আল জামিউস সহীহ- ইমাম বুখারী রহঃ

الجامع الصحيح للبخاري

৫০- নবীজীর সাঃ যুদ্ধাভিযানসমূহ - এর পরিচ্ছেদসমূহ

মোট হাদীস ২০ টি

হাদীস নং: ৪০৫৩
আন্তর্জাতিক নং: ৪৩৯৫
- নবীজীর সাঃ যুদ্ধাভিযানসমূহ
২২৪১. বিদায় হজ্জ
৪০৫৩। ইসমাঈল ইবনে আব্দুল্লাহ (রাহঃ) .... আয়েশা (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমরা রাসূলুল্লাহ (ﷺ)- এর সঙ্গে বিদায় হজ্জে (মক্কার পথে) রওয়ানা হই। তখন আমরা উমরার (নিয়তে) ইহরাম বাঁধি। এরপর রাসূলুল্লাহ (ﷺ) ঘোষণা দিলেন, যাদের সঙ্গে কুরবানীর পশু রয়েছে, তারা যেন হজ্জ ও উমরা উভয়ের একসাথে ইহরামের নিয়ত করে এবং হজ্জ ও উমরার অনুষ্ঠানাদি সমাধা করার পূর্বে হালাল না হয়।
এভাবে তাঁর [রাসূলুল্লাহ (ﷺ)- এর] সঙ্গে আমি মক্কায় পৌঁছি এবং ঋতুবতী হয়ে পড়ি। এ কারণে আমি বায়তুল্লাহর তাওয়াফ- এর সাফা ও মারওয়ার সা‘ঈ করতে পারলাম না। এ খবর আমি রাসূলুল্লাহ (ﷺ)- কে অবহিত করলাম। তখন তিনি বললেন, তুমি তোমার মাথার চুল ছেড়ে দাও এবং মাথা (চিরুনি দ্বারা) আঁচড়াও আর কেবল হজ্জের ইহরাম বাঁধ ও উমরা ছেড়ে দাও। আমি তাই করলাম।
এরপর আমরা যখন হজ্জের কাজসমূহ সম্পন্ন করলাম, তখন রাসূলুল্লাহ (ﷺ) আমাকে আবু বকর সিদ্দীক (রাযিঃ)- এর পুত্র (আমার ভাই) আব্দুর রহমান (রাযিঃ)- এর সঙ্গে তানঈম নামক স্থানে পাঠিয়ে দিলেন। সেখান থেকে (ইহরাম বেঁধে) উমরা আদায় করলাম। তখন তিনি [রাসূলুল্লাহ (ﷺ)] বললেন, এই উমরা তোমার পূর্বের কাযা উমরার পরিপূরক হল। আয়েশা (রাযিঃ) বলেন, যারা উমরার ইহরাম বেঁধেছিলেন তারা বায়তুল্লাহ্ তাওয়াফ করে এবং সাফা ও মারওয়া সা‘ঈ করার পর হালাল হয়ে যান এবং পরে মিনা থেকে প্রত্যাবর্তন করার পর আর এক তাওয়াফ আদায় করেন। আর যাঁরা হজ্জ ও উমরার ইহরাম এক সাথে বাঁধেন (হজ্জে কিরানে), তাঁরা কেবল এক তাওয়াফ আদায় করেন।
كتاب المغازى
بَابُ حَجَّة الْوَدَاعِ
4395 - حَدَّثَنَا إِسْمَاعِيلُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ، حَدَّثَنَا مَالِكٌ، عَنِ ابْنِ شِهَابٍ، عَنْ عُرْوَةَ بْنِ الزُّبَيْرِ، عَنْ عَائِشَةَ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهَا، قَالَتْ: خَرَجْنَا مَعَ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فِي حَجَّةِ الوَدَاعِ، فَأَهْلَلْنَا بِعُمْرَةٍ، ثُمَّ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «مَنْ كَانَ مَعَهُ هَدْيٌ فَلْيُهْلِلْ بِالحَجِّ مَعَ العُمْرَةِ، ثُمَّ لاَ يَحِلَّ حَتَّى يَحِلَّ مِنْهُمَا جَمِيعًا» ، فَقَدِمْتُ مَعَهُ مَكَّةَ وَأَنَا حَائِضٌ، وَلَمْ أَطُفْ بِالْبَيْتِ، وَلاَ بَيْنَ الصَّفَا وَالمَرْوَةِ، فَشَكَوْتُ إِلَى رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، فَقَالَ: «انْقُضِي رَأْسَكِ وَامْتَشِطِي، وَأَهِلِّي بِالحَجِّ، وَدَعِي العُمْرَةَ» فَفَعَلْتُ، فَلَمَّا قَضَيْنَا الحَجَّ أَرْسَلَنِي رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مَعَ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ أَبِي بَكْرٍ الصِّدِّيقِ إِلَى التَّنْعِيمِ فَاعْتَمَرْتُ، فَقَالَ: «هَذِهِ مَكَانَ عُمْرَتِكِ» ، قَالَتْ: فَطَافَ الَّذِينَ أَهَلُّوا بِالعُمْرَةِ بِالْبَيْتِ وَبَيْنَ الصَّفَا وَالمَرْوَةِ، ثُمَّ حَلُّوا، ثُمَّ طَافُوا طَوَافًا آخَرَ، بَعْدَ أَنْ رَجَعُوا مِنْ مِنًى، وَأَمَّا الَّذِينَ جَمَعُوا الحَجَّ وَالعُمْرَةَ فَإِنَّمَا طَافُوا طَوَافًا وَاحِدًا
হাদীস নং: ৪০৫৪
আন্তর্জাতিক নং: ৪৩৯৬
- নবীজীর সাঃ যুদ্ধাভিযানসমূহ
২২৪১. বিদায় হজ্জ
৪০৫৪। আমর ইবনে আলী (রাহঃ) .... ইবনে আব্বাস (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত, মুহরিম ব্যক্তি যখন বায়তুল্লাহ্ তাওয়াফ করল তখন সে তাঁর ইহরাম থেকে হালাল হয়ে গেল। আমি (ইবনে জুরায়জ) জিজ্ঞাসা করলাম যে, ইবনে আব্বাস (রাযিঃ) এ কথা কি করে বলতে পারেন? (যে সাফা ও মারওয়া সা‘ঈ করার পূর্বে কেউ হালাল হতে পারে।) রাবী আতা (রাহঃ) উত্তরে বলেন, আল্লাহ্ তাআলার এই কালামের দলীল থেকে যে, এরপর তার হালাল হওয়ার স্থল হচ্ছে বায়তুল্লাহ্ এবং নবী কারীম (ﷺ) কর্তৃক তাঁর সাহাবীদের হুজ্জাতুল বিদায় (এ কাজের পরে) হালাল হয়ে যাওয়ার হুকুম দেওয়ার ঘটনা থেকে। আমি বললাম, এ হুকুম তো আরাফাতে উকুফ করার পর প্রযোজ্য। তখন আতা (রাহঃ) বললেন, ইবনে আব্বাস (রাযিঃ)- এর মতে উকুফে আরাফার পূর্বে ও পরে উভয় অবস্থায়ই এ হুকুম প্রযোজ্য।
كتاب المغازى
بَابُ حَجَّة الْوَدَاعِ
4396 - حَدَّثَنِي عَمْرُو بْنُ عَلِيٍّ، حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ سَعِيدٍ، حَدَّثَنَا ابْنُ جُرَيْجٍ، قَالَ: حَدَّثَنِي عَطَاءٌ، عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ: إِذَا طَافَ بِالْبَيْتِ فَقَدْ حَلَّ، فَقُلْتُ: مِنْ أَيْنَ؟ قَالَ: هَذَا ابْنُ عَبَّاسٍ قَالَ: مِنْ قَوْلِ اللَّهِ تَعَالَى: {ثُمَّ مَحِلُّهَا إِلَى البَيْتِ العَتِيقِ} [الحج: 33] وَمِنْ «أَمْرِ النَّبِيِّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَصْحَابَهُ أَنْ يَحِلُّوا فِي حَجَّةِ الوَدَاعِ» ، قُلْتُ: إِنَّمَا كَانَ ذَلِكَ بَعْدَ المُعَرَّفِ قَالَ: كَانَ ابْنُ عَبَّاسٍ: «يَرَاهُ قَبْلُ وَبَعْدُ»
হাদীস নং: ৪০৫৫
আন্তর্জাতিক নং: ৪৩৯৭
- নবীজীর সাঃ যুদ্ধাভিযানসমূহ
২২৪১. বিদায় হজ্জ
৪০৫৫। বায়ান (রাহঃ) .... আবু মুসা আশ‘আরী (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমি (বিদায় হজ্জে) মক্কার বাত্হা নামক স্থানে রাসূলুল্লাহ (ﷺ)- এর সঙ্গে মিলিত হলাম। তখন তিনি আমাকে জিজ্ঞাসা করলেন, ‘তুমি কি হজ্জের ইহরাম বেঁধেছ?’ আমি বললাম, হ্যাঁ। তখন তিনি আমাকে (পূনরায়) জিজ্ঞাসা করলেন, কোন প্রকার হজ্জের ইহরামের নিয়ত করেছ? আমি বললাম, আমি রাসূলুল্লাহ (ﷺ)- এর ইহরামের মতো ইহরামের নিয়ত করে তালবিয়া পড়েছি। রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বললেন, বায়তুল্লাহ্ তাওয়াফ কর এবং সাফা ও মারওয়া সা‘ঈ কর। এরপর (ইহরাম খুলে) হালাল হয়ে যাও। তখন আমি বায়তুল্লাহ্ তাওয়াফ করলাম ও সাফা এবং মারওয়া সা‘ঈ করলাম। এরপর আমি কায়েস গোত্রের এক মহিলার কাছে গেলাম, সে আমার চুল আঁচড়ে (ইহরাম থেকে মুক্ত করে) দিল।
كتاب المغازى
بَابُ حَجَّة الْوَدَاعِ
4397 - حَدَّثَنِي بَيَانٌ، حَدَّثَنَا النَّضْرُ، أَخْبَرَنَا شُعْبَةُ، عَنْ قَيْسٍ، قَالَ: سَمِعْتُ طَارِقًا، عَنْ أَبِي مُوسَى الأَشْعَرِيِّ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ، قَالَ: قَدِمْتُ عَلَى النَّبِيِّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ بِالْبَطْحَاءِ، فَقَالَ: «أَحَجَجْتَ» قُلْتُ: نَعَمْ، قَالَ: «كَيْفَ أَهْلَلْتَ» قُلْتُ: لَبَّيْكَ بِإِهْلاَلٍ كَإِهْلاَلِ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، قَالَ: «طُفْ بِالْبَيْتِ، وَبِالصَّفَا، وَالمَرْوَةِ، ثُمَّ حِلَّ» فَطُفْتُ بِالْبَيْتِ وَبِالصَّفَا وَالمَرْوَةِ، وَأَتَيْتُ امْرَأَةً مِنْ قَيْسٍ، فَفَلَتْ رَأْسِي
হাদীস নং: ৪০৫৬
আন্তর্জাতিক নং: ৪৩৯৮
- নবীজীর সাঃ যুদ্ধাভিযানসমূহ
২২৪১. বিদায় হজ্জ
৪০৫৬। ইবরাহীম ইবনে মুনযির (রাহঃ) .... ইবনে উমর (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ (ﷺ)- এর সহধর্মিনী হাফসা (রাযিঃ) ইবনে উমর (রাযিঃ)- কে জানিয়েছেন যে, বিদায় হজ্জের বছর রাসূলুল্লাহ (ﷺ)- তাঁর স্ত্রীদের হালাল হয়ে যেতে নির্দেশ দেন। তখন হাফসা (রাযিঃ) জিজ্ঞাসা করলেন, আপনি কি কারণে হালাল হচ্ছেন না? তদুত্তরে তিনি বললেন, আমি আঠা (গাম) জাতীয় বস্তু দ্বারা আমার মাথার চুল জমাট করে ফেলেছি এবং কুরবানীর পশুর (নিদর্শনস্বরূপ) গলায় চর্ম বেঁধে (গলতানী বা গলকন্ঠ) দিয়েছি। কাজেই, আমি আমার (হজ্জ সমাধা করার পর) কুরবানীর পশু যবেহ্ করার পূর্বে হালাল হতে পারব না।
كتاب المغازى
بَابُ حَجَّة الْوَدَاعِ
4398 - حَدَّثَنِي إِبْرَاهِيمُ بْنُ المُنْذِرِ، أَخْبَرَنَا أَنَسُ بْنُ عِيَاضٍ، حَدَّثَنَا مُوسَى بْنُ عُقْبَةَ، عَنْ نَافِعٍ، أَنَّ ابْنَ عُمَرَ، أَخْبَرَهُ أَنَّ حَفْصَةَ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهَا زَوْجَ النَّبِيِّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، أَخْبَرَتْهُ: أَنَّ النَّبِيَّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَمَرَ أَزْوَاجَهُ أَنْ يَحْلِلْنَ عَامَ حَجَّةِ الوَدَاعِ، فَقَالَتْ حَفْصَةُ: فَمَا يَمْنَعُكَ؟ فَقَالَ: «لَبَّدْتُ رَأْسِي، وَقَلَّدْتُ هَدْيِي، فَلَسْتُ [ص:176] أَحِلُّ حَتَّى أَنْحَرَ هَدْيِي»
হাদীস নং: ৪০৫৭
আন্তর্জাতিক নং: ৪৩৯৯
- নবীজীর সাঃ যুদ্ধাভিযানসমূহ
২২৪১. বিদায় হজ্জ
৪০৫৭। আবুল ইয়ামান (রাহঃ) .... ইবনে আব্বাস (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত যে, আশআম গোত্রের এক মহিলা বিদায় হজ্জের সময় রাসূলুল্লাহ (ﷺ)- এর নিকট জিজ্ঞাসা করে। এ সময় ফদল ইবনে আব্বাস (রাযিঃ) (একই যানবাহনে) রাসূলুল্লাহ (ﷺ)- এর পেছনে উপবিষ্ট ছিলেন। মহিলাটি আবেদন করল, ইয়া রাসূলাল্লাহ! আল্লাহ্ তাঁর বান্দাদের প্রতি হজ্জ ফরয করেছেন। আমার পিতার উপর তা এমন অবস্থায় ফরয হল যে, তিনি অতীব বয়োবৃদ্ধ। যে কারণে যানবাহনের উপর সোজা হয়ে বসতেও সমর্থ নন। এমতাবস্থায় আমি তাঁর পক্ষ থেকে (নায়েবী / বদলী) হজ্জ আদায় করলে তা আদায় হবে কি? রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বললেন, হ্যাঁ।
كتاب المغازى
بَابُ حَجَّة الْوَدَاعِ
4399 - حَدَّثَنَا أَبُو اليَمَانِ، قَالَ: حَدَّثَنِي شُعَيْبٌ، عَنِ الزُّهْرِيِّ، وَقَالَ مُحَمَّدُ بْنُ يُوسُفَ: حَدَّثَنَا الأَوْزَاعِيُّ، قَالَ: أَخْبَرَنِي ابْنُ شِهَابٍ، عَنْ سُلَيْمَانَ بْنِ يَسَارٍ، عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُمَا، أَنَّ امْرَأَةً مِنْ خَثْعَمَ اسْتَفْتَتْ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فِي حَجَّةِ الوَدَاعِ، وَالفَضْلُ بْنُ عَبَّاسٍ رَدِيفُ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، فَقَالَتْ: يَا رَسُولَ اللَّهِ، إِنَّ فَرِيضَةَ اللَّهِ عَلَى عِبَادِهِ أَدْرَكَتْ أَبِي شَيْخًا كَبِيرًا، لاَ يَسْتَطِيعُ أَنْ يَسْتَوِيَ عَلَى الرَّاحِلَةِ، فَهَلْ يَقْضِي أَنْ أَحُجَّ عَنْهُ؟ قَالَ: «نَعَمْ»
হাদীস নং: ৪০৫৮
আন্তর্জাতিক নং: ৪৪০০
- নবীজীর সাঃ যুদ্ধাভিযানসমূহ
২২৪১. বিদায় হজ্জ
৪০৫৮। মুহাম্মাদ (রাহঃ) .... ইবনে উমর (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, মক্কা বিজয়ের বছর রাসূলুল্লাহ (ﷺ) এগিয়ে চললেন। তিনি (তাঁর) কাসওয়া নামক উটনীর উপর উসামা (রাযিঃ)- কে পিছনে বসালেন। তাঁর সঙ্গে ছিলেন বিলাল ও উসমান ইবনে তালহা (রাযিঃ)। অবশেষে রাসূলুল্লাহ (ﷺ) (তাঁর বাহনকে) বায়তুল্লাহর নিকট বসালেন। তারপর উসমান (ইবনে তালহা) (রাযিঃ)- কে বললেন, আমার কাছে চাবি নিয়ে এসো। তিনি তাঁকে চাবি এনে দিলেন। এরপর কা‘বা শরীফের দরজা তাঁর জন্য খোলা হল।
তখন রাসূলুল্লাহ (ﷺ), উসামা, বিলাল এবং উসমান (রাযিঃ) কা‘বা ঘরে প্রবেশ করলেন। তারপর দরজা বন্ধ করে দেওয়া হল। এরপর তিনি দিবা ভাগের দীর্ঘ সময় পর্যন্ত সেখানে অবস্থান করেন এবং পরে বের হয়ে আসেন। তখন লোকেরা কা‘বার অভ্যন্তরে প্রবেশ করার জন্য তাড়াহুড়া করতে থাকে। আর আমি তাদের অগ্রগামী হই এবং বিলাল (রাযিঃ)- কে কা‘বার দরজার পিছনে দাঁড়ানো অবস্থায় পাই।
তখন আমি তাঁকে জিজ্ঞাসা করলাম, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) কোন স্থানে নামায আদায় করেছেন? তিনি বললেন, ঐ সামনের দু’ স্তম্ভের মাঝখানে। এ সময় বায়তুল্লাহর দুই সারিতে ছয়টি স্তম্ভ ছিল। নবী কারীম (ﷺ) সামনের দুই খামের মাঝখানে নামায আদায় করেছেন। রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বায়তুল্লাহর দরজা তাঁর পিছনে রেখেছিলেন এবং তাঁর চেহারা মুবারক ছিল আপনার বায়তুল্লায় প্রবেশকালে সামনে যে দেওয়াল পড়ে সেদিকে। ইবনে উমর (রাযিঃ) বলেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) কত রাকআত নামায আদায় করেছেন তা জিজ্ঞাসা করতে আমি ভুলে গিয়েছিলাম। আর যে স্থানে রাসূলুল্লাহ (ﷺ) নামায আদায় করেছিলেন সেখানে লাল বর্ণের মর্মর পাথর ছিল।
كتاب المغازى
بَابُ حَجَّة الْوَدَاعِ
4400 - حَدَّثَنِي مُحَمَّدٌ، حَدَّثَنَا سُرَيْجُ بْنُ النُّعْمَانِ، حَدَّثَنَا فُلَيْحٌ، عَنْ نَافِعٍ، عَنِ ابْنِ عُمَرَ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُمَا، قَالَ: أَقْبَلَ النَّبِيُّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ عَامَ الفَتْحِ، وَهُوَ مُرْدِفٌ أُسَامَةَ عَلَى القَصْوَاءِ، وَمَعَهُ بِلاَلٌ، وَعُثْمَانُ بْنُ طَلْحَةَ، حَتَّى أَنَاخَ عِنْدَ البَيْتِ، ثُمَّ قَالَ لِعُثْمَانَ: «ائْتِنَا بِالْمِفْتَاحِ» . فَجَاءَهُ بِالْمِفْتَاحِ فَفَتَحَ لَهُ البَابَ، فَدَخَلَ النَّبِيُّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَأُسَامَةُ، وَبِلاَلٌ، وَعُثْمَانُ، ثُمَّ أَغْلَقُوا عَلَيْهِمُ البَابَ، فَمَكَثَ نَهَارًا طَوِيلًا، ثُمَّ خَرَجَ وَابْتَدَرَ النَّاسُ الدُّخُولَ، فَسَبَقْتُهُمْ فَوَجَدْتُ بِلاَلًا قَائِمًا مِنْ وَرَاءِ البَابِ، فَقُلْتُ لَهُ: أَيْنَ صَلَّى رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ؟ فَقَالَ: صَلَّى بَيْنَ ذَيْنِكَ العَمُودَيْنِ المُقَدَّمَيْنِ، وَكَانَ البَيْتُ عَلَى سِتَّةِ أَعْمِدَةٍ سَطْرَيْنِ، صَلَّى بَيْنَ العَمُودَيْنِ مِنَ السَّطْرِ المُقَدَّمِ، وَجَعَلَ بَابَ البَيْتِ خَلْفَ ظَهْرِهِ، وَاسْتَقْبَلَ بِوَجْهِهِ الَّذِي يَسْتَقْبِلُكَ حِينَ تَلِجُ البَيْتَ بَيْنَهُ وَبَيْنَ الجِدَارِ، قَالَ: «وَنَسِيتُ أَنْ أَسْأَلَهُ كَمْ صَلَّى وَعِنْدَ المَكَانِ الَّذِي صَلَّى فِيهِ مَرْمَرَةٌ حَمْرَاءُ»
হাদীস নং: ৪০৫৯
আন্তর্জাতিক নং: ৪৪০১
- নবীজীর সাঃ যুদ্ধাভিযানসমূহ
২২৪১. বিদায় হজ্জ
৪০৫৯। আবুল ইয়ামান (রাহঃ) .... নবী কারীম (ﷺ)- এর সহধর্মিনী আয়েশা (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত, নবী কারীম (ﷺ)-এর সহধর্মিনী হুয়াই- এর কন্যা সাফিয়া (রাযিঃ) বিদায় হজ্জের সময় ঋতুবতী হয়ে পড়েন। তখন নবী কারীম (ﷺ) বললেন, সে কি আমাদের (মদীনার পথে প্রত্যাবর্তনে) আটকে দিলো? তখন আমি বললাম, ইয়া রাসূলাল্লাহ! তিনি তো তাওয়াফে যিয়ারাহ্ আদায় করে নিয়েছেন। তখন নবী কারীম (ﷺ) বললেন, তাহলে সেও রওয়ানা করুক।
كتاب المغازى
بَابُ حَجَّة الْوَدَاعِ
4401 - حَدَّثَنَا أَبُو اليَمَانِ، أَخْبَرَنَا شُعَيْبٌ، عَنِ الزُّهْرِيِّ، حَدَّثَنِي عُرْوَةُ بْنُ الزُّبَيْرِ، وَأَبُو سَلَمَةَ بْنُ عَبْدِ الرَّحْمَنِ، أَنَّ عَائِشَةَ زَوْجَ النَّبِيِّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، أَخْبَرَتْهُمَا أَنَّ صَفِيَّةَ بِنْتَ حُيَيٍّ زَوْجَ النَّبِيِّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، حَاضَتْ فِي حَجَّةِ الوَدَاعِ، فَقَالَ النَّبِيُّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «أَحَابِسَتُنَا هِيَ» فَقُلْتُ: إِنَّهَا قَدْ أَفَاضَتْ يَا رَسُولَ اللَّهِ وَطَافَتْ بِالْبَيْتِ، فَقَالَ النَّبِيُّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «فَلْتَنْفِرْ»
হাদীস নং: ৪০৬০
আন্তর্জাতিক নং: ৪৪০২ - ৪৪০৩
- নবীজীর সাঃ যুদ্ধাভিযানসমূহ
২২৪১. বিদায় হজ্জ
৪০৬০। ইয়াহয়া ইবনে সুলাইমান (রাহঃ) .... ইবনে উমর (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, নবী কারীম (ﷺ) আমাদের মাঝে উপস্থিত থাকাবস্থায় আমরা বিদায় হজ্জ সম্পর্কে আলোচনা করতাম। আর আমরা বিদায় হজ্জ কাকে বলে তা জানতাম না। এরপর রাসূলুল্লাহ (ﷺ) আল্লাহর প্রশংসা ও মহিমা বর্ণনা করেন। তারপর তিনি মাসীহ্ দাজ্জাল সম্পর্কে দীর্ঘ আলোচনা করেন এবং বলেন, আল্লাহ্ এমন কোন নবী প্রেরণ করেন নি যিনি তাঁর উম্মতকে দাজ্জাল সম্পর্কে সতর্ক করেননি। নূহ (আলাইহিস সালাম) এবং তাঁর পরবর্তী নবীগণও তাঁদের উম্মতগণকে এ সম্পর্কে সতর্ক করেছেন। সে তোমাদের মধ্যে প্রকাশিত হবে। তার অবস্থা তোমাদের কাছে গোপনীয় নয়।
তোমাদের কাছে এও অস্পষ্ট নয় যে, তোমাদের রব (আল্লাহ্) এক চোখ কানা নন। অথচ দাজ্জালের ডান চোখ কানা হবে। যেন তার চোখ একটি ফোলা আঙ্গুর। তোমরা সতর্ক থাক। আজকের এ দিন, এ শহর এবং এ মাসের মতো আল্লাহ্ তাআলা তোমাদের (রক্ত) ও তোমাদের সম্পদকে তোমাদের উপর হারাম করেছেন। তোমরা লক্ষ্য কর, আমি কি আল্লাহর পয়গাম পৌঁছে দিয়েছি। সমবেত সকলে বললেন, হ্যাঁ। তিনি বললেন, হে আল্লাহ্, আপনি সাক্ষী থাকুন। তিনি একথা তিনবার বললেন, (তারপর বললেন), তোমাদের জন্য পরিতাপ অথবা তিনি বললেন, তোমাদের জন্য আফসোস, সতর্ক থেকো, আমার পরে তোমরা কুফরের দিকে প্রত্যাবর্তন করো না যে, একে অপরের গর্দান মারবে।
كتاب المغازى
بَابُ حَجَّة الْوَدَاعِ
حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ سُلَيْمَانَ، قَالَ أَخْبَرَنِي ابْنُ وَهْبٍ، قَالَ حَدَّثَنِي عُمَرُ بْنُ مُحَمَّدٍ، أَنَّ أَبَاهُ، حَدَّثَهُ عَنِ ابْنِ عُمَرَ ـ رضى الله عنهما ـ قَالَ كُنَّا نَتَحَدَّثُ بِحَجَّةِ الْوَدَاعِ وَالنَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم بَيْنَ أَظْهُرِنَا، وَلاَ نَدْرِي مَا حَجَّةُ الْوَدَاعِ، فَحَمِدَ اللَّهَ وَأَثْنَى عَلَيْهِ ثُمَّ ذَكَرَ الْمَسِيحَ الدَّجَّالَ فَأَطْنَبَ فِي ذِكْرِهِ وَقَالَ " مَا بَعَثَ اللَّهُ مِنْ نَبِيٍّ إِلاَّ أَنْذَرَ أُمَّتَهُ، أَنْذَرَهُ نُوحٌ وَالنَّبِيُّونَ مِنْ بَعْدِهِ، وَإِنَّهُ يَخْرُجُ فِيكُمْ، فَمَا خَفِيَ عَلَيْكُمْ مِنْ شَأْنِهِ فَلَيْسَ يَخْفَى عَلَيْكُمْ أَنَّ رَبَّكُمْ لَيْسَ عَلَى مَا يَخْفَى عَلَيْكُمْ ثَلاَثًا، إِنَّ رَبَّكُمْ لَيْسَ بِأَعْوَرَ، وَإِنَّهُ أَعْوَرُ عَيْنِ الْيُمْنَى، كَأَنَّ عَيْنَهُ عِنَبَةٌ طَافِيَةٌ ". " أَلاَ إِنَّ اللَّهَ حَرَّمَ عَلَيْكُمْ دِمَاءَكُمْ وَأَمْوَالَكُمْ، كَحُرْمَةِ يَوْمِكُمْ هَذَا، فِي بَلَدِكُمْ هَذَا، فِي شَهْرِكُمْ هَذَا، أَلاَ هَلْ بَلَّغْتُ ". قَالُوا نَعَمْ. قَالَ " اللَّهُمَّ اشْهَدْ، ثَلاَثًا، وَيْلَكُمْ، أَوْ وَيْحَكُمُ، انْظُرُوا لاَ تَرْجِعُوا بَعْدِي كُفَّارًا، يَضْرِبُ بَعْضُكُمْ رِقَابَ بَعْضٍ ".
হাদীস নং: ৪০৬১
আন্তর্জাতিক নং: ৪৪০৪
- নবীজীর সাঃ যুদ্ধাভিযানসমূহ
২২৪১. বিদায় হজ্জ
৪০৬১। আমর ইবনে খালিদ (রাহঃ) .... যায়দ ইবনে আরকাম (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত যে, নবী কারীম (ﷺ) উনিশটি যুদ্ধে স্বয়ং অংশগ্রহণ করেন। আর হিজরতের পর তিনি কেবল একটি হজ্জ আদায় করেন। এরপর তিনি আর কোন হজ্জ আদায় করেননি এবং তা হল বিদায় হজ্জ। আবু ইসহাক (রাহঃ) বলেন, মক্কায় অবস্থানকালে তিনি (নফল) হজ্জ আদায় করেন।
كتاب المغازى
بَابُ حَجَّة الْوَدَاعِ
4404 - حَدَّثَنَا عَمْرُو بْنُ خَالِدٍ، حَدَّثَنَا زُهَيْرٌ، حَدَّثَنَا أَبُو إِسْحَاقَ، قَالَ: حَدَّثَنِي زَيْدُ بْنُ أَرْقَمَ، أَنَّ النَّبِيَّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ «غَزَا تِسْعَ عَشْرَةَ غَزْوَةً، وَأَنَّهُ حَجَّ بَعْدَ مَا هَاجَرَ حَجَّةً وَاحِدَةً، لَمْ يَحُجَّ بَعْدَهَا حَجَّةَ الوَدَاعِ» ، قَالَ أَبُو إِسْحَاقَ: «وَبِمَكَّةَ أُخْرَى»
হাদীস নং: ৪০৬২
আন্তর্জাতিক নং: ৪৪০৫
- নবীজীর সাঃ যুদ্ধাভিযানসমূহ
২২৪১. বিদায় হজ্জ
৪০৬২। হাফস ইবনে উমর (রাযিঃ) .... জারির (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত, নবী কারীম (ﷺ) জারীর (রাযিঃ)- কে বিদায় হজ্জে বললেন, লোকজনকে চুপ থাকতে বলো। তারপর বললেন, মনে রেখ! আমার ইন্‌তিকালের পর তোমরা কাফিরে পরিনত হয়ো না যে, একে অপরের গর্দান মারবে।
كتاب المغازى
بَابُ حَجَّة الْوَدَاعِ
4405 - حَدَّثَنَا حَفْصُ بْنُ عُمَرَ، حَدَّثَنَا شُعْبَةُ، عَنْ عَلِيِّ بْنِ مُدْرِكٍ، عَنْ أَبِي زُرْعَةَ بْنِ عَمْرِو بْنِ جَرِيرٍ، عَنْ جَرِيرٍ، أَنَّ النَّبِيَّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، قَالَ: فِي حَجَّةِ الوَدَاعِ لِجَرِيرٍ: «اسْتَنْصِتِ النَّاسَ» فَقَالَ: «لاَ تَرْجِعُوا بَعْدِي كُفَّارًا، يَضْرِبُ بَعْضُكُمْ رِقَابَ بَعْضٍ»
হাদীস নং: ৪০৬৩
আন্তর্জাতিক নং: ৪৪০৬
- নবীজীর সাঃ যুদ্ধাভিযানসমূহ
২২৪১. বিদায় হজ্জ
৪০৬৩। মুহাম্মাদ ইবনুল মুসান্না (রাহঃ) .... আবু বাকরা (রাযিঃ)- এর সূত্রে নবী কারীম (ﷺ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, সময় ও কাল আবর্তিত হয় নিজ চক্রে ও অবস্থায়। যেদিন থেকে আল্লাহ্ আসমান ও যমীন সৃষ্টি করেছেন। এক বছর বারো মাসে হয়ে থাকে। এর মধ্যে চার মাস সম্মানিত। তিনমাস পরপর আসে- যেমন যিলক্বদ, যিলহজ্জ ও মুহাররম এবং রজব- মুদার যা জমাদিউল আখির ও শা‘বান মাসের মধ্যবর্তী সময়ে হয়ে থাকে। (এরপর তিনি প্রশ্ন করলেন) এটি কোন মাস? আমরা বললাম, আল্লাহ্ ও তাঁর রাসূলুল্লাহ (ﷺ)- ই অধিক জানেন। এরপর তিনি চুপ থাকলেন। এমনকি আমরা ধারণা করলাম যে, হয়তো বা তিনি অচিরেই এ মাসের অন্য কোন নাম রাখবেন।
(তারপর) তিনি বললেন, এ কি যিলহজ্জ মাস নয়? আমরা বললাম, হ্যাঁ। তারপর তিনি জিজ্ঞাসা করলেন, এটি কোন শহর? আমরা বললাম, আল্লাহ্ ও তাঁর রাসূলুল্লাহ (ﷺ)- ই অধিক জানেন। তারপর তিনি চুপ থাকলেন। আমরা ধারণা করলাম যে, হয়ত বা তিনি অচিরেই এ শহরের অন্য কোন নাম রাখবেন। তারপর তিনি বললেন, এটি কি (মক্কা) শহর নয়? আমরা বললাম, হ্যাঁ। তিনি আবার জিজ্ঞাসা করলেন, এ দিনটি কোন দিন? আমরা বললাম, আল্লাহ্ ও তাঁর রাসূলুল্লাহ (ﷺ)- ই ভালো জানেন। তারপর তিনি চুপ থাকলেন। এতে আমরা মনে করলাম যে, তিনি এ দিনটির অন্য কোন নামকরন করবেন। তারপর তিনি বললেন, এটি কি কুরবানীর দিন নয়? আমরা বললাম, হ্যাঁ।
এরপর তিনি বললেন, তোমাদের রক্ত, তোমাদের সম্পদ; (রাবী) মুহাম্মাদ বলেন, আমার ধারণা যে, তিনি [রাসূলুল্লাহ (ﷺ)] আরও বলেছিলেন, তোমাদের মান-ইজ্জত তোমাদের উপর পবিত্র, যেমন পবিত্র তোমাদের আজকের এই দিন, তোমাদের এই শহর ও তোমাদের এই মাস। তোমরা অচিরেই তোমাদের রবের সাথে মিলিত হবে। তখন তিনি তোমাদের কাজ-কর্ম সম্পর্কে জিজ্ঞাসাবাদ করবেন। খবরদার! তোমরা আমার ওফাতের পরে বিভ্রান্ত হয়ে পড়ো না যে, একে অপরের গর্দান মারবে।
শোন, তোমাদের উপস্থিত ব্যক্তি অনুপস্থিত ব্যক্তিকে আমার পয়গাম পৌঁছে দেবে। এটা বাস্তব যে, অনেক সময় যে প্রত্যক্ষভাবে শ্রবন করেছে তার থেকেও প্রচারকৃত ব্যক্তি অধিকতর সংরক্ষণকারী হয়ে থাকে। (রাবী) মুহাম্মাদ [ইবনে সীরীন (রাহঃ)] যখনই এ হাদীস বর্ণনা করতেন তখন তিনি বলতেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) সত্যই বলেছেন। তারপর রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বললেন, জেনে রাখ, আমি কি (আল্লাহর বাণী তোমাদের কাছে) পৌঁছিয়ে দিয়েছি? এভাবে দু’বার বললেন।
كتاب المغازى
بَابُ حَجَّة الْوَدَاعِ
4406 - حَدَّثَنِي مُحَمَّدُ بْنُ المُثَنَّى، حَدَّثَنَا عَبْدُ الوَهَّابِ، حَدَّثَنَا أَيُّوبُ، عَنْ مُحَمَّدٍ، عَنِ ابْنِ أَبِي بَكْرَةَ، عَنْ أَبِي بَكْرَةَ، عَنِ النَّبِيِّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، قَالَ: " الزَّمَانُ قَدِ اسْتَدَارَ كَهَيْئَةِ يَوْمَ خَلَقَ السَّمَوَاتِ وَالأَرْضَ، السَّنَةُ اثْنَا عَشَرَ شَهْرًا مِنْهَا أَرْبَعَةٌ حُرُمٌ: ثَلاَثَةٌ مُتَوَالِيَاتٌ: ذُو القَعْدَةِ، وَذُو الحِجَّةِ، وَالمُحَرَّمُ، وَرَجَبُ مُضَرَ، الَّذِي بَيْنَ جُمَادَى وَشَعْبَانَ، أَيُّ شَهْرٍ هَذَا "، قُلْنَا: اللَّهُ وَرَسُولُهُ أَعْلَمُ، فَسَكَتَ حَتَّى ظَنَنَّا أَنَّهُ سَيُسَمِّيهِ بِغَيْرِ اسْمِهِ، قَالَ: «أَلَيْسَ ذُو الحِجَّةِ» ، قُلْنَا: بَلَى، قَالَ: «فَأَيُّ بَلَدٍ هَذَا» . قُلْنَا: اللَّهُ وَرَسُولُهُ أَعْلَمُ، فَسَكَتَ حَتَّى ظَنَنَّا أَنَّهُ سَيُسَمِّيهِ بِغَيْرِ اسْمِهِ، قَالَ: «أَلَيْسَ البَلْدَةَ» . قُلْنَا: بَلَى، قَالَ: «فَأَيُّ يَوْمٍ هَذَا» . قُلْنَا: اللَّهُ وَرَسُولُهُ أَعْلَمُ، فَسَكَتَ حَتَّى ظَنَنَّا أَنَّهُ سَيُسَمِّيهِ بِغَيْرِ اسْمِهِ، قَالَ: «أَلَيْسَ يَوْمَ النَّحْرِ» . قُلْنَا: بَلَى، قَالَ: " فَإِنَّ دِمَاءَكُمْ وَأَمْوَالَكُمْ، - قَالَ مُحَمَّدٌ: وَأَحْسِبُهُ قَالَ - وَأَعْرَاضَكُمْ عَلَيْكُمْ حَرَامٌ، كَحُرْمَةِ يَوْمِكُمْ هَذَا فِي بَلَدِكُمْ هَذَا، فِي شَهْرِكُمْ هَذَا، وَسَتَلْقَوْنَ رَبَّكُمْ، فَسَيَسْأَلُكُمْ عَنْ أَعْمَالِكُمْ، أَلاَ فَلاَ تَرْجِعُوا بَعْدِي ضُلَّالًا، يَضْرِبُ بَعْضُكُمْ رِقَابَ بَعْضٍ، أَلاَ لِيُبَلِّغِ الشَّاهِدُ الغَائِبَ، فَلَعَلَّ بَعْضَ مَنْ يُبَلَّغُهُ أَنْ يَكُونَ أَوْعَى لَهُ مِنْ بَعْضِ مَنْ سَمِعَهُ ". فَكَانَ مُحَمَّدٌ إِذَا ذَكَرَهُ يَقُولُ: صَدَقَ مُحَمَّدٌ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، ثُمَّ قَالَ: «أَلاَ هَلْ بَلَّغْتُ» مَرَّتَيْنِ
হাদীস নং: ৪০৬৪
আন্তর্জাতিক নং: ৪৪০৭
- নবীজীর সাঃ যুদ্ধাভিযানসমূহ
২২৪১. বিদায় হজ্জ
৪০৬৪। মুহাম্মাদ ইবনে ইউসুফ (রাহঃ) .... তারিক ইবনে শিহাব (রাঃ) থেকে বর্ণিত যে, একদল ইয়াহুদী বলল, যদি এ আয়াত আমাদের প্রতি অবতীর্ণ হতো, তাহলে আমরা উক্ত অবতরণের দিনকে ঈদের দিন হিসেবে উদযাপন করতাম। তখন উমর (রাযিঃ) তাদের জিজ্ঞাসা করলেন, কোন আয়াত? তারা বলল, এই আয়াতঃ ‘আজ আমি তোমাদের জন্য তোমাদের দ্বীন (জীবন-বিধান)- কে পূর্ণাঙ্গ করে দিলাম এবং তোমাদের প্রতি আমার নিআমত পরিপূর্ণ করলাম। (৫ঃ ৩)। তখন উমর (রাযিঃ) বললেন, কোন স্থানে এ আয়াত নাযিল হয়েছিল তা আমি জানি। এ আয়াত নাযিল হওয়ার সময় রাসূলুল্লাহ (ﷺ) আরাফার ময়দানে (জাবালে রহমতে) দাঁড়ানো অবস্থায় ছিলেন।
كتاب المغازى
بَابُ حَجَّة الْوَدَاعِ
4407 - حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ يُوسُفَ، حَدَّثَنَا سُفْيَانُ الثَّوْرِيُّ، عَنْ قَيْسِ بْنِ مُسْلِمٍ، عَنْ طَارِقِ بْنِ شِهَابٍ، أَنَّ أُنَاسًا، مِنَ اليَهُودِ قَالُوا: لَوْ نَزَلَتْ هَذِهِ الآيَةُ فِينَا لاَتَّخَذْنَا ذَلِكَ اليَوْمَ عِيدًا، فَقَالَ عُمَرُ: أَيَّةُ آيَةٍ؟ فَقَالُوا: {اليَوْمَ أَكْمَلْتُ لَكُمْ دِينَكُمْ وَأَتْمَمْتُ عَلَيْكُمْ نِعْمَتِي وَرَضِيتُ لَكُمُ الإِسْلاَمَ دِينًا} [المائدة: 3] . فَقَالَ عُمَرُ: «إِنِّي لَأَعْلَمُ أَيَّ مَكَانٍ أُنْزِلَتْ أُنْزِلَتْ، وَرَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَاقِفٌ بِعَرَفَةَ»
হাদীস নং: ৪০৬৫
আন্তর্জাতিক নং: ৪৪০৮
- নবীজীর সাঃ যুদ্ধাভিযানসমূহ
২২৪১. বিদায় হজ্জ
৪০৬৫। আব্দুল্লাহ ইবনে মাসলামা (রাহঃ) .... আয়েশা (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমরা (মদীনা মুনাওয়ারা থেকে) রাসূলুল্লাহ (ﷺ)- এর সঙ্গে রওয়ানা হলাম। আমাদের মধ্যে কেউ কেউ উমরার ইহরাম বেঁধেছিলেন আর কেউ কেউ হজ্জের ইহরাম, আবার কেউ কেউ হজ্জ ও উমরা উভয়ের ইহরাম বেঁধেছিলেন। আর রাসূলুল্লাহ (ﷺ) হজ্জের ইহরাম বেঁধেছিলেন। যাঁরা শুধু হজ্জের ইহরাম বাঁধেন অথবা হজ্জ ও উমরার ইহরাম একসঙ্গে বাঁধেন, তারা কুরবানীর দিন দশই যিলহজ্জ এর পূর্বে হালাল হতে পারবে না।
كتاب المغازى
بَابُ حَجَّة الْوَدَاعِ
4408 - حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ مَسْلَمَةَ، عَنْ مَالِكٍ، عَنْ أَبِي الأَسْوَدِ مُحَمَّدِ بْنِ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ نَوْفَلٍ، عَنْ عُرْوَةَ، عَنْ عَائِشَةَ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهَا، قَالَتْ [ص:178]: خَرَجْنَا مَعَ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، فَمِنَّا مَنْ أَهَلَّ بِعُمْرَةٍ، وَمِنَّا مَنْ أَهَلَّ بِحَجَّةٍ، وَمِنَّا مَنْ أَهَلَّ بِحَجٍّ وَعُمْرَةٍ، «وَأَهَلَّ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ بِالحَجِّ» ، فَأَمَّا مَنْ أَهَلَّ بِالحَجِّ أَوْ جَمَعَ الحَجَّ وَالعُمْرَةَ، فَلَمْ يَحِلُّوا حَتَّى يَوْمِ النَّحْرِ
হাদীস নং: ৪০৬৬
আন্তর্জাতিক নং: ৪৪০৮
- নবীজীর সাঃ যুদ্ধাভিযানসমূহ
২২৪১. বিদায় হজ্জ
৪০৬৬। আব্দুল্লাহ ইবনে ইউসুফ (রাহঃ) .... মালিক (রাহঃ) থেকে বর্ণনা করেন, তিনি বলেন, উপরোক্ত ঘটনা ছিল রাসূলুল্লাহ (ﷺ)- এর সঙ্গে বিদায় হজ্জকালীন সময়ের। ইসমাঈল (রাহঃ) সূত্রেও মালিক (রাহঃ) থেকে অনু্রূপ বর্ণিত আছে।
كتاب المغازى
بَابُ حَجَّة الْوَدَاعِ
4408 - حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ يُوسُفَ، أَخْبَرَنَا مَالِكٌ، وَقَالَ: مَعَ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فِي حَجَّةِ الوَدَاعِ، حَدَّثَنَا إِسْمَاعِيلُ، حَدَّثَنَا مَالِكٌ مِثْلَهُ
tahqiq

তাহকীক:

হাদীস নং: ৪০৬৭
আন্তর্জাতিক নং: ৪৪০৯
- নবীজীর সাঃ যুদ্ধাভিযানসমূহ
২২৪১. বিদায় হজ্জ
৪০৬৭। আহমদ ইবনে ইউনুস (রাহঃ) .... সা‘দ (ইবনে আবু ওয়াক্কাস) (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, বিদায় হজ্জের সময় আমি বেদনাজনিত মরনাপন্ন রোগে আক্রান্ত হয়ে পড়লে নবী কারীম (ﷺ) আমাকে দেখতে এলেন। আমি বললাম, ইয়া রাসূলাল্লাহ! আমার রোগ যে কঠিন আকার ধারণ করেছে তা আপনি দেখতেই পাচ্ছেন। আমি একজন বিত্তশালী লোক অথচ আমার একমাত্র কন্যা ব্যতীত অন্য কোন উত্তরাধিকারী নেই। এমতাবস্থায় আমি কি আমার সম্পত্তির দুই-তৃতীয়াংশ সাদ্‌কা* করে দেব? তিনি [রাসূলুল্লাহ (ﷺ)] বললেন, “না”। আমি জিজ্ঞাসা করলাম, তবে কি আমি এর অর্ধেক সাদ্‌কা করে দেব? তিনি বললেন, “না”। আমি বললাম, এক-তৃতীয়াংশ, তখন তিনি বললেন, হ্যাঁ, এক তৃতীয়াংশ অনেক। তুমি তোমার উত্তরাধিকারীদের সচ্ছল অবস্থায় ছেড়ে যাওয়া তাদেরকে অভাবগ্রস্থ অবস্থায় রেখে যাওয়ার চেয়ে উত্তম- যারা পরে মানুষের কাছে হাত পেতে বেড়াবে।
আর তুমি যা-ই আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জনের নিমিত্ত খরচ কর, তার বিনিময়ে তোমাকে প্রতিদান প্রদান করা হবে। এমনকি যে লোকমা তুমি তোমার স্ত্রীর মুখে তুলে ধর তারও। আমি বললাম, ইয়া রাসূলাল্লাহ! আমি কি আমার সাথীদের পিছনে পড়ে থাকব? তিনি বললেন, তুমি পিছনে পড়ে থেকে আল্লাহর সন্তুষ্টি লাভের উদ্দেশ্যে আমল করবে তা দ্বারা তোমার মর্যাদা বৃদ্ধি পাবে ও সমুন্নত হবে। সম্ভবত তুমি পিছনে থেকে যাবে। ফলে তোমার দ্বারা এক সম্প্রদায় উপকৃত হবে। অন্য সম্প্রদায় ক্ষতিগ্রস্থ হবে। ইয়া আল্লাহ্! আমার সাহাবীদের হিজরত আপনি জারী রাখুন এবং তাদের পিছনের দিকে ফিরিয়ে দিবেন না। কিন্তু আফসোস সা‘দ ইবনে খাওলা (রাযিঃ)- এর জন্য, (রাবী বলেন) মক্কায় তাঁর মৃত্যু হওয়ায় রাসূলুল্লাহ (ﷺ) তাঁর প্রতি সমবেদনা জ্ঞাপন করেন।
*নিছক আল্লাহর জন্য তাঁর পথে দান করা।
كتاب المغازى
بَابُ حَجَّة الْوَدَاعِ
4409 - حَدَّثَنَا أَحْمَدُ بْنُ يُونُسَ، حَدَّثَنَا إِبْرَاهِيمُ هُوَ ابْنُ سَعْدٍ، حَدَّثَنَا ابْنُ شِهَابٍ، عَنْ عَامِرِ بْنِ سَعْدٍ، عَنْ أَبِيهِ، قَالَ: عَادَنِي النَّبِيُّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فِي حَجَّةِ الوَدَاعِ، مِنْ وَجَعٍ أَشْفَيْتُ مِنْهُ عَلَى المَوْتِ، فَقُلْتُ: يَا رَسُولَ اللَّهِ، بَلَغَ بِي مِنَ الوَجَعِ مَا تَرَى، وَأَنَا ذُو مَالٍ، وَلاَ يَرِثُنِي إِلَّا ابْنَةٌ لِي وَاحِدَةٌ، أَفَأَتَصَدَّقُ بِثُلُثَيْ مَالِي؟ قَالَ: «لاَ» قُلْتُ: أَفَأَتَصَدَّقُ بِشَطْرِهِ؟ قَالَ: «لاَ» . قُلْتُ: فَالثُّلُثِ؟، قَالَ: «وَالثُّلُثُ كَثِيرٌ، إِنَّكَ أَنْ تَذَرَ وَرَثَتَكَ أَغْنِيَاءَ، خَيْرٌ مِنْ أَنْ تَذَرَهُمْ عَالَةً يَتَكَفَّفُونَ النَّاسَ، وَلَسْتَ تُنْفِقُ نَفَقَةً تَبْتَغِي بِهَا وَجْهَ اللَّهِ إِلَّا أُجِرْتَ بِهَا، حَتَّى اللُّقْمَةَ تَجْعَلُهَا فِي فِي امْرَأَتِكَ» قُلْتُ: يَا رَسُولَ اللَّهِ أَأُخَلَّفُ بَعْدَ أَصْحَابِي؟ قَالَ: «إِنَّكَ لَنْ تُخَلَّفَ، فَتَعْمَلَ عَمَلًا تَبْتَغِي بِهِ وَجْهَ اللَّهِ، إِلَّا ازْدَدْتَ بِهِ دَرَجَةً وَرِفْعَةً، وَلَعَلَّكَ تُخَلَّفُ حَتَّى يَنْتَفِعَ بِكَ أَقْوَامٌ وَيُضَرَّ بِكَ آخَرُونَ، اللَّهُمَّ أَمْضِ لِأَصْحَابِي هِجْرَتَهُمْ، وَلاَ تَرُدَّهُمْ عَلَى أَعْقَابِهِمْ، لَكِنِ البَائِسُ سَعْدُ ابْنُ خَوْلَةَ» رَثَى لَهُ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَنْ تُوُفِّيَ بِمَكَّةَ
হাদীস নং: ৪০৬৮
আন্তর্জাতিক নং: ৪৪১০
- নবীজীর সাঃ যুদ্ধাভিযানসমূহ
২২৪১. বিদায় হজ্জ
৪০৬৮। ইবরাহীম ইবনে মুনযির (রাহঃ) .... নাফি (রাহঃ) থেকে বর্ণিত, ইবনে উমর (রাযিঃ) তাঁদেরকে অবহিত করেছেন যে, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বিদায় হজ্জে তাঁর মাথা মুণ্ডন করেছিলেন।
كتاب المغازى
باب حَجَّةُ الْوَدَاعِ
4410 - حَدَّثَنِي إِبْرَاهِيمُ بْنُ المُنْذِرِ، حَدَّثَنَا أَبُو ضَمْرَةَ، حَدَّثَنَا مُوسَى بْنُ عُقْبَةَ، عَنْ نَافِعٍ، أَنَّ ابْنَ عُمَرَ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُمَا، أَخْبَرَهُمْ: «أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ حَلَقَ رَأْسَهُ فِي حَجَّةِ الوَدَاعِ»
হাদীস নং: ৪০৬৯
আন্তর্জাতিক নং: ৪৪১১
- নবীজীর সাঃ যুদ্ধাভিযানসমূহ
২২৪১. বিদায় হজ্জ
৪০৬৯। উবাইদুল্লাহ্ ইবনে সাঈদ (রাহঃ) .... নাফি (রাহঃ) থেকে বর্ণিত, ইবনে উমর (রাযিঃ) তাঁকে অবহিত করেন যে, নবী কারীম (ﷺ) বিদায় হজ্জে তাঁর মাথা মুণ্ডন করেন এবং তাঁর সাহাবীদের অনেকেই মাথা মুণ্ডন করেন আর তাঁদের কেউ কেউ মাথার চুল ছোট করে ফেলেন /ছেঁটে ফেলেন।
كتاب المغازى
باب حَجَّةُ الْوَدَاعِ
4411 - حَدَّثَنَا عُبَيْدُ اللَّهِ بْنُ سَعِيدٍ، حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ بَكْرٍ، حَدَّثَنَا ابْنُ جُرَيْجٍ، أَخْبَرَنِي مُوسَى بْنُ عُقْبَةَ، عَنْ نَافِعٍ، أَخْبَرَهُ ابْنُ عُمَرَ، «أَنَّ النَّبِيَّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ حَلَقَ فِي حَجَّةِ الوَدَاعِ، وَأُنَاسٌ مِنْ أَصْحَابِهِ وَقَصَّرَ بَعْضُهُمْ»
হাদীস নং: ৪০৭০
আন্তর্জাতিক নং: ৪৪১২
- নবীজীর সাঃ যুদ্ধাভিযানসমূহ
২২৪১. বিদায় হজ্জ
৪০৭০। ইয়াহয়া ইবনে কাযাআ ও লায়িস (রাহঃ) .... আব্দুল্লাহ ইবনে আব্বাস (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি গাধায় আরোহণ করে রওয়ানা হন। এবং রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বিদায় হজ্জকালে মিনায় দাঁড়িয়ে লোকদের নিয়ে নামায আদায় করছিলেন। তখন গাধাটি নামাযের একটি কাতারের সামনে এসে পড়ে। এরপর তিনি গাধার পিঠ থেকে অবতরণ করেন এবং তিনি লোকদের সঙ্গে নামাযের কাতারে সামিল হন।
كتاب المغازى
باب حَجَّةُ الْوَدَاعِ
4412 - حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ قَزَعَةَ، حَدَّثَنَا مَالِكٌ، عَنِ ابْنِ شِهَابٍ، وَقَالَ اللَّيْثُ: حَدَّثَنِي يُونُسُ، عَنِ ابْنِ شِهَابٍ، حَدَّثَنِي عُبَيْدُ اللَّهِ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ، أَنَّ عَبْدَ اللَّهِ بْنَ عَبَّاسٍ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُمَا، أَخْبَرَهُ «أَنَّهُ أَقْبَلَ يَسِيرُ عَلَى حِمَارٍ، وَرَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَائِمٌ بِمِنًى فِي حَجَّةِ الوَدَاعِ يُصَلِّي بِالنَّاسِ، فَسَارَ الحِمَارُ بَيْنَ يَدَيْ بَعْضِ الصَّفِّ، ثُمَّ نَزَلَ عَنْهُ فَصَفَّ مَعَ النَّاسِ»
হাদীস নং: ৪০৭১
আন্তর্জাতিক নং: ৪৪১৩
- নবীজীর সাঃ যুদ্ধাভিযানসমূহ
২২৪১. বিদায় হজ্জ
৪০৭১। মুসাদ্দাদ (রাহঃ) .... হিশামের পিতা [উরওয়া (রাহঃ)] থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমার উপস্থিতিতে উসামা (রাযিঃ) নবী কারীম (ﷺ)- এর বিদায় হজ্জের সফর সম্পর্কে জিজ্ঞাসিত হলে বললেন, মধ্যম গতিতে চলেছেন আবার যখন প্রশস্ত পথ পেয়েছেন তখন দ্রুতগতিতে চলেছেন।
كتاب المغازى
باب حَجَّةُ الْوَدَاعِ
4413 - حَدَّثَنَا مُسَدَّدٌ، حَدَّثَنَا يَحْيَى، عَنْ هِشَامٍ، قَالَ: حَدَّثَنِي أَبِي قَالَ: سُئِلَ أُسَامَةُ وَأَنَا شَاهِدٌ عَنْ سَيْرِ النَّبِيِّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فِي حَجَّتِهِ؟ فَقَالَ: «العَنَقَ فَإِذَا وَجَدَ فَجْوَةً نَصَّ»
tahqiq

তাহকীক:

হাদীস নং: ৪০৭২
আন্তর্জাতিক নং: ৪৪১৪
- নবীজীর সাঃ যুদ্ধাভিযানসমূহ
২২৪১. বিদায় হজ্জ
৪০৭২। আব্দুল্লাহ ইবনে মাসলামা (রাহঃ) .... আবু আইয়ুব (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি রাসূলুল্লাহ (ﷺ)- এর সঙ্গে বিদায় হজ্জে (মুযদালিফায়) মাগরিব ও এশার নামায এক সাথে আদায় করেছেন।
كتاب المغازى
باب حَجَّةُ الْوَدَاعِ
4414 - حَدَّثَنَا [ص:179] عَبْدُ اللَّهِ بْنُ مَسْلَمَةَ، عَنْ مَالِكٍ، عَنْ يَحْيَى بْنِ سَعِيدٍ، عَنْ عَدِيِّ بْنِ ثَابِتٍ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ يَزِيدَ الخَطْمِيِّ، أَنَّ أَبَا أَيُّوبَ، أَخْبَرَهُ: أَنَّهُ «صَلَّى مَعَ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فِي حَجَّةِ الوَدَاعِ المَغْرِبَ وَالعِشَاءَ جَمِيعًا»