আল মুওয়াত্তা-ইমাম মুহাম্মাদ রহঃ

موطأ الإمام مالك برواية الإمام محمد بن الحسن الشيباني

১৮- বিবিধ প্রসঙ্গ। - এর পরিচ্ছেদসমূহ

মোট হাদীস টি

হাদীস নং: ৯৩৯
- বিবিধ প্রসঙ্গ।
চুলে কলপ ব্যবহার করা।
৯৩৯। আবু সালামা ইবনে আব্দুর রহমান (রাহঃ) বলেন, আব্দুর রহমান ইবনুল আসওয়াদ ইবনে আবুদে ইয়াগূছ আমাদের সহযোগী ছিলেন। তার দাড়ি ও মাথার চুল সাদা হয়ে গিয়েছিলো। একদিন ভোরবেলা তিনি চুলে লাল কলপ লাগানো অবস্থায় তাদের নিকট আসলেন। লোকেরা বললো, এটা সর্বোত্তম। আব্দুর রহমান (রাহঃ) বলেন, আমার মা অর্থাৎ নবী ﷺ -এর স্ত্রী আয়েশা (রাযিঃ) গত রাতে তার বাঁদী নুখায়লার মাধ্যমে শপথ দিয়ে বলে পাঠান যে, আমি যেন অবশ্যই চুলে কলপ লাগাই। তিনি আমাকে আরো অবহিত করেন যে, আবু বাকর (রাযিঃ) চুলে কলপ লাগাতেন।
ইমাম মুহাম্মাদ (রাহঃ) বলেন, আমাদের মতে, এক প্রকারের সুগন্ধি ঘাস, মেহেদী এবং হলুদ বর্ণের কলপ ব্যবহারে কোন দোষ নেই। অথবা চুল সাদা অবস্থায় রেখে দেয়ায়ও দোষ নেই। এর সবগুলো পন্থাই উত্তম।**
الابواب الجامعة
بَابُ: الْخِضَابِ
أَخْبَرَنَا مَالِكٌ، أَخْبَرَنَا يَحْيَى بْنُ سَعِيدٍ، أَخْبَرَنَا مُحَمَّدُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ، عَنْ أَبِي سَلَمَةَ بْنِ عَبْدِ الرَّحْمَنِ، أَنَّ عَبْدَ الرَّحْمَنِ بْنَ الأَسْوَدِ بْنِ عَبْدِ يَغُوثَ، كَانَ جَلِيسًا لَنَا، وَكَانَ أَبْيَضَ اللِّحْيَةِ وَالرَّأْسِ، فَغَدَا عَلَيْهِمْ ذَاتَ يَوْمٍ، وَقَدْ حَمَّرَهَا، فَقَالَ لَهُ الْقَوْمُ: هَذَا أَحْسَنُ، فَقَالَ: إِنَّ أُمِّي عَائِشَةَ زَوْجَ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَرْسَلَتْ إِلَيَّ الْبَارِحَةَ جَارِيَتَهَا نُخَيْلَةَ، فَأَقْسَمَتْ عَلَيَّ لأَصْبِغَنَّ، فَأَخْبَرَتْنِي أَنَّ أَبَا بَكْرٍ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ كَانَ يَصْبُغُ، قَالَ مُحَمَّدٌ: لا نَرَى بِالْخِضَابِ بِالْوَسَمَةِ، وَالْحِنَّاءِ، وَالصُّفْرَةِ بَأْسًا، وَإِنْ تَرَكَهُ أَبْيَضَ، فَلا بَأْسَ بِذَلِكَ، كُلُّ ذَلِكَ حَسَنٌ
tahqiq

তাহকীক:

হাদীস নং: ৯৪০
- বিবিধ প্রসঙ্গ।
চুলে কলপ ব্যবহার করা।
৯৪০। ইয়াহইয়া ইবনে সাঈদ (রাহঃ) বলেন, আমি কাসিম ইবনে মুহাম্মাদ (রাহঃ)-কে বলতে শুনেছি, এক ব্যক্তি আব্দুল্লাহ ইবনে আব্বাস (রাযিঃ)-র কাছে এসে বললো, আমার কাছে একটি ইয়াতীম ছেলে আছে এবং তার উট আছে। আমি তার উটের দুধ পান করি। ইবনে আব্বাস (রাযিঃ) তাকে বলেন, তার উট হারিয়ে গেলে যদি তুমি তা খোঁজ করে থাকো, এর খোসপাঁচরার চিকিৎসার ব্যবস্থা করে থাকো এবং এর পানির পাত্র পরিষ্কার করে পানি পান করার দিনে এর পানি পানের ব্যবস্থা করে থাকো, তবে তুমি এর দুধ পান করতে পারো। কিন্তু এমনভাবে দুধ পান করবে না যার ফলে এর বাচ্চার ক্ষতি হতে পারে এবং উষ্ট্রীও অধিক দুধ দোহনের ফলে ধ্বংস হয়ে যেতে পারে।
ইমাম মুহাম্মাদ (রাহঃ) বলেন, আমরা জানতে পেরেছি যে, হযরত উমার (রাযিঃ) ইয়াতীমের উল্লেখপূর্বক বলেছেন, পৃষ্ঠপোষক বা অভিভাবক যদি ধনবান হয় তবে সে তার মাল ব্যবহার থেকে বেঁচে থাকবে এবং ঋণ গ্রহণ করলে উত্তম পন্থায় পরিশোধ করবে। অভিভাবক গরীব হলে শরীআতের নিয়ম অনুযায়ী সে তার মাল থেকে ঋণ গ্রহণ করতে পারে। আমরা জানতে পেরেছি যে, নিম্নোক্ত আয়াতঃ

وَمَن كَانَ غَنِيًّا فَلْيَسْتَعْفِفْ ۖ وَمَن كَانَ فَقِيرًا فَلْيَأْكُلْ بِالْمَعْرُوفِ

“ইয়াতীমের পৃষ্ঠপোষক ধনী হলে পরহেযগারী অবলম্বন করবে, আর গরীব হলে প্রচলিত নিয়মে ভাতা গ্রহণ করবে" (নিসাঃ ৫)-এর ব্যাখ্যায় সাঈদ ইবনে জুবায়ের (রাহঃ) বলেছেন, সম্পদশালী অভিভাবক অবশ্যই ইয়াতীমের মাল ভোগ করা থেকে দূরে থাকবে। কিন্তু গরীব অভিভাবক তার মাল থেকে ঋণ হিসাবে গ্রহণ করে শরীআত নির্ধারিত পন্থায় ভোগ করবে।
الابواب الجامعة
أَخْبَرَنَا مَالِكٌ، أَخْبَرَنَا يَحْيَى بْنُ سَعِيدٍ، قَالَ: سَمِعْتُ الْقَاسِمَ بْنَ مُحَمَّدٍ، يَقُولُ: جَاءَ رَجُلٌ إِلَى ابْنِ عَبَّاسٍ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُمَا فَقَالَ لَهُ: إِنَّ لِي يَتِيمًا، وَلَهُ إِبِلٌ، فَأَشْرَبُ مِنْ لَبَنِ إِبِلِهِ؟ قَالَ لَهُ ابْنُ عَبَّاسٍ: إِنْ كُنْتَ تَبْغِي ضَالَّةَ إِبِلِهِ، وَتَهْنَأُ جَرْبَاهَا، وَتَلِيطُ حَوْضَهَا، وَتَسْقِيهَا يَوْمَ وِرْدِهَا، فَاشْرَبْ غَيْرَ مُضِرٍّ بِنَسْلٍ، وَلا نَاهِكٍ فِي حَلْبٍ.
قَالَ مُحَمَّدٌ: بَلَغَنَا أَنَّ عُمَرَ بْنَ الْخَطَّابِ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ ذَكَرَ وَالِيَ الْيَتِيمِ، فَقَالَ: إِنِ اسْتَغْنَى اسْتَعَفَّ، وَإِنِ افْتَقَرَ أَكَلَ بِالْمَعْرُوفِ قَرْضًا.
بَلَغَنَا عَنْ سَعِيدِ بْنِ جُبَيْرٍ فَسَّرَ هَذِهِ الآيَةَ {وَمَنْ كَانَ غَنِيًّا فَلْيَسْتَعْفِفْ وَمَنْ كَانَ فَقِيرًا فَلْيَأْكُلْ بِالْمَعْرُوفِ} [النساء: 6] ، قَالَ: قَرْضًا
tahqiq

তাহকীক:

হাদীস নং: ৯৪১
- বিবিধ প্রসঙ্গ।
চুলে কলপ ব্যবহার করা।
৯৪১। সিলা ইবনে যুফার (রাহঃ) থেকে বর্ণিত। এক ব্যক্তি আব্দুল্লাহ ইবনে মাসউদ (রাযিঃ)-র কাছে এসে বললো, আমাকে ইয়াতীমের ব্যাপারে উপদেশ দিন। তিনি বলেন, তার মালের সামান্য পরিমাণও খরিদ করো না এবং তার মাল থেকে সামান্য পরিমাণ ঋণও নিও না।
ইমাম মুহাম্মাদ (রাহঃ) বলেন, ইয়াতীমের মাল ব্যবহার থেকে দূরে থাকাই আমাদের কাছে উত্তম। ইমাম আবু হানীফা (রাহঃ) এবং আমাদের ফিকহবিদ সাধারণেরও এই মত।**
الابواب الجامعة
أَخْبَرَنَا سُفْيَانُ الثَّوْرِيُّ، عَنْ أَبِي إِسْحَاقَ، عَنْ صِلَةَ بْنِ زُفَرَ، أَنَّ رَجُلا أَتَى عَبْدَ اللَّهِ بْنَ مَسْعُودٍ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ، فَقَالَ: أَوْصِنِي إِلَى يَتِيمٍ، فَقَالَ: لا تَشْتَرِيَنَّ مِنْ مَالِهِ شَيْئًا، وَلا تَسْتَقْرِضْ مِنْ مَالِهِ شَيْئًا.
وَالاسْتِعْفَافُ عَنْ مَالِهِ عِنْدَنَا أَفْضَلُ، وَهُوَ قَوْلُ أَبِي حَنِيفَةَ، وَالْعَامَّةِ مِنْ فُقَهَائِنَا
tahqiq

তাহকীক: