মিশকাতুল মাসাবীহ (মিশকাত শরীফ)

مشكاة المصابيح للتبريزي

৫- নামাযের অধ্যায় - এর পরিচ্ছেদসমূহ

মোট হাদীস ১২ টি

হাদীস নং: ৮৩৭
- নামাযের অধ্যায়
১২. প্রথম অনুচ্ছেদ - সালাতে ক্বিরাআতের বর্ণনা
৮৩৭। হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে সায়েব (রাযিঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেছেন, মক্কা শরীফে রাসূলুল্লাহ (ﷺ) ফজরের নামাযে আমাদের ইমামতি করলেন এবং সূরা আল মু'মিনূন পড়তে শুরু করলেন। যখন তিনি হযরত মুসা এবং হযরত হারুনের অথবা হযরত ঈসার বর্ণনা পর্যন্ত পৌঁছলেন, তখন ফুঁপিয়ে ফুঁপিয়ে কাঁদতে শুরু করলেন। অতঃপর তিনি রুকূতে চলে গেলেন। -মুসলিম
كتاب الصلاة
بَابُ الْقِرَاءَةِ فِى الصَّلَاةِ
وَعَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ السَّائِبِ قَالَ: صَلَّى لَنَا رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ الصُّبْحَ بِمَكَّةَ فَاسْتَفْتَحَ سُورَةَ (الْمُؤْمِنِينَ)

حَتَّى جَاءَ ذِكْرُ مُوسَى وَهَارُونَ أَوْ ذِكْرُ عِيسَى أَخَذَتِ النَّبِيَّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ سَعْلَةٌ فَرَكَعَ. رَوَاهُ مُسلم
tahqiq

তাহকীক:

হাদীস নং: ৮৩৮
- নামাযের অধ্যায়
১২. প্রথম অনুচ্ছেদ - সালাতে ক্বিরাআতের বর্ণনা
৮৩৮। হযরত আবু হুরায়রাহ (রাযিঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেছেন, নবী পাক (ﷺ) জুমআর দিন ফজরের নামাযের প্রথম রাকাতে আলিফ-লাম-মীম-তানযীল এবং দ্বিতীয় রাকাতে হাল আতা আলাল ইনসানি (অর্থাৎ সূরা দহর) পাঠ করতেন। - বুখারী, মুসলিম
كتاب الصلاة
بَابُ الْقِرَاءَةِ فِى الصَّلَاةِ
وَعَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ قَالَ: كَانَ النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يقْرَأ فِي الْفجْر يَوْم الْجُمُعَة ب (الم تَنْزِيلُ)

فِي الرَّكْعَةِ الْأُولَى وَفِي الثَّانِيَةِ (هَل أَتَى على الْإِنْسَان)
tahqiq

তাহকীক:

হাদীস নং: ৮৩৯
- নামাযের অধ্যায়
১২. প্রথম অনুচ্ছেদ - সালাতে ক্বিরাআতের বর্ণনা
৮৩৯। হযরত ওবায়দুল্লাহ ইবনে আবু রাফে' (রাযিঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেছেন, একবার মারওয়ান হযরত আবু হুরায়রাহ (রাযিঃ)-কে মদীনায় তাঁর স্থলাভিষিক্তরূপে রেখে মক্কায় গেলেন। এই সময় হযরত আবু হুরায়রাহ (রাযিঃ) জুমআর নামাযে আমাদের ইমামতি করলেন। তখন ঐ নামাযের প্রথম রাকাতে সূরা জুমআ এবং দ্বিতীয় রাকাতে সূরা ইযা জায়াল মুনাফিকূন পাঠ করলেন। তারপর বললেন, আমি রাসূলুল্লাহ (ﷺ)-কে জুমআর নামাযে এই সূরাদ্বয় পাঠ করতে শুনেছি। -মুসলিম
كتاب الصلاة
بَابُ الْقِرَاءَةِ فِى الصَّلَاةِ
وَعَن عبيد الله بن أبي رَافع قَالَ: اسْتَخْلَفَ مَرْوَانُ أَبَا هُرَيْرَةَ عَلَى الْمَدِينَةِ وَخَرَجَ إِلَى مَكَّةَ فَصَلَّى لَنَا أَبُو هُرَيْرَةَ الْجُمُعَةَ فَقَرَأَ سُورَةَ (الْجُمُعَةِ)

فِي السَّجْدَةِ الْأُولَى وَفِي الْآخِرَة: (إِذا جَاءَك المُنَافِقُونَ)

فَقَالَ: سَمِعْتُ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يقْرَأ بهما يَوْم الْجُمُعَة. رَوَاهُ مُسلم
হাদীস নং: ৮৪০
- নামাযের অধ্যায়
১২. প্রথম অনুচ্ছেদ - সালাতে ক্বিরাআতের বর্ণনা
৮৪০। হযরত নো'মান ইবনে বশীর (রাযিঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেছেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) দুই ঈদে এবং জুমআর নামাযে সূরা সাব্বিহিসমা রাব্বিকাল আ'লা এবং হাল আতাকা হাদীসুল গাশিয়াহ পাঠ করতেন। আর ঈদ ও জুমআ একই দিনে হলে তিনি এই দুইটি সূরা উভয় নামাযেই পড়তেন। -মুসলিম
كتاب الصلاة
بَابُ الْقِرَاءَةِ فِى الصَّلَاةِ
وَعَنِ النُّعْمَانِ بْنِ بَشِيرٍ قَالَ: كَانَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَقْرَأُ فِي الْعِيدَيْنِ وَفِي الْجُمُعَةِ بِ (سَبِّحِ اسْمَ رَبِّكَ الْأَعْلَى)

و (هَل أَتَاك حَدِيث الغاشية)

قَالَ: وَإِذَا اجْتَمَعَ الْعِيدُ وَالْجُمُعَةُ فِي يَوْمٍ وَاحِدٍ قَرَأَ بِهِمَا فِي الصَّلَاتَيْنِ. رَوَاهُ مُسلم
হাদীস নং: ৮৪১
- নামাযের অধ্যায়
১২. প্রথম অনুচ্ছেদ - সালাতে ক্বিরাআতের বর্ণনা
৮৪১। হযরত ওবায়দুল্লাহ ইবনে ওমর (রাযিঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেছেন, একবার (আমার পিতা) ওমর ইবনে খাত্তাব (রাযিঃ) হযরত আবু ওয়াকেদ লাইছীকে জিজ্ঞেস করলেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) ঈদুল আযহা এবং ঈদুল ফিতরে কি পাঠ করতেন? তিনি বললেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) উভয় ঈদেই সূরা কাফ ওয়াল কুরআনিল মাজীদ এবং ইকতারাবাতিস সাআহ পাঠ করতেন। -মুসলিম
كتاب الصلاة
بَابُ الْقِرَاءَةِ فِى الصَّلَاةِ
وَعَنْ عُبَيْدِ اللَّهِ: أَنَّ عُمَرَ بْنَ الْخَطَّابِ سَأَلَ أَبَا وَاقِدٍ اللَّيْثِيَّ: (مَا كَانَ يَقْرَأُ بِهِ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فِي الْأَضْحَى وَالْفِطْرِ؟ فَقَالَ: كَانَ يَقْرَأُ فِيهِمَا: ب (ق وَالْقُرْآن الْمجِيد)

و (اقْتَرَبت السَّاعَة)

رَوَاهُ مُسلم
tahqiq

তাহকীক:

হাদীস নং: ৮৪২
- নামাযের অধ্যায়
১২. প্রথম অনুচ্ছেদ - সালাতে ক্বিরাআতের বর্ণনা
৮৪২। হযরত আবু হুরায়রাহ (রাযিঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেছেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) ফজরের (সুন্নত) দুই রাকাতে যথাক্রমে সূরা কাফিরূন এবং সূরা ইখলাস পাঠ করেছেন। -মুসলিম
كتاب الصلاة
بَابُ الْقِرَاءَةِ فِى الصَّلَاةِ
وَعَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ قَالَ: إِنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَرَأَ فِي رَكْعَتَيِ الْفَجْرِ: (قُلْ يَا أَيهَا الْكَافِرُونَ)

و (قل هُوَ الله أحد)

رَوَاهُ مُسلم
tahqiq

তাহকীক:

হাদীস নং: ৮৪৩
- নামাযের অধ্যায়
১২. প্রথম অনুচ্ছেদ - সালাতে ক্বিরাআতের বর্ণনা
৮৪৩। হযরত ইবনে আব্বাস (রাযিঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেছেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) ফজরের (সুন্নত) দুই রাকাতে যথাক্রমে সূরা বাকারাহর এই আয়াত কুল আমান্না বিল্লাহি ওয়ামা উনযিলা ইলাইনা এবং সূরা আল ইমরানের এই আয়াত কূল ইয়া আহলাল কিতাবি তাআলাও ইলা কালিমাতিন সাওয়াইম বাইনানা ওয়া বাইনাকুম” পাঠ করতেন। -মুসলিম
كتاب الصلاة
بَابُ الْقِرَاءَةِ فِى الصَّلَاةِ
وَعَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ قَالَ: كَانَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسلم يقْرَأ فِي رَكْعَتي الْفَجْرِ: (قُولُوا آمَنَّا بِاللَّهِ وَمَا أُنْزِلَ إِلَيْنَا)

وَالَّتِي فِي آلِ عِمْرَانَ (قُلْ يَا أَهْلَ الْكِتَابِ تَعَالَوْا إِلَى كَلِمَةٍ سَوَاءٍ بَيْنَنَا وَبَيْنَكُمْ)

رَوَاهُ مُسلم
tahqiq

তাহকীক:

হাদীস নং: ৮৪৪
- নামাযের অধ্যায়
১২. দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ - সালাতে ক্বিরাআতের বর্ণনা
৮৪৪। হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে আব্বাস (রাযিঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেছেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বিসমিল্লাহ সহকারে নামায শুরু করতেন। ইমাম তিরমিযী এটা রেওয়ায়াত করেছেন এবং বলেছেন যে, এর সনদ মজবুত নয়।
كتاب الصلاة
عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ قَالَ: كَانَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَفْتَتِحُ صَلَاتَهُ بِ (بِسم الله الرَّحْمَن الرَّحِيم)

رَوَاهُ التِّرْمِذِيُّ وَقَالَ: هَذَا حَدِيثٌ لَيْسَ إِسْنَادُهُ بِذَاكَ
tahqiq

তাহকীক:

হাদীস নং: ৮৪৫
- নামাযের অধ্যায়
১২. দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ - সালাতে ক্বিরাআতের বর্ণনা
৮৪৫। হযরত ওয়ায়েল ইবনে হুজর (রাযিঃ) হতে বর্ণিত তিনি বলেছেন, আমি রাসূলুল্লাহ (ﷺ)-কে ওয়ালাদ্দোয়াল্লীন পড়ে আমীন বলতে শুনেছি তাঁর কণ্ঠস্বরকে দীর্ঘ করে। -তিরমিযী, আবু দাউদ, দারেমী, ইবনে মাজাহ
كتاب الصلاة
وَعَن وَائِل بن حجر قَالَ: سَمِعْتُ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسلم يقْرَأ: (غير المغضوب عَلَيْهِم وَلَا الضَّالّين)

فَقَالَ: آمِينَ مَدَّ بِهَا صَوْتَهُ. رَوَاهُ التِّرْمِذِيُّ وَأَبُو دَاوُد والدارمي وَابْن مَاجَه
হাদীস নং: ৮৪৬
- নামাযের অধ্যায়
১২. দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ - সালাতে ক্বিরাআতের বর্ণনা
৮৪৬। হযরত আবু যুহাইর নুমাইরী (রাযিঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেছেন, একবার আমরা রাত্রে রাসূলুল্লাহ (ﷺ)-এর সাথে বের হয়ে এমন এক ব্যক্তির নিকট গেলাম, যে (নামাযের মধ্যে) আল্লাহর দরবারে অত্যন্ত বিনীতভাবে দোয়া পেশ করছিল। রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বললেন, লোকটি নিজের জন্য বেহেশত নির্ধারিত করে নিল, যদি সে সীল মোহর লাগায়। তখন লোকদের মধ্য হতে এক ব্যক্তি আরজ করল, ইয়া রাসূলাল্লাহ (ﷺ)! কিসের দ্বারা মোহর লাগাবে? তিনি বললেন, আমীন দ্বারা । -আবু দাউদ
كتاب الصلاة
وَعَن أبي زُهَيْر النميري قَالَ: خَرَجْنَا مَعَ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ ذَاتِ يَوْمٍ فَأَتَيْنَا عَلَى رَجُلٍ قَدْ أَلَحَّ فِي الْمَسْأَلَةِ فَقَالَ النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ:

أَوْجَبَ إِنْ خَتَمَ . فَقَالَ: رَجُلٌ مِنَ الْقَوْمِ: بِأَيِّ شَيْءٍ يَخْتِمُ؟ قَالَ: «بآمين» . رَوَاهُ أَبُو دَاوُد
tahqiq

তাহকীক:

হাদীস নং: ৮৪৭
- নামাযের অধ্যায়
১২. দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ - সালাতে ক্বিরাআতের বর্ণনা
৮৪৭। হযরত আয়েশা (রাযিঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেছেন, একদা রাসূলুল্লাহ (ﷺ) সূরা আরাফ দ্বারা মাগরিবের নামায পড়লেন, ঐ সূরাকে দুই রাকাতে ভাগ করে পড়লেন। -নাসায়ী
كتاب الصلاة
وَعَنْ عَائِشَةَ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهَا قَالَتْ: إِنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ صَلَّى الْمَغْرِبَ بِسُورَةِ (الْأَعْرَافِ)

فَرَّقَهَا فِي رَكْعَتَيْنِ. رَوَاهُ النَّسَائِيّ
tahqiq

তাহকীক:

হাদীস নং: ৮৪৮
- নামাযের অধ্যায়
১২. দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ - সালাতে ক্বিরাআতের বর্ণনা
৮৪৮। হযরত ওকবাহ ইবনে আমের (রাযিঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেছেন, আমি সফরে রাসূলুল্লাহ (ﷺ) এর উটের লাগাম ধরে আগে আগে চলতাম। একদা রাসূলুল্লাহ (ﷺ) আমাকে বললেন, হে ওকবাহ! আমি কি তোমাকে উত্তম দু'টো সূরা শিখিয়ে দিব না, যা পাঠ করা হয়? অতঃপর তিনি আমাকে সূরা নাস এবং সূরা ফালাক শিখালেন; কিন্তু এতে আমি তেমন খুশী হয়েছি বলে তিনি মনে করলেন না। এরপর ফজরের নামাযের জন্য অবতরণ করে এই সূরা দু'টো দিয়ে তিনি আমাদেরকে নামায পড়ালেন। নামায শেষে তিনি আমাকে লক্ষ্য করে বললেন, কেমন মনে করলে হে ওকবাহ? – আহমদ, আবু দাউদ, নাসায়ী
كتاب الصلاة
وَعَنْ عُقْبَةَ بْنِ عَامِرٍ قَالَ: كُنْتُ أَقُودُ لِرَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ نَاقَتَهُ فِي السَّفَرِ فَقَالَ لِي: «يَا عُقْبَةُ أَلَا أُعَلِّمُكَ خَيْرَ سُورَتَيْنِ قُرِئَتَا؟» فَعَلَّمَنِي (قُلْ أَعُوذُ بِرَبّ الفلق)

و (قل أَعُود بِرَبّ النَّاس)

قَالَ: فَلَمْ يَرَنِي سَرَرْتُ بِهِمَا جَدًّا فَلَمَّا نَزَلَ لِصَلَاةِ الصُّبْحِ صَلَّى بِهِمَا صَلَاةَ الصُّبْحِ لِلنَّاسِ فَلَمَّا فَرَغَ الْتَفَتَ إِلَيَّ فَقَالَ: «يَا عُقْبَةَ كَيْفَ رَأَيْتَ؟» . رَوَاهُ أَحْمَدُ وَأَبُو دَاوُد وَالنَّسَائِيّ
tahqiq

তাহকীক: