মিশকাতুল মাসাবীহ (মিশকাত শরীফ)

مشكاة المصابيح للتبريزي

১১- হজ্জ্বের অধ্যায় - এর পরিচ্ছেদসমূহ

মোট হাদীস টি

হাদীস নং: ২৭২৪
- হজ্জ্বের অধ্যায়
১৪. দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ - মক্কার হারামকে আল্লাহ তাআলা কর্তৃক সংরক্ষণ প্রসঙ্গে
২৭২৪। হযরত ইবনে আব্বাস (রাঃ) বলেন, একদা রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) মক্কার প্রতি লক্ষ্য করিয়া বলিলেনঃ কি উত্তম শহর তুমি! তোমায় আমি কত ভালবাসি; যদি আমার কওম আমাকে তোমা হইতে বিতাড়িত না করিত, তবে আমি কখনও তোমায় ছাড়া অন্য কোথাও বসবাস করিতাম না। – তিরমিযী ইহা বর্ণনা করিয়াছেন এবং বলিয়াছেন, হাদীসটি হাসান সহীহ তবে সনদের দিক হইতে গরীব।
كتاب المناسك
وَعَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ لِمَكَّةَ: «مَا أَطْيَبَكِ مِنْ بَلَدٍ وَأَحَبَّكِ إِلَيَّ وَلَوْلَا أَنَّ قَوْمِي أَخْرَجُونِي مِنْكِ مَا سَكَنْتُ غَيْرَكِ» . رَوَاهُ التِّرْمِذِيُّ وَقَالَ: هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ غَرِيب إِسْنَادًا
tahqiq

তাহকীক:

হাদীস নং: ২৭২৫
- হজ্জ্বের অধ্যায়
১৪. দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ - মক্কার হারামকে আল্লাহ তাআলা কর্তৃক সংরক্ষণ প্রসঙ্গে
২৭২৫। হযরত আব্দুল্লাহ্ ইবনে আদী ইবনে হামরা (রাঃ) বলেন, আমি রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ)কে দেখিয়াছি, তিনি খাযওয়ারায় দাঁড়াইয়া বলিতেছেনঃ হে মক্কা—আল্লাহর কসম——তুমি হইতেছ আল্লাহ্র শ্রেষ্ঠতম যমীন এবং আল্লাহর যমীনের প্রিয়তর যমীন আল্লাহর নিকট। যদি আমি তোমা হইতে বাহির করা না হইতাম, কখনও বাহির হইতাম না। —তিরমিযী ও ইবনে মাজাহ্
كتاب المناسك
وَعَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عَدِيِّ بْنِ حَمْرَاءَ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ قَالَ: رَأَيْتُ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَاقِفًا عَلَى الْحَزْوَرَةِ فَقَالَ: «وَاللَّهِ إِنَّكِ لَخَيْرُ أَرْضِ اللَّهِ وَأَحَبُّ اللَّهِ إِلَى اللَّهِ وَلَوْلَا أَنِّي أُخْرِجْتُ مِنْكِ مَا خرجْتُ» . رَوَاهُ الترمذيُّ وَابْن مَاجَه
হাদীস নং: ২৭২৬
- হজ্জ্বের অধ্যায়
১৪. তৃতীয় অনুচ্ছেদ - মক্কার হারামকে আল্লাহ তাআলা কর্তৃক সংরক্ষণ প্রসঙ্গে
২৭২৬। (সাহাবী) হযরত আবু শুরাইহ্ আদাবী (রাঃ) হইতে বর্ণিত আছে, যখন আমর ইবনে সায়ীদ (হযরত আব্দুল্লাহ্ ইবনে যুবায়রের বিরুদ্ধে) মক্কার দিকে সৈন্যবাহিনী প্রেরণ করিতেছিলেন, তখন আবু শুরাইহ্ বলিলেন, হে আমীর ! আমাকে অনুমতি দিন আমি আপনাকে একটি কথা বলি যাহা মক্কা বিজয়ের দিন সকালে রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) ভাষণ দানকালে দাঁড়াইয়া বলিয়াছিলেন—এবং যাহা আমার এই দুই কান শুনিয়াছে; আমার অন্তর স্মরণ রাখিয়াছে এবং আমার এই দুই চক্ষু দেখিয়াছে—যখন তিনি কথা বলিতে শুরু করিলেন, প্রথমে আল্লাহর গুণগান করিলেন, অতঃপর বলিলেন, “আল্লাহ্ মক্কাকে হারাম করিয়াছেন, কোন মানুষ উহাকে হারাম করে নাই। সুতরাং কোন এমন ব্যক্তির পক্ষে, যে আল্লাহ্ ও পরকালে বিশ্বাস রাখে, উহাতে রক্তপাত করা আর উহার বৃক্ষ ছেদন করা হালাল হইবে না। যদি কেহ উহাতে রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ)-এর যুদ্ধের অজুহাত দেখাইয়া জায়েয মনে করে তাহাকে বলিবে, আল্লাহ্ তাঁহার রাসূলকে অনুমতি দিয়াছেন, তোমাকে অনুমতি দেন নাই ; আর আমাকেও অনুমতি দিয়াছেন একদিনের সামান্য মাত্র সময়ে, অতঃপর উহার হুরমত ফিরিয়া আসিয়াছে যেমন পূর্বে ছিল। আমার এ কথা প্রত্যেক উপস্থিতই যেন অনুপস্থিতকে জানাইয়া দেয়।” অতঃপর আবু শুরাইহুকে জিজ্ঞাসা করা হইল, তখন আমর আপনাকে কি উত্তর দিলেন? আবু শুরাইহ্ বলেন, তখন তিনি বলিলেন, ইহা আমি আপনা অপেক্ষা অধিক অবগত হে আবু শুরাইহ্! মক্কা কোন অপরাধীকে আশ্রয় দেয় না, আর এমন লোককেও নহে যে রক্তপাত করিয়া মক্কায় ভাগিয়া আসিয়াছে অথবা অপরাধ করিয়া তথায় পলাইয়াছে! — মোত্তাঃ
كتاب المناسك
الْفَصْل الثَّالِث
عَن أبي شُريَحٍ العَدوِيِّ أَنَّهُ قَالَ لِعَمْرِو بْنِ سَعِيدٍ وَهُوَ يَبْعَثُ الْبُعُوثَ إِلَى مَكَّةَ: ائْذَنْ لِي أَيُّهَا الْأَمِيرُ أُحَدِّثْكَ قَوْلًا قَامَ بِهِ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ الغدَ مِنْ يَوْمِ الْفَتْحِ سَمِعَتْهُ أُذُنَايَ وَوَعَاهُ قَلْبِي وَأَبْصَرَتْهُ عَيْنَايَ حِينَ تَكَلَّمَ بِهِ: حَمِدَ اللَّهَ وَأَثْنَى عَلَيْهِ ثُمَّ قَالَ: إِنَّ مَكَّةَ حَرَّمَهَا اللَّهُ وَلَمْ يُحَرِّمْهَا النَّاسُ فَلَا يَحِلُّ لِامْرِئٍ يُؤْمِنُ بِاللَّهِ وَالْيَوْمِ الْآخِرِ أَنْ يَسْفِكَ بِهَا دَمًا وَلَا يَعْضِدَ بِهَا شَجَرَةً فَإِنْ أَحَدٌ تَرَخَّصَ بِقِتَالِ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فِيهَا فَقُولُوا لَهُ: إِنَّ اللَّهَ قَدْ أَذِنَ لرَسُوله وَلم يَأْذَن لِرَسُولِهِ وَلَمْ يَأْذَنْ لَكُمْ وَإِنَّمَا أُذِنَ لِي فِيهَا سَاعَة نَهَارٍ وَقَدْ عَادَتْ حُرْمَتُهَا الْيَوْمَ كَحُرْمَتِهَا بِالْأَمْسِ وَلْيُبْلِغِ الشَّاهِدُ الْغَائِبَ . فَقِيلَ لِأَبِي شُرَيْحٍ: مَا قَالُ لَكَ عَمْرٌو؟ قَالَ: قَالَ: أَنَا أَعْلَمُ بِذَلِكَ مِنْكَ يَا أَبَا شُرَيْحٍ أَنَّ الْحَرَمَ لَا يُعِيذُ عَاصِيًا وَلَا فَارًّا بِدَمٍ وَلَا فَارًّا بِخَرْبَةٍ. مُتَّفَقٌ عَلَيْهِ. وَفِي الْبُخَارِيِّ: الْخَرْبَةُ: الْجِنَايَة