আল জামিউস সহীহ- ইমাম বুখারী রহঃ

الجامع الصحيح للبخاري

১৮- তাহাজ্জুদ - নফল নামাযের অধ্যায় - এর পরিচ্ছেদসমূহ

মোট হাদীস টি

হাদীস নং: ১০৮৭
আন্তর্জাতিক নং: ১১৫৪
- তাহাজ্জুদ - নফল নামাযের অধ্যায়
৭৩৫. যে ব্যক্তি রাত জেগে নামায আদায় করে তাঁর ফযীলত।
১০৮৭। সাদাকা ইবনে ফযল (রাহঃ) ......... উবাদা ইবনে সামিত (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, নবী (ﷺ) বলেছেনঃ যে ব্যক্তি রাতে জেগে ওঠে এ দুআ পড়ে ......لاَ إِلَهَ إِلاَّ اللَّهُ
এক আল্লাহ্ ব্যতীত সত্য কোন ইলাহ নেই। তিনি এক, তাঁর কোন শরীক নেই। রাজ্য তাঁরই। যাবতীয় প্রশংসা তাঁরই। তিনিই সব কিছুর উপরে শক্তিমান। যাবতীয় হামদ আল্লাহরই জন্য, আল্লাহ্ তাআলা পবিত্র, আল্লাহ্ ব্যতীত ইলাহ্ নেই। আল্লাহ মহান, গুনাহ থেকে বাঁচার এবং নেক কাজ করার কোন শক্তি নেই আল্লাহর তাওফীক ব্যতীত। তারপর বলে, ইয়া আল্লাহ্! আমাকে ক্ষমা করুন। বা (অন্য কোন) দুআ করে, তাঁর দুআ কবুল করা হয়। এরপর উযু করে (নামায আদায় করলে) তার নামায কবুল করা হয়।
كتاب التهجّد
باب فَضْلِ مَنْ تَعَارَّ مِنَ اللَّيْلِ فَصَلَّى
1154 - حَدَّثَنَا صَدَقَةُ بْنُ الفَضْلِ، أَخْبَرَنَا الوَلِيدُ هُوَ ابْنُ مُسْلِمٍ، حَدَّثَنَا الأَوْزَاعِيُّ، قَالَ: حَدَّثَنِي عُمَيْرُ بْنُ هَانِئٍ، قَالَ: حَدَّثَنِي جُنَادَةُ بْنُ أَبِي أُمَيَّةَ، حَدَّثَنِي عُبَادَةُ بْنُ الصَّامِتِ، عَنِ النَّبِيِّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: " مَنْ تَعَارَّ مِنَ اللَّيْلِ، فَقَالَ: لاَ إِلَهَ إِلَّا اللَّهُ وَحْدَهُ لاَ شَرِيكَ لَهُ، لَهُ المُلْكُ وَلَهُ الحَمْدُ، وَهُوَ عَلَى كُلِّ شَيْءٍ قَدِيرٌ، الحَمْدُ لِلَّهِ، وَسُبْحَانَ اللَّهِ، وَلاَ إِلَهَ إِلَّا اللَّهُ، وَاللَّهُ أَكْبَرُ، وَلاَ حَوْلَ وَلاَ قُوَّةَ إِلَّا بِاللَّهِ، ثُمَّ قَالَ: اللَّهُمَّ اغْفِرْ لِي، أَوْ دَعَا، اسْتُجِيبَ لَهُ، فَإِنْ تَوَضَّأَ وَصَلَّى قُبِلَتْ صَلاَتُهُ "
হাদীস নং: ১০৮৮
আন্তর্জাতিক নং: ১১৫৫
- তাহাজ্জুদ - নফল নামাযের অধ্যায়
৭৩৫. যে ব্যক্তি রাত জেগে নামায আদায় করে তাঁর ফযীলত।
১০৮৮। ইয়াহয়া ইবনে বুকাইর (রাহঃ) ......... হায়সাম ইবনে আবু সিনান থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, আবু হুরায়রা (রাযিঃ) তাঁর ওয়ায বর্ণনাকালে রাসূলুল্লাহ (ﷺ) এর আলোচনা প্রসঙ্গে বলেন, তোমাদের এক ভাই অর্থাৎ আব্দুল্লাহ ইবনে রাওয়াহা (রাযিঃ) অনর্থক কথা বলেন নি।*
“আর আমাদের মাঝে বর্তমান রয়েছেন আল্লাহর রাসূল, যিনি আল্লাহর কিতাব তিলাওয়াত করেন, যখন উদ্ভাসিত হয় ভোরের আলো। গোমরাহীর পর তিনি আমাদের হিদায়াতের পথ দেখিয়েছেন, তাই আমাদের হৃদয়সমূহ, তাঁর প্রতি নিশ্চিত বিশ্বাস স্থাপনকারী যে, তিনি যা বলেছেন তা অবশ্য সত্য। তিনি রাত কাটান শয্যা থেকে পার্শ্বকে দূরে সরিয়ে রেখে, যখন মুশরিকরা শয্যাগুলোতে নিদ্রামগ্ন থাকে।”
আর উকাইল (রাহঃ) ইউনুস (রাহঃ)-এর অনুসরণ করেছেন। যুবায়দী (রাহঃ) ......... আবু হুরায়রা (রাযিঃ) সূত্রেও তা বর্ণনা করেছেন।

* আব্দুল্লাহ ইবনে রাওয়াহা আনসারী (রাযিঃ) কর্তৃক রাসূলুল্লাহ (ﷺ) এর প্রশংসায় রচিত কবিতার কয়েকটি পংক্তি। তিনি মুতা যুদ্ধে শাহাদাত বরণ করেন।
كتاب التهجّد
باب فَضْلِ مَنْ تَعَارَّ مِنَ اللَّيْلِ فَصَلَّى
1155 - حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ بُكَيْرٍ، قَالَ: حَدَّثَنَا اللَّيْثُ، عَنْ يُونُسَ، عَنِ ابْنِ شِهَابٍ، أَخْبَرَنِي الهَيْثَمُ بْنُ أَبِي سِنَانٍ، أَنَّهُ سَمِعَ أَبَا هُرَيْرَةَ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ [ص:55]، وَهُوَ يَقُصُّ فِي قَصَصِهِ، وَهُوَ يَذْكُرُ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «إِنَّ أَخًا لَكُمْ لاَ يَقُولُ الرَّفَثَ» يَعْنِي بِذَلِكَ عَبْدَ اللَّهِ بْنَ رَوَاحَةَ
[البحر الطويل]
وَفِينَا رَسُولُ اللَّهِ يَتْلُو كِتَابَهُ ... إِذَا انْشَقَّ مَعْرُوفٌ مِنَ الفَجْرِ سَاطِعُ
أَرَانَا الهُدَى بَعْدَ العَمَى فَقُلُوبُنَا ... بِهِ مُوقِنَاتٌ أَنَّ مَا قَالَ وَاقِعُ
يَبِيتُ يُجَافِي جَنْبَهُ عَنْ فِرَاشِهِ ... إِذَا اسْتَثْقَلَتْ بِالْمُشْرِكِينَ المَضَاجِعُ "
تَابَعَهُ عُقَيْلٌ، وَقَالَ الزُّبَيْدِيُّ: أَخْبَرَنِي الزُّهْرِيُّ، عَنْ سَعِيدٍ، وَالأَعْرَجِ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ
হাদীস নং: ১০৮৯
আন্তর্জাতিক নং: ১১৫৬ - ১১৫৮
- তাহাজ্জুদ - নফল নামাযের অধ্যায়
৭৩৫. যে ব্যক্তি রাত জেগে নামায আদায় করে তাঁর ফযীলত।
১০৮৯। আবু নু’মান (রাহঃ) ......... ইবনে উমর (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, নবী (ﷺ) এর সময়ে আমি (এক রাতে) স্বপ্নে দেখলাম যেন আমার হাতে একখণ্ড মোটা রেশমী কাপড় রয়েছে এবং যেন আমি জান্নাতের যে কোন স্থানে যেতে ইচ্ছা করছি, কাপড় (আমাকে) সেখানে উড়িয়ে নিয়ে যাচ্ছে। অপর একটি স্বপ্নে আমি দেখলাম, যেন দু’জন ফিরিশতা আমার কাছে এসে আমাকে জাহান্নামের দিকে নিয়ে যেতে চাচ্ছেন। তখন অন্য একজন ফিরিশতা তাঁদের সামনে এসে বললেন, তোমার কোন ভয় নেই। (আর ঐ দু’জনকে বললেন) তাকে ছেড়ে দাও।
(উম্মুল মু’মিনীন) হাফসা (রাযিঃ) আমার স্বপ্নদ্বয়ের একটি নবী (ﷺ) এর নিকট বর্ণনা করলে তিনি বললেনঃ আব্দুল্লাহ্ (রাযিঃ) কত ভাল লোক! যদি সে রাতের বেলা নামায (তাহাজ্জুদ) আদায় করত। এরপর থেকে আব্দুল্লাহ্ (রাযিঃ) রাতের এক অংশে নামায আদায় করতেন।
সাহবীগণ নবী (ﷺ) এর নিকট (তাঁদের দেখা) স্বপ্নের বর্ণনা দিলেন, লাইলাতুল কদর রমযানের শেষ দশকের সপ্তম রাতে। তখন নবী (ﷺ) বললেনঃ আমি মনে করি যে, (লাইলাতুল কদর শেষ দশকে হওয়ার ব্যাপারে) তোমাদের স্বপ্নগুলোর মধ্যে পরস্পর মিল রয়েছে। কাজেই যে ব্যক্তি লাইলাতুল কদরের অনুসন্ধান করতে চায়, সে যেন তা (রমযানের) শেষ দশকে অনুসন্ধান করে।
كتاب التهجّد
باب فَضْلِ مَنْ تَعَارَّ مِنَ اللَّيْلِ فَصَلَّى
1156 - حَدَّثَنَا أَبُو النُّعْمَانِ، حَدَّثَنَا حَمَّادُ بْنُ زَيْدٍ، عَنْ أَيُّوبَ، عَنْ نَافِعٍ، عَنِ ابْنِ عُمَرَ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُمَا، قَالَ: رَأَيْتُ عَلَى عَهْدِ النَّبِيِّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ كَأَنَّ بِيَدِي قِطْعَةَ إِسْتَبْرَقٍ، فَكَأَنِّي لاَ أُرِيدُ مَكَانًا مِنَ الجَنَّةِ إِلَّا طَارَتْ إِلَيْهِ، وَرَأَيْتُ كَأَنَّ اثْنَيْنِ أَتَيَانِي أَرَادَا أَنْ يَذْهَبَا بِي إِلَى النَّارِ، فَتَلَقَّاهُمَا مَلَكٌ، فَقَالَ: لَمْ تُرَعْ خَلِّيَا عَنْهُ،
1157 - فَقَصَّتْ حَفْصَةُ عَلَى النَّبِيِّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ إِحْدَى رُؤْيَايَ، فَقَالَ النَّبِيُّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «نِعْمَ الرَّجُلُ عَبْدُ اللَّهِ لَوْ كَانَ يُصَلِّي مِنَ اللَّيْلِ» فَكَانَ عَبْدُ اللَّهِ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ يُصَلِّي مِنَ اللَّيْلِ،
1158 - وَكَانُوا لاَ يَزَالُونَ يَقُصُّونَ عَلَى النَّبِيِّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ الرُّؤْيَا أَنَّهَا فِي اللَّيْلَةِ السَّابِعَةِ مِنَ العَشْرِ الأَوَاخِرِ، فَقَالَ النَّبِيُّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «أَرَى رُؤْيَاكُمْ قَدْ تَوَاطَأَتْ فِي العَشْرِ الأَوَاخِرِ، فَمَنْ كَانَ مُتَحَرِّيَهَا فَلْيَتَحَرَّهَا مِنَ العَشْرِ الأَوَاخِرِ»