মিশকাতুল মাসাবীহ (মিশকাত শরীফ)

مشكاة المصابيح للتبريزي

৫- নামাযের অধ্যায় - এর পরিচ্ছেদসমূহ

মোট হাদীস টি

হাদীস নং: ৬৮০
- নামাযের অধ্যায়
৬. প্রথম অনুচ্ছেদ - বিলম্বে আযান
৬৮০। হযরত ইবনে ওমর (রাযিঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেছেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) ইরশাদ করেছেন, বেলাল (কিছু) রাত থাকতে আযান দেয়; সুতরাং তখন তোমরা পানাহার করো যে পর্যন্ত না ইবনে উম্মে মাকতুম আযান দেয়। ইবনে ওমর (রাযিঃ) বলেন, ইবনে উম্মে মাকতুম জনৈক অন্ধ ব্যক্তি ছিলেন। তাকে যে পর্যন্ত না বলা হত যে, ভোর হয়েছে ভোর হয়েছে, সে পর্যন্ত তিনি আযান দিতেন না। -বুখারী, মুসলিম
كتاب الصلاة
بَابُ تَاخِيْرِ الْاَذَانِ
وَعَنِ ابْنِ عُمَرَ قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسلم: «إِن بِلَالًا يُؤذن بِلَيْلٍ فَكُلُوا وَاشْرَبُوا حَتَّى يُنَادِيَ ابْنُ أُمِّ مَكْتُوم» ثمَّ قَالَ: وَكَانَ رَجُلًا أَعْمَى لَا يُنَادِي حَتَّى يُقَالَ لَهُ: أَصبَحت أَصبَحت
tahqiq

তাহকীক:

হাদীস নং: ৬৮১
- নামাযের অধ্যায়
৬. প্রথম অনুচ্ছেদ - বিলম্বে আযান
৬৮১। হযরত সামুরাহ ইবনে জুনদুব (রাযিঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেছেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) ইরশাদ করেছেন, বেলালের আযান যেন তোমাদেরকে সেহরী খাওয়া হতে বিরত না রাখে; খাড়া প্রভাও নয়। তবে সুবহে সাদিক যা দিগন্তে প্রসারিত হয়, (তা সেহরী খাওয়া হতে বিরত থাকার কারণ।) -মুসলিম
كتاب الصلاة
بَابُ تَاخِيْرِ الْاَذَانِ
وَعَن سَمُرَةَ بْنِ جُنْدُبٍ قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «لَا يَمْنَعَنَّكُمْ مِنْ سُحُورِكُمْ أَذَانُ بِلَالٍ وَلَا الْفَجْرُ الْمُسْتَطِيلُ وَلَكِنِ الْفَجْرُ الْمُسْتَطِيرُ فِي الْأُفق» رَوَاهُ مُسلم وَلَفظه لِلتِّرْمِذِي
tahqiq

তাহকীক:

হাদীস নং: ৬৮২
- নামাযের অধ্যায়
৬. প্রথম অনুচ্ছেদ - বিলম্বে আযান
৬৮২। হযরত মালেক ইবনে হুয়াইরিছ (রাযিঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেছেন, আমি এবং আমার এক চাচাত ভাই নবী পাক (ﷺ)-এর নিকট গেলে তিনি বললেন, তোমরা সফরে গিয়েও আযান দিবে এবং একামত বলবে। আর তোমাদের মধ্যে বয়োজ্যেষ্ঠ ব্যক্তি ইমামতি করবেন। -বুখারী
كتاب الصلاة
بَابُ تَاخِيْرِ الْاَذَانِ
وَعَن مَالك بن الْحُوَيْرِث قَالَ: أَتَيْتُ النَّبِيَّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَنَا وَابْنُ عَمٍّ لِي فَقَالَ: «إِذَا سَافَرْتُمَا فأذنا وأقيما وليؤمكما أكبركما» . رَوَاهُ البُخَارِيّ
হাদীস নং: ৬৮৩
- নামাযের অধ্যায়
৬. প্রথম অনুচ্ছেদ - বিলম্বে আযান
৬৮৩। হযরত মালেক ইবনে হুয়াইরিছ (রাযিঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেছেন, রাসুলুল্লাহ (ﷺ) আমাদেরকে বলেছেন, তোমরা নামায পড়বে ঠিক তেমন, যেমন আমাকে নামায পড়তে দেখেছ। নামাযের ওয়াক্ত হলে তোমাদের মধ্যে যেন কেউ আযান দেয়। তারপর তোমাদের মধ্যে বয়োজ্যেষ্ঠ ব্যক্তি যেন ইমামতি করে। -বুখারী, মুসলিম
كتاب الصلاة
بَابُ تَاخِيْرِ الْاَذَانِ
وَعَنْهُ قَالَ: قَالَ لَنَا رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «صَلُّوا كَمَا رَأَيْتُمُونِي أُصَلِّي فَإِذا حضرت الصَّلَاة فليؤذن لكم أحدكُم وليؤمكم أكبركم»
হাদীস নং: ৬৮৪
- নামাযের অধ্যায়
৬. প্রথম অনুচ্ছেদ - বিলম্বে আযান
৬৮৪। হযরত আবু হুরায়রাহ (রাযিঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেছেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) খায়বার যুদ্ধ হতে প্রত্যাবর্তনকালে রাত্রে পথ চলছিলেন। এক পর্যায়ে তিনি তন্দ্রাচ্ছন্ন হলেন এবং বিশ্রাম গ্রহণ করলেন। তিনি বেলালকে বললেন, আমাদের নামাযের জন্য তুমি রাতের দিকে লক্ষ্য রেখ। অতঃপর বেলাল (রাযিঃ) সাধ্যমত নামায পড়লেন এবং রাসূলুল্লাহ (ﷺ) ও তাঁর সাহাবীগণ নিদ্রাচ্ছন্ন রইলেন। যখন ফজর ঘনিয়ে এল, বেলাল সূর্যোদয়ের প্রান্তের দিকে মুখ করে তাঁর উটের গায়ে হেলান দিয়ে থাকলেন। ফলে তাঁর চক্ষুদ্বয় তাঁকে পরাস্ত করে ফেলল। তিনি হেলান দেয়া অবস্থায়ই ছিলেন। রাসূলুল্লাহ (ﷺ), বেলাল (রাযিঃ) সাহাবীদের মধ্যে কেউই জাগ্রত হতে পারলেন না যে পর্যন্ত না সূর্যের কিরণ তাদের গায়ে লাগল। এরপর সর্বপ্রথম রাসূলুল্লাহ (ﷺ)-ই নিদ্রা হতে জেগে উঠলেন। তিনি ব্যস্তত্রস্ত হয়ে ডাকলেন, বেলাল! (তোমার কি হয়েছে?) বেলাল (রাযিঃ) বললেন, ইয়া রাসূলাল্লাহ (ﷺ)। আমাকে তাই পরাভূত করেছে যা আপনাকে পরাভূত করেছে। রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বললেন, বাহনসমূহ নিয়ে অগ্রসর হও। তাঁরা তাঁদের উটগুলোসহ কিছুটা সামনে চলে গেলেন। তারপর রাসূলুল্লাহ (ﷺ) অজু করলেন। তারপর বেলাল (রাযিঃ)-কে নির্দেশ দিলে তিনি নামাযের একামত দিলেন। তখন রাসূলুল্লাহ (ﷺ) সাথীদেরকে ফজরের নামায পড়ালেন এবং বললেন, কেউ নামাযের কথা ভুলে গেলে তা স্মরণ হওয়া মাত্র যেন সে তা পড়ে নেয়। কেননা আল্লাহ্ পাক ইরশাদ করেছেন, নামায কায়েম কর আমার স্মরণে। -মুসলিম
كتاب الصلاة
بَابُ تَاخِيْرِ الْاَذَانِ
وَعَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ قَالَ: إِنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ حِينَ قَفَلَ مِنْ غَزْوَةِ خَيْبَرَ سَارَ لَيْلَةً حَتَّى إِذَا أَدْرَكَهُ الْكَرَى عَرَّسَ وَقَالَ لِبِلَالٍ: اكْلَأْ لَنَا اللَّيْلَ. فَصَلَّى بِلَالٌ مَا قُدِّرَ لَهُ وَنَامَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَأَصْحَابُهُ فَلَمَّا تَقَارَبَ الْفَجْرُ اسْتَنَدَ بِلَال إِلَى رَاحِلَته موجه الْفَجْرِ فَغَلَبَتْ بِلَالًا عَيْنَاهُ وَهُوَ مُسْتَنِدٌ إِلَى رَاحِلَتِهِ فَلَمْ يَسْتَيْقِظْ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَلَا بِلَالٌ وَلَا أَحَدٌ مِنْ أَصْحَابِهِ حَتَّى ضَرَبَتْهُمُ الشَّمْسُ فَكَانَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَوَّلَهُمُ اسْتِيقَاظًا فَفَزِعَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَقَالَ: «أَيْ بِلَالُ» فَقَالَ بِلَالٌ أَخَذَ بِنَفْسَيِ الَّذِي أَخَذَ بِنَفْسِكَ قَالَ: «اقْتَادُوا» فَاقْتَادَوا رَوَاحِلَهُمْ شَيْئًا ثُمَّ تَوَضَّأَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَأَمَرَ بِلَالًا فَأَقَامَ الصَّلَاةَ فَصَلَّى بِهِمُ الصُّبْحَ فَلَمَّا قَضَى الصَّلَاةَ قَالَ: مَنْ نَسِيَ الصَّلَاةَ فَلْيُصَلِّهَا إِذَا ذكرهَا فَإِن الله قَالَ (أقِم الصَّلَاة لذكري)
tahqiq

তাহকীক:

হাদীস নং: ৬৮৫
- নামাযের অধ্যায়
৬. প্রথম অনুচ্ছেদ - বিলম্বে আযান
৬৮৫। হযরত আবু কাতাদাহ (রাযিঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেছেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) ইরশাদ করেছেন, একামত বলার সময় তোমরা আমাকে বের হতে না দেখা পর্যন্ত নামাযে দাঁড়াবে না। -বুখারী, মুসলিম
كتاب الصلاة
بَابُ تَاخِيْرِ الْاَذَانِ
وَعَنْ أَبِي قَتَادَةَ قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ:

إِذَا أُقِيمَتِ الصَّلَاةُ فَلَا تَقُومُوا حَتَّى تَرَوْنِي قَدْ خرجت
হাদীস নং: ৬৮৬
- নামাযের অধ্যায়
৬. প্রথম অনুচ্ছেদ - বিলম্বে আযান
৬৮৬। হযরত আবু হুরায়রাহ (রাযিঃ) হতে বার্ণিত। তিনি বলেছেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) ইরশাদ করেছেন, নামাযের জন্য একামত বলা শুরু হলে তোমরা নামাযে শরীক হতে দৌড়ে আসবে না; বরং (স্বাভাবিকভাবে) হেঁটে আসবে, যেন তোমাদের মধ্যে শান্তি ও ধীরস্থিরতা বজায় থাকে। তারপর তোমরা যা ইমামের সাথে পাবে পড়বে, আর যা ছুট যাবে তা (নিজেরা) পূর্ণ করে নেবে। -বুখারী, মুসলিম
كتاب الصلاة
بَابُ تَاخِيْرِ الْاَذَانِ
وَعَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «إِذَا أُقِيمَت الصَّلَاة فَلَا تأتوها تَسْعَوْنَ وَأْتُوهَا تَمْشُونَ وَعَلَيْكُمُ السَّكِينَةُ فَمَا أَدْرَكْتُمْ فَصَلُّوا وَمَا فاتكم فَأتمُّوا»

وَفِي رِوَايَةٍ لِمُسْلِمٍ: «فَإِنَّ أَحَدَكُمْ إِذَا كَانَ يَعْمِدُ إِلَى الصَّلَاةِ فَهُوَ فِي صَلَاةٍ»

وَهَذَا الْبَابُ خَالٍ عَنِ الْفَصْلِ الثَّانِ