লাহর প্রতি ভয় পোষণ করিতেছে। তাউস বলেন, (তাবেয়ী) তালক এইরূপই ছিলেন। —দারেমী
كتاب فضائل القرآن
وَعَنْ طَاوُوسٍ مُرْسَلًا قَالَ: سُئِلَ النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: أَيُّ النَّاسِ أَحْسَنُ صَوْتًا لِلْقُرْآنِ؟ وَأَحْسَنُ قِرَاءَةً؟ قَالَ: «مَنْ إِذَا سَمِعْتَهُ يقْرَأ أَرَأَيْت أَنَّهُ يَخْشَى اللَّهَ» . قَالَ طَاوُوسٌ: وَكَانَ طَلْقٌ كَذَلِك. رَوَاهُ الدَّارمِيّ
তাহকীক: