মিশকাতুল মাসাবীহ (মিশকাত শরীফ)

مشكاة المصابيح للتبريزي

৫- নামাযের অধ্যায় - এর পরিচ্ছেদসমূহ

মোট হাদীস ১৮ টি

হাদীস নং: ৮৪৯
- নামাযের অধ্যায়
১২. দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ - সালাতে ক্বিরাআতের বর্ণনা
৮৪৯। হযরত জাবের ইবনে সামুরাহ (রাযিঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেছেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বৃহস্পতিবার দিবাশেষে সন্ধ্যায় মাগরিবের নামাযে সূরা কাফিরূন এবং সূরা ইখলাছ পাঠ করতেন। শরহে সুন্নাহ
كتاب الصلاة
وَعَنْ جَابِرِ بْنِ سَمُرَةَ قَالَ: كَانَ النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَقْرَأُ فِي صَلَاةِ الْمَغْرِبِ لَيْلَةَ الْجُمُعَةِ: (قُلْ يَا أَيُّهَا الْكَافِرُونَ)

و (قل هُوَ الله أحد)

رَوَاهُ فِي شرح السّنة
tahqiq

তাহকীক:

হাদীস নং: ৮৫০
- নামাযের অধ্যায়
১২. দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ - সালাতে ক্বিরাআতের বর্ণনা
৮৫০। ইবনে মাজাহ ইবনে ওমর (রাযিঃ) হতে বর্ণনা করেছেন; কিন্তু তাতে বৃহস্পতিবার দিবাশেষে সন্ধ্যায় কথাটির উল্লেখ নেই।
كتاب الصلاة
وَرَوَاهُ ابْنُ مَاجَهْ عَنِ ابْنِ عُمَرَ إِلَّا أَنه لم يذكر «لَيْلَة الْجُمُعَة»
tahqiq

তাহকীক:

হাদীস নং: ৮৫১
- নামাযের অধ্যায়
১২. দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ - সালাতে ক্বিরাআতের বর্ণনা
৮৫১। হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে মাসউদ (রাযিঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেছেন, আমি বহুবার শুনেছি, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) মাগরিবের পর দুই রাকাত সুন্নতে এবং ফজরের পূর্বে দুই রাকাত সুন্নতে সূরা কূল ইয়া আইয়্যুহাল কাফিরূন এবং সূরা কুলহু আল্লাহু আহাদ পাঠ করতেন।
–তিরমিযী
كتاب الصلاة
وَعَنْ عَبْدُ اللَّهِ بْنِ مَسْعُودٍ قَالَ: مَا أحصي مَا سَمِعْتُ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَقْرَأُ فِي الرَّكْعَتَيْنِ بَعْدَ الْمَغْرِبِ وَفِي الرَّكْعَتَيْنِ قَبْلَ صَلَاةِ الْفَجْرِ: بِ (قُلْ يَا أَيُّهَا الْكَافِرُونَ)

و (قل هوا لله أحد)

رَوَاهُ التِّرْمِذِيّ
tahqiq

তাহকীক:

হাদীস নং: ৮৫২
- নামাযের অধ্যায়
১২. দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ - সালাতে ক্বিরাআতের বর্ণনা
৮৫২। ইবনে মাজাহ আবু হুরায়রাহ (রাযিঃ) হতে; কিন্তু এতে তিনি মাগরিবের পর কথাটি উল্লেখ করেন নি।
كتاب الصلاة
وَرَوَاهُ ابْنُ مَاجَهْ عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ إِلَّا أَنه لم يذكر: «بعد الْمغرب»
tahqiq

তাহকীক:

হাদীস নং: ৮৫৩
- নামাযের অধ্যায়
১২. দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ - সালাতে ক্বিরাআতের বর্ণনা
৮৫৩। সোলায়মান ইবনে ইয়াসার হযরত আবু হুরায়রাহ (রাযিঃ) হতে বর্ণনা করেছেন যে, অমুকের তুলনায় রাসূলুল্লাহ (ﷺ)-এর নামাযের ন্যায় নামায পড়তে আমি আর কাউকেও দেখিনি। সোলায়মান বলেন, আমি আবু হুরায়রাহ (রাযিঃ)-এর পিছনে নামায পড়েছি। তিনি যোহরের প্রথম দুই রাকাত দীর্ঘ এবং শেষ দুই রাকাত (তার তুলনায়) সংক্ষেপ করতেন। আর তিনি আছরের নামাযকে সংক্ষেপ করতেন। আর তিনি মাগরিব নামাযে কেছারে মুফাছছাল পড়তেন, এশায় আওসাতে মুফাছছাল পড়তেন এবং ফজরে পড়তেন তেওয়ালে মুফাছছাল। -নাসায়ী, ইবনে মাজাহ
কিন্তু ইবনে মাজাহ বর্ণনা করেছেন, “আছর সংক্ষেপ করেছেন” পর্যন্ত।
كتاب الصلاة
وَعَنْ سُلَيْمَانَ بْنِ يَسَارٍ عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ قَالَ: مَا صَلَّيْتُ وَرَاءَ أَحَدٍ أَشْبَهَ صَلَاةً بِرَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مِنْ فلَان. قَالَ سُلَيْمَان: صَلَّيْتُ خَلْفَهُ فَكَانَ يُطِيلُ الرَّكْعَتَيْنِ الْأُولَيَيْنِ مِنَ الظّهْر ويخفف الْأُخْرَيَيْنِ ويخفف الْعَصْر وَيَقْرَأُ فِي الْمَغْرِبِ بِقِصَارِ الْمُفَصَّلِ وَيَقْرَأُ فِي الْعِشَاءِ بِوَسَطِ الْمُفَصَّلِ وَيَقْرَأُ فِي الصُّبْحِ بِطِوَالِ الْمُفَصَّلِ. رَوَاهُ النَّسَائِيُّ وَرَوَى ابْنُ مَاجَهْ إِلَى ويخفف الْعَصْر
হাদীস নং: ৮৫৪
- নামাযের অধ্যায়
১২. দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ - সালাতে ক্বিরাআতের বর্ণনা
৮৫৪। হযরত উবাদাহ ইবনে ছামেত (রাযিঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেছেন, একদা আমরা ফজরের নামাযে নবী পাক (ﷺ)-এর মুকতাদী ছিলাম। তিনি কিরাত পড়ছিলেন; কিন্তু তাঁর নিকট ভারী বোধ হচ্ছিল। নামায হতে ফারেগ হয়ে তিনি বললেন, সম্ভবতঃ তোমরা তোমাদের ইমামের পেছনে কিরাত পাঠ কর। আমরা বললাম, হ্যাঁ, ইয়া রাসূলাল্লাহ (ﷺ)। তিনি বললেন, এরূপ করো না। তবে সূরা ফাতেহা পড়বে। কেননা যে সূরা ফাতেহা পড়ে না, তার নামায হয় না। -আবু দাউদ, তিরমিযী এবং তিরমিযী বর্ণনা করেছেন অনুরূপ অর্থে। আবু দাউদের অপর বর্ণনায় আছে, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বললেন, এ কি ব্যাপার কুরআন আমার সাথে এরূপ টানাটানি করছে কেন? আমি যখন উচ্চস্বরে কিরাত পড়ি তখন (আমার পিছনে) তোমরা সূরা ফাতেহা ছাড়া আর কিছু পড়বে না।
كتاب الصلاة
وَعَنْ عُبَادَةَ بْنِ الصَّامِتِ قَالَ: كُنَّا خَلْفَ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فِي صَلَاةِ الْفَجْرِ فَقَرَأَ فَثَقُلَتْ عَلَيْهِ الْقِرَاءَةُ فَلَمَّا فَرَغَ قَالَ: «لَعَلَّكُمْ تقرؤون خَلْفَ إِمَامِكُمْ؟» قُلْنَا: نَعَمْ يَا رَسُولَ اللَّهِ. قَالَ: «لَا تَفْعَلُوا إِلَّا بِفَاتِحَةِ الْكِتَابِ فَإِنَّهُ لَا صَلَاةَ لِمَنْ لَمْ يَقْرَأْ بِهَا» . رَوَاهُ أَبُو دَاوُدَ وَالتِّرْمِذِيُّ وَلِلنِّسَائِيِّ مَعْنَاهُ وَفِي رِوَايَةٍ لأبي دَاوُد قَالَ: «وَأَنا أَقُول مَالِي يُنَازعنِي الْقُرْآن؟ فَلَا تقرؤوا بِشَيْءٍ مِنَ الْقُرْآنِ إِذَا جَهَرْتُ إِلَّا بِأُمِّ الْقُرْآن»
হাদীস নং: ৮৫৫
- নামাযের অধ্যায়
১২. দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ - সালাতে ক্বিরাআতের বর্ণনা
৮৫৫। হযরত আবু হুরায়রাহ (রাযিঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেছেন, একবার রাসূলুল্লাহ (ﷺ) এক উচ্চস্বরে (সরব) কিরাতের নামায হতে ফারেগ হয়ে বললেন, তোমাদের মধ্যে কি কেউ এখন আমার সাথে কিরাত পাঠ করেছ? এক ব্যক্তি বলল, হ্যা ইয়া রাসূলাল্লাহ (ﷺ)! রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বললেন, আমি নামাযের মধ্যে মনে মনে বলছিলাম, ব্যাপার কি হল, কুরআন পাঠে আমি এইরূপ টানা-হেঁচড়া অনুভব করছি কেন? আবু হুরায়রাহ (রাযিঃ) বলেন, এই কথা শুনার পর হতে লোকজন জেহরী কিরাতের নামাযে ইমামের পিছনে (নিজেরা) কিরাত পাঠ বন্ধ করে দিল। -মালেক, আহমদ, আবু দাউদ, তিরমিযী, নাসায়ী এবং ইবনে মাজাহ এই অর্থে।
كتاب الصلاة
وَعَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ انْصَرَفَ مِنْ صَلَاةٍ جَهَرَ فِيهَا بِالْقِرَاءَةِ فَقَالَ: «هَلْ قَرَأَ مَعِي أَحَدٌ مِنْكُمْ آنِفًا؟» فَقَالَ رَجُلٌ: نَعَمْ يَا رَسُولَ اللَّهِ قَالَ: إِنِّي أَقُولُ: مَا لِي أُنَازَعُ الْقُرْآنَ؟ «. قَالَ فَانْتَهَى النَّاسُ عَنِ الْقِرَاءَةِ مَعَ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فِيمَا جَهَرَ فِيهِ بِالْقِرَاءَةِ مِنَ الصَّلَوَاتِ حِينَ سَمِعُوا ذَلِكَ مِنْ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ» . رَوَاهُ مَالِكٌ وَأَحْمَدُ وَأَبُو دَاوُدَ وَالتِّرْمِذِيُّ وَالنَّسَائِيُّ وَرَوَى ابْنُ مَاجَهْ نَحْوَهُ
হাদীস নং: ৮৫৬
- নামাযের অধ্যায়
১২. দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ - সালাতে ক্বিরাআতের বর্ণনা
৮৫৬। হযরত ইবনে ওমর এবং (আব্দুল্লাহ ইবনে আনাস রাঃ) বায়াযী হতে বর্ণিত। তারা বলেছেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) ইরশাদ করেছেন, নামাযী ব্যক্তি তার প্রতিপালকের সাথে নিরিবিলিভাবে আলাপরত হয়। সুতরাং তার লক্ষ্য করা উচিত যে, সে তাঁর সাথে কি আলাপ করছে? অতএব একজনের কুরআন পাঠকালে অপর একজন যেন সরবে কুরআন পাঠ না করে। -আহমদ
كتاب الصلاة
وَعَن ابْن عمر والبياضي قَالَا: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «إِنَّ الْمُصَلِّيَ يُنَاجِي رَبَّهُ فَلْيَنْظُرْ مَا يُنَاجِيهِ بِهِ وَلَا يَجْهَرْ بَعْضُكُمْ عَلَى بَعْضٍ بِالْقُرْآنِ» . رَوَاهُ أَحْمد
হাদীস নং: ৮৫৭
- নামাযের অধ্যায়
১২. দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ - সালাতে ক্বিরাআতের বর্ণনা
৮৫৭। হযরত আবু হুরায়রাহ (রাযিঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেছেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) ইরশাদ করেছেন, ইমাম এই জন্যই নির্ধারিত করা হয়, যাতে তারা অনুসরণ করা হয়; সুতরাং ইমামের আল্লাহু আকবার বলার সাথে সাথে তোমরাও আল্লাহু আকবার বলবে এবং তার কুরআন পাঠ করাকালে তোমরা নীরব থাকবে। -আবু দাউদ, নাসায়ী, ইবনে মাজাহ
كتاب الصلاة
وَعَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «إِنَّمَا جُعِلَ الْإِمَامُ لِيُؤْتَمَّ بِهِ فَإِذَا كَبَّرَ فَكَبِّرُوا وَإِذَا قَرَأَ فَأَنْصِتُوا» . رَوَاهُ أَبُو دَاوُد وَالنَّسَائِيّ وَابْن مَاجَه
হাদীস নং: ৮৫৮
- নামাযের অধ্যায়
১২. দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ - সালাতে ক্বিরাআতের বর্ণনা
৮৫৮। হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে আবু আওফা (রাযিঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেছেন, এক ব্যক্তি নবী পাক (ﷺ)-এর নিকট এসে বলল, ইয়া রাসূলাল্লাহ (ﷺ)! আমি কুরআনে পাকের কিছু শিখতে পারি নি। অতএব আমাকে কিছু শিখিয়ে দিন, যা আমার জন্য যথেষ্ট হয়। রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বললেন, তুমি পাঠ করবে, “সুবহানাল্লাহি ওয়াল হামদু লিল্লাহি ওয়া লা-ইলাহা ইল্লাল্লাহু ওয়াল্লাহু আকবার।” “ওয়া লা হাওলা ওয়ালা কুওয়াতা ইল্লাবিল্লাহি।" অর্থাৎ আমি আল্লাহর পবিত্রতা ঘোষণা করছি এবং যাবতীয় প্রশংসা আল্লাহর। আল্লাহ্ ছাড়া কোন উপাস্য নেই। আল্লাহ্ অতি মহান এবং আল্লাহর উপায় ও শক্তি ছাড়া কারো কোন উপায় এবং শক্তি নেই। এটা শুনে লোকটি বলল, ইয়া রাসূলাল্লাহ (ﷺ)! এটা আল্লাহর জন্যই হল, আমার জন্য কি হল? রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বললেন, তুমি বল, “আল্লাহুম্মার হামনি ওয়া আফিনী ওয়াহ্‌দিনী ওয়ারযুকনি” অর্থাৎ হে আল্লাহ্! আমার প্রতি দয়া করুন, আমাকে স্বস্তি দান করুন, আমাকে হেদায়াত করুন এবং আমাকে রিযিক দান করুন। তখন সে তার উভয় হাত দ্বারা ইশারা করে তা বন্ধ করল। (অর্থাৎ সে পেয়েছি বলে বুঝাল।) এটা দেখে রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বললেন, এই ব্যক্তি কল্যাণ দ্বারা তারা হস্তদ্বয় পূর্ণ করল। -আবু দাউদ
কিন্তু নাসায়ী তার বর্ণনা শেষ করেছেন, ইল্লাবিল্লাহি- শেষ পর্যন্ত ।
كتاب الصلاة
وَعَنْ عَبْدُ اللَّهِ بْنِ أَبِي أَوْفَى قَالَ: جَاءَ رَجُلٌ إِلَى النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَقَالَ: إِنِّي لَا أَسْتَطِيعُ أَنْ آخُذَ مِنَ الْقُرْآنِ شَيْئًا فَعَلِّمْنِي مَا يُجْزِئُنِي قَالَ: «قُلْ سُبْحَانَ اللَّهِ وَالْحَمْدُ لِلَّهِ وَلَا إِلَهَ إِلَّا اللَّهُ وَاللَّهُ أَكْبَرُ وَلَا حَوْلَ وَلَا قُوَّةَ إِلَّا بِاللَّهِ» . قَالَ: يَا رَسُولَ اللَّهِ هَذَا لِلَّهِ فَمَاذَا لِي؟ قَالَ: «قُلْ اللَّهُمَّ ارْحَمْنِي وَعَافِنِي وَاهْدِنِي وَارْزُقْنِي» . فَقَالَ هَكَذَا بِيَدَيْهِ وَقَبَضَهُمَا. فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «أَمَّا هَذَا فَقَدَ مَلَأَ يَدَيْهِ مِنَ الْخَيْرِ» . رَوَاهُ أَبُو دَاوُدَ وَانْتَهَتْ رِوَايَةُ النَّسَائِيِّ عِنْد قَوْله: «إِلَّا بِاللَّه»
tahqiq

তাহকীক:

হাদীস নং: ৮৫৯
- নামাযের অধ্যায়
১২. দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ - সালাতে ক্বিরাআতের বর্ণনা
৮৫৯। হযরত ইবনে আব্বাস (রাযিঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেছেন, নবী পাক (ﷺ) সূরা সাব্বিহিসমা রাব্বিকাল আ'লা পড়ার সময় বলতেন, সুবহানা রাব্বিয়াল আ'লা। অর্থাৎ আমি আমার উচ্চমর্যাদাশীল প্রতিপালকের পবিত্রতা বর্ণনা করি। -আহমদ, আবু দাউদ
كتاب الصلاة
وَعَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُمَا: أَنَّ النَّبِيَّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: كَانَ إِذَا قَرَأَ (سبح اسْم رَبك الْأَعْلَى)

قَالَ: (سُبْحَانَ رَبِّيَ الْأَعْلَى)

رَوَاهُ أَحْمَدُ وَأَبُو دَاوُد
tahqiq

তাহকীক:

হাদীস নং: ৮৬০
- নামাযের অধ্যায়
১২. দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ - সালাতে ক্বিরাআতের বর্ণনা
৮৬০। হযরত আবু হুরায়রাহ (রাযিঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেছেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) ইরশাদ করেছেন, তোমাদের মধ্যে যে কেউ সূরা ওয়াত্তীনি ওয়াযযাইতুন পাঠ করে এবং এই পর্যন্ত পৌছে, “আলাই ছাল্লাহু বি আহকামিল হাকিমীন” অর্থাৎ আল্লাহ্ পাক কি আহকামুল হাকিমীন নয়? তখন সে যেন বলে, হ্যাঁ, নিশ্চয়ই, আমিও এর সাক্ষ্য দানকারীদের অন্যতম এবং যখন সে সূরা লা উক্বসিমু বি ইয়াওমিল কিয়ামাহ পাঠ করে আর এই পর্যন্ত পৌঁছে, “আলাইসা যালিকা বি ক্বাদীরিন আলা আইয়্যুইয়াল মাওতা” অর্থাৎ তিনি কি মৃতকে জীবিত করতে পারেন না? তখন সে যেন বলে, বালা অর্থাৎ হ্যাঁ, নিশ্চয়ই। আর যখন সে সূরা মুরসালাত পাঠ করে এবং ফাবি আইয়্যি হাদীছিম বা'দাহু ইয়ুমিনূন” পর্যন্ত পৌঁছে তখন সে যেন বলে, “আমান্না বিল্লাহি” আমরা আল্লাহর প্রতি ঈমান এনেছি। -আবু দাউদ, তিরমিযী
কিন্তু তিরমিযী (রহ) ওয়া আনা আলা যালিকা মিনাশ শাহীদিন পর্যন্ত বর্ণনা করেছেন।
كتاب الصلاة
وَعَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: من قَرَأَ مِنْكُم ب (التِّين وَالزَّيْتُون)

فَانْتهى إِلَى (أَلَيْسَ الله بِأَحْكَم الْحَاكِمين)

فَلْيَقُلْ: بَلَى وَأَنَا عَلَى ذَلِكَ مِنَ الشَّاهِدِينَ. وَمن قَرَأَ: (لَا أقسم بِيَوْم الْقِيَامَة)

فَانْتَهَى إِلَى (أَلَيْسَ ذَلِكَ بِقَادِرٍ عَلَى أَن يحيي الْمَوْتَى)

فَلْيَقُلْ بَلَى. وَمَنْ قَرَأَ (وَالْمُرْسَلَاتِ)

فَبَلَغَ: (فَبِأَيِّ حَدِيث بعده يُؤمنُونَ)

فَلْيَقُلْ: آمَنَّا بِاللَّهِ . رَوَاهُ أَبُو دَاوُدَ وَالتِّرْمِذِيُّ إِلَى قَوْلِهِ: (وَأَنَا عَلَى ذَلِكَ مِنَ الشَّاهِدِينَ)
tahqiq

তাহকীক:

হাদীস নং: ৮৬১
- নামাযের অধ্যায়
১২. দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ - সালাতে ক্বিরাআতের বর্ণনা
৮৬১। হযরত জাবের ইবনে আব্দুল্লাহ (রাযিঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেছেন, একদা রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বের হয়ে তাঁর সাহাবীদের নিকট গেলেন এবং তাদের নিকট সূরা আর রহমান প্রথম হতে শেষ পর্যন্ত পাঠ করলেন। সাহাবীগণ নীরব রইলেন। তখন রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বললেন, আমি এটা জিন্নের রাত্রে জিন্নদের নিকট পাঠ করেছি। তারা তোমাদের চেয়ে এটির ভাল জবাব দিয়েছে। আমি যখনই “তোমাদের প্রভুর কোন নিয়ামতকে তোমরা অস্বীকার করতে পার" পর্যন্ত পৌঁছেছি তখনই তারা বলে উঠেছে, হে প্রভু! আমরা তোমার কোন নিয়ামতকেই অস্বীকার করি না, তোমারই জন্য যাবতীয় প্রশংসা। -তিরমিযী
তিরমিযী (রহ) বলেছেন যে, এই হাদীসটি গরীব।
كتاب الصلاة
وَعَنْ جَابِرٍ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ قَالَ: خَرَجَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ عَلَى أَصْحَابه فَقَرَأَ عَلَيْهِم سُورَةَ الرَّحْمَنِ مِنْ أَوَّلِهَا إِلَى آخِرِهَا فَسَكَتُوا فَقَالَ: «لَقَدْ قَرَأْتُهَا عَلَى الْجِنِّ لَيْلَةَ الْجِنِّ فَكَانُوا أَحْسَنَ مَرْدُودًا مِنْكُمْ كُنْتُ كُلَّمَا أَتَيْتُ على قَوْله (فَبِأَي آلَاء رَبكُمَا تُكَذِّبَانِ)

قَالُوا لَا بِشَيْءٍ مِنْ نِعَمِكَ رَبَّنَا نُكَذِّبُ فَلَكَ الْحَمْدُ» . رَوَاهُ التِّرْمِذِيُّ وَقَالَ: هَذَا حَدِيثٌ غَرِيبٌ
tahqiq

তাহকীক:

হাদীস নং: ৮৬২
- নামাযের অধ্যায়
১২. তৃতীয় অনুচ্ছেদ - সালাতে ক্বিরাআতের বর্ণনা
৮৬২। হযরত মুআয ইবনে আব্দুল্লাহ জুহানী (রাযিঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেছেন, জুহাইনা গোত্রের এক ব্যক্তি তাকে বলেছেন যে, তিনি রাসূলুল্লাহ (ﷺ)-কে ফজরের নামাযের দু'রাকাতেই সূরা যিলযাল পাঠ করতে শুনেছেন। তিনি কি ভুলে গিয়েছিলেন, নাকি ইচ্ছা করেই এরূপ করেছিলেন, তা আমি বলতে পারি না। -আবু দাউদ
كتاب الصلاة
عَن معَاذ بن عبد الله الْجُهَنِيّ قَالَ: إِنَّ رَجُلًا مِنْ جُهَيْنَةَ أَخْبَرَهُ أَنَّهُ سَمِعَ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: قَرَأَ فِي الصُّبْح (إِذا زلزلت)

فِي الرَّكْعَتَيْنِ كلتهما فَلَا أَدْرِي أَنَسِيَ أَمْ قَرَأَ ذَلِكَ عَمْدًا. رَوَاهُ أَبُو دَاوُد
tahqiq

তাহকীক:

হাদীস নং: ৮৬৩
- নামাযের অধ্যায়
১২. তৃতীয় অনুচ্ছেদ - সালাতে ক্বিরাআতের বর্ণনা
৮৬৩। হযরত ওরওয়াহ ইবনে যুবাইর (রাযিঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেছেন, হযরত আবুবকর (রাযিঃ) একবার ফজরের নামায পড়লেন এবং দুই রাকাতেই সূরা বাকারাহ ভাগ করে পড়লেন। -মালেক
كتاب الصلاة
وَعَنْ عُرْوَةَ قَالَ: إِنَّ أَبَا بَكْرٍ الصِّدِّيقَ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ صَلَّى الصُّبْحَ فَقَرَأَ فِيهِمَا بِ (سُورَةِ الْبَقَرَةِ)

فِي الرَّكْعَتَيْنِ كِلْتَيْهِمَا. رَوَاهُ مَالك
tahqiq

তাহকীক:

হাদীস নং: ৮৬৪
- নামাযের অধ্যায়
১২. তৃতীয় অনুচ্ছেদ - সালাতে ক্বিরাআতের বর্ণনা
৮৬৪। হযরত ফারাফিছাহ ইবনে উমাইর হানাফী (রাযিঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেছেন, আমি সূরা ইয়ুসুফ হযরত ওছমান ইবনে আফফান (রাযিঃ) কর্তৃক ফজরের নামাযে বারবার পড়া হতেই মুখস্থ করেছি। “মালেক
كتاب الصلاة
وَعَن الفرافصة بن عُمَيْر الْحَنَفِيّ قَالَ: مَا أَخَذْتُ سُورَةَ يُوسُفَ إِلَّا مِنْ قِرَاءَةِ عُثْمَانَ بْنِ عَفَّانَ إِيَّاهَا فِي الصُّبْحِ وَمن كَثْرَة مَا كَانَ يُرَدِّدهَا. رَوَاهُ مَالك
tahqiq

তাহকীক:

হাদীস নং: ৮৬৫
- নামাযের অধ্যায়
১২. তৃতীয় অনুচ্ছেদ - সালাতে ক্বিরাআতের বর্ণনা
৮৬৫। হযরত আমের ইবনে রাবীআ (রাযিঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেছেন, একদা আমরা হযরত ওমর ইবনে খাত্তাব (রাযিঃ)-এর পিছনে ফজরের নামায আদায় করলাম। তিনি তার দুই রাকাতে (দুইটি পূর্ণ সূরা) ধীরস্থিরভাবে পাঠ করলেন। সূরা দু'টি হল, সূর ইয়ুসুফ এবং সূরা হজ্জ। তখন তাকে বলা হলো যে, তবে তিনি ফজরের ওয়াক্ত শুরু হওয়া মাত্রই নামায শুরু করেছিলেন। আমের বললেন, হ্যাঁ। -মালেক
كتاب الصلاة
وَعَنْ عَبْدُ اللَّهِ بْنِ عَامِرِ بْنِ رَبِيعَةَ قَالَ: صلينَا وَرَاء عمر ابْن الْخطاب الصُّبْح فَقَرَأَ فيهمَا بِسُورَةِ يُوسُفَ وَسُورَةِ الْحَجِّ قِرَاءَةً بَطِيئَةً قِيلَ لَهُ: إِذًا لَقَدْ كَانَ يَقُومُ حِينَ يَطْلُعُ الْفجْر قَالَ: أجل. رَوَاهُ مَالك
tahqiq

তাহকীক:

হাদীস নং: ৮৬৬
- নামাযের অধ্যায়
১২. তৃতীয় অনুচ্ছেদ - সালাতে ক্বিরাআতের বর্ণনা
৮৬৬। হযরত আমর ইবনে শোআইব তাঁর পিতার সূত্রে তারা দাদা হতে বর্ণনা করেছেন যে, তিনি বলেছেন, আমি মুফাছছাল সূরার ছোট বা বড় সব কয়টি দ্বারাই রাসূলুল্লাহ (ﷺ)-কে ফরজ নামাযের ইমামতি করতে দেখেছি। -মালেক
كتاب الصلاة
وَعَنْ عَمْرِو بْنِ شُعَيْبٍ عَنْ أَبِيهِ عَنْ جَدِّهِ قَالَ: مَا مِنَ الْمُفَصَّلِ سُورَةٌ صَغِيرَةٌ وَلَا كَبِيرَةٌ إِلَّا قَدْ سَمِعْتُ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَؤُمُّ بِهَا النَّاسَ فِي الصَّلَاة الْمَكْتُوبَة. رَوَاهُ مَالك
tahqiq

তাহকীক: