৩২৭৬। বিবি আয়েশা (রাঃ) বলেন, রাসূলুল্লাহ ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমাদিগকে (তাঁহার নিকট না থাকার) এখতিয়ার দিয়াছিলেন আর আমরা আল্লাহ্ ও তাঁহার রাসূলকেই (অর্থাৎ, তাহাকেই) এখতিয়ার করিয়াছিলাম। ইহা তিনি আমাদের জন্য কিছুই গণ্য করিলেন না। — মোত্তাঃ

৩২৭৭। হযরত ইবনে আব্বাস (রাঃ) বলেন, (হালালকে নিজের জন্য) হারাম করিলে উহাতে কাফফারা দেওয়া লাগিবে। রাসূলুল্লাহ্ ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের জীবনে এ বিষয়ে তোমাদের জন্য উত্তম আদর্শ রহিয়াছে। —মোত্তাঃ

৩২৭৮। বিবি আয়েশা (রাঃ) হইতে বর্ণিত আছে, নবী করীম ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বিবি যয়নাব বিনতে জাহশের নিকট কিছু অধিক অপেক্ষা করিতেন। আর (ইহা আমাদের সহ্য হইত না।) একদিন তিনি তাঁহার নিকট কিছু মধু পান করিলেন। খবর পাইয়া আমি ও হাফসা এই পরামর্শ করিলাম, আমাদের মধ্যে যাহার নিকটই নবী করীম ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম উপস্থিত হন না কেন—সে যেন বলে, আমি আপনার মুখে কিকর ফলের গন্ধ পাইতেছি, আপনি কি কিকর খাইয়াছেন? রাবী বলেন, অতঃপর হুযূর (ছাঃ) একজনের নিকট উপস্থিত হইলেন আর তিনি তাহা বলিলেন। হুযূর (ছাঃ) বলিলেন : যাক, আমি যয়নাব বিনতে জাহশের নিকট মধু খাইয়াছিলাম। আমি শপথ করিলাম, আর কখনও খাইব না। কিন্তু তুমি কাহাকেও বলিও না (তাহাতে যয়নাবের মনে কষ্ট হইবে)। রাবী বলেন, হুযূর (ছাঃ) অন্য বিবিদের সন্তুষ্টি বিধান উদ্দেশ্যেই মধু না খাওয়ার শপথ করিলেন। এ সময় এই আয়াত নাযিল হইল : (يَا أَيُّهَا النَّبِيُّ لِمَ تُحَرِّمُ مَا أَحَلَّ الله لَك تبتغي مرضاة أَزوَاجك) “হে নবী! আপনি কেন বিবিদের সন্তোষের জন্য উহা হারাম করেন যাহা আল্লাহ্ আপনার জন্য হালাল করিয়াছেন” শেষ পর্যন্ত ?

৩২৭৯। হযরত সওবান (রাঃ) বলেন, রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) বলিয়াছেনঃ যে নারী কষ্ট ব্যতীত আপন স্বামীর নিকট তালাক চাহে, তাহার পক্ষে বেহেশতের গন্ধও হারাম। —আহমদ, তিরমিযী, আবু দাউদ, ইবনে মাজাহ্ ও দারেমী

৩২৮০। হযরত ইবনে ওমর (রাঃ) হইতে বর্ণিত আছে, নবী করীম (ﷺ) বলিয়াছেনঃ আল্লাহর নিকট সর্বাপেক্ষা ঘৃণিত হালাল হইল তালাক। —আবু দাউদ