আল মুওয়াত্তা-ইমাম মুহাম্মাদ রহঃ
موطأ الإمام مالك برواية الإمام محمد بن الحسن الشيباني
২- নামাযের অধ্যায় - এর পরিচ্ছেদসমূহ
মোট হাদীস ৫ টি
হাদীস নং: ১৯১
- নামাযের অধ্যায়
সফরে কসর নামায পড়া।
১৯১। আয়েশা (রাযিঃ) বলেন, (প্রাথমিক পর্যায়ে) সফরে ও আবাসে (মুকীম অবস্থায়) নামায দুই রাকআত করে ফরয করা হয়। অতঃপর আবাসের নামায আরো দুই রাকআত বৃদ্ধি করা হয় এবং সফরের নামায পূর্ববৎ ঠিক রাখা হয়।
أبواب الصلاة
بَابُ: قَصْرِ الصَّلاةِ فِي السَّفَرِ
أَخْبَرَنَا مَالِكٌ، أَخْبَرَنِي صَالِحُ بْنُ كَيْسَانَ، عَنْ عُرْوَةَ بْنِ الزُّبَيْرِ، عَنْ عَائِشَةَ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُا , أَنَّهَا قَالَتْ: «فُرِضَتِ الصَّلاةُ رَكْعَتَيْنِ رَكْعَتَيْنِ فِي السَّفَرِ وَالْحَضَرِ، فَزِيدَ فِي صَلاةِ الْحَضَرِ، وَأُقِرَّتْ صَلاةُ السَّفَرِ»

তাহকীক:
হাদীস নং: ১৯২
- নামাযের অধ্যায়
সফরে কসর নামায পড়া।
১৯২। নাফে (রাহঃ) বলেন, আব্দুল্লাহ ইবনে উমার (রাযিঃ) খায়বার এলাকার উদ্দেশে যাত্রা করলে নামায কসর করতেন (চার রাকআত ফরযের স্থলে দুই রাকআত পড়তেন)।
أبواب الصلاة
أَخْبَرَنَا مَالِكٌ، أَخْبَرَنَا نَافِعٌ، أَنَّ عَبْدَ اللَّهِ بْنِ عُمَرَ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُمَا «كَانَ إِذَا خَرَجَ إِلَى خَيْبَرَ قَصَرَ الصَّلاةَ»

তাহকীক:
হাদীস নং: ১৯৩
- নামাযের অধ্যায়
সফরে কসর নামায পড়া।
১৯৩। নাফে (রাহঃ) আরো বলেন, আব্দুল্লাহ ইবনে উমার (রাযিঃ) যখন হজ্জ অথবা উমরার উদ্দেশে রওয়ানা হতেন, তখন যুল-হুলয়াফা নামক স্থানে নামায কসর করতেন।
أبواب الصلاة
أَخْبَرَنَا مَالِكٌ، حَدَّثَنَا نَافِعٌ، أَنَّ عَبْدَ اللَّهِ بْنَ عُمَرَ «كَانَ إِذَا خَرَجَ حَاجًّا، أَوْ مُعْتَمِرًا، قَصَرَ الصَّلاةَ بِذِي الْحُلَيْفَةِ»

তাহকীক:
হাদীস নং: ১৯৪
- নামাযের অধ্যায়
সফরে কসর নামায পড়া।
১৯৪। সালেম ইবনে আব্দুল্লাহ (রাহঃ) বলেন, ইবনে উমার (রাযিঃ) যখন রীম নামক এলাকায় যাওয়ার জন্য বের হলেন, তখন এই সফরে নামায কসর করলেন।
أبواب الصلاة
أَخْبَرَنَا مَالِكٌ، أَخْبَرَنِي ابْنُ شِهَابٍ الزُّهْرِيُّ، عَنْ سَالِمِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ، أَنَّ ابْنَ عُمَرَ «خَرَجَ إِلَى رِيمَ فَقَصَرَ الصَّلاةَ فِي مَسِيرِهِ ذَلِكَ»

তাহকীক:
হাদীস নং: ১৯৫
- নামাযের অধ্যায়
সফরে কসর নামায পড়া।
১৯৫। নাফে (রাহঃ) বলেন যে, তিনি ইবনে উমার (রাযিঃ)-র সাথে বুরীদ পর্যন্ত সফর করতেন, কিন্তু তিনি (আব্দুল্লাহ) নামায কসর করতেন না।
ইমাম মুহাম্মাদ (রাহঃ) বলেন, কোন ব্যক্তি যখন তিন দিনের দূরত্ব অতিক্রম করার জন্য বের হয়, তখনই নামায কসর করা যেতে পারে। অর্থাৎ (কমপক্ষে) এতোটা দূরত্ব যা উটে সওয়ার হয়ে অথবা পদব্রজে তিন দিনে স্বাভাবিকভাবে অতিক্রম করা যায়। নিজ বাসস্থান থেকে বের হওয়ার পরই কসরের নামায পড়তে হয়। ইমাম আবু হানীফা (রাহঃ)-রও এই মত।**
ইমাম মুহাম্মাদ (রাহঃ) বলেন, কোন ব্যক্তি যখন তিন দিনের দূরত্ব অতিক্রম করার জন্য বের হয়, তখনই নামায কসর করা যেতে পারে। অর্থাৎ (কমপক্ষে) এতোটা দূরত্ব যা উটে সওয়ার হয়ে অথবা পদব্রজে তিন দিনে স্বাভাবিকভাবে অতিক্রম করা যায়। নিজ বাসস্থান থেকে বের হওয়ার পরই কসরের নামায পড়তে হয়। ইমাম আবু হানীফা (রাহঃ)-রও এই মত।**
أبواب الصلاة
أَخْبَرَنَا مَالِكٌ، حَدَّثَنَا نَافِعٌ، «أَنَّهُ كَانَ يُسَافِرُ مَعَ ابْنِ عُمَرَ الْبَرِيدُ، فَلا يَقْصُرُ الصَّلاةَ» .
قَالَ مُحَمَّدٌ: إِذَا خَرَجَ الْمُسَافِرُ أَتَمَّ الصَّلاةَ، إِلا أَنْ يُرِيدَ مَسِيرَةَ ثَلاثَةِ أَيَّامٍ كَوَامِلَ بِسَيْرِ الإِبِلِ، وَمَشْيِ الأَقْدَامِ، فَإِذَا أَرَادَ ذَلِكَ، قَصَرَ الصَّلاةَ حِينَ يَخْرُجُ مِنْ مِصْرِهِ، وَيَجْعَلَ الْبُيُوتَ خَلْفَ ظَهْرِهِ، وَهُوَ قَوْلُ أَبِي حَنِيفَةَ، رَحِمَهُ اللَّهُ
قَالَ مُحَمَّدٌ: إِذَا خَرَجَ الْمُسَافِرُ أَتَمَّ الصَّلاةَ، إِلا أَنْ يُرِيدَ مَسِيرَةَ ثَلاثَةِ أَيَّامٍ كَوَامِلَ بِسَيْرِ الإِبِلِ، وَمَشْيِ الأَقْدَامِ، فَإِذَا أَرَادَ ذَلِكَ، قَصَرَ الصَّلاةَ حِينَ يَخْرُجُ مِنْ مِصْرِهِ، وَيَجْعَلَ الْبُيُوتَ خَلْفَ ظَهْرِهِ، وَهُوَ قَوْلُ أَبِي حَنِيفَةَ، رَحِمَهُ اللَّهُ

তাহকীক: