আল-আদাবুল মুফরাদ- ইমাম বুখারী রহঃ
الأدب المفرد للبخاري
আল-আদাবুল মুফরাদের পরিচ্ছেদসমূহ - এর পরিচ্ছেদসমূহ
মোট হাদীস ২ টি
হাদীস নং: ৫৫৯
আল-আদাবুল মুফরাদের পরিচ্ছেদসমূহ
২৫২. যে অত্যাচারের প্রতিশোধ নেয়
৫৫৯। হযরত আয়েশা (রাযিঃ) বলেন, রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) তাহাকে বলিয়াছেনঃ দেখ, তুমি তোমার প্রতিশোধ লইয়া লও।
أبواب الأدب المفرد للبخاري
بَابُ مَنِ انْتَصَرَ مِنْ ظُلْمِهِ
حَدَّثَنَا إِبْرَاهِيمُ بْنُ مُوسَى قَالَ: أَخْبَرَنِي ابْنُ أَبِي زَائِدَةَ، قَالَ: أَخْبَرَنَا أَبِي، عَنْ خَالِدِ بْنِ سَلَمَةَ، عَنِ الْبَهِيِّ، عَنْ عُرْوَةَ، عَنْ عَائِشَةَ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهَا، أَنَّ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم قَالَ لَهَا: دُونَكِ فَانْتَصِرِي.
তাহকীক:
হাদীস নং: ৫৬০
আল-আদাবুল মুফরাদের পরিচ্ছেদসমূহ
২৫২. যে অত্যাচারের প্রতিশোধ নেয়
৫৬০। হযরত আয়েশা (রাযিঃ) বলেন, একদা নবী করীম (ﷺ)-এর পত্নীগণ হযরত ফাতিমা (রাযিঃ)-কে নবী করীম (ﷺ)-এর কাছে পাঠাইলেন। নবী করীম (ﷺ) তখন হযরত আয়েশা (রাযিঃ)-এর শয্যায় ছিলেন। হযরত ফাতিমা (রাযিঃ) গিয়া ঘরে ঢুকিবার অনুমতি প্রার্থনা করিলেন। নবী করীম (ﷺ) তাঁহাকে অনুমতি প্রদান করিলেন। তিনি তখন প্রবেশ করিলেন এবং বলিলেন যে, আপনার পত্নীরা আমাকে আবু কুহাফার দুহিতার ব্যাপারে তাঁহাদের প্রতি সুবিচার করার কথা বলিবার জন্য আপনার কাছে পাঠাইয়াছেন। তখন রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) বলিলেনঃ প্রিয়তমা কন্যা আমার, আমি যাহা ভালবাসি তাহা কি তুমি ভালবাস ? তিনি বলিলেনঃ নিশ্চয়ই আব্বা। তিনি বলিলেনঃ তবে তুমি তাহাকে ভালবাসিবে। একথা শুনিয়া হযরত ফাতিমা (রাযিঃ) প্রস্থান করিলেন। তিনি সকল কথা আনুপূর্বিক তাহাদিগকে বলিলেন। (সব কিছু শুনিয়া) তাঁহারা বলিলেনঃ তবে তো তোমার দ্বারা আমাদের কোন কাজই হইল না। আবার যাও। তিনি বলিলেনঃ এই প্রসঙ্গ আমি আর কম্মিনকালেও তাঁহার কাছে উত্থাপন করিব না। তখন তাঁহারা নবীপত্নী হযরত যায়নাবকে পাঠাইলেন। তিনি গিয়া ভিতরে প্রবেশের অনুমতি প্রার্থনা করিলেন। নবী করীম (ﷺ) তাঁহাকে অনুমতি প্রদান করিলেন। তিনি তখন সেই কথা তাঁহার কাছে ব্যক্ত করিলেন। তখন যায়নাব আমাকে গালি দিয়া কথা বলিতে লাগিলেন। নবী করীম (ﷺ) আমাকে (জবাব দানের) অনুমতি দেন কিনা সে কথা ভাবিয়া আমি বারবার তাঁহার দিকে তাকাইতে লাগিলাম। অতঃপর যখন বুঝিতে পারিলাম যে, আমি প্রত্যুত্তর করিলে তিনি অসন্তুষ্ট হইবেন না, তখন আমিও যায়নাবকে লইয়া পড়িলাম এমনকি আমি তাহাকে পরাস্ত না করিয়া ছাড়িলাম না। তখন রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) মুচকি হাসিলেন এবং বলিলেন আবু বকরের কন্যা তো, (কে তাহাকে পরাস্ত করিতে পারে)
أبواب الأدب المفرد للبخاري
حَدَّثَنَا الْحَكَمُ بْنُ نَافِعٍ، قَالَ: أَخْبَرَنَا شُعَيْبُ بْنُ أَبِي حَمْزَةَ، عَنِ الزُّهْرِيِّ قَالَ: أَخْبَرَنِي مُحَمَّدُ بْنُ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ الْحَارِثِ بْنِ هِشَامٍ، أَنَّ عَائِشَةَ قَالَتْ: أَرْسَلَ أَزْوَاجُ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم فَاطِمَةَ إِلَى النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم، فَاسْتَأْذَنَتْ وَالنَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم مَعَ عَائِشَةَ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهَا فِي مِرْطِهَا، فَأَذِنَ لَهَا فَدَخَلَتْ، فَقَالَتْ: إِنَّ أَزْوَاجَكَ أَرْسَلْنَنِي يَسْأَلْنَكَ الْعَدْلَ فِي بِنْتِ أَبِي قُحَافَةَ، قَالَ: أَيْ بُنَيَّةُ، أَتُحِبِّينَ مَا أُحِبُّ؟ قَالَتْ: بَلَى، قَالَ: فَأَحِبِّي هَذِهِ، فَقَامَتْ فَخَرَجَتْ فَحَدَّثَتْهُمْ، فَقُلْنَ: مَا أَغْنَيْتِ عَنَّا شَيْئًا فَارْجِعِي إِلَيْهِ، قَالَتْ: وَاللَّهِ لاَ أُكَلِّمُهُ فِيهَا أَبَدًا. فَأَرْسَلْنَ زَيْنَبَ زَوْجَ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم، فَاسْتَأْذَنَتْ، فَأَذِنَ لَهَا، فَقَالَتْ لَهُ ذَلِكَ، وَوَقَعَتْ فِيَّ زَيْنَبُ تَسُبُّنِي، فَطَفِقْتُ أَنْظُرُ: هَلْ يَأْذَنُ لِيَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم، فَلَمْ أَزَلْ حَتَّى عَرَفْتُ أَنَّ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم لاَ يَكْرَهُ أَنْ أَنْتَصِرَ، فَوَقَعْتُ بِزَيْنَبَ، فَلَمْ أَنْشَبْ أَنْ أَثْخَنْتُهَا غَلَبَةً، فَتَبَسَّمَ رَسُولُ اللهِ صلى الله عليه وسلم، ثُمَّ قَالَ: أَمَا إِنَّهَا ابْنَةُ أَبِي بَكْرٍ.
তাহকীক: