আল মুওয়াত্তা-ইমাম মুহাম্মাদ রহঃ
موطأ الإمام مالك برواية الإمام محمد بن الحسن الشيباني
২- নামাযের অধ্যায় - এর পরিচ্ছেদসমূহ
মোট হাদীস ১৪ টি
হাদীস নং: ২৫৫
- নামাযের অধ্যায়
বেতের নামায বিলম্বে পড়া।
২৫৫। আব্দুল্লাহ ইবনে আমের ইবনে রবীআ (রাহঃ) বলেন, আমি এমন সময় বেতের পড়ি যখন (ফযরের নামাযের) ইকামত আমার কানে আসে, অথবা ফযরের পরে (কাযা) পড়ি । রাবী আব্দুর রহমান সংশয়ে পড়েছেন যে, আব্দুল্লাহ এর কোন কথাটি বলেছেন।
أبواب الصلاة
بَابُ: تَأْخِيرِ الْوِتْرِ
أَخْبَرَنَا مَالِكٌ، أَخْبَرَنَا عَبْدُ الرَّحْمَنِ بْنُ الْقَاسِمِ، أَنَّهُ سَمِعَ عَبْدَ اللَّهِ بْنَ عَامِرِ بْنِ رَبِيعَةَ، يَقُولُ: «إِنِّي لأُوتِرُ وَأَنَا أَسْمَعُ الإِقَامَةَ، أَوْ بَعْدَ الْفَجْرِ» ، يَشُكُّ عَبْدُ الرَّحْمَنِ أَيَّ ذَلِكَ قَالَ

তাহকীক:
হাদীস নং: ২৫৬
- নামাযের অধ্যায়
বেতের নামায বিলম্বে পড়া।
২৫৬। আব্দুর রহমান (রাহঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি তার পিতাকে বলতে শুনেছেন, আমি অবশ্যই ফজরের নামাযের পর বেতের পড়ি।
أبواب الصلاة
أَخْبَرَنَا مَالِكٌ، عَنْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ، " أَنَّهُ سَمِعَ أَبَاهُ يَقُولُ: إِنِّي لأُوتِرُ بَعْدَ الْفَجْرِ

তাহকীক:
হাদীস নং: ২৫৭
- নামাযের অধ্যায়
বেতের নামায বিলম্বে পড়া।
২৫৭। ইবনে মাসউদ (রাযিঃ) বলতেন, আমি এটা মোটেই দূষণীয় মনে করি না যে, ফজরের নামাযের ইকামত হচ্ছে আর আমি তখন বেতের নামাযে রত আছি।
أبواب الصلاة
أَخْبَرَنَا مَالِكٌ، أَخْبَرَنَا هِشَامُ بْنُ عُرْوَةَ، عَنْ أَبِيهِ، عَنِ ابْنِ مَسْعُودٍ، أَنَّهُ كَانَ يَقُولُ: «مَا أُبَالِي لَوْ أُقِيمَتِ الصُّبْحُ، وَأَنَا أُوتِرُ»

তাহকীক:
হাদীস নং: ২৫৮
- নামাযের অধ্যায়
বেতের নামায বিলম্বে পড়া।
২৫৮। আব্দুল্লাহ ইবনে আব্বাস (রাযিঃ) ঘুম থেকে সজাগ হয়ে নিজের খাদেমকে বলেন, দেখো লোকেরা (মসজিদে) কি করছে? এ সময় তার (বার্ধক্য জনিত কারণে) দৃষ্টিশক্তি লোপ পেয়েছিল। খাদেম গিয়ে দেখে এসে বললো, লোকেরা ফজরের নামায থেকে অবসর হয়েছে। অতএব আব্দুল্লাহ ইবনে আব্বাস (রাযিঃ) উঠে দাঁড়িয়ে বেতের নামায পড়লেন, অতঃপর ফজরের নামায পড়লেন।
أبواب الصلاة
أَخْبَرَنَا مَالِكٌ، أَخْبَرَنَا عَبْدُ الْكَرِيمِ بْنُ أَبِي الْمُخَارِقِ، عَنْ سَعِيدِ بْنِ جُبَيْرٍ، عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ، أَنَّهُ رَقَدَ، ثُمَّ اسْتَيْقَظَ، فَقَالَ لِخَادِمِهِ: «انْظُرْ مَاذَا صَنَعَ النَّاسُ» ، وَقَدْ ذَهَبَ بَصَرُهُ، فَذَهَبَ ثُمَّ رَجَعَ، فَقَالَ: «قَدِ انْصَرَفَ النَّاسُ مِنَ الصُّبْحِ» ، فَقَامَ ابْنُ عَبَّاسٍ، فَأَوْتَرَ، ثُمَّ صَلَّى الصُّبْحَ

তাহকীক:
হাদীস নং: ২৫৯
- নামাযের অধ্যায়
বেতের নামায বিলম্বে পড়া।
২৫৯। ইয়াহ্ইয়া ইবনে সাঈদ (রাহঃ) বলেন, উবাদা ইবনুস সামিত (রাযিঃ) লোকদের নামাযে ইমামতি করতেন । একদিন তিনি ফজরের নামায পড়তে বের হলেন। মুয়াযযিন নামাযের ইকামত দিলো। তিনি তাকে থামিয়ে বেতের নামায পড়লেন, অতঃপর ফজরের নামাযে ইমামতি করলেন ।
ইমাম মুহাম্মাদ (রাহঃ) বলেন, আমাদের মতে সুবহে সাদেক হওয়ার পূর্বে বেতের নামায পড়ে নেয়া পছন্দনীয় কাজ। তা সুবহে সাদেক উদয় হওয়া পর্যন্ত ইচ্ছাকৃতভাবে বিলম্ব করবে না। যদি ঘটনাক্রমে বেতের পড়ার পূর্বে ফজরের ওয়াক্ত হয়ে যায়, তবে ফজরের নামাযের পূর্বে বেতের পড়ে নিবে। ইমাম আবু হানীফারও এই মত।
ইমাম মুহাম্মাদ (রাহঃ) বলেন, আমাদের মতে সুবহে সাদেক হওয়ার পূর্বে বেতের নামায পড়ে নেয়া পছন্দনীয় কাজ। তা সুবহে সাদেক উদয় হওয়া পর্যন্ত ইচ্ছাকৃতভাবে বিলম্ব করবে না। যদি ঘটনাক্রমে বেতের পড়ার পূর্বে ফজরের ওয়াক্ত হয়ে যায়, তবে ফজরের নামাযের পূর্বে বেতের পড়ে নিবে। ইমাম আবু হানীফারও এই মত।
أبواب الصلاة
أَخْبَرَنَا مَالِكٌ، أَخْبَرَنَا يَحْيَى بْنُ سَعِيدٍ، أَنَّ عُبَادَةَ بْنَ الصَّامِتِ كَانَ «يَؤُمُّ يَوْمًا، فَخَرَجَ يَوْمًا لِلصُّبْحِ، فَأَقَامَ الْمُؤَذِّنُ الصَّلاةَ، فَأَسْكَتَهُ حَتَّى أَوْتَرَ ثُمَّ صَلَّى بِهِمْ» ، قَالَ مُحَمَّدٌ: أَحَبُّ إِلَيْنَا أَنْ يُوتِرَ قَبْلَ أَنْ يَطْلُعَ الْفَجْرُ، وَلا يُؤَخِّرَهُ إِلَى طُلُوعِ الْفَجْرِ، فَإِنْ طَلَعَ قَبْلَ أَنْ يُوتِرَ فَلْيُوتِرْ، وَلا يَتَعَمَّدْ ذَلِكَ، وَهُوَ قَوْلُ أَبِي حَنِيفَةَ، رَحِمَهُ اللَّهُ

তাহকীক:
হাদীস নং: ২৬০
- নামাযের অধ্যায়
বেতের নামায বিলম্বে পড়া।
২৬০। নাফে (রাহঃ) বলেন, আব্দুল্লাহ ইবনে উমার (রাযিঃ) বেতের নামাযের দুই রাকআত ও এক রাকআতের মাঝখানে সালাম ফিরাতেন এবং নিজের কোন প্রয়োজন পূরণের জন্য নির্দেশ দিতেন।
ইমাম মুহাম্মাদ (রাহঃ) বলেন, আমরা এই পন্থা গ্রহণ করিনি। আমরা ইবনে মাসউদ (রাযিঃ) ও ইবনে আব্বাস (রাযিঃ)-র মত গ্রহণ করেছি। আমাদের মতে দুইরাকআতের মাঝখানে সালাম ফিরানো ঠিক নয়।
ইমাম মুহাম্মাদ (রাহঃ) বলেন, আমরা এই পন্থা গ্রহণ করিনি। আমরা ইবনে মাসউদ (রাযিঃ) ও ইবনে আব্বাস (রাযিঃ)-র মত গ্রহণ করেছি। আমাদের মতে দুইরাকআতের মাঝখানে সালাম ফিরানো ঠিক নয়।
أبواب الصلاة
أَخْبَرَنَا مَالِكٌ، أَخْبَرَنَا نَافِعٌ، عَنِ ابْنِ عُمَرَ، «أَنَّهُ كَانَ يُسَلِّمُ فِي الْوِتْرِ بَيْنَ الرَّكْعَتَيْنِ وَالرَّكْعَةِ حَتَّى يَأْمُرَ بِبَعْضِ حَاجَتِهِ» ، قَالَ مُحَمَّدٌ: وَلَسْنَا نَأْخُذُ بِهَذَا، وَلَكِنَّا نَأْخُذُ بِقَوْلِ عَبْدِ اللَّهِ ابْنِ مَسْعُودٍ، وَابْنِ عَبَّاسٍ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُمْ، وَلا نَرَى أَنْ يُسَلِّمَ بَيْنَهُمَا

তাহকীক:
হাদীস নং: ২৬১
- নামাযের অধ্যায়
বেতের নামায বিলম্বে পড়া।
২৬১। আবু জাফর (ইমাম বাকের) বলেন, রাসূলুল্লাহ ﷺ এশা ও ফজরের নামাযের মাঝখানে তেরো রাকআত নামায পড়তেন। এর মধ্যে আট রাকআত নফল, তিন রাকআত বেতের এবং দুই রাকআত ফজরের সুন্নত।
أبواب الصلاة
قَالَ مُحَمَّدٌ: أَخْبَرَنَا أَبُو حَنِيفَةَ، حَدَّثَنَا أَبُو جَعْفَرٍ، قَالَ: كَانَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ «يُصَلِّي مَا بَيْنَ صَلاةِ الْعِشَاءِ إِلَى صَلاةِ الصُّبْحِ ثَلاثَ عَشْرَةَ رَكْعَةً، ثَمَانِيَ رَكَعَاتٍ تَطَوُّعًا، وَثَلاثَ رَكَعَاتِ الْوِتْرِ، وَرَكْعَتَيِ الْفَجْرِ»

তাহকীক:
হাদীস নং: ২৬২
- নামাযের অধ্যায়
বেতের নামায বিলম্বে পড়া।
২৬২। উমার ইবনুল খাত্তাব (রাযিঃ) বলেন, আমি বেতেরের তিন রাকআত নামায পরিত্যাগ করা পছন্দ করি না, যদিও এর বিনিময়ে লাল উটের মালিক হওয়াও আমার জন্য সম্ভব হয় ।
أبواب الصلاة
قَالَ مُحَمَّدٌ: أَخْبَرَنَا أَبُو حَنِيفَةَ، عَنْ حَمَّادٍ، عَنْ إِبْرَاهِيمَ النَّخَعِيِّ، عَنْ عُمَرَ بْنِ الْخَطَّابِ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ، أَنَّهُ قَالَ: «مَا أُحِبُّ أَنِّي تَرَكْتُ الْوِتْرَ بِثَلاثٍ، وَإِنَّ لِي حُمْرَ النَّعَمِ»
হাদীস নং: ২৬৩
- নামাযের অধ্যায়
বেতের নামায বিলম্বে পড়া।
২৬৩। আবু উবায়দা (রাহঃ) বলেন, আব্দুল্লাহ ইবনে মাসউদ (রাযিঃ) বলেছেন, বেতের নামায তিন রাকআত, যেমন মাগরিবের নামায তিন রাকআত ।
أبواب الصلاة
قَالَ مُحَمَّدٌ: أَخْبَرَنَا عَبْدُ الرَّحْمَنِ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ الْمَسْعُودِيُّ، عَنْ عَمْرِو بْنِ مُرَّةَ، عَنْ أَبِي عُبَيْدَةَ، قَالَ: قَالَ عَبْدُ اللَّهِ بْنُ مَسْعُودٍ: «الْوِتْرُ ثَلاثٌ كَثَلاثِ الْمَغْرِبِ»

তাহকীক:
হাদীস নং: ২৬৪
- নামাযের অধ্যায়
বেতের নামায বিলম্বে পড়া।
২৬৪। আব্দুর রহমান ইবনে ইয়াযীদ (রাহঃ) থেকে বর্ণিত। ইবনে মাসউদ (রাযিঃ) বলেন, বেতের নামায মাগরিবের নামাযের মতই তিন রাকআত।
أبواب الصلاة
قَالَ مُحَمَّدٌ: حَدَّثَنَا أَبُو مُعَاوِيَةَ الْمَكْفُوفُ، عَنِ الأَعْمَشِ، عَنْ مَالِكِ بْنِ الْحَارِثِ، عَنْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ يَزِيدَ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ مَسْعُودٍ، قَالَ: «الْوِتْرُ ثَلاثٌ كَصَلاةِ الْمَغْرِبِ»

তাহকীক:
হাদীস নং: ২৬৫
- নামাযের অধ্যায়
বেতের নামায বিলম্বে পড়া।
২৬৫। ইবনে আব্বাস (রাযিঃ) বলেন, বেতের নামায মাগরিবের নামাযের অনুরূপ।
أبواب الصلاة
قَالَ مُحَمَّدٌ: أَخْبَرَنَا إِسْمَاعِيلُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ، عَنْ لَيْثٍ، عَنْ عَطَاءٍ، قَالَ ابْنُ عَبَّاسٍ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُمَا، «الْوِتْرُ كَصَلاةِ الْمَغْرِبِ»

তাহকীক:
হাদীস নং: ২৬৬
- নামাযের অধ্যায়
বেতের নামায বিলম্বে পড়া।
২৬৬। হুসাইন ইবনে ইবরাহীম (রাহঃ) থেকে বর্ণিত। ইবনে মাসউদ (রাযিঃ) বলেন, এক রাকআত বেতের নামায কখনো যথেষ্ট (জায়েয) হতে পারে না।
أبواب الصلاة
قَالَ مُحَمَّدٌ: أَخْبَرَنَا يَعْقُوبُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ، حَدَّثَنَا حُصَيْنُ عَنْ إِبْرَاهِيمَ، عَنِ ابْنِ مَسْعُودٍ، قَالَ: «مَا أَجْزَأَتْ رَكْعَةٌ وَاحِدَةٌ قَطُّ»

তাহকীক:
হাদীস নং: ২৬৭
- নামাযের অধ্যায়
বেতের নামায বিলম্বে পড়া।
২৬৭। আলকামা ইবনে কায়েস (রাহঃ) বলেন, ইবনে মাসউদ (রাযিঃ) বলেছেন, বেতেরের তিন রাকআত নামাযই সবচেয়ে সহজ।
أبواب الصلاة
قَالَ مُحَمَّدٌ: أَخْبَرَنَا سَلامُ بْنُ سُلَيْمٍ الْحَنَفِيُّ، عَنْ أَبِي حَمْزَةَ، عَنْ إِبْرَاهِيمَ النَّخَعِيِّ، عَنْ عَلْقَمَةَ، قَالَ: أَخْبَرَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ مَسْعُودٍ، «أَهْوَنُ مَا يَكُونُ الْوِتْرُ ثَلاثُ رَكَعَاتٍ»

তাহকীক:
হাদীস নং: ২৬৮
- নামাযের অধ্যায়
বেতের নামায বিলম্বে পড়া।
২৬৮। আয়েশা (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। রাসূলুল্লাহ ﷺ বেতেরের দুই রাকআতে সালাম ফিরাতেন না।
أبواب الصلاة
قَالَ مُحَمَّدٌ: أَخْبَرَنَا سَعِيدُ بْنُ أَبِي عَرُوبَةَ، عَنْ قَتَادَةَ، عَنْ زُرَارَةَ بْنِ أَبِي أَوْفَى، عَنْ سَعِيدِ بْنِ هِشَامٍ، عَنْ عَائِشَةَ، أَنّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ كَانَ «لا يُسَلِّمُ فِي رَكْعَتَيِ الْوِتْرِ»

তাহকীক:
