মিশকাতুল মাসাবীহ (মিশকাত শরীফ)
مشكاة المصابيح للتبريزي
১১- হজ্জ্বের অধ্যায় - এর পরিচ্ছেদসমূহ
মোট হাদীস ২ টি
হাদীস নং: ২৭২৭
- হজ্জ্বের অধ্যায়
১৪. তৃতীয় অনুচ্ছেদ - মক্কার হারামকে আল্লাহ তাআলা কর্তৃক সংরক্ষণ প্রসঙ্গে
২৭২৭। হযরত আইয়াশ ইবনে আবু রবীয়া মাখযূমী (রাঃ) বলেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলিয়াছেনঃ এই উম্মত কল্যাণের সাথে থাকিবে, যাবৎ তাহারা মক্কার এই সম্মান পূর্ণভাবে বজায় রাখিবে। যখন তাহারা ইহা বিনষ্ট করিবে ধ্বংস হইয়া যাইবে। —ইবনে মাজাহ্
كتاب المناسك
وَعَن عيَّاشِ بنِ أبي ربيعةَ المَخْزُومِي قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «لَا تَزَالُ هَذِهِ الْأُمَّةُ بِخَيْرٍ مَا عَظَّمُوا هَذِهِ الْحُرْمَةَ حَقَّ تَعْظِيمِهَا فَإِذَا ضَيَّعُوا ذلكَ هلَكُوا» . رَوَاهُ ابْن مَاجَه
তাহকীক:
হাদীস নং: ২৭২৮
- হজ্জ্বের অধ্যায়
১৫. প্রথম অনুচ্ছেদ - মদীনার হারামকে আল্লাহ তাআলা কর্তৃক সংরক্ষণ প্রসঙ্গে
২৭২৮। হযরত আলী রাযিয়াল্লাহু আনহু বলেন, কোরআন এবং এই কাগজে যাহা আছে তাহা ব্যতীত আমি রাসূলুল্লাহ্ ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের নিকট হইতে আর কিছু লিখিয়া লই নাই—তিনি বলেন, ইহাতে আছে—রাসূলুল্লাহ্ ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলিয়াছেন: মদীনা হারাম (সম্মানাই) আইর হইতে সওর পর্যন্ত। যে উহাতে কোন অসৎ প্রথা (বেদআত) সৃষ্টি করিবে অথবা অসৎ প্রথা সৃষ্টিকারীকে আশ্রয় দিবে, তাহার উপর আল্লাহ্ ও ফিরিশতাগণ এবং মানুষ সকলেরই অভিসম্পাত। তাহার ফরয বা নফল কিছুই কবুল করা হইবে না। সকল মুসলমানের প্রতিশ্রুতি এক–তাহাদের ক্ষুদ্র ব্যক্তিও উহার চেষ্টা করিতে পারে,—
অতএব, যে ব্যক্তি কোন মুসলমানের প্রতিশ্রুতি ভঙ্গ করিয়াছে তাহার উপর আল্লাহ্ ও ফিরিশতাগণ এবং মানুষ সকলেরই লা'নত—তাহার ফরয বা নফল কোনটাই গ্রহণ করা হইবে না। আর যে ব্যক্তি নিজের মালিকদের অনুমতি ব্যতীত অন্য সম্প্রদায়ের সহিত বন্ধুত্ব স্থাপন করিবে, তাহার উপর আল্লাহ্ ও ফিরিশতাগণ এবং মানুষ সকলেরই লা'নত—তাহার ফরয বা নফল কোনটাই গ্রহণ করা হইবে না। – মোত্তাঃ
তাহাদের অপর বর্ণনায় আছে—যে নিজের পিতা ছাড়া অন্যকে পিতা বলিয়া স্বীকার করিয়াছে অথবা যে ক্রীতদাস নিজের মনিব ছাড়া অপরকে মনিব বলিয়া গ্রহণ করিয়াছে, তাহার উপর আল্লাহর, ফিরিশতাগণের ও মানুষ সকলের লা'নত—তাহার ফরয বা নফল কিছুই গ্রহণ করা হইবে না।
অতএব, যে ব্যক্তি কোন মুসলমানের প্রতিশ্রুতি ভঙ্গ করিয়াছে তাহার উপর আল্লাহ্ ও ফিরিশতাগণ এবং মানুষ সকলেরই লা'নত—তাহার ফরয বা নফল কোনটাই গ্রহণ করা হইবে না। আর যে ব্যক্তি নিজের মালিকদের অনুমতি ব্যতীত অন্য সম্প্রদায়ের সহিত বন্ধুত্ব স্থাপন করিবে, তাহার উপর আল্লাহ্ ও ফিরিশতাগণ এবং মানুষ সকলেরই লা'নত—তাহার ফরয বা নফল কোনটাই গ্রহণ করা হইবে না। – মোত্তাঃ
তাহাদের অপর বর্ণনায় আছে—যে নিজের পিতা ছাড়া অন্যকে পিতা বলিয়া স্বীকার করিয়াছে অথবা যে ক্রীতদাস নিজের মনিব ছাড়া অপরকে মনিব বলিয়া গ্রহণ করিয়াছে, তাহার উপর আল্লাহর, ফিরিশতাগণের ও মানুষ সকলের লা'নত—তাহার ফরয বা নফল কিছুই গ্রহণ করা হইবে না।
كتاب المناسك
بَابُ حَرَمِ الْمَدِيْنَةِ حَرَسَهَا اللّٰهُ تَعَالٰى: الْفَصْلُ الأول
عَنْ عَلِيٍّ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ قَالَ: مَا كَتَبْنَا عَنْ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ إِلَّا الْقُرْآنَ وَمَا فِي هَذِهِ الصَّحِيفَةِ قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسلم: «الْمَدِينَةُ حَرَامٌ مَا بَيْنَ عَيْرٍ إِلَى ثَوْرٍ فمنْ أحدَثَ فِيهَا حَدَثًا أَوْ آوَى مُحْدِثًا فَعَلَيْهِ لَعْنَةُ اللَّهِ وَالْمَلَائِكَةِ وَالنَّاسِ أَجْمَعِينَ لَا يُقْبَلُ مِنْهُ صَرْفٌ وَلَا عَدْلٌ ذمَّةُ المسلمينَ واحدةٌ يَسْعَى بِهَا أَدْنَاهُمْ فَمَنْ أَخْفَرَ مُسْلِمًا فَعَلَيْهِ لَعْنَةُ اللَّهِ وَالْمَلَائِكَةِ وَالنَّاسِ أَجْمَعِينَ لَا يُقْبَلُ مِنْهُ صَرْفٌ وَلَا عَدْلٌ وَمَنْ وَالَى قَوْمًا بِغَيْرِ إِذْنِ مَوَالِيهِ فَعَلَيْهِ لَعْنَةُ اللَّهِ وَالْمَلَائِكَةِ وَالنَّاسِ أَجْمَعِينَ لَا يُقْبَلُ مِنْهُ صَرْفٌ وَلَا عدل»
وَفِي رِوَايَةٍ لَهُمَا: «مَنِ ادَّعَى إِلَى غَيْرِ أَبِيهِ أَوْ تَوَلَّى غَيْرَ مَوَالِيهِ فَعَلَيْهِ لَعْنَةُ اللَّهِ وَالْمَلَائِكَةِ وَالنَّاسِ أَجْمَعِينَ لَا يُقْبَلُ مِنْهُ صرف وَلَا عدل»
وَفِي رِوَايَةٍ لَهُمَا: «مَنِ ادَّعَى إِلَى غَيْرِ أَبِيهِ أَوْ تَوَلَّى غَيْرَ مَوَالِيهِ فَعَلَيْهِ لَعْنَةُ اللَّهِ وَالْمَلَائِكَةِ وَالنَّاسِ أَجْمَعِينَ لَا يُقْبَلُ مِنْهُ صرف وَلَا عدل»
তাহকীক: