আল মুওয়াত্তা-ইমাম মুহাম্মাদ রহঃ
موطأ الإمام مالك برواية الإمام محمد بن الحسن الشيباني
৫- রোযার অধ্যায় - এর পরিচ্ছেদসমূহ
মোট হাদীস ২ টি
হাদীস নং: ৩৫৯
- রোযার অধ্যায়
সফররত অবস্থায় রোযা রাখা।
৩৫৯। নাফে (রাহঃ) থেকে বর্ণিত। আব্দুল্লাহ ইবনে উমার (রাযিঃ) সফররত অবস্থায় রোযা রাখতেন না।
أبواب الصيام
بَابُ: الصَّوْمِ فِي السَّفَرِ
أَخْبَرَنَا مَالِكٌ، أَخْبَرَنَا نَافِعٌ، أَنَّ ابْنَ عُمَرَ كَانَ «لا يَصُومُ فِي السَّفَرِ»
তাহকীক:
হাদীস নং: ৩৬০
- রোযার অধ্যায়
সফররত অবস্থায় রোযা রাখা।
৩৬০। ইবনে আব্বাস (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। রাসূলুল্লাহ ﷺ মক্কা বিজয়ের বছর রমযান মাসে সফরে বের হলেন এবং রোযা রাখলেন। এভাবে তিনি কাদীদ নামক স্থান পর্যন্ত পৌঁছলেন,** অতঃপর রোযা ভঙ্গ করলেন এবং তাঁর সাথের লোকজনও রোযা ভঙ্গ করলো। রমযান মাসে মক্কা বিজয় হয়েছিল। রাবী বলেন, সাহাবাদের নিয়ম ছিলো যে, তারা রাসূলুল্লাহ ﷺ -এর কাজের মধ্যে নতুন নতুন কাজগুলো গ্রহণ করে নিতেন।
ইমাম মুহাম্মাদ (রাহঃ) বলেন, সফররত অবস্থায় রোযা রাখা বা ভঙ্গ করা উভয়টিরই অনুমতি আছে। কিন্তু যে ব্যক্তির সামর্থ্য রয়েছে তার জন্য রোযা রাখাই উত্তম। আমরা জানতে পেরেছি যে, রাসূলুল্লাহ ﷺ মক্কায় যাওয়ার পথে এজন্য রোযা ভঙ্গ করেছিলেন যে, লোকজন তাঁর কাছে রোযার কাঠিন্য সম্পর্কে অভিযোগ করেছিলো। আমরা আরো জানতে পেরেছি যে, হামযা আল-আসলামী (রাযিঃ) তার কাছে সফরত অবস্থায় রোযা রাখা সম্পর্কে জিজ্ঞেস করলে তিনি বলেনঃ “ইচ্ছা করলে তুমি রোযা রাখতেও পারো আবার চাইলে রোযা ভঙ্গও করতে পারো”।
ইমাম মুহাম্মাদ (রাহঃ) বলেন, সফররত অবস্থায় রোযা রাখা বা ভঙ্গ করা উভয়টিরই অনুমতি আছে। কিন্তু যে ব্যক্তির সামর্থ্য রয়েছে তার জন্য রোযা রাখাই উত্তম। আমরা জানতে পেরেছি যে, রাসূলুল্লাহ ﷺ মক্কায় যাওয়ার পথে এজন্য রোযা ভঙ্গ করেছিলেন যে, লোকজন তাঁর কাছে রোযার কাঠিন্য সম্পর্কে অভিযোগ করেছিলো। আমরা আরো জানতে পেরেছি যে, হামযা আল-আসলামী (রাযিঃ) তার কাছে সফরত অবস্থায় রোযা রাখা সম্পর্কে জিজ্ঞেস করলে তিনি বলেনঃ “ইচ্ছা করলে তুমি রোযা রাখতেও পারো আবার চাইলে রোযা ভঙ্গও করতে পারো”।
أبواب الصيام
أَخْبَرَنَا مَالِكٌ، حَدَّثَنَا الزُّهْرِيُّ، عَنْ عُبَيْدِ اللَّهِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ، عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُمَا، أَنّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ «خَرَجَ عَامَ فَتْحِ مَكَّةَ فِي رَمَضَانَ، فَصَامَ حَتَّى بَلَغَ الْكُدَيْدَ ثُمَّ أَفْطَرَ، فَأَفْطَرَ النَّاسُ مَعَهُ، وَكَانَ فَتْحُ مَكَّةَ فِي رَمَضَانَ» ، قَالَ: وَكَانُوا يَأْخُذُونَ بِالأَحْدَثِ فَالأَحْدَثِ مِنْ أَمْرِ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، قَالَ مُحَمَّدٌ: مَنْ شَاءَ صَامَ فِي السَّفَرِ، وَمَنْ شَاءَ أَفْطَرَ، وَالصَّوْمُ أَفْضَلُ لِمَنْ قَوِيَ عَلَيْهِ، وَإِنَّمَا بَلَغَنَا أَنَّ النَّبِيَّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَفْطَرَ حِينَ سَافَرَ إِلَى مَكَّةَ لأَنَّ النَّاسَ شَكَوْا إِلَيْهِ الْجَهْدَ [ص:127] مِنَ الصَّوْمِ، فَأَفْطَرَ لِذَلِكَ، وَقَدْ بَلَغَنَا أَنَّ حَمْزَةَ الأَسْلَمِيَّ سَأَلَهُ عَنِ الصَّوْمِ فِي السَّفَرِ، فَقَالَ: إِنْ شِئْتَ فَصُمْ، وَإِنْ شِئْتَ فَأَفْطِرْ، فَبِهَذَا نَأْخُذُ، وَهُوَ قَوْلُ أَبِي حَنِيفَةَ رَحِمَهُ اللَّهُ، وَالْعَامَّةِ مِنْ قَبْلَنَا
তাহকীক: