মিশকাতুল মাসাবীহ (মিশকাত শরীফ)
مشكاة المصابيح للتبريزي
৪- পাক-পবিত্রতার অধ্যায় - এর পরিচ্ছেদসমূহ
মোট হাদীস ১১ টি
হাদীস নং: ৪৬১
- পাক-পবিত্রতার অধ্যায়
৬. দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ - নাপাক ব্যক্তির সাথে মেলামেশা
৪৬১। ইবনু উমার (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেছেনঃ ঋতুবতী স্ত্রীলোক ও নাপাক ব্যক্তি কুরআন মাজীদের কিয়দংশও পড়তে পারবে না। (তিরমিযী)
كتاب الطهارة
وَعَنِ ابْنِ عُمَرَ قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «لَا تَقْرَأُ الْحَائِضُ وَلَا الْجُنُبُ شَيْئًا مِنَ الْقُرْآنِ» . رَوَاهُ التِّرْمِذِيُّ
তাহকীক:
হাদীস নং: ৪৬২
- পাক-পবিত্রতার অধ্যায়
৬. দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ - নাপাক ব্যক্তির সাথে মেলামেশা
৪৬২। ’আয়িশাহ্ (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, নবী (ﷺ) বলেছেনঃ এসব ঘরের দরজা মসজিদে নাবাবীর দিক হতে ফিরিয়ে দাও। আমি মাসজিদকে ঋতুবতী মহিলা ও নাপাক ব্যক্তির জন্য জায়েয মনে করি না। (আবু দাউদ)
كتاب الطهارة
وَعَنْ عَائِشَةَ قَالَتْ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «وَجِّهُوا هَذِهِ الْبُيُوتَ عَنِ الْمَسْجِدِ فَإِنِّي لَا أُحِلُّ الْمَسْجِدَ لِحَائِضٍ وَلَا جنب» . رَوَاهُ أَبُو دَاوُد
তাহকীক:
হাদীস নং: ৪৬৩
- পাক-পবিত্রতার অধ্যায়
৬. দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ - নাপাক ব্যক্তির সাথে মেলামেশা
৪৬৩। হযরত আলী (রাযিঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেছেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) ইরশাদ করেছেন, (রহমতের) ফিরিশতা সেই ঘরে প্রবেশ করে না, যাতে কোন ছবি রয়েছে অথবা কুকুর বা অপবিত্র ব্যক্তি রয়েছে। -আবু দাউদ, নাসায়ী
كتاب الطهارة
وَعَنْ عَلِيٍّ قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسلم: «لَا تدخل الْمَلَائِكَةُ بَيْتًا فِيهِ صُورَةٌ وَلَا كَلْبٌ وَلَا جنب» . رَوَاهُ أَبُو دَاوُد وَالنَّسَائِيّ
তাহকীক:
হাদীস নং: ৪৬৪
- পাক-পবিত্রতার অধ্যায়
৬. দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ - নাপাক ব্যক্তির সাথে মেলামেশা
৪৬৪। হযরত আম্মার ইবনে ইয়াসির (রহ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেছেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) ইরশাদ করেছেন, তিন ব্যক্তি এইরূপ যাদের নিকট (রহমতের) ফিরিশতা আসে না। যথাঃ কাফিরের মৃতদেহ, খালুক ব্যবহারকারী এবং অপবিত্র লোক। কিন্তু অজু করলে আসতে বাধা থাকে না। —আবু দাউদ
كتاب الطهارة
وَعَنْ عَمَّارِ بْنِ يَاسِرٍ قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «ثَلَاثٌ لَا تَقْرَبُهُمُ الْمَلَائِكَةُ جِيفَةُ الْكَافِرِ وَالْمُتَضَمِّخُ بِالْخَلُوقِ وَالْجُنُبُ إِلَّا أَن يتَوَضَّأ» . رَوَاهُ أَبُو دَاوُد
তাহকীক:
হাদীস নং: ৪৬৫
- পাক-পবিত্রতার অধ্যায়
৬. দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ - নাপাক ব্যক্তির সাথে মেলামেশা
৪৬৫। হযরত আব্দুল্লাহ ইবন আবুবকর ইবনে মুহাম্মাদ ইবন আমর ইবন হাযম হতে বর্ণিত। রাসূলুল্লাহ (ﷺ) আমর ইবন হাযমের নিকট যে পত্র লিখেছেন, তাতে এটাও ছিল যে, পবিত্র লোক ছাড়া যেন কেউ কুরআন স্পর্শ না করে। -মালেক, দারা কুত্নী
كتاب الطهارة
وَعَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ أَبِي بَكْرِ بْنِ مُحَمَّدِ بْنِ عَمْرِو بْنِ حَزْمٍ: أَنَّ فِي الْكِتَابِ الَّذِي كَتَبَهُ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسلم لعَمْرو بن حزم: «أَن لَا يَمَسَّ الْقُرْآنَ إِلَّا طَاهِرٌ» . رَوَاهُ مَالِكٌ وَالدَّارَقُطْنِيُّ
তাহকীক:
হাদীস নং: ৪৬৬
- পাক-পবিত্রতার অধ্যায়
৬. দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ - নাপাক ব্যক্তির সাথে মেলামেশা
৪৬৬। হযরত নাফে' (রাযিঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেছেন, একবার আমি হযরত আব্দুল্লাহ ইবন উমর (রাযিঃ)-এর সাথে তাঁরই কোন কাজে ইবন আব্বাস (রাযিঃ)-এর নিকট গিয়েছিলাম। অতঃপর তিনি তাঁর কাজ সমাধা করলেন। সেইদিন তার কথার মধ্যে এই কথাটি ছিলঃ তিনি বললেন যে, এক ব্যক্তি কোন এক গলিতে হ্যাঁটছিল এবং তথায় তার সাথে রাসূলুল্লাহ (ﷺ)-এর সাক্ষাত হল। তিনি তখন পায়খানা বা প্রস্রাবখানা হতে বের হয়েছিলেন। সে তাকে সালাম করল; কিন্তু তিনি জবাব দিলেন না। এক পর্যায়ে লোকটি গলির মধ্যে চোখের আড়ালে চলে যাচ্ছিল। তখন রাসূলুল্লাহ (ﷺ) স্বীয় হস্তদ্বয় দেয়ালের উপর রেখে তা দ্বারা মুখমণ্ডল মাসেহ করলেন। তারপর আবার হাত রেখে তা দ্বারা দুইহাত মাসেহ করলেন। (অর্থাৎ তাইয়াম্মুম করলেন)। তারপর লোকটির সালামের জবাব দিলেন এবং বললেন, আমি অজুবিশিষ্ট ছিলাম না, যা তোমার সালামের জবাব দিতে আমাকে বাধা দিয়েছিল। -আবু দাউদ
كتاب الطهارة
وَعَنْ نَافِعٍ قَالَ: انْطَلَقْتُ مَعَ ابْنِ عُمَرَ فِي حَاجَة إِلَى ابْن عَبَّاس فَقَضَى ابْنُ عُمَرَ حَاجَتَهُ وَكَانَ مِنْ حَدِيثِهِ يَوْمَئِذٍ أَنْ قَالَ مَرَّ رَجُلٌ فِي سِكَّةٍ مِنَ السِّكَكِ فَلَقِيَ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَقَدْ خَرَجَ مِنْ غَائِطٍ أَوْ بَوْلٍ فَسَلَّمَ عَلَيْهِ فَلَمْ يَرُدَّ عَلَيْهِ حَتَّى كَادَ الرَّجُلُ أَنْ يَتَوَارَى فِي السِّكَّةِ ضَرَبَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ بِيَدَيْهِ عَلَى الْحَائِطِ وَمَسَحَ بِهِمَا وَجْهَهُ ثُمَّ ضَرَبَ ضَرْبَةً أُخْرَى فَمَسَحَ ذِرَاعَيْهِ ثُمَّ رَدَّ عَلَى الرَّجُلِ السَّلَامَ وَقَالَ: «إِنَّهُ لَمْ يَمْنَعْنِي أَنْ أَرُدَّ عَلَيْكَ السَّلَامَ إِلَّا أَنِّي لَمْ أَكُنْ على طهر» . رَوَاهُ أَبُو دَاوُد
তাহকীক:
হাদীস নং: ৪৬৭
- পাক-পবিত্রতার অধ্যায়
৬. দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ - নাপাক ব্যক্তির সাথে মেলামেশা
৪৬৭। হযরত মুহাজির ইবনে কুনফুয (রাযিঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেছেন যে, একবার তিনি নবী পাক (ﷺ)-এর নিকট আগমন করলেন। নবী পাক (ﷺ) তখন প্রস্রাব করছিলেন। তিনি তাকে সালাম করলেন; কিন্তু নবী পাক (ﷺ) তার জবাব দিলেন না- যে পর্যন্ত না অজু করলেন। অতঃপর তিনি ওজর পেশ করে বললেন অজু ব্যতীত আমি আল্লাহর নাম উচ্চারণ করা পছন্দ করি নি। -আবু দাউদ
كتاب الطهارة
وَعَن المُهَاجر بن قنفذ: أَنَّهُ أَتَى النَّبِيَّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَهُوَ يَبُولُ فَسَلَّمَ عَلَيْهِ فَلَمْ يَرُدَّ عَلَيْهِ حَتَّى تَوَضَّأ ثمَّ اعتذر إِلَيْهِ فَقَالَ: «إِنِّي كرهت أَن أذكر الله عز وَجل إِلَّا على طهر أَو قَالَ على طَهَارَة» . رَوَاهُ أَبُو دَاوُدَ وَرَوَى النَّسَائِيُّ إِلَى قَوْلِهِ: حَتَّى تَوَضَّأَ وَقَالَ: فَلَمَّا تَوَضَّأَ رَدَّ عَلَيْهِ
তাহকীক:
হাদীস নং: ৪৬৮
- পাক-পবিত্রতার অধ্যায়
৬. তৃতীয় অনুচ্ছেদ - নাপাক ব্যক্তির সাথে মেলামেশা
৪৬৮। উম্মুল মু'মিনীন হযরত উম্মে সালামা (রাযিঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেছেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) আমার বিছানায় বীর্যপাত অবস্থায় নিদ্রা যেতেন। আবার জাগ্রত হতেন। আবার নিদ্রা যেতেন, অর্থাৎ গোসলের জন্য খুব বেশী তাড়াহুড়া করতেন না। -আহমদ
كتاب الطهارة
عَنْ أُمِّ سَلَمَةَ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهَا قَالَتْ: كَانَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يُجْنِبُ ثُمَّ يَنَامُ ثُمَّ يَنْتَبِهُ ثُمَّ يَنَامُ. رَوَاهُ أَحْمد
তাহকীক:
হাদীস নং: ৪৬৯
- পাক-পবিত্রতার অধ্যায়
৬. তৃতীয় অনুচ্ছেদ - নাপাক ব্যক্তির সাথে মেলামেশা
৪৬৯। হযরত শো'বা (রাযিঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেছেন, হযরত আব্দুল্লাহ ইবন আব্বাস (রাযিঃ) নাপাকীর গোসল করার সময় ডানহাত দ্বারা বামহাতের উপর সাতবার পানি ঢালতেন। তারপর তাঁর যৌনাঙ্গ ধৌত করতেন। একবার তিনি ভুলে গিয়ে আমাকে জিজ্ঞেস করলেন যে, পানি কতবার ঢেলেছেন? আমি বললাম, তা আমি বলতে পারি না। তিনি বললেন, তুমি মাতৃহারা হও। কিসে তোমাকে এটা জানতে বাধা দিল? এরপর তিনি নামাযের অজুর ন্যায় অজু করলেন। তারপর নিজের চামড়ার উপর পানি ঢাললেন। একদা এইরূপ গোসল করে বললেন, এভাবে রাসূলুল্লাহ (ﷺ) পবিত্রতা অর্জন করতেন। -আবু দাউদ
كتاب الطهارة
وَعَنْ شُعْبَةَ قَالَ: إِنَّ ابْنَ عَبَّاسٍ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ كَانَ إِذَا اغْتَسَلَ مِنَ الْجَنَابَةِ يفرغ بِيَدِهِ الْيُمْنَى عَلَى يَدِهِ الْيُسْرَى سَبْعَ مِرَارٍ ثُمَّ يَغْسِلُ فَرْجَهُ فَنَسِيَ مَرَّةً كَمْ أَفْرَغَ فَسَأَلَنِي كم أفرغت فَقُلْتُ لَا أَدْرِي فَقَالَ لَا أُمَّ لَكَ وَمَا يَمْنَعُكَ أَنْ تَدْرِيَ ثُمَّ يَتَوَضَّأُ وُضُوءَهُ لِلصَّلَاةِ ثُمَّ يُفِيضُ عَلَى جِلْدِهِ الْمَاءُ ثُمَّ يَقُولُ هَكَذَا كَانَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يتَطَهَّر. رَوَاهُ أَبُو دَاوُد
তাহকীক:
হাদীস নং: ৪৭০
- পাক-পবিত্রতার অধ্যায়
৬. তৃতীয় অনুচ্ছেদ - নাপাক ব্যক্তির সাথে মেলামেশা
৪৭০। হযরত আবু রাফে' (রাযিঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেছেন, একদিন রাসূলুল্লাহ (ﷺ) তাঁর সকল স্ত্রীর নিকট ঘুরে বেড়ালেন যৌন সঙ্গম সহকারে। তিনি একজনের নিকট একবার এবং আর একজনের নিকট একবার গোসল করলেন। আবু রাফে বলেন, আমি বললাম, ইয়া রাসূলাল্লাহ! সবশেষে একবার মাত্রই কেন গোসল করলেন না? তিনি বললেন, এটা হল অধিক পবিত্র, অধিক আনন্দদায়ক এবং অধিক পরিচ্ছন্ন কাজ। -আহমদ, আবু দাউদ
كتاب الطهارة
وَعَن أَبِي رَافِعٍ: أَنَّ النَّبِيَّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ طَافَ ذَاتَ يَوْمٍ عَلَى نِسَائِهِ يَغْتَسِلُ عِنْدَ هَذِهِ وَعِنْدَ هَذِهِ قَالَ فَقُلْتُ لَهُ يَا رَسُولَ اللَّهِ أَلَا تَجْعَلُهُ غُسْلًا وَاحِدًا آخِرًا قَالَ: «هَذَا أَزْكَى وَأطيب وأطهر» . رَوَاهُ أَحْمد وَأَبُو دَاوُد
তাহকীক:
হাদীস নং: ৪৭১
- পাক-পবিত্রতার অধ্যায়
৬. তৃতীয় অনুচ্ছেদ - নাপাক ব্যক্তির সাথে মেলামেশা
৪৭১। হযরত হাকাম ইবন আমর (রাযিঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেছেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) স্ত্রীলোকের অজুর অবশিষ্ট পানি দ্বারা পুরুষ লোককে অজু করতে নিষেধ করেছেন। -আবু দাউদ, ইবনে মাজাহ, তিরমিযী
তিরমিযী أَوْ قَالَ: بِسُؤْرِهَا কথাটি অতরিক্ত উল্লেখ করেছেন এবং বলেছেন, এটি হাসান-সহীহ হাদীছ।
তিরমিযী أَوْ قَالَ: بِسُؤْرِهَا কথাটি অতরিক্ত উল্লেখ করেছেন এবং বলেছেন, এটি হাসান-সহীহ হাদীছ।
كتاب الطهارة
وَعَن الحكم بن عَمْرو قَالَ: نَهَى رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَنْ يَتَوَضَّأَ الرَّجُلُ بِفَضْلِ طَهُورِ الْمَرْأَةِ. رَوَاهُ أَبُو دَاوُدَ وَابْنُ مَاجَهْ وَالتِّرْمِذِيُّ: وَزَادَ: أَوْ قَالَ: بِسُؤْرِهَا. وَقَالَ: هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيح
তাহকীক: