আল জামিউস সহীহ- ইমাম বুখারী রহঃ
الجامع الصحيح للبخاري
৫০- নবীজীর সাঃ যুদ্ধাভিযানসমূহ - এর পরিচ্ছেদসমূহ
মোট হাদীস ২ টি
হাদীস নং: ৩৮৭৮
আন্তর্জাতিক নং: ৪১৯২
- নবীজীর সাঃ যুদ্ধাভিযানসমূহ
২২০০. উকল ও উরায়না গোত্রের ঘটনা
৩৮৭৮। আব্দুল আ‘লা ইবনে হাম্মাদ (রাহঃ) .... কাতাদা (রাহঃ) থেকে বর্ণিত যে, আনাস (রাযিঃ) তাদেরকে বলেছেন, উকল এবং উরায়না গোত্রের কতিপয় লোক মদীনাতে নবী কারীম (ﷺ)- এর কাছে এসে কালেমা পড়ে ইসলাম গ্রহণ করল। এরপর তারা নবী কারীম (ﷺ)- কে বলল, হে আল্লাহর নবী! আমরা দুগ্ধপানে অভ্যস্ত লোক, আমরা কৃষক নই। তারা মদীনার আবহাওয়ায় তাদের নিজেদের জন্য অনুকূল বলে মনে করল না।
তাই রাসূলুল্লাহ (ﷺ) তাদেরকে একজন রাখালসহ কতগুলো উট দিয়ে মদীনার বাইরে মাঠে চলে যেতে এবং ঐগুলোর দুধ ও পেশাব পান করার নির্দেশ দিলেন। তাঁরা যেতে যেতে হাররা নামক স্থানে পৌঁছে ইসলাম ত্যাগ করে পুনরায় কাফের হয়ে যায়। নবী কারীম (ﷺ)- এর কাছে এ সংবাদ পৌঁছলে তিনি তাদের অনুসন্ধানে তাদের পিছনে লোক পাঠিয়ে দেন। (তাদের পাকড়াও করে আনা হলে) তিনি তাদের প্রতি কঠিন দণ্ডাদেশ প্রদান করলেন। সাহাবীগণ লৌহ শলাকা দিয়ে তাদের চক্ষু উৎপাটিত করে দিলেন এবং তাদের হাত কেটে দিলেন। এরপর হাররা এলাকার এক প্রান্তে তাদেরকে ফেলে রাখা হল। অবশেষে এ অবস্থায়ই তারা মারা গেল।
কাতাদা (রাহঃ) বলেন, এ ঘটনার পর নবী কারীম (ﷺ) প্রায়ই লোকজনকে সাদ্কা প্রদান করার জন্য উৎসাহিত করতেন এবং মুসলা থেকে বিরত রাখতেন। শুবা, আবান এবং হাম্মাদ (রাহঃ) কাতাদা (রাহঃ) থেকে উরায়না গোত্রের ঘটনা বর্ণনা করেছেন। ইয়াহয়া ইবনে আবু কাসীর ও আইয়ুব (রাহঃ) আবু কিলাবা (রাহঃ)- এর মাধ্যমে আনাস (রাযিঃ) থেকে বর্ণনা করেছেন যে, উকল গোত্রের কতিপয় লোক নবী কারীম (ﷺ)- এর কাছে এসেছিল।
তাই রাসূলুল্লাহ (ﷺ) তাদেরকে একজন রাখালসহ কতগুলো উট দিয়ে মদীনার বাইরে মাঠে চলে যেতে এবং ঐগুলোর দুধ ও পেশাব পান করার নির্দেশ দিলেন। তাঁরা যেতে যেতে হাররা নামক স্থানে পৌঁছে ইসলাম ত্যাগ করে পুনরায় কাফের হয়ে যায়। নবী কারীম (ﷺ)- এর কাছে এ সংবাদ পৌঁছলে তিনি তাদের অনুসন্ধানে তাদের পিছনে লোক পাঠিয়ে দেন। (তাদের পাকড়াও করে আনা হলে) তিনি তাদের প্রতি কঠিন দণ্ডাদেশ প্রদান করলেন। সাহাবীগণ লৌহ শলাকা দিয়ে তাদের চক্ষু উৎপাটিত করে দিলেন এবং তাদের হাত কেটে দিলেন। এরপর হাররা এলাকার এক প্রান্তে তাদেরকে ফেলে রাখা হল। অবশেষে এ অবস্থায়ই তারা মারা গেল।
কাতাদা (রাহঃ) বলেন, এ ঘটনার পর নবী কারীম (ﷺ) প্রায়ই লোকজনকে সাদ্কা প্রদান করার জন্য উৎসাহিত করতেন এবং মুসলা থেকে বিরত রাখতেন। শুবা, আবান এবং হাম্মাদ (রাহঃ) কাতাদা (রাহঃ) থেকে উরায়না গোত্রের ঘটনা বর্ণনা করেছেন। ইয়াহয়া ইবনে আবু কাসীর ও আইয়ুব (রাহঃ) আবু কিলাবা (রাহঃ)- এর মাধ্যমে আনাস (রাযিঃ) থেকে বর্ণনা করেছেন যে, উকল গোত্রের কতিপয় লোক নবী কারীম (ﷺ)- এর কাছে এসেছিল।
كتاب المغازى
باب قِصَّةِ عُكْلٍ وَعُرَيْنَةَ
4192 - حَدَّثَنِي عَبْدُ الأَعْلَى بْنُ حَمَّادٍ، حَدَّثَنَا يَزِيدُ بْنُ زُرَيْعٍ، حَدَّثَنَا سَعِيدٌ، عَنْ قَتَادَةَ، أَنَّ أَنَسًا رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ، حَدَّثَهُمْ: أَنَّ نَاسًا مِنْ عُكْلٍ وَعُرَيْنَةَ قَدِمُوا المَدِينَةَ عَلَى النَّبِيِّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَتَكَلَّمُوا بِالإِسْلاَمِ، فَقَالُوا يَا نَبِيَّ اللَّهِ: إِنَّا كُنَّا أَهْلَ ضَرْعٍ، وَلَمْ نَكُنْ أَهْلَ رِيفٍ، وَاسْتَوْخَمُوا المَدِينَةَ، «فَأَمَرَ لَهُمْ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ بِذَوْدٍ وَرَاعٍ، وَأَمَرَهُمْ أَنْ يَخْرُجُوا فِيهِ فَيَشْرَبُوا مِنْ أَلْبَانِهَا وَأَبْوَالِهَا» ، فَانْطَلَقُوا حَتَّى إِذَا كَانُوا نَاحِيَةَ الحَرَّةِ، كَفَرُوا بَعْدَ إِسْلاَمِهِمْ، وَقَتَلُوا رَاعِيَ النَّبِيِّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، وَاسْتَاقُوا الذَّوْدَ، «فَبَلَغَ النَّبِيَّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَبَعَثَ الطَّلَبَ فِي آثَارِهِمْ، فَأَمَرَ بِهِمْ فَسَمَرُوا أَعْيُنَهُمْ، وَقَطَعُوا أَيْدِيَهُمْ، وَتُرِكُوا فِي نَاحِيَةِ الحَرَّةِ حَتَّى مَاتُوا عَلَى حَالِهِمْ» قَالَ قَتَادَةُ: بَلَغَنَا أَنَّ النَّبِيَّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ بَعْدَ ذَلِكَ كَانَ يَحُثُّ عَلَى الصَّدَقَةِ وَيَنْهَى عَنِ المُثْلَةِ وَقَالَ شُعْبَةُ: وَأَبَانُ، وَحَمَّادٌ، عَنْ قَتَادَةَ، مِنْ عُرَيْنَةَ، وَقَالَ يَحْيَى بْنُ أَبِي كَثِيرٍ: وَأَيُّوبُ، عَنْ أَبِي قِلاَبَةَ، عَنْ أَنَسٍ قَدِمَ نَفَرٌ مِنْ عُكْلٍ
তাহকীক:
হাদীস নং: ৩৮৭৯
আন্তর্জাতিক নং: ৪১৯৩
- নবীজীর সাঃ যুদ্ধাভিযানসমূহ
২২০০. উকল ও উরায়না গোত্রের ঘটনা
৩৮৭৯। মুহাম্মাদ ইবনে আব্দুর রহীম (রাহঃ) .... উমর ইবনে আব্দুল আযীয (রাহঃ) থেকে বর্ণিত যে, একদিন তিনি লোকদের কাছে কাসামাত সম্পর্কে পরামর্শ জানতে চেয়ে বললেন, তোমরা এ কাসামা সম্পর্কে কি বল? তাঁরা বললেন, এটা সত্য এবং হোক। আপনার পূর্বে রাসূলুল্লাহ (ﷺ) এবং খলীফাগণ সকলেই কাসামাতের* নির্দেশ দিয়েছেন। বর্ণনাকারী বলেন, এ সময় আবু কিলাবা (রাহঃ) উমর ইবনে আব্দুল আযীয (রাহঃ)- এর পেছনে দাঁড়িয়েছিলেন।
তখন আম্বাসা ইবনে ইবনে সাঈদ (রাহঃ) বললেন, উরায়না গোত্র সম্পর্কে আনাস (রাযিঃ)- এর হাদীসটি কোথায় এবং কে জানো? তখন আবু কিলাবা (রাহঃ) বললেন, হাদীসটি আমার জানা আছে। আনাস ইবনে মালিক (রাযিঃ) আমার কাছেই হাদীসটি বর্ণনা করেছেন। আব্দুল আযীয ইবনে সুহায়ব (রাহঃ) আনাস ইবনে মালিক (রাযিঃ) থেকে বর্ণনা করেছেন যে, আনাস ইবনে মালিক (রাযিঃ) থেকে উকল গোত্রের কথা উল্লেখ করে ঘটনাটি বর্ণনা করেছেন।
*কোন জনপদে কোন নিহত ব্যক্তির লাশ এবং হত্যার আলামত পাওয়া গেলে এবং হত্যাকারীকে নির্দিষ্ট করা না গেলে তখন ঐ জনপদের লোকদের মধ্য থেকে হত্যাকারীকে চিহ্নিত করার জন্য যে শপথ নেয়া হয়ে থাকে তাকে কাসামা বলা হয়।
তখন আম্বাসা ইবনে ইবনে সাঈদ (রাহঃ) বললেন, উরায়না গোত্র সম্পর্কে আনাস (রাযিঃ)- এর হাদীসটি কোথায় এবং কে জানো? তখন আবু কিলাবা (রাহঃ) বললেন, হাদীসটি আমার জানা আছে। আনাস ইবনে মালিক (রাযিঃ) আমার কাছেই হাদীসটি বর্ণনা করেছেন। আব্দুল আযীয ইবনে সুহায়ব (রাহঃ) আনাস ইবনে মালিক (রাযিঃ) থেকে বর্ণনা করেছেন যে, আনাস ইবনে মালিক (রাযিঃ) থেকে উকল গোত্রের কথা উল্লেখ করে ঘটনাটি বর্ণনা করেছেন।
*কোন জনপদে কোন নিহত ব্যক্তির লাশ এবং হত্যার আলামত পাওয়া গেলে এবং হত্যাকারীকে নির্দিষ্ট করা না গেলে তখন ঐ জনপদের লোকদের মধ্য থেকে হত্যাকারীকে চিহ্নিত করার জন্য যে শপথ নেয়া হয়ে থাকে তাকে কাসামা বলা হয়।
كتاب المغازى
باب قِصَّةِ عُكْلٍ وَعُرَيْنَةَ
4193 - حَدَّثَنِي مُحَمَّدُ بْنُ عَبْدِ الرَّحِيمِ، حَدَّثَنَا حَفْصُ بْنُ عُمَرَ أَبُو عُمَرَ الحَوْضِيُّ، حَدَّثَنَا حَمَّادُ بْنُ زَيْدٍ، حَدَّثَنَا أَيُّوبُ، وَالحَجَّاجُ الصَّوَّافُ، قَالَ: حَدَّثَنِي أَبُو رَجَاءٍ، مَوْلَى أَبِي قِلاَبَةَ، وَكَانَ مَعَهُ بِالشَّأْمِ: أَنَّ عُمَرَ بْنَ عَبْدِ العَزِيزِ، اسْتَشَارَ النَّاسَ يَوْمًا، قَالَ: مَا تَقُولُونَ فِي هَذِهِ القَسَامَةِ؟ فَقَالُوا: «حَقٌّ قَضَى بِهَا رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ [ص:130]، وَقَضَتْ بِهَا الخُلَفَاءُ قَبْلَكَ» قَالَ: وَأَبُو قِلاَبَةَ خَلْفَ سَرِيرِهِ، فَقَالَ عَنْبَسَةُ بْنُ سَعِيدٍ فَأَيْنَ حَدِيثُ أَنَسٍ فِي العُرَنِيِّينَ قَالَ أَبُو قِلاَبَةَ، إِيَّايَ حَدَّثَهُ أَنَسُ بْنُ مَالِكٍ، قَالَ عَبْدُ العَزِيزِ بْنُ صُهَيْبٍ، عَنْ أَنَسٍ، مِنْ عُرَيْنَةَ، وَقَالَ أَبُو قِلاَبَةَ، عَنْ أَنَسٍ، مِنْ عُكْلٍ ذَكَرَ القِصَّةَ
তাহকীক: