মিশকাতুল মাসাবীহ (মিশকাত শরীফ)
مشكاة المصابيح للتبريزي
১০- যাবতীয় দোয়া-যিক্র - এর পরিচ্ছেদসমূহ
মোট হাদীস ২০ টি
হাদীস নং: ২৩৯৩
- যাবতীয় দোয়া-যিক্র
৪. দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ - সকাল সন্ধ্যা ও শয্যা গ্রহণকালে যা বলবে
২৩৯৩। নবী করীম (ﷺ)-এর কোন কন্যা হইতে বর্ণিত আছে যে, নবী করীম (ﷺ) তাঁহাকে শিক্ষা দিতেন এবং বলিতেন, তুমি বলিবে, যখন ভোরে উঠিবে— “আল্লাহর পবিত্রতা তাঁহার প্রশংসার সাথে; কাহারও কোন শক্তি নাই আল্লাহর শক্তি ছাড়া, যাহা আল্লাহ্ চান তাহাই হয়, আর যাহা তিনি চান না, তাহা হয় না। আমি জানি, আল্লাহ্ সমস্ত বিষয়ের উপর ক্ষমতাবান, আর আল্লাহ্ সমস্ত জিনিসকে জ্ঞান দ্বারা ঘিরিয়া রাখিয়াছেন।” –যে ইহা বলিবে, যখন সকালে উঠিবে, সে হেফাযতে থাকিবে যাবৎ না সন্ধ্যায় উপনীত হয়, আর যে ইহা বলিবে যখন সন্ধ্যায় উপনীত হয়, সে হেফাযতে থাকিবে যাবৎ না সকালে উঠে। —আবু দাউদ
كتاب الدعوات
وَعَنْ بَعْضِ بَنَاتِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَنَّ النَّبِيَّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ كَانَ يُعَلِّمُهَا فَيَقُولُ: قُولِي حِينَ تُصْبِحِينَ: سُبْحَانَ اللَّهِ وَبِحَمْدِهِ وَلَا قُوَّةَ إِلَّا بِاللَّهِ مَا شَاءَ اللَّهُ كَانَ وَمَا لَمْ يَشَأْ لَمْ يَكُنْ أَعْلَمُ أَنَّ اللَّهَ عَلَى كُلِّ شَيْءٍ قَدِيرٌ وَأَنَّ اللَّهَ قَدْ أَحَاطَ بِكُلِّ شَيْءٍ عِلْمًا فَإِنَّهُ مَنْ قَالَهَا حِينَ يُصْبِحُ حُفِظَ حَتَّى يُمْسِيَ وَمَنْ قَالَهَا حِينَ يُمْسِي حُفِظَ حَتَّى يصبح . رَوَاهُ أَبُو دَاوُد
তাহকীক:
হাদীস নং: ২৩৯৪
- যাবতীয় দোয়া-যিক্র
৪. দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ - সকাল সন্ধ্যা ও শয্যা গ্রহণকালে যা বলবে
২৩৯৪। হযরত ইবনে আব্বাস (রাঃ) বলেন, রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) বলিয়াছেনঃ যে ব্যক্তি এই আয়াত পড়িবে যখন সকালে উঠিবে, “সুতরাং আল্লাহর পবিত্রতা যখন তোমরা সন্ধ্যায় উপনীত হও এবং যখন তোমরা সকালে উঠ; এবং আসমান ও যমীনে প্রশংসা একমাত্র তাহারই জন্য আর বৈকালে এবং যখন তোমরা দুপুরে উপনীত হও— 'এইরূপে তোমরা বাহির করা হইবে'–পর্যন্ত।” সে লাভ করিবে ঐ দিনে যাহা তাহার ফওত হইয়া গিয়াছে, আর যে পড়িবে উহা যখন সন্ধ্যায় উপনীত হয়, সে লাভ করিবে যাহা তাহার ঐ রাতে ফওত হইয়া গিয়াছে। –আবু দাউদ
كتاب الدعوات
وَعَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: مَنْ قَالَ حِينَ يُصْبِحُ: (فَسُبْحَانَ اللَّهِ حِينَ تُمْسُونَ وَحِينَ تُصْبِحُونَ ولهُ الحمدُ فِي السمواتِ والأرضِ وعشيَّاً وحينَ تُظهرون)
إِلى قَوْله: (وَكَذَلِكَ تُخْرَجونَ)
أَدْرَكَ مَا فَاتَهُ فِي يَوْمِهِ ذَلِكَ وَمَنْ قَالَهُنَّ حِينَ يُمْسِي أَدْرَكَ مَا فَاتَهُ فِي ليلتِهِ . رَوَاهُ أَبُو دَاوُد
إِلى قَوْله: (وَكَذَلِكَ تُخْرَجونَ)
أَدْرَكَ مَا فَاتَهُ فِي يَوْمِهِ ذَلِكَ وَمَنْ قَالَهُنَّ حِينَ يُمْسِي أَدْرَكَ مَا فَاتَهُ فِي ليلتِهِ . رَوَاهُ أَبُو دَاوُد
তাহকীক:
হাদীস নং: ২৩৯৫
- যাবতীয় দোয়া-যিক্র
৪. দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ - সকাল সন্ধ্যা ও শয্যা গ্রহণকালে যা বলবে
২৩৯৫। হযরত আবু আইয়্যাশ (রাঃ) হইতে বর্ণিত আছে যে, রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) বলিয়াছেনঃ যে সকালে উঠিয়া বলিবে, “আল্লাহ্ ব্যতীত কোন উপাস্য নাই, তিনি এক, তাহার কোন অংশীদার নাই, তাঁহারই রাজত্ব, তাঁহারই প্রশংসা এবং তিনি সকল বিষয়ের উপর ক্ষমতাবান।"—তাহার জন্য ইহা ইসমাঈল বংশীয় একটি দাস মুক্ত করার সমান হইবে এবং তাহার জন্য দশটি পুণ্য লেখা হইবে ও তাহার দশটি পাপ খণ্ডন করা হইবে; আর তাহার দশটি মর্যাদা বুলন্দ করা হইবে এবং সে শয়তান হইতে হেফাযতে থাকিবে—যাবৎ না সে সন্ধ্যায় উপনীত হয়। আর যদি সে বলে যখন সন্ধ্যায় উপনীত হয়, তাহার জন্য ঐরূপ হইবে যাবৎ না সে সকালে উঠে। (রাবী বলেন,) এক ব্যক্তি রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ)-কে স্বপ্নে দেখিল এবং বলিল, ইয়া রাসূলাল্লাহ্! আবু আইয়্যাশ আপনার নাম করিয়া এই এই কথা বলে। হুযূর বলিলেন, আবু আইয়্যাশ সত্য বলিয়াছে। —আবু দাউদ ও ইবনে মাজাহ্
كتاب الدعوات
وَعَنْ أَبِي عَيَّاشٍ أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: مَنْ قَالَ إِذَا أَصْبَحَ: لَا إِلَهَ إِلَّا اللَّهُ وَحْدَهُ لَا شَرِيكَ لَهُ لَهُ الْمُلْكُ وَلَهُ الْحَمْدُ وَهُوَ عَلَى كُلِّ شَيْءٍ قَدِيرٌ كَانَ لَهُ عَدْلُ رَقَبَةٍ مِنْ وَلَدِ إِسْمَاعِيلَ وَكُتِبَ لَهُ عَشْرُ حَسَنَاتٍ وَحَطَّ عَنْهُ عَشْرَ سَيِّئَاتٍ وَرفع عَشْرُ دَرَجَاتٍ وَكَانَ فِي حِرْزٍ مِنَ الشَّيْطَانِ حَتَّى يُمْسِيَ وَإِنْ قَالَهَا إِذَا أَمْسَى كَانَ لهُ مثلُ ذَلِك حَتَّى يُصبحَ . قَالَ حَمَّاد بن سَلمَة: فَرَأَى رَجُلٌ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فِيمَا يَرَى النَّائِمُ فَقَالَ: يَا رَسُولَ اللَّهِ إِنَّ أَبَا عَيَّاشٍ يُحَدِّثُ عَنْكَ بِكَذَا وَكَذَا قَالَ: «صَدَقَ أَبُو عَيَّاشٍ» . رَوَاهُ أَبُو دَاوُد وَابْن مَاجَه
তাহকীক:
হাদীস নং: ২৩৯৬
- যাবতীয় দোয়া-যিক্র
৪. দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ - সকাল সন্ধ্যা ও শয্যা গ্রহণকালে যা বলবে
২৩৯৬। (তাবেয়ী) হারেস ইবনে মুসলিম তামিমী তাহার পিতা হইতে, তিনি রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) হইতে বর্ণনা করেন যে, একদা তিনি (হুযূর) তাহাকে চুপে চুপে বলিলেনঃ যখন তুমি মাগরিবের নামায হইতে অবসর গ্রহণ করিবে, কাহারও সাথে কথা বলিবার পূর্বে সাতবার বলিবেঃ 'আল্লাহুম্মা আজিরনী মিনান্নার’– “আল্লাহ্! আমাকে দোযখ হইতে বাঁচাও ;” যখন তুমি উহা বলিবে অতঃপর ঐ রাতে মরিবে, তোমার জন্য দোযখ হইতে ছাড়পত্র লেখা হইবে। এইরূপে যখন তুমি ফজরের নামায পড়িবে ঐরূপ বলিবে। অতঃপর যখন তুমি ঐ দিনে মরিবে, তোমার জন্য দোযখ হইতে ছাড়পত্র লেখা হইবে। —আবু দাউদ
كتاب الدعوات
وَعَنِ الْحَارِثِ بْنِ مُسْلِمٍ التَّمِيمِيِّ عَنْ أَبِيهِ عَنْ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَنَّهُ أَسَرَّ إِلَيْهِ فَقَالَ: «إِذَا انْصَرَفْتَ مِنْ صَلَاةِ الْمَغْرِبِ فَقُلْ قَبْلَ أَنْ تُكَلِّمَ أَحَدًا اللَّهُمَّ أَجِرْنِي مِنَ النَّارِ سَبْعَ مَرَّاتٍ فَإِنَّكَ إِذَا قُلْتَ ذَلِكَ ثُمَّ مِتَّ فِي لَيْلَتِكَ كُتِبَ لَكَ جَوَازٌ مِنْهَا» . رَوَاهُ أَبُو دَاوُدَ
তাহকীক:
হাদীস নং: ২৩৯৭
- যাবতীয় দোয়া-যিক্র
৪. দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ - সকাল সন্ধ্যা ও শয্যা গ্রহণকালে যা বলবে
২৩৯৭। হযরত ইবনে ওমর (রাঃ) বলেন, রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) এই বাক্যগুলি ছাড়িতেন না, যখন তিনি সন্ধ্যায় উপনীত হইতেন এবং যখন তিনি সকালে উঠিতেন, “আল্লাহ্! আমি তোমার নিকট চাহি দুনিয়া ও আখেরাতে নিরাপত্তা; আল্লাহ্, আমি তোমার নিকট চাহি আমার দ্বীন, দুনিয়া, পরিজন ও মাল-সম্পদ সম্পর্কে নিরাপত্তা; আল্লাহ্, তুমি আমার দোষসমূহ ঢাকিয়া রাখ এবং ভীতিপ্রদ বিষয়সমূহ হইতে আমাকে নিরাপদে রাখ; আল্লাহ্ তুমি আমার হেফাযত কর আমার সম্মুখ হইতে, আমার পিছন দিক হইতে, আমার ডান দিক হইতে, আমার বাম দিক হইতে এবং আমার উপর দিক হইতে; আল্লাহ্, আমি তোমার মর্যাদার নিকট পানাহ্ চাহি মাটিতে ধসিয়া যাওয়া হইতে। —আবু দাউদ
كتاب الدعوات
وَعَنِ ابْنِ عُمَرَ قَالَ: لَمْ يَكُنْ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَدَعُ هَؤُلَاءِ الْكَلِمَاتِ حِينَ يُمْسِي وَحِينَ يُصْبِحُ: «اللَّهُمَّ إِنِّي أَسْأَلُكَ الْعَافِيَةَ فِي الدُّنْيَا وَالْآخِرَةِ اللَّهُمَّ إِنِّي أَسْأَلُكَ الْعَفْوَ وَالْعَافِيَةَ فِي دِينِي وَدُنْيَايَ وَأَهْلِي وَمَالِي اللَّهُمَّ اسْتُرْ عَوْرَاتِي وَآمِنْ رَوْعَاتِي اللَّهُمَّ احْفَظْنِي مِنْ بَيْنِ يَدِي وَمِنْ خَلْفِي وَعَنْ يَمِينِي وَعَنْ شِمَالِي وَمِنْ فَوْقِي وَأَعُوذُ بِعَظَمَتِكَ أَن أُغتالَ من تحتي» . قَالَ وَكِيع يَعْنِي الْخَسْف رَوَاهُ أَبُو دَاوُد
তাহকীক:
হাদীস নং: ২৩৯৮
- যাবতীয় দোয়া-যিক্র
৪. দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ - সকাল সন্ধ্যা ও শয্যা গ্রহণকালে যা বলবে
২৩৯৮। হযরত আনাস (রাঃ) বলেন, রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) বলিয়াছেনঃ যে সকালে উঠিয়া বলিবে, “আল্লাহ্! আমি সকালে সাক্ষী করি তোমাকে এবং তোমার আরশবহনকারীদিগকে, তোমার অপর ফিরিশতাদিগকে, তোমার সমস্ত সৃষ্টিকে ; তুমিই আল্লাহ্, তুমি ব্যতীত কোন মা'বূদ নাই, তুমি এক, তোমার কোন শরীক নাই এবং মুহাম্মাদ তোমার বান্দা ও রাসূল” – নিশ্চয় আল্লাহ্ তাহাকে মাফ করিবেন তাহার ঐ দিনে যে গোনাহ্ ঘটিবে। আর যদি সে বলে উহা সন্ধ্যায় উপনীত হইয়া, আল্লাহ্ মাফ করিয়া দিবেন তাহার ঐ রাতে যে গোনাহ্ সংঘটিত হইবে। —তিরমিযী ও আবু দাউদ। কিন্তু তিরমিযী বলেন, হাদীসটি গরীব।
كتاب الدعوات
وَعَنْ أَنَسٍ قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: مَنْ قَالَ حِينَ يُصْبِحُ: اللَّهُمَّ أَصْبَحْنَا نُشْهِدُكَ وَنُشْهِدُ حَمَلَةَ عَرْشِكَ وَمَلَائِكَتَكَ وَجَمِيعَ خَلْقِكَ أَنَّكَ أَنْتَ اللَّهُ لَا إِلَهَ إِلَّا أَنْتَ وَحْدَكَ لَا شَرِيكَ لَكَ وَأَنَّ مُحَمَّدًا عَبْدُكَ وَرَسُولُكَ إِلَّا غَفَرَ اللَّهُ لَهُ مَا أَصَابَهُ فِي يَوْمِهِ ذَلِكَ مِنْ ذَنْبٍ . رَوَاهُ التِّرْمِذِيُّ وَأَبُو دَاوُدَ وَقَالَ التِّرْمِذِيُّ: هَذَا حَدِيث غَرِيب
তাহকীক:
হাদীস নং: ২৩৯৯
- যাবতীয় দোয়া-যিক্র
৪. দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ - সকাল সন্ধ্যা ও শয্যা গ্রহণকালে যা বলবে
২৩৯৯। হযরত সওবান (রাঃ) বলেন, রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) বলিয়াছেনঃ যে কোন মুসলমান বান্দা সন্ধ্যায় পৌঁছিয়া এবং সকালে উঠিয়া তিনবার বলিবে— 'রাযীতু বিল্লাহি রাব্বান, ওয়া বিল ইসলামি দ্বীনান ওয়া বি মুহাম্মাদিন নাবীয়্যান' – “আমি আল্লাহকে প্রভুরূপে, ইসলামকে দ্বীনরূপে ও মুহাম্মাদকে নবীরূপে পাইয়া খুশী হইয়াছি।” নিশ্চয় আল্লাহর প্রতি অবধারিত হইবে, তিনি কেয়ামতের দিন তাহাকে খুশী করেন। —আহমদ ও তিরমিযী
كتاب الدعوات
وَعَنْ ثَوْبَانَ قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «مَا مِنْ عَبْدٍ مُسْلِمٍ يَقُولُ إِذَا أَمْسَى وَإِذَا أَصْبَحَ ثَلَاثًا رَضِيتُ بِاللَّهِ رَبًّا وَبِالْإِسْلَامِ دِينًا وَبِمُحَمَّدٍ نَبِيًّا إِلَّا كَانَ حَقًّا عَلَى اللَّهِ أَنْ يُرْضِيَهُ يَوْمَ الْقِيَامَة» . رَوَاهُ أَحْمد وَالتِّرْمِذِيّ
তাহকীক:
হাদীস নং: ২৪০০
- যাবতীয় দোয়া-যিক্র
৪. দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ - সকাল সন্ধ্যা ও শয্যা গ্রহণকালে যা বলবে
২৪০০। হযরত হুযায়ফা (রাঃ) বলেন, নবী করীম (ﷺ) যখন শুইবার ইচ্ছা করিতেন হাত মাথার নীচে রাখিতেন, অতঃপর বলিতেনঃ “আল্লাহ্! আমাকে তোমার শাস্তি হইতে বাঁচাইয়া রাখিও যেদিন তুমি তোমার বান্দাদিগকে একত্র করিবে।” অথবা তিনি বলিয়াছেন, “তোমার বান্দাদিগকে কবর হইতে উঠাইবে। ” – তিরমিযী,
كتاب الدعوات
وَعَنْ حُذَيْفَةَ أَنَّ النَّبِيَّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ كَانَ إِذَا أَرَادَ أَنْ يَنَامَ وَضَعَ يَدَهُ تَحْتَ رَأْسِهِ ثُمَّ قَالَ: «اللَّهُمَّ قِنِي عَذَابَكَ يَوْمَ تَجْمَعُ عِبَادَكَ أَوْ تَبْعَثُ عِبَادَكَ» . رَوَاهُ التِّرْمِذِيّ
তাহকীক:
হাদীস নং: ২৪০১
- যাবতীয় দোয়া-যিক্র
৪. দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ - সকাল সন্ধ্যা ও শয্যা গ্রহণকালে যা বলবে
২৪০১। ইমাম আহমদ (রহঃ) বারা (রাঃ) হতে বর্ণনা করেছেন।
كتاب الدعوات
وَرَوَاهُ أَحْمد عَن الْبَراء
তাহকীক:
হাদীস নং: ২৪০২
- যাবতীয় দোয়া-যিক্র
৪. দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ - সকাল সন্ধ্যা ও শয্যা গ্রহণকালে যা বলবে
২৪০২। হযরত (বিবি) হাফসা (রাঃ) বলেন, রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) যখন শুইবার ইচ্ছা করিতেন, ডান হাত গালের নীচে রাখিতেন; অতঃপর তিনবার বলিতেন—আল্লাহুম্মা কিনী আযাবাকা ইয়াওমা তাবআছু ইবাদাকা' – “আল্লাহ্! তুমি আমাকে তোমার আযাব হইতে রক্ষা করিও যেদিন তুমি তোমার বান্দাদিগকে কবর হইতে উঠাইবে।” —আবু দাউদ
كتاب الدعوات
وَعَن حَفصةَ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهَا أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ كَانَ إِذَا أَرَادَ أَنْ يَرْقُدَ وَضَعَ يَدَهُ الْيُمْنَى تَحْتَ خَدِّهِ ثُمَّ يَقُولُ: «اللَّهُمَّ قِنِي عَذَابَكَ يَوْمَ تَبْعَثُ عِبَادَكَ» . ثَلَاثَ مَرَّاتٍ رَوَاهُ أَبُو دَاوُد
তাহকীক:
হাদীস নং: ২৪০৩
- যাবতীয় দোয়া-যিক্র
৪. দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ - সকাল সন্ধ্যা ও শয্যা গ্রহণকালে যা বলবে
২৪০৩। হযরত আলী (রাঃ) বলেন, রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) শোয়ারকালে বলিতেন, “আল্লাহ্! আমি তোমার মহান সত্তার ও তোমার পূর্ণ কালামের শরণ লই—যাহা তোমার অধীনে আছে তাহার মন্দ হইতে; আল্লাহ্! তুমিই দূরীভূত কর ঋণের চাপ ও গোনাহের ভার। আল্লাহ্ ; তোমার দল পরাভূত হয় না, তোমার ওয়াদা কখনও বরখেলাফ হয় না এবং কোন সম্পদশালীর সম্পদ তাহাকে তোমা হইতে রক্ষা করিতে পারে না। তোমার পবিত্রতা তোমার প্রশংসার সাথে।” —আবু দাউদ
كتاب الدعوات
وَعَنْ عَلِيٍّ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ كَانَ يَقُولُ عِنْدَ مَضْجَعِهِ: «اللَّهُمَّ إِنِّي أَعُوذُ بِوَجْهِكَ الْكَرِيمِ وَكَلِمَاتِكَ التَّامَّاتِ مِنْ شَرِّ مَا أَنْتَ آخِذٌ بناصيتهِ اللهُمَّ أَنْت تكشِفُ المغرمَ والمأْثمَ اللهُمَّ لَا يُهْزَمُ جُنْدُكَ وَلَا يُخْلَفُ وَعْدُكَ وَلَا يَنْفَعُ ذَا الْجَدِّ مِنْكَ الْجَدُّ سُبْحَانَكَ وَبِحَمْدِكَ» . رَوَاهُ أَبُو دَاوُد
তাহকীক:
হাদীস নং: ২৪০৪
- যাবতীয় দোয়া-যিক্র
৪. দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ - সকাল সন্ধ্যা ও শয্যা গ্রহণকালে যা বলবে
২৪০৪। হযরত আবু সায়ীদ খুদরী (রাঃ) বলেন, রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) বলিয়াছেনঃ যে বিছানায় আশ্রয় গ্রহণকালে তিনবার বলে—'আস্তাগফিরুল্লা-হাল্লাযী লা ইলাহা ইল্লা হুওয়াল হাইয়্যুল কাইয়্যুমু ওয়া আতূবু ইলাইহি’–“আমি আল্লাহর নিকট ক্ষমা চাই যিনি ব্যতীত কোন মা'বূদ নাই, যিনি চিরঞ্জীব ও চির প্রতিষ্ঠাতা এবং আমি তাঁহার নিকট তওবা করি”—আল্লাহ্ তাহার অপরাধ ক্ষমা করেন যদিও হয় অপরাধ সমুদ্র-ফেনার ন্যায় অথবা বালু স্তূপের ন্যায় অথবা গাছের পাতার সংখ্যা অথবা দুনিয়ার দিনসমূহের সংখ্যার ন্যায় অধিক। — তিরমিযী। তিনি বলেন, হাদীসটি গরীব।
كتاب الدعوات
وَعَنْ أَبِي سَعِيدٍ قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: مَنْ قَالَ حِينَ يَأْوِي إِلَى فِرَاشِهِ: أَسْتَغْفِرُ اللَّهَ الَّذِي لَا إِله إِلا هوَ الحيَّ القيومَ وأتوبُ إِليهِ ثَلَاثَ مَرَّاتٍ غَفَرَ اللَّهُ لَهُ ذُنُوبُهُ وَإِنْ كَانَتْ مِثْلَ زَبَدِ الْبَحْرِ أَوْ عَدَدَ رَمْلِ عَالَجٍ أَوْ عَدَدَ وَرَقِ الشَّجَرِ أَوْ عَدَدَ أَيَّامِ الدُّنْيَا . رَوَاهُ التِّرْمِذِيُّ وَقَالَ: هَذَا حَدِيثٌ غَرِيب
তাহকীক:
হাদীস নং: ২৪০৫
- যাবতীয় দোয়া-যিক্র
৪. দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ - সকাল সন্ধ্যা ও শয্যা গ্রহণকালে যা বলবে
২৪০৫। হযরত শাদ্দাদ ইবনে আওস (রাঃ) বলেন, রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) বলিয়াছেনঃ যে কোন মুসলমান কিতাবুল্লাহর কোন একটি সূরা পড়িয়া শয্যা গ্রহণ করিবে, নিশ্চয় আল্লাহ্ তাহার জন্য একজন ফিরিশতা নিযুক্ত করিয়া দিবেন। সুতরাং কোন কষ্টদায়ক জিনিস তাহার নিকটে আসিতে পারিবে না, যাবৎ না সে জাগরিত হয়, যখন জাগরিত হয়। —তিরমিযী
كتاب الدعوات
وَعَنْ شَدَّادِ بْنِ أَوْسٍ قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسلم: «مَا من مُسْلِمٍ يَأْخُذُ مَضْجَعَهُ بِقِرَاءَةِ سُورَةٍ مِنْ كِتَابِ اللَّهِ إِلَّا وَكَّلَ اللَّهُ بِهِ مَلَكًا فَلَا يَقْرَبُهُ شَيْءٌ يُؤْذِيهِ حَتَّى يَهُبَّ مَتَى هَبَّ» . رَوَاهُ التِّرْمِذِيّ
তাহকীক:
হাদীস নং: ২৪০৬
- যাবতীয় দোয়া-যিক্র
৪. দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ - সকাল সন্ধ্যা ও শয্যা গ্রহণকালে যা বলবে
২৪০৬। হযরত আব্দুল্লাহ্ ইবনে আমর ইবনুল আস (রাঃ) বলেন, রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) বলিয়াছেনঃ দুইটি বিষয়ে যে কোন মুসলমান লক্ষ্য রাখিবে, সে নিশ্চয় বেহেশতে যাইবে। জানিয়া রাখ— বিষয় দুইটি সহজ; কিন্তু করনেওয়ালা কম, প্রত্যেক নামাযের পর দশবার 'সুবহানাল্লাহ্', দশবার 'আলহামদু লিল্লাহ্' ও দশবার 'আল্লাহু আকবর' বলিবে। আব্দুল্লাহ্ বলেন, আমি রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ)-কে উহা হাতে গুণিতে দেখিয়াছি। হুযূর বলেন, মুখে ইহা (পাঁচ ওয়াক্তে) একশত পঞ্চাশ; কিন্তু কেয়ামতে মীযানের পাল্লায় ইহা এক হাযার পাঁচ শত। আর যখন শয্যা গ্রহণ করিবে বলিবে, 'সুবহানাল্লাহ্' 'আল্লাহু আকবর' ও আলহামদু লিল্লাহ্' (তিনটিতে মিলাইয়া) একশত বার। ইহা মুখে একশত বটে; কিন্তু মীযানে এক হাযার। অতঃপর হুযূর বলেন, তোমাদের মধ্যে কে একদিন এক রাতে দুই হাযার পাঁচশত গোনাহ্ করে ? (অর্থাৎ, কেহ এত গোনাহ্ করে না।) সাহাবীগণ বলিলেন, কেন আমরা এই দুইটি বিষয়ে লক্ষ্য রাখিতে পারিব না? তিনি বলিলেন, পারিবে না এই জন্য যে, তোমাদের কাহারও নিকট তাহার নামায অবস্থায় শয়তান আসিয়া বলে, ঐ বিষয় স্মরণ কর, ঐ বিষয় স্মরণ কর, যাবৎ না সে নামায শেষ করিয়া ফিরে। অতঃপর হয়তো সে উহা না করিয়াই উঠিয়া যায়। এইরূপে শয়তান তাহার শয্যাকালে আসিয়া ঘুম পাড়াইতে থাকিবে, যাবৎ না সে (উহা না করিয়া ঘুমাইয়া পড়ে। – তিরমিযী, আবু দাউদ ও নাসায়ী
আবু দাউদের অপর এক বর্ণনায় আছে, দুইটি বিষয়, যে কোন মুসলমান উহার হেফাযত করিবে.........। এইরূপে তাঁহার বর্ণনায় — “মীযানের পাল্লায় এক হাযার পাঁচশত”—শব্দের পর রহিয়াছে, হুযূর (ﷺ) বলিয়াছেন, যখন সে শয্যা গ্রহণ করিবে, বলিবে—'আল্লাহু আকবর' ৩৪ বার, 'আলহামদু লিল্লাহ্' ৩৩ বার ও 'সুবহানাল্লাহ্' ৩৩ বার।
আবু দাউদের অপর এক বর্ণনায় আছে, দুইটি বিষয়, যে কোন মুসলমান উহার হেফাযত করিবে.........। এইরূপে তাঁহার বর্ণনায় — “মীযানের পাল্লায় এক হাযার পাঁচশত”—শব্দের পর রহিয়াছে, হুযূর (ﷺ) বলিয়াছেন, যখন সে শয্যা গ্রহণ করিবে, বলিবে—'আল্লাহু আকবর' ৩৪ বার, 'আলহামদু লিল্লাহ্' ৩৩ বার ও 'সুবহানাল্লাহ্' ৩৩ বার।
كتاب الدعوات
وَعَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عَمْرِو بْنِ الْعَاصِ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُمَا قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «خَلَّتَانِ لَا يُحْصِيهِمَا رَجُلٌ مُسْلِمٌ إِلَّا دَخَلَ الْجَنَّةَ أَلَا وَهُمَا يَسِيرٌ وَمَنْ يَعْمَلُ بِهِمَا قَلِيلٌ يُسَبِّحُ اللَّهَ فِي دُبُرِ كُلِّ صَلَاةٍ عَشْرًا وَيَحْمَدُهُ عَشْرًا ويكبِّرهُ عَشراً» قَالَ: فَأَنَا رَأَيْتُ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَعْقِدُهَا بِيَدِهِ قَالَ: «فَتِلْكَ خَمْسُونَ وَمِائَةٌ فِي اللِّسَان وَأَلْفٌ وَخَمْسُمِائَةٍ فِي الْمِيزَانِ وَإِذَا أَخَذَ مَضْجَعَهُ يُسَبِّحُهُ وَيُكَبِّرُهُ وَيَحْمَدُهُ مِائَةً فَتِلْكَ مِائَةٌ بِاللِّسَانِ وَأَلْفٌ فِي الْمِيزَانِ فَأَيُّكُمْ يَعْمَلُ فِي الْيَوْمِ وَاللَّيْلَةِ أَلْفَيْنِ وَخَمْسَمِائَةِ سَيِّئَةٍ؟» قَالُوا: وَكَيْفَ لَا نُحْصِيهَا؟ قَالَ: يَأْتِي أَحَدَكُمُ الشَّيْطَانُ وَهُوَ فِي صِلَاتِهِ فَيَقُولُ: اذْكُرْ كَذَا اذْكُرْ كَذَا حَتَّى يَنْفَتِلَ فَلَعَلَّهُ أَنْ لَا يَفْعَلَ وَيَأْتِيهِ فِي مَضْجَعِهِ فَلَا يَزَالُ يُنَوِّمُهُ حَتَّى يَنَامَ . رَوَاهُ التِّرْمِذِيُّ وَأَبُو دَاوُدَ وَالنَّسَائِيُّ
وَفِي رِوَايَةِ أَبِي دَاوُدَ قَالَ: «خَصْلَتَانِ أَوْ خَلَّتَانِ لَا يُحَافِظُ عَلَيْهِمَا عَبْدٌ مُسْلِمٌ» . وَكَذَا فِي رِوَايَتِهِ بَعْدَ قَوْلِهِ: «وَأَلْفٌ وَخَمْسُمِائَةٍ فِي الْمِيزَانِ» قَالَ: «وَيُكَبِّرُ أَرْبَعًا وَثَلَاثِينَ إِذَا أَخَذَ مَضْجَعَهُ» وَيَحْمَدُ ثَلَاثًا وَثَلَاثِينَ وَيُسَبِّحُ ثَلَاثًا وَثَلَاثِينَ . وَفِي أَكْثَرِ نُسَخِ المصابيح عَن: عبد الله بن عمر
وَفِي رِوَايَةِ أَبِي دَاوُدَ قَالَ: «خَصْلَتَانِ أَوْ خَلَّتَانِ لَا يُحَافِظُ عَلَيْهِمَا عَبْدٌ مُسْلِمٌ» . وَكَذَا فِي رِوَايَتِهِ بَعْدَ قَوْلِهِ: «وَأَلْفٌ وَخَمْسُمِائَةٍ فِي الْمِيزَانِ» قَالَ: «وَيُكَبِّرُ أَرْبَعًا وَثَلَاثِينَ إِذَا أَخَذَ مَضْجَعَهُ» وَيَحْمَدُ ثَلَاثًا وَثَلَاثِينَ وَيُسَبِّحُ ثَلَاثًا وَثَلَاثِينَ . وَفِي أَكْثَرِ نُسَخِ المصابيح عَن: عبد الله بن عمر
তাহকীক:
হাদীস নং: ২৪০৭
- যাবতীয় দোয়া-যিক্র
৪. দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ - সকাল সন্ধ্যা ও শয্যা গ্রহণকালে যা বলবে
২৪০৭। হযরত আব্দুল্লাহ্ ইবনে গান্নাম (রাঃ) বলেন, রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) বলিয়াছেনঃ যে সকালে উঠিয়া বলিল, আল্লাহ্! সকালে আমার প্রতি এবং তোমার অপর যে কোন সৃষ্টির প্রতি যে নেয়ামত পৌঁছিয়াছে তাহা একা তোমারই পক্ষ হইতে, ইহাতে তোমার কোন শরীক নাই। সুতরাং তোমারই প্রশংসা এবং তোমারই শোকর— সে তাহার ঐ দিনের শোকর আদায় করিল। আর যে ঐরূপ বলিল সন্ধ্যায় পৌঁছিয়া, সে তাহার ঐ রাত্রির শোকর আদায় করিল। — আবু দাউদ
كتاب الدعوات
وَعَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ غَنَّامٍ قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسلم: من قَالَ حِينَ يُصْبِحُ: اللَّهُمَّ مَا أَصْبَحَ بِي مِنْ نِعْمَةٍ أَوْ بِأَحَدٍ مِنْ خَلْقِكَ فَمِنْكَ وَحْدَكَ لَا شَرِيكَ لَكَ فَلَكَ الْحَمْدُ وَلَكَ الشُّكْرُ فَقَدْ أَدَّى شُكْرَ يَوْمِهِ وَمَنْ قَالَ مِثْلَ ذَلِكَ حِينَ يُمْسِي فَقَدْ أَدَّى شُكْرَ ليلته . رَوَاهُ أَبُو دَاوُد
তাহকীক:
হাদীস নং: ২৪০৮
- যাবতীয় দোয়া-যিক্র
৪. দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ - সকাল সন্ধ্যা ও শয্যা গ্রহণকালে যা বলবে
২৪০৮। হযরত আবু হুরায়রা (রাঃ) নবী করীম (ﷺ) হইতে বর্ণনা করেন যে, তিনি যখন বিছানায় আশ্রয় লইতেন, বলিতেন, “হে আল্লাহ্ যিনি আসমানের প্রতিপালক, যমীনের প্রতিপালক তথা প্রত্যেক জিনিসের প্রতিপালক, শস্য বীজ ও খেজুর দানা ফাড়িয়া গাছ উৎপাদক এবং তওরাত, ইঞ্জীল ও কোরআন নাযিলকারক, আমি তোমার নিকট আশ্রয় চাহি যাহা তোমার অধিকারে আছে এমন প্রত্যেক মন্দের অধিকারী জিনিসের মন্দ হইতে। তুমি প্রথম— তোমার পূর্বে কেহ ছিল না, তুমি শেষ— তোমার পরে কেহ থাকিবে না; তুমি প্রকাশ্য—তোমা অপেক্ষা প্রকাশ্য কোন কিছুই নাই; তুমি গোপন – তোমা অপেক্ষা গোপনতর কিছুই নাই—তুমি আমার ঋণ পরিশোধ কর এবং আমাকে পরমুখাপেক্ষিতা হইতে বেনিয়ায় কর। —আবু দাউদ, তিরমিযী ও ইবনে মাজাহ্ । মুসলিম সামান্য বিভিন্নতাসহ ।
كتاب الدعوات
وَعَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ عَنِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَنَّهُ كَانَ يَقُولُ إِذَا أَوَى إِلَى فِرَاشِهِ: «اللَّهُمَّ رَبَّ السَّمَاوَاتِ وَرَبَّ الْأَرْضِ وَرَبَّ كُلِّ شَيْءٍ فَالِقَ الْحَبِّ وَالنَّوَى مُنْزِلَ التوراةِ والإِنجيل والقرآنِ أعوذُ بِكَ مِنْ شَرِّ كُلِّ ذِي شَرٍّ أَنْتَ آخِذٌ بِنَاصِيَتِهِ أَنْتَ الْأَوَّلُ فَلَيْسَ قَبْلَكَ شَيْءٌ وَأَنْتَ الْآخِرُ فَلَيْسَ بَعْدَكَ شَيْءٌ وَأَنْتَ الظَّاهِرُ فَلَيْسَ فَوْقَكَ شَيْءٌ وَأَنْتَ الْبَاطِنُ فَلَيْسَ دُونَكَ شَيْءٌ اقْضِ عَنِّي الدَّيْنَ وَاغْنِنِي مِنَ الْفَقْرِ» . رَوَاهُ أَبُو دَاوُدَ وَالتِّرْمِذِيُّ وَابْنُ مَاجَهْ وَرَوَاهُ مُسلم مَعَ اخْتِلَاف يسير
তাহকীক:
হাদীস নং: ২৪০৯
- যাবতীয় দোয়া-যিক্র
৪. দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ - সকাল সন্ধ্যা ও শয্যা গ্রহণকালে যা বলবে
২৪০৯। হযরত আবুল আযহার আনমারী (রাঃ) হইতে বর্ণিত আছে যে, রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) যখন রাতে শয্যা গ্রহণ করিতেন, বলিতেন, আল্লাহর নামে, আল্লাহর উদ্দেশ্যে আমার পার্শ্ব রাখিলাম। আল্লাহ্! তুমি আমার অপরাধ ক্ষমা কর, আমা হইতে শয়তান তাড়াইয়া দাও, আমার ঘাড়কে মুক্ত কর এবং আমাকে উচ্চ পরিষদে স্থান দাও। —আবু দাউদ
كتاب الدعوات
وَعَن أبي الْأَزْهَر الأيماري أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ كَانَ إِذَا أَخَذَ مَضْجَعَهُ مِنَ اللَّيْلِ قَالَ: «بسمِ اللَّهِ وضعْتُ جَنْبي للَّهِ اللَّهُمَّ اغْفِرْ لِي ذَنْبِي وَاخْسَأْ شَيْطَانِي وَفُكَّ رِهَانِي وَاجْعَلْنِي فِي النَّدِيِّ الْأَعْلَى» . رَوَاهُ أَبُو دَاوُد
তাহকীক:
হাদীস নং: ২৪১০
- যাবতীয় দোয়া-যিক্র
৪. দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ - সকাল সন্ধ্যা ও শয্যা গ্রহণকালে যা বলবে
২৪১০। হযরত ইবনে ওমর (রাঃ) বলেন, রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) যখন রাতে শয্যা গ্রহণ করিতেন, বলিতেনঃ “আল্লাহর শোকর যিনি আমার প্রয়োজন নির্বাহ করিলেন, আমাকে রাতে আশ্রয় দিলেন, আমাকে খাওয়াইলেন, আমাকে পান করাইলেন; যিনি আমার প্রতি অনুগ্রহ করিলেন এবং বহু অনুগ্রহ করিলেন ; যিনি আমাকে দান করিলেন এবং যথেষ্ট দান করিলেন। সুতরাং আল্লাহর শোকর প্রত্যেক অবস্থায়। হে আল্লাহ্! যিনি প্রত্যেক জিনিসের প্রতিপালক ও উহার অধিকারী এবং প্রত্যেক বস্তুর উপাস্য, আমি তোমার নিকট দোযখের আগুন হইতে পানাহ্ চাহি। —আবু দাউদ
كتاب الدعوات
وَعَنِ ابْنِ عُمَرَ: أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ كَانَ إِذَا أَخَذَ مَضْجَعَهُ مِنَ اللَّيْلِ قَالَ: «الْحَمْدُ لِلَّهِ الَّذِي كَفَانِي وَآوَانِي وَأَطْعَمَنِي وَسَقَانِي وَالَّذِي مَنَّ عَلَيَّ فَأَفْضَلَ وَالَّذِي أَعْطَانِي فَأَجْزَلَ الْحَمْدُ لِلَّهِ عَلَى كُلِّ حَالٍ اللَّهُمَّ رَبَّ كُلِّ شَيْءٍ وَمَلِيكَهُ وَإِلَهَ كُلِّ شَيْءٍ أَعُوذُ بِكَ مِنَ النَّارِ» . رَوَاهُ أَبُو دَاوُد
তাহকীক:
হাদীস নং: ২৪১১
- যাবতীয় দোয়া-যিক্র
৪. দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ - সকাল সন্ধ্যা ও শয্যা গ্রহণকালে যা বলবে
২৪১১। হযরত বুরায়দা (রাঃ) বলেন, একদা খালেদ ইবনে ওলীদ নবী করীম (ﷺ)-এর নিকট অভিযোগ করিলেন, ইয়া রাসূলাল্লাহ্! রাতে আমার ঘুম আসে না। তখন আল্লাহর নবী (ﷺ) বলিলেনঃ যখন তুমি বিছানায় আশ্রয় লইবে, বলিবে, “হে আল্লাহ্ যিনি সপ্ত আসমানের ও উহারা যাহাকে ছায়া দিয়াছে তাহার প্রতিপালক প্রভু এবং যমীনসমূহ ও উহারা যাহাকে ধারণ করিয়াছে তাহার প্রভু; শয়তানসকল ও তাহারা যাহাদের গোমরাহ করিয়াছে তাহাদের প্রভু তুমি আমাকে নিরাপত্তা দান কর, তোমার সমস্ত সৃষ্টির মন্দ প্রভাব হইতে—তাহাদের কেহ যে আমার উপর প্রভাব বিস্তার করিবে অথবা আমার প্রতি অবিচার করিবে। বিজয়ী সে যাহাকে তুমি নিরাপত্তা দান করিয়াছ। মহান তোমার প্রশস্তি। তুমি ছাড়া কোন মা'বুদ নাই, তুমি ব্যতীত কোন উপাস্য নাই। — তিরমিযী। তিনি বলেন, ইহার সনদ সবল নহে। কোন কোন হাদীস বিশেষজ্ঞ ইহার রাবী হাকীম ইবনে যহীরকে মারূক বা ত্যাজ্য বলিয়াছেন।
كتاب الدعوات
وَعَنْ بُرَيْدَةَ قَالَ: شَكَا خَالِدُ بْنُ الْوَلِيدِ إِلَى النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَقَالَ يَا رَسُول الله مَا أَنَام من اللَّيْلَ مِنَ الْأَرَقِ فَقَالَ نَبِيُّ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: إِذَا أَوَيْتَ إِلَى فِرَاشِكَ فَقُلْ: اللَّهُمَّ رَبَّ السَّمَاوَاتِ السَّبْعِ وَمَا أَظَلَّتْ وَرَبَّ الْأَرَضِينَ وَمَا أَقَلَّتْ وَرَبَّ الشَّيَاطِينِ وَمَا أَضَلَّتْ كُنْ لِي جَارًا مِنْ شَرِّ خَلْقِكَ كُلِّهِمْ جَمِيعًا أَنْ يَفْرُطَ عَلَيَّ أَحَدٌ مِنْهُمْ أَوْ أَنْ يَبْغِيَ عَزَّ جَارُكَ وَجَلَّ ثَنَاؤُكَ وَلَا إِلَهَ غَيْرُكَ لَا إِلَهَ إِلَّا أَنْتَ . رَوَاهُ التِّرْمِذِيُّ وَقَالَ هَذَا حَدِيثٌ لَيْسَ إِسْنَادُهُ بِالْقَوِيّ والحكَمُ بن ظُهيرٍ الرَّاوِي قد ترَكَ حديثَهُ بعضُ أهل الحَدِيث
তাহকীক:
হাদীস নং: ২৪১২
- যাবতীয় দোয়া-যিক্র
৪. তৃতীয় অনুচ্ছেদ - সকাল সন্ধ্যা ও শয্যা গ্রহণকালে যা বলবে
২৪১২। হযরত আবু মালেক আশআরী (রাঃ) বলেন, রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) বলিয়াছেনঃ যখন তোমাদের কেহ সকালে উঠে সে যেন বলে, “আমরা সকালে উপনীত হইলাম আর রাজ্যও সকালে উপনীত হইল আল্লাহ্ রাব্বুল আলামীনের উদ্দেশ্যে। আল্লাহ্! আমি তোমার নিকট চাহি এই দিনের মঙ্গল— উহার কামিয়াবী ও সাহায্য, উহার জ্যোতি, উহার বরকত ও উহার হেদায়ত এবং তোমার নিকট আশ্রয় চাই উহাতে যাহা অমঙ্গল রহিয়াছে তাহা হইতে এবং উহার পরে যে অমঙ্গল রহিয়াছে তাহা হইতে।” অতঃপর যখন সে সন্ধ্যায় উপনীত হয় তখনও যেন ঐরূপ বলে। –আবু দাউদ
كتاب الدعوات
الْفَصْل الثَّالِث
وَعَن أَبِي مَالِكٍ أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: إِذَا أَصْبَحَ أَحَدُكُمْ فَلْيَقُلْ: أَصْبَحْنَا وَأَصْبَحَ الْمُلْكُ لِلَّهِ رَبِّ الْعَالَمِينَ اللَّهُمَّ إِنِّي أَسْأَلُكَ خَيْرَ هَذَا الْيَوْمِ فَتْحَهُ وَنَصْرَهُ وَنُورَهُ وَبِرْكَتَهُ وَهُدَاهُ وَأَعُوذُ بِكَ مِنْ شَرِّ مَا فِيهِ وَمِنْ شَرِّ مَا بَعْدَهُ ثُمَّ إِذَا أَمْسَى فَلْيَقُلْ مِثْلَ ذَلِكَ . رَوَاهُ أَبُو دَاوُد
তাহকীক: