আত্-তারগীব ওয়াত্-তারহীব- ইমাম মুনযিরী রহঃ
الترغيب والترهيب للمنذري
১০. অধ্যায়ঃ ঈদ ও কুরবানী - এর পরিচ্ছেদসমূহ
মোট হাদীস ২০ টি
হাদীস নং: ১৬৬২
 অধ্যায়ঃ ঈদ ও কুরবানী
অধ্যায়ঃ ঈদ ও কুরবানী
দুই ঈদের রাতে ইবাদতের প্রতি উৎসাহ প্রদান
দুই ঈদের রাতে ইবাদতের প্রতি উৎসাহ প্রদান
১৬৬২. হযরত আবু উমামা (রা) সূত্রে নবী করীম ﷺ থেকে বর্ণিত। তিনি বলেছেন। যে ব্যক্তি ঈদের রাত্রিদ্বয়ে জাগ্রত থেকে পুণ্য লাভের আশায় ইবাদত করবে, তার অন্তর সেদিন মরবে না যেদিন অন্তরসমূহ মরে যাবে। 
(হাদীসটি ইবন মাজাহ বর্ণনা করেছেন। এর বর্ণনাকারীগণ নির্ভরযোগ্য। তবে রাবী বাকিয়্যা মুদাললিস এবং তিনি এটি عَنْ দ্বারা বর্ণনা করেছেন।)
(হাদীসটি ইবন মাজাহ বর্ণনা করেছেন। এর বর্ণনাকারীগণ নির্ভরযোগ্য। তবে রাবী বাকিয়্যা মুদাললিস এবং তিনি এটি عَنْ দ্বারা বর্ণনা করেছেন।)
كتاب الْعِيدَيْنِ
كتاب الْعِيدَيْنِ وَالْأُضْحِيَّة 
التَّرْغِيب فِي إحْيَاء لَيْلَتي الْعِيدَيْنِ
التَّرْغِيب فِي إحْيَاء لَيْلَتي الْعِيدَيْنِ
1662 -عَن أبي أُمَامَة رَضِي الله عَنهُ عَن النَّبِي صلى الله عَلَيْهِ وَسلم قَالَ من قَامَ لَيْلَتي الْعِيدَيْنِ محتسبا لم يمت قلبه يَوْم تَمُوت الْقُلُوب
رَوَاهُ ابْن مَاجَه وَرُوَاته ثِقَات إِلَّا أَن بَقِيَّة مُدَلّس وَقد عنعنه
رَوَاهُ ابْن مَاجَه وَرُوَاته ثِقَات إِلَّا أَن بَقِيَّة مُدَلّس وَقد عنعنه

তাহকীক:
হাদীস নং: ১৬৬৩
 অধ্যায়ঃ ঈদ ও কুরবানী
অধ্যায়ঃ ঈদ ও কুরবানী
দুই ঈদের রাতে ইবাদতের প্রতি উৎসাহ প্রদান
দুই ঈদের রাতে ইবাদতের প্রতি উৎসাহ প্রদান
১৬৬৩. হযরত মুয়ায ইবন জাবাল (রা) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ ﷺ বলেছেনঃ যে ব্যক্তি পাঁচটি রাত জেগে ইবাদত করবে, তার জন্য জান্নাত ওয়াজিব হয়ে যাবে। (১) ৮ই যিলহজ্জের রাত, (২) আরাফার রাত, (৩) ঈদুল আযহার রাত, (৪) ঈদুল ফিতরের রাত ও (৫) মধ্য শা'বানের রাত। 
(হাদীসটি ইস্পাহানী বর্ণনা করেছেন।)
(হাদীসটি ইস্পাহানী বর্ণনা করেছেন।)
كتاب الْعِيدَيْنِ
كتاب الْعِيدَيْنِ وَالْأُضْحِيَّة 
التَّرْغِيب فِي إحْيَاء لَيْلَتي الْعِيدَيْنِ
التَّرْغِيب فِي إحْيَاء لَيْلَتي الْعِيدَيْنِ
1663- وَرُوِيَ عَن معَاذ بن جبل رَضِي الله عَنهُ قَالَ قَالَ رَسُول الله صلى الله عَلَيْهِ وَسلم من أَحْيَا اللَّيَالِي الْخمس وَجَبت لَهُ الْجنَّة لَيْلَة التَّرويَة وَلَيْلَة عَرَفَة وَلَيْلَة النَّحْر وَلَيْلَة الْفطر وَلَيْلَة النّصْف من شعْبَان
رَوَاهُ الْأَصْبَهَانِيّ
رَوَاهُ الْأَصْبَهَانِيّ

তাহকীক:
হাদীস নং: ১৬৬৪
 অধ্যায়ঃ ঈদ ও কুরবানী
অধ্যায়ঃ ঈদ ও কুরবানী
দুই ঈদের রাতে ইবাদতের প্রতি উৎসাহ প্রদান
দুই ঈদের রাতে ইবাদতের প্রতি উৎসাহ প্রদান
১৬৬৪. হযরত উবাদা ইবনুস সামিত (রা) থেকে বর্ণিত যে, রাসূলুল্লাহ ﷺ বলেছেনঃ যে ব্যক্তি ঈদুল ফিতর ও ঈদুল আযহার রাতে জাগরণ করে ইবাদত করবে, তার অন্তর ঐদিন মরবে না, যেদিন অন্যান্য অন্তরসমূহ মরে যাবে। 
(হাদীসটি তাবারানী 'আওসাত' ও 'কবীর' নামক গ্রন্থে বর্ণনা করেছেন।)
(হাদীসটি তাবারানী 'আওসাত' ও 'কবীর' নামক গ্রন্থে বর্ণনা করেছেন।)
كتاب الْعِيدَيْنِ
كتاب الْعِيدَيْنِ وَالْأُضْحِيَّة 
التَّرْغِيب فِي إحْيَاء لَيْلَتي الْعِيدَيْنِ
التَّرْغِيب فِي إحْيَاء لَيْلَتي الْعِيدَيْنِ
1664- وَرُوِيَ عَن عبَادَة بن الصَّامِت رَضِي الله عَنهُ أَن رَسُول الله صلى الله عَلَيْهِ وَسلم قَالَ من أَحْيَا لَيْلَة الْفطر وَلَيْلَة الْأَضْحَى لم يمت قلبه يَوْم تَمُوت الْقُلُوب
رَوَاهُ الطَّبَرَانِيّ فِي الْأَوْسَط وَالْكَبِير
رَوَاهُ الطَّبَرَانِيّ فِي الْأَوْسَط وَالْكَبِير

তাহকীক:
হাদীস নং: ১৬৬৫
 অধ্যায়ঃ ঈদ ও কুরবানী
ঈদের দিন তাকবীর পাঠের প্রতি উৎসাহ দান ও এর ফযীলত প্রসঙ্গ
১৬৬৫. হযরত আবূ হুরায়রা (রা) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসুলুল্লাহ ﷺ বলেছেন: তোমরা তোমাদের  ঈদসমূহকে তাকবীর দ্বারা সৌন্দর্যমণ্ডিত কর। 
(হাদীসটি তাবারানী সগীর' ও 'আওসাত' নামক গ্রন্থময়ে বর্ণনা করেছেন। অবশ্য এতে 'মুনকার' হওয়ার দোষ রয়েছে।)
(হাদীসটি তাবারানী সগীর' ও 'আওসাত' নামক গ্রন্থময়ে বর্ণনা করেছেন। অবশ্য এতে 'মুনকার' হওয়ার দোষ রয়েছে।)
كتاب الْعِيدَيْنِ
التَّرْغِيب فِي التَّكْبِير فِي الْعِيد وَذكر فَضله
1665- رُوِيَ عَن أبي هُرَيْرَة رَضِي الله عَنهُ قَالَ قَالَ رَسُول الله صلى الله عَلَيْهِ وَسلم زَينُوا أعيادكم بِالتَّكْبِيرِ
رَوَاهُ الطَّبَرَانِيّ فِي الصَّغِير والأوسط وَفِيه نَكَارَة
رَوَاهُ الطَّبَرَانِيّ فِي الصَّغِير والأوسط وَفِيه نَكَارَة

তাহকীক:
হাদীস নং: ১৬৬৬
 অধ্যায়ঃ ঈদ ও কুরবানী
ঈদের দিন তাকবীর পাঠের প্রতি উৎসাহ দান ও এর ফযীলত প্রসঙ্গ
১৬৬৬. হযরত সা'দ ইব্ন আওস আনসারী (রা) থেকে তাঁর পিতার সূত্রে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ ﷺ বলেছেন: যখন ঈদুল ফিতরের দিন আসে, তখন ফিরিশতাগণ রাস্তার মোড়ে দাঁড়িয়ে যান এবং বলতে থাকেন। হে মুসলমানদের দল। তোমরা দয়াময় প্রভুর দিকে ছুটে চল। তিনি তোমাদেরকে কল্যাণ দান করবেন। তদুপরি তিনি বিরাট পুরস্কার দেবেন। তোমাদেরকে রাত্রি জাগরণের নির্দেশ দেয়া হয়েছিল, তোমরা রাত্রি জাগরণ করেছ। তোমাদেরকে রোযা রাখার নির্দেশ দেয়া হয়েছিল, তোমরা রোযা রেখেছ এবং তোমাদের প্রতিপালকের আনুগত্য করেছ। অতএব তোমরা নিজেদের পুরস্কার গ্রহণ কর।
তারপর তারা যখন নামায শেষ করে নেয়, তখন একজন ঘোষণাকারী এ মর্মে ঘোষণা দেয়: তোমরা শুনে নাও যে, তোমাদের প্রতিপালক তোমাদেরকে ক্ষমা করে দিয়েছেন। তাই তোমরা হিদায়াতপ্রাপ্ত অবস্থায় নিজেদের আবাসে ফিরে যাও। সুতরাং এ দিনটি হল পুরষ্কারের দিন এবং আসমানেও এ দিনটিকে পুরস্কার দিবস বলে অভিহিত করা হয়ে থাকে।
(হাদীসটি তাবারানী 'কবীর' নামক গ্রন্থে জাবির জু'ফী সূত্রে বর্ণনা করেছেন। সিয়াম অধ্যায়েও এর পোষকতাকারী কিছু বিষয় বর্ণিত হয়েছে।)
তারপর তারা যখন নামায শেষ করে নেয়, তখন একজন ঘোষণাকারী এ মর্মে ঘোষণা দেয়: তোমরা শুনে নাও যে, তোমাদের প্রতিপালক তোমাদেরকে ক্ষমা করে দিয়েছেন। তাই তোমরা হিদায়াতপ্রাপ্ত অবস্থায় নিজেদের আবাসে ফিরে যাও। সুতরাং এ দিনটি হল পুরষ্কারের দিন এবং আসমানেও এ দিনটিকে পুরস্কার দিবস বলে অভিহিত করা হয়ে থাকে।
(হাদীসটি তাবারানী 'কবীর' নামক গ্রন্থে জাবির জু'ফী সূত্রে বর্ণনা করেছেন। সিয়াম অধ্যায়েও এর পোষকতাকারী কিছু বিষয় বর্ণিত হয়েছে।)
كتاب الْعِيدَيْنِ
التَّرْغِيب فِي التَّكْبِير فِي الْعِيد وَذكر فَضله
1666- وَعَن سعد بن أَوْس الْأنْصَارِيّ عَن أَبِيه رَضِي الله عَنهُ قَالَ قَالَ رَسُول الله صلى الله عَلَيْهِ وَسلم إِذا كَانَ يَوْم عيد الْفطر وقفت الْمَلَائِكَة على أَبْوَاب الطّرق فَنَادوا اغدوا يَا معشر الْمُسلمين إِلَى رب كريم يمن بِالْخَيرِ ثمَّ يثيب عَلَيْهِ الجزيل لقد أمرْتُم بِقِيَام اللَّيْل فقمتم وأمرتم بصيام النَّهَار فصمتم وأطعتم ربكُم فاقبضوا جوائزكم فَإِذا صلوا نَادَى مُنَاد أَلا إِن ربكُم قد غفر لكم فَارْجِعُوا راشدين إِلَى رحالكُمْ فَهُوَ يَوْم الْجَائِزَة وَيُسمى ذَلِك الْيَوْم فِي السَّمَاء يَوْم الْجَائِزَة
رَوَاهُ الطَّبَرَانِيّ فِي الْكَبِير من رِوَايَة جَابر الْجعْفِيّ
وَتقدم فِي الصّيام مَا يشْهد لَهُ
رَوَاهُ الطَّبَرَانِيّ فِي الْكَبِير من رِوَايَة جَابر الْجعْفِيّ
وَتقدم فِي الصّيام مَا يشْهد لَهُ

তাহকীক:
হাদীস নং: ১৬৬৭
 অধ্যায়ঃ ঈদ ও কুরবানী
কুরবানীর প্রতি উৎসাহ দান এবং শক্তি-সামর্থ্য থাকা সত্ত্বেও যে কুরবানী করে না, তার প্রসঙ্গে বর্ণিত হাদীসসমূহ আর যে ব্যক্তি কুরবানীর চামড়া বিক্রি করে ফেলে
১৬৬৭. হযরত আয়েশা (রা) থেকে বর্ণিত যে, রাসূলুল্লাহ ﷺ বলেছেনঃ কুরবানীর দিন কোন মানুষ আল্লাহর নিকট কুরবানীর চেয়ে প্রিয় কোন আমল করতে পারে না। এই কুরবানীর জানোয়ার কিয়ামতের দিন তার নিকট নিজের শিং, পশম ও ক্ষুরসহ উপস্থিত হবে। কুরবানীর জন্তুর রক্ত মাটিতে পতিত হওয়ার পূর্বেই আল্লাহর দরবারে পৌঁছে যায়। সুতরাং তোমরা এরদ্বারা অন্তরের প্রফুল্লতা লাভ কর। 
(হাদীসটি ইবন মাজাহ,ও তিরমিযী বর্ণনা করেছেন। তিরমিযী বলেন, হাদীসটি হাসান-গরীব। হাকিমও এটি বর্ণনা করে বলেছেন, হাদীসটির সনদ সহীহ।)
[হাফিয (র) বলেনঃ) উপরোক্ত মুহাদ্দিসগণ এ হাদীসটি আবুল মুসান্না সূত্রে বর্ণনা করেছেন। আবুল মুসান্নার নাম হচ্ছে সুলায়মান ইবন ইয়াযীদ। সুলায়মান এটি হিশাম থেকে, হিশাম তাঁর পিতা উরওয়া থেকে ও উরওয়া আয়েশা (রা) থেকে বর্ণনা করেন। কিন্তু সুলায়মানের কোন শক্তিশালী অস্তিত্ব নেই। অবশ্য কেউ কেউ তাঁকে নির্ভরযোগ্যও বলেছেন। তিরমিযী বলেন, নবী করীম থেকে বর্ণিত হয়েছে যে, তিনি বলেছেন: কুরবানীকারীর জন্য কুরবানীর জন্তুর প্রতিটি পশমের বিনিময়ে পুণ্য রয়েছে।। তিরমিযী যে হাদীসটির প্রতি ইশারা করেছেন, এ হাদীসটি ইবন মাজাহ ও হাকিম প্রমুখ মুহাদ্দিসগণ আইযুল্লাহ... আবু দাউদ... যায়দ ইব্ন আরকাম (রা) সূত্রে বর্ণনা করেন। যায়দ ইব্ন আরকাম বলেনঃ রাসূলুল্লাহ-এর সাহাবীগণ বললেন, ইয়া রাসূলাল্লাহ! এই কুরবানী কি জিনিস? তিনি বললেন, তোমাদের পিতা ইবরাহীম (আ)-এর আচরিত রীতি। তাঁরা বললেন, ইয়া রাসূলাল্লাহ্। এতে আমাদের জন্য কি পরিমাণ পুণ্য রয়েছে? তিনি বললেন, প্রতিটি লোমের পরিবর্তে একটি করে নেকী। তাঁরা বললেন, (ভেড়া ইত্যাদির) পশমের বেলায় কি হবে? তিনি বললেন, প্রতিটি পশমের পরিবর্তেও একটি করে নেকী। হাকিম বলেন: হাদীসটির সনদ সহীহ। হাফিয (র) বলেন: এ বর্ণনাটিও দুর্বল। আইযুল্লাহ মুজাশিঈ ও আবূ দাউদ নুফায় ইবনুল হারিস উভয়ই অনির্ভরযোগ্য রাবী।)
(হাদীসটি ইবন মাজাহ,ও তিরমিযী বর্ণনা করেছেন। তিরমিযী বলেন, হাদীসটি হাসান-গরীব। হাকিমও এটি বর্ণনা করে বলেছেন, হাদীসটির সনদ সহীহ।)
[হাফিয (র) বলেনঃ) উপরোক্ত মুহাদ্দিসগণ এ হাদীসটি আবুল মুসান্না সূত্রে বর্ণনা করেছেন। আবুল মুসান্নার নাম হচ্ছে সুলায়মান ইবন ইয়াযীদ। সুলায়মান এটি হিশাম থেকে, হিশাম তাঁর পিতা উরওয়া থেকে ও উরওয়া আয়েশা (রা) থেকে বর্ণনা করেন। কিন্তু সুলায়মানের কোন শক্তিশালী অস্তিত্ব নেই। অবশ্য কেউ কেউ তাঁকে নির্ভরযোগ্যও বলেছেন। তিরমিযী বলেন, নবী করীম থেকে বর্ণিত হয়েছে যে, তিনি বলেছেন: কুরবানীকারীর জন্য কুরবানীর জন্তুর প্রতিটি পশমের বিনিময়ে পুণ্য রয়েছে।। তিরমিযী যে হাদীসটির প্রতি ইশারা করেছেন, এ হাদীসটি ইবন মাজাহ ও হাকিম প্রমুখ মুহাদ্দিসগণ আইযুল্লাহ... আবু দাউদ... যায়দ ইব্ন আরকাম (রা) সূত্রে বর্ণনা করেন। যায়দ ইব্ন আরকাম বলেনঃ রাসূলুল্লাহ-এর সাহাবীগণ বললেন, ইয়া রাসূলাল্লাহ! এই কুরবানী কি জিনিস? তিনি বললেন, তোমাদের পিতা ইবরাহীম (আ)-এর আচরিত রীতি। তাঁরা বললেন, ইয়া রাসূলাল্লাহ্। এতে আমাদের জন্য কি পরিমাণ পুণ্য রয়েছে? তিনি বললেন, প্রতিটি লোমের পরিবর্তে একটি করে নেকী। তাঁরা বললেন, (ভেড়া ইত্যাদির) পশমের বেলায় কি হবে? তিনি বললেন, প্রতিটি পশমের পরিবর্তেও একটি করে নেকী। হাকিম বলেন: হাদীসটির সনদ সহীহ। হাফিয (র) বলেন: এ বর্ণনাটিও দুর্বল। আইযুল্লাহ মুজাশিঈ ও আবূ দাউদ নুফায় ইবনুল হারিস উভয়ই অনির্ভরযোগ্য রাবী।)
كتاب الْعِيدَيْنِ
التَّرْغِيب فِي الْأُضْحِية وَمَا جَاءَ فِيمَن لم يضح مَعَ الْقُدْرَة وَمن بَاعَ جلد أضحيته
1667- عَن عَائِشَة رَضِي الله عَنْهَا أَن رَسُول الله صلى الله عَلَيْهِ وَسلم قَالَ مَا عمل آدَمِيّ من عمل يَوْم النَّحْر أحب إِلَى الله من إهراق الدَّم وَإنَّهُ لتأتي يَوْم الْقِيَامَة فِي فرشه بقرونها وَأَشْعَارهَا وأظلافها وَإِن الدَّم ليَقَع من الله بمَكَان قبل أَن يَقع من الأَرْض فطيبوا بهَا نفسا
رَوَاهُ ابْن مَاجَه وَالتِّرْمِذِيّ وَقَالَ حَدِيث حسن غَرِيب وَالْحَاكِم وَقَالَ صَحِيح الْإِسْنَاد
قَالَ الْحَافِظ رَوَوْهُ من طَرِيق أبي الْمثنى واسْمه سُلَيْمَان بن يزِيد عَن هِشَام بن عُرْوَة عَن أَبِيه عَنْهَا وَسليمَان واه وَقد وثق
قَالَ التِّرْمِذِيّ ويروى عَن النَّبِي صلى الله عَلَيْهِ وَسلم أَنه قَالَ الْأُضْحِية لصَاحِبهَا بِكُل شَعْرَة حَسَنَة
وَهَذَا الحَدِيث الَّذِي أَشَارَ إِلَيْهِ التِّرْمِذِيّ رَوَاهُ ابْن مَاجَه وَالْحَاكِم وَغَيرهمَا كلهم عَن عَائِذ الله عَن أبي دَاوُد عَن زيد بن أَرقم قَالَ قَالَ أَصْحَاب رَسُول الله صلى الله عَلَيْهِ وَسلم يَا رَسُول الله مَا هَذِه الْأَضَاحِي قَالَ سنة أبيكم إِبْرَاهِيم صلوَات الله عَلَيْهِ وَسَلَامه
قَالُوا فَمَا لنا فِيهَا يَا رَسُول الله قَالَ بِكُل شَعْرَة من الصُّوف حَسَنَة
قَالُوا فالصوف قَالَ بِكُل شَعْرَة من الصُّوف حَسَنَة وَقَالَ الْحَاكِم صَحِيح الْإِسْنَاد
قَالَ الْحَافِظ بل واهيه
عَائِذ الله هُوَ الْمُجَاشِعِي وَأَبُو دَاوُد هُوَ نفيع بن الْحَارِث الْأَعْمَى وَكِلَاهُمَا سَاقِط
رَوَاهُ ابْن مَاجَه وَالتِّرْمِذِيّ وَقَالَ حَدِيث حسن غَرِيب وَالْحَاكِم وَقَالَ صَحِيح الْإِسْنَاد
قَالَ الْحَافِظ رَوَوْهُ من طَرِيق أبي الْمثنى واسْمه سُلَيْمَان بن يزِيد عَن هِشَام بن عُرْوَة عَن أَبِيه عَنْهَا وَسليمَان واه وَقد وثق
قَالَ التِّرْمِذِيّ ويروى عَن النَّبِي صلى الله عَلَيْهِ وَسلم أَنه قَالَ الْأُضْحِية لصَاحِبهَا بِكُل شَعْرَة حَسَنَة
وَهَذَا الحَدِيث الَّذِي أَشَارَ إِلَيْهِ التِّرْمِذِيّ رَوَاهُ ابْن مَاجَه وَالْحَاكِم وَغَيرهمَا كلهم عَن عَائِذ الله عَن أبي دَاوُد عَن زيد بن أَرقم قَالَ قَالَ أَصْحَاب رَسُول الله صلى الله عَلَيْهِ وَسلم يَا رَسُول الله مَا هَذِه الْأَضَاحِي قَالَ سنة أبيكم إِبْرَاهِيم صلوَات الله عَلَيْهِ وَسَلَامه
قَالُوا فَمَا لنا فِيهَا يَا رَسُول الله قَالَ بِكُل شَعْرَة من الصُّوف حَسَنَة
قَالُوا فالصوف قَالَ بِكُل شَعْرَة من الصُّوف حَسَنَة وَقَالَ الْحَاكِم صَحِيح الْإِسْنَاد
قَالَ الْحَافِظ بل واهيه
عَائِذ الله هُوَ الْمُجَاشِعِي وَأَبُو دَاوُد هُوَ نفيع بن الْحَارِث الْأَعْمَى وَكِلَاهُمَا سَاقِط

তাহকীক:
হাদীস নং: ১৬৬৮
 অধ্যায়ঃ ঈদ ও কুরবানী
কুরবানীর প্রতি উৎসাহ দান এবং শক্তি-সামর্থ্য থাকা সত্ত্বেও যে কুরবানী করে না, তার প্রসঙ্গে বর্ণিত হাদীসসমূহ আর যে ব্যক্তি কুরবানীর চামড়া বিক্রি করে ফেলে
১৬৬৮. হযরত ইবন আব্বাস (রা) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসুলুল্লাহ ﷺ কুরবানীর দিন সম্পর্কে বলেছেন যে, এই দিন কোন মানুষ কুরবানীর চেয়ে উত্তম কোন কাজ করতে পারে না। হ্যাঁ, তবে যদি আত্মীয়তার সম্পর্ক রক্ষা করা হয়। 
(হাদীসটি তাবারানী 'কবীর' নামক গ্রন্থে বর্ণনা করেছেন। এর সনদে ইয়াহয়া ইবনুল হাসান খুশানী নামে একজন রাবী রয়েছেন, যার অবস্থা এখন আমার মনে পড়ছে না।)
(হাদীসটি তাবারানী 'কবীর' নামক গ্রন্থে বর্ণনা করেছেন। এর সনদে ইয়াহয়া ইবনুল হাসান খুশানী নামে একজন রাবী রয়েছেন, যার অবস্থা এখন আমার মনে পড়ছে না।)
كتاب الْعِيدَيْنِ
التَّرْغِيب فِي الْأُضْحِية وَمَا جَاءَ فِيمَن لم يضح مَعَ الْقُدْرَة وَمن بَاعَ جلد أضحيته
1668- وَعَن ابْن عَبَّاس رَضِي الله عَنْهُمَا قَالَ قَالَ رَسُول الله صلى الله عَلَيْهِ وَسلم فِي يَوْم أضحى مَا عمل آدَمِيّ فِي هَذَا الْيَوْم أفضل من دم يهراق إِلَّا أَن يكون رحما توصل 
رَوَاهُ الطَّبَرَانِيّ فِي الْكَبِير وَفِي إِسْنَاده يحيى بن الْحسن الْخُشَنِي لَا يحضرني حَاله
رَوَاهُ الطَّبَرَانِيّ فِي الْكَبِير وَفِي إِسْنَاده يحيى بن الْحسن الْخُشَنِي لَا يحضرني حَاله

তাহকীক:
হাদীস নং: ১৬৬৯
 অধ্যায়ঃ ঈদ ও কুরবানী
কুরবানীর প্রতি উৎসাহ দান এবং শক্তি-সামর্থ্য থাকা সত্ত্বেও যে কুরবানী করে না, তার প্রসঙ্গে বর্ণিত হাদীসসমূহ আর যে ব্যক্তি কুরবানীর চামড়া বিক্রি করে ফেলে
১৬৬৯. হযরত আবু সাঈদ (রা) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ্ ﷺ বলেছিলেনঃ হে ফাতিমা! তুমি উঠ এবং তোমার কুরবানীর পশুটির যবেহের সময় ওর কাছে উপস্থিত  থাক। কেননা এর প্রথম রক্তবিন্দুটি মাটিতে পড়ার সাথে সাথে তোমার অতীতের সকল গুনাহ মাফ করে দেয়া হবে। ফাতিমা বললেন, ইয়া রাসূলাল্লাহ্। এ বিষয়টি কি শুধু আমাদের আহলে বায়তের জন্যেই, না আমাদের জন্য ও সকল মুসলমানের জন্যেই? তিনি বললেন, বরং আমাদের জন্য এবং সকল মুসলমানের জন্যেও।
(হাদীসটি বাযযার এবং আবুশ শায়খ ইবন হিব্বান 'কিতাবুয যাহায়া' ইত্যাদিতে বর্ণনা করেছেন। এর সনদে আতিয়্যা ইব্ন কায়স নামে একজন রাবী রয়েছেন। তাকে নির্ভরযোগ্য বলা হয়েছে এবং কেউ কেউ সমালোচনামূলক কথাও বলেছেন। আবুল কাসিম ইস্পাহানীও আলী (রা) সূত্রে এ হাদীসটি বর্ণনা করেছেন তাঁর পাঠ এরূপ:
রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেছিলেন, হে ফাতিমা। তুমি উঠ এবং কুরবানীর জন্তুটির যরেহের সময় উপস্থিত থাক। কেননা এর প্রথম রক্তবিন্দুটি মাটিতে পড়ার সাথে সাথে তোমার সকল গুনাহের মাগফিরাত হয়ে যাবে। তুমি মনে রেখ যে, এই পশুটিকে তার রক্ত-মাংসসহ উপস্থিত করা হবে এবং এটিকে সত্তরগুণ বাড়িয়ে তোমার (নেকীর) পাল্লায় রাখা হবে। আবু সাঈদ বলেন, ইয়া রাসূলাল্লাহ্। এটি বিশেষভাবে মুহাম্মদ-এর বংশধরদের জন্যে হবে, কেননা তাঁদেরকে কল্যাণ ও মঙ্গল বিশেষভাবে প্রদান করা হয়েছে, নাকি সাধারণভাবে সকল মুসলমানের জন্যই? তিনি বললেন, বিশেষভাবে মুহাম্মদ -এর বংশধরদের জন্য এবং ব্যাপকভাবে সকল মুসলমানদের জন্য।
আমাদের অনেক মাশায়েখ আলী (রা) বর্ণিত হাদীসটিকে উত্তম বলে মন্তব্য করেছেন। আল্লাহই ভাল জানেন।)
(হাদীসটি বাযযার এবং আবুশ শায়খ ইবন হিব্বান 'কিতাবুয যাহায়া' ইত্যাদিতে বর্ণনা করেছেন। এর সনদে আতিয়্যা ইব্ন কায়স নামে একজন রাবী রয়েছেন। তাকে নির্ভরযোগ্য বলা হয়েছে এবং কেউ কেউ সমালোচনামূলক কথাও বলেছেন। আবুল কাসিম ইস্পাহানীও আলী (রা) সূত্রে এ হাদীসটি বর্ণনা করেছেন তাঁর পাঠ এরূপ:
রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেছিলেন, হে ফাতিমা। তুমি উঠ এবং কুরবানীর জন্তুটির যরেহের সময় উপস্থিত থাক। কেননা এর প্রথম রক্তবিন্দুটি মাটিতে পড়ার সাথে সাথে তোমার সকল গুনাহের মাগফিরাত হয়ে যাবে। তুমি মনে রেখ যে, এই পশুটিকে তার রক্ত-মাংসসহ উপস্থিত করা হবে এবং এটিকে সত্তরগুণ বাড়িয়ে তোমার (নেকীর) পাল্লায় রাখা হবে। আবু সাঈদ বলেন, ইয়া রাসূলাল্লাহ্। এটি বিশেষভাবে মুহাম্মদ-এর বংশধরদের জন্যে হবে, কেননা তাঁদেরকে কল্যাণ ও মঙ্গল বিশেষভাবে প্রদান করা হয়েছে, নাকি সাধারণভাবে সকল মুসলমানের জন্যই? তিনি বললেন, বিশেষভাবে মুহাম্মদ -এর বংশধরদের জন্য এবং ব্যাপকভাবে সকল মুসলমানদের জন্য।
আমাদের অনেক মাশায়েখ আলী (রা) বর্ণিত হাদীসটিকে উত্তম বলে মন্তব্য করেছেন। আল্লাহই ভাল জানেন।)
كتاب الْعِيدَيْنِ
التَّرْغِيب فِي الْأُضْحِية وَمَا جَاءَ فِيمَن لم يضح مَعَ الْقُدْرَة وَمن بَاعَ جلد أضحيته
1669- وَعَن أبي سعيد رَضِي الله عَنهُ قَالَ قَالَ رَسُول الله صلى الله عَلَيْهِ وَسلم يَا فَاطِمَة قومِي إِلَى أضحيتك فاشهديها فَإِن لَك بِأول قَطْرَة تقطر من دَمهَا أَن يغْفر لَك مَا سلف من ذنوبك
قَالَت يَا رَسُول الله ألنا خَاصَّة أهل الْبَيْت أَو لنا وللمسلمين قَالَ بل لنا وللمسلمين
رَوَاهُ الْبَزَّار وَأَبُو الشَّيْخ ابْن حبَان فِي كتاب الضَّحَايَا وَغَيره وَفِي إِسْنَاده عَطِيَّة بن قيس وثق وَفِيه كَلَام
وَرَوَاهُ أَبُو الْقَاسِم الْأَصْبَهَانِيّ عَن عَليّ وَلَفظه أَن رَسُول الله صلى الله عَلَيْهِ وَسلم قَالَ يَا فَاطِمَة قومِي فاشهدي أضحيتك فَإِن لَك بِأول قَطْرَة تقطر من دَمهَا مغْفرَة لكل ذَنْب أما إِنَّه يجاء بلحمها ودمها تُوضَع فِي ميزانك سبعين ضعفا
قَالَ أَبُو سعيد يَا رَسُول الله هَذَا لآل مُحَمَّد خَاصَّة فَإِنَّهُم أهل لما خصوا بِهِ من الْخَيْر أَو للْمُسلمين عَامَّة قَالَ لآل مُحَمَّد خَاصَّة وللمسلمين عَامَّة وَقد حسن بعض مَشَايِخنَا حَدِيث عَليّ هَذَا وَالله أعلم
قَالَت يَا رَسُول الله ألنا خَاصَّة أهل الْبَيْت أَو لنا وللمسلمين قَالَ بل لنا وللمسلمين
رَوَاهُ الْبَزَّار وَأَبُو الشَّيْخ ابْن حبَان فِي كتاب الضَّحَايَا وَغَيره وَفِي إِسْنَاده عَطِيَّة بن قيس وثق وَفِيه كَلَام
وَرَوَاهُ أَبُو الْقَاسِم الْأَصْبَهَانِيّ عَن عَليّ وَلَفظه أَن رَسُول الله صلى الله عَلَيْهِ وَسلم قَالَ يَا فَاطِمَة قومِي فاشهدي أضحيتك فَإِن لَك بِأول قَطْرَة تقطر من دَمهَا مغْفرَة لكل ذَنْب أما إِنَّه يجاء بلحمها ودمها تُوضَع فِي ميزانك سبعين ضعفا
قَالَ أَبُو سعيد يَا رَسُول الله هَذَا لآل مُحَمَّد خَاصَّة فَإِنَّهُم أهل لما خصوا بِهِ من الْخَيْر أَو للْمُسلمين عَامَّة قَالَ لآل مُحَمَّد خَاصَّة وللمسلمين عَامَّة وَقد حسن بعض مَشَايِخنَا حَدِيث عَليّ هَذَا وَالله أعلم

তাহকীক:
হাদীস নং: ১৬৭০
 অধ্যায়ঃ ঈদ ও কুরবানী
কুরবানীর প্রতি উৎসাহ দান এবং শক্তি-সামর্থ্য থাকা সত্ত্বেও যে কুরবানী করে না, তার প্রসঙ্গে বর্ণিত হাদীসসমূহ আর যে ব্যক্তি কুরবানীর চামড়া বিক্রি করে ফেলে
১৬৭০. হযরত আলী (রা) সূত্রে নবী করীম (ﷺ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেছেনঃ হে লোক সকল। তোমরা কুরবানী কর এবং এর রক্তের বিনিময়ে পুণ্য লাভের আশা রাখ। কেননা রক্ত যদিও মাটিতে পড়ে কিন্তু আসলে তা মহান আল্লাহর হিফাযতে চলে যায়। 
(হাদীসটি তাবারানী 'আওসাতে' বর্ণনা করেছেন।)
(হাদীসটি তাবারানী 'আওসাতে' বর্ণনা করেছেন।)
كتاب الْعِيدَيْنِ
التَّرْغِيب فِي الْأُضْحِية وَمَا جَاءَ فِيمَن لم يضح مَعَ الْقُدْرَة وَمن بَاعَ جلد أضحيته
1670- وَرُوِيَ عَن عَليّ رَضِي الله عَنهُ عَن النَّبِي صلى الله عَلَيْهِ وَسلم قَالَ يَا أَيهَا النَّاس ضحوا واحتسبوا بدمائها فَإِن الدَّم وَإِن وَقع فِي الأَرْض فَإِنَّهُ يَقع فِي حرز الله عز وَجل
رَوَاهُ الطَّبَرَانِيّ فِي الْأَوْسَط
رَوَاهُ الطَّبَرَانِيّ فِي الْأَوْسَط

তাহকীক:
হাদীস নং: ১৬৭১
 অধ্যায়ঃ ঈদ ও কুরবানী
কুরবানীর প্রতি উৎসাহ দান এবং শক্তি-সামর্থ্য থাকা সত্ত্বেও যে কুরবানী করে না, তার প্রসঙ্গে বর্ণিত হাদীসসমূহ আর যে ব্যক্তি কুরবানীর চামড়া বিক্রি করে ফেলে
১৬৭১. হযরত হুসায়ন ইব্ন আলী (রা) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসুলুল্লাহ (ﷺ) বলেছেনঃ যে ব্যক্তি প্রফুল্ল মনে ও পুণ্য লাভের আশায় কুরবানী করবে, এ কুরবানী তার জন্য জাহান্নাম থেকে অন্তরায়স্বরূপ হয়ে যাবে। 
(হাদীসটি তাবারানী তাঁর 'কবীর' গ্রন্থে বর্ণনা করেছেন।)
(হাদীসটি তাবারানী তাঁর 'কবীর' গ্রন্থে বর্ণনা করেছেন।)
كتاب الْعِيدَيْنِ
التَّرْغِيب فِي الْأُضْحِية وَمَا جَاءَ فِيمَن لم يضح مَعَ الْقُدْرَة وَمن بَاعَ جلد أضحيته
1671- وَرُوِيَ عَن الْحُسَيْن بن عَليّ رَضِي الله عَنْهُمَا قَالَ قَالَ رَسُول الله صلى الله عَلَيْهِ وَسلم من ضحى طيبَة نَفسه محتسبا لاضحيته كَانَت لَهُ حِجَابا من النَّار
رَوَاهُ الطَّبَرَانِيّ فِي الْكَبِير
رَوَاهُ الطَّبَرَانِيّ فِي الْكَبِير

তাহকীক:
হাদীস নং: ১৬৭২
 অধ্যায়ঃ ঈদ ও কুরবানী
কুরবানীর প্রতি উৎসাহ দান এবং শক্তি-সামর্থ্য থাকা সত্ত্বেও যে কুরবানী করে না, তার প্রসঙ্গে বর্ণিত হাদীসসমূহ আর যে ব্যক্তি কুরবানীর চামড়া বিক্রি করে ফেলে
১৬৭২. হযরত ইবন আব্বাস (রা) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেছেন: ঈদের দিন কুরবানী করার খাতে যে অর্থ ব্যয় করা হয়, আল্লাহর নিকট অর্থ ব্যয়ের এর চেয়ে প্রিয় কোন খাত নেই।
(হাদীসটি তাবারানী তাঁর 'কবীর'-এ এবং ইস্পাহানী বর্ণনা করেছেন।)
(হাদীসটি তাবারানী তাঁর 'কবীর'-এ এবং ইস্পাহানী বর্ণনা করেছেন।)
كتاب الْعِيدَيْنِ
التَّرْغِيب فِي الْأُضْحِية وَمَا جَاءَ فِيمَن لم يضح مَعَ الْقُدْرَة وَمن بَاعَ جلد أضحيته
1672- وَرُوِيَ عَن ابْن عَبَّاس رَضِي الله عَنْهُمَا قَالَ قَالَ رَسُول الله صلى الله عَلَيْهِ وَسلم مَا أنفقت الْوَرق فِي شَيْء أحب إِلَى الله من نحر ينْحَر فِي يَوْم عيد
رَوَاهُ الطَّبَرَانِيّ فِي الْكَبِير والأصبهاني
رَوَاهُ الطَّبَرَانِيّ فِي الْكَبِير والأصبهاني

তাহকীক:
হাদীস নং: ১৬৭৩
 অধ্যায়ঃ ঈদ ও কুরবানী
কুরবানীর প্রতি উৎসাহ দান এবং শক্তি-সামর্থ্য থাকা সত্ত্বেও যে কুরবানী করে না, তার প্রসঙ্গে বর্ণিত হাদীসসমূহ আর যে ব্যক্তি কুরবানীর চামড়া বিক্রি করে ফেলে
১৬৭৩. হযরত আবু উমামা (রা) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) বলেছেনঃ উত্তম কুরবানী হচ্ছে দুম্বা-আর উত্তম কাফন হচ্ছে ইয়েমেনী চাদর। 
(হাদীসটি আবু দাউদ, তিরমিযী ও ইবন মাজাহ বর্ণনা করেছেন। তবে ইবন মাজাহর বর্ণনায় শিং বিশিষ্ট দুম্বার উল্লেখ রয়েছে। এঁরা সবাই উফায়র ইব্ন মাদান ... হাদীসটি বর্ণনা করেন। সুলায়মান ইব্ন আমির ... আবু উমামা (রা) সূত্রে হাদীসটি বর্ণনা করেন। তিরমিযী বলেন, হাদীসটি গরীব। হাফিয (র) বলেন, উফায়র রাবী হিসাবে অনির্ভরযোগ্য।)
(হাদীসটি আবু দাউদ, তিরমিযী ও ইবন মাজাহ বর্ণনা করেছেন। তবে ইবন মাজাহর বর্ণনায় শিং বিশিষ্ট দুম্বার উল্লেখ রয়েছে। এঁরা সবাই উফায়র ইব্ন মাদান ... হাদীসটি বর্ণনা করেন। সুলায়মান ইব্ন আমির ... আবু উমামা (রা) সূত্রে হাদীসটি বর্ণনা করেন। তিরমিযী বলেন, হাদীসটি গরীব। হাফিয (র) বলেন, উফায়র রাবী হিসাবে অনির্ভরযোগ্য।)
كتاب الْعِيدَيْنِ
التَّرْغِيب فِي الْأُضْحِية وَمَا جَاءَ فِيمَن لم يضح مَعَ الْقُدْرَة وَمن بَاعَ جلد أضحيته
1673- وَعَن أبي أُمَامَة رَضِي الله عَنهُ قَالَ قَالَ رَسُول الله صلى الله عَلَيْهِ وَسلم خير الْأُضْحِية الْكَبْش وَخير الْكَفَن الْحلَّة
رَوَاهُ أَبُو دَاوُد وَالتِّرْمِذِيّ وَابْن مَاجَه إِلَّا أَنه قَالَ الْكَبْش الأقرن
رَوَوْهُ كلهم من رِوَايَة عفير بن معدان عَن سليم بن عَامر عَن أبي أُمَامَة
وَقَالَ التِّرْمِذِيّ حَدِيث غَرِيب
قَالَ الْحَافِظ عفير واه
رَوَاهُ أَبُو دَاوُد وَالتِّرْمِذِيّ وَابْن مَاجَه إِلَّا أَنه قَالَ الْكَبْش الأقرن
رَوَوْهُ كلهم من رِوَايَة عفير بن معدان عَن سليم بن عَامر عَن أبي أُمَامَة
وَقَالَ التِّرْمِذِيّ حَدِيث غَرِيب
قَالَ الْحَافِظ عفير واه

তাহকীক:
হাদীস নং: ১৬৭৪
 অধ্যায়ঃ ঈদ ও কুরবানী
কুরবানীর প্রতি উৎসাহ দান এবং শক্তি-সামর্থ্য থাকা সত্ত্বেও যে কুরবানী করে না, তার প্রসঙ্গে বর্ণিত হাদীসসমূহ আর যে ব্যক্তি কুরবানীর চামড়া বিক্রি করে ফেলে
১৬৭৪. হযরত আবূ হুরায়রা (রা) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসুলুল্লাহ ﷺ বলেছেন। যে ব্যক্তি কুরবানী করার শক্তি-সামর্থ্য রাখে অথচ কুরবানী করে না, সে যেন আমাদের ঈদগাহে না আসে।
(হাদিসটি হাকিম এভাবে মারফু সূত্রে বর্ণনা করেছেন এবং একে সহীহ বলেছেন। তিনি এটি মওকুফ পদ্ধতিতেও বর্ণনা করেন। আর সম্ভবত মাওকুফ পদ্ধতিটিই বিশুদ্ধতর।)
(হাদিসটি হাকিম এভাবে মারফু সূত্রে বর্ণনা করেছেন এবং একে সহীহ বলেছেন। তিনি এটি মওকুফ পদ্ধতিতেও বর্ণনা করেন। আর সম্ভবত মাওকুফ পদ্ধতিটিই বিশুদ্ধতর।)
كتاب الْعِيدَيْنِ
التَّرْغِيب فِي الْأُضْحِية وَمَا جَاءَ فِيمَن لم يضح مَعَ الْقُدْرَة وَمن بَاعَ جلد أضحيته
1674- وَعَن أبي هُرَيْرَة رَضِي الله عَنهُ قَالَ قَالَ رَسُول الله صلى الله عَلَيْهِ وَسلم من وجد سَعَة لِأَن يُضحي فَلم يضح فَلَا يحضر مصلانا
رَوَاهُ الْحَاكِم مَرْفُوعا هَكَذَا وَصَححهُ وموقوفا وَلَعَلَّه أشبه
رَوَاهُ الْحَاكِم مَرْفُوعا هَكَذَا وَصَححهُ وموقوفا وَلَعَلَّه أشبه

তাহকীক:
হাদীস নং: ১৬৭৫
 অধ্যায়ঃ ঈদ ও কুরবানী
কুরবানীর প্রতি উৎসাহ দান এবং শক্তি-সামর্থ্য থাকা সত্ত্বেও যে কুরবানী করে না, তার প্রসঙ্গে বর্ণিত হাদীসসমূহ আর যে ব্যক্তি কুরবানীর চামড়া বিক্রি করে ফেলে
১৬৭৫. হযরত আবু হুরায়রা (রা) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসুলুল্লাহ ﷺ বলেছেনঃ যে ব্যক্তি তার কুরবানীর চামড়া বিক্রি করে ফেলল, তার কুরবানীই নেই।*
(হাদীসটি হাকিম বর্ণনা করেছেন এবং একে সহীহ বলেছেন।) (হাফিয বলেন:) এই হাদীসটির সনদে আবদুল্লাহ ইবন আয়্যাশ কাতবানী মিসরী নামে একজন বিতর্কিত রাবী রয়েছেন। এ হাদীসটি ছাড়া রাসুলুল্লাহ থেকে অন্য হাদীসেও কুরবানীর চামড়া বিক্রির নিষেধাজ্ঞা বর্ণিত হয়েছে।)
*অর্থাৎ সে তার পূর্ণ ছওয়াব পাবে না।
(হাদীসটি হাকিম বর্ণনা করেছেন এবং একে সহীহ বলেছেন।) (হাফিয বলেন:) এই হাদীসটির সনদে আবদুল্লাহ ইবন আয়্যাশ কাতবানী মিসরী নামে একজন বিতর্কিত রাবী রয়েছেন। এ হাদীসটি ছাড়া রাসুলুল্লাহ থেকে অন্য হাদীসেও কুরবানীর চামড়া বিক্রির নিষেধাজ্ঞা বর্ণিত হয়েছে।)
*অর্থাৎ সে তার পূর্ণ ছওয়াব পাবে না।
كتاب الْعِيدَيْنِ
التَّرْغِيب فِي الْأُضْحِية وَمَا جَاءَ فِيمَن لم يضح مَعَ الْقُدْرَة وَمن بَاعَ جلد أضحيته
1675- وَعَن أبي هُرَيْرَة رَضِي الله عَنهُ قَالَ قَالَ رَسُول الله صلى الله عَلَيْهِ وَسلم من بَاعَ جلد أضحيته فَلَا أضْحِية لَهُ
رَوَاهُ الْحَاكِم وَقَالَ صَحِيح الْإِسْنَاد
قَالَ الْحَافِظ فِي إِسْنَاده عبد الله بن عَيَّاش الْقِتْبَانِي الْمصْرِيّ مُخْتَلف فِيهِ وَقد جَاءَ فِي غير مَا حَدِيث عَن النَّبِي صلى الله عَلَيْهِ وَسلم النَّهْي عَن بيع جلد الْأُضْحِية
رَوَاهُ الْحَاكِم وَقَالَ صَحِيح الْإِسْنَاد
قَالَ الْحَافِظ فِي إِسْنَاده عبد الله بن عَيَّاش الْقِتْبَانِي الْمصْرِيّ مُخْتَلف فِيهِ وَقد جَاءَ فِي غير مَا حَدِيث عَن النَّبِي صلى الله عَلَيْهِ وَسلم النَّهْي عَن بيع جلد الْأُضْحِية

তাহকীক:
হাদীস নং: ১৬৭৬
 অধ্যায়ঃ ঈদ ও কুরবানী
কোন জন্তুর নাক-কান কর্তনের ব্যাপারে সতর্কবাণী, যারা খাওয়া ছাড়া অন্য কোন উদ্দেশ্যে জীব-জন্তুকে হত্যা করে, তাদের প্রসঙ্গ এবং উত্তমভাবে প্রাণ হরণ ও যবেহের নির্দেশ প্রসঙ্গ
১৬৭৬. হযরত শাদ্দাদ ইব্ন আওস (রা) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ বলেছেন: আল্লাহ প্রতিটি বিষয়কে সুন্দরভাবে সম্পাদন করা বিধিবদ্ধ করে দিয়েছেন। অতএব তোমরা যখন প্রাণ হরণ করবে, তখন তাও সুন্দরভাবে করবে। আর যখন যবেহ করবে, তখন সুন্দরভাবে যবেহ করবে। তোমাদের যে কেউ যেন তার ছুরিটি ধার করে নেয় এবং যবেহের প্রাণীটিকে সহজে যবেহ করে ফেলে। 
(হাদীসটি মুসলিম, আবু দাউদ, নাসাঈ ও ইবন মাজাহ বর্ণনা করেছেন।)
(হাদীসটি মুসলিম, আবু দাউদ, নাসাঈ ও ইবন মাজাহ বর্ণনা করেছেন।)
كتاب الْعِيدَيْنِ
الترهيب من المثلة بالحيوان ومن قتله لغير الأكل وما جاء في الأمر بتحسين القتلة والذبحة
1676- عَن شَدَّاد بن أَوْس رَضِي الله عَنهُ قَالَ قَالَ رَسُول الله صلى الله عَلَيْهِ وَسلم إِن الله كتب الْإِحْسَان على كل شَيْء فَإِذا قتلتم فَأحْسنُوا القتلة وَإِذا ذبحتم فَأحْسنُوا الذبْحَة وليحد أحدكُم شفرته وليرح ذَبِيحَته
رَوَاهُ مُسلم وَأَبُو دَاوُد وَالنَّسَائِيّ وَابْن مَاجَه
رَوَاهُ مُسلم وَأَبُو دَاوُد وَالنَّسَائِيّ وَابْن مَاجَه

তাহকীক:
 হাদীসের ব্যাখ্যা
হাদীসের ব্যাখ্যাহাদীস নং: ১৬৭৮
 অধ্যায়ঃ ঈদ ও কুরবানী
কোন জন্তুর নাক-কান কর্তনের ব্যাপারে সতর্কবাণী, যারা খাওয়া ছাড়া অন্য কোন উদ্দেশ্যে জীব-জন্তুকে হত্যা করে, তাদের প্রসঙ্গ এবং উত্তমভাবে প্রাণ হরণ ও যবেহের নির্দেশ প্রসঙ্গ
১৬৭৮. হযরত ইবন উমর (রা) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ ছুরি ধার করে নেয়ার নির্দেশ দিয়েছেন এবং কোন পশুকে অন্য পশুদের থেকে দূরে যবেহ করতে বলেছেন। তিনি আরও বলেছেন। তোমাদের কেউ যখন যবেহ করে, তখন যেন দ্রুত যবেহ কর্ম সম্পন্ন করে ফেলে।
(হাদীসটি ইবন মাজাহ বর্ণনা করেছেন।)
(হাদীসটি ইবন মাজাহ বর্ণনা করেছেন।)
كتاب الْعِيدَيْنِ
الترهيب من المثلة بالحيوان ومن قتله لغير الأكل وما جاء في الأمر بتحسين القتلة والذبحة
1678- وَرُوِيَ عَن ابْن عمر رَضِي الله عَنْهُمَا قَالَ أَمر النَّبِي صلى الله عَلَيْهِ وَسلم بِحَدّ الشفار
وَأَن توارى عَن الْبَهَائِم وَقَالَ إِذا ذبح أحدكُم فليجهز
رَوَاهُ ابْن مَاجَه
وَأَن توارى عَن الْبَهَائِم وَقَالَ إِذا ذبح أحدكُم فليجهز
رَوَاهُ ابْن مَاجَه

তাহকীক:
হাদীস নং: ১৬৭৯
 অধ্যায়ঃ ঈদ ও কুরবানী
কোন জন্তুর নাক-কান কর্তনের ব্যাপারে সতর্কবাণী, যারা খাওয়া ছাড়া অন্য কোন উদ্দেশ্যে জীব-জন্তুকে হত্যা করে, তাদের প্রসঙ্গ এবং উত্তমভাবে প্রাণ হরণ ও যবেহের নির্দেশ প্রসঙ্গ
১৬৭৯. উক্ত হযরত ইবন উমর (রা) থেকেই বর্ণিত যে, রাসূলুল্লাহ্ ﷺ বলেছেন: কোন মানুষ যদি না-হক কোন চড়ুই পাখি অথবা এর চেয়ে উপরের কোন প্রাণীকে হত্যা করে, তবে মহান আল্লাহ্ এ সম্পর্কে অবশ্যই তাকে প্রশ্ন করবেন। প্রশ্ন করা হল, ইয়া রাসূলাল্লাহ! তার হক কি? তিনি বললেন, একে খাওয়ার জন্য যবেহ করবে, এর মাথা কেটে ফেলে দিবে- এ জন্যে নয়। 
(হাদীসটি নাসাঈ ও হাকিম বর্ণনা করেছেন। হাকিম হাদীসটি সহীহ্ বলে মন্তব্য করেছেন।)
(হাদীসটি নাসাঈ ও হাকিম বর্ণনা করেছেন। হাকিম হাদীসটি সহীহ্ বলে মন্তব্য করেছেন।)
كتاب الْعِيدَيْنِ
الترهيب من المثلة بالحيوان ومن قتله لغير الأكل وما جاء في الأمر بتحسين القتلة والذبحة
1679 - وَعَن ابْن عمر أَيْضا رَضِي الله عَنْهُمَا أَن رَسُول الله صلى الله عَلَيْهِ وَسلم قَالَ مَا من إِنْسَان يقتل عصفورا فَمَا فَوْقهَا بِغَيْر حَقّهَا إِلَّا يسْأَله الله عز وَجل عَنْهَا
قيل يَا رَسُول الله وَمَا حَقّهَا قَالَ أَن يذبحها فيأكلها وَلَا يقطع رَأسهَا وَيَرْمِي بهَا
رَوَاهُ النَّسَائِيّ وَالْحَاكِم وَصَححهُ
قيل يَا رَسُول الله وَمَا حَقّهَا قَالَ أَن يذبحها فيأكلها وَلَا يقطع رَأسهَا وَيَرْمِي بهَا
رَوَاهُ النَّسَائِيّ وَالْحَاكِم وَصَححهُ

তাহকীক:
হাদীস নং: ১৬৮০
 অধ্যায়ঃ ঈদ ও কুরবানী
কোন জন্তুর নাক-কান কর্তনের ব্যাপারে সতর্কবাণী, যারা খাওয়া ছাড়া অন্য কোন উদ্দেশ্যে জীব-জন্তুকে হত্যা করে, তাদের প্রসঙ্গ এবং উত্তমভাবে প্রাণ হরণ ও যবেহের নির্দেশ প্রসঙ্গ
১৬৮০. হযরত শিররীদ (রা) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি রাসূলুল্লাহ্ ﷺ-কে বলতে শুনেছি যে, কোন ব্যক্তি যদি অনর্থক কোন চড়ুই পাখিকে হত্যা করে, তবে সে কিয়ামতের দিন আল্লাহর কাছে উচ্চৈস্বরে ফরিয়াদ করবে এবং বলবে: হে আমার প্রতিপালক! অমুক ব্যক্তি আমাকে অনর্থক হত্যা করেছিল, কোন উপকার লাভের উদ্দেশ্যে হত্যা করে নাই।
(হাদীসটি নাসাঈ এবং ইবন হিব্বান তাঁর 'সহীহ' গ্রন্থে বর্ণনা করেছেন।)
(হাদীসটি নাসাঈ এবং ইবন হিব্বান তাঁর 'সহীহ' গ্রন্থে বর্ণনা করেছেন।)
كتاب الْعِيدَيْنِ
الترهيب من المثلة بالحيوان ومن قتله لغير الأكل وما جاء في الأمر بتحسين القتلة والذبحة
1680 - وَعَن الشريد رَضِي الله عَنهُ قَالَ سَمِعت رَسُول الله صلى الله عَلَيْهِ وَسلم يَقُول من قتل عصفورا عَبَثا عج إِلَى الله يَوْم الْقِيَامَة يَقُول يَا رب إِن فلَانا قتلني عَبَثا وَلم يقتلني مَنْفَعَة
رَوَاهُ النَّسَائِيّ وَابْن حبَان فِي صَحِيحه
رَوَاهُ النَّسَائِيّ وَابْن حبَان فِي صَحِيحه

তাহকীক:
হাদীস নং: ১৬৮১
 অধ্যায়ঃ ঈদ ও কুরবানী
কোন জন্তুর নাক-কান কর্তনের ব্যাপারে সতর্কবাণী, যারা খাওয়া ছাড়া অন্য কোন উদ্দেশ্যে জীব-জন্তুকে হত্যা করে, তাদের প্রসঙ্গ এবং উত্তমভাবে প্রাণ হরণ ও যবেহের নির্দেশ প্রসঙ্গ
১৬৮১. ইবন সীরীন থেকে বর্ণিত যে হযরত উমর (রা) একবার জনৈক ব্যক্তিকে দেখলেন, সে একটি ছাগলকে যবেহ করার জন্য পা ধরে হেঁচড়িয়ে নিয়ে যাচ্ছে। হযরত উমর (রা) তাকে বললেন, তোমার সর্বনাশ হোক! একে মৃত্যুর দিকে সুন্দরভাবে টেনে নিয়ে যাও।
(হাদীসটি আবদুর রায্যাক তাঁর কিতাবে মাওকুফ সনদে বর্ণনা করেছেন।)
(হাদীসটি আবদুর রায্যাক তাঁর কিতাবে মাওকুফ সনদে বর্ণনা করেছেন।)
كتاب الْعِيدَيْنِ
الترهيب من المثلة بالحيوان ومن قتله لغير الأكل وما جاء في الأمر بتحسين القتلة والذبحة
1681- وَعَن ابْن سِيرِين أَن عمر رَضِي الله عَنهُ رأى رجلا يسحب شَاة برجلها ليذبحها فَقَالَ لَهُ وَيلك قدها إِلَى الْمَوْت قودا جميلا
رَوَاهُ عبد الرَّزَّاق فِي كِتَابه مَوْقُوفا
رَوَاهُ عبد الرَّزَّاق فِي كِتَابه مَوْقُوفا

তাহকীক:
হাদীস নং: ১৬৮২
 অধ্যায়ঃ ঈদ ও কুরবানী
কোন জন্তুর নাক-কান কর্তনের ব্যাপারে সতর্কবাণী, যারা খাওয়া ছাড়া অন্য কোন উদ্দেশ্যে জীব-জন্তুকে হত্যা করে, তাদের প্রসঙ্গ এবং উত্তমভাবে প্রাণ হরণ ও যবেহের নির্দেশ প্রসঙ্গ
১৬৮২. আবদুর রায্যাক এ হাদীসটি মারফু' সূত্রেও মুহাম্মদ ইবন রাশিদ ওয়াসীন ইবন আতা থেকে বর্ণনা করেছেন। ওয়াযীন বলেন: একজন কসাই একটি ছাগল যবেহ করার জন্য ছাগলের খোয়াড়ের দরজা খুলল। কিন্তু ছাগলটি তার হাত থেকে ছুটে গেল এবং নবী করীম ﷺ-এর কাছে এসে পৌঁছল। কসাইটি তাকে অনুসরণ করল এবং ধরে ফেলল। তারপর তার পা ধরে হেঁচড়িয়ে নিতে লাগল। রাসুলুল্লাহ্ ﷺ ছাগলাটিকে বললেনঃ আল্লাহর বিধানের সামনে তুমি ধৈর্যশীল হয়ে যাও। আর হে কসাই! তুমি একে সদয়ভাবে টেনে নিয়ে যাও।
( এ হাদীসটি মু'দাল, ওয়াযীনের ব্যাপারেও সমালোচনার অবকাশ রয়েছে।)
( এ হাদীসটি মু'দাল, ওয়াযীনের ব্যাপারেও সমালোচনার অবকাশ রয়েছে।)
كتاب الْعِيدَيْنِ
الترهيب من المثلة بالحيوان ومن قتله لغير الأكل وما جاء في الأمر بتحسين القتلة والذبحة
1682- وَرَوَاهُ أَيْضا مَرْفُوعا عَن مُحَمَّد بن رَاشد عَن الْوَضِين بن عَطاء قَالَ إِن جزارا فتح بَابا على شَاة ليذبحها فانفلتت مِنْهُ حَتَّى جَاءَت النَّبِي صلى الله عَلَيْهِ وَسلم فاتبعها فَأَخذهَا يسحبها برجلها فَقَالَ لَهَا النَّبِي صلى الله عَلَيْهِ وَسلم اصْبِرِي لامر الله وَأَنت يَا جزار فسقها سوقا رَفِيقًا
وَهَذَا معضل والوضين فِيهِ كَلَام
وَهَذَا معضل والوضين فِيهِ كَلَام

তাহকীক: