মিশকাতুল মাসাবীহ (মিশকাত শরীফ)
مشكاة المصابيح للتبريزي
৫- নামাযের অধ্যায় - এর পরিচ্ছেদসমূহ
মোট হাদীস ৪ টি
হাদীস নং: ১০৫১
- নামাযের অধ্যায়
২২. তৃতীয় অনুচ্ছেদ - সালাত নিষিদ্ধ সময়ের বিবরণ
১০৫১। হযরত আবু যর গিফারী (রাযিঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেছেন, তখন তিনি আল্লাহর ঘরের সিঁড়িতে উঠে দাঁড়ানো ছিলেন। “তোমাদের মধ্যে যে আমাকে চিনে, সে তো চিনে। আর যে চেনে না সে যেন জেনে রাখে আমি জুনদুব (যে কখনও মিথ্যা কথা বলে না)। আমি রাসূলুল্লাহ (ﷺ)-কে বলতে শুনেছি, ফজরের নামাযের পর কোন নামায নেই যে পর্যন্ত না সূর্য উদিত হয়। এভাবে আছরের নামাযের পরেও কোন নামায নেই—যে পর্যন্ত না সূর্য ডুবে যায়। অবশ্য মক্কা ছাড়া, মক্কা ছাড়া, মক্কা ছাড়া। —আহমদ, রাযীন
كتاب الصلاة
وَعَن أبي ذَر قَالَ وَقَدْ صَعِدَ عَلَى دَرَجَةِ الْكَعْبَةِ: مَنْ عَرَفَنِي فَقَدْ عَرَفَنِي وَمَنْ لَمْ يَعْرِفْنِي فَأَنَا جُنْدُبٌ سَمِعْتُ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَقُولُ: «لَا صَلَاةَ بَعْدَ الصُّبْحِ حَتَّى تَطْلُعَ الشَّمْسُ وَلَا بَعْدَ الْعَصْرِ حَتَّى تَغْرُبَ الشَّمْسُ إِلَّا بِمَكَّةَ إِلَّا بِمَكَّةَ إِلَّا بِمَكَّةَ» . رَوَاهُ أَحْمد ورزين
তাহকীক:
হাদীস নং: ১০৫২
- নামাযের অধ্যায়
২৩. প্রথম অনুচ্ছেদ - জামাআত ও তার ফযীলত সম্পর্কে
১০৫২। হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে ওমর (রাযিঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেছেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) ইরশাদ করেছেন, জামাতের সাথে নামায আদায় করা একা নামায পড়া অপেক্ষা সাতাশ গুণ অধিক সওয়াব (বা মর্যাদা) রাখে। -বুখারী, মুসলিম
كتاب الصلاة
بَابُ الْجَمَاعَةِ وَفَضْلِهَا
عَنِ ابْنِ عُمَرَ قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «صَلَاةُ الْجَمَاعَةِ تَفْضُلُ صَلَاة الْفَذ بِسبع وَعشْرين دَرَجَة»
তাহকীক:
হাদীস নং: ১০৫৩
- নামাযের অধ্যায়
২৩. প্রথম অনুচ্ছেদ - জামাআত ও তার ফযীলত সম্পর্কে
১০৫৩। হযরত আবু হুরায়রাহ (রাযিঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেছেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) ইরশাদ করেছেন, আল্লাহর কসম! আমি সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম যে, লাকড়ি জমা করতে নির্দেশ দিব এই উদ্দেশ্যে যে, আমি নামাযের আযান দিতে বলব। আযান দেওয়া হলে আমি কাউকে লোকদের ইমামতি করতে বলব। সে ইমামতি করবে আর আমি লোকদের বাড়ী বাড়ী গমন করব। বর্ণনাত্তরে রয়েছে, যারা জামাতে উপস্থিত হয় নি এবং তাদেরসহ তাদের গৃহে আগুন লাগিয়ে দিব। সেই আল্লাহর কসম! যার হাতে আমার প্রাণ রয়েছে। যদি তাদের কেউ একটি গোশতযুক্ত হাড়ের অথবা দুইটি ভাল ক্ষুরের খবর পেত তা হলে এশার নামাযে উপস্থিত হতো। -বুখারী
মুসলিমের বর্ণনাও প্রায় অনুরূপ।
মুসলিমের বর্ণনাও প্রায় অনুরূপ।
كتاب الصلاة
بَابُ الْجَمَاعَةِ وَفَضْلِهَا
وَعَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: وَالَّذِي نَفْسِي بِيَدِهِ لَقَدْ هَمَمْتُ أَنْ آمُرَ بِحَطَبٍ فَيُحْطَبَ ثُمَّ آمُرَ بِالصَّلَاةِ فَيُؤَذَّنَ لَهَا ثُمَّ آمُرَ رَجُلًا فَيَؤُمَّ النَّاسَ ثُمَّ أُخَالِفَ إِلَى رِجَالٍ. وَفِي رِوَايَةٍ: لَا يَشْهَدُونَ الصَّلَاةَ فَأُحَرِّقَ عَلَيْهِمْ بُيُوتَهُمْ وَالَّذِي نَفْسِي بِيَدِهِ لَوْ يَعْلَمُ أَحَدُهُمْ أَنَّهُ يَجِدُ عَرْقًا سَمِينًا أَوْ مِرْمَاتَيْنِ حَسَنَتَيْنِ لَشَهِدَ الْعِشَاءَ . رَوَاهُ الْبُخَارِيُّ وَلمُسلم نَحوه
তাহকীক:
হাদীস নং: ১০৫৪
- নামাযের অধ্যায়
২৩. প্রথম অনুচ্ছেদ - জামাআত ও তার ফযীলত সম্পর্কে
১০৫৪। হযরত আবু হুরায়রাহ (রাযিঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেছেন, নবী পাক (ﷺ)-এর নিকট এক অন্ধ ব্যক্তি এসে বলল, ইয়া রাসূলাল্লাহ (ﷺ)! আমার এমন কোন লোক নেই যে, আমাকে হাত ধরে মসজিদের দিকে নিয়ে যায়। (মোটকথা) লোকটি রাসূলুল্লাহ (ﷺ)-এর নিকট ঘরে বসে নামায আদায়ের অনুমতি চাইল। নবী পাক (ﷺ) তাকে অনুমতি দিলেন; কিন্তু লোকটি উঠে গেলে তিনি ডেকে জিজ্ঞেস করলেন, তুমি কি নামাযের আযান শুনতে পাও? সে বলল, হ্যাঁ। তিনি (ﷺ) বললেন, তবে মসজিদে উপস্থিত হবে।
كتاب الصلاة
بَابُ الْجَمَاعَةِ وَفَضْلِهَا
وَعَنْهُ قَالَ: أَتَى النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ رَجُلٌ أَعْمَى فَقَالَ: يَا رَسُولَ اللَّهِ إِنَّهُ لَيْسَ لِي قَائِدٌ يَقُودُنِي إِلَى الْمَسْجِدِ فَسَأَلَ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَنْ يُرَخِّصَ لَهُ فَيُصَلِّيَ فِي بَيْتِهِ فَرَخَّصَ لَهُ فَلَمَّا وَلَّى دَعَاهُ فَقَالَ: «هَلْ تَسْمَعُ النِّدَاءَ بِالصَّلَاةِ؟» قَالَ: نَعَمْ قَالَ: «فَأَجِبْ» . رَوَاهُ مُسلم
তাহকীক: