মিশকাতুল মাসাবীহ (মিশকাত শরীফ)
مشكاة المصابيح للتبريزي
৪- পাক-পবিত্রতার অধ্যায় - এর পরিচ্ছেদসমূহ
মোট হাদীস ৬ টি
হাদীস নং: ৪৫১
- পাক-পবিত্রতার অধ্যায়
৬. প্রথম অনুচ্ছেদ - নাপাক ব্যক্তির সাথে মেলামেশা
৪৫১। হযরত আবু হুরায়রাহ (রাযিঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেছেন, একবার আমার সাথে রাসূলুল্লাহ (ﷺ) এর সাক্ষাত ঘটল। তখন আমি (শুক্র স্খলনজনিত কারণে) অপবিত্র ছিলাম। (এমতাবস্থায়) তিনি আমার হাত ধরলেন এবং আমি তাঁর সাথে চলতে থাকলাম, যে পর্যন্ত না তিনি বসে গেলেন। এরপর সঙ্কুচিতভাবে (তাঁর নিকট হতে) সরে পড়লাম এবং যথাস্থানে গোসল করলাম। তারপর আবার আমি তাঁর নিকট উপস্থিত হলাম। তিনি তখনও সেখানে বসে বসা ছিলেন। (আমাকে দেখে) বললেন, হে আবু হুরায়রাহ! তুমি এতক্ষণ কোথায় ছিলে? তখন আমি তাঁকে আমার ব্যাপারটি বললাম। তা শুনে তিনি বললেন, সুবহানাল্লাহ! (কি বলছ?) মু'মিন ব্যক্তি কখনও অপবিত্র হয়ে যায় না- এটা বুখারীর রেওয়ায়াত। এর ভাবার্থ মুসলিমও বর্ণনা করেছেন এবং সেই বর্ণনায় “আমি তাঁকে বললাম” এরপর এটি অতিরিক্ত রয়েছে, যখন আমার সাথে আপনার দেখা হল, তখন আমি অপবিত্র। অতএব আপনার কাছে আমার বসে থাকা অপছন্দ করলাম- যে পর্যন্ত না আমি গোসল করে আসি। বুখারীর অপর এক রেওয়ায়াতেও এরূপ রয়েছে।
كتاب الطهارة
بَابُ مُخَالَطَةِ الْجُنُبِ
عَن أَبِي هُرَيْرَةَ قَالَ: لَقِيَنِي رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَأَنَا جُنُبٌ فَأَخَذَ بِيَدِي فمشيت مَعَهُ حَتَّى قَعَدَ فَانْسَلَلْتُ فَأَتَيْتُ الرَّحْلَ فَاغْتَسَلْتُ ثُمَّ جِئْتُ وَهُوَ قَاعِدٌ فَقَالَ: «أَيْنَ كُنْتَ يَا أَبَا هُرَيْرَة» فَقُلْتُ لَهُ فَقَالَ: «سُبْحَانَ اللَّهِ إِنَّ الْمُؤْمِنَ لَا يَنْجَسُ» . هَذَا لَفْظُ الْبُخَارِيِّ وَلِمُسْلِمٍ مَعْنَاهُ وَزَادَ بَعْدَ قَوْلِهِ: فَقُلْتُ لَهُ: لَقَدْ لَقِيتَنِي وَأَنَا جُنُبٌ فَكَرِهْتُ أَنْ أُجَالِسَكَ حَتَّى أَغْتَسِلَ. وَكَذَا البُخَارِيّ فِي رِوَايَة أُخْرَى
তাহকীক:
হাদীস নং: ৪৫২
- পাক-পবিত্রতার অধ্যায়
৬. প্রথম অনুচ্ছেদ - নাপাক ব্যক্তির সাথে মেলামেশা
৪৫২। হযরত আব্দুল্লাহ ইবন উমর (রাযিঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেছেন, একদা [আমর পিতা] ওমর ইবনুল খাত্তাব রাসূলুল্লাহ (ﷺ)-এর নিকট বললেন যে, রাতে তাঁর গোসল ফরজ হয়, (তখন তিনি কি করবেন] রাসূলুল্লাহ (ﷺ) তাঁকে বললেন, তখন তুমি অজু করবে এবং তোমার পুরুষাঙ্গ ধৌত করবে, অতঃপর ঘুমাবে। -বুখারী, মুসলিম
كتاب الطهارة
بَابُ مُخَالَطَةِ الْجُنُبِ
وَعَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عُمَرَ أَنه قَالَ: ذَكَرَ عُمَرُ بْنُ الْخَطَّابِ لِرَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَنَّهُ تُصِيبُهُ الْجَنَابَةُ مِنَ اللَّيْلِ فَقَالَ لَهُ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «تَوَضَّأْ وَاغْسِلْ ذَكَرَكَ ثُمَّ نم»
তাহকীক:
হাদীস নং: ৪৫৩
- পাক-পবিত্রতার অধ্যায়
৬. প্রথম অনুচ্ছেদ - নাপাক ব্যক্তির সাথে মেলামেশা
৪৫৩। হযরত আয়েশা (রাযিঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেছেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ)-এর যখন গোসল ফরজ হওয়ার অবস্থা হত এবং তিনি কিছু খেতে বা ঘুমাতে ইচ্ছা করতেন তখন তিনি অজু করতেন, আর তা হতো নামাযের অজুর ন্যায়। বুখারী, মুসলিম
كتاب الطهارة
بَابُ مُخَالَطَةِ الْجُنُبِ
وَعَنْ عَائِشَةَ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهَا قَالَتْ: كَانَ النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ إِذَا كَانَ جُنُبًا فَأَرَادَ أَنْ يَأْكُلَ أَوْ ينَام تَوَضَّأ وضوءه للصَّلَاة
তাহকীক:
হাদীস নং: ৪৫৪
- পাক-পবিত্রতার অধ্যায়
৬. প্রথম অনুচ্ছেদ - নাপাক ব্যক্তির সাথে মেলামেশা
৪৫৪। হযরত আবু সাঈদ খুদরী (রাযিঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেছেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) ইরশাদ করেছেন, তোমাদের কেউ তার স্ত্রীর সাথে একবার সহবাস করতঃ পুনরায় সহবাস করতে চাইলে সে যেন মাঝখানে অজু করে। -মুসলিম
كتاب الطهارة
بَابُ مُخَالَطَةِ الْجُنُبِ
وَعَنْ أَبِي سَعِيدٍ الْخُدْرِيِّ قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «إِذَا أَتَى أَحَدُكُمْ أَهْلَهُ ثُمَّ أَرَادَ أَنْ يَعُودَ فَلْيَتَوَضَّأْ بَينهمَا وضُوءًا» . رَوَاهُ مُسلم
তাহকীক:
হাদীস নং: ৪৫৫
- পাক-পবিত্রতার অধ্যায়
৬. প্রথম অনুচ্ছেদ - নাপাক ব্যক্তির সাথে মেলামেশা
৪৫৫। হযরত আনাস (রাযিঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেছেন, নবী পাক (ﷺ)* তাঁর বিভিন্ন স্ত্রীর নিকট যেতেন একই গোসলে। মাঝখানে গোসল করতেন না। (শুধু) অজু করতেন। -মুসলিম
* একাধিক স্ত্রী থাকলে সেক্ষেত্রে পালাক্রমে প্রত্যেক স্ত্রীর কাছে ন্যূনতম একরাত করে অবস্থান করা ওয়াজিব। কিন্তু নবী করীম (ﷺ) পালা নির্ধারণ না করে কীভাবে একই রাতে সমস্ত স্ত্রীর সাথে সহবাস করলেন। নিম্নে এ বিষয়ে আলোচনা করা হলোঃ (১) হযরত আবু সাঈদ খুদরী (রাযিঃ) বলেন, পালা নির্ধারণ করা হুজুর (ﷺ)-এর উপর ওয়াজিব ছিল না। তবে তিনি স্বেচ্ছায় নিজের তরফ হতে তাদের মধ্যে সমান ব্যবহার করতেন।
(২) আল্লামা শাওবানি (রহ) বলেন, সম্ভবত হুজুর (ﷺ) কোনো সফরে যাওয়ার আগে বা সফর হতে আগমন করে কারো জন্য পালা বা দিন তারিখ নির্ধারণ করার পূর্বেই একরাতে স্ত্রীদের সাথে সহবাস করেছেন। এটা ছাড়া অন্য কোনো কারণও হতে পারে।
(৩) অধিকাংশ ওলামার মতে তার উপর পালা নির্ধারণ করা ওয়াজিব ছিল বটে। তবে তিনি তাদের (স্ত্রীদের) অনুমতি ক্রমেই এরূপ করতেন।
মহানবী (ﷺ)-এর পবিত্রতমা স্ত্রীগণের মুবারক নামসমূহঃ
১। হযরত খাদীজাতুল কুবরা (রাযিঃ), ২। হযরত আয়েশা সিদ্দিকা (রাযিঃ), ৩। হযরত হাফসা (রাযিঃ), ৪। হযরত উম্মে হাবীবা (রাযিঃ), ৫। উম্মে সালমা (রাযিঃ), ৬। সাওদা (রাযিঃ), ৭। জয়নাব (রাযিঃ), ৮। মায়মুনা, ৯। উম্মুল মাসাকীন জয়নাব (রাযিঃ), ১০। জুওয়ায়রিয়া, ১১। সফিয়্যা (রাযিঃ)। (মেরকাত)
* একাধিক স্ত্রী থাকলে সেক্ষেত্রে পালাক্রমে প্রত্যেক স্ত্রীর কাছে ন্যূনতম একরাত করে অবস্থান করা ওয়াজিব। কিন্তু নবী করীম (ﷺ) পালা নির্ধারণ না করে কীভাবে একই রাতে সমস্ত স্ত্রীর সাথে সহবাস করলেন। নিম্নে এ বিষয়ে আলোচনা করা হলোঃ (১) হযরত আবু সাঈদ খুদরী (রাযিঃ) বলেন, পালা নির্ধারণ করা হুজুর (ﷺ)-এর উপর ওয়াজিব ছিল না। তবে তিনি স্বেচ্ছায় নিজের তরফ হতে তাদের মধ্যে সমান ব্যবহার করতেন।
(২) আল্লামা শাওবানি (রহ) বলেন, সম্ভবত হুজুর (ﷺ) কোনো সফরে যাওয়ার আগে বা সফর হতে আগমন করে কারো জন্য পালা বা দিন তারিখ নির্ধারণ করার পূর্বেই একরাতে স্ত্রীদের সাথে সহবাস করেছেন। এটা ছাড়া অন্য কোনো কারণও হতে পারে।
(৩) অধিকাংশ ওলামার মতে তার উপর পালা নির্ধারণ করা ওয়াজিব ছিল বটে। তবে তিনি তাদের (স্ত্রীদের) অনুমতি ক্রমেই এরূপ করতেন।
মহানবী (ﷺ)-এর পবিত্রতমা স্ত্রীগণের মুবারক নামসমূহঃ
১। হযরত খাদীজাতুল কুবরা (রাযিঃ), ২। হযরত আয়েশা সিদ্দিকা (রাযিঃ), ৩। হযরত হাফসা (রাযিঃ), ৪। হযরত উম্মে হাবীবা (রাযিঃ), ৫। উম্মে সালমা (রাযিঃ), ৬। সাওদা (রাযিঃ), ৭। জয়নাব (রাযিঃ), ৮। মায়মুনা, ৯। উম্মুল মাসাকীন জয়নাব (রাযিঃ), ১০। জুওয়ায়রিয়া, ১১। সফিয়্যা (রাযিঃ)। (মেরকাত)
كتاب الطهارة
بَابُ مُخَالَطَةِ الْجُنُبِ
وَعَنْ أَنَسٍ قَالَ: كَانَ النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يطوف على نِسَائِهِ وَبِغسْلِ وَاحِد. رَوَاهُ مُسلم
তাহকীক:
হাদীস নং: ৪৫৬
- পাক-পবিত্রতার অধ্যায়
৬. প্রথম অনুচ্ছেদ - নাপাক ব্যক্তির সাথে মেলামেশা
৪৫৬। হযরত আয়েশা (রাযিঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেছেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) সর্বাবস্থায় আল্লাহকে স্মরণ করতেন। —মুসলিম
كتاب الطهارة
بَابُ مُخَالَطَةِ الْجُنُبِ
وَعَنْ عَائِشَةَ قَالَتْ: كَانَ النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَذْكُرُ اللَّهَ عَزَّ وَجَلَّ عَلَى كُلِّ أَحْيَانِهِ. رَوَاهُ مُسْلِمٌ
وَحَدِيثُ ابْنِ عَبَّاسٍ سَنَذْكُرُهُ فِي كِتَابِ الْأَطْعِمَةِ إِنْ شَاءَ اللَّهُ
وَحَدِيثُ ابْنِ عَبَّاسٍ سَنَذْكُرُهُ فِي كِتَابِ الْأَطْعِمَةِ إِنْ شَاءَ اللَّهُ
তাহকীক: