আত্-তারগীব ওয়াত্-তারহীব- ইমাম মুনযিরী রহঃ
الترغيب والترهيب للمنذري
২৫. অধ্যায়ঃ পুনরুত্থান ও কিয়ামাত - এর পরিচ্ছেদসমূহ
মোট হাদীস ২০ টি
হাদীস নং: ৫৪৪০
 অধ্যায়ঃ পুনরুত্থান ও কিয়ামাত
অধ্যায়: পুনরুত্থান ও কিয়ামত দিবসের ভয়ভীতি
হাফিয (র) বলেন, এ সম্পূর্ণ অধ্যায়টি "আত-তারগীব ওয়াত তারহীব' গ্রন্থে সুস্পষ্টভাবে নেই। এটা মূলত এমন কিছু ভীতিকর বিষয়াদির বর্ণনা, যা নেককারদের নিয়ামতের দিকে এবং বদকারদেরকে জাহান্নামের দিকে নিয়ে যায়। এর মধ্যে কিছু রয়েছে সুস্পষ্ট অথবা সুপষ্টের মত। তন্মধ্যে সামান্য কিছু প্রতিলিখন লিখিয়েই আমি সন্তুষ্ট হব। কেননা, এগুলোর অবগতির দ্বারা এ সম্পর্কে বর্ণিত হাদীস সমূহের প্রায় সবগুলোই সংক্ষিপ্তসারে আয়ত্ত হয়ে যাবে। কেবল কোন যাঈফ অথবা মুনকার হাদীসে বর্ণিত বিশেষ বিশেষ অংশটুকুই এ থেকে বাদ পড়ছে। কেননা, আমি যেভাবে এ কিতাবের অন্যান্য অধ্যায়ের সংশ্লিষ্ট হাদীসসমূহ স্ব স্ব অধ্যায় পুরোপুরিভাবে উল্লেখ করেছি। তদ্রূপ যদি আমি এ অধ্যায়ে ও তৎসংশ্লিষ্ট সকল হাদীসের অবতারণা করি, তবে তা প্রায় এ কিতাবের পূর্ববর্তী অংশটুকুর সমান হয়ে যাবে এবং নিষ্প্রয়োজনে এক বিরক্তিকর দীর্ঘ অধ্যায় রচনা করতে হবে। তবে আল্লাহ্ তা'আলাই সহায়ক। আমি এ অধ্যায়টিকে কয়েকটি পরিচ্ছেদে বিভক্ত করেছি।
পরিচ্ছেদ: শিঙায় ফুৎকার দেওয়া ও কিয়ামত কায়েম হওয়া
হাফিয (র) বলেন, এ সম্পূর্ণ অধ্যায়টি "আত-তারগীব ওয়াত তারহীব' গ্রন্থে সুস্পষ্টভাবে নেই। এটা মূলত এমন কিছু ভীতিকর বিষয়াদির বর্ণনা, যা নেককারদের নিয়ামতের দিকে এবং বদকারদেরকে জাহান্নামের দিকে নিয়ে যায়। এর মধ্যে কিছু রয়েছে সুস্পষ্ট অথবা সুপষ্টের মত। তন্মধ্যে সামান্য কিছু প্রতিলিখন লিখিয়েই আমি সন্তুষ্ট হব। কেননা, এগুলোর অবগতির দ্বারা এ সম্পর্কে বর্ণিত হাদীস সমূহের প্রায় সবগুলোই সংক্ষিপ্তসারে আয়ত্ত হয়ে যাবে। কেবল কোন যাঈফ অথবা মুনকার হাদীসে বর্ণিত বিশেষ বিশেষ অংশটুকুই এ থেকে বাদ পড়ছে। কেননা, আমি যেভাবে এ কিতাবের অন্যান্য অধ্যায়ের সংশ্লিষ্ট হাদীসসমূহ স্ব স্ব অধ্যায় পুরোপুরিভাবে উল্লেখ করেছি। তদ্রূপ যদি আমি এ অধ্যায়ে ও তৎসংশ্লিষ্ট সকল হাদীসের অবতারণা করি, তবে তা প্রায় এ কিতাবের পূর্ববর্তী অংশটুকুর সমান হয়ে যাবে এবং নিষ্প্রয়োজনে এক বিরক্তিকর দীর্ঘ অধ্যায় রচনা করতে হবে। তবে আল্লাহ্ তা'আলাই সহায়ক। আমি এ অধ্যায়টিকে কয়েকটি পরিচ্ছেদে বিভক্ত করেছি।
পরিচ্ছেদ: শিঙায় ফুৎকার দেওয়া ও কিয়ামত কায়েম হওয়া
৫৪৪০. হযরত আব্দুল্লাহ ইবন আমর ইবন আস (রা) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, একজন বেদুঈন নবী (ﷺ) এর কাছে এসে জিজ্ঞেস করল, 'শিঙা কি? তিনি বললেন, এটা একটা শিং, যাতে ফুঁৎকার দেওয়া হবে। 
(আবু দাউদ, তিরমিযী ও ইব্ন হিব্বান তাঁর 'সহীহ'-এ হাদীসটি বর্ণনা করেছেন। তিরমিযী হাদীসটিকে 'হাসান' বলে আখ্যায়িত করেছেন।)
(আবু দাউদ, তিরমিযী ও ইব্ন হিব্বান তাঁর 'সহীহ'-এ হাদীসটি বর্ণনা করেছেন। তিরমিযী হাদীসটিকে 'হাসান' বলে আখ্যায়িত করেছেন।)
كتاب البعث
كتاب الْبَعْث وأهوال يَوْم الْقِيَامَة
قَالَ الْحَافِظ وَهَذَا الْكتاب بجملته لَيْسَ صَرِيحًا فِي التَّرْغِيب والترهيب وَإِنَّمَا هُوَ حِكَايَة أُمُور مهولة تؤول بالسعداء إِلَى النَّعيم وبالأشقياء إِلَى الْجَحِيم وَفِي غضونها مَا هُوَ صَرِيح فِيهَا أَو كَالصَّرِيحِ فلنقتصر على إملاء نبذ مِنْهُ يحصل بِالْوُقُوفِ عَلَيْهَا الْإِحَاطَة بِجَمِيعِ مَعَاني مَا ورد فِيهِ على طرف من الْإِجْمَال وَلَا يخرج عَنْهَا إِلَّا زِيَادَة شَاذَّة فِي حَدِيث ضَعِيف أَو مُنكر إِذْ لَو استوعبنا مِنْهُ كَمَا استوعبنا من غَيره من أَبْوَاب هَذَا الْكتاب لَكَانَ ذَلِك قَرِيبا مِمَّا مضى ولخرجنا عَن غير الْمَقْصُود إِلَى الإطناب الممل وَالله الْمُسْتَعَان وجعلناه فصولا
فصل فِي النفخ فِي الصُّور وَقيام السَّاعَة
قَالَ الْحَافِظ وَهَذَا الْكتاب بجملته لَيْسَ صَرِيحًا فِي التَّرْغِيب والترهيب وَإِنَّمَا هُوَ حِكَايَة أُمُور مهولة تؤول بالسعداء إِلَى النَّعيم وبالأشقياء إِلَى الْجَحِيم وَفِي غضونها مَا هُوَ صَرِيح فِيهَا أَو كَالصَّرِيحِ فلنقتصر على إملاء نبذ مِنْهُ يحصل بِالْوُقُوفِ عَلَيْهَا الْإِحَاطَة بِجَمِيعِ مَعَاني مَا ورد فِيهِ على طرف من الْإِجْمَال وَلَا يخرج عَنْهَا إِلَّا زِيَادَة شَاذَّة فِي حَدِيث ضَعِيف أَو مُنكر إِذْ لَو استوعبنا مِنْهُ كَمَا استوعبنا من غَيره من أَبْوَاب هَذَا الْكتاب لَكَانَ ذَلِك قَرِيبا مِمَّا مضى ولخرجنا عَن غير الْمَقْصُود إِلَى الإطناب الممل وَالله الْمُسْتَعَان وجعلناه فصولا
فصل فِي النفخ فِي الصُّور وَقيام السَّاعَة
5440- عَن عبد الله بن عَمْرو بن العَاصِي رَضِي الله عَنْهُمَا قَالَ جَاءَ أَعْرَابِي إِلَى النَّبِي صلى الله عَلَيْهِ وَسلم فَقَالَ مَا الصُّور قَالَ قرن ينْفخ فِيهِ
رَوَاهُ أَبُو دَاوُد وَالتِّرْمِذِيّ وَحسنه وَابْن حبَان فِي صَحِيحه
رَوَاهُ أَبُو دَاوُد وَالتِّرْمِذِيّ وَحسنه وَابْن حبَان فِي صَحِيحه

তাহকীক:
হাদীস নং: ৫৪৪১
 অধ্যায়ঃ পুনরুত্থান ও কিয়ামাত
অধ্যায়: পুনরুত্থান ও কিয়ামত দিবসের ভয়ভীতি
পরিচ্ছেদ: শিঙায় ফুৎকার দেওয়া ও কিয়ামত কায়েম হওয়া
পরিচ্ছেদ: শিঙায় ফুৎকার দেওয়া ও কিয়ামত কায়েম হওয়া
৫৪৪১. হয়রত আবু সাঈদ (রা) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) বলেছেন, আমি কিভাবে স্বাচ্ছন্দবোধ করব, অথচ শিল্পাধারী ফিরিশতা শিল্পা মুখে দিয়ে নিয়েছে, এবং হুকুমের অপেক্ষায় তার কপাল ঝুঁকিয়ে দিয়েছে ও কান সজাগ রেখেছে। হুকুম পাওয়া মাত্রই সে ফুঁক দেবে। এ বিবরণটি যেন তাঁর সাহাবীগণের কাছে গুরুতর মনে হল, তাই তাঁরা আরয করলেন, ইয়া রাসুলাল্লাহ (ﷺ)। তা হলে আমরা কি করব? অথবা তাঁরা বলেছেন, আমরা কি বলব? তিনি বললেন, তোমরা বল: حَسْبُنَا اللَّهُ وَنِعْمَ الْوَكِيل وَعَلَى الله توكلت "আল্লাহই আমাদের জন্য যথেষ্ট, তিনি উত্তম তত্তাবধায়ক এবং আল্লাহর উপরই আমরা তাওয়াক্কুল করি।"আবার কখনো তিনি  على الله توكلنا এর পরিবর্তে  (توكلنا على الله)  বলেছেন।
(তিরমিযী হাদীসটি বর্ণনা করেছেন। হাদীসটির উল্লিখিত পাঠ তাঁরই বর্ণিত। তিনি বলেন, হাদীসটি হাসান। ইবন হিব্বানও তাঁর 'সহীহ'-এ হাদীসটি উল্লেখ করেছেন। আহমাদ যায়িদ ইব্ন আরকাম (রা)-এর রিওয়ায়েতে এবং ইবন আব্বাস (রা)-এর রিওয়ায়েতেও হাদীসটি বর্ণনা করেছেন।)
(তিরমিযী হাদীসটি বর্ণনা করেছেন। হাদীসটির উল্লিখিত পাঠ তাঁরই বর্ণিত। তিনি বলেন, হাদীসটি হাসান। ইবন হিব্বানও তাঁর 'সহীহ'-এ হাদীসটি উল্লেখ করেছেন। আহমাদ যায়িদ ইব্ন আরকাম (রা)-এর রিওয়ায়েতে এবং ইবন আব্বাস (রা)-এর রিওয়ায়েতেও হাদীসটি বর্ণনা করেছেন।)
كتاب البعث
كتاب الْبَعْث وأهوال يَوْم الْقِيَامَة
فصل فِي النفخ فِي الصُّور وَقيام السَّاعَة
فصل فِي النفخ فِي الصُّور وَقيام السَّاعَة
5441- وَعَن أبي سعيد رَضِي الله عَنهُ قَالَ قَالَ رَسُول الله صلى الله عَلَيْهِ وَسلم كَيفَ أنعم وَقد الْتَقم صَاحب الْقرن الْقرن وحنى جَبهته وأصغى سَمعه ينْتَظر أَن يُؤمر فينفخ فَكَأَن ذَلِك ثقل على أَصْحَابه فَقَالُوا فَكيف نَفْعل يَا رَسُول الله أَو نقُول قَالَ قُولُوا حَسبنَا الله وَنعم الْوَكِيل على الله توكلنا وَرُبمَا قَالَ توكلنا على الله
رَوَاهُ التِّرْمِذِيّ وَاللَّفْظ لَهُ وَقَالَ حَدِيث حسن وَابْن حبَان فِي صَحِيحه وَرَوَاهُ أَحْمد وَالطَّبَرَانِيّ من حَدِيث زيد بن أَرقم وَمن حَدِيث ابْن عَبَّاس أَيْضا
رَوَاهُ التِّرْمِذِيّ وَاللَّفْظ لَهُ وَقَالَ حَدِيث حسن وَابْن حبَان فِي صَحِيحه وَرَوَاهُ أَحْمد وَالطَّبَرَانِيّ من حَدِيث زيد بن أَرقم وَمن حَدِيث ابْن عَبَّاس أَيْضا

তাহকীক:
 হাদীসের ব্যাখ্যা
হাদীসের ব্যাখ্যাহাদীস নং: ৫৪৪২
 অধ্যায়ঃ পুনরুত্থান ও কিয়ামাত
অধ্যায়: পুনরুত্থান ও কিয়ামত দিবসের ভয়ভীতি
পরিচ্ছেদ: শিঙায় ফুৎকার দেওয়া ও কিয়ামত কায়েম হওয়া
পরিচ্ছেদ: শিঙায় ফুৎকার দেওয়া ও কিয়ামত কায়েম হওয়া
৫৪৪২. হয়রত আব্দুল্লাহ্ ইবন হারিস (র) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি আয়েশা (রা)-এর কাছে ছিলাম। তখন তাঁর কাছে আল আহবার (র) উপস্থিত ছিলেন। ইসরাফীলের আলোচনা চলল। তখন আয়েশা (রা) জিজ্ঞেস করলেন, হে কা'ব! আপনি আমাকে ইসরাফীল সম্পর্কে বলুন। কা'ব (র) বললেন তোমাদের কাছেই তো ইলম রয়েছে। তিনি বললেন, হ্যাঁ। তবে আপনি আমাকে বলুন। তিনি বললেন, তাঁর চারটি পাখা রয়েছে। দু'টি পাখা হাওয়ায় থাকে, একটি পাখা দ্বারা তিনি আবৃত হন এবং একটি পাখা তাঁর ঘাড়ের উপর রয়েছে। তাঁর কানে রয়েছে কলম। যখন ওহী অবতীর্ণ হয়, তখন কলম তা লিপিবদ্ধ করে তারপর ফিরিশতাগণ তা পড়েন। শিঙার ফিরিশতা তার এক হাঁটুতে বসে আছেন অপর হাঁটু দাঁড় করিয়ে রেখেছেন এবং পৃষ্ঠ ঝুঁকিয়ে শিঙা মুখে তুলে নিয়েছেন। তাঁকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে যে, যখন তিনি ইসরাফীলকে তাঁর পাখা গুটাতে দেখবেন তখন সে শিঙায় ফুঁক দেবেন। তারপর আয়েশা (রা) বললেন, আমি রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ)-কে এরপরই বলতে শুনেছি।
(তবারানী (র) 'আল-আওসাতে' হাসান সনদে হাদীসটি বর্ণনা করেছেন।)
(তবারানী (র) 'আল-আওসাতে' হাসান সনদে হাদীসটি বর্ণনা করেছেন।)
كتاب البعث
كتاب الْبَعْث وأهوال يَوْم الْقِيَامَة
فصل فِي النفخ فِي الصُّور وَقيام السَّاعَة
فصل فِي النفخ فِي الصُّور وَقيام السَّاعَة
5442- وَعَن عبد الله بن الْحَارِث قَالَ كنت عِنْد عَائِشَة رَضِي الله عَنْهَا وَعِنْدهَا كَعْب الْأَحْبَار فَذكر إسْرَافيل فَقَالَت عَائِشَة يَا كَعْب أَخْبرنِي عَن إسْرَافيل فَقَالَ كَعْب عنْدكُمْ الْعلم قَالَت أجل قَالَت فَأَخْبرنِي قَالَ لَهُ أَرْبَعَة أَجْنِحَة جَنَاحَانِ فِي الْهَوَاء وَجَنَاح قد تسربل بِهِ وَجَنَاح على كَاهِله والقلم على أُذُنه فَإِذا نزل الْوَحْي كتب الْقَلَم ثمَّ درست الْمَلَائِكَة وَملك الصُّور جاث على إِحْدَى رُكْبَتَيْهِ وَقد نصب الْأُخْرَى فالتقم الصُّور يحني ظَهره وَقد أَمر إِذا رأى إسْرَافيل قد ضم جنَاحه أَن ينْفخ فِي الصُّور فَقَالَت عَائِشَة هَكَذَا سَمِعت رَسُول الله صلى الله عَلَيْهِ وَسلم يَقُول
رَوَاهُ الطَّبَرَانِيّ فِي الْأَوْسَط بِإِسْنَاد حسن
رَوَاهُ الطَّبَرَانِيّ فِي الْأَوْسَط بِإِسْنَاد حسن

তাহকীক:
হাদীস নং: ৫৪৪৩
 অধ্যায়ঃ পুনরুত্থান ও কিয়ামাত
অধ্যায়: পুনরুত্থান ও কিয়ামত দিবসের ভয়ভীতি
পরিচ্ছেদ: শিঙায় ফুৎকার দেওয়া ও কিয়ামত কায়েম হওয়া
পরিচ্ছেদ: শিঙায় ফুৎকার দেওয়া ও কিয়ামত কায়েম হওয়া
৫৪৪৩. হযরত উকবা ইবন আমির (রা) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেছেন, কিয়ামতের পূর্বে তোমাদের সামনে পশ্চিম দিক থেকে ঢালের আকারে কালো মেঘ উদিত হবে। তা ক্রমে আকাশে উঠতে থাকবে এবং তা ছড়িয়ে পড়ে সমগ্র আকাশ ছেয়ে ফেলবে। তারপর এক আহ্বানকারী ডেকে বলবে, হে মানব সম্প্রদায়। আল্লাহর হুকুম (কিয়ামত) এসে গেছে। কাজেই তোমরা তার জন্যে তাড়াহুড়া করো না। রাসুলুল্লাহ (ﷺ) বলেন, সেই সত্তার কসম, যাঁর হাতে আমার প্রাণ রয়েছে, নিশ্চয় দু'জন মানুষ (বিক্রির জন্য) কাপড় ছড়িয়ে দেবে, কিন্তু তা ভাঁজ করে সারতে পারবে না। একজন মানুষ তার চৌবাচ্চা পাকা করবে, কিন্তু সেখান থেকে কখনও সে কিছু পান করতে পারবে না এবং এক ব্যক্তি তার উটনী থেকে দুধ দোহন করবে, কিন্তু সে তা কখনও পান করতে অবকাশ পাবে না।
(তবারানী (র) উৎকৃষ্ট সনদে হাদীসটি বর্ণনা করেছেন। এর সকল বর্ণনাকারী নির্ভরযোগ্য ও খ্যাতনামা রাবী।)
(তবারানী (র) উৎকৃষ্ট সনদে হাদীসটি বর্ণনা করেছেন। এর সকল বর্ণনাকারী নির্ভরযোগ্য ও খ্যাতনামা রাবী।)
كتاب البعث
كتاب الْبَعْث وأهوال يَوْم الْقِيَامَة
فصل فِي النفخ فِي الصُّور وَقيام السَّاعَة
فصل فِي النفخ فِي الصُّور وَقيام السَّاعَة
5443- وَعَن عقبَة بن عَامر رَضِي الله عَنهُ قَالَ قَالَ رَسُول الله صلى الله عَلَيْهِ وَسلم تطلع عَلَيْكُم قبل السَّاعَة سَحَابَة سَوْدَاء من قبل الْمغرب مثل الترس فَلَا تزَال ترْتَفع فِي السَّمَاء وتنتشر حَتَّى تملأ السَّمَاء ثمَّ يُنَادي مُنَاد يَا أَيهَا النَّاس أَتَى أَمر الله فَلَا تستعجلوه قَالَ رَسُول الله صلى الله عَلَيْهِ وَسلم فوالذي نَفسِي بِيَدِهِ إِن الرجلَيْن ينشران الثَّوْب فَلَا يطويانه وَإِن الرجل ليمدر حَوْضه فَلَا يسْقِي مِنْهُ شَيْئا أبدا وَالرجل يحلب نَاقَته فَلَا يشربه أبدا
رَوَاهُ الطَّبَرَانِيّ بِإِسْنَاد جيد رُوَاته ثِقَات مَشْهُورُونَ
مدر الْحَوْض أَي طينه لِئَلَّا يتسرب مِنْهُ المَاء
رَوَاهُ الطَّبَرَانِيّ بِإِسْنَاد جيد رُوَاته ثِقَات مَشْهُورُونَ
مدر الْحَوْض أَي طينه لِئَلَّا يتسرب مِنْهُ المَاء

তাহকীক:
হাদীস নং: ৫৪৪৪
 অধ্যায়ঃ পুনরুত্থান ও কিয়ামাত
অধ্যায়: পুনরুত্থান ও কিয়ামত দিবসের ভয়ভীতি
পরিচ্ছেদ: শিঙায় ফুৎকার দেওয়া ও কিয়ামত কায়েম হওয়া
পরিচ্ছেদ: শিঙায় ফুৎকার দেওয়া ও কিয়ামত কায়েম হওয়া
৫৪৪৪. হযরত আবু হুরায়রা (রা) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেছেন, কিয়ামত কায়েম হয়ে যাবে, অথচ তাদের দু'জনের মাঝে কাপড় থেকে যাবে, তারা তা বিক্রি করে সারতে পারবে না এবং ভাঁজও করে সারবে না, কিয়ামত কায়েম হয়ে যাবে, অথচ লোকটি তার উটনীর দুধ নিয়ে ফিরে গেছে, যা সে পান করতে পারবে না। কিয়ামত কায়েম হয়ে যাবে, অথচ লোকটি চৌবাচ্চা পাকা করে তা থেকে পানি পান
করতে পারবে না। কিয়ামত কায়েম হয়ে যাবে অথচ লোকটি তার মুখের কাছে গ্রাস তুলে নিয়েছে। কিন্তু তা গলাধঃকরণ করতে পারবে না।
(আহমাদ ও ইবন হিব্বান তাঁর 'সহীহ'-এ হাদীসটি বর্ণনা করেছেন।)
করতে পারবে না। কিয়ামত কায়েম হয়ে যাবে অথচ লোকটি তার মুখের কাছে গ্রাস তুলে নিয়েছে। কিন্তু তা গলাধঃকরণ করতে পারবে না।
(আহমাদ ও ইবন হিব্বান তাঁর 'সহীহ'-এ হাদীসটি বর্ণনা করেছেন।)
كتاب البعث
كتاب الْبَعْث وأهوال يَوْم الْقِيَامَة
فصل فِي النفخ فِي الصُّور وَقيام السَّاعَة
فصل فِي النفخ فِي الصُّور وَقيام السَّاعَة
5444- وَعَن أبي هُرَيْرَة رَضِي الله عَنهُ قَالَ قَالَ رَسُول الله صلى الله عَلَيْهِ وَسلم لتقوم السَّاعَة وثوبهما بَينهمَا لَا يبايعانه وَلَا يطويانه ولتقوم السَّاعَة وَقد انْصَرف بِلَبن لقحته لَا يطعمهُ ولتقوم السَّاعَة يلوط حَوْضه لَا يسْقِيه ولتقوم السَّاعَة وَقد رفع لقمته إِلَى فِيهِ لَا يطْعمهَا
رَوَاهُ أَحْمد وَابْن حبَان فِي صَحِيحه
لاطه بِالطَّاءِ الْمُهْملَة بِمَعْنى مدره
رَوَاهُ أَحْمد وَابْن حبَان فِي صَحِيحه
لاطه بِالطَّاءِ الْمُهْملَة بِمَعْنى مدره

তাহকীক:
হাদীস নং: ৫৪৪৫
 অধ্যায়ঃ পুনরুত্থান ও কিয়ামাত
অধ্যায়: পুনরুত্থান ও কিয়ামত দিবসের ভয়ভীতি
পরিচ্ছেদ: শিঙায় ফুৎকার দেওয়া ও কিয়ামত কায়েম হওয়া
পরিচ্ছেদ: শিঙায় ফুৎকার দেওয়া ও কিয়ামত কায়েম হওয়া
৫৪৪৫. হযরত আবু মারিয়্যা সূত্রে নবী (ﷺ) থেকে বর্ণিত। অথবা আব্দুল্লাহ ইব্ন আমর (রা) সূত্রে নবী (ﷺ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, শিঙায় ফুৎকার দানকারী দু'জন ফিরিশতা দ্বিতীয় আকাশে রয়েছে। তাদের দু'জনের মধ্যে একজনের মাথা পূর্ব দিগন্তে এবং তার দু'পা পশ্চিম দিগন্তে। অথবা বলেছেন, তাদের দু'জনের মধ্যে একজনের মাথা পশ্চিম দিগন্তে এবং তার দু'পা পূর্ব দিগন্তে অবস্থিত। তারা উভয়ে অপেক্ষা করছে যে কখন তাদেরকে শিঙায় ফুৎকার দিতে নির্দেশ দেওয়া হয়। তখন তারা ফুৎকার দেবে।
(আহমাদ উৎকৃষ্ট সনদে এরূপ ইরসাল ও ইত্তিসাল এর ব্যাপারে সন্দেহ সহকারে হাদীসটি বর্ণনা করেছেন।)
(আহমাদ উৎকৃষ্ট সনদে এরূপ ইরসাল ও ইত্তিসাল এর ব্যাপারে সন্দেহ সহকারে হাদীসটি বর্ণনা করেছেন।)
كتاب البعث
كتاب الْبَعْث وأهوال يَوْم الْقِيَامَة
فصل فِي النفخ فِي الصُّور وَقيام السَّاعَة
فصل فِي النفخ فِي الصُّور وَقيام السَّاعَة
5445- وَعَن أبي مرية عَن النَّبِي صلى الله عَلَيْهِ وَسلم أَو عَن عبد الله بن عَمْرو رَضِي الله عَنْهُمَا عَن النَّبِي صلى الله عَلَيْهِ وَسلم قَالَ النافخان فِي السَّمَاء الثَّانِيَة رَأس أَحدهمَا بالمشرق وَرجلَاهُ بالمغرب أَو قَالَ رَأس أَحدهمَا بالمغرب وَرجلَاهُ بالمشرق ينتظران مَتى يؤمران أَن ينفخا فِي الصُّور فينفخان
رَوَاهُ أَحْمد بِإِسْنَاد جيد هَكَذَا على الشَّك فِي إرْسَاله أَو اتِّصَاله
رَوَاهُ أَحْمد بِإِسْنَاد جيد هَكَذَا على الشَّك فِي إرْسَاله أَو اتِّصَاله

তাহকীক:
হাদীস নং: ৫৪৪৬
 অধ্যায়ঃ পুনরুত্থান ও কিয়ামাত
অধ্যায়: পুনরুত্থান ও কিয়ামত দিবসের ভয়ভীতি
পরিচ্ছেদ: শিঙায় ফুৎকার দেওয়া ও কিয়ামত কায়েম হওয়া
পরিচ্ছেদ: শিঙায় ফুৎকার দেওয়া ও কিয়ামত কায়েম হওয়া
৫৪৪৬. হযরত আবু হুরায়রা (রা) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেছেন, দুই ফুঁকের মাঝে চল্লিশের ব্যবধান থাকবে। জিজ্ঞেস করা হল, চল্লিশ দিন? আবু হুরায়রা (রা) বললেন, আমি অস্বীকার করলাম। জিজ্ঞেস করল, চল্লিশ মাস? তিনি বললেন, আমি অস্বীকার করলাম। জিজ্ঞেস করল, চল্লিশ বছর। তিনি বললেন, আমি অস্বীকার করলাম। তারপর আকাশ থেকে পানি বর্ষিত হবে। তখন মানুষ (কবর থেকে) এভাবে উঠবে, যেভাবে বৃক্ষলতা অংকুরিত হয়। অথচ কেবল একটি হাঁড় ব্যতীত মানুষের সবকিছু ধ্বংস হয়ে যাবে। সেটি হচ্ছে মেরুদণ্ডের নিম্নাংশ। এ থেকেই কিয়ামতের দিন সৃষ্ট জীবসমূহকে (পুনরায়) গঠন করা হবে।
(বুখারী ও মুসলিম (র) হাদীসটি বর্ণনা করেছেন।)
(বুখারী ও মুসলিম (র) হাদীসটি বর্ণনা করেছেন।)
كتاب البعث
كتاب الْبَعْث وأهوال يَوْم الْقِيَامَة
فصل فِي النفخ فِي الصُّور وَقيام السَّاعَة
فصل فِي النفخ فِي الصُّور وَقيام السَّاعَة
5446- وَعَن أبي هُرَيْرَة رَضِي الله عَنهُ قَالَ قَالَ رَسُول الله صلى الله عَلَيْهِ وَسلم مَا بَين النفختين أَرْبَعُونَ قيل أَرْبَعُونَ يَوْمًا قَالَ أَبُو هُرَيْرَة أَبيت قَالَ أَرْبَعُونَ شهرا قَالَ أَبيت
قَالَ أَرْبَعُونَ سنة قَالَ أَبيت
ثمَّ ينزل من السَّمَاء مَاء فينبتون كَمَا ينْبت البقل وَلَيْسَ من الْإِنْسَان شَيْء لَا يبْلى إِلَّا عظم وَاحِد وَهُوَ عجب الذَّنب مِنْهُ يركب الْخلق يَوْم الْقِيَامَة
رَوَاهُ البُخَارِيّ وَمُسلم
قَالَ أَرْبَعُونَ سنة قَالَ أَبيت
ثمَّ ينزل من السَّمَاء مَاء فينبتون كَمَا ينْبت البقل وَلَيْسَ من الْإِنْسَان شَيْء لَا يبْلى إِلَّا عظم وَاحِد وَهُوَ عجب الذَّنب مِنْهُ يركب الْخلق يَوْم الْقِيَامَة
رَوَاهُ البُخَارِيّ وَمُسلم

তাহকীক:
হাদীস নং: ৫৪৪৭
 অধ্যায়ঃ পুনরুত্থান ও কিয়ামাত
অধ্যায়: পুনরুত্থান ও কিয়ামত দিবসের ভয়ভীতি
পরিচ্ছেদ: শিঙায় ফুৎকার দেওয়া ও কিয়ামত কায়েম হওয়া
পরিচ্ছেদ: শিঙায় ফুৎকার দেওয়া ও কিয়ামত কায়েম হওয়া
৫৪৪৭. মুসলিমের অপর এক রিওয়ায়েতে আছে, তিনি বলেন, মানুষের দেহে এমন একটি হাঁড় রয়েছে, যাকে
মাটি কখনও খাবে না। তা থেকেই কিয়ামতের দিন সৃষ্ট জীবসমূহকে (পুনরায়) গঠন করা হবে। জিজ্ঞেস করা হল। ইয়া রাসুলাল্লাহ্ (ﷺ)। সে হাঁড় কোনটি? তিনি বললেন, মেরুদণ্ডের নিম্নাংশ।
(মালিক, আবু দাউদ ও নাসাঈ সংক্ষিপ্তাকারে হাদীসটি বর্ণনা করেছেন। তিনি বলেন, মেরুদণ্ডের নিম্নাংশের হাঁড় ব্যতীত আদম সন্তানের সবকিছুই মাটি খেয়ে ফেলবে। তা থেকেই তাকে (পুনরায়) সৃষ্টি করা হবে এবং গঠন করা হবে।)
মাটি কখনও খাবে না। তা থেকেই কিয়ামতের দিন সৃষ্ট জীবসমূহকে (পুনরায়) গঠন করা হবে। জিজ্ঞেস করা হল। ইয়া রাসুলাল্লাহ্ (ﷺ)। সে হাঁড় কোনটি? তিনি বললেন, মেরুদণ্ডের নিম্নাংশ।
(মালিক, আবু দাউদ ও নাসাঈ সংক্ষিপ্তাকারে হাদীসটি বর্ণনা করেছেন। তিনি বলেন, মেরুদণ্ডের নিম্নাংশের হাঁড় ব্যতীত আদম সন্তানের সবকিছুই মাটি খেয়ে ফেলবে। তা থেকেই তাকে (পুনরায়) সৃষ্টি করা হবে এবং গঠন করা হবে।)
كتاب البعث
كتاب الْبَعْث وأهوال يَوْم الْقِيَامَة
فصل فِي النفخ فِي الصُّور وَقيام السَّاعَة
فصل فِي النفخ فِي الصُّور وَقيام السَّاعَة
5447- وَلمُسلم قَالَ إِن فِي الْإِنْسَان عظما لَا تَأْكُله الأَرْض أبدا فِيهِ يركب الْخلق يَوْم الْقِيَامَة قَالُوا أَي عظم هُوَ يَا رَسُول الله قَالَ عجب الذَّنب
وَرَوَاهُ مَالك وَأَبُو دَاوُد وَالنَّسَائِيّ بِاخْتِصَار قَالَ كل ابْن آدم تَأْكُله الأَرْض إِلَّا عجب الذَّنب مِنْهُ خلق وَفِيه يركب
عجب الذَّنب بِفَتْح الْعين وَإِسْكَان الْجِيم بعْدهَا بَاء أَو مِيم وَهُوَ الْعظم الْحَدِيد الَّذِي يكون فِي أَسْفَل الصلب وأصل الذَّنب من ذَوَات الْأَرْبَع
وَرَوَاهُ مَالك وَأَبُو دَاوُد وَالنَّسَائِيّ بِاخْتِصَار قَالَ كل ابْن آدم تَأْكُله الأَرْض إِلَّا عجب الذَّنب مِنْهُ خلق وَفِيه يركب
عجب الذَّنب بِفَتْح الْعين وَإِسْكَان الْجِيم بعْدهَا بَاء أَو مِيم وَهُوَ الْعظم الْحَدِيد الَّذِي يكون فِي أَسْفَل الصلب وأصل الذَّنب من ذَوَات الْأَرْبَع

তাহকীক:
হাদীস নং: ৫৪৪৮
 অধ্যায়ঃ পুনরুত্থান ও কিয়ামাত
অধ্যায়: পুনরুত্থান ও কিয়ামত দিবসের ভয়ভীতি
পরিচ্ছেদ: শিঙায় ফুৎকার দেওয়া ও কিয়ামত কায়েম হওয়া
পরিচ্ছেদ: শিঙায় ফুৎকার দেওয়া ও কিয়ামত কায়েম হওয়া
৫৪৪৮. হযরত আবু সাঈদ (রা) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেছেন, কেবল মেরুদণ্ডের নিম্নাংশের হাঁড় ব্যতীত মানুষের সবকিছুই মাটি খেয়ে ফেলে। জিজ্ঞেস করা হল, ইয়া রাসূলাল্লাহ। সে হাঁড় কোনটি? তিনি বললেন, সরষের বীজের মত। তা থেকেই তোমাদেরকে পুনর্জীবিত করা হবে।
(আহমাদ ও ইবন হিব্বান (র) স্বীয় সহীহ্-এ দাররাজের সনদে আবুল হায়সাম থেকে হাদীসটি বর্ণনা করেছেন।)
(আহমাদ ও ইবন হিব্বান (র) স্বীয় সহীহ্-এ দাররাজের সনদে আবুল হায়সাম থেকে হাদীসটি বর্ণনা করেছেন।)
كتاب البعث
كتاب الْبَعْث وأهوال يَوْم الْقِيَامَة
فصل فِي النفخ فِي الصُّور وَقيام السَّاعَة
فصل فِي النفخ فِي الصُّور وَقيام السَّاعَة
5448- وَعَن أبي سعيد رَضِي الله عَنهُ قَالَ قَالَ رَسُول الله صلى الله عَلَيْهِ وَسلم يَأْكُل التُّرَاب كل شَيْء من الْإِنْسَان إِلَّا عجب ذَنبه قيل وَمَا هُوَ يَا رَسُول الله قَالَ مثل حَبَّة خَرْدَل مِنْهُ تنشؤون
رَوَاهُ أَحْمد وَابْن حبَان فِي صَحِيحه من طَرِيق دراج عَن أبي الْهَيْثَم
رَوَاهُ أَحْمد وَابْن حبَان فِي صَحِيحه من طَرِيق دراج عَن أبي الْهَيْثَم

তাহকীক:
হাদীস নং: ৫৪৪৯
 অধ্যায়ঃ পুনরুত্থান ও কিয়ামাত
অধ্যায়: পুনরুত্থান ও কিয়ামত দিবসের ভয়ভীতি
পরিচ্ছেদ: শিঙায় ফুৎকার দেওয়া ও কিয়ামত কায়েম হওয়া
পরিচ্ছেদ: শিঙায় ফুৎকার দেওয়া ও কিয়ামত কায়েম হওয়া
৫৪৪৯. তাঁরই থেকে বর্ণিত আছে যে, যখন তাঁর মৃত্যুর সময় উপস্থিত হল তখন তিনি নতুন কাপড় আনতে বললেন এবং তা পরিধান করলেন। এরপর বললেন, আমি রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ)-কে বলতে শুনেছি, মৃত ব্যক্তিকে তার সেই কাপড়ে পুনরুত্থিত করা হবে, যাতে তার মৃত্যু হয়।
(আবু দাউদ ও ইবন হিব্বান তাঁর 'সহীহ' এ হাদীসটি বর্ণনা করেছেন। এ হাদীসের সনদে ইয়াহইয়া ইব্ন আইউব গাফিকী মিসরী নামক এক রাবী রয়েছেন। বুখারী, মুসলিম প্রমুখ তাঁর রিওয়ায়েত গ্রহণ করেছেন। তবে তাঁর অনেক মুনকার হাদীসও রয়েছে। আবু হাতিম (র) বলেন, তাঁর রিওয়ায়েত গ্রহণ করা যায় না। আহমাদ (র) বলেন, তাঁর স্মৃতিশক্তি দুর্বল। নাসাঈ (র) বলেন, তিনি শক্তিশালী রাবী নন। আমি যে সব অভিধানবিদের কথা শুনেছি, তাদের প্রত্যেকেই বলেছেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ)-এর বাণী: يُبْعث في شبابه ى التي قبض فيها, এর অর্থ যে কাজ করা অবস্থায় সে মৃত্যুবরণ করে সে কাজে রত অবস্থায় তাকে পুনরুত্থিত করা হবে। হিরাবী বলেন, "এটা অপর এক হাদীস "বান্দা যে অবস্থায় মৃত্যুবরণ করে সে অবস্থায়ই তাকে পুনরুত্থিত করা হবে।" -এরই অর্থবোধক। তিনি বলেন, যারা এ হাদীসে কাফনের অর্থ করেছেন, তাদের উক্তি গ্রহণযোগ্য নয়। কেননা, মৃত ব্যক্তিকে মৃত্যুর পরেই কাফন পরানো হয়।"
[হাফিয (র) বলেনঃ], হাদীস বর্ণনাকারী আবু সাঈদ (রা)-এর কাজ থেকে বুঝা যায় যে, হাদীসটি তার বার্ষিক অর্থেই রয়েছে এবং মৃত ব্যক্তিকে সেই কাপড় পরিহিত অবস্থায় পুনরুত্থিত করা হবে, যা পরিহিত অবস্থায় তার মৃত্যু হয়েছে। কিন্তু সহীহ্ হাদীসের গ্রন্থাবলী ও অন্যান্য গ্রন্থে আছে যে, মানুষ উলঙ্গ অবস্থায় পুনরুত্থিত হবে। পরবর্তী পরিচ্ছেদে ইনশাআল্লাহ তা উল্লিখিত হবে।)
(আবু দাউদ ও ইবন হিব্বান তাঁর 'সহীহ' এ হাদীসটি বর্ণনা করেছেন। এ হাদীসের সনদে ইয়াহইয়া ইব্ন আইউব গাফিকী মিসরী নামক এক রাবী রয়েছেন। বুখারী, মুসলিম প্রমুখ তাঁর রিওয়ায়েত গ্রহণ করেছেন। তবে তাঁর অনেক মুনকার হাদীসও রয়েছে। আবু হাতিম (র) বলেন, তাঁর রিওয়ায়েত গ্রহণ করা যায় না। আহমাদ (র) বলেন, তাঁর স্মৃতিশক্তি দুর্বল। নাসাঈ (র) বলেন, তিনি শক্তিশালী রাবী নন। আমি যে সব অভিধানবিদের কথা শুনেছি, তাদের প্রত্যেকেই বলেছেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ)-এর বাণী: يُبْعث في شبابه ى التي قبض فيها, এর অর্থ যে কাজ করা অবস্থায় সে মৃত্যুবরণ করে সে কাজে রত অবস্থায় তাকে পুনরুত্থিত করা হবে। হিরাবী বলেন, "এটা অপর এক হাদীস "বান্দা যে অবস্থায় মৃত্যুবরণ করে সে অবস্থায়ই তাকে পুনরুত্থিত করা হবে।" -এরই অর্থবোধক। তিনি বলেন, যারা এ হাদীসে কাফনের অর্থ করেছেন, তাদের উক্তি গ্রহণযোগ্য নয়। কেননা, মৃত ব্যক্তিকে মৃত্যুর পরেই কাফন পরানো হয়।"
[হাফিয (র) বলেনঃ], হাদীস বর্ণনাকারী আবু সাঈদ (রা)-এর কাজ থেকে বুঝা যায় যে, হাদীসটি তার বার্ষিক অর্থেই রয়েছে এবং মৃত ব্যক্তিকে সেই কাপড় পরিহিত অবস্থায় পুনরুত্থিত করা হবে, যা পরিহিত অবস্থায় তার মৃত্যু হয়েছে। কিন্তু সহীহ্ হাদীসের গ্রন্থাবলী ও অন্যান্য গ্রন্থে আছে যে, মানুষ উলঙ্গ অবস্থায় পুনরুত্থিত হবে। পরবর্তী পরিচ্ছেদে ইনশাআল্লাহ তা উল্লিখিত হবে।)
كتاب البعث
كتاب الْبَعْث وأهوال يَوْم الْقِيَامَة
فصل فِي النفخ فِي الصُّور وَقيام السَّاعَة
فصل فِي النفخ فِي الصُّور وَقيام السَّاعَة
5449- وَعنهُ رَضِي الله عَنهُ أَنه لما حَضَره الْمَوْت دَعَا بِثِيَاب جدد فلبسها ثمَّ قَالَ سَمِعت رَسُول الله صلى الله عَلَيْهِ وَسلم يَقُول الْمَيِّت يبْعَث فِي ثِيَابه الَّتِي يَمُوت فِيهَا
رَوَاهُ أَبُو دَاوُد وَابْن حبَان فِي صَحِيحه وَفِي إِسْنَاده يحيى بن أَيُّوب وَهُوَ الغافقي الْمصْرِيّ احْتج بِهِ البُخَارِيّ وَمُسلم وَغَيرهمَا وَله مَنَاكِير وَقَالَ أَبُو حَاتِم لَا يحْتَج بِهِ وَقَالَ أَحْمد سيىء الْحِفْظ وَقَالَ النَّسَائِيّ لَيْسَ بِالْقَوِيّ وَقد قَالَ كل من وقفت على كَلَامه من أهل اللُّغَة إِن المُرَاد بقوله يبْعَث فِي ثِيَابه الَّتِي قبض فِيهَا أَي فِي أَعماله قَالَ الْهَرَوِيّ وَهَذَا كحديثه
الآخر يبْعَث العَبْد على مَا مَاتَ عَلَيْهِ قَالَ وَلَيْسَ قَول من ذهب إِلَى الأكفان بِشَيْء لِأَن الْمَيِّت إِنَّمَا يُكفن بعد الْمَوْت انْتهى
قَالَ الْحَافِظ وَفعل أبي سعيد رَاوِي الحَدِيث يدل على إجرائه على ظَاهره وَأَن الْمَيِّت يبْعَث فِي ثِيَابه الَّتِي قبض فِيهَا وَفِي الصِّحَاح وَغَيرهَا أَن النَّاس يبعثون عُرَاة كَمَا سَيَأْتِي فِي الْفَصْل بعده إِن شَاءَ الله فَالله سُبْحَانَهُ أعلم
فصل فِي الْحَشْر وَغَيره
رَوَاهُ أَبُو دَاوُد وَابْن حبَان فِي صَحِيحه وَفِي إِسْنَاده يحيى بن أَيُّوب وَهُوَ الغافقي الْمصْرِيّ احْتج بِهِ البُخَارِيّ وَمُسلم وَغَيرهمَا وَله مَنَاكِير وَقَالَ أَبُو حَاتِم لَا يحْتَج بِهِ وَقَالَ أَحْمد سيىء الْحِفْظ وَقَالَ النَّسَائِيّ لَيْسَ بِالْقَوِيّ وَقد قَالَ كل من وقفت على كَلَامه من أهل اللُّغَة إِن المُرَاد بقوله يبْعَث فِي ثِيَابه الَّتِي قبض فِيهَا أَي فِي أَعماله قَالَ الْهَرَوِيّ وَهَذَا كحديثه
الآخر يبْعَث العَبْد على مَا مَاتَ عَلَيْهِ قَالَ وَلَيْسَ قَول من ذهب إِلَى الأكفان بِشَيْء لِأَن الْمَيِّت إِنَّمَا يُكفن بعد الْمَوْت انْتهى
قَالَ الْحَافِظ وَفعل أبي سعيد رَاوِي الحَدِيث يدل على إجرائه على ظَاهره وَأَن الْمَيِّت يبْعَث فِي ثِيَابه الَّتِي قبض فِيهَا وَفِي الصِّحَاح وَغَيرهَا أَن النَّاس يبعثون عُرَاة كَمَا سَيَأْتِي فِي الْفَصْل بعده إِن شَاءَ الله فَالله سُبْحَانَهُ أعلم
فصل فِي الْحَشْر وَغَيره

তাহকীক:
 হাদীসের ব্যাখ্যা
হাদীসের ব্যাখ্যাহাদীস নং: ৫৪৫০
 অধ্যায়ঃ পুনরুত্থান ও কিয়ামাত
পরিচ্ছেদ: হাশর ইত্যাদির বর্ণনা
৫৪৫০. হযরত ইবন আব্বাস (রা) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি রাসূলুল্লাহ (ﷺ)-কে মিম্বরের উপর খুতবা দিতে গিয়ে বলতে শুনেছি, নিশ্চয় তোমরা খালি পায়ে, উলঙ্গ ও খতনাহীন অবস্থায় আল্লাহর সাথে সাক্ষাৎ করবে।
অপর এক রিওয়ায়েতে বেশি আছে, "পায়ে হাঁটা অবস্থায়।"
অপর এক রিওয়ায়েতে বেশি আছে, "পায়ে হাঁটা অবস্থায়।"
كتاب البعث
فصل فِي الْحَشْر وَغَيره
5450 - عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ رَضِيَ اللهُ عَنْهُمَا قَالَ : سَمِعْتُ رَسولُ اللهِ ﷺ يَخْطُبُ عَلَى الْمِنْبر يَقُولُ إِنَّكُمْ مُلاقُوا الله حفًا عُرَاةً غُرلاً زاد في رواية : مُشَاةٌ.

তাহকীক:
হাদীস নং: ৫৪৫১
 অধ্যায়ঃ পুনরুত্থান ও কিয়ামাত
পরিচ্ছেদ: হাশর ইত্যাদির বর্ণনা
৫৪৫১. অপর এক রিওয়ায়েতে আছে, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) একদা আমাদের উদ্দেশ্যে ওয়ায করতে দাঁড়ালেন। তখন তিনি বললেন, হে মানব সম্প্রদায়। তোমরা খালি পায়ে, উলঙ্গ ও খতনাহীন অবস্থায় আল্লাহর كما بدأنا أول خَلْقٍ نُعِيدُهُ وَعْدًا عَلَيْنَا إِنَّا كُنَّا فَاعَلَيْنَ জগতের মধ্যকার সর্বপ্রথম যে মানুষটিকে কাপড় পরানো হবে, তিনি হলেন ইব্রাহীম (আ)। জেনে রাখ, আমার উম্মাতের মধ্য থেকে কিছু লোককে (কিয়ামতের দিন) উপস্থিত করা হবে। তারপর তাদেরকে ধরে জাহান্নামের দিকে নিয়ে যাওয়া হবে। তখন আমি বলব, হে আমার প্রতিপালক। এরা আমার ঘনিষ্ঠ লোক। তিনি বলবেন, নিশ্চয় আপনি জানেন না, আপনার (মৃত্যুর) পর তারা কি কাণ্ডই না ঘটিয়েছে। তখন আমি এভাবে বলব, যেভাবে নেকবান্দা (ঈসা আ) বলেছেন:
مَا دُمْتُ فِيهِمْ فَلَمَّا تَوَفَّيْتَنِي كُنْتَ أَنْتَ الرَّقِيبَ عَلَيْهِمْ وَأَنْتَ عَلَى كُلِّ شَيْءٍ شَهِيدٌ (117) إِنْ تُعَذِّبْهُمْ فَإِنَّهُمْ عِبَادُكَ وَإِنْ تَغْفِرْ لَهُمْ فَإِنَّكَ أَنْتَ الْعَزِيزُ الْحَكِيمُ (118)
"আমি যতদিন তাদের মাঝে ছিলাম, ততদিন আমি তাদের ব্যাপারে সাক্ষী ছিলাম। অতঃপর যখন আপনি আমাকে তুলে নিয়েছেন, তখন আপনিই ছিলেন তাদের তত্ত্বাবধায়ক আপনি তো সবকিছুর ব্যাপারে সাক্ষী। আপনি যদি তাদেরকে শাস্তি দেন, তবে তারা তো আপনারই বান্দা। আর যদি আপনি তাদেরকে ক্ষমা করে দেন তবে আপনি তো পরাক্রমশালী ও প্রজ্ঞাময়।" (৫: ১১৭-১১৮) তিনি বলেন, তখন আমাকে বলা হবে, যখন থেকে আপনি তাদেরকে ছেড়ে এসেছেন, তখন থেকে তারা মুরতাদ হয়ে উল্টো পায়ে অর্থাৎ পিছন পানে হাটতে থাকে।
অপর এক রিওয়ায়েতে এটুকু বেশি আছে, তখন আমি বলব, দূর হ। দূর হ।
(বুখারী ও মুসলিম হাদীসটি বর্ণনা করেছেন। তিরমিযী এবং নাসাঈ ও অনুরূপ হাদীস বর্ণনা করেছেন।)
مَا دُمْتُ فِيهِمْ فَلَمَّا تَوَفَّيْتَنِي كُنْتَ أَنْتَ الرَّقِيبَ عَلَيْهِمْ وَأَنْتَ عَلَى كُلِّ شَيْءٍ شَهِيدٌ (117) إِنْ تُعَذِّبْهُمْ فَإِنَّهُمْ عِبَادُكَ وَإِنْ تَغْفِرْ لَهُمْ فَإِنَّكَ أَنْتَ الْعَزِيزُ الْحَكِيمُ (118)
"আমি যতদিন তাদের মাঝে ছিলাম, ততদিন আমি তাদের ব্যাপারে সাক্ষী ছিলাম। অতঃপর যখন আপনি আমাকে তুলে নিয়েছেন, তখন আপনিই ছিলেন তাদের তত্ত্বাবধায়ক আপনি তো সবকিছুর ব্যাপারে সাক্ষী। আপনি যদি তাদেরকে শাস্তি দেন, তবে তারা তো আপনারই বান্দা। আর যদি আপনি তাদেরকে ক্ষমা করে দেন তবে আপনি তো পরাক্রমশালী ও প্রজ্ঞাময়।" (৫: ১১৭-১১৮) তিনি বলেন, তখন আমাকে বলা হবে, যখন থেকে আপনি তাদেরকে ছেড়ে এসেছেন, তখন থেকে তারা মুরতাদ হয়ে উল্টো পায়ে অর্থাৎ পিছন পানে হাটতে থাকে।
অপর এক রিওয়ায়েতে এটুকু বেশি আছে, তখন আমি বলব, দূর হ। দূর হ।
(বুখারী ও মুসলিম হাদীসটি বর্ণনা করেছেন। তিরমিযী এবং নাসাঈ ও অনুরূপ হাদীস বর্ণনা করেছেন।)
كتاب البعث
فصل فِي الْحَشْر وَغَيره
5451- وَفِي رِوَايَة قَالَ قَامَ فِينَا رَسُول الله صلى الله عَلَيْهِ وَسلم بموعظة فَقَالَ يَا أَيهَا النَّاس إِنَّكُم مَحْشُورُونَ إِلَى الله حُفَاة عُرَاة غرلًا كَمَا بدأنا أول خلق نعيده وَعدا علينا إِنَّا كُنَّا فاعلين الْأَنْبِيَاء 401
أَلا وَإِن أول الْخَلَائق يكسى إِبْرَاهِيم عَلَيْهِ السَّلَام أَلا وَإنَّهُ سيجاء بِرِجَال من أمتِي فَيُؤْخَذ بهم ذَات الشمَال فَأَقُول يَا رب أَصْحَابِي فَيَقُول إِنَّك لَا تَدْرِي مَا أَحْدَثُوا بعْدك فَأَقُول كَمَا قَالَ العَبْد الصَّالح وَكنت عَلَيْهِم شَهِيدا مَا دمت فيهم إِلَى قَوْله الْعَزِيز الْحَكِيم الْمَائِدَة 711 811 قَالَ فَيُقَال لي إِنَّهُم لم يزَالُوا مرتدين على أَعْقَابهم مُنْذُ فَارَقْتهمْ
زَاد فِي رِوَايَة فَأَقُول سحقا سحقا
رَوَاهُ البُخَارِيّ وَمُسلم وَرَوَاهُ التِّرْمِذِيّ وَالنَّسَائِيّ بِنَحْوِهِ
الغرل بِضَم الْغَيْن الْمُعْجَمَة وَإِسْكَان الرَّاء جمع أغرل وَهُوَ الأقلف
أَلا وَإِن أول الْخَلَائق يكسى إِبْرَاهِيم عَلَيْهِ السَّلَام أَلا وَإنَّهُ سيجاء بِرِجَال من أمتِي فَيُؤْخَذ بهم ذَات الشمَال فَأَقُول يَا رب أَصْحَابِي فَيَقُول إِنَّك لَا تَدْرِي مَا أَحْدَثُوا بعْدك فَأَقُول كَمَا قَالَ العَبْد الصَّالح وَكنت عَلَيْهِم شَهِيدا مَا دمت فيهم إِلَى قَوْله الْعَزِيز الْحَكِيم الْمَائِدَة 711 811 قَالَ فَيُقَال لي إِنَّهُم لم يزَالُوا مرتدين على أَعْقَابهم مُنْذُ فَارَقْتهمْ
زَاد فِي رِوَايَة فَأَقُول سحقا سحقا
رَوَاهُ البُخَارِيّ وَمُسلم وَرَوَاهُ التِّرْمِذِيّ وَالنَّسَائِيّ بِنَحْوِهِ
الغرل بِضَم الْغَيْن الْمُعْجَمَة وَإِسْكَان الرَّاء جمع أغرل وَهُوَ الأقلف

তাহকীক:
হাদীস নং: ৫৪৫২
 অধ্যায়ঃ পুনরুত্থান ও কিয়ামাত
পরিচ্ছেদ: হাশর ইত্যাদির বর্ণনা
৫৪৫২. হযরত আয়েশা (রা) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ)-কে বলতে শুনেছি, খালি পায়ে উলঙ্গ ও খতনাহীন অবস্থায় মানুষের হাশর হবে। আয়েশা (রা) বলেন, আমি জিজ্ঞেস করলাম, পুরুষ-মহিলা সবাই কি একে অপরের দিকে তাকাবে? তিনি বললেন, পরিস্থিতি তখন তাদের এদিকে মনোযোগ দেওয়ার চেয়ে কঠিনতর হবে।
অপর এক রিওয়ায়েতে আছে, তাদের একে অপরের প্রতি তাকাবার চেয়ে।"
(বুখারী, মুসলিম, নাসাঈ ও ইবন মাজা হাদীসটি বর্ণনা করেছেন।)
অপর এক রিওয়ায়েতে আছে, তাদের একে অপরের প্রতি তাকাবার চেয়ে।"
(বুখারী, মুসলিম, নাসাঈ ও ইবন মাজা হাদীসটি বর্ণনা করেছেন।)
كتاب البعث
فصل فِي الْحَشْر وَغَيره
5452- وَعَن عَائِشَة رَضِي الله عَنْهَا قَالَت سَمِعت رَسُول الله صلى الله عَلَيْهِ وَسلم يَقُول يحْشر النَّاس
حُفَاة عُرَاة غرلًا
قَالَت عَائِشَة فَقلت الرِّجَال وَالنِّسَاء جَمِيعًا ينظر بَعضهم إِلَى بعض قَالَ الْأَمر أَشد من أَن يهمهم ذَلِك
وَفِي رِوَايَة من أَن ينظر بَعضهم إِلَى بعض
رَوَاهُ البُخَارِيّ وَمُسلم وَالنَّسَائِيّ وَابْن مَاجَه
حُفَاة عُرَاة غرلًا
قَالَت عَائِشَة فَقلت الرِّجَال وَالنِّسَاء جَمِيعًا ينظر بَعضهم إِلَى بعض قَالَ الْأَمر أَشد من أَن يهمهم ذَلِك
وَفِي رِوَايَة من أَن ينظر بَعضهم إِلَى بعض
رَوَاهُ البُخَارِيّ وَمُسلم وَالنَّسَائِيّ وَابْن مَاجَه

তাহকীক:
 হাদীসের ব্যাখ্যা
হাদীসের ব্যাখ্যাহাদীস নং: ৫৪৫৩
 অধ্যায়ঃ পুনরুত্থান ও কিয়ামাত
পরিচ্ছেদ: হাশর ইত্যাদির বর্ণনা
৫৪৫৩. হযরত উম্মু সালামা (রা) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) -কে বলতে শুনেছি, কিয়ামতের দিন মানুষকে উলঙ্গ অবস্থায় ও খালি পায়ে সমবেত করা হবে। উম্মু সালামা (রা) বলেন, আমি তখন বললামঃ ইয়া রাসুলাল্লাহ (ﷺ)। কী লজ্জা। আমাদের একে অপরের দিকে তাকাবে। তিনি বললেন, লোকে ব্যস্ত থাকবে। আমি জিজ্ঞেস করলাম, তারা কিসে ব্যস্ত থাকবে? তিনি বললেন, আমলনামার প্রকাশ তাদেরকে ব্যস্ত করে রাখবে, সে আমলনামায় পিঁপড়ার মাথা ও সরষের বীজ পরিমাণ হিসাবও থাকবে। 
(তাবারানী (র) 'আল-আওসাতে' সহীহ্ সনদে হাদীসটি বর্ণনা করেছেন।)
(তাবারানী (র) 'আল-আওসাতে' সহীহ্ সনদে হাদীসটি বর্ণনা করেছেন।)
كتاب البعث
فصل فِي الْحَشْر وَغَيره
5453- وَعَن أم سَلمَة رَضِي الله عَنْهَا قَالَت سَمِعت رَسُول الله صلى الله عَلَيْهِ وَسلم يَقُول يحْشر النَّاس يَوْم الْقِيَامَة عُرَاة حُفَاة فَقَالَت أم سَلمَة فَقلت يَا رَسُول الله واسوأتاه ينظر بَعْضنَا إِلَى بعض فَقَالَ شغل النَّاس قلت مَا شغلهمْ قَالَ نشر الصحائف فِيهَا مَثَاقِيل الذَّر وَمَثَاقِيل الْخَرْدَل
رَوَاهُ الطَّبَرَانِيّ فِي الْأَوْسَط بِإِسْنَاد صَحِيح
رَوَاهُ الطَّبَرَانِيّ فِي الْأَوْسَط بِإِسْنَاد صَحِيح

তাহকীক:
হাদীস নং: ৫৪৫৪
 অধ্যায়ঃ পুনরুত্থান ও কিয়ামাত
পরিচ্ছেদ: হাশর ইত্যাদির বর্ণনা
৫৪৫৪. হযরত সাওদা বিনতে যাম'আ (রা) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসুলুল্লাহ (ﷺ) বলেছেন, মানুষকে খালি পায়ে, উলঙ্গ ও খতনাহীন অবস্থায় পুনরুত্থিত করা হবে। তাদের মুখের লাগাম পর্যন্ত ঘাম হবে এবং কানের লতি পর্যন্ত তা পৌঁছবে। আমি জিজ্ঞেস করলাম, আমাদের একে অপরকে দেখতে পাবে কি? তিনি বললেন, লোকে ব্যস্ত থাকবে। তাদের প্রত্যেকের সেদিন এমন অবস্থা থাকবে যে, তার অন্য কিছু চিন্তা করার অবকাশটুকুও থাকবে না।
(তাবারানী (র) হাদীসটি বর্ণনা করেছেন। এর সকল বর্ণনাকারী নির্ভরযোগ্য।)
(তাবারানী (র) হাদীসটি বর্ণনা করেছেন। এর সকল বর্ণনাকারী নির্ভরযোগ্য।)
كتاب البعث
فصل فِي الْحَشْر وَغَيره
5454- وَعَن سَوْدَة بنت زَمعَة رَضِي الله عَنْهَا قَالَت قَالَ رَسُول الله صلى الله عَلَيْهِ وَسلم يبْعَث النَّاس حُفَاة عُرَاة غرلًا قد ألجمهم الْعرق وَبلغ شحوم الآذان فَقلت يبصر بَعْضنَا بَعْضًا فَقَالَ شغل النَّاس لكل أمرىء مِنْهُم يَوْمئِذٍ شَأْن يُغْنِيه عبس 73
رَوَاهُ الطَّبَرَانِيّ وَرُوَاته ثِقَات
رَوَاهُ الطَّبَرَانِيّ وَرُوَاته ثِقَات

তাহকীক:
 হাদীসের ব্যাখ্যা
হাদীসের ব্যাখ্যাহাদীস নং: ৫৪৫৫
 অধ্যায়ঃ পুনরুত্থান ও কিয়ামাত
পরিচ্ছেদ: হাশর ইত্যাদির বর্ণনা
৫৪৫৫. হযরত হাসান ইবন আলী (রা) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেছেন, কিয়ামতের দিন খালি পায়ে ও উলঙ্গ অবস্থায় মানুষের হাশর হবে। এক মহিলা জিজ্ঞেস করল, ইয়া রাসূলাল্লাহ্ (ﷺ)। আমাদের একে অপরের দিকে কিভাবে তাকাবে। তিনি বললেন, নিশ্চয় চক্ষুগুলো হতচকিত হয়ে থাকবে। এসময় তিনি আকাশের দিকে দৃষ্টি তুললেন। মহিলাটি বলল, ইয়া রাসূলাল্লাহ। আল্লাহর কাছে দু'আ করুন, যেন তিনি আমার লজ্জাস্থান আবৃত রাখেন। তিনি বললেন, হে আল্লাহ্। তুমি তার লজ্জাস্থান আবৃত রাখ।
(তাবারানী হাদীসটি বর্ণনা করেছেন। এ হাদীসের সনদে সাঈদ ইবন মারযুবান নামক একজন সন্দিগ্ধ রাবী রয়েছেন। তবে তার প্রতি আস্থাও ব্যক্ত করা হয়েছে।)
(তাবারানী হাদীসটি বর্ণনা করেছেন। এ হাদীসের সনদে সাঈদ ইবন মারযুবান নামক একজন সন্দিগ্ধ রাবী রয়েছেন। তবে তার প্রতি আস্থাও ব্যক্ত করা হয়েছে।)
كتاب البعث
فصل فِي الْحَشْر وَغَيره
5455- وَعَن الْحسن بن عَليّ رَضِي الله عَنْهُمَا قَالَ قَالَ رَسُول الله صلى الله عَلَيْهِ وَسلم يحْشر النَّاس يَوْم الْقِيَامَة حُفَاة عُرَاة فَقَالَت امْرَأَة يَا رَسُول الله فَكيف يرى بَعْضنَا بَعْضًا فَقَالَ إِن الْأَبْصَار شاخصة فَرفع بَصَره إِلَى السَّمَاء فَقَالَت يَا رَسُول الله ادْع الله أَن يستر عورتي قَالَ اللَّهُمَّ اسْتُرْ عورتها
رَوَاهُ الطَّبَرَانِيّ وَفِيه سعيد بن الْمَرْزُبَان وَقد وثق
رَوَاهُ الطَّبَرَانِيّ وَفِيه سعيد بن الْمَرْزُبَان وَقد وثق

তাহকীক:
হাদীস নং: ৫৪৫৬
 অধ্যায়ঃ পুনরুত্থান ও কিয়ামাত
পরিচ্ছেদ: হাশর ইত্যাদির বর্ণনা
৫৪৫৬. হযরত সাহল ইবন সা'দ (রা) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) বলেছেন, কিয়ামতের দিন ময়দার রুটির সদৃশ সাদা এমন একটি ভূমিতে মানুষের হাশর হবে, যেখানে কারও কোন চিহ্ন থাকবে না।। অপর এক রিওয়ায়েতে আছে, সাহল অথবা অন্য কেউ বলেছেন, ليس فيها علم لأحد তাতে কোন চিহ্ন
থাকবে না।" (এ রিওয়ায়েতে علم শব্দটির পরিবর্তে معلم শব্দটি ব্যবহৃত হয়েছে অর্থ একই।)
(বুখারী ও মুসলিম হাদীসটি বর্ণনা করেছেন।)
হাদীসে ব্যবহৃত معلم শব্দটির অর্থ হচ্ছে পথের সীমানার চিহ্ন। হাদীসের মর্মার্থ এই যে, সেই ভূমিতে ইতিপূর্বে কারও কোন পদচারণা হয়নি। যার ফলে কারও কোন আলামত বা পদচিহ্ন থাকতে পারে।)
থাকবে না।" (এ রিওয়ায়েতে علم শব্দটির পরিবর্তে معلم শব্দটি ব্যবহৃত হয়েছে অর্থ একই।)
(বুখারী ও মুসলিম হাদীসটি বর্ণনা করেছেন।)
হাদীসে ব্যবহৃত معلم শব্দটির অর্থ হচ্ছে পথের সীমানার চিহ্ন। হাদীসের মর্মার্থ এই যে, সেই ভূমিতে ইতিপূর্বে কারও কোন পদচারণা হয়নি। যার ফলে কারও কোন আলামত বা পদচিহ্ন থাকতে পারে।)
كتاب البعث
فصل فِي الْحَشْر وَغَيره
5456- وَعَن سهل بن سعد رَضِي الله عَنهُ قَالَ قَالَ رَسُول الله صلى الله عَلَيْهِ وَسلم يحْشر النَّاس يَوْم الْقِيَامَة على أَرض بَيْضَاء عفراء كقرصة النقي لَيْسَ فِيهَا علم لأحد
وَفِي رِوَايَة قَالَ سهل أَو غَيره لَيْسَ فِيهَا معلم لأحد
رَوَاهُ البُخَارِيّ وَمُسلم
العفراء هِيَ الْبَيْضَاء لَيْسَ بياضها بالناصع
النقي هُوَ الْخبز الْأَبْيَض
والمعلم بِفَتْح الْمِيم مَا يَجْعَل علما وعلامة للطريق وَالْحُدُود وَقيل الْمعلم الْأَثر وَمَعْنَاهُ أَنَّهَا لم تُوطأ قبل فَيكون فِيهَا أثر أَو عَلامَة لأحد
تَعَالَى الَّذين يحشرون على وُجُوههم إِلَى جَهَنَّم الْفرْقَان 43 أيحشر الْكَافِر
وَفِي رِوَايَة قَالَ سهل أَو غَيره لَيْسَ فِيهَا معلم لأحد
رَوَاهُ البُخَارِيّ وَمُسلم
العفراء هِيَ الْبَيْضَاء لَيْسَ بياضها بالناصع
النقي هُوَ الْخبز الْأَبْيَض
والمعلم بِفَتْح الْمِيم مَا يَجْعَل علما وعلامة للطريق وَالْحُدُود وَقيل الْمعلم الْأَثر وَمَعْنَاهُ أَنَّهَا لم تُوطأ قبل فَيكون فِيهَا أثر أَو عَلامَة لأحد
تَعَالَى الَّذين يحشرون على وُجُوههم إِلَى جَهَنَّم الْفرْقَان 43 أيحشر الْكَافِر

তাহকীক:
হাদীস নং: ৫৪৫৭
 অধ্যায়ঃ পুনরুত্থান ও কিয়ামাত
পরিচ্ছেদ: হাশর ইত্যাদির বর্ণনা
৫৪৫৭. হযরত আনাস (রা) থেকে বর্ণিত। এক ব্যক্তি জিজ্ঞেস করল, ইয়া রাসূলাল্লাহ্। আল্লাহ তা'আলা বলেছেন, الَّذِينَ يُحْشَرُونَ عَلَى وُجُوهِهِمْ إِلَى جَهَنَّم যাদেরকে মুখের উপর ভর করিয়ে জাহান্নামের দিকে সমবেত করা হবে (২৫: ৩৪) কাফিরদের কি মুখের উপর ভর করে হাশর হবে? রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেছেন, যিনি তাকে দুনিয়াতে দু'পায়ে হাঁটিয়েছেন, তিনি কি তাকে চেহারা দ্বারা হাঁটতে সক্ষম নন? কাতাদার কাছে যখন হাদীসটি পৌছল, তখন তিনি বললেন, হ্যাঁ। (অবশ্যই তিনি সক্ষম)। আমাদের প্রতিপালকের সম্মানের কসম।
(বুখারী ও মুসলিম হাদীসটি বর্ণনা করেছেন।)
(বুখারী ও মুসলিম হাদীসটি বর্ণনা করেছেন।)
كتاب البعث
فصل فِي الْحَشْر وَغَيره
5457- وَعَن أنس رَضِي الله عَنهُ أَن رجلا قَالَ يَا رَسُول الله قَالَ الله على وَجهه قَالَ رَسُول الله صلى الله عَلَيْهِ وَسلم أَلَيْسَ الَّذِي أَمْشَاهُ على الرجلَيْن فِي الدُّنْيَا قَادر على أَن يمْشِيه على وَجهه قَالَ قَتَادَة حِين بلغه بلَى وَعزة رَبنَا
رَوَاهُ البُخَارِيّ وَمُسلم
رَوَاهُ البُخَارِيّ وَمُسلم

তাহকীক:
হাদীস নং: ৫৪৫৮
 অধ্যায়ঃ পুনরুত্থান ও কিয়ামাত
পরিচ্ছেদ: হাশর ইত্যাদির বর্ণনা
৫৪৫৮. হযরত আবূ হুরায়রা (রা) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেছেন, কিয়ামতের দিন তিনভাগে মানুষের হাশর হবে। এক ভাগ পায়ে হাঁটা অবস্থায়, এক ভাগ আরোহী অবস্থায়, আর এক ভাগ তাদের মুখমণ্ডলের সাহায্যে চলন্ত অবস্থায়। জিজ্ঞেস করা হল, ইয়া রাসূলাল্লাহ্। তারা কিভাবে তাদের মুখমণ্ডল দিয়ে হাঁটবে? তিনি বললেন, যিনি তাদেরকে তাদের পাঁয়ে হাঁটিয়েছেন, তিনি তাদেরকে মুখমণ্ডলের সাহায্যেও হাঁটাতে সক্ষম। জেনে (রাখা), তারা তাদের মুখমণ্ডলের দ্বারা প্রতিটি উঁচু স্থান ও কাঁটা থেকে বেঁচে চলবে। 
(তিরমিযী (র) হাদীসটি বর্ণনা করে বলেন, হাদীসটি হাসান।)
(তিরমিযী (র) হাদীসটি বর্ণনা করে বলেন, হাদীসটি হাসান।)
كتاب البعث
فصل فِي الْحَشْر وَغَيره
5458- وَعَن أبي هُرَيْرَة رَضِي الله عَنهُ قَالَ قَالَ رَسُول الله صلى الله عَلَيْهِ وَسلم يحْشر النَّاس يَوْم الْقِيَامَة ثَلَاثَة أَصْنَاف صنفا مشَاة وَصِنْفًا ركبانا وَصِنْفًا على وُجُوههم
قيل يَا رَسُول الله وَكَيف يَمْشُونَ على وُجُوههم قَالَ إِن الَّذِي أَمْشَاهُم على أَقْدَامهم قَادر على أَن يُمشيهمْ على وُجُوههم أما إِنَّهُم يَتَّقُونَ بِوُجُوهِهِمْ كل حدب وَشَوْك
رَوَاهُ التِّرْمِذِيّ وَقَالَ حَدِيث حسن
قيل يَا رَسُول الله وَكَيف يَمْشُونَ على وُجُوههم قَالَ إِن الَّذِي أَمْشَاهُم على أَقْدَامهم قَادر على أَن يُمشيهمْ على وُجُوههم أما إِنَّهُم يَتَّقُونَ بِوُجُوهِهِمْ كل حدب وَشَوْك
رَوَاهُ التِّرْمِذِيّ وَقَالَ حَدِيث حسن

তাহকীক:
হাদীস নং: ৫৪৫৯
 অধ্যায়ঃ পুনরুত্থান ও কিয়ামাত
পরিচ্ছেদ: হাশর ইত্যাদির বর্ণনা
৫৪৫৯. হযরত বাহয ইবন হাকীমের সূত্রে তাঁর পিতার মধ্যস্থতায় তাঁর পিতামহ থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি রাসূলুল্লাহ (ﷺ)-কে বলতে শুনেছি, নিশ্চয় পায়ে হাঁটা অবস্থায় এবং আরোহী অবস্থায় তোমাদের হাশর হবে এবং তোমাদেরকে তোমাদের মুখমণ্ডলের উপর হেঁচড়ানো হবে।
(তিরমিযী (র) হাদীসটি বর্ণনা করে বলেন, হাদীসটি হাসান।)
(তিরমিযী (র) হাদীসটি বর্ণনা করে বলেন, হাদীসটি হাসান।)
كتاب البعث
فصل فِي الْحَشْر وَغَيره
5459- وَعَن بهز بن حَكِيم عَن أَبِيه عَن جده رَضِي الله عَنهُ قَالَ سَمِعت رَسُول الله صلى الله عَلَيْهِ وَسلم يَقُول إِنَّكُم تحشرون رجَالًا وركبانا وَتجرونَ على وُجُوهكُم
رَوَاهُ التِّرْمِذِيّ وَقَالَ حَدِيث حسن
رَوَاهُ التِّرْمِذِيّ وَقَالَ حَدِيث حسن

তাহকীক: