মিশকাতুল মাসাবীহ (মিশকাত শরীফ)
مشكاة المصابيح للتبريزي
১৪- বিবাহ-শাদী সম্পর্কিত অধ্যায় - এর পরিচ্ছেদসমূহ
মোট হাদীস ২ টি
হাদীস নং: ৩২০১
- বিবাহ-শাদী সম্পর্কিত অধ্যায়
৬. দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ - (গোলামদের স্বাধীনতা প্রদান)
৩২০১। সেই হযরত আয়েশা (রাঃ) হইতে বর্ণিত আছে, বারীরাকে মুক্তি দেওয়া হইল, অথচ তখন সে মুগীসের অধীনে। তখন রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) তাহাকে (মুগীসের অধীনে থাকা না থাকার) এখতিয়ার দিলেন এবং বলিলেনঃ যদি সে তোমার মুক্তির পর তোমার সাথে সহবাস করিয়া থাকে, তবে তোমার এখতিয়ার নাই। —আবু দাউদ
(এ অধ্যায়ে তৃতীয় পরিচ্ছেদ নাই)
(এ অধ্যায়ে তৃতীয় পরিচ্ছেদ নাই)
كتاب النكاح
وَعَنْهَا: أَنْ بَرِيرَةَ عَتَقَتْ وَهِيَ عِنْدَ مُغِيثٍ فَخَيَّرَهَا رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَقَالَ لَهَا: «إِنْ قَرِبَكِ فَلَا خِيَارَ لَكِ» . رَوَاهُ أَبُو دَاوُدَ
وَهَذَا الْبَابُ خَالٍ عَنِ الْفَصْلِ الثَّالِثِ
وَهَذَا الْبَابُ خَالٍ عَنِ الْفَصْلِ الثَّالِثِ
তাহকীক:
হাদীস নং: ৩২০২
- বিবাহ-শাদী সম্পর্কিত অধ্যায়
৭. প্রথম অনুচ্ছেদ - মোহর
৩২০২। হযরত সাহল ইবনে সা'দ (রাঃ) হইতে বর্ণিত আছে, একটি স্ত্রীলোক রাসূলুল্লাহ্ ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের নিকট আসিয়া বলিল, ইয়া রাসূলাল্লাহ্! আমি নিজেকে আপনার জন্য হেবা করিলাম। এই বলিয়া সে দীর্ঘ সময় দাড়াইয়া রহিল, (কিন্তু হুযুর কোন উত্তর দিলেন না, যাহাতে তাঁহার নারাযী বুঝা গেল। ইহাতে) এক ব্যক্তি দাঁড়াইয়া বলিল, ইয়া রাসূলাল্লাহ্, আমার সাথে তাহার বিবাহ দিন, যদি তাহাতে আপনার কোন আবশ্যক না থাকে। হুযুর বলিলেনঃ তোমার নিকট তাহাকে মহর দেওয়ার মত কোন জিনিস আছে কি ? সে বলিল, আমার নিকট আমার এই তহবন্দটি ছাড়া কিছুই নাই। হুযূর বলিলেন, একটি লোহার আংটি হইলেও তালাশ করিয়া দেখ। সে তালাশ করিল, কিন্তু কিছু পাইল না। তখন রাসূলুল্লাহ্ ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলিলেন, তোমার কিছু কোরআন জানা আছে কি? সে বলিল, হ্যাঁ, অমুক অমুক সূরা জানা আছে। হুযূর বলিলেন, যাও, তোমার কোরআনের যাহা জানা আছে তাহার বিনিময়ে তোমার সাথে তাহার বিবাহ দিলাম। অপর বর্ণনামতে, “যাও তোমার সাথে তাহার বিবাহ দিলাম, তুমি তাহাকে কোরআন শিক্ষা দাও।” –মোত্তাঃ
كتاب النكاح
بَابُ الصَّدَاقِ: الْفَصْل الأول
عَنْ سَهْلِ بْنِ سَعْدٍ: أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ جَاءَتْهُ امْرَأَةٌ فَقَالَتْ: يَا رَسُولَ اللَّهِ إِنِّي وَهَبْتُ نَفْسِي لَكَ فَقَامَتْ طَوِيلًا فَقَامَ رَجُلٌ فَقَالَ: يَا رَسُولَ اللَّهِ زَوِّجْنِيهَا إِنْ لَمْ تَكُنْ لَكَ فِيهَا حَاجَةٌ فَقَالَ: «هَلْ عِنْدَكَ مِنْ شَيْءٍ تُصْدِقُهَا؟» قَالَ: مَا عِنْدِي إِلَّا إِزَارِي هَذَا. قَالَ: «فَالْتَمِسْ وَلَوْ خَاتَمًا مِنْ حَدِيدٍ» فَالْتَمَسَ فَلَمْ يَجِدْ شَيْئًا فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «هَلْ مَعَكَ مِنَ الْقُرْآنِ شَيْءٌ» قَالَ: نَعَمْ سُورَةُ كَذَا وَسُورَةُ كَذَا فَقَالَ: «زَوَّجْتُكَهَا بِمَا مَعَكَ مِنَ الْقُرْآنِ» . وَفِي رِوَايَةٍ: قَالَ: «انْطَلِقْ فَقَدْ زَوَّجْتُكَهَا فَعَلِّمْهَا مِنَ الْقُرْآنِ»
তাহকীক: