মিশকাতুল মাসাবীহ (মিশকাত শরীফ)

مشكاة المصابيح للتبريزي

৫- নামাযের অধ্যায় - এর পরিচ্ছেদসমূহ

মোট হাদীস টি

হাদীস নং: ১০৪৪
- নামাযের অধ্যায়
২২. দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ - সালাত নিষিদ্ধ সময়ের বিবরণ
১০৪৪। মুহাম্মাদ ইবনে ইবরাহীম সাহাবী হযরত কায়স ইবনে আমর (রাযিঃ) হতে বর্ণনা করেছেন যে, তিনি বলেছেন, নবী পাক (ﷺ) এক ব্যক্তিকে ফজরের নামাযের পর দুই রাকাত নামায পড়তে দেখে বললেন, ফজরের ফরজ দুই রাকাতের পর আরও দুই রাকাত পড়ছ কি? লোকটি বলল, ইয়া রাসূলাল্লাহ (ﷺ)! আমি ফজরের ফরজের পূর্বের দুই রাকাত সুন্নত পড়িনি। তাই এখন পড়ে নিলাম। একথা শুনে রাসূলুল্লাহ (ﷺ) নীরব রইলেন। -আবু দাউদ
কিন্তু তিরমিযী এর অনুরূপ রেওয়ায়াত করে বলেন যে, এই হাদীসের সনদ অবিচ্ছিন্ন নয়। কেননা মুহাম্মাদ ইবনে ইবরাহীম স্বয়ং কায়স ইবনে আমর হতে এটা শুনেন নি। অর্থাৎ হাদীসটি মুনকাতি'। এছাড়া শরহে সুন্নাহ এবং মাছাবীর বিভিন্ন কিতাবে কায়স ইবনে আমরের স্থলে কায়স ইবনে ফাহদ শব্দ রয়েছে।
كتاب الصلاة
عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ إِبْرَاهِيمَ عَنْ قَيْسِ بْنِ عَمْرو قَالَ: رَأَى النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ رَجُلًا يُصَلِّي بَعْدَ صَلَاةِ الصُّبْحِ رَكْعَتَيْنِ فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «صَلَاة الصُّبْحِ رَكْعَتَيْنِ رَكْعَتَيْنِ»

فَقَالَ الرَّجُلُ: إِنِّي لَمْ أَكُنْ صَلَّيْتُ الرَّكْعَتَيْنِ اللَّتَيْنِ قَبْلَهُمَا فَصَلَّيْتُهُمَا الْآنَ. فَسَكَتَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ. رَوَاهُ أَبُو دَاوُدَ وَرَوَى التِّرْمِذِيُّ نَحْوَهُ وَقَالَ: إِسْنَادُ هَذَا الْحَدِيثِ لَيْسَ بِمُتَّصِلٍ لِأَنَّ مُحَمَّدَ بن إِبْرَاهِيم يسمع لَمْ يَسْمَعْ مِنْ قَيْسِ بْنِ عَمْرٍو. وَفِي شَرْحِ السُّنَّةِ وَنُسَخِ الْمَصَابِيحِ عَنْ قَيْسِ بْنِ قهد نَحوه
tahqiq

তাহকীক:

হাদীস নং: ১০৪৫
- নামাযের অধ্যায়
২২. দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ - সালাত নিষিদ্ধ সময়ের বিবরণ
১০৪৫। হযরত জোবায়ের ইবনে মোত'ইম (রাযিঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেছেন, নবী পাক (ﷺ) ইরশাদ করেছেন, হে বনী আব্দে মানাফ! তোমরা এই ঘরের তাওয়াফ করতে এবং দিবা-রাত্রের যে কোন সময় তাওয়াফের নফল নামায পড়তে কাউকে বাধা দিও না। -তিরমিযী, আবু দাউদ, নাসায়ী
كتاب الصلاة
وَعَن جُبَير بن مطعم أَنَّ النَّبِيَّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: «يَا بَنِي عَبْدَ مَنَافٍ لَا تَمْنَعُوا أَحَدًا طَافَ بِهَذَا الْبَيْتِ وَصَلَّى آيَةً سَاعَةَ شَاءَ مِنْ لَيْلٍ أَوْ نَهَارٍ» . رَوَاهُ التِّرْمِذِيُّ وَأَبُو دَاوُد وَالنَّسَائِيّ
tahqiq

তাহকীক:

হাদীস নং: ১০৪৬
- নামাযের অধ্যায়
২২. দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ - সালাত নিষিদ্ধ সময়ের বিবরণ
১০৪৬। হযরত আবু হুরায়রাহ (রাযিঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেছেন, নবী পাক (ﷺ) দ্বিপ্রহরে সূর্য স্থির হওয়ার সময় নামায পড়তে নিষেধ করেছেন-যে পর্যন্ত না সূর্য একটু ঢলে যায়-অবশ্য জুম'আর দিন ছাড়া। -শাফেয়ী
كتاب الصلاة
وَعَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ: أَنَّ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ نَهَى عَنْ الصَّلَاةِ نِصْفَ النَّهَارِ حَتَّى تَزُولَ الشَّمْسُ إِلَّا يَوْمَ الْجُمُعَةِ. رَوَاهُ الشَّافِعِي
tahqiq

তাহকীক:

হাদীস নং: ১০৪৭
- নামাযের অধ্যায়
২২. দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ - সালাত নিষিদ্ধ সময়ের বিবরণ
১০৪৭। আবুল খলীল (রহ) সাহাবী হযরত আবু কাতাদাহ (রাযিঃ) হতে বর্ণনা করেছেন। তিনি বলেছেন, নবী পাক (ﷺ) মধ্যাহ্নের নামায পড়াকে অপছন্দ করতেন যে পর্যন্ত না সূর্য একটু ঢলে যায়। তবে এটা জুম'আর দিনে নয়। তিনি আরও বলেছেন, মধ্যাহ্নকালে দোযখকে উত্তপ্ত করা হয় জুম'আর দিন ছাড়া। (আবু দাউদ এই হাদীসটি বর্ণনা করেছেন এবং বলেছেন, আবুল খলীল হযরত আবু কাতাদাহর সাক্ষাৎ লাভ করেন নি। হাদীসটি মুনকাতি' বা দুর্বল।)
كتاب الصلاة
وَعَنْ أَبِي الْخَلِيلِ عَنْ أَبِي قَتَادَةَ قَالَ: كَانَ النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ كَرِهَ الصَّلَاة نصف النَّهَار حَتَّى نِصْفَ النَّهَارِ حَتَّى تَزُولَ الشَّمْسُ إِلَّا يَوْمَ الْجُمُعَةِ وَقَالَ: «إِنَّ جَهَنَّمَ تُسَجَّرُ إِلَّا يَوْمَ الْجُمُعَةِ» . رَوَاهُ أَبُو دَاوُدَ وَقَالَ أَبُو الْخَلِيلِ لم يلق أَبَا قَتَادَة
tahqiq

তাহকীক: