মিশকাতুল মাসাবীহ (মিশকাত শরীফ)
مشكاة المصابيح للتبريزي
৪- পাক-পবিত্রতার অধ্যায় - এর পরিচ্ছেদসমূহ
মোট হাদীস ৬ টি
হাদীস নং: ৩৮৬
- পাক-পবিত্রতার অধ্যায়
৩. তৃতীয় অনুচ্ছেদ - মিসওয়াক করা প্রসঙ্গে
৩৮৬। হযরত আবু উমামাহ বাহেলী (রাযিঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) ইরশাদ করেছেন, জিবরাঈল (আ) যখনই আমার নিকট আগমন করতেন, আমাকে মেসওয়াক করার জন্য বলতেন। যাতে আমার এরূপ আশংকা হতে লাগল যে, না জানি (মেসওয়াক করতে করতে) আমার মুখের সম্মুখভাগ আমি ক্ষয় করে ফেলি। -আহমদ
كتاب الطهارة
وَعَنْ أَبِي أُمَامَةَ أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: «مَا جَاءَنِي جِبْرِيلُ عَلَيْهِ السَّلَامُ قَطُّ إِلَّا أَمَرَنِي بِالسِّوَاكِ لَقَدْ خَشِيتُ أَنْ أُحْفِيَ مُقَدِّمَ فِيَّ» . رَوَاهُ أَحْمَدُ
তাহকীক:
হাদীস নং: ৩৮৭
- পাক-পবিত্রতার অধ্যায়
৩. তৃতীয় অনুচ্ছেদ - মিসওয়াক করা প্রসঙ্গে
৩৮৭। হযরত আনাস (রাযিঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেছেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) ইরশাদ করেছেন, মেসওয়াক সম্পর্কে আমি তোমাদেরকে এর অধিক গুরুত্বের কারণেই এরূপ তাকীদ করলাম। —বুখারী
كتاب الطهارة
وَعَنْ أَنَسٍ قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «لَقَدْ أَكْثَرْتُ عَلَيْكُمْ فِي السِّوَاك» رَوَاهُ البُخَارِيّ
তাহকীক:
হাদীস নং: ৩৮৮
- পাক-পবিত্রতার অধ্যায়
৩. তৃতীয় অনুচ্ছেদ - মিসওয়াক করা প্রসঙ্গে
৩৮৮। হযরত আয়েশা (রাযিঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, একদা রাসূলুল্লাহ (ﷺ) মেসওয়াক করছিলেন। ঐ সময় দুইজন লোক (তথায়) উপস্থিত ছিল। যাদের এক ব্যক্তি ছিল অপর ব্যক্তি হতে বড়। তখন রাসূলুল্লাহ (ﷺ)-এর প্রতি মেসওয়াকের মাহাত্ম্য সম্পর্কে অহী নাযিল হল যে, মেসওয়াকটি তাদের বড় লোকটিকে দিন। -আবু দাউদ
كتاب الطهارة
وَعَنْ عَائِشَةَ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهَا قَالَتْ: كَانَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَسْتَنُّ وَعِنْدَهُ رَجُلَانِ أَحَدُهُمَا أَكْبَرُ مِنَ الْآخَرِ فَأُوحِيَ إِلَيْهِ فِي فَضْلِ السِّوَاكِ أَنْ كَبِّرْ أَعْطِ السِّوَاك أكبرهما. رَوَاهُ أَبُو دَاوُد
তাহকীক:
হাদীস নং: ৩৮৯
- পাক-পবিত্রতার অধ্যায়
৩. তৃতীয় অনুচ্ছেদ - মিসওয়াক করা প্রসঙ্গে
৩৮৯। হযরত আয়েশা (রাযিঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেছেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) ইরশাদ করেছেন, মেসওয়াক করে আদায় করা নামাযের ফজীলত সেই নামাযের তুলনায় সত্তর গুণ বেশী, যে নামাযের পূর্বে মেসওয়াক করা হয় নি। -বায়হাকী ফী শুআবিল ঈমান
كتاب الطهارة
وَعَنْهَا قَالَتْ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «تَفْضُلُ الصَّلَاةُ الَّتِي يُسْتَاكُ لَهَا عَلَى الصَّلَاةِ الَّتِي لَا يُسْتَاكُ لَهَا سَبْعِينَ ضعفا» . رَوَاهُ الْبَيْهَقِيّ فِي شعب الْإِيمَان
তাহকীক:
হাদীস নং: ৩৯০
- পাক-পবিত্রতার অধ্যায়
৩. তৃতীয় অনুচ্ছেদ - মিসওয়াক করা প্রসঙ্গে
৩৯০। হযরত আবু সালামাহ (রাযিঃ) হযরত যায়েদ বিন খালেদ জুহানী (রাযিঃ) হতে বর্ণনা করেছেন। তিনি বলেন, আমি রাসূলুল্লাহ (ﷺ)-কে বলতে শুনেছি, যদি না আমি আমার উম্মতের উপর কষ্টকর বলে মনে করতাম তাহলে তাদেরকে প্রত্যেক নামাযের ওয়াক্তে মেসওয়াক করতে আদেশ দিতাম এবং এশার নামায রাত্রির এক-তৃতীয়াংশ পর্যন্ত পিছিয়ে দিতাম।
আবু সালামাহ (রাযিঃ) বলেন, অতঃপর হযরত যায়েদ ইবনে খালেদ (রাযিঃ) নামাযে আসতেন। আর তখন মেসওয়াক তার কানে থাকত। লেখকের কলম যেভাবে তাদের কানে থাকে। তিনি যখনই নামাযের জন্য প্রস্তুত হতেন, তখনই মেসওয়াক করে নিতেন। তারপর পুনরায় তা যথাস্থানে রেখে দিতেন। -তিরমিযী, আবু দাউদ
তবে ইমাম আবু দাউদ (রহ) “আমি ইশার নামাযকে রাত্রির এক-তৃতীয়াংশ পর্যন্ত পিছিয়ে দিতাম” উল্লেখ করেন নি। তিরমিযী (রহ) বলেছেন, এই হাদীসটি হাসান, সহীহ।
আবু সালামাহ (রাযিঃ) বলেন, অতঃপর হযরত যায়েদ ইবনে খালেদ (রাযিঃ) নামাযে আসতেন। আর তখন মেসওয়াক তার কানে থাকত। লেখকের কলম যেভাবে তাদের কানে থাকে। তিনি যখনই নামাযের জন্য প্রস্তুত হতেন, তখনই মেসওয়াক করে নিতেন। তারপর পুনরায় তা যথাস্থানে রেখে দিতেন। -তিরমিযী, আবু দাউদ
তবে ইমাম আবু দাউদ (রহ) “আমি ইশার নামাযকে রাত্রির এক-তৃতীয়াংশ পর্যন্ত পিছিয়ে দিতাম” উল্লেখ করেন নি। তিরমিযী (রহ) বলেছেন, এই হাদীসটি হাসান, সহীহ।
كتاب الطهارة
وَعَنْ أَبِي سَلَمَةَ عَنْ زَيْدِ بْنِ خَالِدٍ الْجُهَنِيّ قَالَ سَمِعْتُ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَقُولُ: «لَوْلَا أَنْ أَشُقَّ عَلَى أُمَّتِي لَأَمَرْتُهُمْ بِالسِّوَاكِ عِنْدَ كُلِّ صَلَاةٍ وَلَأَخَّرْتُ صَلَاةَ الْعِشَاءِ إِلَى ثُلُثِ اللَّيْلِ» قَالَ فَكَانَ زَيْدُ بْنُ خَالِدٍ يَشْهَدُ الصَّلَوَاتِ فِي الْمَسْجِدِ وَسِوَاكُهُ عَلَى أُذُنِهِ مَوْضِعَ الْقَلَمِ مِنْ أُذُنِ الْكَاتِبِ لَا يَقُومُ إِلَى الصَّلَاةِ إِلَّا اسْتَنَّ ثُمَّ رَدَّهُ إِلَى مَوْضِعِهِ. رَوَاهُ التِّرْمِذِيُّ وَأَبُو دَاوُدَ إِلَّا أَنَّهُ لَمْ يَذْكُرْ: «وَلَأَخَّرْتُ صَلَاةَ الْعِشَاءِ إِلَى ثُلُثِ اللَّيْلِ» . وَقَالَ التِّرْمِذِيُّ: هَذَا حَدِيثٌ حسن صَحِيح
তাহকীক:
হাদীস নং: ৩৯১
- পাক-পবিত্রতার অধ্যায়
৪. প্রথম অনুচ্ছেদ - উযূর নিয়ম-কানুন
৩৯১। হযরত আবু হুরায়রাহ (রাযিঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেছেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) ইরশাদ করেছেন, তোমাদের কেউই নিদ্রা হতে জাগ্রত হয়ে যেন তার হাত (পানির) পাত্রে প্রবেশ না করায় যে পর্যন্ত না হাত তিনবার ধৌত করে নেয়। কেননা সে জানে না যে, তার হাত রাতে (নিদ্রার মধ্যে) কোথায় কোথায় ছিল। -বুখারী, মুসলিম
كتاب الطهارة
بَابُ سُنَنِ الْوُضُوْءِ
وَعَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «إِذَا اسْتَيْقَظَ أَحَدُكُمْ مِنْ نَوْمِهِ فَلَا يَغْمِسْ يَدَهُ فِي الْإِنَاءِ حَتَّى يَغْسِلَهَا فَإِنَّهُ لَا يَدْرِي أَيْنَ بَاتَتْ يَدُهُ»
তাহকীক: