মিশকাতুল মাসাবীহ (মিশকাত শরীফ)

مشكاة المصابيح للتبريزي

১১- হজ্জ্বের অধ্যায় - এর পরিচ্ছেদসমূহ

মোট হাদীস টি

হাদীস নং: ২৫৯৬
- হজ্জ্বের অধ্যায়
৪. দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ - আরাফায় অবস্থান প্রসঙ্গে
২৫৯৬। হযরত জাবের (রাঃ) বলেন, রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) বলিয়াছেনঃ সমস্ত আরাফাতই অবস্থানস্থল এবং সমস্ত মিনাই কোরবানগাহ্ এবং সমস্ত মুযদালিফাই অবস্থানস্থল এবং মক্কার সমস্ত রাস্তাই রাস্তা ও কোরবানগাহ্ । —আবু দাউদ ও দারেমী
كتاب المناسك
وَعَنْ جَابِرٍ أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: «كُلُّ عَرَفَةَ مَوْقِفٌ وَكُلُّ مِنًى مَنْحَرٌ وَكُلُّ الْمُزْدَلِفَةِ مَوْقِفٌ وَكُلُّ فِجَاجِ مَكَّةَ طَرِيقٌ وَمَنْحَرٌ» . رَوَاهُ أَبُو دَاوُدَ وَالدَّارِمِيُّ
হাদীস নং: ২৫৯৭
- হজ্জ্বের অধ্যায়
৪. দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ - আরাফায় অবস্থান প্রসঙ্গে
২৫৯৭। হযরত খালেদ ইবনে হাওদা (রাঃ) বলেন, আমি নবী করীম (ﷺ)-কে আরাফার দিনে একটি উটের উপর থাকিয়া ভাষণ দান করিতে দেখিয়াছি। –আবু দাউদ
كتاب المناسك
وَعَن خالدِ بنَ هَوْذَةَ قَالَ: رَأَيْتُ النَّبِيَّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَخْطُبُ النَّاسَ يَوْمَ عَرَفَةَ عَلَى بَعِيرٍ قَائِمًا فِي الركابين. رَوَاهُ أَبُو دَاوُد
হাদীস নং: ২৫৯৮
- হজ্জ্বের অধ্যায়
৪. দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ - আরাফায় অবস্থান প্রসঙ্গে
২৫৯৮। আমর ইবনে শুআয়ব তাঁহার পিতার মাধ্যমে তাঁহার দাদা হইতে বর্ণনা করেন যে, নবী করীম (ﷺ) বলিয়াছেনঃ সমস্ত দোআর শ্রেষ্ঠ দো'আ হইল আরাফার দিনের দো'আ এবং সমস্ত যিকির যাহা আমি করিয়াছি ও আমার পূর্ববর্তী নবীগণ করিয়াছেন, তাহার শ্রেষ্ঠটি হইলঃ “লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু ওয়াহ্দাহু লা শারীকালাহু লাহুলমুলকু ওয়ালাহুল হামদু ওয়াহুয়া আলা কুল্লি শায়ইন কাদীর।” – 'আল্লাহ্ ব্যতীত কোন মা'বুদ নাই, তিনি অদ্বিতীয়, তাঁহার কোন শরীক নাই; তাঁহারই রাজত্ব এবং তাঁহারই জন্য সমস্ত প্রশংসা, তিনি সর্বশক্তিমান।' –তিরমিযী।
كتاب المناسك
وَعَنْ عَمْرِو بْنِ شُعَيْبٍ عَنْ أَبِيهِ عَنْ جَدِّهِ أَنَّ النَّبِيَّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: خَيْرُ الدُّعَاءِ دُعَاءُ يَوْمِ عَرَفَةَ وَخَيْرُ مَا قُلْتُ أَنَا وَالنَّبِيُّونَ مِنْ قَبْلِي: لَا إِلَهَ إِلَّا اللَّهُ وَحْدَهُ لَا شَرِيكَ لَهُ لَهُ الْمُلْكُ وَلَهُ الْحَمْدُ وَهُوَ عَلَى كُلِّ شَيْء قدير . رَوَاهُ التِّرْمِذِيّ
tahqiq

তাহকীক:

হাদীস নং: ২৫৯৯
- হজ্জ্বের অধ্যায়
৪. দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ - আরাফায় অবস্থান প্রসঙ্গে
২৫৯৯। মালেক তালহা ইবনে ওবায়দুল্লাহ্ হইতে 'লা শারীকা লাহু' পর্যন্ত।
كتاب المناسك
وروى مالكٌ عَنْ طَلْحَةَ بْنِ عُبَيْدِ اللَّهِ إِلَى قَوْلِهِ: «لَا شريك لَهُ»
tahqiq

তাহকীক:

হাদীস নং: ২৬০০
- হজ্জ্বের অধ্যায়
৪. দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ - আরাফায় অবস্থান প্রসঙ্গে
২৬০০। হযরত তালহা ইবনে ওবায়দুল্লাহ্ ইবনে কারীয (রাঃ) হইতে বর্ণিত আছে যে, রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) বলিয়াছেনঃ শয়তানকে কোন দিন এত অধিক অপমানিত, এত অধিক ধিকৃত, এত অধিক হীন ও এত অধিক রাগান্বিত দেখা যায় না আরাফার দিন অপেক্ষা। যেহেতু সে দেখিতে থাকে যে, বান্দাদের প্রতি আল্লাহর রহমত নাযিল হইতেছে এবং তাহাদের বড় বড় গোনাহ্ মাফ করা হইতেছে; কিন্তু যাহা দেখা গিয়াছিল বদরের দিনে ; (তাহা ইহা অপেক্ষাও অধিক গুরুতর!) কেহ জিজ্ঞাসা করিল, বদরের দিন কি দেখা গিয়াছিল (ইয়া রাসূলাল্লাহ্!) উত্তরে তিনি বলিলেন, সেদিন সে নিশ্চিতরূপে দেখিয়াছিল যে, হযরত জিবরাঈল (আঃ) ফিরিশতাদিগকে সারিবন্দী করিতেছেন। — মালেক মুরসালরূপে। শরহে সুন্নাহয় মাসাবীহের শব্দে ।
كتاب المناسك
لإرساله وَعَنْ طَلْحَةَ بْنِ عُبَيْدِ اللَّهِ بْنِ كَرِيزٍ أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: «مَا رُئِيَ الشَّيْطَانُ يَوْمًا هُوَ فِيهِ أَصْغَرُ وَلَا أَدْحَرُ وَلَا أَحْقَرُ وَلَا أَغْيَظُ مِنْهُ فِي يَوْمِ عَرَفَةَ وَمَا ذَاكَ إِلَّا لِمَا يَرَى مِنْ تَنَزُّلِ الرَّحْمَةِ وَتَجَاوُزِ اللَّهِ عَنِ الذُّنُوبِ الْعِظَامِ إِلَّا مَا رُئِيَ يَوْمَ بَدْرٍ» . فَقِيلَ: مَا رُئِيَ يَوْمَ بَدْرٍ؟ قَالَ: «فَإِنَّهُ قَدْ رَأَى جِبْرِيلَ يَزَعُ الْمَلَائِكَةَ» . رَوَاهُ مَالِكٌ مُرْسَلًا وَفِي شَرْحِ السُّنَّةِ بِلَفْظِ الْمَصَابِيحِ
tahqiq

তাহকীক:

হাদীস নং: ২৬০১
- হজ্জ্বের অধ্যায়
৪. দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ - আরাফায় অবস্থান প্রসঙ্গে
২৬০১। হযরত জাবের (রাঃ) বলেন, রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) বলিয়াছেনঃ যখন আরাফার দিন হয়, তখন আল্লাহ্ তা'আলা এই নিকটতম আসমানে আসেন এবং হাজীদের লইয়া ফিরিশতাদিগের নিকট ফখর করেন এবং বলেন যে, দেখ আমার বান্দাদের দিকে, তাহারা আমার নিকট আসিয়াছে এলোমেলো কেশে ধুলা-বালি গায়ে, ফরিয়াদ করিতে করিতে—বহু দূর-দূরান্তর হইতে। আমি তোমাদিগকে সাক্ষী করিতেছি, আমি তাহাদিগকে মাফ করিয়া দিলাম। তখন ফিরিশতাগণ বলেন, হে পরওয়ারদেগার! অমুককে তো বড় গোনাগার বলা হয়, আর অমুক পুরুষ ও অমুক স্ত্রীকেও। তিনি বলেন, তখন আল্লাহ্ তা'আলা বলেন, আমি তাহাদেরও মাফ করিয়া দিলাম। রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) বলেন, এমন কোন দিন নাই যাহাতে দোযখ হইতে অধিক মুক্তি দেওয়া হইয়া থাকে আরাফার দিন অপেক্ষা। — শরহে সুন্নাহ্
كتاب المناسك
وَعَنْ جَابِرٍ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: إِذَا كَانَ يَوْمُ عَرَفَةَ إِنَّ اللَّهَ يَنْزِلُ إِلَى السَّمَاءِ الدُّنْيَا فَيُبَاهِي بِهِمُ الْمَلَائِكَةَ فَيَقُولُ: انْظُرُوا إِلَى عِبَادِي أَتَوْنِي شُعْثًا غُبْرًا ضَاجِّينَ مِنْ كُلِّ فَجٍّ عَمِيقٍ أُشْهِدُكُمْ أَنِّي قَدْ غَفَرْتُ لَهُمْ فَيَقُولُ الْمَلَائِكَةُ: يَا رَبِّ فُلَانٌ كَانَ يُرَهَّقُ وَفُلَانٌ وَفُلَانَةُ قَالَ: يَقُولُ اللَّهُ عَزَّ وَجَلَّ: قَدْ غَفَرْتُ لَهُمْ . قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «فَمَا مِنْ يَوْمٍ أَكْثَرَ عَتِيقًا مِنَ النَّارِ مِنْ يَوْمِ عَرَفَةَ» . رَوَاهُ فِي شرح السّنة
হাদীস নং: ২৬০২
- হজ্জ্বের অধ্যায়
৪. তৃতীয় অনুচ্ছেদ - আরাফায় অবস্থান প্রসঙ্গে
২৬০২। হযরত আয়েশা (রাঃ) বলেন, কুরাইশ এবং যাহারা তাহাদের রীতির অনুসরণ করিত, তাহারা (আরাফার তারিখে) মুযদালিফায় অবস্থান করিত এবং নিজদিগকে বাহাদুর আশরাফ বলিয়া অভিহিত করিত। আর সমস্ত আরব গোত্র আরাফাতে যাইয়া অবস্থান করিত। যখন ইসলাম আসিল, আল্লাহ্ তা'আলা (আশরাফকুল শ্রেষ্ঠ) আপন নবীকে নির্দেশ দিলেন, তিনি যেন আরাফাতে যাইয়া সাধারণের সাথে অবস্থান করেন, অতঃপর প্রত্যাবর্তন করেন উহা হইতে। ইহাই কোরআনে আল্লাহর এই কালামে বলা হইয়াছে, “অতঃপর প্রত্যাবর্তন করুন যেখান হইতে মানুষ প্রত্যাবর্তন করে।” —মোত্তাঃ
كتاب المناسك
الْفَصْل الثَّالِث
عَن عَائِشَة قَالَتْ: كَانَ قُرَيْشٌ وَمَنْ دَانَ دِينَهَا يَقِفُونَ بالمزْدَلفَةِ وَكَانُوا يُسمَّوْنَ الحُمْسَ فكانَ سَائِرَ الْعَرَبِ يَقِفُونَ بِعَرَفَةَ فَلَمَّا جَاءَ الْإِسْلَامُ أَمَرَ اللَّهُ تَعَالَى نَبِيَّهُ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَنْ يَأْتِيَ عَرَفَاتٍ فَيَقِفُ بِهَا ثُمَّ يَفِيضُ مِنْهَا فَذَلِكَ قَوْلُهُ عَزَّ وَجَلَّ: (ثُمَّ أفِيضُوا من حَيْثُ أَفَاضَ النَّاس)