ফয়জুল কালাম

জামাআত ছেড়ে দেওয়ার ব্যাপারে ধমক -এর বিষয়সমূহ

টি হাদীস

সহীহ মুসলিম

হাদীস নং: ১৩৫৬
আন্তর্জাতিক নং: ৬৫১ - ১
- মসজিদ ও নামাযের স্থান সমূহের বর্ণনা
৪২. জামাআতে নামায আদায়ের ফযীলত, তা বর্জনকারীর প্রতি কঠোরতা
১৩৫৬। আমর আন-নাকিদ (রাহঃ) ......... আবু হুরায়রা (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত যে, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) কোন এক নামাযে কোন কোন লোককে অনুপস্থিত পান। তখন তিনি বললেন, আমি সংকল্প করেছিলাম যে, কোন একজনকে এই মর্মে আদেশ করি যে, সে লোকদের নিয়ে নামায আদায় করূক এবং আমি তাদের পিছনে যাই, যারা নামাযে আসেনি। তারপর আমি নির্দেশ দেই যে, তাদের ঘর কাঠের আঁটি দ্বারা তাদেরসহ জালিয়ে দেওয়া হোক। তারা যদি জানত যে, এখানে আসলে উটের গোশত ভর্তি মোটা হ্যাঁড় পাওয়া যাবে, তবে নিশ্চয়ই এই নামাযে অর্থাৎ এশার নামাযে উপস্থিত হত।
كتاب المساجد ومواضع الصلاة
باب فَضْلِ صَلاَةِ الجَمَاعَةِ وَبَيَانِ التَّشْدِيدِ فِي التَّخَلُّفِ عَنْهَا
وَحَدَّثَنِي عَمْرٌو النَّاقِدُ، حَدَّثَنَا سُفْيَانُ بْنُ عُيَيْنَةَ، عَنْ أَبِي الزِّنَادِ، عَنِ الأَعْرَجِ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَقَدَ نَاسًا فِي بَعْضِ الصَّلَوَاتِ فَقَالَ " لَقَدْ هَمَمْتُ أَنْ آمُرَ رَجُلاً يُصَلِّي بِالنَّاسِ ثُمَّ أُخَالِفَ إِلَى رِجَالٍ يَتَخَلَّفُونَ عَنْهَا فَآمُرَ بِهِمْ فَيُحَرِّقُوا عَلَيْهِمْ بِحُزَمِ الْحَطَبِ بُيُوتَهُمْ وَلَوْ عَلِمَ أَحَدُهُمْ أَنَّهُ يَجِدُ عَظْمًا سَمِينًا لَشَهِدَهَا " . يَعْنِي صَلاَةَ الْعِشَاءِ .

মিশকাতুল মাসাবীহ

হাদীস নং: ১০৭৩
- নামাযের অধ্যায়
২৩. তৃতীয় অনুচ্ছেদ - জামাআত ও তার ফযীলত সম্পর্কে
১০৭৩। হযরত আবু হুরায়রা (রাঃ) নবী করীম (ﷺ) হইতে বর্ণনা করেন যে, তিনি বলিয়াছেনঃ যদি ঘরসমূহে স্ত্রীলোকসকল ও বালক-বালিকারা না থাকিত, তাহা হইলে আমি এশার নামাযের জামাআত কায়েম করিয়া আমার যুবকদিগকে আদেশ দিতাম তাহারা যেন ঘরে যাহা আছে সবকে আগুনে জ্বালাইয়া দেয়। —আহমদ
كتاب الصلاة
وَعَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ عَنِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: «لَوْلَا مَا فِي الْبُيُوتِ مِنَ النِّسَاءِ وَالذُّرِّيَّةِ أَقَمْتُ صَلَاةَ الْعِشَاءِ وَأَمَرْتُ فِتْيَانِي يُحْرِقُونَ مَا فِي الْبُيُوتِ بِالنَّارِ» . رَوَاهُ أَحْمد

সহীহ মুসলিম

হাদীস নং: ১৩৫৭
আন্তর্জাতিক নং: ৬৫১ - ২
- মসজিদ ও নামাযের স্থান সমূহের বর্ণনা
৪২. জামাআতে নামায আদায়ের ফযীলত, তা বর্জনকারীর প্রতি কঠোরতা
১৩৫৭। ইবনে নুমাইর (রাহঃ) আবু বকর ইবনে আবি শাঈবা (রাহঃ) ও আবু কুরায়ব (রাহঃ) ......... আবু হুরায়রা (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ বলেছেন যে, মুনাফিকদের জন্য সবচাইতে ভারী নামায হলো এশা ও ফজরের নামায। তারা যদি এই দুই নামাযে কী মর্যাদা আছে জানতে পারত; তবে হামাগুড়ি দিয়েও এ দুই নামাযে উপস্থিত হতো। আমি মনস্থ করেছিলাম যে, আমি নামায সম্পর্কে আদেশ করি যে, ইকামত দেওয়া হোক। এরপর একজনকে নির্দেশ করি যে, সে লোকদের নিয়ে-নামায কায়েম করুক। তারপর আমি লাকড়ীর বোঝাসহ একদল লোক নিয়ে সেই সব লোকের ঘরে চলে যাই যারা নামাযে উপস্থিত হয় না। অতঃপর তাদের ঘর আগুন দিয়ে তাদের সহ জ্বালিয়ে দেই।
كتاب المساجد ومواضع الصلاة
باب فَضْلِ صَلاَةِ الجَمَاعَةِ وَبَيَانِ التَّشْدِيدِ فِي التَّخَلُّفِ عَنْهَا
حَدَّثَنَا ابْنُ نُمَيْرٍ، حَدَّثَنَا أَبِي، حَدَّثَنَا الأَعْمَشُ، ح وَحَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، وَأَبُو كُرَيْبٍ - وَاللَّفْظُ لَهُمَا - قَالاَ حَدَّثَنَا أَبُو مُعَاوِيَةَ، عَنِ الأَعْمَشِ، عَنْ أَبِي صَالِحٍ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " إِنَّ أَثْقَلَ صَلاَةٍ عَلَى الْمُنَافِقِينَ صَلاَةُ الْعِشَاءِ وَصَلاَةُ الْفَجْرِ وَلَوْ يَعْلَمُونَ مَا فِيهِمَا لأَتَوْهُمَا وَلَوْ حَبْوًا وَلَقَدْ هَمَمْتُ أَنْ آمُرَ بِالصَّلاَةِ فَتُقَامَ ثُمَّ آمُرَ رَجُلاً فَيُصَلِّيَ بِالنَّاسِ ثُمَّ أَنْطَلِقَ مَعِي بِرِجَالٍ مَعَهُمْ حُزَمٌ مِنْ حَطَبٍ إِلَى قَوْمٍ لاَ يَشْهَدُونَ الصَّلاَةَ فَأُحَرِّقَ عَلَيْهِمْ بُيُوتَهُمْ بِالنَّارِ " .

সহীহ মুসলিম

হাদীস নং: ১৩৬২
আন্তর্জাতিক নং: ৬৫৪ - ১
- মসজিদ ও নামাযের স্থান সমূহের বর্ণনা
৪৩. যে ব্যক্তি আযান শোনে, মসজিদে আসা তার উপর ওয়াজিব
১৩৬২। আবু বকর ইবনে আবি শাঈবা (রাহঃ) ......... আব্দুল্লাহ (রাযিঃ) বলেন, আমরা দেখেছি যে, সেই সমস্ত মুনাফিক, যাদের মুনাফিকী সম্পর্কে জানাজানি হয়ে পড়েছিল তারা এবং রোগী ব্যক্তিরা ব্যতীত অন্য কেউ জামাআতে অনুপস্থিত থাকে না; যে সব রোগী দুই জনের কাঁধে ভর করে চলতে সক্ষম তারাও জামাআতে শরীক হতো। তারপর আব্দুল্লাহ (রাযিঃ) বলেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) আমাদেরকে হিদায়াতের রীতিনীতি শিক্ষা দিয়েছেন। এই সকল রীতিনীতির একটি হল সেই মসজিদে নামায আদায় করা যেখানে আযান দেয়া হয়েছে।
كتاب المساجد ومواضع الصلاة
باب يَجِبُ إِتْيَانُ الْمَسْجِدِ عَلَى مَنْ سَمِعَ النِّدَاءَ
حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ بِشْرٍ الْعَبْدِيُّ، حَدَّثَنَا زَكَرِيَّاءُ بْنُ أَبِي زَائِدَةَ، حَدَّثَنَا عَبْدُ الْمَلِكِ بْنُ عُمَيْرٍ، عَنْ أَبِي الأَحْوَصِ، قَالَ قَالَ عَبْدُ اللَّهِ لَقَدْ رَأَيْتُنَا وَمَا يَتَخَلَّفُ عَنِ الصَّلاَةِ إِلاَّ مُنَافِقٌ قَدْ عُلِمَ نِفَاقُهُ أَوْ مَرِيضٌ إِنْ كَانَ الْمَرِيضُ لَيَمْشِي بَيْنَ رَجُلَيْنِ حَتَّى يَأْتِيَ الصَّلاَةَ - وَقَالَ - إِنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم عَلَّمَنَا سُنَنَ الْهُدَى وَإِنَّ مِنْ سُنَنِ الْهُدَى الصَّلاَةَ فِي الْمَسْجِدِ الَّذِي يُؤَذَّنُ فِيهِ .

সহীহ মুসলিম

হাদীস নং: ১৩৬৩
আন্তর্জাতিক নং: ৬৫৪ - ২
- মসজিদ ও নামাযের স্থান সমূহের বর্ণনা
৪৩. যে ব্যক্তি আযান শোনে, মসজিদে আসা তার উপর ওয়াজিব
১৩৬৩। আবু বকর ইবনে আবি শাঈবা (রাহঃ) ......... আব্দুল্লাহ (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, যে ব্যক্তি পছন্দ করে যে, আগামীকাল বিচার দিবসে সে মুসলমান হিসাবে আল্লাহ সাক্ষাত লাভ করবে, তার উচিত এই নামাযসমুহের সংরক্ষণ করা, যেখানে নামাযের জন্য আহবান করা হয়। কারণ, আল্লাহ তোমাদের নবীকে হিদায়াতের সকল পথ বাতলে দিয়েছেন। আর এই সমস্ত নামায হল হিদায়াতের পথ সমুহের অন্যতম। তোমরা যদি এই সকল নামায ঘরে আদায় কর, যেমন একদল লোক জামাআত ছেড়ে ঘরে নামায আদায় করে, তাহলে তোমরা তোমাদের নবীর সুন্নতকে ছেড়ে দিলে। তোমরা যদি নবীর সুন্নত ছেড়ে দাও, তাহলে তোমরা অবশ্যই গুমরাহ হয়ে যাবে। যে উত্তমরূপে পবিত্র হয়ে এই সকল মসজিদের একটির দিকে অগ্রসর হবে তার প্রত্যেক কদমের জন্য একটি করে নেকী লেখা হবে এবং তার একটি মর্যাদা বৃদ্ধি পাবে এবং একটি গুনাহ মাফ করা হবে। তারপর একমাত্র প্রকাশ্য মুনাফিক ছাড়া আর কাউকে জামাআত থেকে বাদ পড়তে আমরা দেখিনি। অনেক লোক দু’ জনের কাঁধে ভর করে হেচঁড়িয়ে হেচঁড়িয়ে মসজিদে আসত এবং তাদের সারিতে দাঁড় করিয়া দেয়া হতো।
كتاب المساجد ومواضع الصلاة
باب يَجِبُ إِتْيَانُ الْمَسْجِدِ عَلَى مَنْ سَمِعَ النِّدَاءَ
حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، حَدَّثَنَا الْفَضْلُ بْنُ دُكَيْنٍ، عَنْ أَبِي الْعُمَيْسِ، عَنْ عَلِيِّ بْنِ الأَقْمَرِ، عَنْ أَبِي الأَحْوَصِ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ، قَالَ مَنْ سَرَّهُ أَنْ يَلْقَى اللَّهَ غَدًا مُسْلِمًا فَلْيُحَافِظْ عَلَى هَؤُلاَءِ الصَّلَوَاتِ حَيْثُ يُنَادَى بِهِنَّ فَإِنَّ اللَّهَ شَرَعَ لِنَبِيِّكُمْ صلى الله عليه وسلم سُنَنَ الْهُدَى وَإِنَّهُنَّ مِنْ سُنَنِ الْهُدَى وَلَوْ أَنَّكُمْ صَلَّيْتُمْ فِي بُيُوتِكُمْ كَمَا يُصَلِّي هَذَا الْمُتَخَلِّفُ فِي بَيْتِهِ لَتَرَكْتُمْ سُنَّةَ نَبِيِّكُمْ وَلَوْ تَرَكْتُمْ سُنَّةَ نَبِيِّكُمْ لَضَلَلْتُمْ وَمَا مِنْ رَجُلٍ يَتَطَهَّرُ فَيُحْسِنُ الطُّهُورَ ثُمَّ يَعْمِدُ إِلَى مَسْجِدٍ مِنْ هَذِهِ الْمَسَاجِدِ إِلاَّ كَتَبَ اللَّهُ لَهُ بِكُلِّ خَطْوَةٍ يَخْطُوهَا حَسَنَةً وَيَرْفَعُهُ بِهَا دَرَجَةً وَيَحُطُّ عَنْهُ بِهَا سَيِّئَةً وَلَقَدْ رَأَيْتُنَا وَمَا يَتَخَلَّفُ عَنْهَا إِلاَّ مُنَافِقٌ مَعْلُومُ النِّفَاقِ وَلَقَدْ كَانَ الرَّجُلُ يُؤْتَى بِهِ يُهَادَى بَيْنَ الرَّجُلَيْنِ حَتَّى يُقَامَ فِي الصَّفِّ .