ফয়জুল কালাম
আজানের ফজিলত -এর বিষয়সমূহ
১০ টি হাদীস
সহীহ মুসলিম
হাদীস নং: ৭৩৮
আন্তর্জাতিক নং: ৩৮৭ - ১
- নামাযের অধ্যায়
৮. আযানের ফযীলত এবং তা শুনে শয়তানের পলায়ন
৭৩৮। মুহাম্মাদ ইবনে আব্দুল্লাহ ইবনে নুমাইর (রাহঃ) ......... তালহা ইবনে ইয়াহয়ার চাচা থেকে বর্ণিত যে, তিনি বলেন, আমি (একবার) মুআবিয়া (রাযিঃ) ইবনে আবু সুফিয়ানের কাছে ছিলাম। মু’আযযিন এসে তাকে নামায এর জন্য ডাকল। মুআবিয়া (রাহঃ) বললেন, আমি রাসূলুল্লাহ (ﷺ) কে বলতে শুনেছি যে, কিয়ামতের দিন মুয়াযযিনদের ঘাড় সকলের চেয়ে লম্বা হবে।*
* বেশী মর্যাদা হবে।
كتاب الصلاة
باب فَضْلِ الأَذَانِ وَهَرَبِ الشَّيْطَانِ عِنْدَ سَمَاعِهِ
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ نُمَيْرٍ، حَدَّثَنَا عَبْدَةُ، عَنْ طَلْحَةَ بْنِ يَحْيَى، عَنْ عَمِّهِ، قَالَ كُنْتُ عِنْدَ مُعَاوِيَةَ بْنِ أَبِي سُفْيَانَ فَجَاءَهُ الْمُؤَذِّنُ يَدْعُوهُ إِلَى الصَّلاَةِ فَقَالَ مُعَاوِيَةُ سَمِعْتُ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يَقُولُ " الْمُؤَذِّنُونَ أَطْوَلُ النَّاسِ أَعْنَاقًا يَوْمَ الْقِيَامَةِ "
তাহকীক:
সহীহ বুখারী
হাদীস নং: ৫৮২
আন্তর্জাতিক নং: ৬০৯
- আযান-ইকামতের অধ্যায়
৩৯৭। আযানের স্বর উচ্চ করা।
৫৮২। আব্দুল্লাহ ইবনে ইউসুফ (রাহঃ) ......... আব্দুল্লাহ ইবনে আব্দুর রহমান আনসারী মাযিনী (রাহঃ) থেকে বর্ণিত যে, আবু সাঈদ খুদরী (রাযিঃ) তাঁকে বললেন, আমি দেখছি তুমি বকরী চরানো এবং বন-জঙ্গলকে ভালবাস। তাই তুমি যখন বকরী নিয়ে থাক, বা বন-জঙ্গলে থাক এবং নামাযের জন্য আযান দাও, তখন উচ্চকণ্ঠে আযান দাও। কেননা, জ্বীন, ইনসান বা যে কোন বস্তুই যতদূর পর্যন্ত মুয়াযযিনের আওয়াজ শুনবে, সে কিয়ামতের দিন তার পক্ষে সাক্ষ্য দিবে। আবু সাঈদ (রাযিঃ) বলেন, একথা আমি রাসূলুল্লাহ (ﷺ) এর কাছে শুনেছি।
كتاب الأذان
باب رَفْعِ الصَّوْتِ بِالنِّدَاءِ وَقَالَ عُمَرُ بْنُ عَبْدِ الْعَزِيزِ أَذِّنْ أَذَانًا سَمْحًا وَإِلاَّ فَاعْتَزِلْنَا
حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ يُوسُفَ، قَالَ أَخْبَرَنَا مَالِكٌ، عَنْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ أَبِي صَعْصَعَةَ الأَنْصَارِيِّ، ثُمَّ الْمَازِنِيِّ عَنْ أَبِيهِ، أَنَّهُ أَخْبَرَهُ أَنَّ أَبَا سَعِيدٍ الْخُدْرِيَّ قَالَ لَهُ " إِنِّي أَرَاكَ تُحِبُّ الْغَنَمَ وَالْبَادِيَةَ، فَإِذَا كُنْتَ فِي غَنَمِكَ أَوْ بَادِيَتِكَ فَأَذَّنْتَ بِالصَّلاَةِ فَارْفَعْ صَوْتَكَ بِالنِّدَاءِ، فَإِنَّهُ لاَ يَسْمَعُ مَدَى صَوْتِ الْمُؤَذِّنِ جِنٌّ وَلاَ إِنْسٌ وَلاَ شَىْءٌ إِلاَّ شَهِدَ لَهُ يَوْمَ الْقِيَامَةِ ". قَالَ أَبُو سَعِيدٍ سَمِعْتُهُ مِنْ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم.
তাহকীক:
বর্ণনাকারী:
মিশকাতুল মাসাবীহ
হাদীস নং: ৬৬৪
- নামাযের অধ্যায়
৫. দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ - আযানের ফযীলত ও মুয়াযযিনের উত্তর দান
৬৬৪। হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে আব্বাস (রাযিঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেছেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) ইরশাদ করেছেন, যে ব্যক্তি সওয়াবের নিয়তে সাত বছর আযান দিবে তার জন্য দোযখের আগুন হতে মুক্তি লাভ সুনিশ্চিত। -তিরমিযী, আবু দাউদ, ইবনে মাজাহ
كتاب الصلاة
وَعَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ أَنَّ النَّبِيَّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: «من أذن سبع سِنِين محتسبا كتبت لَهُ بَرَاءَةٌ مِنَ النَّارِ» . رَوَاهُ التِّرْمِذِيُّ وَأَبُو دَاوُد وَابْن مَاجَه.
তাহকীক:
সুনানে আবু দাউদ
হাদীস নং: ৫২৪
আন্তর্জাতিক নং: ৫২৪
নামাযের অধ্যায়
৪১. মুয়াযযিনের আযানের জবাবে যা বলতে হয়।
৫২৪. ইবনুস সারহ্ .... আব্দুল্লাহ্ ইবনে আমর (রাযিঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, এক ব্যক্তি বলেন, ইয়া রাসূলাল্লাহ্! মুয়াযযিনরা তো আমাদের উপর ফযীলত প্রাপ্ত হচ্ছে। আমরা কিভাবে তাদের সমান সাওয়াব পাব? তিনি বলেনঃ মুয়াযযিনরা যেরূপ বলে-তুমিও তদ্রূপ বলবে। অতঃপর যখন আযান শেয করবে, তখন আল্লাহর নিকট প্রার্থনা করলে তোমার দু‘আ কবুল করা হবে।
كتاب الصلاة
باب مَا يَقُولُ إِذَا سَمِعَ الْمُؤَذِّنَ
حَدَّثَنَا ابْنُ السَّرْحِ، وَمُحَمَّدُ بْنُ سَلَمَةَ، قَالاَ حَدَّثَنَا ابْنُ وَهْبٍ، عَنْ حُيَىٍّ، عَنْ أَبِي عَبْدِ الرَّحْمَنِ، - يَعْنِي الْحُبُلِيَّ - عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عَمْرٍو، أَنَّ رَجُلاً، قَالَ يَا رَسُولَ اللَّهِ إِنَّ الْمُؤَذِّنِينَ يَفْضُلُونَنَا . فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " قُلْ كَمَا يَقُولُونَ فَإِذَا انْتَهَيْتَ فَسَلْ تُعْطَهْ " .
সহীহ মুসলিম
হাদীস নং: ৭৩৭
আন্তর্জাতিক নং: ৩৮৬
- নামাযের অধ্যায়
৭. আযানের জবাবে মু’আযযিনের অনুরূপ বলা মুস্তাহাব। এরপর রাসূলুল্লাহ (ﷺ) এর উপর দরুদ পাঠ করা এবং তার জন্য ওসীলার দুআ করা
৭৩৭। মুহাম্মাদ ইবনে রুমহ ও কুতায়বা ইবনে সাঈদ (রাহঃ) ......... সা’দ ইবনে আবু ওয়াককাস (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেন, যে ব্যক্তি মু-আযযিনের আযান শুনে নিম্নের দুআটি পাঠ করে তার গুনাহ মাফ করে দেয়া হয়ঃ
أَشْهَدُ أَنْ لاَ إِلَهَ إِلاَّ اللَّهُ وَحْدَهُ لاَ شَرِيكَ لَهُ وَأَنَّ مُحَمَّدًا عَبْدُهُ وَرَسُولُهُ رَضِيتُ بِاللَّهِ رَبًّا وَبِمُحَمَّدٍ رَسُولاً وَبِالإِسْلاَمِ دِينًا
আমি সাক্ষ্য দিচ্ছি যে, আল্লাহ ছাড়া কোন ইলাহ নেই তিনি এক, তাঁর কোন শরীক নেই এবং মুহাম্মাদ তাঁর বান্দা ও রাসুল। আমি সন্তুষ্ট আল্লাহকে রব হিসেবে পেয়ে এবং মুহাম্মাদ কে রাসুল হিসেবে পেয়ে এবং ইসলামকে দ্বীন হিসেবে পেয়ে।
كتاب الصلاة
باب اسْتِحْبَابِ الْقَوْلِ مِثْلَ قَوْلِ الْمُؤَذِّنِ لِمَنْ سَمِعَهُ ثُمَّ يُصَلِّي عَلَى النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ ثُمَّ يَسْأَلُ اللَّهَ لَهُ الْوَسِيلَةَ
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ رُمْحٍ، أَخْبَرَنَا اللَّيْثُ، عَنِ الْحُكَيْمِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ قَيْسٍ الْقُرَشِيِّ، ح وَحَدَّثَنَا قُتَيْبَةُ بْنُ سَعِيدٍ، حَدَّثَنَا لَيْثٌ، عَنِ الْحُكَيْمِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ، عَنْ عَامِرِ بْنِ سَعْدِ بْنِ أَبِي وَقَّاصٍ، عَنْ سَعْدِ بْنِ أَبِي وَقَّاصٍ، عَنْ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم أَنَّهُ قَالَ " مَنْ قَالَ حِينَ يَسْمَعُ الْمُؤَذِّنَ أَشْهَدُ أَنْ لاَ إِلَهَ إِلاَّ اللَّهُ وَحْدَهُ لاَ شَرِيكَ لَهُ وَأَنَّ مُحَمَّدًا عَبْدُهُ وَرَسُولُهُ رَضِيتُ بِاللَّهِ رَبًّا وَبِمُحَمَّدٍ رَسُولاً وَبِالإِسْلاَمِ دِينًا . غُفِرَ لَهُ ذَنْبُهُ " . قَالَ ابْنُ رُمْحٍ فِي رِوَايَتِهِ " مَنْ قَالَ حِينَ يَسْمَعُ الْمُؤَذِّنَ وَأَنَا أَشْهَدُ " . وَلَمْ يَذْكُرْ قُتَيْبَةُ قَوْلَهُ وَأَنَا .
তাহকীক:
মিশকাতুল মাসাবীহ
হাদীস নং: ৬৬৬
- নামাযের অধ্যায়
৫. দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ - আযানের ফযীলত ও মুয়াযযিনের উত্তর দান
৬৬৬। হযরত ইবনে ওমর (রাযিঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেছেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) ইরশাদ করেছেন, তিন ব্যক্তি কিয়ামত দিবসে মেশকের স্তূপের উপর অবস্থান করবে। (১) যে ক্রীতদাস আল্লাহ্ পাকের এবং তার মনিবের হক দাবী যথাযথভাবে আদায় করে। (২) যে ব্যক্তি কোন জনসমষ্টির নামাযে ইমামতি করে এবং তারা তার উপর খুশী থাকে এবং (৩) যে ব্যক্তি পাঁচ ওয়াক্ত নামাযের জন্য দিনে এবং রাতে আযান দেয়। -তিরমিযী
كتاب الصلاة
وَعَنِ ابْنِ عُمَرَ قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «ثَلَاثَةٌ عَلَى كُثْبَانِ الْمِسْكِ يَوْمَ الْقِيَامَةِ عَبَدٌ أَدَّى حَقَّ اللَّهِ وَحَقَّ مَوْلَاهُ وَرَجُلٌ أَمَّ قَوْمًا وَهُمْ بِهِ راضون وَرجل يُنَادي بالصلوات الْخمس فِي كُلَّ يَوْمٍ وَلَيْلَةٍ» . رَوَاهُ التِّرْمِذِيُّ وَقَالَ: هَذَا حَدِيث غَرِيب
তাহকীক:
সহীহ মুসলিম
হাদীস নং: ১৩৯৮
আন্তর্জাতিক নং: ৬৬৯
- মসজিদ ও নামাযের স্থান সমূহের বর্ণনা
৪৬. ফরয নামায জামাআতে আদায় করার ফযীলত এবং নামাযের জন্য অপেক্ষা করা ও মসজিদের দিকে অধিক ও যাতায়াতের ফযীলত
১৩৯৮। আবু বকর আবি শাঈবা ও যূহায়র ইবনে হারব (রাহঃ) ......... আবু হুরায়রা (রাযিঃ) সূত্রে নবী (ﷺ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, যে ব্যক্তি সকাল-সন্ধা মসজিদে আসা-যাওয়া করে, আল্লাহ তাআলা তার জন্য জান্নাতে প্রতি সকাল-সন্ধ্যার জন্য অতিথেয়তার ব্যবস্থা করেন।
كتاب المساجد ومواضع الصلاة
حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، وَزُهَيْرُ بْنُ حَرْبٍ، قَالاَ حَدَّثَنَا يَزِيدُ بْنُ هَارُونَ، أَخْبَرَنَا مُحَمَّدُ بْنُ مُطَرِّفٍ، عَنْ زَيْدِ بْنِ أَسْلَمَ، عَنْ عَطَاءِ بْنِ يَسَارٍ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم " مَنْ غَدَا إِلَى الْمَسْجِدِ أَوْ رَاحَ أَعَدَّ اللَّهُ لَهُ فِي الْجَنَّةِ نُزُلاً كُلَّمَا غَدَا أَوْ رَاحَ " .
সুনানে আবু দাউদ
হাদীস নং: ২৪৮৬
আন্তর্জাতিক নং: ২৪৯৪
জিহাদের বিধানাবলী
২৮০. সমুদ্রযানে আরোহণ এবং যুদ্ধ করা।
২৪৮৬. আব্দুস সালাম ইবনে আতীক .... আবু উমামা আল বাহেলী (রাযিঃ) হতে বর্ণিত। তিনি রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) হতে বর্ণনা করেন যে, তিনি বলেছেনঃ তিন প্রকার লোকের প্রত্যেকেই মহান আল্লাহ তাআলার জিম্মাদারিতে থাকে। ১. যে আল্লাহর রাহে জিহাদ করার জন্য বের হয়, সে আল্লাহর জিম্মায় থাকে। সে মৃত্যুবরণ করলে আল্লাহ্ তাআলা তাকে জান্নাতে প্রবেশ করান অথবা নিরাপদে ফিরে এলে তাকে পূণ্য এবং গনিমতের প্রাপ্য অংশ দান করেন। ২. যে ব্যক্তি জামাআতে নামায আদায়ের উদ্দেশ্যে মসজিদের দিকে ধাবিত হয়, সেও আল্লাহর জিম্মায় থাকে। এমতাবস্থায় সে যদি মারা যায় তবে আল্লাহ্ তাআলা তাকে জান্নাত দান করেন। আর মসজিদ হতে ফিরে এলে তার প্রাপ্য পুণ্য ও যুদ্ধলব্ধ সম্পদের অংশীদার করেন। ৩. যে ব্যক্তি নিজ বাড়িতে প্রবেশ করার সময় পরিবারের লোকজনকে সালাম দেয় সেও মহান আল্লার জিম্মায় থাকে।
كتاب الجهاد
باب فِي رُكُوبِ الْبَحْرِ فِي الْغَزْوِ
حَدَّثَنَا عَبْدُ السَّلاَمِ بْنُ عَتِيقٍ، حَدَّثَنَا أَبُو مُسْهِرٍ، حَدَّثَنَا إِسْمَاعِيلُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ، - يَعْنِي ابْنَ سَمَاعَةَ - حَدَّثَنَا الأَوْزَاعِيُّ، حَدَّثَنِي سُلَيْمَانُ بْنُ حَبِيبٍ، عَنْ أَبِي أُمَامَةَ الْبَاهِلِيِّ، عَنْ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم قَالَ " ثَلاَثَةٌ كُلُّهُمْ ضَامِنٌ عَلَى اللَّهِ عَزَّ وَجَلَّ رَجُلٌ خَرَجَ غَازِيًا فِي سَبِيلِ اللَّهِ فَهُوَ ضَامِنٌ عَلَى اللَّهِ حَتَّى يَتَوَفَّاهُ فَيُدْخِلَهُ الْجَنَّةَ أَوْ يَرُدَّهُ بِمَا نَالَ مِنْ أَجْرٍ وَغَنِيمَةٍ وَرَجُلٌ رَاحَ إِلَى الْمَسْجِدِ فَهُوَ ضَامِنٌ عَلَى اللَّهِ حَتَّى يَتَوَفَّاهُ فَيُدْخِلَهُ الْجَنَّةَ أَوْ يَرُدَّهُ بِمَا نَالَ مِنْ أَجْرٍ وَغَنِيمَةٍ وَرَجُلٌ دَخَلَ بَيْتَهُ بِسَلاَمٍ فَهُوَ ضَامِنٌ عَلَى اللَّهِ عَزَّ وَجَلَّ " .
