মিশকাতুল মাসাবীহ (মিশকাত শরীফ)
مشكاة المصابيح للتبريزي
৫- নামাযের অধ্যায় - এর পরিচ্ছেদসমূহ
মোট হাদীস ৩ টি
হাদীস নং: ১৩৭৮
- নামাযের অধ্যায়
৪৩. তৃতীয় অনুচ্ছেদ - জুমুআর সালাত ফরয
১৩৭৮। হযরত আব্দুল্লাহ্ ইবনে মাসউদ (রাঃ) বলেন, নবী করীম (ﷺ) একদল লোক সম্পর্কে বলিয়াছেনঃ যাহারা জুমুআর নামায হইতে সরিয়া থাকিত (সম্ভবত মোনাফেক দল), আমি নিশ্চিতরূপে ইচ্ছা করিয়াছি যে, আমি কাহাকেও আদেশ করিব, সে আমার স্থলে লোকদের ইমামতি করিবে আর আমি যাইয়া সেসকল লোকের ঘরে আগুন ধরাইয়া দিব যাহারা জুমুআর নামায হইতে সরিয়া থাকে। —মুসলিম
كتاب الصلاة
عَنِ ابْنِ مَسْعُودٍ أَنَّ النَّبِيَّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ لِقَوْمٍ يَتَخَلَّفُونَ عَنِ الْجُمُعَةِ: «لَقَدْ هَمَمْتُ أَنْ آمُرَ رَجُلًا يُصَلِّي بِالنَّاسِ ثُمَّ أُحْرِقَ عَلَى رِجَالٍ يَتَخَلَّفُونَ عَنِ الْجُمُعَةِ بُيُوتهم» . رَوَاهُ مُسلم
তাহকীক:
হাদীস নং: ১৩৭৯
- নামাযের অধ্যায়
৪৩. তৃতীয় অনুচ্ছেদ - জুমুআর সালাত ফরয
১৩৭৯। হযরত ইবনে আব্বাস (রাঃ) হইতে বর্ণিত আছে, নবী করীম (ﷺ) বলিয়াছেনঃ যে ব্যক্তি জরুরত ব্যতীত জুমুআর নামায তরক করিয়াছে, সে (আল্লাহর নিকট) মোনাফেক বলিয়া লেখা হইয়াছে এমন কিতাবে, যাহার লিখা মুছিয়া ফেলা যায় না এবং পরিবর্তন করাও হয় না। অপর বর্ণনায় আছে, তিনবার তরক করিয়াছে। —শাফেয়ী
كتاب الصلاة
وَعَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ أَنَّ النَّبِيَّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: «مَنْ تَرَكَ الْجُمُعَةُ مِنْ غَيْرِ ضَرُورَةٍ كُتِبَ مُنَافِقًا فِي كِتَابٍ لَا يُمْحَى وَلَا يُبَدَّلُ» . وَفِي بَعْضِ الرِّوَايَاتِ ثَلَاثًا. رَوَاهُ الشَّافِعِي
তাহকীক:
হাদীস নং: ১৩৮০
- নামাযের অধ্যায়
৪৩. তৃতীয় অনুচ্ছেদ - জুমুআর সালাত ফরয
১৩৮০। হযরত জাবের (রাঃ) হইতে বর্ণিত আছে, রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) বলিয়াছেনঃ যে ব্যক্তি আল্লাহর প্রতি এবং পরকালের প্রতি বিশ্বাস রাখে তাহার উপর জুমুআর দিনে জুমুআর নামায ফরয, রোগী, মুসাফির, স্ত্রীলোক, বালক, উন্মাদ এবং ক্রীতদাস ব্যতীত। যে ব্যক্তি খেলাধুলা ও ব্যবসা-বাণিজ্য লইয়া জুমুআর নামায হইতে বিমুখ থাকিবে, আল্লাহ্ তা'আলাও তাহার দিক হইতে বিমুখ থাকিবেন। আল্লাহ্ হইলেন অমুখাপেক্ষী ও প্রশংসিত। – দারা কুতনী
كتاب الصلاة
وَعَنْ جَابِرٍ أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: «مَنْ كَانَ يُؤْمِنُ بِاللَّهِ وَالْيَوْمِ الْآخِرِ فَعَلَيْهِ الْجُمُعَةُ يَوْمَ الْجُمُعَةِ إِلَّا مَرِيض أَو مُسَافر أَوْ صَبِيٌّ أَوْ مَمْلُوكٌ فَمَنِ اسْتَغْنَى بِلَهْوٍ أَوْ تِجَارَةٍ اسْتَغْنَى اللَّهُ عَنْهُ وَاللَّهُ غَنِيٌّ حميد» . رَوَاهُ الدراقطني
তাহকীক: