আল মুওয়াত্তা-ইমাম মুহাম্মাদ রহঃ

موطأ الإمام مالك برواية الإمام محمد بن الحسن الشيباني

১৮- বিবিধ প্রসঙ্গ। - এর পরিচ্ছেদসমূহ

মোট হাদীস টি

হাদীস নং: ৯১৩
- বিবিধ প্রসঙ্গ।
সালামের জওয়াব দেয়া।
৯১৩। আবু জাফর আল-কারী (রাহঃ) বলেন, আমি আব্দুল্লাহ ইবনে উমার (রাযিঃ)-র সাথে ছিলাম। তাকে যখন সালাম দেয়া হতো এবং বলা হতো, আসসালামু আলাইকুম, তখন তিনি উত্তরে অনুরূপ কথা (ওয়া আলাইকুমুস সালাম) বলতেন ।
ইমাম মুহাম্মাদ (রাহঃ) বলেন, অনুরূপভাবে সালামের আদান-প্রদানে কোন দোষ নেই। তবে রহমাত ও বরকতের শব্দ (ওয়া রহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু) বাড়িয়ে বলা আরো উত্তম।
الابواب الجامعة
بَابُ رَدِّ السَّلامِ
أَخْبَرَنَا مَالِكٌ، أَخْبَرَنَا أَبُو جَعْفَرٍ الْقَارِيُّ، قَالَ: كُنْتُ مَعَ بْنِ عُمَرَ، فَكَانَ يُسَلِّمُ عَلَيْهِ، فَيَقُولُ: السَّلامُ عَلَيْكُمْ، فَيَقُولُ مِثْلَ مَا يُقَالُ لَهُ.
قَالَ مُحَمَّدٌ: هَذَا لا بَأْسَ بِهِ، وَإِنْ زَادَ الرَّحْمَةَ، وَالْبَرَكَةَ فَهُوَ أَفْضَلُ
tahqiq

তাহকীক:

হাদীস নং: ৯১৪
- বিবিধ প্রসঙ্গ।
সালামের জওয়াব দেয়া।
৯১৪ । ইসহাক ইবনে আব্দুল্লাহ ইবনে আবু তালহা (রাহঃ) থেকে বর্ণিত। তুফাইল ইবনে উবাই ইবনে কাব (রাহঃ) তাকে অবহিত করেন যে, তিনি আব্দুল্লাহ ইবনে উমার (রাযিঃ)-র কাছে আসতেন এবং তার সাথে একত্রে বাজারে যেতেন। তিনি বলেন, আমরা যখন বাজারে প্রবেশ করতাম তখন আব্দুল্লাহ ইবনে উমার (রাযিঃ) বিক্রেতা, ব্যবসায়ী, ফকীর-মিসকীন যার কাছ দিয়েই যেতেন তাকে সালাম দিতেন। তুফাইল (রাহঃ) বলেন, অতএব একদিন আমি তার কাছে এলাম এবং তিনি আমাকে নিয়ে বাজারে রওয়ানা হলেন। আমি বললাম, বাজারে গিয়ে কি করবেন? অথচ আপনি বাজারে গিয়ে কোন দোকানে বসেন না, জিনিস-পত্রের দামও জিজ্ঞেস করেন না, কেনাকাটাও করেন না এবং বাজারের কোন মজলিসেও বসেন না। বরং আপনি আমাদের নিয়ে এখানে বসুন, আমরা কথাবার্তা বলি। আব্দুল্লাহ ইবনে উমার (রাযিঃ) বলেন, হে ভুঁড়িওয়ালা (তার পেট বড়ো ছিলো)! আমরা তো সালাম দেয়ার উদ্দেশ্যে যাই। যার সাথেই দেখা হয় আমরা তাকেই সালাম দেই।
الابواب الجامعة
أَخْبَرَنَا مَالِكٌ، أَخْبَرَنَا إِسْحَاقُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ أَبِي طَلْحَةَ، أَنَّ الطُّفَيْلَ بْنَ أُبَيِّ بْنِ كَعْبٍ أَخْبَرَهُ، أَنَّهُ كَانَ يَأْتِي عَبْدَ اللَّهِ بْنَ عُمَرَ، فَيَغْدُو مَعَهُ إِلَى السُّوقِ، قَالَ: وَإِذَا غَدَوْنَا إِلَى السُّوقِ لَمْ يَمُرَّ عَبْدُ اللَّهِ بْنُ عُمَرَ عَلَى سَقَّاطٍ وَلا صَاحِبِ بَيْعٍ وَلا مِسْكِينٍ وَلا أَحَدٍ إِلا سَلَّمَ عَلَيْهِ.
قَالَ الطُّفَيْلُ بْنُ أُبَيِّ بْنِ كَعْبٍ: فَجِئْتُ عَبْدَ اللَّهِ بْنَ عُمَرَ يَوْمًا، فَاسْتَتْبَعَنِي إِلَى السُّوقِ، قَالَ: فَقُلْتُ: مَا تَصْنَعُ فِي السُّوقِ وَلا تَقِفُ عَلَى الْبَيِّعِ وَلا تَسْأَلُ عَنِ السِّلَعِ وَلا تُسَاوِمُ بِهَا وَلا تَجْلِسُ فِي مَجْلِسِ السُّوقِ؟ اجْلِسْ بِنَا هَهُنَا نَتَحَدَّثُ، فَقَالَ عَبْدُ اللَّهِ بْنُ عُمَرَ يَا أَبَا بَطْنٍ وَكَانَ الطُّفَيْلُ ذَا بَطْنٍ، إِنَّمَا نَغْدُو لأَجْلِ السَّلامِ، نُسَلِّمُ عَلَى مَنْ لَقِينَا
tahqiq

তাহকীক:

হাদীস নং: ৯১৫
- বিবিধ প্রসঙ্গ।
সালামের জওয়াব দেয়া।
৯১৫ । আব্দুল্লাহ ইবনে উমার (রাযিঃ) বলেন, রাসূলুল্লাহ ﷺ বলেছেনঃ ইহুদীরা যখন তোমাদের সাথে মিলিত হয়ে সালাম দেয় তখন বলে, আসসামু আলাইকুম (তোমাদের ক্ষতি হোক)। তোমরা জওয়াবে বলো, ওয়াআলাইকা (তোমাদের উপরই)।
الابواب الجامعة
أَخْبَرَنَا مَالِكٌ، أَخْبَرَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ دِينَارٍ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عُمَرَ، قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: " إِنَّ الْيَهُودَ إِذَا سَلَّمَ عَلَيْكُمْ أَحَدُهُمْ فَإِنَّمَا يَقُولُ: السَّامُ عَلَيْكُمْ، فَقُولُوا: عَلَيْكَ
tahqiq

তাহকীক:

হাদীস নং: ৯১৬
- বিবিধ প্রসঙ্গ।
সালামের জওয়াব দেয়া।
৯১৬। মুহাম্মাদ ইবনে আমর ইবনে আতা (রাহঃ) বলেন, আমি আব্দুল্লাহ ইবনে আব্বাস (রাযিঃ)-র কাছে বসা ছিলাম। এ সময় ইয়ামানের এক ব্যক্তি তার কাছে প্রবেশ করলো এবং বললো, আসসালামু আলাইকুম ওয়া রহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহ্। সে এর সাথে আরো কিছু যোগ করলো। ইবনে আব্বাস (রাযিঃ) জিজ্ঞেস করলেন, এই ব্যক্তি কে? ঐ সময় তার দৃষ্টিশক্তি (বার্ধক্যের কারণে) ক্ষীণ হয়ে গিয়েছিলো। লোকেরা বললো, ইয়ামনের সেই ব্যক্তি, যে আপনার কাছে আসা-যাওয়া করে। তারা তার কিছু পরিচয়ও দিলো। অতঃপর তিনি তাকে চিনতে পারলেন । ইবনে আব্বাস (রাযিঃ) বলেন, সালাম ‘বরকত' (শব্দ) পর্যন্ত শেষ হয়।
ইমাম মুহাম্মাদ (রাহঃ) বলেন, আমরা এই মত গ্রহণ করেছি। 'আসসালামু আলাইকুম ওয়া রহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহ্' পর্যন্ত বলেই থেমে যেতে হবে। কেননা সুন্নতের অনুসরণ করাই উত্তম।
الابواب الجامعة
أَخْبَرَنَا مَالِكٌ، أَخْبَرَنَا أَبُو نُعَيْمٍ وَهْبُ بْنُ كَيْسَانَ، عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ عَمْرِو بْنِ عَطَاءٍ، قَالَ: " كُنْتُ جَالِسًا عِنْدَ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عَبَّاسٍ، فَدَخَلَ عَلَيْهِ رَجُلٌ يَمَانِيٌّ فَقَالَ: السَّلامُ عَلَيْكُمْ وَرَحْمَةُ اللَّهِ وَبَرَكَاتُهُ، ثُمَّ زَادَ شَيْئًا مَعَ ذَلِكَ أَيْضًا قَالَ ابْنُ عَبَّاسٍ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُمَا: مَنْ هَذَا؟ وَهُوَ يَوْمَئِذٍ قَدْ ذَهَبَ بَصَرُهُ [ص:324] قَالُوا: هَذَا الْيَمَانِيُّ الَّذِي يَغْشَاكَ، فَعَرَّفُوهُ إِيَّاهُ حَتَّى عَرَفَهُ، قَالَ ابْنُ عَبَّاسٍ: إِنَّ السَّلامَ انْتَهَى إِلَى الْبَرَكَةِ.
قَالَ مُحَمَّدٌ: وَبِهَذَا نَأْخُذُ، إِذَا قَالَ السَّلامُ عَلَيْكُمْ وَرَحْمَةُ اللَّهِ وَبَرَكَاتُهُ فَلْيَكْفُفْ، فَإِنَّ اتِّبَاعَ السُّنَّةِ أَفْضَلُ
tahqiq

তাহকীক: