মিশকাতুল মাসাবীহ (মিশকাত শরীফ)
مشكاة المصابيح للتبريزي
১৪- বিবাহ-শাদী সম্পর্কিত অধ্যায় - এর পরিচ্ছেদসমূহ
মোট হাদীস ১ টি
হাদীস নং: ৩৩০৩
- বিবাহ-শাদী সম্পর্কিত অধ্যায়
১৩. প্রথম অনুচ্ছেদ - (যিহারের কাফফারা ও মু’মিনাহ্ দাসী মুক্তি প্রসঙ্গে)
৩৩০৩। হযরত মুআবিয়া ইবনে হাকাম (রাঃ) বলেন, আমি রাসূলুল্লাহ্ ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের নিকট যাইয়া বলিলাম, ইয়া রাসূলাল্লাহ্! আমার একটি দাসী আছে, যে আমার ছাগল-ভেড়া চরায়। একদা আমি তাহার নিকট গেলাম এবং একটি ভেড়া পাইলাম না । আমি তাহাকে উহার বিষয় জিজ্ঞাসা করিলাম। সে বলিল, উহাকে নেকড়ে খাইয়া ফেলিয়াছে। আমি মানুষ, তাই তাহার উপর খুব রাগ করিলাম এবং তাহার গালে এক চড় লাগাইয়া দিলাম । এখন জিজ্ঞাস্য, আমার জিম্মায় যেহারের একটি গোলাম আযাদ করা বাকী আছে। আমি কি এস্থলে ইহাকে আযাদ করিয়া দিব? (যাহাতে আমার এ অন্যায়েরও শাস্তি হইয়া যায়।) তখন রাসুলুল্লাহ্ ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বাদীকে জিজ্ঞাসা করিলেন, 'আল্লাহ্ কোথায় ?' সে বলিল, 'আকাশে।' তারপর জিজ্ঞাসা করিলেন, 'আমি কে?' সে বলিল, 'আপনি আল্লাহর রাসূল।' তখন রাসূলুল্লাহ্ ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলিলেন, হ্যাঁ, ইহাকে আযাদ করিয়া দাও। —মালেক, কিন্তু মুসলিমের বর্ণনায় আছে, সে বলিল, আমার একটি দাসী আছে, যে ওহুদ ও জাওয়ানিয়ার দিকে আমার ছাগল-ভেড়া চরায়। একদিন আমি তাহার নিকট গেলাম, দেখিলাম —নেকড়ে আমার একটি ভেড়া লইয়া গিয়াছে। আমি একজন মানুষ, তাই আমারও রাগ হয় যেমন অন্য মানুষের হয়। অতঃপর আমি তাহাকে একটি থাপ্পড় লাগাইলাম। অতঃপর রাসুলুল্লাহ্ ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের নিকট গেলাম। তিনি আমার এই কাজকে গুরুতর অন্যায় মনে করিলেন। তখন আমি বলিলাম, 'ইয়া রাসূলাল্লাহ্! তাহা হইলে কি আমি তাহাকে আযাদ করিয়া দিব?' রাসূলুল্লাহ্ (ছাঃ) বলিলেন, 'তবে তাহাকে আমার নিকট লইয়া আস।' আমি তাহাকে তাঁহার নিকট লইয়া গেলাম। তিনি তাহাকে জিজ্ঞাসা করিলেন, 'আল্লাহ্ কোথায় ?' সে বলিল, 'আকাশে।' আবার তিনি জিজ্ঞাসা করিলেন, 'আমি কে?' সে বলিল, 'আপনি আল্লাহর রাসূল।' তখন তিনি বলিলেন, ইহাকে আযাদ করিয়া দাও, সে মু'মিনা।
كتاب النكاح
بَابٌ فِىْ كَوْن الرَّقَبَةِ فِى الْكَفَّارَة مُؤمنَة: الْفَصْل الأول
عَن مُعَاوِيَة بنِ الحكمِ قَالَ: أَتَيْتُ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَقُلْتُ: يَا رَسُولَ اللَّهِ إِنَّ جَارِيَةً كَانَتْ لِي تَرْعَى غَنَمًا لِي فَجِئْتُهَا وَقَدْ فَقَدَتْ شَاةً مِنَ الْغَنَمِ فَسَأَلْتُهَا عَنْهَا فَقَالَتْ: أَكَلَهَا الذِّئْبُ فَأَسِفْتُ عَلَيْهَا وَكُنْتُ مَنْ بَنِي آدَمَ فَلَطَمْتُ وَجْهَهَا وَعَلَيَّ رَقَبَةٌ أَفَأُعْتِقُهَا؟ فَقَالَ لَهَا رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «أَيْنَ اللَّهُ؟» فَقَالَتْ: فِي السَّمَاءِ فَقَالَ: «مَنْ أَنَا؟» فَقَالَتْ: أَنْتَ رَسُولَ اللَّهِ فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «أَعْتِقْهَا» . رَوَاهُ مَالِكٌ
وَفِي رِوَايَةِ مُسْلِمٍ قَالَ: كَانَتْ لِي جَارِيَةٌ تَرْعَى غَنَمًا لِي قِبَلَ أُحُدٍ وَالْجَوَّانِيَّةِ فَاطَّلَعْتُ ذَاتَ يَوْمٍ فَإِذَا الذِّئْبُ قَدْ ذَهَبَ بِشَاةٍ مِنْ غَنَمِنَا وَأَنَا رَجُلٌ مِنْ بَنِي آدَمَ آسَفُ كَمَا يَأْسَفُونَ لَكِنْ صَكَكْتُهَا صَكَّةً فَأَتَيْتُ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَعَظَّمَ ذَلِكَ عَلَيَّ قُلْتُ: يَا رَسُولَ اللَّهِ أفَلا أُعتِقُها؟ قَالَ: «ائتِني بهَا؟» فأتيتُه بِهَا فَقَالَ لَهَا: «أَيْنَ اللَّهُ؟» قَالَتْ: فِي السَّمَاءِ قَالَ: «مَنْ أَنَا؟» قَالَتْ: أَنْتَ رَسُولُ الله قَالَ: «أعتِقْها فإنَّها مؤْمنةٌ»
وَفِي رِوَايَةِ مُسْلِمٍ قَالَ: كَانَتْ لِي جَارِيَةٌ تَرْعَى غَنَمًا لِي قِبَلَ أُحُدٍ وَالْجَوَّانِيَّةِ فَاطَّلَعْتُ ذَاتَ يَوْمٍ فَإِذَا الذِّئْبُ قَدْ ذَهَبَ بِشَاةٍ مِنْ غَنَمِنَا وَأَنَا رَجُلٌ مِنْ بَنِي آدَمَ آسَفُ كَمَا يَأْسَفُونَ لَكِنْ صَكَكْتُهَا صَكَّةً فَأَتَيْتُ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَعَظَّمَ ذَلِكَ عَلَيَّ قُلْتُ: يَا رَسُولَ اللَّهِ أفَلا أُعتِقُها؟ قَالَ: «ائتِني بهَا؟» فأتيتُه بِهَا فَقَالَ لَهَا: «أَيْنَ اللَّهُ؟» قَالَتْ: فِي السَّمَاءِ قَالَ: «مَنْ أَنَا؟» قَالَتْ: أَنْتَ رَسُولُ الله قَالَ: «أعتِقْها فإنَّها مؤْمنةٌ»
তাহকীক: