১৯৮৮। হযরত আবু হুরায়রা (রাঃ) বলেন, রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) বলিয়াছেনঃ যখন তোমাদের কেহ আযান শুনে আর খাওয়ার বাসন তাহার হাতে থাকে তখন সে যেন উহা রাখিয়া না দেয় যাবৎ না উহা হইতে আপন আবশ্যক পূর্ণ করে। –আবু দাউদ

১৯৮৯। হযরত আবু হুরায়রা (রাঃ) বলেন, রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) বলিয়াছেনঃ আল্লাহ্ তা'আলা বলেনঃ আমার বন্দাদের মধ্যে আমার নিকট অধিকতর প্রিয় তাহারাই যাহারা শীঘ্র শীঘ্র ইফতার করে। —তিরমিযী

১৯৯০। হযরত সালমান ইবনে আমের (রাঃ) বলেন, রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) বলিয়াছেনঃ যখন তোমাদের কেহ ইফতার করে, সে যেন খেজুর দ্বারা ইফতার করে, কেননা, উহাতে বরকত রহিয়াছে। যদি খেজুর না পায়, তবে যেন পানি দ্বারা ইফতার করে। কেননা, উহা হইল পবিত্রকারী। – আহমদ, তিরমিযী, আবু দাউদ, ইবনে মাজাহ্ ও দারেমী। কিন্তু 'কেননা, উহাতে বরকত' বাক্যটি তিরমিযী ব্যতীত কেহ বর্ণনা করেন নাই।

১৯৯১। হযরত আনাস (রাঃ) বলেন, নবী করীম (ﷺ) (মাগরিবের নামায পড়ার পূর্বে কয়েকটি তাজা খেজুর দ্বারা ইফতার করিতেন। যদি তাজা খেজুর না থাকিত, শুকনা খেজুর দ্বারাই ইফতার করিতেন। যদি শুকনা খেজুরও না থাকিত, তবে কয়েক কোশ পানিই খাইতেন। – তিরমিযী ও আবু দাউদ। তিরমিযী বলিয়াছেন, হাদীসটি হাসান ও গরীব।

১৯৯২। হযরত যায়দ ইবনে খালেদ (রাঃ) বলেন, রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) বলিয়াছেনঃ যে ব্যক্তি কোন রোযাদারকে ইফতার করাইয়াছে অথবা কোন গাযীকে জেহাদের সামগ্রী দান করিয়াছে, তাহার জন্যও তাহার অনুরূপ সওয়াব রহিয়াছে। – বায়হাকী শোআবুল ঈমানে; বগবী শরহে সুন্নাহ্য়। বগবী বলিয়াছেন, হাদীসটি সহীহ্। (তিরমিযী, নাসায়ী, ইবনে মাজাহ্, ইবনে খুযাইমা ও ইবনে হাব্বানও হাদীসটি বর্ণনা করিয়াছেন এবং সহীহ্ বলিয়াছেন।)

১৯৯৩। হযরত ইবনে ওমর (রাঃ) বলেন, নবী করীম (ﷺ) যখন ইফতার করিতেন বলিতেনঃ তৃষ্ণা দূর হইল, শিরা উপশিরা সিক্ত হইল এবং আল্লাহ্ চাহেন তো সওয়াব নির্ধারিত হইল। – আবু দাউদ

১৯৯৪। তাবেয়ী হযরত মুআয ইবনে যোহরা বলেন, নবী করীম (ﷺ) যখন ইফতার করিতেন বলিতেনঃ আল্লাহ্ আমি তোমারই জন্য রোযা রাখিয়াছি এবং তোমারই দেওয়া রিযিকে রোযা খুলিয়াছি। –আবু দাউদ মুরসাল হিসাবে।

১৯৯৫। হযরত আবু হুরায়রা (রাঃ) বলেন, রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) বলিয়াছেনঃ দ্বীন জয়ী থাকিবে যতকাল লোক শীঘ্র ইফতার করিবে। কেননা, ইহুদী ও নাসারাগণ ইফতার করে দেরীতে। – আবু দাউদ ও ইবনে মাজাহ্