আত্-তারগীব ওয়াত্-তারহীব- ইমাম মুনযিরী রহঃ

الترغيب والترهيب للمنذري

১৯. অধ্যায়ঃ বিচার ব্যবস্থা - এর পরিচ্ছেদসমূহ

মোট হাদীস ২০ টি

হাদীস নং: ৩২৯৬
অধ্যায়ঃ বিচার ব্যবস্থা
অধ্যায়: বিচার ব্যবস্থা ও অন্যান্য বিষয়।
নিজের উপর আস্থাশীল না হওয়া সত্ত্বেও যে ব্যক্তি রাজা বাদশাহ ও শাসক নিযুক্ত হয়। বিচার করে এবং নেতৃত্ব গ্রহণ করে তার প্রতি ভীতি প্রদর্শন এবং যে ব্যক্তি নিজকে বিশ্বস্ত ও নির্ভরযোগ্য মনে করে উপরোক্ত বিষয় প্রার্থনা করে তার প্রতি ভীতি প্রদর্শন
৩২৯৬. হযরত ইবনে উমার (রা) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি রাসূলুল্লাহ (ﷺ)-কে বলতে শুনেছিঃ তোমরা প্রত্যেকেই একজন দায়িত্বশীল। আর (কিয়ামতের দিন) তোমাদের প্রত্যেককেই তার অধীনস্থদের সম্পর্কে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে। জনগণের শাসকও একজন দায়িত্বশীল ব্যক্তি। তাকে তার প্রজাদের সম্পর্কে কিয়ামতের দিন জিজ্ঞেস করা হবে। আর পুরুষও তার পরিবারের একজন দায়িত্বশীল। কিয়ামতের দিন তাকে তার দায়িত্ব সম্পর্কে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে। স্ত্রীও তার স্বামীর ঘরের দায়িত্বশীল। কিয়ামতের দিন তাকে যে সম্পর্কে জিজ্ঞেস করা হবে। গোলামও তার মনিবের সম্পদের ব্যাপারে একজন দায়িত্বশীল কিয়ামতের দিন তাকে এ বিষয়ে জিজ্ঞেস করা হবে। তোমাদের প্রত্যেকেই দায়িত্বশীল, আর তোমাদের প্রত্যেককে এ দায়িত্ব সম্পর্কে কিয়ামতের দিন জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে।
(বুখারী ও মুসলিম বর্ণিত।)
كتاب القضاء
كتاب الْقَضَاء وَغَيره
التَّرْهِيب من تولي السلطنة وَالْقَضَاء والإمارة سِيمَا لمن لَا يَثِق بِنَفسِهِ وترهيب من وثق بِنَفسِهِ أَن يسْأَل شَيْئا من ذَلِك
3296- عَن ابْن عمر رَضِي الله عَنْهُمَا قَالَ سَمِعت رَسُول الله صلى الله عَلَيْهِ وَسلم يَقُول كلكُمْ رَاع ومسؤول عَن رَعيته الإِمَام رَاع ومسؤول عَن رَعيته وَالرجل رَاع فِي أَهله ومسؤول عَن رَعيته وَالْمَرْأَة راعية فِي بَيت زَوجهَا ومسؤولة عَن رعيتها وَالْخَادِم رَاع فِي مَال سَيّده ومسؤول عَن رَعيته وكلكم رَاع ومسؤول عَن رَعيته

رَوَاهُ البُخَارِيّ وَمُسلم
হাদীস নং: ৩২৯৭
অধ্যায়ঃ বিচার ব্যবস্থা
অধ্যায়: বিচার ব্যবস্থা ও অন্যান্য বিষয়।
নিজের উপর আস্থাশীল না হওয়া সত্ত্বেও যে ব্যক্তি রাজা বাদশাহ ও শাসক নিযুক্ত হয়। বিচার করে এবং নেতৃত্ব গ্রহণ করে তার প্রতি ভীতি প্রদর্শন এবং যে ব্যক্তি নিজকে বিশ্বস্ত ও নির্ভরযোগ্য মনে করে উপরোক্ত বিষয় প্রার্থনা করে তার প্রতি ভীতি প্রদর্শন
৩২৯৭. হযরত আনাস ইবনে মালিক (রা) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেছেন: প্রত্যেক দায়িত্বশীলকে আল্লাহ্ তার দায়িত্ব সম্পর্কে জিজ্ঞেস করবেন যে, সে কি তার অধীনস্থদের হক যথাযথভাবে সংরক্ষণ করেছে, না ধ্বংস করে দিয়েছে।
(ইবনে হিব্বানের সহীহ গ্রন্থে বর্ণিত।)
كتاب القضاء
كتاب الْقَضَاء وَغَيره
التَّرْهِيب من تولي السلطنة وَالْقَضَاء والإمارة سِيمَا لمن لَا يَثِق بِنَفسِهِ وترهيب من وثق بِنَفسِهِ أَن يسْأَل شَيْئا من ذَلِك
3297- وَعَن أنس بن مَالك رَضِي الله عَنهُ قَالَ قَالَ رَسُول الله صلى الله عَلَيْهِ وَسلم إِن الله سَائل كل رَاع عَمَّا استرعاه حفظ أم ضيع

رَوَاهُ ابْن حبَان فِي صَحِيحه
হাদীস নং: ৩২৯৮
অধ্যায়ঃ বিচার ব্যবস্থা
অধ্যায়: বিচার ব্যবস্থা ও অন্যান্য বিষয়।
নিজের উপর আস্থাশীল না হওয়া সত্ত্বেও যে ব্যক্তি রাজা বাদশাহ ও শাসক নিযুক্ত হয়। বিচার করে এবং নেতৃত্ব গ্রহণ করে তার প্রতি ভীতি প্রদর্শন এবং যে ব্যক্তি নিজকে বিশ্বস্ত ও নির্ভরযোগ্য মনে করে উপরোক্ত বিষয় প্রার্থনা করে তার প্রতি ভীতি প্রদর্শন
৩২৯৮. হযরত আবু হুরায়রা (রা) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেছেন: যে ব্যক্তি বিচারকের আসনে সমাসীন হয় অথবা তিনি বলেছেন, যাকে মানুষের মধ্যে মীমাংসা করার জন্য বিচারক নিযুক্ত করা হয়। তাকে প্রকৃতপক্ষে বিনা চুরিতে যবাই করা হয়।
(আবু দাউদ, তিরমিযী নিজ শব্দযোগে বর্ণনা করেন। ইমাম তিরমিযী (র) বলেন: হাদীসটি হাসান-গরীব।
ইমাম হাকিম (র) বলেন: হাদীসটি বিশুদ্ধ সূত্রে বর্ণিত।
[হাফিয মুনযিরী (র) বলেনঃ قوله ذبح بغير سكين -এর অর্থ হল, চাকু দ্বারা সহজে শান্তিতে যবাই কাজ করা যায় এবং তাড়াতাড়ি রক্ত প্রবাহিত হওয়ার মধ্য দিয়ে আত্মা শ্লথ হয়ে যায়। যখন বিনা চাকুতে যবাই করা হয়, তখন তাতে ভীষণ কষ্ট হয়। কারো কারো মতে যবাইর ব্যাপারটি সবার কাছে পরিচিত, আর যবাই ছুরি দ্বারাই হয়ে থাকে। উক্ত হাদীসে রাসূলুল্লাহ (ﷺ) ছুরিবিহীন যবাই সম্পর্কে যে উক্তি করেছেন, তা দ্বারা তিনি তার শরীর ধ্বংস উদ্দেশ্য নেন নি, বরং দীন ধ্বংসের দিকে ইংগিত করেছেন।
এ অভিমত খাত্তাবী (র)-এর। এছাড়া অন্যান্য অভিমতও হতে পারে।)
كتاب القضاء
كتاب الْقَضَاء وَغَيره
التَّرْهِيب من تولي السلطنة وَالْقَضَاء والإمارة سِيمَا لمن لَا يَثِق بِنَفسِهِ وترهيب من وثق بِنَفسِهِ أَن يسْأَل شَيْئا من ذَلِك
3298- وَعَن أبي هُرَيْرَة رَضِي الله عَنهُ قَالَ قَالَ رَسُول الله صلى الله عَلَيْهِ وَسلم من ولي الْقَضَاء أَو جعل قَاضِيا بَين النَّاس فقد ذبح بِغَيْر سكين

رَوَاهُ أَبُو دَاوُد وَالتِّرْمِذِيّ وَاللَّفْظ لَهُ وَقَالَ حَدِيث حسن غَرِيب وَابْن مَاجَه وَالْحَاكِم وَقَالَ صَحِيح الْإِسْنَاد
قَالَ الْحَافِظ وَمعنى قَوْله ذبح بِغَيْر سكين أَن الذّبْح بالسكين يحصل بِهِ إراحة الذَّبِيحَة بتعجيل إزهاق روحها فَإِذا ذبحت بِغَيْر سكين كَانَ فِيهِ تَعْذِيب لَهَا
وَقيل إِن الذّبْح لما كَانَ فِي ظَاهر الْعرف وغالب الْعَادة بالسكين عدل صلى الله عَلَيْهِ وَسلم عَن ظَاهر الْعرف وَالْعَادَة إِلَى غير ذَلِك ليعلم أَن مُرَاده صلى الله عَلَيْهِ وَسلم بِهَذَا القَوْل مَا يخَاف عَلَيْهِ من هَلَاك دينه دون هَلَاك بدنه ذكره الْخطابِيّ وَيحْتَمل غير ذَلِك
tahqiq

তাহকীক:

হাদীস নং: ৩২৯৯
অধ্যায়ঃ বিচার ব্যবস্থা
অধ্যায়: বিচার ব্যবস্থা ও অন্যান্য বিষয়।
নিজের উপর আস্থাশীল না হওয়া সত্ত্বেও যে ব্যক্তি রাজা বাদশাহ ও শাসক নিযুক্ত হয়। বিচার করে এবং নেতৃত্ব গ্রহণ করে তার প্রতি ভীতি প্রদর্শন এবং যে ব্যক্তি নিজকে বিশ্বস্ত ও নির্ভরযোগ্য মনে করে উপরোক্ত বিষয় প্রার্থনা করে তার প্রতি ভীতি প্রদর্শন
৩২৯৯. হযরত বুরায়দা (রা) সূত্রে নবী (ﷺ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, বিচারক তিন প্রকারের হয়। একদল জান্নাতী এবং অন্য দুই দল জাহান্নামী। ১. জান্নাতী দল হলঃ সে সত্য সম্পর্কে অবহিত এবং সে সত্যের আলোকে মীমাংসা করে। ২. যে সত্য সম্পর্কে অবহিত হওয়া সত্ত্বেও সে অন্যায় বিচার করে, সে জাহান্নামী এবং ৩. যে ব্যক্তি অজ্ঞতার উপর ভিত্তি করে মানুষের মাঝে মীমাংসা করে, সেও জাহান্নামী।
(আবু দাউদ, তিরমিযী ও ইবনে মাজা বর্ণিত।)
كتاب القضاء
كتاب الْقَضَاء وَغَيره
التَّرْهِيب من تولي السلطنة وَالْقَضَاء والإمارة سِيمَا لمن لَا يَثِق بِنَفسِهِ وترهيب من وثق بِنَفسِهِ أَن يسْأَل شَيْئا من ذَلِك
3299- وَعَن بُرَيْدَة رَضِي الله عَنهُ عَن النَّبِي صلى الله عَلَيْهِ وَسلم قَالَ الْقُضَاة ثَلَاثَة وَاحِد فِي الْجنَّة وَاثْنَانِ فِي النَّار فَأَما الَّذِي فِي الْجنَّة فَرجل عرف الْحق فَقضى بِهِ وَرجل عرف الْحق فجار فِي الحكم فَهُوَ فِي النَّار وَرجل قضى للنَّاس على جهل فَهُوَ فِي النَّار

رَوَاهُ أَبُو دَاوُد وَالتِّرْمِذِيّ وَابْن مَاجَه
tahqiq

তাহকীক:

হাদীস নং: ৩৩০০
অধ্যায়ঃ বিচার ব্যবস্থা
অধ্যায়: বিচার ব্যবস্থা ও অন্যান্য বিষয়।
নিজের উপর আস্থাশীল না হওয়া সত্ত্বেও যে ব্যক্তি রাজা বাদশাহ ও শাসক নিযুক্ত হয়। বিচার করে এবং নেতৃত্ব গ্রহণ করে তার প্রতি ভীতি প্রদর্শন এবং যে ব্যক্তি নিজকে বিশ্বস্ত ও নির্ভরযোগ্য মনে করে উপরোক্ত বিষয় প্রার্থনা করে তার প্রতি ভীতি প্রদর্শন
৩৩০০. হযরত আবদুল্লাহ্ ইবনে মাওহাব (র) থেকে বর্ণিত। একদা উসমান ইবনে আফফান (রা) ইবনে উমার (রা)-কে বলেন: চল, তুমি বিচারক নিযুক্ত হও, তখন তিনি (ইবনে উমার) বলেনঃ হে আমীরুল মু'মিনীন! আমাকে কি এ দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি দেওয়া যায় না? তিনি (উসমান) বলেন, চল, মানুষের মাঝে (বিরোধ) মীমাংসা কর। তিনি বলেনঃ হে আমীরুল মু'মিনীন! আমাকে কি অব্যাহতি দেয়া যায় না? তিনি বলেন: আমি সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলেছি যে, তুমি (আমার সাথে) যাবে এবং মানুষের মাঝে মীমাংসা করবে। তিনি বলেন: (হে আমীরুল মু'মিনীন!) আপনি (মেহেরবানী করে) তাড়াহুড়া করবেন না। কেননা, আপনি কি রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলতে শুনেননি যে, যে ব্যক্তি আল্লাহর কাছে পানাহ চায়, তিনি পানাহ প্রার্থীকে পানাহ দেন। তিনি বলেন: হাঁ। তিনি (ইবনে উমার) বলেন, কাজেই, আমি বিচারক নিযুক্ত হওয়া থেকে আল্লাহর পানাহ চাচ্ছি। তিনি বলেন: তোমাকে (বিচারক হতে) কিসে বারণ করল অথচ তোমার পিতা বিচার ফয়সালা করতেন? তিনি বলেন, আমি রাসূলুল্লাহ (ﷺ)-কে বলতে শুনেছিঃ যে ব্যক্তি বিচারক নিযুক্ত হয়, এরপর অজ্ঞতার সাথে বিচার কার্য সম্পাদন করে, সে জাহান্নামী। যে ব্যক্তি বিচারক নিযুক্ত হয়ে অন্যায় বিচার করে, সেও জাহান্নামী। আর যে ব্যক্তি বিচারক নিযুক্ত হয়ে সততার সাথে অথবা বলেছেন, ন্যায়ের সাথে বিচার কার্য সম্পাদন করে, সেও কোন রকমে রক্ষা পাওয়ার প্রার্থনা করবে। কাজেই, আমি কখনো এ পদের আশা করি না।
(আবু ই'আলা, ইবনে হিব্বানের সহীহ্ গ্রন্থ এবং ইমাম তিরমিযী (র) তাঁদের থেকে সংক্ষেপে বর্ণনা করেন। তিনি (ইবনে উমার রা) বলেন, আমি রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ)-কে বলতে শুনেছিঃ "যে ব্যক্তি বিচারক নিযুক্ত হয় এবং সুবিচার করে, সেও কোন রকমে দায়িত্ব মুক্ত হতে পারবে"। এরপর আমি আর কী আশা করতে পারি? বর্ণনাকারী অন্য দু'জনের কথা উল্লেখ করেন নি। তিনি (ইমাম তিরমিযী) বলেন: হাদীসটি গরীব। আমার মতে হাদীসটি সনদসূত্র মুত্তাসিল নয়।
[হাফিয মুনযিরী (র) বলেন,তিনি যা বলেছেন, তা-ই যথার্থ। কেননা, আবদুল্লাহ্ ইবনে মাসওহাব (র) উসমান (রা) থেকে হাদীসটি শুনেন নি।)
كتاب القضاء
كتاب الْقَضَاء وَغَيره
التَّرْهِيب من تولي السلطنة وَالْقَضَاء والإمارة سِيمَا لمن لَا يَثِق بِنَفسِهِ وترهيب من وثق بِنَفسِهِ أَن يسْأَل شَيْئا من ذَلِك
3300- وَعَن عبد الله بن موهب أَن عُثْمَان بن عَفَّان رَضِي الله عَنهُ قَالَ لِابْنِ عمر اذْهَبْ فَكُن قَاضِيا
قَالَ أَو تعفيني يَا أَمِير الْمُؤمنِينَ قَالَ اذْهَبْ فَاقْض بَين النَّاس
قَالَ تعفيني يَا أَمِير الْمُؤمنِينَ قَالَ عزمت عَلَيْك إِلَّا ذهبت فَقضيت قَالَ لَا تعجل سَمِعت رَسُول الله صلى الله عَلَيْهِ وَسلم يَقُول من عاذ بِاللَّه فقد عاذ بمعاذ
قَالَ نعم
قَالَ فَإِنِّي أعوذ بِاللَّه أَن أكون قَاضِيا
قَالَ وَمَا يمنعك وَقد كَانَ أَبوك يقْضِي قَالَ لِأَنِّي سَمِعت رَسُول الله صلى الله عَلَيْهِ وَسلم يَقُول من كَانَ قَاضِيا فَقضى بِالْجَهْلِ كَانَ من أهل النَّار وَمن كَانَ قَاضِيا فَقضى بالجور كَانَ من أهل النَّار وَمن كَانَ قَاضِيا فَقضى بِحَق أَو بِعدْل سَأَلَ التفلت كفافا فَمَا أَرْجُو مِنْهُ بعد ذَلِك

رَوَاهُ أَبُو يعلى وَابْن حبَان فِي صَحِيحه وَالتِّرْمِذِيّ بِاخْتِصَار عَنْهُمَا وَقَالَ سَمِعت رَسُول الله صلى الله عَلَيْهِ وَسلم يَقُول من كَانَ قَاضِيا فَقضى بِالْعَدْلِ فبالحري أَن ينفلت مِنْهُ كفافا فَمَا أَرْجُو بعد ذَلِك وَلم يذكر الآخرين وَقَالَ حَدِيث غَرِيب وَلَيْسَ إِسْنَاده عِنْدِي بِمُتَّصِل وَهُوَ كَمَا قَالَ فَإِن عبد الله بن موهب لم يسمع من عُثْمَان رَضِي الله عَنهُ
tahqiq

তাহকীক:

হাদীস নং: ৩৩০১
অধ্যায়ঃ বিচার ব্যবস্থা
অধ্যায়: বিচার ব্যবস্থা ও অন্যান্য বিষয়।
নিজের উপর আস্থাশীল না হওয়া সত্ত্বেও যে ব্যক্তি রাজা বাদশাহ ও শাসক নিযুক্ত হয়। বিচার করে এবং নেতৃত্ব গ্রহণ করে তার প্রতি ভীতি প্রদর্শন এবং যে ব্যক্তি নিজকে বিশ্বস্ত ও নির্ভরযোগ্য মনে করে উপরোক্ত বিষয় প্রার্থনা করে তার প্রতি ভীতি প্রদর্শন
৩৩০১. হযরত আয়েশা (রা) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি রাসুলুল্লাহ্ (ﷺ)-কে বলতে শুনেছি, সুবিচারক কাযী কিয়ামতের দিন (আল্লাহর এজলাসে) উপস্থিত হবে এবং এই আকাঙ্ক্ষা করবে যে, যদি সে দুই ব্যক্তির মধ্যে সামান্য খেজুরের মীমাংসাও না করত (তবে কতই না ভাল হত)।
আহমাদ, ইবনে হিব্বানে সহীহ গ্রন্থে বর্ণিত।
(ইবনে হিব্বান তাঁর নিজ শব্দে বর্ণনা করেছেন। হযরত আয়েশা (রা) বলেছেন: আমি রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ)-কে বলতে শুনেছিঃ কিয়ামতের দিন সুবিচারক কাযীকে ডাকা হবে এরপর তাকে কঠিন হিসাবের সম্মুখীন করা হবে, এমন কি সে আকাঙ্ক্ষা করবে যে, যদি সে তার জীবনে দুই ব্যক্তির মাঝেও মীমাংসা না করত, তবে কতই না ভাল হত।
(হাফিয মুনযিরী (র) বলেন, এই হাদীসটি মুসনাদ ও সহীহ গ্রন্থে অনুরূপ تمرة (খেজুর) ও عمره (তার জীবনে) প্রায় সমর্থবোধক শব্দযোগে বর্ণিত হয়েছে। সম্ভবত এ দু'টির একটি মূল পাণ্ডুলিপিতে রয়েছে। আল্লাহ সর্বজ্ঞ।)
كتاب القضاء
كتاب الْقَضَاء وَغَيره
التَّرْهِيب من تولي السلطنة وَالْقَضَاء والإمارة سِيمَا لمن لَا يَثِق بِنَفسِهِ وترهيب من وثق بِنَفسِهِ أَن يسْأَل شَيْئا من ذَلِك
3301- وَعَن عَائِشَة رَضِي الله عَنْهَا قَالَت سَمِعت رَسُول الله صلى الله عَلَيْهِ وَسلم يَقُول ليَأْتِيَن على القَاضِي الْعدْل يَوْم الْقِيَامَة سَاعَة يتَمَنَّى أَنه لم يقْض بَين اثْنَيْنِ فِي تَمْرَة قطّ

رَوَاهُ أَحْمد وَابْن حبَان فِي صَحِيحه
وَلَفظه قَالَت سَمِعت رَسُول الله صلى الله عَلَيْهِ وَسلم يَقُول يدعى القَاضِي الْعدْل يَوْم الْقِيَامَة فَيلقى من شدَّة الْحساب مَا يتَمَنَّى أَنه لم يقْض بَين اثْنَيْنِ فِي عمره قطّ

قَالَ الْحَافِظ كَذَا فِي أصل من الْمسند وَالصَّحِيح تَمْرَة وعمره وهما متقاربان وَلَعَلَّ أَحدهمَا تَصْحِيف وَالله أعلم
tahqiq

তাহকীক:

হাদীস নং: ৩৩০২
অধ্যায়ঃ বিচার ব্যবস্থা
অধ্যায়: বিচার ব্যবস্থা ও অন্যান্য বিষয়।
নিজের উপর আস্থাশীল না হওয়া সত্ত্বেও যে ব্যক্তি রাজা বাদশাহ ও শাসক নিযুক্ত হয়। বিচার করে এবং নেতৃত্ব গ্রহণ করে তার প্রতি ভীতি প্রদর্শন এবং যে ব্যক্তি নিজকে বিশ্বস্ত ও নির্ভরযোগ্য মনে করে উপরোক্ত বিষয় প্রার্থনা করে তার প্রতি ভীতি প্রদর্শন
৩৩০২. হযরত আওফ ইবনে মালিক (রা) থেকে বর্ণিত। রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) বলেছেন, তোমরা যদি চাও, তবে ইমারত (শাসনভার গ্রহণ করা) কি, সে বিষয়ে আমি তোমাদের অবহিত করব? আমি চিৎকার দিয়ে উচ্চকণ্ঠে বললামঃ ইয়া রাসুলাল্লাহ্! ইমারত কি? তিনি বলেন, প্রথমত, তিরস্কার; দ্বিতীয়ত, লজ্জা এবং তৃতীয়ত, সুবিচার না করা হলে কিয়ামতের দিন রয়েছে শাস্তি অথচ সে (বিচারক) তার নিকটাত্মীয়ের সাথে কিভাবে সুবিচার করবে?
(বাযযার, তাবারানীর কাবীর গ্রন্থ এবং তার বর্ণনাকারীদের বর্ণনাসমূহ বিশুদ্ধ।)
كتاب القضاء
كتاب الْقَضَاء وَغَيره
التَّرْهِيب من تولي السلطنة وَالْقَضَاء والإمارة سِيمَا لمن لَا يَثِق بِنَفسِهِ وترهيب من وثق بِنَفسِهِ أَن يسْأَل شَيْئا من ذَلِك
3302- وَعَن عَوْف بن مَالك رَضِي الله عَنهُ أَن رَسُول الله صلى الله عَلَيْهِ وَسلم قَالَ إِن شِئْتُم أنبأتكم عَن الْإِمَارَة وَمَا هِيَ فناديت بِأَعْلَى صوتي وَمَا هِيَ يَا رَسُول الله قَالَ أَولهَا ملامة وَثَانِيها ندامة وَثَالِثهَا عَذَاب يَوْم الْقِيَامَة إِلَّا من عدل وَكَيف يعدل مَعَ قَرِيبه

رَوَاهُ الْبَزَّار وَالطَّبَرَانِيّ فِي الْكَبِير وَرُوَاته رُوَاة الصَّحِيح
tahqiq

তাহকীক:

হাদীস নং: ৩৩০৩
অধ্যায়ঃ বিচার ব্যবস্থা
অধ্যায়: বিচার ব্যবস্থা ও অন্যান্য বিষয়।
নিজের উপর আস্থাশীল না হওয়া সত্ত্বেও যে ব্যক্তি রাজা বাদশাহ ও শাসক নিযুক্ত হয়। বিচার করে এবং নেতৃত্ব গ্রহণ করে তার প্রতি ভীতি প্রদর্শন এবং যে ব্যক্তি নিজকে বিশ্বস্ত ও নির্ভরযোগ্য মনে করে উপরোক্ত বিষয় প্রার্থনা করে তার প্রতি ভীতি প্রদর্শন
৩৩০৩. হযরত আবু হুরায়রা (রা) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, শারীক (র) মারফু' সনদে হাদীসটি বর্ণনা করেছে কিনা, তা আমি জানি না। তিনি বলেছেন, ইমারাতের (নেতৃত্বের) প্রথমে রয়েছে লজ্জা, মধ্যম পর্যায় রয়েছে পরিণামের দিক থেকে ক্ষতি এবং পরিশেষে রয়েছে কিয়ামতের দিনের শাস্তি।
(তাবারানী উত্তম সনদে বর্ণনা করেন।)
كتاب القضاء
كتاب الْقَضَاء وَغَيره
التَّرْهِيب من تولي السلطنة وَالْقَضَاء والإمارة سِيمَا لمن لَا يَثِق بِنَفسِهِ وترهيب من وثق بِنَفسِهِ أَن يسْأَل شَيْئا من ذَلِك
3303- وَعَن أبي هُرَيْرَة رَضِي الله عَنهُ قَالَ شريك لَا أَدْرِي رَفعه أم لَا
قَالَ الْإِمَارَة أَولهَا ندامة وأوسطها غَرَامَة وَآخِرهَا عَذَاب يَوْم الْقِيَامَة

رَوَاهُ الطَّبَرَانِيّ بِإِسْنَاد حسن
tahqiq

তাহকীক:

হাদীস নং: ৩৩০৪
অধ্যায়ঃ বিচার ব্যবস্থা
অধ্যায়: বিচার ব্যবস্থা ও অন্যান্য বিষয়।
নিজের উপর আস্থাশীল না হওয়া সত্ত্বেও যে ব্যক্তি রাজা বাদশাহ ও শাসক নিযুক্ত হয়। বিচার করে এবং নেতৃত্ব গ্রহণ করে তার প্রতি ভীতি প্রদর্শন এবং যে ব্যক্তি নিজকে বিশ্বস্ত ও নির্ভরযোগ্য মনে করে উপরোক্ত বিষয় প্রার্থনা করে তার প্রতি ভীতি প্রদর্শন
৩৩০৪. হযরত আবু উমামা (রা) সূত্রে নবী (ﷺ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেছেন: যে ব্যক্তি দশ কিংবা তার চেয়ে কম লোকের ওয়ালী (বিচারক) নিযুক্ত হবে, কিয়ামতের দিন সে তার হাত গলায় রেখে আল্লাহর নিকট উপস্থিত হবে। এমতাবস্থায় তার নেককাজ তাকে মুক্তি দেবে অথবা বলেছেন, অসৎ কাজ তাকে ধ্বংস করবে। নেতৃত্বের প্রথম অধ্যায় হলঃ তিরস্কার, মধ্যম অধ্যায় লজ্জা পাওয়া এবং শেষ অধ্যায় হলঃ কিয়ামতের দিন লাঞ্ছিত হওয়ার কারণ।
(আহমাদ বর্ণিত, ইয়াযীদ ইবনে আবু মালিক ব্যতীত তার বর্ণনাকারীদের বর্ণনা বিশ্বস্ত সূত্রে বর্ণিত।)
كتاب القضاء
كتاب الْقَضَاء وَغَيره
التَّرْهِيب من تولي السلطنة وَالْقَضَاء والإمارة سِيمَا لمن لَا يَثِق بِنَفسِهِ وترهيب من وثق بِنَفسِهِ أَن يسْأَل شَيْئا من ذَلِك
3304- وَعَن أبي أُمَامَة رَضِي الله عَنهُ عَن النَّبِي صلى الله عَلَيْهِ وَسلم أَنه قَالَ مَا من رجل يَلِي أَمر عشرَة فَمَا فَوق ذَلِك إِلَّا أَتَى الله مغلولا يَوْم الْقِيَامَة يَده إِلَى عُنُقه فكه بره أَو أوثقه إثمه أَولهَا ملامة وأوسطها ندامة وَآخِرهَا خزي يَوْم الْقِيَامَة

رَوَاهُ أَحْمد وَرُوَاته ثِقَات إِلَّا يزِيد بن أبي مَالك
tahqiq

তাহকীক:

হাদীস নং: ৩৩০৫
অধ্যায়ঃ বিচার ব্যবস্থা
অধ্যায়: বিচার ব্যবস্থা ও অন্যান্য বিষয়।
নিজের উপর আস্থাশীল না হওয়া সত্ত্বেও যে ব্যক্তি রাজা বাদশাহ ও শাসক নিযুক্ত হয়। বিচার করে এবং নেতৃত্ব গ্রহণ করে তার প্রতি ভীতি প্রদর্শন এবং যে ব্যক্তি নিজকে বিশ্বস্ত ও নির্ভরযোগ্য মনে করে উপরোক্ত বিষয় প্রার্থনা করে তার প্রতি ভীতি প্রদর্শন
৩৩০৫. হযরত আবু ওয়াইল শাকীক ইবনে সামা (র) থেকে বর্ণিত। উমার ইবনে খাত্তাব (রা) বিশর ইবনে আসিমকে হাওয়াযিন গোত্রের যাকাত আদায়ের জন্য আমীর নিযুক্ত করেন। কিন্তু বিশর (এ দায়িত্ব পালন করা থেকে) পিছিয়ে থাকেন। উমার (রা) তাঁর সাথে সাক্ষাৎ করে বলেন, কিসে তোমাকে পিছিয়ে রেখেছে? তুমি কি (নেতার নির্দেশ) শুনতে পাওনি এবং তাঁর নির্দেশের অনুগত্য করবে না? সে বলল: হাঁ। তবে আমি রাসুলুল্লাহ (ﷺ)-কে বলতে শুনেছি: যে ব্যক্তি মুসলমানের কোন কাজের ওয়ালী নিযুক্ত হবে, কিয়ামতের দিন তাকে উপস্থিত করা হবে, এমন কি তাকে জাহান্নামের পুলের কাছে থামিয়ে দেওয়া হবে। যদি সে সৎকর্মপরায়ণ হয়, তবে মুক্তি পাবে, আর যদি সে অসৎকর্মপরায়ণ হয়, তবে সে পুল ভেঙ্গে জাহান্নামে সত্তর বছরের তলদেশে পড়ে যাবে। সে বলল: তখন হযরত উমার (রা) বিষন্ন মনে চলে যান। পরে আবূ যার (রা) তাঁর সাথে সাক্ষাৎ করেন এবং বলেন, কী হল আপনাকে যে বিমর্ষ দেখছি? তিনি বলেনঃ আমার কী হল যে, আমি বিষন্ন হব না? আমি বিশর ইবনে আসিমকে বলতে শুনেছি, সে রাসূলুল্লাহ (ﷺ)-কে বলতে শুনেছে যে, যে ব্যক্তি মুসলমানের কোন কাজের ওয়ালী নিযুক্ত হবে, কিয়ামতের দিন তাকে উপস্থিত করা হবে, এমন কি তাকে জাহান্নামের পুলের কাছে থামিয়ে দেওয়া হবে। যদি সে সৎকর্মপরায়ণ হয় তবে নাজাত পাবে, আর যদি সে অসৎ হয় তাহলে পুল ভেঙ্গে সত্তর বছর দূরত্ব নিম্নে পড়ে যাবে। আবূ যার (রা) বলেন, আপনি কি এই হাদীসটি রাসূলুল্লাহ (ﷺ)-কে বলতে শুনেছেন? তিনি বলেন: না। তখন আবু যার (রা) বলেন: আমি সাক্ষ্য দিচ্ছি যে, আমি রাসুলুল্লাহ্ (ﷺ)-কে বলতে শুনেছিঃ যে ব্যক্তি মুসলমানের ওয়ালী নিযুক্ত হবে, তাকে কিয়ামতের দিন জাহান্নামের পুলের কাছে থামিয়ে দেওয়া হবে। যদি সে সৎকর্মপরায়ণ হয়, তবে মুক্তি পাবে, আর যদি অসৎ হয়, তবে পুল ভেঙ্গে সে সত্তর বছরের পথ নিচে পতিত হবে। আর তা হবে ভীষণ অন্ধকারময় স্থান। এদু'টি হাদীসের মধ্যে কোনটি আপনার জন্য বেদনাদায়ক? তিনি বলেন, দু'টো হাদীসই আমার জন্য বেদনাদায়ক। তবে কে ওয়ালী হবে? আবূ যার (রা) বলেন: আল্লাহ্ যার নাক কেটে দেন এবং চেহারা মাটির সাথে লাগাবেন (অপদস্থ) সেই ওয়ালী হবে। সাবধান! আমরা আপনার ব্যাপারে সুধারণা পোষণ করি। সম্ভবত আপনি যদি কোন যালিমকে বিচারক নিযুক্ত করেন, তবে আপনি গোনাহ থেকে বাচবেন না।
(তাবারানীর বর্ণিত। অনুরূপ হাদীস ইনশাআল্লাহ্ সামনে আসবে।
سلت أنفه নাক কেটে দেওয়া।)
كتاب القضاء
كتاب الْقَضَاء وَغَيره
التَّرْهِيب من تولي السلطنة وَالْقَضَاء والإمارة سِيمَا لمن لَا يَثِق بِنَفسِهِ وترهيب من وثق بِنَفسِهِ أَن يسْأَل شَيْئا من ذَلِك
3305- وَرُوِيَ عَن أبي وَائِل شَقِيق ابْن سامة أَن عمر بن الْخطاب رَضِي الله عَنهُ اسْتعْمل بشر بن عَاصِم رَضِي الله عَنهُ على صدقَات هوَازن فَتخلف بشر فَلَقِيَهُ عمر فَقَالَ مَا خَلفك أما لنا سمعا وَطَاعَة قَالَ بلَى وَلَكِن سَمِعت رَسُول الله صلى الله عَلَيْهِ وَسلم يَقُول من ولي شَيْئا من أَمر الْمُسلمين أُتِي بِهِ يَوْم الْقِيَامَة حَتَّى يُوقف على جسر جَهَنَّم فَإِن كَانَ محسنا نجا وَإِن كَانَ مسيئا انخرق بِهِ الجسر فهوى فِيهِ سبعين خَرِيفًا
قَالَ فَخرج عمر رَضِي الله عَنهُ كئيبا مَحْزُونا فَلَقِيَهُ أَبُو ذَر فَقَالَ مَا لي أَرَاك كئيبا حَزينًا فَقَالَ مَا لي لَا أكون كئيبا حَزينًا وَقد سَمِعت بشر بن عَاصِم يَقُول سَمِعت رَسُول الله صلى الله عَلَيْهِ وَسلم يَقُول من ولي شَيْئا من أَمر الْمُسلمين أُتِي بِهِ يَوْم الْقِيَامَة حَتَّى يُوقف على جسر جَهَنَّم فَإِن كَانَ محسنا نجا وَإِن كَانَ مسيئا انخرق بِهِ الجسر فهوى فِيهِ سبعين خَرِيفًا فَقَالَ أَبُو ذَر أَو مَا سمعته من رَسُول الله صلى الله عَلَيْهِ وَسلم قَالَ لَا قَالَ أشهد أَنِّي سَمِعت رَسُول الله صلى الله عَلَيْهِ وَسلم يَقُول من ولي أحدا من الْمُسلمين أُتِي بِهِ يَوْم الْقِيَامَة حَتَّى يُوقف على جسر جَهَنَّم فَإِن كَانَ محسنا نجا وَإِن كَانَ مسيئا انخرق بِهِ الجسر فهوى فِيهِ سبعين خَرِيفًا وَهِي سَوْدَاء مظْلمَة فَأَي الْحَدِيثين أوجع لقلبك قَالَ كِلَاهُمَا قد أوجع قلبِي فَمن يَأْخُذهَا بِمَا فِيهَا فَقَالَ أَبُو ذَر من سلت الله
أَنفه وألصق خَدّه بِالْأَرْضِ أما إِنَّا لَا نعلم إِلَّا خيرا وَعَسَى أَن وليتها من لَا يعدل فِيهَا أَن لَا تنجو من إثمها

رَوَاهُ الطَّبَرَانِيّ وَيَأْتِي أَحَادِيث نَحْو هَذِه فِي الْبَاب بعده إِن شَاءَ الله تَعَالَى
سلت أَنفه بِفَتْح السِّين الْمُهْملَة وَاللَّام بعدهمَا تَاء مثناة فَوق أَي جدعه
tahqiq

তাহকীক:

হাদীস নং: ৩৩০৬
অধ্যায়ঃ বিচার ব্যবস্থা
অধ্যায়: বিচার ব্যবস্থা ও অন্যান্য বিষয়।
নিজের উপর আস্থাশীল না হওয়া সত্ত্বেও যে ব্যক্তি রাজা বাদশাহ ও শাসক নিযুক্ত হয়। বিচার করে এবং নেতৃত্ব গ্রহণ করে তার প্রতি ভীতি প্রদর্শন এবং যে ব্যক্তি নিজকে বিশ্বস্ত ও নির্ভরযোগ্য মনে করে উপরোক্ত বিষয় প্রার্থনা করে তার প্রতি ভীতি প্রদর্শন
৩৩০৬. হযরত আবদুল্লাহ ইবনে মাসউদ (রা) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসুলুল্লাহ্ (ﷺ) বলেছেন: যে কোন বিচারকই মানুষের মধ্যে বিচার (মীমাংসা) করবে, কিয়ামতের দিন একজন ফিরিশতা তার ঘাড় ধরবে। এরপর ফিরিশতা তার মাথা আকাশের দিকে উঠাবে। আল্লাহ্ যদি বলেন যে, তাকে ফেলে দাও, তখন তাকে এমন গর্তে ফেলে দেওয়া হবে, যার গভীরতা চল্লিশ বছরের দূরুত্বের সমান।
(ইবনে মাজাহ নিজ শব্দে এবং বাযযার বর্ণনা করেন। পরবর্তী অনুচ্ছেদ। ইনশাআল্লাহ্ তাঁর শব্দযোগে বর্ণনা আসবে। তাঁদের উভয়ের সনদসূত্রে মুজালিদ ইবনে সাঈদ নামে একজন বর্ণনাকারী রয়েছে।)
كتاب القضاء
كتاب الْقَضَاء وَغَيره
التَّرْهِيب من تولي السلطنة وَالْقَضَاء والإمارة سِيمَا لمن لَا يَثِق بِنَفسِهِ وترهيب من وثق بِنَفسِهِ أَن يسْأَل شَيْئا من ذَلِك
3306- وَعَن عبد الله يَعْنِي ابْن مَسْعُود رَضِي الله عَنهُ قَالَ قَالَ رَسُول الله صلى الله عَلَيْهِ وَسلم مَا من حَاكم يحكم بَين النَّاس إِلَّا جَاءَ يَوْم الْقِيَامَة وَملك آخذ بقفاه ثمَّ يرفع رَأسه إِلَى السَّمَاء فَإِن قَالَ ألقه أَلْقَاهُ فَهُوَ فِي مهواة أَرْبَعِينَ خَرِيفًا

رَوَاهُ ابْن مَاجَه وَاللَّفْظ لَهُ وَالْبَزَّار وَيَأْتِي لَفظه فِي الْبَاب بعده إِن شَاءَ الله وَفِي إسنادهما مجَالد بن سعيد
tahqiq

তাহকীক:

হাদীস নং: ৩৩০৭
অধ্যায়ঃ বিচার ব্যবস্থা
অধ্যায়: বিচার ব্যবস্থা ও অন্যান্য বিষয়।
নিজের উপর আস্থাশীল না হওয়া সত্ত্বেও যে ব্যক্তি রাজা বাদশাহ ও শাসক নিযুক্ত হয়। বিচার করে এবং নেতৃত্ব গ্রহণ করে তার প্রতি ভীতি প্রদর্শন এবং যে ব্যক্তি নিজকে বিশ্বস্ত ও নির্ভরযোগ্য মনে করে উপরোক্ত বিষয় প্রার্থনা করে তার প্রতি ভীতি প্রদর্শন
৩৩০৭. হযরত আবদুল্লাহ্ ইবনে আমর (রা) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, হামযা ইবনে আবদুল মুত্তালিব (রা) রাসুলুল্লাহ (ﷺ)-এর নিকট আসেন এবং বলেনঃ ইয়া রাসূলাল্লাহ্! আপনি আমাকে এমন কাজের কথা বলুন, যাতে আমি (ঈমানের উপর) জীবন অতিবাহিত করতে পারি। রাসুলুল্লাহ (ﷺ) বলেন: হে হামযা! তোমার কাছে কোন আত্মা প্রিয়, জীবন্ত না মৃত। তিনি বলেন, জীবন্ত আত্মা। তিনি (রাসুলুল্লাহ ﷺ) বলেন: আল্লাহ -ভীরু, ন্যায়পরায়ণ ও সৎকর্মশীল হিসেবে জীবন গড়ে তোল।
(আহমাদ বর্ণিত ইবনে লাহীয়া ব্যতীত তার অন্যান্য বর্ণনাকারীগণ বিশ্বস্ত।)
كتاب القضاء
كتاب الْقَضَاء وَغَيره
التَّرْهِيب من تولي السلطنة وَالْقَضَاء والإمارة سِيمَا لمن لَا يَثِق بِنَفسِهِ وترهيب من وثق بِنَفسِهِ أَن يسْأَل شَيْئا من ذَلِك
3307- وَعَن عبد الله بن عَمْرو رَضِي الله عَنْهُمَا قَالَ جَاءَ حَمْزَة بن عبد الْمطلب رَضِي الله عَنهُ إِلَى رَسُول الله صلى الله عَلَيْهِ وَسلم فَقَالَ يَا رَسُول الله اجْعَلنِي على شَيْء أعيش بِهِ فَقَالَ رَسُول الله صلى الله عَلَيْهِ وَسلم يَا حَمْزَة نفس تحييها أحب إِلَيْك أم نفس تميتها قَالَ نفس أحييها
قَالَ عَلَيْك نَفسك

رَوَاهُ أَحْمد وَرُوَاته ثِقَات إِلَّا ابْن لَهِيعَة
tahqiq

তাহকীক:

হাদীস নং: ৩৩০৮
অধ্যায়ঃ বিচার ব্যবস্থা
অধ্যায়: বিচার ব্যবস্থা ও অন্যান্য বিষয়।
নিজের উপর আস্থাশীল না হওয়া সত্ত্বেও যে ব্যক্তি রাজা বাদশাহ ও শাসক নিযুক্ত হয়। বিচার করে এবং নেতৃত্ব গ্রহণ করে তার প্রতি ভীতি প্রদর্শন এবং যে ব্যক্তি নিজকে বিশ্বস্ত ও নির্ভরযোগ্য মনে করে উপরোক্ত বিষয় প্রার্থনা করে তার প্রতি ভীতি প্রদর্শন
৩৩০৮. হযরত মিক্‌দাম ইবনে মাদী কাবির (রা) থেকে বর্ণিত। একদা রাসূলুল্লাহ (ﷺ) তাঁর দুই কাঁধে হাত রেখে বলেন, হে কাদীম! তুমি শাসক, সচিব ও আমীর না হয়ে মৃত্যুবরণ করলেই (পরকালে) সফলকাম হবে।
(আবু দাউদ বর্ণিত সালিহ ইবনে ইয়াহইয়া ইবনে মিকদাম সম্পর্কে সামনে আলোচনা আসবে।)
كتاب القضاء
كتاب الْقَضَاء وَغَيره
التَّرْهِيب من تولي السلطنة وَالْقَضَاء والإمارة سِيمَا لمن لَا يَثِق بِنَفسِهِ وترهيب من وثق بِنَفسِهِ أَن يسْأَل شَيْئا من ذَلِك
3308- وَعَن الْمِقْدَام بن معديكرب رَضِي الله عَنهُ أَن رَسُول الله صلى الله عَلَيْهِ وَسلم ضرب على مَنْكِبَيْه ثمَّ قَالَ أفلحت يَا قديم إِن مت وَلم تكن أَمِيرا وَلَا كَاتبا وَلَا عريفا

رَوَاهُ أَبُو دَاوُد
وَفِي صَالح بن يحيى بن الْمِقْدَام كَلَام قريب لَا يقْدَح
tahqiq

তাহকীক:

হাদীস নং: ৩৩০৯
অধ্যায়ঃ বিচার ব্যবস্থা
অধ্যায়: বিচার ব্যবস্থা ও অন্যান্য বিষয়।
নিজের উপর আস্থাশীল না হওয়া সত্ত্বেও যে ব্যক্তি রাজা বাদশাহ ও শাসক নিযুক্ত হয়। বিচার করে এবং নেতৃত্ব গ্রহণ করে তার প্রতি ভীতি প্রদর্শন এবং যে ব্যক্তি নিজকে বিশ্বস্ত ও নির্ভরযোগ্য মনে করে উপরোক্ত বিষয় প্রার্থনা করে তার প্রতি ভীতি প্রদর্শন
৩৩০৯. হযরত আবূ যার (রা) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেনঃ ইয়া রাসূলাল্লাহ্! আপনি কি আমাকে শাসক নিযুক্ত করবেন? তিনি বলেন, তিনি আমার কাঁধে তাঁর দুই হাত রেখে বলেন, হে আবু যার! তুমি একজন দুর্বল ব্যক্তি, আর শাসন কার্য একটি আমানত। তা কিয়ামতের দিন লাঞ্ছনা ও লজ্জা ব্যতীত কিছু নয়। তবে যে ব্যক্তি যথাযথভাবে তার হক আদায় করবে এবং তার কর্তব্য পালন করবে তার কথা আলাদা।
(মুসলিম বর্ণিত।)
كتاب القضاء
كتاب الْقَضَاء وَغَيره
التَّرْهِيب من تولي السلطنة وَالْقَضَاء والإمارة سِيمَا لمن لَا يَثِق بِنَفسِهِ وترهيب من وثق بِنَفسِهِ أَن يسْأَل شَيْئا من ذَلِك
3309- وَعَن أبي ذَر رَضِي الله عَنهُ قَالَ قلت يَا رَسُول الله أَلا تَسْتَعْمِلنِي قَالَ فَضرب بِيَدِهِ على مَنْكِبي ثمَّ قَالَ يَا أَبَا ذَر إِنَّك ضَعِيف وَإِنَّهَا أَمَانَة وَإِنَّهَا يَوْم الْقِيَامَة خزي وندامة إِلَّا من أَخذهَا بِحَقِّهَا وَأدّى الَّذِي عَلَيْهِ فِيهَا

رَوَاهُ مُسلم
হাদীস নং: ৩৩১০
অধ্যায়ঃ বিচার ব্যবস্থা
অধ্যায়: বিচার ব্যবস্থা ও অন্যান্য বিষয়।
নিজের উপর আস্থাশীল না হওয়া সত্ত্বেও যে ব্যক্তি রাজা বাদশাহ ও শাসক নিযুক্ত হয়। বিচার করে এবং নেতৃত্ব গ্রহণ করে তার প্রতি ভীতি প্রদর্শন এবং যে ব্যক্তি নিজকে বিশ্বস্ত ও নির্ভরযোগ্য মনে করে উপরোক্ত বিষয় প্রার্থনা করে তার প্রতি ভীতি প্রদর্শন
৩৩১০. হযরত আবু যার (রা) থেকে বর্ণিত। একদা নবী (ﷺ) আবূ যার (রা)-কে বলেন, হে আবু যার! আমি তোমাকে একজন দুর্বল লোক মনে করি। আমি নিজের জন্য যা পসন্দ করি। তোমার জন্যও তা পসন্দ করি। তুমি দুই ব্যক্তির ও আমীর নিযুক্ত হয়ো না, আর কোন ইয়াতীমের সম্পদের অভিভাবক নিযুক্ত হয়ো না।
(মুসলিম, আবু দাউদ ও হাকিম বর্ণিত। তিনি বলেন, বুখারী ও মুসলিমের শর্তানুযায়ী হাদীসটি সহীহ।)
كتاب القضاء
كتاب الْقَضَاء وَغَيره
التَّرْهِيب من تولي السلطنة وَالْقَضَاء والإمارة سِيمَا لمن لَا يَثِق بِنَفسِهِ وترهيب من وثق بِنَفسِهِ أَن يسْأَل شَيْئا من ذَلِك
3310- وَعنهُ أَن النَّبِي صلى الله عَلَيْهِ وَسلم قَالَ لَهُ يَا أَبَا ذَر إِنِّي أَرَاك ضَعِيفا وَإِنِّي أحب لَك مَا أحب لنَفْسي لَا تؤمرن على اثْنَيْنِ وَلَا تلين مَال يَتِيم

رَوَاهُ مُسلم وَأَبُو دَاوُد وَالْحَاكِم وَقَالَ صَحِيح على شَرطهمَا
হাদীস নং: ৩৩১১
অধ্যায়ঃ বিচার ব্যবস্থা
অধ্যায়: বিচার ব্যবস্থা ও অন্যান্য বিষয়।
নিজের উপর আস্থাশীল না হওয়া সত্ত্বেও যে ব্যক্তি রাজা বাদশাহ ও শাসক নিযুক্ত হয়। বিচার করে এবং নেতৃত্ব গ্রহণ করে তার প্রতি ভীতি প্রদর্শন এবং যে ব্যক্তি নিজকে বিশ্বস্ত ও নির্ভরযোগ্য মনে করে উপরোক্ত বিষয় প্রার্থনা করে তার প্রতি ভীতি প্রদর্শন
৩৩১১. হযরত আবু হুরায়রা (রা) থেকে বর্ণিত। রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেছেন: অচিরেই তোমরা শাসক নিযুক্ত হওয়ার প্রতি আকাঙ্ক্ষা করবে, আর শাসকের পরিণাম হবে কিয়ামতের দিন লজ্জা। শাসিত ব্যক্তি কতই না উত্তম, আর শাসক কতই না নিকৃষ্ট।
(বুখারী ও মুসলিম বর্ণিত।)
كتاب القضاء
كتاب الْقَضَاء وَغَيره
التَّرْهِيب من تولي السلطنة وَالْقَضَاء والإمارة سِيمَا لمن لَا يَثِق بِنَفسِهِ وترهيب من وثق بِنَفسِهِ أَن يسْأَل شَيْئا من ذَلِك
3311- وَعَن أبي هُرَيْرَة رَضِي الله عَنهُ أَن رَسُول الله صلى الله عَلَيْهِ وَسلم قَالَ إِنَّكُم ستحرصون على الْإِمَارَة وستكون ندامة يَوْم الْقِيَامَة فنعمت الْمُرضعَة وبئست الفاطمة

رَوَاهُ البُخَارِيّ وَمُسلم
হাদীস নং: ৩৩১২
অধ্যায়ঃ বিচার ব্যবস্থা
অধ্যায়: বিচার ব্যবস্থা ও অন্যান্য বিষয়।
নিজের উপর আস্থাশীল না হওয়া সত্ত্বেও যে ব্যক্তি রাজা বাদশাহ ও শাসক নিযুক্ত হয়। বিচার করে এবং নেতৃত্ব গ্রহণ করে তার প্রতি ভীতি প্রদর্শন এবং যে ব্যক্তি নিজকে বিশ্বস্ত ও নির্ভরযোগ্য মনে করে উপরোক্ত বিষয় প্রার্থনা করে তার প্রতি ভীতি প্রদর্শন
৩৩১২. হযরত আবু হুরায়রা (রা) থেকে বর্ণিত। রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেছেন: শাসকদের জন্য ধ্বংস, নেতাদের জন্য ধ্বংস এবং আমানতদারদের জন্য ধ্বংস। কিয়ামতের দিন কিছু সংখ্যক লোকের চুল সুরাইয়া নক্ষত্রের সাথে বেঁধে দেওয়া হবে এবং তারা আসমান ও যমীনের মধ্যখানে ঝুলন্ত অবস্থায় থাকবে। তারা তখন পরিতাপ করে বলবে: হায়! তাদেরকে যদি আমীর নিযুক্ত করা না হত, তবে কতই না ভাল হতো।
(ইবনে হিব্বানের সহীহ গ্রন্থে বর্ণিত। হাকিম নিজ শব্দে বলেন, হাদীসটি সহীহ সনদে বর্ণিত।)
كتاب القضاء
كتاب الْقَضَاء وَغَيره
التَّرْهِيب من تولي السلطنة وَالْقَضَاء والإمارة سِيمَا لمن لَا يَثِق بِنَفسِهِ وترهيب من وثق بِنَفسِهِ أَن يسْأَل شَيْئا من ذَلِك
3312- وَعَن أبي هُرَيْرَة أَيْضا رَضِي الله عَنهُ أَن رَسُول الله صلى الله عَلَيْهِ وَسلم قَالَ ويل لِلْأُمَرَاءِ ويل للعرفاء ويل للأمناء ليتمنين أَقوام يَوْم الْقِيَامَة أَن ذوائبهم معلقَة بِالثُّرَيَّا يدلون بَين السَّمَاء وَالْأَرْض وَإِنَّهُم لم يلوا عملا

رَوَاهُ ابْن حبَان فِي صَحِيحه وَالْحَاكِم وَاللَّفْظ لَهُ وَقَالَ صَحِيح الْإِسْنَاد
tahqiq

তাহকীক:

হাদীস নং: ৩৩১৩
অধ্যায়ঃ বিচার ব্যবস্থা
অধ্যায়: বিচার ব্যবস্থা ও অন্যান্য বিষয়।
নিজের উপর আস্থাশীল না হওয়া সত্ত্বেও যে ব্যক্তি রাজা বাদশাহ ও শাসক নিযুক্ত হয়। বিচার করে এবং নেতৃত্ব গ্রহণ করে তার প্রতি ভীতি প্রদর্শন এবং যে ব্যক্তি নিজকে বিশ্বস্ত ও নির্ভরযোগ্য মনে করে উপরোক্ত বিষয় প্রার্থনা করে তার প্রতি ভীতি প্রদর্শন
৩৩১৩. তার (হাকিমের) অন্য একটি বিশুদ্ধ বর্ণনায় আছে যে, হযরত আবু হুরায়রা (রা) বলেছেনঃ আমি রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ)-কে বলতে শুনেছি, অচিরেই কিছু সংখ্যক লোক সুরাইয়া নক্ষত্র হতে নিক্ষিপ্ত হওয়া কামনা করবে, তথাপিও সে মানুষের কোন কাজের তত্ত্বাবধায়ক নিযুক্ত হবে না।
[হাফিয মুনযিরী (র) বলেন]: পেছনে যাকাত অধ্যায়ে গভর্নর, নেতা, প্রতারক ও টোল আদায়কারী সম্পর্কে আলোচনা হয়েছে। কাজেই, তা পুনরাবৃত্তি করা প্রয়োজন মনে করি না।
كتاب القضاء
كتاب الْقَضَاء وَغَيره
التَّرْهِيب من تولي السلطنة وَالْقَضَاء والإمارة سِيمَا لمن لَا يَثِق بِنَفسِهِ وترهيب من وثق بِنَفسِهِ أَن يسْأَل شَيْئا من ذَلِك
3313- وَفِي رِوَايَة لَهُ وَصحح إسنادها أَيْضا قَالَ سَمِعت رَسُول الله صلى الله عَلَيْهِ وَسلم يَقُول ليوشكن رجل أَن يتَمَنَّى أَنه خر من الثريا وَلم يل من أَمر النَّاس شَيْئا

قَالَ الْحَافِظ وَقد وَقع فِي الْإِمْلَاء الْمُتَقَدّم بَاب فِيمَا يتَعَلَّق بالعمال والعرفاء والمكاسين والعشارين فِي كتاب الزَّكَاة أغْنى عَن إِعَادَته هُنَا
tahqiq

তাহকীক:

হাদীস নং: ৩৩১৪
অধ্যায়ঃ বিচার ব্যবস্থা
অধ্যায়: বিচার ব্যবস্থা ও অন্যান্য বিষয়।
নিজের উপর আস্থাশীল না হওয়া সত্ত্বেও যে ব্যক্তি রাজা বাদশাহ ও শাসক নিযুক্ত হয়। বিচার করে এবং নেতৃত্ব গ্রহণ করে তার প্রতি ভীতি প্রদর্শন এবং যে ব্যক্তি নিজকে বিশ্বস্ত ও নির্ভরযোগ্য মনে করে উপরোক্ত বিষয় প্রার্থনা করে তার প্রতি ভীতি প্রদর্শন
৩৩১৪. হযরত আবদুর রহমান ইবনে সামুরা (রা) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন: রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) আমাকে বলেছেনঃ হে আবদুর রহমান ইবনে সামুরা। তুমি কখনো শাসক নিযুক্ত হতে চেয়ো না। কেননা, তোমার চাওয়া ব্যতীত যা তোমাকে দেওয়া হয়, তাতে তোমাকে সাহায্য করা হবে। আর যদি তোমার চাওয়ার প্রেক্ষিতে দেয়া হয়, তবে তোমাকে তার দায়িত্বে ব্যস্ত রাখা হবে (অর্থাৎ সাহায্য করা হবে না) আল-হাদীস।
(বুখারী ও মুসলিম বর্ণিত।)
كتاب القضاء
كتاب الْقَضَاء وَغَيره
التَّرْهِيب من تولي السلطنة وَالْقَضَاء والإمارة سِيمَا لمن لَا يَثِق بِنَفسِهِ وترهيب من وثق بِنَفسِهِ أَن يسْأَل شَيْئا من ذَلِك
3314- وَعَن عبد الرَّحْمَن بن سَمُرَة رَضِي الله عَنهُ قَالَ قَالَ لي رَسُول الله صلى الله عَلَيْهِ وَسلم يَا عبد الرَّحْمَن بن سَمُرَة لَا تسْأَل الْإِمَارَة فَإنَّك إِن أعطيتهَا من غير مَسْأَلَة أعنت عَلَيْهَا وَإِن أعطيتهَا عَن مَسْأَلَة وكلت إِلَيْهَا الحَدِيث

رَوَاهُ البُخَارِيّ وَمُسلم
হাদীস নং: ৩৩১৫
অধ্যায়ঃ বিচার ব্যবস্থা
অধ্যায়: বিচার ব্যবস্থা ও অন্যান্য বিষয়।
নিজের উপর আস্থাশীল না হওয়া সত্ত্বেও যে ব্যক্তি রাজা বাদশাহ ও শাসক নিযুক্ত হয়। বিচার করে এবং নেতৃত্ব গ্রহণ করে তার প্রতি ভীতি প্রদর্শন এবং যে ব্যক্তি নিজকে বিশ্বস্ত ও নির্ভরযোগ্য মনে করে উপরোক্ত বিষয় প্রার্থনা করে তার প্রতি ভীতি প্রদর্শন
৩৩১৫. হযরত আনাস (রা) সূত্রে রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেছেন: যে ব্যক্তি বিচারক হতে চায় এবং তা প্রাপ্তির আশায় সুপারিশ কামনা করে, তাকে সে কাজে ব্যস্ত রাখা হবে। আর কোন ব্যক্তিকে তা চাপিয়ে দেওয়া হলে আল্লাহ্ তার সাহাযার্থে ফিরিশতা নিযুক্ত করেন।
(আবু দাউদ ও তিরমিযী বর্ণিত। তিনি নিজ শব্দে বলেন। হাদীসটি হাসান-গরীব।
ইবনে মাজা তিনি তার নিজ শব্দে বর্ণনা করেন। যা ইমাম তিরমিযীরও একটি বর্ণনায় আছে, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেছেন: "যে ব্যক্তি বিচারক নিযুক্ত হতে চায়, তাকে সে কাজে ব্যস্ত রাখা হবে। আর যাকে তা গ্রহণের জন্য চাপ সৃষ্টি করা হয়, ফিরিশতা তার সাহায্যে অবতীর্ণ হয়"।)
كتاب القضاء
كتاب الْقَضَاء وَغَيره
التَّرْهِيب من تولي السلطنة وَالْقَضَاء والإمارة سِيمَا لمن لَا يَثِق بِنَفسِهِ وترهيب من وثق بِنَفسِهِ أَن يسْأَل شَيْئا من ذَلِك
3315- وَعَن أنس رَضِي الله عَنهُ عَن النَّبِي صلى الله عَلَيْهِ وَسلم قَالَ من ابْتغى الْقَضَاء وَسَأَلَ فِيهِ شُفَعَاء وكل إِلَى نَفسه وَمن أكره عَلَيْهِ أنزل الله عَلَيْهِ ملكا يسدده

رَوَاهُ أَبُو دَاوُد وَالتِّرْمِذِيّ وَاللَّفْظ لَهُ وَقَالَ حَدِيث حسن غَرِيب وَابْن مَاجَه وَلَفظه وَهُوَ رِوَايَة التِّرْمِذِيّ قَالَ رَسُول الله صلى الله عَلَيْهِ وَسلم من سَأَلَ الْقَضَاء وكل إِلَى نَفسه وَمن أجبر عَلَيْهِ ينزل عَلَيْهِ ملك فيسدده
tahqiq

তাহকীক: