আত্-তারগীব ওয়াত্-তারহীব- ইমাম মুনযিরী রহঃ

الترغيب والترهيب للمنذري

২২. অধ্যায়ঃ শিষ্টাচার - এর পরিচ্ছেদসমূহ

মোট হাদীস ২০ টি

হাদীস নং: ৪০১২
অধ্যায়ঃ শিষ্টাচার
অধ্যায়: শিষ্টাচার ও অন্যান্য আনুষঙ্গিক বিষয়।
লজ্জাশীলতা অবলম্বনের প্রতি অনুপ্রেরণা ও তার ফযীলত এবং অশ্লীলতা ও নিরর্থক কথা বলার প্রতি ভীতি প্রদর্শন
৪০১২. হযরত ইবনে উমর (রা) থেকে বর্ণিত। একবার নবী (ﷺ) এক আনসারীর নিকট দিয়ে পথ অতিক্রম করেন। লোকটি তখন তার ভাইকে লজ্জা সম্পর্কে উপদেশ দিচ্ছিল। রাসুলুল্লাহ্ (ﷺ) তাকে বলেন: তাকে ছেড়ে দাও (এমন কথা বলো না)। বস্তুত লজ্জা ঈমানের অংশ।
(বুখারী, মুসলিম, আবু দাউদ, নাসাঈ ও ইবনে মাজা বর্ণিত।)
كتاب الأدب
كتاب الْأَدَب وَغَيره
التَّرْغِيب فِي الْحيَاء وَمَا جَاءَ فِي فَضله والترهيب من الْفُحْش وَالْبذَاء
4012 - عَن ابْن عمر رَضِي الله عَنْهُمَا أَن رَسُول الله صلى الله عَلَيْهِ وَسلم مر على رجل من الْأَنْصَار وَهُوَ يعظ أَخَاهُ فِي الْحيَاء فَقَالَ رَسُول الله صلى الله عَلَيْهِ وَسلم دَعه فَإِن الْحيَاء من الْإِيمَان
رَوَاهُ البُخَارِيّ وَمُسلم وَأَبُو دَاوُد وَالتِّرْمِذِيّ وَالنَّسَائِيّ وَابْن مَاجَه
হাদীস নং: ৪০১৩
অধ্যায়ঃ শিষ্টাচার
অধ্যায়: শিষ্টাচার ও অন্যান্য আনুষঙ্গিক বিষয়।
লজ্জাশীলতা অবলম্বনের প্রতি অনুপ্রেরণা ও তার ফযীলত এবং অশ্লীলতা ও নিরর্থক কথা বলার প্রতি ভীতি প্রদর্শন
৪০১৩. হযরত ইমরান ইবনে হুসায়ন (রা) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন: রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) বলেছেন: লজ্জাশীলতা কেবল কল্যাণই বয়ে আনে।
(বুখারী ও মুসলিম বর্ণিত।)
كتاب الأدب
كتاب الْأَدَب وَغَيره
التَّرْغِيب فِي الْحيَاء وَمَا جَاءَ فِي فَضله والترهيب من الْفُحْش وَالْبذَاء
4013- وَعَن عمرَان بن حُصَيْن رَضِي الله عَنهُ قَالَ قَالَ رَسُول الله صلى الله عَلَيْهِ وَسلم الْحيَاء لَا يَأْتِي إِلَّا بِخَير

رَوَاهُ البُخَارِيّ وَمُسلم
হাদীস নং: ৪০১৪
অধ্যায়ঃ শিষ্টাচার
অধ্যায়: শিষ্টাচার ও অন্যান্য আনুষঙ্গিক বিষয়।
লজ্জাশীলতা অবলম্বনের প্রতি অনুপ্রেরণা ও তার ফযীলত এবং অশ্লীলতা ও নিরর্থক কথা বলার প্রতি ভীতি প্রদর্শন
৪০১৪. মুসলিমের অন্য বর্ণনায় আছেঃ “লজ্জাশীলতার সবটুকুতেই রয়েছে কল্যাণ।"
كتاب الأدب
كتاب الْأَدَب وَغَيره
التَّرْغِيب فِي الْحيَاء وَمَا جَاءَ فِي فَضله والترهيب من الْفُحْش وَالْبذَاء
4014- وَفِي رِوَايَة لمُسلم الْحيَاء خير كُله
হাদীস নং: ৪০১৫
অধ্যায়ঃ শিষ্টাচার
অধ্যায়: শিষ্টাচার ও অন্যান্য আনুষঙ্গিক বিষয়।
লজ্জাশীলতা অবলম্বনের প্রতি অনুপ্রেরণা ও তার ফযীলত এবং অশ্লীলতা ও নিরর্থক কথা বলার প্রতি ভীতি প্রদর্শন
৪০১৫. হযরত আবূ হুরায়রা (রা) থেকে বর্ণিত। রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেছেন: ঈমানের শাখা রয়েছে সত্তরের কিছু বেশী, অথবা তিনি বলেছেন: ঈমানের ষাটের অধিক শাখা রয়েছে। এর মধ্যে শ্রেষ্ঠতম হল এই কথা বলা: আল্লাহ্ ব্যতীত কোন ইলাহ নেই এবং নিম্নতমটি হলঃ লোকের চলার পথ থেকে কষ্টদায়ক জিনিস অপসারিত করা। আর লজ্জাশীলতা হচ্ছে ঈমানের একটি অন্যতম শাখা।
(বুখারী, মুসলিম, আবু দাউদ, তিরমিযী, নাসাঈ ও ইবনে মাজা বর্ণিত।)
كتاب الأدب
كتاب الْأَدَب وَغَيره
التَّرْغِيب فِي الْحيَاء وَمَا جَاءَ فِي فَضله والترهيب من الْفُحْش وَالْبذَاء
4015- وَعَن أبي هُرَيْرَة رَضِي الله عَنهُ أَن رَسُول الله صلى الله عَلَيْهِ وَسلم قَالَ الْإِيمَان بضع وَسَبْعُونَ أَو بضع وَسِتُّونَ شُعْبَة فأفضلها قَول لَا إِلَه إِلَّا الله وَأَدْنَاهَا إمَاطَة الْأَذَى عَن الطَّرِيق وَالْحيَاء شُعْبَة من الْإِيمَان

رَوَاهُ البُخَارِيّ وَمُسلم وَأَبُو دَاوُد وَالتِّرْمِذِيّ وَالنَّسَائِيّ وَابْن مَاجَه
হাদীস নং: ৪০১৬
অধ্যায়ঃ শিষ্টাচার
অধ্যায়: শিষ্টাচার ও অন্যান্য আনুষঙ্গিক বিষয়।
লজ্জাশীলতা অবলম্বনের প্রতি অনুপ্রেরণা ও তার ফযীলত এবং অশ্লীলতা ও নিরর্থক কথা বলার প্রতি ভীতি প্রদর্শন
৪০১৬. হযরত আবু হুরায়রা (রা) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেছেন: লজ্জাশীলতা ঈমানের একটি শাখা। ঈমান মানুষকে জান্নাতে প্রবেশ করায়। আর অশ্লীল কথা হচ্ছে দুশ্চরিত্রের একটি শাখা এবং দুশ্চরিত্র (মানুষকে) জাহান্নামে প্রবেশ করায়।
(আহমাদ বর্ণিত। তার বর্ণনাকারীদের বর্ণনা বিশুদ্ধ। তিরমিযী ও ইবনে হিব্বানের সহীহ গ্রন্থ। ইমাম তিরমিহী (র) বলেন: হাদীসটি হাসান-সহীহ।)
كتاب الأدب
كتاب الْأَدَب وَغَيره
التَّرْغِيب فِي الْحيَاء وَمَا جَاءَ فِي فَضله والترهيب من الْفُحْش وَالْبذَاء
4016- وَعَن أبي هُرَيْرَة رَضِي الله عَنهُ أَيْضا قَالَ قَالَ رَسُول الله صلى الله عَلَيْهِ وَسلم الْحيَاء من الْإِيمَان وَالْإِيمَان فِي الْجنَّة وَالْبذَاء من الْجفَاء والجفاء فِي النَّار

رَوَاهُ أَحْمد
وَرِجَاله رجال الصَّحِيح وَالتِّرْمِذِيّ وَابْن حبَان فِي صَحِيحه وَقَالَ التِّرْمِذِيّ حَدِيث حسن صَحِيح
হাদীস নং: ৪০১৭
অধ্যায়ঃ শিষ্টাচার
অধ্যায়: শিষ্টাচার ও অন্যান্য আনুষঙ্গিক বিষয়।
লজ্জাশীলতা অবলম্বনের প্রতি অনুপ্রেরণা ও তার ফযীলত এবং অশ্লীলতা ও নিরর্থক কথা বলার প্রতি ভীতি প্রদর্শন
৪০১৭. হযরত আবু উমামা (রা) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেছেন: লজ্জাশীলতা ও মিতভাষী হওয়া ঈমানের দু'টি শাখা এবং নিরর্থক কথা ও বাচালতা নিফাকের দু'টি শাখা।
(তিরমিযী (র) বর্ণিত। ইমাম তিরমিযী (র) বলেন: হাদীসটি হাসান-গরীব।
আমি একমাত্র আবূ গাসসান মুহাম্মাদ ইবনে মুতাররাফ থেকে এই হাদীসের বর্ণনাসূত্র জানি।
والعی মিতভাষী।
والبذاء কথার মধ্যে অশ্লীলতার সংমিশ্রণ।
البيان বাচালতা, উদাহরণ স্বরূপ বলা যায়: ঐ সকল বক্তা যারা বক্তৃতায় অতিরিক্ত কথা বলেন এবং আল্লাহর অসন্তুষ্টি সত্ত্বেও মানুষের প্রশংসা করেন।
ইমাম তাবারানী (র) অনুরূপ নিজ শব্দে বর্ণনা করেন যে, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেছেনঃ “লজ্জাশীলতা অবলম্বন ও মিতভাষী হওয়া ঈমানের অংশ। এ দু'টো (অবলম্বনকারীকে) জান্নাতের নিকটবর্তী করে দেয় এবং জাহান্নাম থেকে দূরে রাখে। অশ্লীলতা ও নিরর্থক কথা শয়তানের পক্ষ থেকে হয়। এ দু'টো (অবলম্বনকারীকে) জাহান্নামের নিকটবর্তী করে দেয় এবং জান্নাত থেকে দূরে রাখে।" এক বেদুঈন আবু উমামা (রা)-কে বললঃ আমরা তো কবিতার মাধ্যমে কথা বলি। মিতভাষী হওয়া নির্বুদ্ধিতার লক্ষণ। তিনি বলেন, আমি বলতে চাই যে. রাসুলুল্লাহ (ﷺ) বলেছেন: আর তুমি আমাকে দুর্গন্ধময় কবিতার কাছে নিয়ে যেতে চাচ্ছ।)
كتاب الأدب
كتاب الْأَدَب وَغَيره
التَّرْغِيب فِي الْحيَاء وَمَا جَاءَ فِي فَضله والترهيب من الْفُحْش وَالْبذَاء
4017- وَعَن أبي أُمَامَة رَضِي الله عَنهُ قَالَ قَالَ رَسُول الله صلى الله عَلَيْهِ وَسلم الْحيَاء والعي شعبتان من الْإِيمَان وَالْبذَاء وَالْبَيَان شعبتان من النِّفَاق

رَوَاهُ التِّرْمِذِيّ وَقَالَ حَدِيث حسن غَرِيب إِنَّمَا نعرفه من حَدِيث أبي غَسَّان مُحَمَّد بن مطرف
والعي قلَّة الْكَلَام
وَالْبذَاء هُوَ الْفُحْش فِي الْكَلَام
وَالْبَيَان هُوَ كَثْرَة الْكَلَام مثل هَؤُلَاءِ الخطباء الَّذين يخطبون فيتوسعون فِي الْكَلَام ويتفصحون فِيهِ من مدح النَّاس فِيمَا لَا يُرْضِي الله انْتهى
وَرَوَاهُ الطَّبَرَانِيّ بِنَحْوِهِ وَلَفظه قَالَ قَالَ رَسُول الله صلى الله عَلَيْهِ وَسلم الْحيَاء والعي من الْإِيمَان وهما يقربان من الْجنَّة ويباعدان من النَّار وَالْفُحْش وَالْبذَاء من الشَّيْطَان وهما يقربان من النَّار ويباعدان من الْجنَّة
فَقَالَ أَعْرَابِي لأبي أُمَامَة إِنَّا لنقول فِي الشّعْر العي من الْحمق فَقَالَ إِنِّي أَقُول قَالَ رَسُول الله صلى الله عَلَيْهِ وَسلم وتجيئني بشعرك المنتن
tahqiq

তাহকীক:

হাদীস নং: ৪০১৮
অধ্যায়ঃ শিষ্টাচার
অধ্যায়: শিষ্টাচার ও অন্যান্য আনুষঙ্গিক বিষয়।
লজ্জাশীলতা অবলম্বনের প্রতি অনুপ্রেরণা ও তার ফযীলত এবং অশ্লীলতা ও নিরর্থক কথা বলার প্রতি ভীতি প্রদর্শন
৪০১৮. হযরত কুররা ইবনে ইয়াস (রা) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমরা একদা নবী (ﷺ)-এর নিকট ছিলাম। আর তখন তাঁর কাছে লজ্জা সম্পর্কে আলোচনা করা হয়। সাহাবায়ে কিরাম বলেন: ইয়া রাসূলুল্লাহ্! লজ্জা কি দীনের অংশ? তখন রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেন: হাঁ, তার সবটুকুই দীন। এরপর রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেন: লজ্জা, ক্ষমা, স্বল্পভাষী হওয়া- যবানের মিতভাষী হওয়া, অন্তরের মিতভাষী হওয়া নয়। ক্ষমা ঈমানের অংশ। এগুলো পরকালে (সাওয়াব) বাড়াবে আর দুনিয়ায় (গুনাহ) কমাবে। যে বস্তু অখিরাতের কল্যাণ বাড়িয়ে দেয়, দুনিয়ার অংশ থেকে যা কমে যায়, তা তার চেয়ে বেশী। সম্পদের লোভ, কৃপণতা এবং অশ্লীল বাক্যালাপ মুনাফিকের লক্ষণ। এসব বস্তু দুনিয়ার কল্যাণ বাড়ায় এবং আখিরাতের কল্যাণ কমায়। আর যার আখিরাতের কল্যাণ কমে যায়, দুনিয়ার কল্যাণ থেকে তা অধিক মূল্যবান।
(তাবারানী সংক্ষেপে এবং আবূ শায়খ। কিতাবুস সাওয়াব গ্রন্থে নিজ শব্দে বর্ণনা করেন।)
كتاب الأدب
كتاب الْأَدَب وَغَيره
التَّرْغِيب فِي الْحيَاء وَمَا جَاءَ فِي فَضله والترهيب من الْفُحْش وَالْبذَاء
4018- وَرُوِيَ عَن قُرَّة بن إِيَاس رَضِي الله عَنهُ قَالَ كُنَّا مَعَ النَّبِي صلى الله عَلَيْهِ وَسلم فَذكر عِنْده الْحيَاء فَقَالُوا يَا رَسُول الله الْحيَاء من الدّين فَقَالَ رَسُول الله صلى الله عَلَيْهِ وَسلم بل هُوَ الدّين كُله ثمَّ قَالَ رَسُول الله صلى الله عَلَيْهِ وَسلم إِن الْحيَاء والعفاف والعي عي اللِّسَان لَا عي الْقلب والعفة من الْإِيمَان وإنهن يزدن فِي الْآخِرَة وينقصن من الدُّنْيَا وَمَا يزدن فِي الْآخِرَة أَكثر مِمَّا ينقصن من الدُّنْيَا وَإِن الشُّح وَالْعجز وَالْبذَاء من النِّفَاق وإنهن يزدن فِي الدُّنْيَا وينقصن من الْآخِرَة وَمَا ينقصن من الْآخِرَة أَكثر مِمَّا يزدن من الدُّنْيَا

رَوَاهُ الطَّبَرَانِيّ بِاخْتِصَار وَأَبُو الشَّيْخ فِي الثَّوَاب وَاللَّفْظ لَهُ
tahqiq

তাহকীক:

হাদীস নং: ৪০১৯
অধ্যায়ঃ শিষ্টাচার
অধ্যায়: শিষ্টাচার ও অন্যান্য আনুষঙ্গিক বিষয়।
লজ্জাশীলতা অবলম্বনের প্রতি অনুপ্রেরণা ও তার ফযীলত এবং অশ্লীলতা ও নিরর্থক কথা বলার প্রতি ভীতি প্রদর্শন
৪০১৯. হযরত আয়েশা (রা) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেছেনঃ হে আয়েশা! লজ্জা যদি কারো ভূষণ হয়, তবে সে একজন সৎলোক এবং অশ্লীলতা যদি কারো ভূষণ হয়, তবে সে একজন অসৎলোক।
(তাবারানীর সাগীর ও কাবীর গ্রন্থ এবং আবু শায়খ বর্ণিত। তাদের সনদ সূত্রে ইবনে লাহীয়া নামে একজন (বিতর্কিত) রাবী রয়েছেন এবং তাবারানীর অবশিষ্ট সনদসূত্র দলীলরূপে গ্রহণ করা যায়।)
كتاب الأدب
كتاب الْأَدَب وَغَيره
التَّرْغِيب فِي الْحيَاء وَمَا جَاءَ فِي فَضله والترهيب من الْفُحْش وَالْبذَاء
4019- وَعَن عَائِشَة رَضِي الله عَنْهَا قلت قَالَ رَسُول الله صلى الله عَلَيْهِ وَسلم يَا عَائِشَة لَو كَانَ الْحيَاء رجلا كَانَ رجلا صَالحا وَلَو كَانَ الْفُحْش رجلا لَكَانَ رجل سوء

رَوَاهُ الطَّبَرَانِيّ فِي الصَّغِير والأوسط وَأَبُو الشَّيْخ أَيْضا وَفِي إسنادهما ابْن لَهِيعَة وَبَقِيَّة رُوَاة الطَّبَرَانِيّ مُحْتَج بهم فِي الصَّحِيح
tahqiq

তাহকীক:

হাদীস নং: ৪০২০
অধ্যায়ঃ শিষ্টাচার
অধ্যায়: শিষ্টাচার ও অন্যান্য আনুষঙ্গিক বিষয়।
লজ্জাশীলতা অবলম্বনের প্রতি অনুপ্রেরণা ও তার ফযীলত এবং অশ্লীলতা ও নিরর্থক কথা বলার প্রতি ভীতি প্রদর্শন
৪০২০. হযরত যায়িদ ইবনে তালহা ইবনে রুকানা (র) হতে মারফু সনদে বর্ণিত। রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) বলেছেন, সকল ধর্মের মূলে রয়েছে সচ্চরিত্র এবং ইসলাম। আসলে সচ্চরিত্র হচ্ছে লজ্জাশীলতা।
(মালিক, ইবনে মাজা ও অন্যান্যগণ আনাস (রা) সূত্রে মারফুরূপে হাদীস বর্ণনা করেন। এতদ্ব্যতীত তিনি সালিহ ইবনে হাসান থেকে, তিনি মুহাম্মাদ ইবনে কা'ব কুরযী থেকে তিনি হযরত ইবনে আব্বাস (রা) থেকে বর্ণনা করেন। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেছেন, এরপর তিনি হাদীসটি উল্লেখ করেন।)
كتاب الأدب
كتاب الْأَدَب وَغَيره
التَّرْغِيب فِي الْحيَاء وَمَا جَاءَ فِي فَضله والترهيب من الْفُحْش وَالْبذَاء
4020- وَعَن زيد بن طَلْحَة بن ركَانَة يرفعهُ قَالَ رَسُول الله صلى الله عَلَيْهِ وَسلم إِن لكل دين خلقا وَخلق الْإِسْلَام الْحيَاء

رَوَاهُ مَالك وَرَوَاهُ ابْن مَاجَه وَغَيره عَن أنس مَرْفُوعا وَرَوَاهُ أَيْضا من طَرِيق صَالح بن حسان عَن مُحَمَّد بن كَعْب الْقرظِيّ عَن ابْن عَبَّاس قَالَ قَالَ رَسُول الله صلى الله عَلَيْهِ وَسلم فَذكره
tahqiq

তাহকীক:

হাদীস নং: ৪০২১
অধ্যায়ঃ শিষ্টাচার
অধ্যায়: শিষ্টাচার ও অন্যান্য আনুষঙ্গিক বিষয়।
লজ্জাশীলতা অবলম্বনের প্রতি অনুপ্রেরণা ও তার ফযীলত এবং অশ্লীলতা ও নিরর্থক কথা বলার প্রতি ভীতি প্রদর্শন
৪০২১. হযরত আনাস (রা) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) বলেছেন: কোন ব্যক্তির কোন বিষয়ে যদি অশ্লীলতা থাকে, তবে তা তার সম্মানহানী করে, আর কারো কোন বিষয়ে যদি লজ্জাশীলতা থাকে, তবে তাকে তা সুশোভিত করে।
(ইবনে মাজা ও তিরমিযী বর্ণিত। ইমাম তিরমিযী (র) বলেন, হাদীসটি হাসান গরীব। ইনশাআল্লাহ সামনের অনুচ্ছেদে অশ্লীলতার মন্দ প্রভাব সম্পর্কীয় হাদীস বর্ণিত হবে।)
كتاب الأدب
كتاب الْأَدَب وَغَيره
التَّرْغِيب فِي الْحيَاء وَمَا جَاءَ فِي فَضله والترهيب من الْفُحْش وَالْبذَاء
4021- وَعَن أنس رَضِي الله عَنهُ قَالَ قَالَ رَسُول الله صلى الله عَلَيْهِ وَسلم مَا كَانَ الْفُحْش فِي شَيْء إِلَّا شانه وَمَا كَانَ الْحيَاء فِي شَيْء إِلَّا زانه

رَوَاهُ ابْن مَاجَه وَالتِّرْمِذِيّ وَقَالَ حَدِيث حسن غَرِيب وَيَأْتِي فِي الْبَاب بعده أَحَادِيث فِي ذمّ الْفُحْش إِن شَاءَ الله تَعَالَى
হাদীস নং: ৪০২২
অধ্যায়ঃ শিষ্টাচার
অধ্যায়: শিষ্টাচার ও অন্যান্য আনুষঙ্গিক বিষয়।
লজ্জাশীলতা অবলম্বনের প্রতি অনুপ্রেরণা ও তার ফযীলত এবং অশ্লীলতা ও নিরর্থক কথা বলার প্রতি ভীতি প্রদর্শন
৪০২২. হযরত ইবনে উমর (রা) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) বলেছেন: লজ্জা ও ঈমান পরম্পর অঙ্গাঙ্গীভাবে জড়িত। যখন দু'টোর একটি চলে যায়, তখন অপরটিও চলে যায়।
(হাকিম বর্ণিত। ইমাম হাকিম (র) আরো বলেন: হাদীসটি বুখারী ও মুসলিমের শর্তানুযায়ী বিশুদ্ধ এবং তাবারানীর সূত্রে হযরত ইবনে আব্বাস (রা) থেকে বর্ণিত।)
كتاب الأدب
كتاب الْأَدَب وَغَيره
التَّرْغِيب فِي الْحيَاء وَمَا جَاءَ فِي فَضله والترهيب من الْفُحْش وَالْبذَاء
4022- وَعَن ابْن عمر رَضِي الله عَنْهُمَا قَالَ قَالَ رَسُول الله صلى الله عَلَيْهِ وَسلم الْحيَاء وَالْإِيمَان قرناء جَمِيعًا فَإِذا رفع أَحدهمَا رفع الآخر

رَوَاهُ الْحَاكِم وَقَالَ صَحِيح على شَرط الشَّيْخَيْنِ وَرَوَاهُ الطَّبَرَانِيّ فِي الْأَوْسَط من حَدِيث ابْن عَبَّاس
tahqiq

তাহকীক:

হাদীস নং: ৪০২৩
অধ্যায়ঃ শিষ্টাচার
অধ্যায়: শিষ্টাচার ও অন্যান্য আনুষঙ্গিক বিষয়।
লজ্জাশীলতা অবলম্বনের প্রতি অনুপ্রেরণা ও তার ফযীলত এবং অশ্লীলতা ও নিরর্থক কথা বলার প্রতি ভীতি প্রদর্শন
৪০২৩. হযরত মুজাম্মি ইবনে হারিসা ইবনে যায়িদ ইবনে হারিসা (রা) থেকে, তিনি তার চাচার সূত্রে রাসূলুল্লাহ (ﷺ) থেকে বর্ণনা করেন। তিনি বলেছেনঃ লজ্জা ঈমানের অংশ। কাজেই, যার লজ্জা নেই, তার ঈমানও নেই। (আবু শায়খ ইবনে হিব্বান তাঁর সাওয়াব গ্রন্থে বর্ণনা করেন। তার সনেদ বিশর ইবনে গালিব আসাদী নামে একজন অজ্ঞাতনামা রাবী রয়েছেন।)
كتاب الأدب
كتاب الْأَدَب وَغَيره
التَّرْغِيب فِي الْحيَاء وَمَا جَاءَ فِي فَضله والترهيب من الْفُحْش وَالْبذَاء
4023 - وَعَنْ مُجَمعِ بْنِ حَارِثَةَ بْنِ زَيْدِ بْنِ حَارِثَةَ عَنْ عَمِّهِ رَضِيَ اللهُ عَنْهُ عَنْ رَسُولِ اللَّهِ ﷺ قَالَ : الْحَيَاءُ شُعْبَةُ مِنَ الْإِيْمَانِ ، وَلَا إِيْمَانَ لِمَنْ لَا حَيَاءَ لَهُ -
رواه أبو الشيخ ابن حبان الثواب ، وفي إسناد بشر بن غالب الأسدى مجهول -
tahqiq

তাহকীক:

হাদীস নং: ৪০২৪
অধ্যায়ঃ শিষ্টাচার
অধ্যায়: শিষ্টাচার ও অন্যান্য আনুষঙ্গিক বিষয়।
লজ্জাশীলতা অবলম্বনের প্রতি অনুপ্রেরণা ও তার ফযীলত এবং অশ্লীলতা ও নিরর্থক কথা বলার প্রতি ভীতি প্রদর্শন
৪০২৪. হযরত আবদুল্লাহ ইবনে মাসউদ (রা) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেছেন: তোমরা যথাযথভাবে আল্লাহর ব্যাপারে লজ্জাশীলতা অবলম্বন করবে। তিনি বলেন, আমরা বললাম। ইয়া নবী আল্লাহ্! আমরা অবশ্যই লজ্জাশীলতা অবলম্বন করব এবং সমস্ত প্রশংসা আল্লাহর জন্য। তিনি (নবীﷺ) বলেন: ব্যাপারটি এরূপ নয় বরং লজ্জাশীলতার দাবি হল, যথাযথভাবে আল্লাহর ব্যাপারে লজ্জাবোধ করা। আর তা হলঃ মাথা (যাবতীয় খারাপ চিন্তা) থেকে মুক্ত রাখা, যবানের হিফাযত (হারামখানা হতে) পেট সংরক্ষণ এবং মৃত্যু ও কিয়ামতের কথা স্মরণ করা। যে ব্যক্তি আখিরাতে প্রত্যাশী, সে যেন দুনিয়ার বেশভূষা বর্জন করে। যে ব্যক্তি এ কাজ করবে, সেই যথাযথভাবে আল্লাহর ব্যাপারে লজ্জাশীলতার দাবি পূরণ করবে।
(তিরমিযী বর্ণিত। ইমাম তিরমিযী (র) বলেন: আবান ইবনে ইসহাক থেকে, তিনি সাব্বাহ ইবনে মুহাম্মাদ হতে, কেবলমাত্র এই সূত্রে আমি হাদীসটি জানি।
(হাফিয মুনযিরী (র) বলেন)। আবান ইবনে ইসহাক সম্পর্কে বিতর্ক রয়েছে এবং সাব্বাহ সমালোচিত ব্যক্তি। মুহাদ্দিসগণ তার সূত্রে হাদীসটি মারফু' হওয়ার ব্যাপার দ্বিমত পোষণ করেছেন। তারা বলেন: বিশুদ্ধ মতানুযায়ী হযরত ইবনে মাসউদ (রা) হাদীসটি মাওকূফ সনদে বর্ণিত। তবে ইমাম তাবারানী (র) মারফু সনদে হযরত আয়েশা (রা) থেকে বর্ণনা করেছেন। আল্লাহ সর্বজ্ঞ।)
كتاب الأدب
كتاب الْأَدَب وَغَيره
التَّرْغِيب فِي الْحيَاء وَمَا جَاءَ فِي فَضله والترهيب من الْفُحْش وَالْبذَاء
4024- وَعَن عبد الله بن مَسْعُود رَضِي الله عَنهُ قَالَ قَالَ رَسُول الله صلى الله عَلَيْهِ وَسلم اسْتَحْيوا من الله حق الْحيَاء
قَالَ قُلْنَا يَا نَبِي الله إِنَّا لنستحي وَالْحَمْد لله
قَالَ لَيْسَ ذَلِك وَلَكِن الاستحياء من الله حق الْحيَاء أَن تحفظ الرَّأْس وَمَا وعى وَتحفظ الْبَطن وَمَا حوى ولتذكر الْمَوْت والبلى وَمن أَرَادَ الْآخِرَة ترك زِينَة الدُّنْيَا فَمن فعل ذَلِك فقد استحيا من الله حق الْحيَاء

رَوَاهُ التِّرْمِذِيّ وَقَالَ هَذَا حَدِيث إِنَّمَا نعرفه من هَذَا الْوَجْه من حَدِيث أبان بن إِسْحَاق عَن الصَّباح بن مُحَمَّد
قَالَ الْحَافِظ أبان بن إِسْحَاق فِيهِ مقَال والصباح مُخْتَلف فِيهِ وَتكلم فِيهِ لرفعه هَذَا الحَدِيث وَقَالُوا الصَّوَاب عَن ابْن مَسْعُود مَوْقُوف وَرَوَاهُ الطَّبَرَانِيّ مَرْفُوعا من حَدِيث عَائِشَة وَالله أعلم
tahqiq

তাহকীক:

হাদীস নং: ৪০২৫
অধ্যায়ঃ শিষ্টাচার
অধ্যায়: শিষ্টাচার ও অন্যান্য আনুষঙ্গিক বিষয়।
লজ্জাশীলতা অবলম্বনের প্রতি অনুপ্রেরণা ও তার ফযীলত এবং অশ্লীলতা ও নিরর্থক কথা বলার প্রতি ভীতি প্রদর্শন
৪০২৫. হযরত ইবনে উমর (রা) থেকে বর্ণিত। নবী (ﷺ) বলেছেন, আল্লাহ্ যখন বান্দার ধ্বংস চান, তখন তার থেকে লজ্জা দূর করে দেন। ফলে, আল্লাহ অসন্তুষ্টির কাজ ছাড়া তার থেকে অন্য কোন কাজ পাওয়া যায় না। এরপর যখন সে আল্লাহর অসন্তুষ্টির মধ্যে ডুবে থাকে, তখন তার (অন্তর) থেকে আমানত কেড়ে নেয়া হয়। আর যখন তার (অন্তর) থেকে আমানত কেড়ে নেয়া হয়, তখন সে পুরোপুরি বিশ্বাসঘাতক হয়ে যায়। এরপর তার মধ্যে যখন বিশ্বাসঘাতই পাওয়া যায়, তখন তার অন্তর থেকে দয়া ছিনিয়ে নেয়া হয়। আর যখন তার (অন্তর) থেকে দয়া ছিনিয়ে নেয়া হয়, তখন সে আল্লাহর রহমত থেকে বঞ্চিত কাজে জড়িয়ে পড়ে। এরপর যখন সে বিতাড়িত (শয়তানের) কাজে নিমগ্ন থাকে, তখন তার ঘাড় থেকে ইসলামের রজ্জু ছিনিয়ে নেয়া হয়।
(ইবনে মাজা বর্ণিত।
الربقة চতুস্পদ জন্তু বাঁধার শক্ত রণি। রূপক অর্থেও ব্যবহার করা হয়।)
كتاب الأدب
كتاب الْأَدَب وَغَيره
التَّرْغِيب فِي الْحيَاء وَمَا جَاءَ فِي فَضله والترهيب من الْفُحْش وَالْبذَاء
4025- وَرُوِيَ عَن ابْن عمر رَضِي الله عَنْهُمَا أَن النَّبِي صلى الله عَلَيْهِ وَسلم قَالَ إِن الله عز وَجل إِذا أَرَادَ أَن يهْلك عبدا نزع مِنْهُ الْحيَاء فَإِذا نزع مِنْهُ الْحيَاء لم تلفه إِلَّا مقيتا فَإِذا لم تلفه إِلَّا مقيتا ممقتا نزعت مِنْهُ الْأَمَانَة فَإِذا نزعت مِنْهُ الْأَمَانَة لم تلفه إِلَّا خائنا مخونا فَإِذا لم تلفه إِلَّا خائنا مخونا نزعت مِنْهُ الرَّحْمَة فَإِذا نزعت مِنْهُ الرَّحْمَة لم تلفه إِلَّا رجيما ملعنا فَإِذا لم تلفه إِلَّا رجيما ملعنا نزعت مِنْهُ ربقة الْإِسْلَام

رَوَاهُ ابْن مَاجَه
الربقة بِكَسْر الرَّاء وَفتحهَا وَاحِدَة الربق وَهِي عرى فِي حَبل تشد بِهِ البهم وتستعار لغيره
tahqiq

তাহকীক:

হাদীস নং: ৪০২৬
অধ্যায়ঃ শিষ্টাচার
উত্তম চরিত্র ও তার ফযীলতের প্রতি অনুপ্রেরণা এবং অসচ্চরিত্র ও তার কুফলের প্রতি ভীতি প্রদর্শন
৪০২৬. হযরত নাওয়াস ইবনে সাম'আন (রা) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন: একদা আমি রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ)-কে পুণ্য ও পাপ সম্পর্কে জিজ্ঞেস করলাম। তিনি বললেনঃ পুণ্য হল, উত্তম স্বভাব আর পাপ হল ঐ বস্তু, যা তোমার অন্তরে সংশয় সৃষ্টি করে, যা তুমি মানুষের নিকট প্রকাশ করা অপসন্দ কর।
(মুসলিম ও তিরমিযী বর্ণিত।)
كتاب الأدب
التَّرْغِيب فِي الْخلق الْحسن وفضله والترهيب من الْخلق السيىء وذمه
4026- عَن النواس بن سمْعَان رَضِي الله عَنهُ قَالَ سَأَلت رَسُول الله صلى الله عَلَيْهِ وَسلم عَن الْبر وَالْإِثْم فَقَالَ الْبر حسن الْخلق وَالْإِثْم مَا حاك فِي صدرك وكرهت أَن يطلع عَلَيْهِ النَّاس

رَوَاهُ مُسلم وَالتِّرْمِذِيّ
হাদীস নং: ৪০২৭
অধ্যায়ঃ শিষ্টাচার
উত্তম চরিত্র ও তার ফযীলতের প্রতি অনুপ্রেরণা এবং অসচ্চরিত্র ও তার কুফলের প্রতি ভীতি প্রদর্শন
৪০২৭. হযরত আবদুল্লাহ্ ইবনে আমর ইবনে আস (রা) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন: রাসূলুল্লাহ (ﷺ) কখনো অশ্লীল বাক্যালাপ করতেন না। তিনি বলতেন: তোমাদের মধ্যে ঐ ব্যক্তি উত্তম, যে চরিত্রবান।
(বুখারী, মুসলিম ও তিরমিযী বর্ণিত।)
كتاب الأدب
التَّرْغِيب فِي الْخلق الْحسن وفضله والترهيب من الْخلق السيىء وذمه
4027- وَعَن عبد الله بن عَمْرو بن الْعَاصِ رَضِي الله عَنْهُمَا قَالَ لم يكن رَسُول الله صلى الله عَلَيْهِ وَسلم فَاحِشا وَلَا متفحشا وَكَانَ يَقُول إِن من خياركم أحسنكم أَخْلَاقًا

رَوَاهُ البُخَارِيّ وَمُسلم وَالتِّرْمِذِيّ
হাদীস নং: ৪০২৮
অধ্যায়ঃ শিষ্টাচার
উত্তম চরিত্র ও তার ফযীলতের প্রতি অনুপ্রেরণা এবং অসচ্চরিত্র ও তার কুফলের প্রতি ভীতি প্রদর্শন
৪০২৮. হযরত আবু দারদা (রা) থেকে বর্ণিত। নবী (ﷺ) বলেছেন: কিয়ামতের দিন মু'মিনের পাল্লায় সর্বাপেক্ষা ভারী যে বস্তু রাখা হবে, তা হল উত্তম চরিত্র, আর আল্লাহ্ অশ্লীল ভাষী ও নিরর্থক বাক্যালাপকারীকে ঘৃণা করেন।
(তিরমিযী, হিব্বানের সহীহ গ্রন্থে বর্ণিত। ইমাম তিরমিযী (র) বলেন: হাদীসটি হাসান-সহীহ। তবে তার অন্য বর্ণনায় আছে: চরিত্রবান ব্যক্তি সিয়াম পালনকারী ও সালাত আদায়কারীর মর্যাদায় পৌঁছবে। উক্ত অতিরিক্ত বর্ণনাটি বাযযার উত্তম সনদে উল্লেখ করেছেন। তবে তিনি الفاحش এবং البذى শব্দটি উল্লেখ করেন নি।
হযরত আবু দাউদ (র)-এর সংক্ষিপ্ত বর্ণনা এরূপঃ "পাল্লা ভারী করার ক্ষেত্রে উত্তম চরিত্র অপেক্ষা ভারী কোন বস্তু নেই।"
البذئ নিকৃষ্ট কথা বলা।)
كتاب الأدب
التَّرْغِيب فِي الْخلق الْحسن وفضله والترهيب من الْخلق السيىء وذمه
4028- وَعَن أبي الدَّرْدَاء رَضِي الله عَنهُ أَن النَّبِي صلى الله عَلَيْهِ وَسلم قَالَ مَا من شَيْء أثقل فِي ميزَان الْمُؤمن يَوْم الْقِيَامَة من خلق حسن وَإِن الله يبغض الْفَاحِش الْبَذِيء

رَوَاهُ التِّرْمِذِيّ وَابْن حبَان فِي صَحِيحه وَقَالَ التِّرْمِذِيّ حَدِيث حسن صَحِيح
وَزَاد فِي رِوَايَة لَهُ وَإِن صَاحب حسن الْخلق ليبلغ بِهِ دَرَجَة صَاحب الصَّوْم وَالصَّلَاة
رَوَاهُ بِهَذِهِ الزِّيَادَة الْبَزَّار بِإِسْنَاد جيد لم يذكر فِيهِ الْفَاحِش الْبَذِيء
وَرَوَاهُ أَبُو دَاوُد مُخْتَصرا قَالَ مَا من شَيْء أثقل فِي الْمِيزَان من حسن الْخلق
الْبَذِيء بِالذَّالِ الْمُعْجَمَة ممدودا هُوَ الْمُتَكَلّم بالفحش ورديء الْكَلَام
হাদীস নং: ৪০২৯
অধ্যায়ঃ শিষ্টাচার
উত্তম চরিত্র ও তার ফযীলতের প্রতি অনুপ্রেরণা এবং অসচ্চরিত্র ও তার কুফলের প্রতি ভীতি প্রদর্শন
৪০২৯. হযরত আবূ হুরায়রা (রা) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, একদা রাসুলুল্লাহ্ (ﷺ)-কে জিজ্ঞেস করা হল যে, কোন কাজ করে বেশীর ভাগ মানুষ জান্নাতী হবে? উত্তরে তিনি বলেন: আল্লাহ্ ভীতি ও সৎস্বভাব। কোন কাজ করে বেশীর ভাগ মানুষ জাহান্নামী হবে, এ বিষয়ে তাকে জিজ্ঞেস করা হলে, উত্তরে তিনি বলেন: মুখ এবং লজ্জাস্থান।
(তিরমিযী, ইবনে হিব্বানের সহীহ গ্রন্থে বর্ণিত। বায়হাকী যুহদ ও অন্যান্য অধ্যায়ে বর্ণনা করেন। ইমাম তিরমিযী (র) বলেনঃ হাদীসটি হাসান সহীহ-গরীব।)
كتاب الأدب
التَّرْغِيب فِي الْخلق الْحسن وفضله والترهيب من الْخلق السيىء وذمه
4029- وَعَن أبي هُرَيْرَة رَضِي الله عَنهُ قَالَ سُئِلَ رَسُول الله صلى الله عَلَيْهِ وَسلم عَن أَكثر مَا يدْخل النَّاس الْجنَّة فَقَالَ تقوى الله وَحسن الْخلق وَسُئِلَ عَن أَكثر مَا يدْخل النَّاس النَّار فَقَالَ الْفَم والفرج

رَوَاهُ التِّرْمِذِيّ وَابْن حبَان فِي صَحِيحه وَالْبَيْهَقِيّ فِي الزّهْد وَغَيره وَقَالَ التِّرْمِذِيّ حَدِيث حسن صَحِيح غَرِيب
হাদীস নং: ৪০৩০
অধ্যায়ঃ শিষ্টাচার
উত্তম চরিত্র ও তার ফযীলতের প্রতি অনুপ্রেরণা এবং অসচ্চরিত্র ও তার কুফলের প্রতি ভীতি প্রদর্শন
৪০৩০. হযরত আয়েশা (রা) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেছেন: যে ব্যক্তি উত্তম চরিত্রের অধিকারী এবং যে ব্যক্তি তার পরিবারের সাথে সদয় ব্যবহারকারী, সে সর্বাপেক্ষা পূর্ণ ঈমানদার।
(তিরমিযী ও হাকিম বর্ণিত। হাকিম বলেনঃ বুখারী, মুসলিমের শর্তানুযায়ী হাদীসটি বিশুদ্ধ। ইমাম তিরমিযী (র) বলেন: হাদীসটি হাসান। তবে আবু কিলাবা (র) হযরত আয়েশা (রা) থেকে শুনেছেন কিনা তা আমার জানা নেই।)
كتاب الأدب
التَّرْغِيب فِي الْخلق الْحسن وفضله والترهيب من الْخلق السيىء وذمه
4030- وَعَن عَائِشَة رَضِي الله عَنْهَا قَالَت قَالَ رَسُول الله صلى الله عَلَيْهِ وَسلم إِن من أكمل الْمُؤمنِينَ إِيمَانًا أحْسنهم خلقا وألطفهم بأَهْله

رَوَاهُ التِّرْمِذِيّ وَالْحَاكِم وَقَالَ صَحِيح على شَرطهمَا كَذَا قَالَ وَقَالَ التِّرْمِذِيّ حَدِيث حسن وَلَا نَعْرِف لأبي قلَابَة سَمَاعا من عَائِشَة
হাদীস নং: ৪০৩১
অধ্যায়ঃ শিষ্টাচার
উত্তম চরিত্র ও তার ফযীলতের প্রতি অনুপ্রেরণা এবং অসচ্চরিত্র ও তার কুফলের প্রতি ভীতি প্রদর্শন
৪০৩১. হযরত আয়েশা (রা) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি রাসূলুল্লাহ (ﷺ)-কে বলতে শুনেছিঃ নিশ্চয়ই চরিত্রবান মু'মিন ব্যক্তি (কিয়ামতের দিন) সিয়ামপালনকারী ও রাতে ইবাদতকারীর মর্যাদা লাভ করবে।
(আবূ দাউদ, ইবনে হিব্বানের সহীহ্ গ্রন্থ এবং হাকিম বর্ণিত। ইমাম হাকিম (র) বলেন: হাদীসটি বুখারী ও মুসলিমের শর্তানুযায়ী বিশুদ্ধ তবে তার শব্দমালা এরূপ: "নিশ্চয়ই মু'মিন ব্যক্তি উত্তম চরিত্রের কারণে (কিয়ামতের দিন) রাতে ইবাদতকারীর ও দিনে সিয়াম পালনকারীর মর্যাদা লাভ করবে। উক্ত হাদীসটি তাবারানী (র) হযরত আবু উমামা (রা) সূত্রে বর্ণনা করেন। তবে তার শব্দমালা এরূপ: "নিশ্চয়ই মু'মিন বান্দা উত্তম চরিত্রের কারণে ঐ ব্যক্তির মর্যাদা লাভ করবে, যে তীব্র পিপাসা নিয়ে দ্বি-প্রহরে ইবাদত করে"।)
كتاب الأدب
التَّرْغِيب فِي الْخلق الْحسن وفضله والترهيب من الْخلق السيىء وذمه
4031- وعنها رَضِي الله عَنْهَا قَالَت سَمِعت رَسُول الله صلى الله عَلَيْهِ وَسلم يَقُول إِن الْمُؤمن ليدرك بِحسن الْخلق دَرَجَة الصَّائِم والقائم

رَوَاهُ أَبُو دَاوُد وَابْن حبَان فِي صَحِيحه وَالْحَاكِم وَقَالَ صَحِيح على شَرطهمَا وَلَفظه إِن الْمُؤمن ليدرك بِحسن الْخلق دَرَجَات قَائِم اللَّيْل وصائم النَّهَار
رَوَاهُ الطَّبَرَانِيّ من حَدِيث أبي أُمَامَة إِلَّا أَنه قَالَ إِن الرجل ليدرك بِحسن خلقه دَرَجَة الْقَائِم بِاللَّيْلِ الظامىء بالهواجر