তাহকীক:
বর্ণনাকারী:
সুনানে আবু দাউদ
হাদীস নং: ৫৫৮
আন্তর্জাতিক নং: ৫৫৮
নামাযের অধ্যায়
৫৪. পায়ে হেঁটে মসজিদে যাওয়ার ফযিলত।
৫৫৮. আবু তাওবা .... আবু উমামা (রাযিঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) বলেনঃ যে ব্যক্তি উযু করে ফরয নামায আদায়ের উদ্দেশ্যে মসজিদে যায়, সে ইহরামধারী হাজীর অনুরূপ সাওয়াব প্রাপ্ত হবে। অপর পক্ষে যে ব্যক্তি কেবলমাত্র চাশতের নামায আদায়ের জন্য মসজিদে যায় সে উমরাহকারীর ন্যায় সাওয়াব প্রাপ্ত হবে। যে ব্যক্তি এক ওয়াক্ত নামায আদায়ের পর হতে পরের ওয়াক্ত নামায আদায় করাকালীন সময়ের মধ্যে কোনরূপ বেহুদা কাজ ও কথাবার্তায় লিপ্ত না হয়, তার আমলনামা সপ্তাকাশে লিপিবদ্ধ হবে, অর্থাৎ সে উচ্চমর্যাদার অধিকারী হবে।
كتاب الصلاة
باب مَا جَاءَ فِي فَضْلِ الْمَشْىِ إِلَى الصَّلاَةِ
حَدَّثَنَا أَبُو تَوْبَةَ، حَدَّثَنَا الْهَيْثَمُ بْنُ حُمَيْدٍ، عَنْ يَحْيَى بْنِ الْحَارِثِ، عَنِ الْقَاسِمِ أَبِي عَبْدِ الرَّحْمَنِ، عَنْ أَبِي أُمَامَةَ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم قَالَ " مَنْ خَرَجَ مِنْ بَيْتِهِ مُتَطَهِّرًا إِلَى صَلاَةٍ مَكْتُوبَةٍ فَأَجْرُهُ كَأَجْرِ الْحَاجِّ الْمُحْرِمِ وَمَنْ خَرَجَ إِلَى تَسْبِيحِ الضُّحَى لاَ يُنْصِبُهُ إِلاَّ إِيَّاهُ فَأَجْرُهُ كَأَجْرِ الْمُعْتَمِرِ وَصَلاَةٌ عَلَى أَثَرِ صَلاَةٍ لاَ لَغْوَ بَيْنَهُمَا كِتَابٌ فِي عِلِّيِّينَ " .
তাহকীক:
বর্ণনাকারী:
সহীহ মুসলিম
হাদীস নং: ১৩৬৩
আন্তর্জাতিক নং: ৬৫৪ - ২
- মসজিদ ও নামাযের স্থান সমূহের বর্ণনা
৪৩. যে ব্যক্তি আযান শোনে, মসজিদে আসা তার উপর ওয়াজিব
১৩৬৩। আবু বকর ইবনে আবি শাঈবা (রাহঃ) ......... আব্দুল্লাহ (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, যে ব্যক্তি পছন্দ করে যে, আগামীকাল বিচার দিবসে সে মুসলমান হিসাবে আল্লাহ সাক্ষাত লাভ করবে, তার উচিত এই নামাযসমুহের সংরক্ষণ করা, যেখানে নামাযের জন্য আহবান করা হয়। কারণ, আল্লাহ তোমাদের নবীকে হিদায়াতের সকল পথ বাতলে দিয়েছেন। আর এই সমস্ত নামায হল হিদায়াতের পথ সমুহের অন্যতম। তোমরা যদি এই সকল নামায ঘরে আদায় কর, যেমন একদল লোক জামাআত ছেড়ে ঘরে নামায আদায় করে, তাহলে তোমরা তোমাদের নবীর সুন্নতকে ছেড়ে দিলে। তোমরা যদি নবীর সুন্নত ছেড়ে দাও, তাহলে তোমরা অবশ্যই গুমরাহ হয়ে যাবে। যে উত্তমরূপে পবিত্র হয়ে এই সকল মসজিদের একটির দিকে অগ্রসর হবে তার প্রত্যেক কদমের জন্য একটি করে নেকী লেখা হবে এবং তার একটি মর্যাদা বৃদ্ধি পাবে এবং একটি গুনাহ মাফ করা হবে। তারপর একমাত্র প্রকাশ্য মুনাফিক ছাড়া আর কাউকে জামাআত থেকে বাদ পড়তে আমরা দেখিনি। অনেক লোক দু’ জনের কাঁধে ভর করে হেচঁড়িয়ে হেচঁড়িয়ে মসজিদে আসত এবং তাদের সারিতে দাঁড় করিয়া দেয়া হতো।
كتاب المساجد ومواضع الصلاة
باب يَجِبُ إِتْيَانُ الْمَسْجِدِ عَلَى مَنْ سَمِعَ النِّدَاءَ
حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، حَدَّثَنَا الْفَضْلُ بْنُ دُكَيْنٍ، عَنْ أَبِي الْعُمَيْسِ، عَنْ عَلِيِّ بْنِ الأَقْمَرِ، عَنْ أَبِي الأَحْوَصِ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ، قَالَ مَنْ سَرَّهُ أَنْ يَلْقَى اللَّهَ غَدًا مُسْلِمًا فَلْيُحَافِظْ عَلَى هَؤُلاَءِ الصَّلَوَاتِ حَيْثُ يُنَادَى بِهِنَّ فَإِنَّ اللَّهَ شَرَعَ لِنَبِيِّكُمْ صلى الله عليه وسلم سُنَنَ الْهُدَى وَإِنَّهُنَّ مِنْ سُنَنِ الْهُدَى وَلَوْ أَنَّكُمْ صَلَّيْتُمْ فِي بُيُوتِكُمْ كَمَا يُصَلِّي هَذَا الْمُتَخَلِّفُ فِي بَيْتِهِ لَتَرَكْتُمْ سُنَّةَ نَبِيِّكُمْ وَلَوْ تَرَكْتُمْ سُنَّةَ نَبِيِّكُمْ لَضَلَلْتُمْ وَمَا مِنْ رَجُلٍ يَتَطَهَّرُ فَيُحْسِنُ الطُّهُورَ ثُمَّ يَعْمِدُ إِلَى مَسْجِدٍ مِنْ هَذِهِ الْمَسَاجِدِ إِلاَّ كَتَبَ اللَّهُ لَهُ بِكُلِّ خَطْوَةٍ يَخْطُوهَا حَسَنَةً وَيَرْفَعُهُ بِهَا دَرَجَةً وَيَحُطُّ عَنْهُ بِهَا سَيِّئَةً وَلَقَدْ رَأَيْتُنَا وَمَا يَتَخَلَّفُ عَنْهَا إِلاَّ مُنَافِقٌ مَعْلُومُ النِّفَاقِ وَلَقَدْ كَانَ الرَّجُلُ يُؤْتَى بِهِ يُهَادَى بَيْنَ الرَّجُلَيْنِ حَتَّى يُقَامَ فِي الصَّفِّ .
তাহকীক: