মিশকাতুল মাসাবীহ (মিশকাত শরীফ)
مشكاة المصابيح للتبريزي
১১- হজ্জ্বের অধ্যায় - এর পরিচ্ছেদসমূহ
মোট হাদীস ২ টি
হাদীস নং: ২৬০৩
- হজ্জ্বের অধ্যায়
৪. তৃতীয় অনুচ্ছেদ - আরাফায় অবস্থান প্রসঙ্গে
২৬০৩। হযরত আব্বাস ইবনে মিরদাস (রাঃ) হইতে বর্ণিত আছে যে, রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) আরাফার দিন বৈকালে আপন উম্মত (হাজী)-দের জন্য আল্লাহর নিকট ক্ষমা প্রার্থনা করিলেন। উত্তর দেওয়া হইল, অন্যের প্রতি অত্যাচার ব্যতীত সমস্ত গোনাহ্ আমি ক্ষমা করিয়া দিলাম; কিন্তু আমি অত্যাচারিতের পক্ষে তাহাকে পাকড়াও করিব। হুযূর বলিলেন, আয় পরওয়ারদেগার! যদি আপনি চাহেন, অত্যাচারিতকে বেহেশত দিতে পারেন এবং (উহার পরিবর্তে) অত্যাচারীকে ক্ষমা করিতে পারেন; কিন্তু সেই দিন বৈকালে ইহার কোন উত্তর দেওয়া হইল না। রাবী বলেন, অতঃপর হুযূর যখন মুযদালিফায় ভোরে উঠিলেন পুনরায় সেই দো'আ করিলেন, তখন তিনি যাহা চাহিয়াছিলেন তাহা তাঁহাকে দেওয়া হইল। আব্বাস বলেন, তখন রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) হাসিয়া দিলেন, অথবা তিনি বলিয়াছেন, মুচকি হাসিলেন। এ সময় হযরত আবু বকর ও ওমর (রাঃ) বলিলেন, আমাদের পিতামাতা আপনার প্রতি কোরবান হউক হুযূর ! ইহা তো এমন একটি সময় যাহাতে আপনি কখনও হাসেন না, আজ কেন হাসিলেন? আল্লাহ্ সর্বদা আপনাকে খোশ রাখুন! তখন হুযূর বলিলেন, আল্লাহর শত্রু ইবলীস যখন জানিতে পারিল যে, আল্লাহ্ আমার দো'আ কবূল করিয়াছেন এবং আমার উম্মত (হাজীদিগ)-কে ক্ষমা করিয়াছেন, তখন মাটি লইয়া নিজের মাথায় মারিতে লাগিল এবং বলিতে লাগিল, হায় আমার পোড়া কপাল, হায় আমার বদনসীবী! তাহার এই অস্থিরতাই আমার হাসির কারণ হইল। —ইবনে মাজাহ্ এবং বায়হাকী তাঁহার কিতাবুল বাছে ওয়াননুশুরে এইরূপই।
كتاب المناسك
وَعَن عبَّاسِ بنِ مِرْداسٍ أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ دَعَا لِأُمَّتِهِ عَشِيَّةَ عَرَفَةَ بِالْمَغْفِرَةِ فَأُجِيبَ: «إِنِّي قَدْ غَفَرْتُ لَهُمْ مَا خَلَا الْمَظَالِمَ فَإِنِّي آخُذُ لِلْمَظْلُومِ مِنْهُ» . قَالَ: «أَيْ رَبِّ إِنْ شِئْتَ أَعْطَيْتَ الْمَظْلُومَ مِنَ الْجَنَّةِ وَغَفَرْتَ لِلظَّالِمِ» فَلَمْ يُجَبْ عَشِيَّتَهُ فَلَمَّا أَصْبَحَ بِالْمُزْدَلِفَةِ أَعَادَ الدُّعَاءَ فَأُجِيبَ إِلَى مَا سَأَلَ. قَالَ: فَضَحِكَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَوِ قَالَ تبسَّمَ فَقَالَ لَهُ أَبُو بَكْرٍ وَعُمَرُ: بِأَبِي أَنْتَ وَأُمِّي إِنَّ هَذِهِ لَسَاعَةٌ مَا كُنْتَ تَضْحَكُ فِيهَا فَمَا الَّذِي أَضْحَكَكَ أَضْحَكَ اللَّهُ سِنَّكَ؟ قَالَ: «إِنَّ عَدُوَّ اللَّهِ إِبْلِيسَ لَمَّا عَلِمَ أَنَّ اللَّهَ عَزَّ وَجَلَّ قَدِ اسْتَجَابَ دُعَائِي وَغَفَرَ لأمَّتي أخذَ الترابَ فَجعل يحشوه عَلَى رَأْسِهِ وَيَدْعُو بِالْوَيْلِ وَالثُّبُورِ فَأَضْحَكَنِي مَا رَأَيْتُ مِنْ جَزَعِهِ» . رَوَاهُ ابْنُ مَاجَهْ وَرَوَى البيهقيُّ فِي كتاب الْبَعْث والنشور نحوَه
তাহকীক:
হাদীস নং: ২৬০৪
- হজ্জ্বের অধ্যায়
৫. প্রথম অনুচ্ছেদ - আরাফাহ্ ও মুযদালিফা হতে ফিরে আসা
২৬০৪। হেশাম ইবনে ওরওয়া তাহার পিতা ওরওয়া হইতে বর্ণনা করেন যে, তিনি বলিয়াছেন, একদা উসামা ইবনে যায়দকে জিজ্ঞাসা করা হইল, রাসূলুল্লাহ্ ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কিভাবে চলিতেছিলেন, যখন তিনি বিদায় হজ্জে আরাফাত হইতে প্রত্যাবর্তন করিতেছিলেন। ওরওয়া বলেন, তিনি স্বাভাবিক গতিতে চলিতেছিলেন এবং যখন পরিসর পাইতেন তাড়াতাড়ি করিয়া চলিতেন (যাহাতে সম্মুখের নেক কাজের দিকে সকাল সকাল পৌঁছা যায়)। —মোত্তাঃ
كتاب المناسك
بَابٌ الدَّفْعُ مِنْ عَرَفَةَ وَالْمُزْدَلِفَةِ: الْفَصْل الأول
عَنْ هِشَامِ بْنِ عُرْوَةَ عَنْ أَبِيهِ قَالَ: سُئِلَ أُسَامَةُ بْنُ زَيْدٍ: كَيْفَ كَانَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَسِيرُ فِي حَجَّةِ الْوَدَاعِ حِينَ دَفَعَ؟ قَالَ: كَانَ يَسِيرُ الْعُنُق فَإِذا وجد فجوة نَص
তাহকীক: