মিশকাতুল মাসাবীহ (মিশকাত শরীফ)
مشكاة المصابيح للتبريزي
১০- যাবতীয় দোয়া-যিক্র - এর পরিচ্ছেদসমূহ
মোট হাদীস ৫ টি
হাদীস নং: ২৩৮৮
- যাবতীয় দোয়া-যিক্র
৪. প্রথম অনুচ্ছেদ - সকাল সন্ধ্যা ও শয্যা গ্রহণকালে যা বলবে
২৩৮৮। হযরত আবু হুরায়রা (রাঃ) বলেন, একদা হযরত ফাতেমা (রাঃ) নবী করীম ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের নিকট একটা চাকর চাহিতে আসিলেন। তিনি বলিলেন: আমি কি তোমাকে এমন কথা বাতলাইব না, যাহা তোমার পক্ষে চাকর অপেক্ষা উত্তম হইবে–প্রত্যেক নামাযের সময় ও শুইবার কালে বলিবে, ৩৩ বার 'সুবহানাল্লাহ, ৩৩ বার 'আলহামদু লিল্লাহ্' ও ৩৪ বার 'আল্লাহু আকবর'। —মুসলিম
كتاب الدعوات
وَعَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ قَالَ: جَاءَتْ فَاطِمَةُ إِلَى النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ تَسْأَلُهُ خَادِمًا فَقَالَ: «أَلَا أَدُلُّكِ عَلَى مَا هُوَ خَيْرٌ مِنْ خَادِمٍ؟ تُسَبِّحِينَ اللَّهَ ثَلَاثًا وَثَلَاثِينَ وَتَحْمَدِينَ اللَّهَ ثَلَاثًا وَثَلَاثِينَ وَتُكَبِّرِينَ اللَّهَ أَرْبَعًا وَثَلَاثِينَ عِنْدَ كُلِّ صَلَاةٍ وَعِنْدَ مَنَامِكِ» . رَوَاهُ مُسْلِمٌ
তাহকীক:
হাদীস নং: ২৩৮৯
- যাবতীয় দোয়া-যিক্র
৪. দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ - সকাল সন্ধ্যা ও শয্যা গ্রহণকালে যা বলবে
২৩৮৯। হযরত আবু হুরায়রা (রাঃ) বলেন, রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) যখন সকালে উঠিতেন, বলিতেন, “আল্লাহ্! তোমারই সাহায্যে আমরা সকালে উঠি এবং তোমারই সাহায্যে আমরা সন্ধ্যায় পৌঁছি; তোমারই নামে আমরা বাঁচি এবং তোমারই নামে মরি, আর তোমারই দিকে আমাদের প্রত্যাবর্তন।” আর যখন সন্ধ্যায় উপনীত হইতেন, বলিতেন, “আল্লাহ্! তোমারই সাহায্যে আমরা সন্ধ্যায় উপনীত হই এবং তোমারই সাহায্যে সকালে উঠি; তোমারই নামে আমরা বাঁচি এবং তোমারই নামে মরি, তোমারই দিকে আমাদের উত্থান। —তিরমিযী, আবু দাউদ ও ইবনে মাজাহ্
كتاب الدعوات
الْفَصْل الثَّانِي
عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ قَالَ: كَانَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ إِذَا أَصْبَحَ قَالَ: «اللَّهُمَّ بِكَ أَصْبَحْنَا وَبِكَ أَمْسَيْنَا وَبِكَ نَحْيَا وَبِكَ نَمُوتُ وَإِلَيْكَ الْمَصِيرُ» . وَإِذَا أَمْسَى قَالَ: «اللَّهُمَّ بِكَ أَمْسَيْنَا وَبِكَ أَصْبَحْنَا وَبِكَ نَحْيَا وَبِكَ نَمُوتُ وَإِلَيْكَ النُّشُورُ» . رَوَاهُ التِّرْمِذِيُّ وَأَبُو دَاوُد وَابْن مَاجَه
তাহকীক:
হাদীস নং: ২৩৯০
- যাবতীয় দোয়া-যিক্র
৪. দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ - সকাল সন্ধ্যা ও শয্যা গ্রহণকালে যা বলবে
২৩৯০। হযরত আবু হুরায়রা (রাঃ) বলেন, হযরত আবু বকর (রাঃ) বলিয়াছেন, একদা আমি বলিলাম, ইয়া রাসূলাল্লাহ্! আমাকে একটি দো'আর নির্দেশ দিন যাহা আমি যখন সকালে উঠি এবং সন্ধ্যায় উপনীত হই তখন বলিতে পারি। হুযূর বলিলেনঃ তুমি বলিবে, “আল্লাহ্ ! যিনি অদৃশ্য ও দৃশ্যের জ্ঞাতা, আসমান ও যমীনের স্রষ্টা, প্রত্যেক বস্তুর পালক ও অধিকারী— আমি সাক্ষ্য দিতেছি যে, তুমি ব্যতীত কোন মা'বূদ নাই, আমি তোমার শরণ লই আমার মনের মন্দ হইতে, শয়তানের মন্দ ও তাহার শিরক হইতে।” বলিবে তুমি উহা যখন সকালে উঠিবে, যখন সন্ধ্যায় উপনীত হইবে এবং যখন তুমি তোমার শয্যা গ্রহণ করিবে। — তিরমিযী, আবু দাউদ ও দারেমী
كتاب الدعوات
وَعنهُ قَالَ: قَالَ أَبُو بَكْرٍ: قُلْتُ يَا رَسُولَ اللَّهِ مُرْنِي بِشَيْءٍ أَقُولُهُ إِذَا أَصْبَحْتُ وَإِذَا أَمْسَيْتُ قَالَ: «قُلِ اللَّهُمَّ عَالِمَ الْغَيْبِ وَالشَّهَادَةِ فَاطِرَ السَّمَاوَاتِ وَالْأَرْضِ رَبَّ كُلِّ شَيْءٍ وَمَلِيكَهُ أَشْهَدُ أَنْ لَا إِلَهَ إِلَّا أَنْتَ أَعُوذُ بِكَ مِنْ شَرِّ نَفْسِي وَمِنْ شَرِّ الشَّيْطَانِ وَشِرْكِهِ قُلْهُ إِذَا أَصْبَحْتَ وَإِذَا أَمْسَيْتَ وَإِذَا أَخَذْتَ مضجعك» . رَوَاهُ التِّرْمِذِيّ وَأَبُو دَاوُد والدارمي
তাহকীক:
হাদীস নং: ২৩৯১
- যাবতীয় দোয়া-যিক্র
৪. দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ - সকাল সন্ধ্যা ও শয্যা গ্রহণকালে যা বলবে
২৩৯১। হযরত আবান ইবনে ওসমান (রাঃ) বলেন, আমি আমার পিতাকে বলিতে শুনিয়াছি; রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) বলিয়াছেনঃ যে ব্যক্তি প্রত্যেক দিন সকালে এবং প্রত্যেক রাত্রি সন্ধ্যায় তিন বার বলিবে “আল্লাহর নামে যাঁহার নামের সাথে যমীন ও আসমানে কোন কিছুই ক্ষতি করিতে পারে না, আর তিনি হইতেছেন শ্রোতা ও জ্ঞাতা”— তাহাকে কোন কিছুই ক্ষতি করে এমন হইতে পারে না। পরবর্তী রাবী বলেন, আবানকে পক্ষাঘাত আক্রমণ করিয়াছিল, তাই শ্রোতা তাহার দিকে দেখিতেছিল। তখন আবান তাহাকে বলিলেন, আমার দিকে দেখিতেছ কি? নিশ্চয়ই হাদীস আমি যাহা বর্ণনা করিয়াছি তাহাই—তবে আমি সেদিন ইহা বলি নাই, “যাহাতে আল্লাহ্ আমাতে তাঁহার পূর্ব নির্ধারণ কার্যকরী করেন।” —তিরমিযী, ইবনে মাজাহ্ ও আবু দাউদ
কিন্তু আবু দাউদের অপর বর্ণনায় আছে, সে রাতে তাহার প্রতি কোন আকস্মিক বিপদ পৌঁছিবে না যাবৎ না সকাল হয়, আর যে উহা সকালে বলিবে তাহার প্রতি কোন আকস্মিক বিপদ পৌঁছিবে না যাবৎ না সন্ধ্যা হয়।
কিন্তু আবু দাউদের অপর বর্ণনায় আছে, সে রাতে তাহার প্রতি কোন আকস্মিক বিপদ পৌঁছিবে না যাবৎ না সকাল হয়, আর যে উহা সকালে বলিবে তাহার প্রতি কোন আকস্মিক বিপদ পৌঁছিবে না যাবৎ না সন্ধ্যা হয়।
كتاب الدعوات
وَعَنْ أَبَانَ بْنِ عُثْمَانَ قَالَ: سَمِعْتُ أَبِي يَقُولَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «مَا مِنْ عَبْدٍ يَقُولُ فِي صَبَاحِ كُلِّ يَوْمٍ وَمَسَاءِ كُلِّ لَيْلَةٍ بِسْمِ اللَّهِ الَّذِي لَا يَضُرُّ مَعَ اسْمِهِ شَيْءٌ فِي الْأَرْضِ وَلَا فِي السَّمَاءِ وَهُوَ السَّمِيعُ الْعَلِيمُ ثَلَاثَ مَرَّاتٍ فَيَضُرَّهُ شَيْءٌ» . فَكَانَ أَبَانُ قَدْ أَصَابَهُ طَرَفُ فَالَجٍ فَجَعَلَ الرَّجُلَ يَنْظُرُ إِلَيْهِ فَقَالَ لَهُ أَبَانُ: مَا تَنْظُرُ إِلَيَّ؟ أَمَا إِنَّ الْحَدِيثَ كَمَا حَدَّثْتُكَ وَلَكِنِّي لَمْ أَقُلْهُ يَوْمَئِذٍ لِيُمْضِيَ اللَّهُ عَلَيَّ قَدَرَهُ. رَوَاهُ التِّرْمِذِيُّ وَابْن مَاجَه وَأَبُو دَاوُد وَفِي رِوَايَته: «لَمْ تُصِبْهُ فُجَاءَةُ بَلَاءٍ حَتَّى يُصْبِحَ وَمَنْ قَالَهَا حِينَ يُصْبِحُ لَمْ تُصِبْهُ فُجَاءَةُ بَلَاءٍ حَتَّى يُمسيَ»
তাহকীক:
হাদীস নং: ২৩৯২
- যাবতীয় দোয়া-যিক্র
৪. দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ - সকাল সন্ধ্যা ও শয্যা গ্রহণকালে যা বলবে
২৩৯২। হযরত আব্দুল্লাহ্ ইবনে মাসউদ (রাঃ) হইতে বর্ণিত আছে, নবী করীম (ﷺ) বলিতেন যখন সন্ধ্যায় উপনীত হইতেন, আমরা সন্ধ্যায় উপনীত হইলাম আর রাজ্য সন্ধ্যায় উপনীত হইল আল্লাহর উদ্দেশ্যে। সমস্ত প্রশংসা আল্লাহর, আল্লাহ্ ব্যতীত কোন মা'বূদ নাই, তিনি এক, তাহার কোন শরীক নাই, তাহারই রাজত্ব বা শাসন, তাঁহারই জন্য প্রশংসা আর তিনি সমস্ত বিষয়ের উপর ক্ষমতাবান। আমি তোমার নিকট চাহি এ রাতে যাহা আছে তাহার ভাল এবং ইহার পরে যাহা আছে তাহার ভাল, আর আমি তোমার নিকট পানাহ চাহি এ রাতে যাহা আছে তাহার মন্দ হইতে, এবং ইহার পরে যাহা আছে তাহার মন্দ হইতে। পরওয়ারদেগার! আমি তোমার নিকট পানাহ্ চাহি অলসতা হইতে এবং বার্ধক্যের মন্দ হইতে অথবা বলিয়াছেন, কুফরীর মন্দ হইতে। আর অপর বর্ণনায় আছে, বার্ধক্যের মন্দ ও দাম্ভিকতা হইতে। পরওয়ারদেগার! আমি তোমার নিকট পানাহ্ চাহি দোযখের শাস্তি হইতে এবং কবরের শাস্তি হইতে। আর যখন তিনি সকালে উপনীত হইতেন তাহা বলিতেন; বলিতেন, “আমরা সকালে উপনীত হইলাম আর রাজ্যও সকালে উপনীত হইল আল্লাহর উদ্দেশ্যে।" —আবু দাউদ ও তিরমিযী। তবে তিরমিযীর রেওয়ায়তে من سوءِ الكفرِ শব্দটির উল্লেখ নাই।
كتاب الدعوات
وَعَنْ عَبْدِ اللَّهِ أَنَّ النَّبِيَّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ كَانَ يَقُولُ إِذَا أَمْسَى: «أَمْسَيْنَا وَأَمْسَى الْمُلْكُ لِلَّهِ وَالْحَمْدُ لِلَّهِ لَا إِلَهَ إِلَّا اللَّهُ وَحْدَهُ لَا شَرِيكَ لَهُ لَهُ الْمُلْكُ وَلَهُ الْحَمْدُ وَهُوَ عَلَى كُلِّ شَيْءٍ قَدِيرٌ رَبِّ أَسْأَلُكَ خَيْرَ مَا فِي هَذِهِ اللَّيْلَةِ وَخَيْرَ مَا بَعْدَهَا وَأَعُوذُ بِكَ مِنْ شَرِّ مَا فِي هَذِهِ اللَّيْلَةِ وَشَرِّ مَا بَعْدَهَا رَبِّ أَعُوذُ بِكَ مِنَ الْكَسَلِ وَمِنْ سُوءِ الْكِبَرِ أَوِ الْكُفْرِ» . وَفِي رِوَايَةٍ: «مِنْ سُوءِ الْكِبَرِ وَالْكِبْرِ رَبِّ أَعُوذُ بِكَ مِنْ عَذَابٍ فِي النَّارِ وَعَذَابٍ فِي الْقَبْرِ» . وَإِذَا أَصْبَحَ قَالَ ذَلِكَ أَيْضًا: «أَصْبَحْنَا وَأَصْبَحَ الْمُلْكُ لِلَّهِ» . رَوَاهُ أَبُو دَاوُدَ وَالتِّرْمِذِيُّ وَفِي رِوَايَتِهِ لم يذكر: «من سوءِ الكفرِ»
তাহকীক: