আল জামিউস সহীহ- ইমাম বুখারী রহঃ
الجامع الصحيح للبخاري
৫০- নবীজীর সাঃ যুদ্ধাভিযানসমূহ - এর পরিচ্ছেদসমূহ
মোট হাদীস ২০ টি
হাদীস নং: ৩৮৪১
আন্তর্জাতিক নং: ৪১৪৭
- নবীজীর সাঃ যুদ্ধাভিযানসমূহ
২১৯৯. হুদায়বিয়ার যুদ্ধ। মহান আল্লাহর বাণীঃ মু’মিনগণ যখন গাছের নীচে আপনার নিকট বায়‘আত গ্রহণ করল তখন আল্লাহ তাদের প্রতি সন্তুষ্ট হলেন.... (৪৮:১৮)
৩৮৪১। খালিদ ইবনে মাখলাদ (রাহঃ) .... যায়দ ইবনে খালিদ (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, হুদায়বিয়ার যুদ্ধের বছর আমরা রাসূলুল্লাহ (ﷺ)- এর সঙ্গে বের হলাম। এক রাতে খুব বৃষ্টি হল। রাসূলুল্লাহ (ﷺ) আমাদেরকে নিয়ে ফজরের নামায আদায় করলেন। এরপরে আমাদের দিকে ফিরে বললেন, তোমরা জানো কি তোমাদের রব কি বলেছেন? আমরা বললাম, আল্লাহ ও আল্লাহর রাসূলই অধিক জানেন। তখন তিনি বললেন, আল্লাহ তাআলা বলেছেন (এ বৃষ্টির কারণে) আমার কতিপয় বান্দা আমার প্রতি ঈমান এনে মু’মিন হয়েছে, আবার কেউ কেউ আমাকে অমান্য করে কাফের হয়েছে। যারা বলেছে, আল্লাহর রহমত, আল্লাহর করুণা এবং আল্লাহর রিযিক প্রদানের পূর্বাভাস হিসাবে আমাদের প্রতি বৃষ্টি হয়েছে, তারা আমার প্রতি বিশ্বাস স্থাপনকারী মু’মিন এবং নক্ষত্রের প্রভাব অস্বীকারকারী। আর যারা বলেছে যে, অমুক তারকার কারণে বৃষ্টি হয়েছে, তারা তারকার প্রতি ঈমান আনয়নকারী এবং আমাকে অস্বীকারকারী কাফের।
كتاب المغازى
باب غَزْوَةِ الْحُدَيْبِيَةِ وَقَوْلِ اللَّهِ تَعَالَى: {لَقَدْ رَضِيَ اللَّهُ عَنِ الْمُؤْمِنِينَ إِذْ يُبَايِعُونَكَ تَحْتَ الشَّجَرَةِ.... الايه
4147 - حَدَّثَنَا خَالِدُ بْنُ مَخْلَدٍ، حَدَّثَنَا سُلَيْمَانُ بْنُ بِلاَلٍ، قَالَ: حَدَّثَنِي صَالِحُ [ص:122] بْنُ كَيْسَانَ، عَنْ عُبَيْدِ اللَّهِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ، عَنْ زَيْدِ بْنِ خَالِدٍ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ، قَالَ: خَرَجْنَا مَعَ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ عَامَ الحُدَيْبِيَةِ، فَأَصَابَنَا مَطَرٌ ذَاتَ لَيْلَةٍ، فَصَلَّى لَنَا رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ الصُّبْحَ، ثُمَّ أَقْبَلَ عَلَيْنَا فَقَالَ: «أَتَدْرُونَ مَاذَا قَالَ رَبُّكُمْ؟» . قُلْنَا: اللَّهُ وَرَسُولُهُ أَعْلَمُ، فَقَالَ: " قَالَ اللَّهُ: أَصْبَحَ مِنْ عِبَادِي مُؤْمِنٌ بِي وَكَافِرٌ بِي، فَأَمَّا مَنْ قَالَ: مُطِرْنَا بِرَحْمَةِ اللَّهِ وَبِرِزْقِ اللَّهِ وَبِفَضْلِ اللَّهِ، فَهُوَ مُؤْمِنٌ بِي، كَافِرٌ بِالكَوْكَبِ، وَأَمَّا مَنْ قَالَ: مُطِرْنَا بِنَجْمِ كَذَا، فَهُوَ مُؤْمِنٌ بِالكَوْكَبِ كَافِرٌ بِي "
তাহকীক:
হাদীস নং: ৩৮৪২
আন্তর্জাতিক নং: ৪১৪৮
- নবীজীর সাঃ যুদ্ধাভিযানসমূহ
২১৯৯. হুদায়বিয়ার যুদ্ধ।
৩৮৪২। হুদবা ইবনে খালিদ (রাহঃ) .... আনাস (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) চারটি উমরা পালন করেছেন। তিনি হজ্জের সাথে যে উমরাটি পালন করেছিলেন সেটি ব্যতীত সবকটিই যিলকদ মাসে পালন করেছেন। হুদায়বিয়া নামক স্থানে যে উমরাটি পালন করেছিলেন, সেটি ছিল যিলকদ মাসে এবং হুনায়নের যুদ্ধলব্ধ সম্পদ যে জিঈরানা নামক স্থানে বন্টন করেছিলেন, সেখান থেকে যে উমরাটি করা হয়েছিল তাও ছিল যিলকদ মাসে, আর তিনি হজ্জের সাথে একটি উমরা পালন করেন।
كتاب المغازى
باب غَزْوَةِ الْحُدَيْبِيَةِ
4148 - حَدَّثَنَا هُدْبَةُ بْنُ خَالِدٍ، حَدَّثَنَا هَمَّامٌ، عَنْ قَتَادَةَ، أَنَّ أَنَسًا رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ، أَخْبَرَهُ قَالَ: " اعْتَمَرَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَرْبَعَ عُمَرٍ، كُلَّهُنَّ فِي ذِي القَعْدَةِ، إِلَّا الَّتِي كَانَتْ مَعَ حَجَّتِهِ: عُمْرَةً مِنَ الحُدَيْبِيَةِ فِي ذِي القَعْدَةِ، وَعُمْرَةً مِنَ العَامِ المُقْبِلِ فِي ذِي القَعْدَةِ، وَعُمْرَةً مِنَ الجِعْرَانَةِ، حَيْثُ قَسَمَ غَنَائِمَ حُنَيْنٍ فِي ذِي القَعْدَةِ، وَعُمْرَةً مَعَ حَجَّتِهِ "
তাহকীক:
হাদীস নং: ৩৮৪৩
আন্তর্জাতিক নং: ৪১৪৯
- নবীজীর সাঃ যুদ্ধাভিযানসমূহ
২১৯৯. হুদায়বিয়ার যুদ্ধ।
৩৮৪৩। সাঈদ ইবনে রাবী (রাহঃ) .... আবু কাতাদা (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, হুদায়বিয়ার যুদ্ধের বছর আমরা নবী কারীম (ﷺ)- এর সঙ্গে রওয়ানা করেছিলাম। এ সময় তাঁর সাহাবীগণ ইহরাম বেঁধেছিলেন কিন্তু আমি ইহরাম বাঁধিনি।
كتاب المغازى
باب غَزْوَةِ الْحُدَيْبِيَةِ
4149 - حَدَّثَنَا سَعِيدُ بْنُ الرَّبِيعِ، حَدَّثَنَا عَلِيُّ بْنُ المُبَارَكِ، عَنْ يَحْيَى، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ أَبِي قَتَادَةَ، أَنَّ أَبَاهُ، حَدَّثَهُ قَالَ: انْطَلَقْنَا مَعَ النَّبِيِّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ عَامَ الحُدَيْبِيَةِ، فَأَحْرَمَ أَصْحَابُهُ وَلَمْ أُحْرِمْ "
তাহকীক:
হাদীস নং: ৩৮৪৪
আন্তর্জাতিক নং: ৪১৫০
- নবীজীর সাঃ যুদ্ধাভিযানসমূহ
২১৯৯. হুদায়বিয়ার যুদ্ধ।
৩৮৪৪। উবাইদুল্লাহ ইবনে মুসা (রাহঃ) .... বারা (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, মক্কা বিজয়কে তোমরা মূল বিজয় মনে করছ। অথচ মক্কা বিজয়ও একটি বিজয়। কিন্তু হুদায়বিয়ার দিনে অনুষ্ঠিত বায়আতে রিদওয়ানকে আমরা মূল বিজয় বলে মনে করি। সে সময় আমরা চৌদ্দ’শ সাহাবী নবী কারীম (ﷺ)- এর সঙ্গে ছিলাম। হুদায়বিয়া একটি কূপ। আমরা তা’ থেকে পানি উঠাতে উঠাতে তার মধ্যে এক বিন্দুও অবশিষ্ট রাখিনি। আর এ সংবাদ নবী কারীম (ﷺ)- এর কাছে পৌঁছলে তিনি এসে সে কূপের পাড়ে বসলেন। এরপর এক পাত্র পানি আনিয়ে উযু করলেন এবং কুলি করলেন।পরিশেষে দু'আ করে অবশিষ্ট পানি কূপের মধ্যে ফেলে দিলেন। আমরা অল্প কিছুক্ষণ পর্যন্ত কূপের পানি উঠানো বন্ধ রাখলাম। এরপর আমরা আমাদের নিজেদের ও আরোহী পশুর জন্য প্রচুর পানি কূপ থকে বের করলাম।
كتاب المغازى
باب غَزْوَةِ الْحُدَيْبِيَةِ
4150 - حَدَّثَنَا عُبَيْدُ اللَّهِ بْنُ مُوسَى، عَنْ إِسْرَائِيلَ، عَنْ أَبِي إِسْحَاقَ، عَنِ البَرَاءِ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ، قَالَ: تَعُدُّونَ أَنْتُمُ الفَتْحَ فَتْحَ مَكَّةَ، وَقَدْ كَانَ فَتْحُ مَكَّةَ فَتْحًا، وَنَحْنُ نَعُدُّ الفَتْحَ بَيْعَةَ الرِّضْوَانِ يَوْمَ الحُدَيْبِيَةِ، كُنَّا مَعَ النَّبِيِّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَرْبَعَ عَشْرَةَ مِائَةً، وَالحُدَيْبِيَةُ بِئْرٌ، فَنَزَحْنَاهَا فَلَمْ نَتْرُكْ فِيهَا قَطْرَةً، فَبَلَغَ ذَلِكَ النَّبِيَّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَأَتَاهَا، فَجَلَسَ عَلَى شَفِيرِهَا ثُمَّ «دَعَا بِإِنَاءٍ مِنْ مَاءٍ فَتَوَضَّأَ، ثُمَّ مَضْمَضَ وَدَعَا ثُمَّ صَبَّهُ فِيهَا، فَتَرَكْنَاهَا غَيْرَ بَعِيدٍ، ثُمَّ إِنَّهَا أَصْدَرَتْنَا مَا شِئْنَا نَحْنُ وَرِكَابَنَا»
তাহকীক:
হাদীস নং: ৩৮৪৫
আন্তর্জাতিক নং: ৪১৫১
- নবীজীর সাঃ যুদ্ধাভিযানসমূহ
২১৯৯. হুদায়বিয়ার যুদ্ধ।
৩৮৪৫। ফযল ইবনে ইয়াকুব (রাহঃ) .... আবু ইসহাক (রাহঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমাকে বারা ইবনে আযিব (রাযিঃ) সংবাদ দিয়েছেন যে, হুদায়বিয়ার যুদ্ধের দিন তাঁরা চৌদ্দশ কিংবা তার চেয়ে অধিক লোক রাসূলুল্লাহ (ﷺ)- এর সঙ্গে ছিলেন। তখন তারা একটি কূপের পার্শ্বে অবতরণ করেন এবং তা থেকে পানি উত্তোলন করতে থাকেন। (এতে সব পানি নিঃশেষ হয়ে যায়) তারা রাসূলুল্লাহ (ﷺ)- এর কাছে এসে এ সংবাদ জানালেন। তখন তিনি কূপটির কাছে এসে এর পাড়ে বসলেন। এরপর বললেন, আমার কাছে এই কূপের এক বালতি পানি নিয়ে আস। তখন তা নিয়ে দেয়া হল। তিনি এতে থুথু ফেললেন এবং দু'আ করলেন। এরপর তিনি বললেন, এ থেকে কিছুক্ষণের জন্য তোমরা পানি উঠানো বন্ধ রাখ। এরপর সকলেই নিজেদের ও আরোহী জীবসমূহের জন্য পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি সংগ্রহ করলেন এবং পরে চলে গেলেন।
كتاب المغازى
باب غَزْوَةِ الْحُدَيْبِيَةِ
4151 - حَدَّثَنِي فَضْلُ بْنُ يَعْقُوبَ، حَدَّثَنَا الحَسَنُ بْنُ مُحَمَّدِ بْنِ أَعْيَنَ أَبُو عَلِيٍّ الحَرَّانِيُّ، حَدَّثَنَا زُهَيْرٌ، حَدَّثَنَا أَبُو إِسْحَاقَ، قَالَ: أَنْبَأَنَا البَرَاءُ بْنُ عَازِبٍ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُمَا، أَنَّهُمْ كَانُوا مَعَ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَوْمَ الحُدَيْبِيَةِ أَلْفًا وَأَرْبَعَ مِائَةٍ أَوْ أَكْثَرَ، فَنَزَلُوا عَلَى بِئْرٍ فَنَزَحُوهَا، فَأَتَوْا رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، فَأَتَى البِئْرَ وَقَعَدَ عَلَى شَفِيرِهَا، ثُمَّ قَالَ: «ائْتُونِي بِدَلْوٍ مِنْ مَائِهَا» ، فَأُتِيَ بِهِ، فَبَصَقَ فَدَعَا، ثُمَّ قَالَ: «دَعُوهَا سَاعَةً» . فَأَرْوَوْا أَنْفُسَهُمْ وَرِكَابَهُمْ حَتَّى ارْتَحَلُوا
তাহকীক:
হাদীস নং: ৩৮৪৬
আন্তর্জাতিক নং: ৪১৫২
- নবীজীর সাঃ যুদ্ধাভিযানসমূহ
২১৯৯. হুদায়বিয়ার যুদ্ধ।
৩৮৪৬। ইউসুফ ইবনে ঈসা (রাহঃ) .... জাবির (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, হুদায়বিয়ার দিন লোকেরা পিপাসার্ত হয়ে পড়লেন। এ সময় রাসূলুল্লাহ (ﷺ)- এর নিকট একটি চর্মপাত্র ভর্তি পানি ছিল মাত্র। তিনি তা দিয়ে উযু করলেন। তখন লোকেরা তাঁর প্রতি এগিয়ে আসলে তিনি তাদেরকে বললেন, কি হয়েছে তোমাদের? তারা বললেন, ইয়া রাসূলাল্লাহ! আপনার চর্মপাত্রের পানি ব্যতীত আমাদের কাছে এমন কোনো পানি নেই যার দ্বারা আমরা উযু করব এবং যা আমরা পান করব। বর্ণনাকারী জাবির (রাযিঃ) বলেন, এরপর নবী কারীম (ﷺ) তাঁর মুবারক হাতখানা ঐ চর্মপাত্রে রাখলেন। অমনি তার আঙ্গুলগুলোর মধ্যস্থল থেকে ঝরণাধারার মত পানি উথলিয়ে উঠতে লাগলো। জাবির (রাযিঃ) বলেন, আমরা সে পানি পান করলাম এবং তা দিয়ে উযু করলাম। [সালিম (রাহঃ) বলেন] আমি জাবির (রাযিঃ)-কে জিজ্ঞাসা করলাম, আপনারা সেদিন কতজন লোক ছিলেন? তিনি বললেন, আমাদের সংখ্যা এক লাখ হলেও এ পানিই আমাদের জন্য যথেষ্ট হত। আমরা ছিলাম তখন পনেরশ লোক মাত্র।*
*হুদায়বিয়ার যুদ্ধে রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ)-এর সাথে অংশগ্রহণকারী সাহাবাদের সংখ্যা কোন হাদীসে চৌদ্দশ, কোন হাদীসে পনেরশ আবার কোন হাদীসে তেরশ'র কথা উল্লেখ আছে। আসলে সংখ্যা কত, এ প্রশ্নের জবাবে আল্লামা কিরমানী (রাহঃ) বলেছেন, যারা বৃদ্ধ, যুবক ও কিশোর সকলকে গণনা করেছেন, তাঁরা বলেছেন পনেরশ, আর যারা বৃদ্ধ ও যুবকদেরকে গণনা করেননি তারা বলেছেন চৌদ্দশ, আর যারা শুধু বৃদ্ধদেরকে গণনা করেছেন, তাঁরা বলেছেন তেরশ। মূলত এ কথার মধ্যে কোন সংঘাত নেই। এর জবাবে আল্লামা নববী (রাহঃ) বলেছেন, সাহাবাদের সংখ্যা চৌদ্দশ'র কিছু বেশি ছিল। কেউ ভগ্নাংশ সহ পনেরশ উল্লেখ করেছেন। আবার কেউ ভগ্নাংশ বাদ দিয়ে চৌদ্দশ বর্ণনা করেছেন। আর যারা তেরশ উল্লেখ করেছেন, মূলত তাদের সংখ্যা জানা ছিল না।
*হুদায়বিয়ার যুদ্ধে রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ)-এর সাথে অংশগ্রহণকারী সাহাবাদের সংখ্যা কোন হাদীসে চৌদ্দশ, কোন হাদীসে পনেরশ আবার কোন হাদীসে তেরশ'র কথা উল্লেখ আছে। আসলে সংখ্যা কত, এ প্রশ্নের জবাবে আল্লামা কিরমানী (রাহঃ) বলেছেন, যারা বৃদ্ধ, যুবক ও কিশোর সকলকে গণনা করেছেন, তাঁরা বলেছেন পনেরশ, আর যারা বৃদ্ধ ও যুবকদেরকে গণনা করেননি তারা বলেছেন চৌদ্দশ, আর যারা শুধু বৃদ্ধদেরকে গণনা করেছেন, তাঁরা বলেছেন তেরশ। মূলত এ কথার মধ্যে কোন সংঘাত নেই। এর জবাবে আল্লামা নববী (রাহঃ) বলেছেন, সাহাবাদের সংখ্যা চৌদ্দশ'র কিছু বেশি ছিল। কেউ ভগ্নাংশ সহ পনেরশ উল্লেখ করেছেন। আবার কেউ ভগ্নাংশ বাদ দিয়ে চৌদ্দশ বর্ণনা করেছেন। আর যারা তেরশ উল্লেখ করেছেন, মূলত তাদের সংখ্যা জানা ছিল না।
كتاب المغازى
باب غَزْوَةِ الْحُدَيْبِيَةِ
4152 - حَدَّثَنَا يُوسُفُ بْنُ عِيسَى، حَدَّثَنَا ابْنُ فُضَيْلٍ، حَدَّثَنَا حُصَيْنٌ، عَنْ سَالِمٍ، عَنْ جَابِرٍ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ، قَالَ: عَطِشَ النَّاسُ يَوْمَ الحُدَيْبِيَةِ، وَرَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ بَيْنَ يَدَيْهِ رَكْوَةٌ فَتَوَضَّأَ مِنْهَا، ثُمَّ أَقْبَلَ النَّاسُ نَحْوَهُ، فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «مَا لَكُمْ؟» قَالُوا يَا رَسُولَ اللَّهِ: لَيْسَ عِنْدَنَا مَاءٌ نَتَوَضَّأُ بِهِ وَلاَ [ص:123] نَشْرَبُ، إِلَّا مَا فِي رَكْوَتِكَ، قَالَ: «فَوَضَعَ النَّبِيُّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَدَهُ فِي الرَّكْوَةِ، فَجَعَلَ المَاءُ يَفُورُ مِنْ بَيْنِ أَصَابِعِهِ كَأَمْثَالِ العُيُونِ» . قَالَ: فَشَرِبْنَا وَتَوَضَّأْنَا فَقُلْتُ لِجَابِرٍ: كَمْ كُنْتُمْ يَوْمَئِذٍ؟ قَالَ: لَوْ كُنَّا مِائَةَ أَلْفٍ لَكَفَانَا، كُنَّا خَمْسَ عَشْرَةَ مِائَةً
তাহকীক:
হাদীস নং: ৩৮৪৭
আন্তর্জাতিক নং: ৪১৫৩
- নবীজীর সাঃ যুদ্ধাভিযানসমূহ
২১৯৯. হুদায়বিয়ার যুদ্ধ।
৩৮৪৭। সালত ইবনে মুহাম্মাদ (রাহঃ) .... কাতাদা (রাহঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমি সাঈদ ইবনে মুসায়্যিব (রাযিঃ)- কে বললাম, আমি শুনতে পেয়েছি যে, জাবির ইবনে আব্দুল্লাহ (রাযিঃ) বলতেন, তাঁরা (হুদায়বিয়ার যুদ্ধে অংশগ্রহণকারী সাহাবাদের সংখ্যা) চৌদ্দশ ছিল। সাঈদ (রাযিঃ) আমাকে বললেন, জাবির (রাযিঃ) আমাকে বর্ণনা করেছেন যে, হুদায়বিয়ার যুদ্ধে যারা নবী কারীম (ﷺ)- এর হাতে বায়‘আত গ্রহণ করেছিলেন, তাদের সংখ্যা ছিল পনেরশ।
আবু দাউদ কুররা (রাহঃ)- এর মাধ্যমে কাতাদা (রাহঃ) থেকে অনুরূপ বর্ণনা করেছেন। মুহাম্মাদ ইবনে বাশশার (রাহঃ)-ও অনুরূপ বর্ণনা করেছেন। আবু দাউদ (রাহঃ) (অন্য সনদে) শু’বা (রাহঃ) থেকেও অনুরূপ বর্ণনা করেছেন।
আবু দাউদ কুররা (রাহঃ)- এর মাধ্যমে কাতাদা (রাহঃ) থেকে অনুরূপ বর্ণনা করেছেন। মুহাম্মাদ ইবনে বাশশার (রাহঃ)-ও অনুরূপ বর্ণনা করেছেন। আবু দাউদ (রাহঃ) (অন্য সনদে) শু’বা (রাহঃ) থেকেও অনুরূপ বর্ণনা করেছেন।
كتاب المغازى
باب غَزْوَةِ الْحُدَيْبِيَةِ
4153 - حَدَّثَنَا الصَّلْتُ بْنُ مُحَمَّدٍ، حَدَّثَنَا يَزِيدُ بْنُ زُرَيْعٍ، عَنْ سَعِيدٍ، عَنْ قَتَادَةَ، قُلْتُ لِسَعِيدِ بْنِ المُسَيِّبِ: بَلَغَنِي أَنَّ جَابِرَ بْنَ عَبْدِ اللَّهِ كَانَ يَقُولُ: «كَانُوا أَرْبَعَ عَشْرَةَ مِائَةً» ، فَقَالَ لِي سَعِيدٌ: حَدَّثَنِي جَابِرٌ: «كَانُوا خَمْسَ عَشْرَةَ مِائَةً، الَّذِينَ بَايَعُوا النَّبِيَّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَوْمَ الحُدَيْبِيَةِ» تَابَعَهُ أَبُو دَاوُدَ، حَدَّثَنَا قُرَّةُ، عَنْ قَتَادَةَ تَابَعَهُ مُحَمَّدُ بْنُ بشار حَدَّثَنَا أَبُو دَاوُدَ حَدَّثَنَا شُعْبَةُ
তাহকীক:
হাদীস নং: ৩৮৪৮
আন্তর্জাতিক নং: ৪১৫৪ - ৪১৫৫
- নবীজীর সাঃ যুদ্ধাভিযানসমূহ
২১৯৯. হুদায়বিয়ার যুদ্ধ।
৩৮৪৮। আলী (রাহঃ) .... জাবির ইবনে আব্দুল্লাহ (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) হুদায়বিয়ার যুদ্ধের দিন আমাদেরকে বলেছেন, পৃথিবীবাসিদের মধ্যে তোমরাই সর্বোত্তম। সেদিন আমরা ছিলাম চৌদ্দশ। আজ আমি যদি দেখতাম, তাহলে আমি তোমাদেরকে সে বৃক্ষ-স্থানটি দেখিয়ে দিতাম।
আমাশ (রাহঃ) হাদীসটি সালিম (রাহঃ)-এর মাধ্যমে জাবির (রাযিঃ) থেকে সুফিয়ান (রাহঃ)-এর অনুরূপ বর্ণনা করেছেন। অর্থাৎ হুদায়বিয়ার সন্ধির দিন সাহাবীদের সংখ্যা ছিল চৌদ্দশ।
উবাইদুল্লাহ ইবনে মুআয (রাহঃ) .... আব্দুল্লাহ ইবনে আবু আউফা (রাহঃ) থেকে বর্ণনা করেন যে, গাছের নীচে বায়‘আত গ্রহণকারীদের সংখ্যা ছিল তেরশ। সৈন্যদের মধ্যে আসলাম গোত্রের সাহাবীগণের সংখ্যা ছিল মুহাজিরগণের মোট সংখ্যার এক-অষ্টমাংশ।
আমাশ (রাহঃ) হাদীসটি সালিম (রাহঃ)-এর মাধ্যমে জাবির (রাযিঃ) থেকে সুফিয়ান (রাহঃ)-এর অনুরূপ বর্ণনা করেছেন। অর্থাৎ হুদায়বিয়ার সন্ধির দিন সাহাবীদের সংখ্যা ছিল চৌদ্দশ।
উবাইদুল্লাহ ইবনে মুআয (রাহঃ) .... আব্দুল্লাহ ইবনে আবু আউফা (রাহঃ) থেকে বর্ণনা করেন যে, গাছের নীচে বায়‘আত গ্রহণকারীদের সংখ্যা ছিল তেরশ। সৈন্যদের মধ্যে আসলাম গোত্রের সাহাবীগণের সংখ্যা ছিল মুহাজিরগণের মোট সংখ্যার এক-অষ্টমাংশ।
كتاب المغازى
باب غَزْوَةِ الْحُدَيْبِيَةِ
حَدَّثَنَا عَلِيٌّ، حَدَّثَنَا سُفْيَانُ، قَالَ عَمْرٌو سَمِعْتُ جَابِرَ بْنَ عَبْدِ اللَّهِ ـ رضى الله عنهما ـ قَالَ قَالَ لَنَا رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يَوْمَ الْحُدَيْبِيَةِ " أَنْتُمْ خَيْرُ أَهْلِ الأَرْضِ ". وَكُنَّا أَلْفًا وَأَرْبَعَمِائَةٍ، وَلَوْ كُنْتُ أُبْصِرُ الْيَوْمَ لأَرَيْتُكُمْ مَكَانَ الشَّجَرَةِ. تَابَعَهُ الأَعْمَشُ سَمِعَ سَالِمًا سَمِعَ جَابِرًا أَلْفًا وَأَرْبَعَمِائَةٍ.
وَقَالَ عُبَيْدُ اللَّهِ بْنُ مُعَاذٍ حَدَّثَنَا أَبِي، حَدَّثَنَا شُعْبَةُ، عَنْ عَمْرِو بْنِ مُرَّةَ، حَدَّثَنِي عَبْدُ اللَّهِ بْنُ أَبِي أَوْفَى ـ رضى الله عنهما ـ كَانَ أَصْحَابُ الشَّجَرَةِ أَلْفًا وَثَلاَثَمِائَةٍ، وَكَانَتْ أَسْلَمُ ثُمْنَ الْمُهَاجِرِينَ
وَقَالَ عُبَيْدُ اللَّهِ بْنُ مُعَاذٍ حَدَّثَنَا أَبِي، حَدَّثَنَا شُعْبَةُ، عَنْ عَمْرِو بْنِ مُرَّةَ، حَدَّثَنِي عَبْدُ اللَّهِ بْنُ أَبِي أَوْفَى ـ رضى الله عنهما ـ كَانَ أَصْحَابُ الشَّجَرَةِ أَلْفًا وَثَلاَثَمِائَةٍ، وَكَانَتْ أَسْلَمُ ثُمْنَ الْمُهَاجِرِينَ
তাহকীক:
হাদীস নং: ৩৮৪৯
আন্তর্জাতিক নং: ৪১৫৬
- নবীজীর সাঃ যুদ্ধাভিযানসমূহ
২১৯৯. হুদায়বিয়ার যুদ্ধ।
৩৮৪৯। ইবরাহীম ইবনে মুসা (রাহঃ) .... কায়েস (রাহঃ) থেকে বর্ণিত যে, তিনি হুদায়বিয়ার সন্ধির দিন বৃক্ষের নীচে বায়‘আত গ্রহণকারী সাহাবী মিরদাস আসলামীকে বলতে শুনেছেন যে, পুণ্যবাদ লোকদেরকে একের পর এক উঠিয়ে নেয়া হবে। এরপর অবশিষ্ট থাকবে খেজুর ও যবের ছালের মত কতিপয় নিম্নস্তরের লোক, যাদের কোনো পরওয়া আল্লাহ করবেন না।
كتاب المغازى
باب غَزْوَةِ الْحُدَيْبِيَةِ
4156 - حَدَّثَنَا إِبْرَاهِيمُ بْنُ مُوسَى، أَخْبَرَنَا عِيسَى، عَنْ إِسْمَاعِيلَ، عَنْ قَيْسٍ، أَنَّهُ سَمِعَ مِرْدَاسًا الأَسْلَمِيَّ، يَقُولُ: وَكَانَ مِنْ أَصْحَابِ الشَّجَرَةِ: «يُقْبَضُ الصَّالِحُونَ، الأَوَّلُ فَالأَوَّلُ، وَتَبْقَى حُفَالَةٌ كَحُفَالَةِ التَّمْرِ وَالشَّعِيرِ، لاَ يَعْبَأُ اللَّهُ بِهِمْ شَيْئًا»
তাহকীক:
বর্ণনাকারী:
হাদীস নং: ৩৮৫০
আন্তর্জাতিক নং: ৪১৫৭
- নবীজীর সাঃ যুদ্ধাভিযানসমূহ
২১৯৯. হুদায়বিয়ার যুদ্ধ।
৩৮৫০। আলী ইবনে আব্দুল্লাহ (রাহঃ) .... মারওয়ান এবং মিসওয়ার ইবনে মাখরামা (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত, তাঁরা উভয়েই বলেছেন যে, হুদায়বিয়ার বছর নবী কারীম (ﷺ) এক হাজারেরও অধিক সাহাবী সঙ্গে নিয়ে মদীনা থেকে যাত্রা শুরু করলেন। যুল-হুলাইফা নামক স্থানে পৌঁছে তিনি কুরবানীর পশুর গলায় কিলাদা বাঁধালেন, (কুরবানীর পশুর) কুজ কাটলেন এবং সেখান থেকে ইহরাম বাঁধলেন। (বর্ণনাকারী) বলেন, এ হাদীস সুফিয়ান থেকে কতবার শুনেছি তার সংখ্যা আমি নির্ণয় করতে পারছি না। পরিশেষে তাঁকে বলতে শুনেছি, যুহরী থেকে কুরবানীর পশুর গলায় কিলাদা বাঁধা এবং ইশআর করার কথা আমার স্মরণ নেই। রাবী আলী ইবনে আব্দুল্লাহ বলেন, সুফিয়ান এ কথা বলে কি বোঝাতে চেয়েছেন তা আমি জানি না। তিনি কি এ কথা বলতে চেয়েছেন যে, যুহরী থেকে ইশআর ও কিলাদার কথা তাঁর স্মরণ নেই, না পুরা হাদীসটি স্মরণ না থাকার কথা বলতে চেয়েছেন?
كتاب المغازى
باب غَزْوَةِ الْحُدَيْبِيَةِ
4157 - حَدَّثَنَا عَلِيُّ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ، حَدَّثَنَا سُفْيَانُ، عَنِ الزُّهْرِيِّ، عَنْ عُرْوَةَ، عَنْ مَرْوَانَ، وَالمِسْوَرِ بْنِ مَخْرَمَةَ، قَالاَ: «خَرَجَ النَّبِيُّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ عَامَ الحُدَيْبِيَةِ فِي بِضْعَ عَشْرَةَ مِائَةً مِنْ أَصْحَابِهِ، فَلَمَّا كَانَ بِذِي الحُلَيْفَةِ قَلَّدَ الهَدْيَ، وَأَشْعَرَ وَأَحْرَمَ مِنْهَا» لاَ أُحْصِي كَمْ سَمِعْتُهُ مِنْ سُفْيَانَ، حَتَّى سَمِعْتُهُ يَقُولُ: لاَ أَحْفَظُ مِنَ الزُّهْرِيِّ الإِشْعَارَ وَالتَّقْلِيدَ، فَلاَ أَدْرِي، يَعْنِي مَوْضِعَ الإِشْعَارِ وَالتَّقْلِيدِ، أَوِ الحَدِيثَ كُلَّهُ
তাহকীক:
বর্ণনাকারী:
হাদীস নং: ৩৮৫১
আন্তর্জাতিক নং: ৪১৫৯
- নবীজীর সাঃ যুদ্ধাভিযানসমূহ
২১৯৯. হুদায়বিয়ার যুদ্ধ।
৩৮৫১। হাসান ইবনে খালাফ (রাহঃ) .... কা‘ব ইবনে উজরা (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত যে, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) তাঁকে এমতাবস্থায় দেখলেন যে, উকুন (তার মাথা থেকে) মুখমণ্ডলে ঝরে পড়ছে। তখন তিনি বললেন, কীটগুলো কি তোমাকে কষ্ট দিচ্ছে? তিনি বললেন, হ্যাঁ। তখন রাসূলুল্লাহ (ﷺ) হুদায়বিয়ায় অবস্থানকালে তাঁর মাথা মুণ্ডিয়ে ফেলার জন্য নির্দেশ দেন। তখন সাহাবীগণ মক্কা প্রবেশ করার জন্য খুবই উদগ্রীব হয়ে উঠেছিলেন। হুদায়বিয়াতেই তাদেরকে হালাল হয়ে যেতে হবে এ কথা রাসূলুল্লাহ (ﷺ) তাঁদের কাছে বর্ণনা করেননি। তাই আল্লাহ ফিদইয়ার হুকুম নাযিল করলেন। এ কারণেই রাসূলুল্লাহ (ﷺ) তাঁকে ছয়জন মিসকিনকে এক ফারাক (প্রায় বার সের) খাদ্য খাওয়ানোর অথবা একটি বকরী কুরবানী করার অথবা তিনদিন রোযা পালন করার নির্দেশ দিলেন।
كتاب المغازى
باب غَزْوَةِ الْحُدَيْبِيَةِ
4159 - حَدَّثَنَا الحَسَنُ بْنُ خَلَفٍ، قَالَ: حَدَّثَنَا إِسْحَاقُ بْنُ يُوسُفَ، عَنْ أَبِي بِشْرٍ وَرْقَاءَ، عَنِ ابْنِ أَبِي نَجِيحٍ، عَنْ مُجَاهِدٍ، قَالَ: حَدَّثَنِي عَبْدُ الرَّحْمَنِ بْنُ أَبِي لَيْلَى، عَنْ كَعْبِ بْنِ عُجْرَةَ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ رَآهُ وَقَمْلُهُ يَسْقُطُ عَلَى وَجْهِهِ، فَقَالَ: «أَيُؤْذِيكَ هَوَامُّكَ؟» قَالَ: نَعَمْ، فَأَمَرَهُ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَنْ يَحْلِقَ، وَهُوَ [ص:124] بِالحُدَيْبِيَةِ، لَمْ يُبَيِّنْ لَهُمْ أَنَّهُمْ يَحِلُّونَ بِهَا، وَهُمْ عَلَى طَمَعٍ أَنْ يَدْخُلُوا مَكَّةَ، فَأَنْزَلَ اللَّهُ الفِدْيَةَ، فَأَمَرَهُ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «أَنْ يُطْعِمَ فَرَقًا بَيْنَ سِتَّةِ مَسَاكِينَ، أَوْ يُهْدِيَ شَاةً، أَوْ يَصُومَ ثَلاَثَةَ أَيَّامٍ»
তাহকীক:
বর্ণনাকারী:
হাদীস নং: ৩৮৫২
আন্তর্জাতিক নং: ৪১৬০
- নবীজীর সাঃ যুদ্ধাভিযানসমূহ
২১৯৯. হুদায়বিয়ার যুদ্ধ।
৩৮৫২। ইসমাঈল ইবনে আব্দুল্লাহ (রাহঃ) .... আসলাম (রাহঃ) থেকে বর্ণিত যে, তিনি বলেন, একদা আমি উমর ইবনে খাত্তাব (রাযিঃ)- এর সঙ্গে বাজারে বের হলাম। সেখানে একজন যুবতী মহিলা তাঁর সাথে সাক্ষাত করে বলল, হে আমীরুল মু’মিনীন, আমার স্বামী ছোট ছোট বাচ্চা রেখে ইন্তিকাল করেছেন। আল্লাহর কসম, তাদের আহারের জন্য পাকানোর মত কোন বকরীর খুরাও নেই এবং নেই কোন ফসলের ব্যবস্থা ও দুধের উঠ, বকরী। পোকা তাদেরকে খেয়ে ফেলবে বলে আমার আশঙ্কা হচ্ছে অথচ আমি হলাম খুফাফ ইবনে আয়মা গিফারীর কন্যা। আমার পিতা নবী কারীম (ﷺ)- এর সঙ্গে হুদায়বিয়ার যুদ্ধে অংশগ্রহণ করেছিলেন। এ কথা শুনে উমর (রাযিঃ) তাঁকে অতিক্রম না করে পার্শ্বে দাঁড়ালেন। এরপর বললেন, তোমার গোত্রকে ধন্যবাদ। তারা তো আমার খুবই নিকটের মানুষ।
এরপর তিনি বাড়িতে এসে আস্তাবলে বাঁধা উটের থেকে একটি মোটা তাজা উট এনে দুই বস্তা খাদ্য এবং এর মধ্যে কিছু নগদ অর্থ ও বস্ত্র রেখে এগুলো উক্ত উটের পৃষ্ঠে উঠিয়ে দিয়ে মহিলার হাতে এর লাগাম দিয়ে বললেন, তুমি এটি টেনে নিয়ে যাও। এগুলো শেষ হওয়ার পূর্বেই হয়তো আল্লাহ তোমাদের জন্য এর চেয়ে উত্তম কিছু দান করবেন। তখন এক ব্যক্তি বললেন, হে আমীরুল মু’মিনীন, আপনি তাকে খুব বেশী দিলেন। উমর (রাযিঃ) বললেন, তোমার মা তোমাকে হারিয়ে ফেলুক।* আল্লাহর কসম, আমি দেখেছি এ মহিলার আব্বা ও ভাই দীর্ঘদিন পর্যন্ত একটি দূর্গ অবরোধ করে রেখেছিলেন এবং পরে তা জয়ও করেছিলেন। এরপর ওই দুর্গ থেকে অর্জিত তাঁদের অংশ থেকে আমরাও যুদ্ধলব্ধ সম্পদের দাবি করি (এবং কিছু অংশ আমরা নিজেরা গ্রহণ করি এবং কিছু অংশ তাদেরকে দেই। )
*এটি একটি প্রবাদ বাক্য। এর বাহ্যিক অর্থ উদ্দেশ্য নয়।
এরপর তিনি বাড়িতে এসে আস্তাবলে বাঁধা উটের থেকে একটি মোটা তাজা উট এনে দুই বস্তা খাদ্য এবং এর মধ্যে কিছু নগদ অর্থ ও বস্ত্র রেখে এগুলো উক্ত উটের পৃষ্ঠে উঠিয়ে দিয়ে মহিলার হাতে এর লাগাম দিয়ে বললেন, তুমি এটি টেনে নিয়ে যাও। এগুলো শেষ হওয়ার পূর্বেই হয়তো আল্লাহ তোমাদের জন্য এর চেয়ে উত্তম কিছু দান করবেন। তখন এক ব্যক্তি বললেন, হে আমীরুল মু’মিনীন, আপনি তাকে খুব বেশী দিলেন। উমর (রাযিঃ) বললেন, তোমার মা তোমাকে হারিয়ে ফেলুক।* আল্লাহর কসম, আমি দেখেছি এ মহিলার আব্বা ও ভাই দীর্ঘদিন পর্যন্ত একটি দূর্গ অবরোধ করে রেখেছিলেন এবং পরে তা জয়ও করেছিলেন। এরপর ওই দুর্গ থেকে অর্জিত তাঁদের অংশ থেকে আমরাও যুদ্ধলব্ধ সম্পদের দাবি করি (এবং কিছু অংশ আমরা নিজেরা গ্রহণ করি এবং কিছু অংশ তাদেরকে দেই। )
*এটি একটি প্রবাদ বাক্য। এর বাহ্যিক অর্থ উদ্দেশ্য নয়।
كتاب المغازى
باب غَزْوَةِ الْحُدَيْبِيَةِ
4160 - حَدَّثَنَا إِسْمَاعِيلُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ، قَالَ: حَدَّثَنِي مَالِكٌ، عَنْ زَيْدِ بْنِ أَسْلَمَ، عَنْ أَبِيهِ، قَالَ: خَرَجْتُ مَعَ عُمَرَ بْنِ الخَطَّابِ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ إِلَى السُّوقِ، فَلَحِقَتْ عُمَرَ امْرَأَةٌ شَابَّةٌ، فَقَالَتْ: يَا أَمِيرَ المُؤْمِنِينَ، هَلَكَ زَوْجِي وَتَرَكَ صِبْيَةً صِغَارًا، وَاللَّهِ مَا يُنْضِجُونَ كُرَاعًا، وَلاَ لَهُمْ زَرْعٌ وَلاَ ضَرْعٌ، وَخَشِيتُ أَنْ تَأْكُلَهُمُ الضَّبُعُ، وَأَنَا بِنْتُ خُفَافِ بْنِ إِيْمَاءَ الغِفَارِيِّ، «وَقَدْ شَهِدَ أَبِي الحُدَيْبِيَةَ مَعَ النَّبِيِّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ» . فَوَقَفَ مَعَهَا عُمَرُ وَلَمْ يَمْضِ، ثُمَّ قَالَ: مَرْحَبًا بِنَسَبٍ قَرِيبٍ، ثُمَّ انْصَرَفَ إِلَى بَعِيرٍ ظَهِيرٍ كَانَ مَرْبُوطًا فِي الدَّارِ، فَحَمَلَ عَلَيْهِ غِرَارَتَيْنِ مَلَأَهُمَا طَعَامًا، وَحَمَلَ بَيْنَهُمَا نَفَقَةً وَثِيَابًا، ثُمَّ نَاوَلَهَا بِخِطَامِهِ، ثُمَّ قَالَ: اقْتَادِيهِ، فَلَنْ يَفْنَى حَتَّى يَأْتِيَكُمُ اللَّهُ بِخَيْرٍ، فَقَالَ رَجُلٌ: يَا أَمِيرَ المُؤْمِنِينَ، أَكْثَرْتَ لَهَا؟ قَالَ عُمَرُ: ثَكِلَتْكَ أُمُّكَ، وَاللَّهِ إِنِّي لَأَرَى أَبَا هَذِهِ وَأَخَاهَا، قَدْ حَاصَرَا حِصْنًا زَمَانًا فَافْتَتَحَاهُ، ثُمَّ أَصْبَحْنَا نَسْتَفِيءُ سُهْمَانَهُمَا فِيهِ
তাহকীক:
হাদীস নং: ৩৮৫৩
আন্তর্জাতিক নং: ৪১৬২
- নবীজীর সাঃ যুদ্ধাভিযানসমূহ
২১৯৯. হুদায়বিয়ার যুদ্ধ।
৩৮৫৩। মুহাম্মাদ ইবনে রাফি (রাহঃ) .... মুসায়্যিব (ইবনে হুযন) (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত যে, তিনি বলেন, (যে বৃক্ষের নীচে বায়আত গ্রহণ করা হয়েছিল) আমি সে বৃক্ষটি দেখেছিলাম। কিন্তু এরপর যখন সেখানে আসলাম তখন আর তা চিনতে পারলাম না।
মাহমুদ (রাহঃ) বলেন, (মুসায়্যিব ইবনে হুযন বলেছেন) পরে তা আমাকে ভুলিয়ে দেয়া হয়েছে।
মাহমুদ (রাহঃ) বলেন, (মুসায়্যিব ইবনে হুযন বলেছেন) পরে তা আমাকে ভুলিয়ে দেয়া হয়েছে।
كتاب المغازى
باب غَزْوَةِ الْحُدَيْبِيَةِ
4162 - حَدَّثَنِي مُحَمَّدُ بْنُ رَافِعٍ، حَدَّثَنَا شَبَابَةُ بْنُ سَوَّارٍ أَبُو عَمْرٍو الفَزَارِيُّ، حَدَّثَنَا شُعْبَةُ، عَنْ قَتَادَةَ، عَنْ سَعِيدِ بْنِ المُسَيِّبِ، عَنْ أَبِيهِ، قَالَ: «لَقَدْ رَأَيْتُ الشَّجَرَةَ، ثُمَّ أَتَيْتُهَا بَعْدُ فَلَمْ أَعْرِفْهَا قَالَ مَحْمُودُ ثُمَّ انْسِيْتُهَا بَعْدُ»
তাহকীক:
বর্ণনাকারী:
হাদীস নং: ৩৮৫৪
আন্তর্জাতিক নং: ৪১৬৩
- নবীজীর সাঃ যুদ্ধাভিযানসমূহ
২১৯৯. হুদায়বিয়ার যুদ্ধ।
৩৮৫৪। মাহমুদ (রাহঃ) .... তারিক ইবনে আব্দুর রহমান (রাহঃ) থেকে বর্ণিত যে, তিনি বলেন, আমি হজ্জ করতে যাওয়ার পথে নামাযরত এক কওমের নিকট দিয়ে রাস্তা অতিক্রম করার সময় তাদেরকে বললাম, এ জায়গাটি কিরূপ নামাযের স্থান? তাঁরা বললেন, এটা সেই বৃক্ষ যেখানে রাসূলুল্লাহ (ﷺ) (সাহাবীদের থেকে) বায়আতে রিদওয়ান গ্রহণ করেছিলেন। এর পর আমি সাঈদ ইবনে মুসায়্যিব (রাহঃ)- এর কাছে গেলাম এবং এ ব্যাপারে তাঁকে সংবাদ দিলাম। তখন সাঈদ ইবনে মুসায়্যিব) (রাহঃ) বললেন, আমার পিতা আমার কাছে বর্ণনা করেছেন, বৃক্ষটির নীচে যারা রাসূলুল্লাহ (ﷺ)- এর হাতে বায়আত গ্রহণ করেছিলেন তিনি ছিলেন তাঁদের মধ্যে একজন। মুসায়্যিব (রাহঃ) বলেছেন, পরবর্তী বছর আমরা যখন সেখানে গেলাম তখন আমরা আর ওই বৃক্ষটিকে নির্দিষ্ট করতে পারলাম না। আমাদেরকে তা ভুলিয়ে দেয়া হয়েছে। সাঈদ (রাহঃ) বললেন, মুহাম্মাদ (ﷺ)- এর সাহাবীগণ (এখানে উপস্থিত হয়ে বায়আত গ্রহণ করা সত্ত্বেও) তা চিনতে পারলেন না আর তোমরা তা চিনে ফেলেছ? তাহলে তোমরা কি তাদের চেয়েও অধিক বিজ্ঞ?
كتاب المغازى
باب غَزْوَةِ الْحُدَيْبِيَةِ
4163 - حَدَّثَنَا مَحْمُودٌ، حَدَّثَنَا عُبَيْدُ اللَّهِ، عَنْ إِسْرَائِيلَ، عَنْ طَارِقِ بْنِ عَبْدِ الرَّحْمَنِ، قَالَ: انْطَلَقْتُ حَاجًّا، فَمَرَرْتُ بِقَوْمٍ يُصَلُّونَ، قُلْتُ: مَا هَذَا المَسْجِدُ؟ قَالُوا: هَذِهِ الشَّجَرَةُ، حَيْثُ بَايَعَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ بَيْعَةَ الرِّضْوَانِ، فَأَتَيْتُ سَعِيدَ بْنَ المُسَيِّبِ فَأَخْبَرْتُهُ، فَقَالَ سَعِيدٌ، حَدَّثَنِي أَبِي " أَنَّهُ كَانَ فِيمَنْ بَايَعَ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ تَحْتَ الشَّجَرَةِ، قَالَ: فَلَمَّا خَرَجْنَا مِنَ العَامِ المُقْبِلِ نَسِينَاهَا، فَلَمْ نَقْدِرْ عَلَيْهَا "، فَقَالَ سَعِيدٌ: «إِنَّ أَصْحَابَ مُحَمَّدٍ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ لَمْ يَعْلَمُوهَا وَعَلِمْتُمُوهَا أَنْتُمْ فَأَنْتُمْ أَعْلَمُ»
তাহকীক:
বর্ণনাকারী:
হাদীস নং: ৩৮৫৫
আন্তর্জাতিক নং: ৪১৬৪
- নবীজীর সাঃ যুদ্ধাভিযানসমূহ
২১৯৯. হুদায়বিয়ার যুদ্ধ।
৩৮৫৫। মুসা (রাহঃ) .... মুসায়্যিব (রাহঃ) থেকে বর্ণিত, বৃক্ষের নীচে যারা বায়আত গ্রহণ করেছিলেন তিনি ছিলেন তাঁদের মধ্যে একজন। তিনি বলেন, পরবর্তী বছর আমরা আবার সে গাছের স্থানে উপস্থিত হলে আমরা গাছটি চিনতে পারলাম না। গাছটি আমাদের কাছে সন্দেহপূর্ণ হয়ে গেল।
كتاب المغازى
باب غَزْوَةِ الْحُدَيْبِيَةِ
4164 - حَدَّثَنَا مُوسَى، حَدَّثَنَا أَبُو عَوَانَةَ، حَدَّثَنَا طَارِقٌ، عَنْ سَعِيدِ بْنِ المُسَيِّبِ، عَنْ أَبِيهِ، «أَنَّهُ كَانَ مِمَّنْ بَايَعَ تَحْتَ الشَّجَرَةِ، فَرَجَعْنَا إِلَيْهَا العَامَ المُقْبِلَ فَعَمِيَتْ عَلَيْنَا»
তাহকীক:
বর্ণনাকারী:
হাদীস নং: ৩৮৫৬
আন্তর্জাতিক নং: ৪১৬৫
- নবীজীর সাঃ যুদ্ধাভিযানসমূহ
২১৯৯. হুদায়বিয়ার যুদ্ধ।
৩৮৫৬। কাবীসা (রাহঃ) .... তারিক (রাহঃ) থেকে বর্ণিত যে, তিনি বলেন, সাঈদ ইবনে মুসায়্যিব (রাহঃ)- এর কাছে সে গাছটির কথা উল্লেখ করা হলে তিনি হেসে বললেন, আমার পিতা আমাকে জানিয়েছেন যে, তিনি বৃক্ষের নীচে বায়আতে অংশগ্রহণ করেছিলেন।
كتاب المغازى
باب غَزْوَةِ الْحُدَيْبِيَةِ
4165 - حَدَّثَنَا قَبِيصَةُ، حَدَّثَنَا سُفْيَانُ، عَنْ طَارِقٍ، قَالَ: ذُكِرَتْ عِنْدَ سَعِيدِ بْنِ المُسَيِّبِ الشَّجَرَةُ فَضَحِكَ، فَقَالَ: أَخْبَرَنِي أَبِي: «وَكَانَ شَهِدَهَا»
তাহকীক:
বর্ণনাকারী:
হাদীস নং: ৩৮৫৭
আন্তর্জাতিক নং: ৪১৬৬
- নবীজীর সাঃ যুদ্ধাভিযানসমূহ
২১৯৯. হুদায়বিয়ার যুদ্ধ।
৩৮৫৭। আদম ইবনে আবু ইয়াস (রাহঃ) .... আমর ইবনে মুররা (রাহঃ) থেকে বর্ণিত যে, তিনি বলেন, আমি বৃক্ষের নীচে বায়আতকারী সাহাবী আব্দুল্লাহ ইবনে আবু আউফাকে বলতে শুনেছি যে, তিনি বর্ণনা করেছেন, কোন কওম নবী কারীম (ﷺ)- এর কাছে সাদ্কার অর্থ নিয়ে আসলে তিনি তাঁদের জন্য দুআ করে বলতেন, “হে আল্লাহ আপনি তাদের প্রতি রহমত বর্ষণ করুন”। এ সময় আমার পিতা তাঁর কাছে সাদ্কার অর্থ নিয়ে আসলে তিনি বললেন, “হে আল্লাহ! আপনি আবু আউফার বংশধরদের প্রতি রহমত বর্ষণ করুন।”
كتاب المغازى
باب غَزْوَةِ الْحُدَيْبِيَةِ
4166 - حَدَّثَنَا آدَمُ بْنُ أَبِي إِيَاسٍ، حَدَّثَنَا [ص:125] شُعْبَةُ، عَنْ عَمْرِو بْنِ مُرَّةَ، قَالَ: سَمِعْتُ عَبْدَ اللَّهِ بْنَ أَبِي أَوْفَى، وَكَانَ مِنْ أَصْحَابِ الشَّجَرَةِ، قَالَ: كَانَ النَّبِيُّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ إِذَا أَتَاهُ قَوْمٌ بِصَدَقَةٍ قَالَ: «اللَّهُمَّ صَلِّ عَلَيْهِمْ» . فَأَتَاهُ أَبِي بِصَدَقَتِهِ، فَقَالَ: «اللَّهُمَّ صَلِّ عَلَى آلِ أَبِي أَوْفَى»
তাহকীক:
হাদীস নং: ৩৮৫৮
আন্তর্জাতিক নং: ৪১৬৭
- নবীজীর সাঃ যুদ্ধাভিযানসমূহ
২১৯৯. হুদায়বিয়ার যুদ্ধ।
৩৮৫৮। ইসমাঈল (রাহঃ) .... আব্বাদ ইবনে তামীম (রাহঃ) থেকে বর্ণিত যে, তিনি বলেন, হাররার ঘটনার দিন যখন লোকজন আব্দুল্লাহ ইবনে হানযালা (রাযিঃ)- এর হাতে বায়আত গ্রহণ করছিলেন, তখন ইবনে যায়দ (রাযিঃ) জিজ্ঞাসা করলেন, ইবনে হানযালা (রাযিঃ) লোকদেরকে কিসের উপর বায়আত গ্রহণ করছেন? তখন তাঁকে বলা হল, মৃত্যুর উপর বায়আত গ্রহণ করছেন। তিনি বললেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ)- এর পরে এ ব্যাপারে আমি আর কারো হাতে বায়আত গ্রহণ করব না। তিনি হুদায়বিয়ার সন্ধিতে রাসূলুল্লাহ (ﷺ)- এর সাথে অংশগ্রহণ করেছিলেন।
كتاب المغازى
باب غَزْوَةِ الْحُدَيْبِيَةِ
4167 - حَدَّثَنَا إِسْمَاعِيلُ، عَنْ أَخِيهِ، عَنْ سُلَيْمَانَ، عَنْ عَمْرِو بْنِ يَحْيَى، عَنْ عَبَّادِ بْنِ تَمِيمٍ، قَالَ: لَمَّا كَانَ يَوْمُ الحَرَّةِ، وَالنَّاسُ يُبَايِعُونَ لِعَبْدِ اللَّهِ بْنِ حَنْظَلَةَ، فَقَالَ ابْنُ زَيْدٍ: عَلَى مَا يُبَايِعُ ابْنُ حَنْظَلَةَ النَّاسَ؟ قِيلَ لَهُ: عَلَى المَوْتِ، قَالَ: «لاَ أُبَايِعُ عَلَى ذَلِكَ أَحَدًا بَعْدَ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، وَكَانَ شَهِدَ مَعَهُ الحُدَيْبِيَةَ»
তাহকীক:
বর্ণনাকারী:
হাদীস নং: ৩৮৫৯
আন্তর্জাতিক নং: ৪১৬৮
- নবীজীর সাঃ যুদ্ধাভিযানসমূহ
২১৯৯. হুদায়বিয়ার যুদ্ধ।
৩৮৫৯। ইয়াহয়া ইবনে ইয়ালা মুহারিবী (রাহঃ) .... ইয়াস ইবনে সালামা ইবনে আকওয়া (রাহঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, বৃক্ষের নীচে অনুষ্ঠিত বায়আতে অংশগ্রহণকারী আমার পিতা আমার নিকট বর্ণনা করেছেন। তিনি বলেন, আমরা নবী কারীম (ﷺ)- এর সঙ্গে জুমআর নামায আদায় করে যখন বাড়ি ফেরতাম তখনও প্রাচীরের নীচে ছায়া পড়ত না, যার ছায়ায় বসে আরাম করা যায়।
كتاب المغازى
باب غَزْوَةِ الْحُدَيْبِيَةِ
4168 - حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ يَعْلَى المُحَارِبِيُّ، قَالَ: حَدَّثَنِي أَبِي، حَدَّثَنَا إِيَاسُ بْنُ سَلَمَةَ بْنِ الأَكْوَعِ، قَالَ: حَدَّثَنِي أَبِي، وَكَانَ مِنْ أَصْحَابِ الشَّجَرَةِ، قَالَ: «كُنَّا نُصَلِّي مَعَ النَّبِيِّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ الجُمُعَةَ ثُمَّ نَنْصَرِفُ، وَلَيْسَ لِلْحِيطَانِ ظِلٌّ نَسْتَظِلُّ فِيهِ»
তাহকীক:
বর্ণনাকারী:
হাদীস নং: ৩৮৬০
আন্তর্জাতিক নং: ৪১৬৯
- নবীজীর সাঃ যুদ্ধাভিযানসমূহ
২১৯৯. হুদায়বিয়ার যুদ্ধ।
৩৮৬০। কুতাইবা ইবনে সাইদ (রাহঃ) .... ইয়াযীদ ইবনে আবু উবাইদ (রাহঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমি সালামা ইবনে আকওয়া (রাযিঃ)- কে জিজ্ঞাসা করলাম, হুদায়বিয়ার দিন আপনারা কিসের উপর রাসূলুল্লাহ (ﷺ)- এর হাতে বায়আত করেছিলেন। তিনি বললেন, মৃত্যুর উপর।
كتاب المغازى
باب غَزْوَةِ الْحُدَيْبِيَةِ
4169 - حَدَّثَنَا قُتَيْبَةُ بْنُ سَعِيدٍ، حَدَّثَنَا حَاتِمٌ، عَنْ يَزِيدَ بْنِ أَبِي عُبَيْدٍ، قَالَ: قُلْتُ لِسَلَمَةَ بْنِ الأَكْوَعِ: " عَلَى أَيِّ شَيْءٍ بَايَعْتُمْ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَوْمَ الحُدَيْبِيَةِ؟ قَالَ: عَلَى المَوْتِ "
তাহকীক:
বর্ণনাকারী: