মিশকাতুল মাসাবীহ (মিশকাত শরীফ)
مشكاة المصابيح للتبريزي
৫- নামাযের অধ্যায় - এর পরিচ্ছেদসমূহ
মোট হাদীস ৬ টি
হাদীস নং: ৬৭৪
- নামাযের অধ্যায়
৫. তৃতীয় অনুচ্ছেদ - আযানের ফযীলত ও মুয়াযযিনের উত্তর দান
৬৭৪। হযরত জাবের (রাযিঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেছেন, আমি নবী পাক (ﷺ)-কে বলতে শুনেছি, শয়তান যখন নামাযের আযান শুনে তখন সে দৌড়ে পালাতে থাকে যে পর্যন্ত না সে রাওহায় পৌঁছে। রাবী বলেন, রাওহা মদীনা হতে ছত্রিশ মাইল দূরে অবস্থিত। -মুসলিম
كتاب الصلاة
عَنْ جَابِرٍ قَالَ سَمِعْتُ النَّبِيَّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَقُولُ: «إِنَّ الشَّيْطَانَ إِذَا سَمِعَ النِّدَاءَ بِالصَّلَاةِ ذَهَبَ حَتَّى يَكُونَ مَكَانَ الرَّوْحَاءِ» . رَوَاهُ مُسلم
তাহকীক:
হাদীস নং: ৬৭৫
- নামাযের অধ্যায়
৫. তৃতীয় অনুচ্ছেদ - আযানের ফযীলত ও মুয়াযযিনের উত্তর দান
৬৭৫। হযরত আলকামাহ ইবনে আবু ওয়াককাছ (রাযিঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেছেন, (একবার) আমি হযরত মুআবিয়া (রাযিঃ)-এর নিকট ছিলাম। যখন তার মুয়াযযিন আযান দিচ্ছিলেন তখন মুআবিয়া (রাযিঃ) জবাবে তাই বললেন, যা মুয়াযযিন বলেছিলেন। তবে যখন মুয়াযযিন হাইয়্যা আলাছ ছালাহ এবং হাইয়্যা আলাল ফালাহ বললেন, তখন হযরত মুআবিয়া (রাযিঃ) বললেন, লা হাওলা ওয়ালা কুওয়্যাতা ইল্লা বিল্লাহিল আলিয়্যিল আজীম। এরপর মুয়াযযিন যা বললেন, তিনিও তাই বললেন। তারপর বললেন যে, আমি রাসূলুল্লাহ (ﷺ) কে এভাবেই আযানের জবাব দিতে শুনেছি। -আহমদ
كتاب الصلاة
وَعَنْ عَلْقَمَةَ بْنِ وَقَّاصٍ قَالَ: (إِنِّي لَعِنْدَ مُعَاوِيَةَ إِذْ أَذَّنَ مُؤَذِّنُهُ فَقَالَ مُعَاوِيَةُ كَمَا قَالَ مُؤَذِّنُهُ حَتَّى إِذَا قَالَ: حَيَّ عَلَى الصَّلَاةِ: قَالَ: لَا حَوْلَ وَلَا قُوَّةَ إِلَّا بِاللَّهِ فَلَمَّا قَالَ: حَيَّ عَلَى الْفَلَاحِ قَالَ: لَا حَوْلَ وَلَا قُوَّةَ إِلَّا بِاللَّهِ الْعَلِيِّ الْعَظِيمِ وَقَالَ بَعْدَ ذَلِكَ مَا قَالَ الْمُؤَذِّنُ ثُمَّ قَالَ: سَمِعْتُ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسلم قَالَ ذَلِك. رَوَاهُ أَحْمد
তাহকীক:
হাদীস নং: ৬৭৬
- নামাযের অধ্যায়
৫. তৃতীয় অনুচ্ছেদ - আযানের ফযীলত ও মুয়াযযিনের উত্তর দান
৬৭৬। হযরত আবু হুরায়রাহ (রাযিঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেছেন, এক সময় আমরা রাসূলুল্লাহ (ﷺ)-এর সাথে ছিলাম। তখন হযরত বেলাল (রাযিঃ) দাঁড়িয়ে আযান দিতে শুরু করলেন। বেলাল (রাযিঃ)-এর আযান শেষ হলে রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বললেন, যে আন্তরিক বিশ্বাসের সাথে ঐ বাক্যসমূহ বলবে, সে বেহেশতে যাবে। -নাসায়ী
كتاب الصلاة
وَعَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ قَالَ: كُنَّا مَعَ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَقَامَ بِلَالٌ يُنَادِي فَلَمَّا سَكَتَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «مَنْ قَالَ مِثْلَ هَذَا يَقِينا دخل الْجنَّة» . رَوَاهُ النَّسَائِيّ
তাহকীক:
হাদীস নং: ৬৭৭
- নামাযের অধ্যায়
৫. তৃতীয় অনুচ্ছেদ - আযানের ফযীলত ও মুয়াযযিনের উত্তর দান
৬৭৭। হযরত আয়েশা (রাযিঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেছেন, নবী পাক (ﷺ) যখন মুয়াযযিনকে আশহাদু আন্না মুহাম্মাদার রাসূলুল্লাহ বলতে শুনতেন, তিনি বলতেন, আর আমিও (সাক্ষ্য দিচ্ছি যে আমি নিশ্চয়ই আল্লাহর রাসূল )
كتاب الصلاة
وَعَنْ عَائِشَةَ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهَا قَالَتْ: كَانَ النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ إِذَا سَمِعَ الْمُؤَذِّنَ يَتَشَهَّدُ قَالَ: «وَأَنَا وَأَنَا» . رَوَاهُ أَبُو دَاوُد
তাহকীক:
হাদীস নং: ৬৭৮
- নামাযের অধ্যায়
৫. তৃতীয় অনুচ্ছেদ - আযানের ফযীলত ও মুয়াযযিনের উত্তর দান
৬৭৮। হযরত ইবনে ওমর (রাযিঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেছেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) ইরশাদ করেছেন, যে ব্যক্তি বার বছর আযান দেয় তার জন্য বেহেশত সুনিশ্চিত হয়ে যায়। আর তার জন্য তার আযানের বিনিময়ে প্রত্যহ (প্রতি ওয়াক্তে) ষাটটি করে নেকী লিখিত হয় এবং প্রত্যেক ওয়াক্তের একামতের বিনিময়ে লিখিত হয় ত্রিশটি করে নেকী। —ইবনে মাজাহ
كتاب الصلاة
وَعَنِ ابْنِ عُمَرَ أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: «مَنْ أَذَّنَ ثِنْتَيْ عَشْرَةَ سَنَةً وَجَبَتْ لَهُ الْجَنَّةُ وَكُتِبَ لَهُ بِتَأْذِينِهِ فِي كُلِّ يَوْمٍ سِتُّونَ حَسَنَةً وَلِكُلِّ إِقَامَة ثَلَاثُونَ حَسَنَة» . رَوَاهُ ابْن مَاجَه
তাহকীক:
হাদীস নং: ৬৭৯
- নামাযের অধ্যায়
৫. তৃতীয় অনুচ্ছেদ - আযানের ফযীলত ও মুয়াযযিনের উত্তর দান
৬৭৯। হযরত ইবনে ওমর (রাযিঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেছেন, আমাদেরকে মাগরিবের আযানের সময় দোয়া করতে বলা হত। —বায়হাকী
كتاب الصلاة
وَعَنْهُ قَالَ: كُنَّا نُؤْمَرُ بِالدُّعَاءِ عِنْدَ أَذَانِ الْمغرب. رَوَاهُ الْبَيْهَقِيّ
তাহকীক: