মিশকাতুল মাসাবীহ (মিশকাত শরীফ)

مشكاة المصابيح للتبريزي

৫- নামাযের অধ্যায় - এর পরিচ্ছেদসমূহ

মোট হাদীস টি

হাদীস নং: ১১২০
- নামাযের অধ্যায়
২৬. দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ - ইমামতির বর্ণনা
১১২০। তাবেয়ী হযরত আবু আতিয়্যা উকায়লী (রঃ) বলেন, সাহাবী হযরত মালেক ইবনে হুয়াইরেস (রাঃ) হাদীস প্রভৃতি আলোচনার জন্য আমাদের মসজিদে আসিতেন। এমতাবস্থায় একদিন নামাযের সময় হইয়া গেল, আবু আতিয়্যা বলেন, তখন আমরা তাহাকে বলিলাম, হুযুর! আগে যান এবং নামায পড়াইয়া দিন। ইহা শুনিয়া তিনি বলিলেন, তোমাদের মধ্য হইতে কাহাকেও আগে বাড়াইয়া দাও, সে যেন তোমাদের নামায পড়ায়। তবে আমি বলিতেছি, আমি কেন তোমাদের নামায পড়াইব না—আমি রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) কে বলিতে শুনিয়াছি, যে ব্যক্তি কোন লোকসমাজে যাইবে, সে যেন তাহাদের ইমামত না করে; বরং তাহাদের মধ্য হইতেই কেহ যেন তাহাদের ইমামত করে। — আবু দাউদ, তিরমিযী ও নাসায়ী; কিন্তু নাসায়ী আপন বর্ণনা নবী করীম (ﷺ)-এর বাণীতেই সীমাবদ্ধ রাখিয়াছেন।
كتاب الصلاة
وَعَنْ أَبِي عَطِيَّةَ الْعُقَيْلِيِّ قَالَ: كَانَ مَالِكُ بن الْحُوَيْرِث يَأْتِينَا إِلَى مُصَلَّانَا يَتَحَدَّثُ فَحَضَرَتِ الصَّلَاةُ يَوْمًا قَالَ أَبُو عَطِيَّةَ: فَقُلْنَا لَهُ: تَقَدَّمَ فَصْلُهُ. قَالَ لَنَا قَدِّمُوا رَجُلًا مِنْكُمْ يُصَلِّي بِكُمْ وَسَأُحَدِّثُكُمْ لِمَ لَا أُصَلِّي بِكُمْ؟ سَمِعْتُ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَقُولُ: «مَنْ زار قوما فَلَا يؤمهم وليؤمهم رجل مِنْهُم» . رَوَاهُ أَبُو دَاوُدَ وَالتِّرْمِذِيُّ وَالنَّسَائِيُّ إِلَّا أَنَّهُ اقْتَصَرَ عَلَى لَفْظِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسلم
tahqiq

তাহকীক:

হাদীস নং: ১১২১
- নামাযের অধ্যায়
২৬. দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ - ইমামতির বর্ণনা
১১২১। হযরত আনাস (রাঃ) বলেন, রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) ইবনে উম্মে মাকতুমকে নামাযে লোকের ইমামতি করার জন্য আপন প্রতিনিধি নিযুক্ত করিয়াছিলেন, অথচ তিনি ছিলেন অন্ধ। –আবু দাউদ
كتاب الصلاة
وَعَنْ أَنَسٍ قَالَ: اسْتَخْلَفَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ ابْنَ أُمِّ مَكْتُومٍ يَؤُمُّ النَّاس وَهُوَ أعمى. رَوَاهُ أَبُو دَاوُد
হাদীস নং: ১১২২
- নামাযের অধ্যায়
২৬. দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ - ইমামতির বর্ণনা
১১২২। হযরত আবু উমামা বাহেলী (রাঃ) বলেন, রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) বলিয়াছেনঃ তিন ব্যক্তির নামায তাহাদের কানের সীমা অতিক্রম করে না (অর্থাৎ, কবুল হয় না)। (ক) পলাতক দাস, যাবৎ না সে ফিরিয়া আসে; (খ) যে নারী রাত্রি যাপন করিয়াছে অথচ তাহার স্বামী তাহার উপর অসন্তুষ্ট এবং (গ) মানুষের ইমাম, যাহাকে তাহারা (সঙ্গত কারণে) নাপছন্দ করে। —তিরমিজি
كتاب الصلاة
وَعَنْ أَبِي أُمَامَةَ قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: ثَلَاثَةٌ لَا تُجَاوِزُ صَلَاتُهُمْ آذَانَهُمْ: الْعَبْدُ الْآبِقُ حَتَّى يَرْجِعَ وَامْرَأَةٌ بَاتَتْ وَزَوْجُهَا عَلَيْهَا سَاخِطٌ وَإِمَامُ قَوْمٍ وَهُمْ لَهُ كَارِهُونَ . رَوَاهُ التِّرْمِذِيُّ وَقَالَ: هَذَا حَدِيثٌ غَرِيبٌ
tahqiq

তাহকীক:

হাদীস নং: ১১২৩
- নামাযের অধ্যায়
২৬. দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ - ইমামতির বর্ণনা
১১২৩। হযরত ইবনে ওমর (রাঃ) বলেন, রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) বলিয়াছেনঃ তিন ব্যক্তি তাহাদের নামায কবুল হইবে না— (১) যে লোকদের ইমাম হইয়াছে অথচ তাহারা তাহাকে নাপছন্দ করে, (২) যে নামায পড়িতে আসে 'দেবারে', আর দেবার বলে (উত্তম) সময় চলিয়া যাওয়ার পর নামাযে আসাকে, (৩) যে কোন স্বাধীনা নারী (বা পুরুষ)-কে (দাস) দাসীতে পরিণত করে। – আবু দাউদ ও ইবনে মাজাহ্
كتاب الصلاة
وَعَنِ ابْنِ عُمَرَ قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: ثَلَاثَةٌ لَا تُقْبَلُ مِنْهُمْ صَلَاتُهُمْ: مَنْ تَقَدَّمَ قَوْمًا وَهُمْ لَهُ كَارِهُونَ وَرَجُلٌ أَتَى الصَّلَاةَ دِبَارًا وَالدِّبَارُ: أَنْ يَأْتِيَهَا بَعْدَ أَنْ تَفُوتَهُ وَرَجُلٌ اعْتَبَدَ مُحَرَّرَةً . رَوَاهُ أَبُو دَاوُد وَابْن مَاجَه
tahqiq

তাহকীক:

হাদীস নং: ১১২৪
- নামাযের অধ্যায়
২৬. দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ - ইমামতির বর্ণনা
১১২৪। হযরত সালামা বিনতে হুর (রাঃ) বলেন, রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) বলিয়াছেনঃ কেয়ামতের আলামতসমূহের মধ্যে ইহাও একটি—মসজিদে সমবেত নামাযীগণ একে অন্যকে ঠেলিবে; কিন্তু তাহাদের নামায পড়াইয়া দিতে পারে এমন কোন উপযুক্ত ইমাম পাইবে না। – আহমদ, আবু দাউদ ও ইবনে মাজাহ্
كتاب الصلاة
وَعَن سَلامَة بنت الْحر قَالَتْ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «إِنَّ مِنْ أَشْرَاطِ السَّاعَةِ أَنْ يَتَدَافَعَ أَهْلُ الْمَسْجِدِ لَا يَجِدُونَ إِمَامًا يُصَلِّي بِهِمْ» . رَوَاهُ أَحْمد وَأَبُو دَاوُد وَابْن مَاجَه
হাদীস নং: ১১২৫
- নামাযের অধ্যায়
২৬. দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ - ইমামতির বর্ণনা
১১২৫। হযরত আবু হুরায়রা (রাঃ) বলেন, রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) বলিয়াছেনঃ জেহাদ তোমাদের উপর ফরয প্রত্যেক ইমাম বা নেতার সহযোগে, চাই সে ভাল লোক হউক বা খারাপ – যদিও সে কবীরা গোনাহ্ করে। এইরূপে নামায তোমাদের উপর ফরয প্রত্যেক মুসলমানের পিছনে, চাই সে ভাল হউক কি মন্দ – যদিও সে কবীরা গোনাহ্ করে এবং প্রত্যেক মুসলমান মৃতের জানাযার নামায পড়া (তোমাদের উপর) ফরয চাই সে ভাল হউক কি মন্দ, যদিও সে কবীরা গোনাহ্ করিয়া থাকে। – আবু দাউদ
كتاب الصلاة
وَعَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عَلَيْهِ وَسلم: «الْجِهَادُ وَاجِبٌ عَلَيْكُمْ مَعَ كُلِّ أَمِيرٍ بَرًّا كَانَ أَوْ فَاجِرًا وَإِنْ عَمِلَ الْكَبَائِرَ. وَالصَّلَاةٌ وَاجِبَةٌ عَلَيْكُمْ خَلْفَ كُلِّ مُسْلِمٍ بَرًّا كَانَ أَوْ فَاجِرًا وَإِنْ عَمِلَ الْكَبَائِرَ. وَالصَّلَاةٌ وَاجِبَةٌ عَلَى كُلِّ مُسْلِمٍ بَرًّا كَانَ أَوْ فَاجِرًا وَإِنْ عَمِلَ الْكَبَائِرَ» . رَوَاهُ أَبُو دَاوُد